Tag: Bengali news

Bengali news

  • AIDS: এইডস নিয়ে সচেতনতা কমছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে স্পষ্ট রাজ্য প্রশাসনের উদাসীনতা! 

    AIDS: এইডস নিয়ে সচেতনতা কমছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে স্পষ্ট রাজ্য প্রশাসনের উদাসীনতা! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দ ‘মহামারী’-র মতো রাজ্যে গ্রাস করছে এইডস। কিন্তু তারপরেও কমছে সচেতনতা। যার জেরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও বড় খেসারত দিতে হবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকার কবে তৎপর হবে? অন্তত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী স্পষ্ট, সব স্তরে সচেতনতা কর্মসূচি আর প্রয়োজনীয় কর্মশালা একেবারেই হচ্ছে না। এমনকি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে রোগ আছে কিনা, তা যাচাইও ঠিকমতো হচ্ছে না। যার জেরে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। 
    বিশ্ব এইডস সচেতনতা দিবসে বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, রাজ্যে নেই প্রয়োজনীয় কর্মসূচি। আর তার জেরেই রাজ্য জুড়ে বাড়ছে এই মারণ রোগ।

    কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এইডস নিয়ে সচেতনতার হার কমছে। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে সেই সচেতনতার হার আরও কম। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস ৫ (এনএফএসএইচ ৫) রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সচেতনতার হার ১৮.৫ শতাংশ। গ্রামীণ মহিলাদের সচেতনতা ১২.৩ শতাংশ আর শহুরে মহিলাদের মধ্যে এই হার ৩০.৮ শতাংশ। সেই তুলনায় পুরুষরা অনেকটাই পিছিয়ে। এইচআইভি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুরুষদের সচেতনতার সার্বিক হার ১৫.৫ শতাংশ। শহুরে পুরুষদের এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা ২১.৩ শতাংশ। গ্রামে সেই হার ১২.৮ শতাংশ। অর্থাৎ, পুরুষদের তুলনায় সচেতনতায় এগিয়ে মহিলারা। 
    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এইচআইভি নিয়ে সচেতনতা বলতে বোঝানো হয়েছে, এইচআইভি সংক্রমণ কীভাবে হয়, স্পর্শ, হাঁচি কিংবা এক শৌচাগার ব্যবহার থেকে নয়। বরং অসচেতন যৌন সম্পর্ক থেকেই এই রোগ সংক্রমিত হয়। যৌন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা জরুরি, সে নিয়ে বাঙালি পুরুষদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। 
    এইচআইভিকে ‘নিঃশব্দ মহামারী’ বলেই ব্যাখ্যা করতে চান বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আরেক হিসাব অনুযায়ী, গোটা দেশের ৬ শতাংশ এইচআইভি রোগী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। প্রতি কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাবা-মায়ের থেকে এই রোগ সন্তানদের মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। তাই এই রাজ্যে শিশুরাও এইচআইভি-তে আক্রান্ত হচ্ছে। যার জেরে জীবনভর তাদের এই রোগের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। দেহের প্রতিষেধক ক্ষমতা খুব কম থাকে। এইচআইভি আক্রান্তরা যে কোনও রোগে খুব সহজেই কাবু হয়ে যান।

    এইডস কী? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এইডস হলো একধরনের সংক্রামক রোগ। এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে থাকে। জীবন ভর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন না।

    এইডস নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা কেন? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে হারে এইডস নিয়ে রাজ্য প্রশাসন ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছে, তাতে এ রাজ্যের শিশুদের মধ্যে এইডস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। কারণ, মা কিংবা বাবা এইডস আক্রান্ত কিনা, সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কারণ, সরকারের তরফে ঠিকমতো পরীক্ষা করা হচ্ছে না। অনেকের গর্ভস্থ অবস্থায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না। আর এর জেরেই নবজাতক এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জন্মের পরেই শিশু এইডস আক্রান্ত কিনা জানতে পারলেও শিশুকে আজীবন এই রোগ থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরে শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ জীবনযাপন করতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ফলে, কোনও শিশুর এইডস থাকলে, তা এতটাই পরে জানা যাচ্ছে, যে তখন চিকিৎসার সুযোগ থাকছে না। যার জেরে আজীবন ভুগতে হচ্ছে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: অনলাইন প্রতারণার থাবা! সঙ্গীত শিল্পীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লক্ষ টাকা গায়েব

    Fraud: অনলাইন প্রতারণার থাবা! সঙ্গীত শিল্পীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লক্ষ টাকা গায়েব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই সোদপুরে প্রাক্তন এক পুলিশ কর্মীর বাড়িতে বিদ্যুতের বিল আপডেট নেই বলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। সেই ফোন ধরে ওটিপি দিতেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা গায়েব করে দেয় প্রতারকরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার প্রতারকরা থাবা বসাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালি থানার রায়পুরে। প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন কল্যাণ দাস নামে এক সঙ্গীত শিল্পী। প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন তিনি।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)  

    তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অস্থায়ী শিল্পী তথা গানের শিক্ষক কল্যাণ দাস বলেন, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের সংযোগকারী বিদ্যুতের তিন মাসের বিল বকেয়া ছিল। বিল পরিশোধ করতে অচেনা নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ফোনে করে। বকেয়া বিল এখনই শোধ না করলে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানায় ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি। পর্ষদের লোগো দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয় তাঁকে। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রথমে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগ অক্ষুন্ন রাখতে তিন টাকা ট্রান্সফার করতে বলা হয় শিল্পীকে। তার কথামতো মোবাইলে আসা ওটিপি শেয়ার করেন কল্যাণবাবু। ওটিপি দেওয়া মাত্রই নিমেষে গায়েব হয়ে যায় ফিক্সড ডিপোজিট-সহ সেভিংস অ্যাকাউন্টের ৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু, ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা কীভাবে হাতিয়ে নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

     ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    সাতগাছিয়ার বাখরাহাটের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওটিপি শেয়ারের মাধ্যমে কল্যাণবাবুই টাকা তুলে নিতে অনুমতি দেন প্রতারককে। তাই, প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন তিনি। তবে, ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা কীভাবে হাতিয়ে নেওয়া হল তা তারা স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছেন প্রতারিত ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও যথাযথ পুলিশি তদন্তের দাবি তুলেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: দিল্লির বিজেপি দফতরে চলছে আবির খেলা, মিষ্টিমুখ, সন্ধ্যায় আসছেন মোদি

    Narendra Modi: দিল্লির বিজেপি দফতরে চলছে আবির খেলা, মিষ্টিমুখ, সন্ধ্যায় আসছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে বিজেপির জয়জয়কার। সকাল থেকেই দিল্লির বিজেপি কার্যালয়ে ভিড় করছেন কর্মী-সমর্থকরা। নির্বাচনের গণনাপর্ব যত এগিয়ে চলেছে, জয়ের নিশ্চয়তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই উৎসবমুখর তীব্র উল্লাসের চিত্র ধরা পড়েছে রাজ্যগুলিতেও। সেই প্রভাব এবার দিল্লিতেও পড়েছে, গেরুয়া ঝড়ে সরগরম বিজেপি অফিস। চলছে মোদির নামে জয়ধ্বনি। গেরুয়া আবির খেলে, বাদ্যবাজনা বাজিয়ে মিষ্টিমুখ করানোর মধ্যে দিয়ে উৎসাহ এবং উদ্দীপনার চিত্র লক্ষ্য করা গেল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সন্ধ্যেবেলায় বিজেপি দফতরে আসবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি দলের কর্মী, সমর্থক, নেতাদের উদ্দেশ্যে দেবেন শুভেচ্ছাবার্তা, দলীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।

    কখন পৌঁছাবেন মোদি (Narendra Modi)?

    রবিবার সকাল থেকেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে গেরুয়া ঝড়। দলের এই উৎসাহের আবহে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যাবেলায় সাড়ে ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে দিল্লির রাজধানী কার্যালয়ে পৌঁছাবেন তিনি। অবশ্য সকাল থেকেই পার্টি অফিসে উৎসবের আবহ চলছে। সন্ধ্যায় মোদি অফিসে গেলে উচ্ছ্বাসের বাঁধ যে ভাঙবে, তা বলাই বাহুল্য। এই ব্যাপক সাফল্যের পর দলের কর্মীদের দেবেন বার্তা। তাই দলের কর্মীরাও অপেক্ষায় রয়েছেন, আর কত সময়ে এসে পৌঁছান নমো।

    দিল্লি পার্টি অফিসে মোদি নামের জয়ধ্বনি

    দিল্লিতে ভোরের পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা অধীর অপেক্ষায় ছিলেন নির্বাচনী ফলাফলকে নিয়ে। ক্রমশ বেলা বৃদ্ধির পর থেকেই বিজেপির জয় যেন নিশ্চিত হতে শুরু করে। ৬ নম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকঢোল, বাজি নিয়ে রীতিমতো প্রস্তুত ছিলেন কর্মীরা। জয় নিশ্চিত বুঝের কর্মীরা লাড্ডু দিয়ে মিষ্টি মুখ করেন। সেই সঙ্গে হালুয়া তৈরি করে চলে খাওয়া দাওয়া। চলতে থাকে মোদির নামে জয়ধ্বনি। মোদির (Narendra Modi) ছবিতে ধূপধুনো দিয়ে চলতে থাকে পুজো।

    কী বলেন শিবরাজ?

    নির্বাচনী সাফল্যের কথা বলে মধ্যপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, “মোদিজী (Narendra Modi) মধ্যপ্রদেশের মানুষের মনের মধ্যে রয়েছেন আর মোদিজীর মনের মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। ডাবল ইঞ্জিনের সরকার, মানুষের কাছে দেওয়া মানুষের প্রতিশ্রুতিগুলিকে পালন করতে সক্ষম ছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এ তো সবে ঝড়, লোকসভা নির্বাচনে মোদি সুনামি দেখবে দেশ’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এ তো সবে ঝড়, লোকসভা নির্বাচনে মোদি সুনামি দেখবে দেশ’’, প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ে কার্যত ধুলিস্যাৎ কংগ্রেস। কংগ্রেসের দখলে থাকা রাজস্থান ও ছত্তিসগড়ও এদিন ছিনিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। মধ্যপ্রদেশেও বেড়েছে গতবারের থেকে ব্যবধান। জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা গেরুয়া ব্রিগেড। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বিজেপির বিপুল জয়ের পরে বলেন, ‘‘এ তো সবে ঝড়। লোকসভা নির্বাচনে মোদি সুনামি দেখবে দেশ। তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও।’’

    আগামীকাল বিধানসভায় লাড্ডু বিলি

    আগামী লোকসভা নির্বাচন থেকেই পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের পথ প্রশস্থ হবে, এদিন একথা জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন আগামীকাল বিধানসভায় লাড্ডুবিলি করা হবে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যের এই বিপুল জয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের রাস্তায় নেমে উল্লাস করতে দেখা যায়। এমন ছবি ধরা পড়েছে হাওড়ায়। হাওড়ার শিবপুর এলাকায় উচ্ছ্বাস করতে থাকা বিজেপি কর্মীদের দাবি, ‘‘এরাজ্যে পালাবদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।’’

    ছত্তিসগড়ে শুভেন্দুর প্রচার করা আসনে বড় জয় বিজেপির

    কংগ্রেসের দখলে থাকা ছত্তিসগড় রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দু’ দফায়। ৭ এবং ১৭ নভেম্বর। এই নির্বাচনে সেখানকার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রচার করতে যান পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা। এদিন ফলাফল বের হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রচার করা সে রাজ্যের মতুয়া অধ্যুষিত আনতাবার বিধানসভায় বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বিজেপি প্রার্থী বিক্রম উসেন্ডি।

    বড় জয় বিজেপির, প্রশ্নের মুখে ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যত

    লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। ট্রেন্ড অনুযায়ী ছত্তিসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি। ৩ রাজ্যেই গেরুয়া আবির নিয়ে বিজোয়ৎসব পালন করতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট। তার আগে অ্যাসিড টেস্ট ছিল এই নির্বাচন। ৩ রাজ্যে বিজেপি ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। এরফলে ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যতও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! বাস অফিসে তালা, আতঙ্কিত বাস মালিকরা

    Howrah: তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! বাস অফিসে তালা, আতঙ্কিত বাস মালিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! আর তার জেরে বাস সিন্ডিকেটের অফিসে তালা ঝোলানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) সিইএসসি অফিসের পাশে ফায়ার সার্ভিস বাসস্ট্যান্ডে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    হাওড়ার (Howrah) ফায়ার সার্ভিস বাসস্ট্যান্ড থেকে দীর্ঘদিন ধরেই জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের আওতায় থাকা ২৪এ রুটের ৩৭টি বাস চলে। কয়েকটি দূরপাল্লার বাসও চালানো হয়। হাওড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা তৃণমূল নেতা মহম্মদ রুস্তম এবং তাঁর দলবল জোর করে স্ট্যান্ডের সিন্ডিকেট রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন। অভিযোগ, মহম্মদ রুস্তম নামে তৃণমূলের ওই প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির লোকজন নিয়মিত বাসস্ট্যান্ডে লাক্সারি বাস রাখতে দিয়ে তোলাবাজি করতেন। সম্প্রতি তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুষ্কৃতী নিয়ে এসে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে গোলাবাড়ি থানা।

    বাস মালিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    বাসস্ট্যান্ডের বাসমালিকদের সংগঠন, ‘২৪এ/১ বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক মহম্মদ রিয়াজুদ্দিন বলেন, তৃণমূলের ওই নেতা সমাজবিরোধীদের এনে স্ট্যান্ডটি দখল করতে চাইছেন। আমাদের খুনের হুমকিও দিয়েছেন। কোনও টেন্ডার তিনি পাননি। ওই বাসস্ট্যান্ডে রাতে লাক্সারি বাস রাখতে দেওয়া পরিবর্তে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হত। তৃণমূল নেতার লোকজন তা করত। পুলিশ তা বন্ধ করে দেওয়ার পরেই আমাদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর থেকে বাসকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। নিরাপত্তা চেয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাসমালিকদের আরও অভিযোগ, রাত হলেও ওই স্ট্যান্ডে নানা ধরনের অসামাজিক কাজ শুরু হয়।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এ দিকে তৃণমূল নেতা মহম্মদ রুস্তম বলেন, বাসমালিকেরা বেআইনিভাবে স্ট্যান্ডে বাস রাখছেন। ওখানে বাস রাখার অনুমতি নেই। ওটা হাওড়া (Howrah) পুরসভার জায়গা। ওরা সেটাই করত। তাই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।

    হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, বাসস্ট্যান্ডটি হাওড়া পুরসভার জমির উপরে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পুরসভার জমি হলে ওই তালা খোলানোর ব্যবস্থা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুর্শিদাবাদ কী পেলো? প্রশ্ন জেলার ব্যবসায়ীদের

    Murshidabad: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুর্শিদাবাদ কী পেলো? প্রশ্ন জেলার ব্যবসায়ীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) কী পেলো? এই প্রশ্ন জেলাবাসীর মনে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। রেজিনগর শিল্পতালুকে ই-বাস কারখানা তৈরি জন্য রাজ্য সরকার একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু কার্যকর হয়নি কারখানার কাজ। গতমাসে নভেম্বরের শেষেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে বাণিজ্য সম্মেলন করলেন কিন্তু মুর্শিদাবাদ কিছুই পেলনা। জেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে বলা হয়, আমাদের জেলার জন্য কোনও চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি।

    জেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “প্রত্যেক বারের মতো এই বারেও আমরা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ডাক পেয়েছি। আগেই ই-বাস তৈরির কারখানার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এই বছর আমাদের চোখের সামনে অন্য জেলার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হলেও আমাদের জন্য কিছুই মেলেনি। বারবার বাণিজ্য সম্মেলনে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। জেলায় বড় পর্যটন ক্ষেত্রে কোনও বিনিয়োগ নেই।”

    স্থানীয় মানুষে বক্তব্য

    বহরমপুরের (Murshidabad) এক স্থানীয় দীপক মণ্ডল বলেন, “আমাদের জেলায় তিন মাসে ৩ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করেছেন। ফলে খুব স্পষ্টত জেলায় কত মানুষ বেকার। কাজের জন্য অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। জেলায় কাজ থাকলে তাঁদের আর বাইরে গিয়ে কাজ করতে হতো না। বেকারত্ব এবং পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমাতে গেলে প্রয়োজন শিল্প কারখানা। যা আমাদের জেলায় নেই।”

    জেলা শিল্প কেন্দ্রের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) শিল্প কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আহমদুল্লা তালিব বলেছেন, “বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। রাজ্য থেকে জানানো হলে আমরা অবশ্যই জানাবো।” অপরদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের রেজিনগর শিল্পতালুকে ১৮৭ একরের জমিতে শিল্পের শিলান্যাস করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরবর্তী কালে আর কিছুই কার্যকর হয়নি। বর্তমানে খা খা করছে এই শিল্পতালুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panauti Controversy: গেরুয়া ঝড়ের মুখে রাহুলকে ‘পনৌতি’-বাণ ফেরাল বিজেপি, কী বললেন পদ্ম-নেতা?

    Panauti Controversy: গেরুয়া ঝড়ের মুখে রাহুলকে ‘পনৌতি’-বাণ ফেরাল বিজেপি, কী বললেন পদ্ম-নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুলকে ‘পনৌতি’-বাণ ফেরাল বিজেপি! রবিবার চলছে চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। ফলের ট্রেন্ড বলছে তিন রাজ্যে জিততে চলেছে বিজেপি। প্রত্যাশিতভাবেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে নিশানা করল বিজেপি (Panauti Controversy)। পদ্ম শিবিরের নেতা সিটি রবির বাক্যবাণে বিদ্ধ কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’।

    এগিয়ে বিজেপি

    নভেম্বরে হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। রবিবার গণনা হচ্ছে মিজোরাম বাদে বাকি চারটি রাজ্যের ভোট। এরই তিনটিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে ১৫৫টি আসনে জয় পেতে চলেছে গেরুয়া শিবির, কংগ্রেস পেতে চলেছে ৭২টি আসন। রাজস্থানেও কংগ্রেসের চেয়ে ঢের বেশি এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ছত্তিশগড়েও বিজেপি এগিয়ে ৪৭টি আসনে। কংগ্রেসের চেয়ে চারটি বেশি আসনে। লোকসভা নির্বাচনের আগে চারটি রাজ্যের মধ্যে তিনটিতে কংগ্রেস ধরাশায়ী হতে চলেছে জেনে রাহুলকে তাক করেছেন রবি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “কে সব চেয়ে বড় পনৌতি?” পোস্টে রবি রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসকে ট্যাগও করেছেন।

    রাহুলের ‘কু-বাক্য’

    প্রসঙ্গত, টানা (Panauti Controversy) ১০টি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ায় ভেঙে পড়েন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে ড্রেসিংরুমে পর্যন্ত গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ছবি ভাইরাল হতেই সৌজন্যের সীমা ছাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘পনৌতি’ শব্দটি প্রয়োগ করেন রাহুল। ‘পনৌতি’ শব্দটির অর্থ অপয়া। রাহুলের বক্তব্যের নির্যাস, সেদিন প্রধানমন্ত্রী মাঠে ছিলেন বলেই হেরেছে টিম ইন্ডিয়া।

    আরও পড়ুুন: ৩ রাজ্যে বিজেপির কাছে ভরাডুবি কংগ্রেসের, উচ্ছ্বাসে মেতেছে গেরুয়া শিবির

    রাহুলের এহেন মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কমিশনের তরফে রাহুলকে শোকজের নোটিশও ধরানো হয়েছে। তবে সেদিন বিজেপি পাল্টা কংগ্রেসের উদ্দেশে কোনও কু-বাক্য প্রয়োগ করেনি। আজ, রবিবার সুযোগ আসতেই মোক্ষম বাক্য-বাণ প্রয়োগ করলেন বিজেপি নেতা। তাঁর প্রশ্ন, “কে সব চেয়ে বড় পনৌতি?”

    আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজস্থান সহ এই পাঁচ রাজ্যের ফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন রাজনীতির কারবারিরা। যদিও পাঁচ রাজ্যের ফল দেখে লোকসভা নির্বাচনের ফল কী হবে তা বলা যায় না, তবে একটা আঁচ পাওয়া যায় বই কি! রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সেমিফাইনাল ম্যাচই জানান দিয়ে দিল, “আপ কী বার, মোদি সরকার”!    

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ৪৮০ জন পড়ুয়া, ২ জন শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ রেখেই চলছে হাইস্কুল

    Dakshin Dinajpur: ৪৮০ জন পড়ুয়া, ২ জন শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ রেখেই চলছে হাইস্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের ছাত্রসংখ্যা ৪৮০ জন। আর স্কুলে শিক্ষক মাত্র ২ জন। পড়াশুনা কার্যত শিকেয় উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জের তুলট উচ্চবিদ্যালয়ে। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি একসঙ্গে চালানোর মত শিক্ষক নেই। ফলে. বেশিরভাগই সময়েই ক্লাস বন্ধ থাকছে। গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরেই এমনই শিক্ষক সংকটে ভুগছে কুমারগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের তুলট উচ্চবিদ্যালয়। স্কুলের দুর্দশা দেখে স্থানীয় কিছু যুবক যুবতী অবশ্য এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা মাঝে মাঝে স্কুলে গিয়ে ক্লাসও করাচ্ছেন। এদিকে স্কুলের এই বেহাল দশা দেখে দিন দিন কমছে পড়ুয়ারার সংখ্যা। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

    একবছরে প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া স্কুল ছেড়েছে (Dakshin Dinajpur)

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জ ব্লকের জাখিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তুলট গ্রামে রয়েছে এই স্কুল। কয়েক বছর আগে স্কুলটি অষ্টম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত হয়েছে। আগে থেকেই শিক্ষক কম ছিল। উৎসশ্রী পোর্টাল চালুর পর থেকে একের পর এক শিক্ষক চলে যায়। কমপক্ষে ১২ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রধান শিক্ষক এবং একজন সহকারি শিক্ষক রয়েছেন। আরও একজন সহকারি অফিসের কর্মী রয়েছেন। তা বাদে এই স্কুলে আর কেউ নেই। ফলে, স্কুলের বেশিরভাগ কাজকর্ম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাই নিজেরা করে। এদিকে ওই স্কুলে এক বছর আগে ৫০০ এর বেশি পড়ুয়া ছিল। কিন্তু, অষ্টম শ্রেণি ও নবম শ্রেণি থেকেই বেশি পড়ুয়া স্কুল ছাড়ছে। ফলে, একবছরে প্রায় ৫০ জন স্কুল ছেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে যে দুজন শিক্ষক রয়েছেন, তাদের একজন ইংরেজি ও বিজ্ঞানের। ফলে, বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, অংক সহ নানা বিষয়ে কার্যত ক্লাসই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই ক্লাসগুলিও হয়না বলেই পড়ুয়ারা জানাচ্ছে। ফলে, অনেক সময় শুধুমাত্র মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।

    ক্লাস বন্ধ রেখে স্কুল চালাতে হচ্ছে, দাবি প্রধান শিক্ষকের

     দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তুলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ জোত্যি সরকার বলেন, স্কুলে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষকের অভাব ছিল। অনেকেই বদলি নিয়ে বাড়ির কাছে চলে গিয়েছে। যার ফলে এখন মাত্র দুইজন শিক্ষক ও একজন অফিস কর্মী দিয়েই স্কুল চলছে। এতজন পড়ুয়াদের আমরা ঠিকমত ক্লাস নিতে পারছি না। বেশিরভাগ সময়ই ক্লাস বন্ধ থাকছে।

    পড়ুয়া ও অভিভাবকরা কী বললেন?

    এক স্কুল পড়ুয়া বলেন, আমাদের স্কুলে সব বিষয় পড়ানোর মতো শিক্ষক নেই। ফলে, ক্লাস হয় না। পড়ুয়াদের অভিভাবক পীযুষ কান্তি সরকার এবং এমাজুল মোল্লা বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি তারা আগ্রহ হারাচ্ছে। আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করি, তাই দূরের স্কুলেও ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে পারছিনা। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে না। দ্রুত এই স্কুলের হাল না ফিরলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার ২ কোটির সোনার বিস্কুট, গ্রেফতার ৮

    Nadia: নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার ২ কোটির সোনার বিস্কুট, গ্রেফতার ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২ কোটির সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল সীমান্ত সুরক্ষ বাহিনী। একই সঙ্গে উদ্ধার একটি পিস্তল, ফেনসিডিল এবং গাঁজা। একেবারে হাতেনাতে ধরা হয়েছে পাঁচ মহিলা সহ মোট ৮ জনকে। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এই ঘটনায়।

    নদিয়ার কোথায় উদ্ধার হয়েছে (Nadia)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু এই পাচারের গোপন খবর আগেই পেয়ে যান বিএসএফের অফিসারেরা। এরপর নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের পুলিশ এবং রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের কাছে খবর দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় সীমান্ত সংলগ্ন বিজয়পুর গ্রামে চলে যৌথ অভিযান। সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর দুই দিন ধরে চলে অপারেশেন। অবশেষে উদ্ধার হয় গতকাল শনিবারে।

    সীমান্তে চলেলে যৌথ অভিযান

    গত কয়েক মাসে নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বিএসএফ। গতকাল শনিবার বিজয়পুর গ্রামে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং ডিআরআই যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি ৫০০ গ্রাম সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এছাড়াও পুলিশের তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, তিনটি কার্তুজ, একটি ম্যাগাজিন, দুই কেজি গাঁজা এবং ৬৯ বোতল ফেনসিডিল।

    সীমান্তের সক্রিয় বিএসএফ

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবার নিয়ে বারবার সংবাদ মাধ্যমে খবর উঠে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকাকে বিএসএফের নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনকে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিকে কটাক্ষ করে রাজ্যের ক্ষমতায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশের কাছে নদিয়ার (Nadia) এই সাফল্য, সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিকেই ইতিবাচক বলে মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারকাণ্ডে জেলে রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। কোন্দল থামাতে কয়েকদিন আগে ঘটা করে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বৈঠক করা হয়েছিল। জেলা নেতৃত্বের আশা ছিল, বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে সকলকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। আর তাতেই তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।

    তৃণমূলের রাজ্য নেত্রীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হল (Birbhum)

    জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। মঞ্চে শতাব্দী রায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল শেখ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব ছিলেন। সেই মঞ্চে ঠাঁই না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্য মহিলা সেলের সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর। মঞ্চ থেকে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ব্লকের তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল কাদেরি, খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর উদ্যোগেই এদিন জেলা তৃণমূলের এই বিজয়া সম্মিলনী হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই জেলার শীর্ষনেতৃত্ব ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে নির্দেশ দিয়েছে, এসব কোন্দল দলে বরদাস্ত করা হবে না। সেই নির্দেশই সার। কোনও কিছুই কাজেই এল না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর মঞ্চে বসেন।  মঞ্চে বসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ রাজ্য নেত্রী?

    রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর বলেন, কয়েকদিন আগে বৈঠক করে কোন্দল মেটানোর জন্য বলা হল। আমরা ভাবলাম, সব মিটে গিয়েছে। কিন্তু, আমার মতো রাজ্য নেত্রীকে প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে নামিয়ে অপমান করা হল। আমাকে অপমান করার অর্থ দলকে অপমান করা। এই ব্লকের যারা দায়িত্বে রয়েছে, তারা এসব করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের বীরভূমের (Birbhum) জেলা নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, মন্ত্র একটাই তৃণমূল কংগ্রেস, নাম একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মতান্তর বা কোন্দলের কোনও জায়গাই নেই। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। অসীমা আমাদের পুরানো কর্মী, এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কোনও কারণে হয়ত ভুল বুঝেছে, দেখে নেওয়া হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, কাটমানি আর কোন্দল নিয়ে তৃণমূল দল গঠিত। তাই, বিজয়া সম্মিলনীতে অসীমা ধীবরকেই মঞ্চে উঠতে দিল না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূল যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share