Tag: Bengali news

Bengali news

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০১/১২/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০১/১২/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে। 

    বৃষ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    মিথুন

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে। 

    সিংহ

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সম্পত্তির ভাগ পেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    তুলা

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ধনু

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    মীন

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। বোর্ড মিটিংয়ের মধ্যেই পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার পদত্যাগ দাবি করেছেন দলেরই কাউন্সিলার সত্যেন রায়। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কাউন্সিলার এবং সিআইসি। সবমিলিয়ে এদিন বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে  প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত  (Bhatpara)

    ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৩৩ টি। সবকটি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলার বলে কেউ নেই। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভায় উন্নয়নমূলক কাজের গতি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, বাস্তবেই হয়েছে উল্টোটা। কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী রয়েছেন বেশ কিছু কাউন্সিলার। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের রয়েছে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার। পুরসভার বোর্ড গঠনের পর থেকেই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছেই। বেশ কয়েক মাস আগে তৃণমূল কাউন্সিলার সত্যেন রায়কে পুরসভার মধ্যে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দলেরই অন্যগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল ভাটপাড়ার রাজনীতি। পুরসভার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং কাউন্সিলরদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সত্যেনবাবু। সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রয়েছে পুরসভায়।

    বৈঠকে কী নিয়ে অশান্তি?

    বুধবারই পুরসভায় ছিল সিআইসি বৈঠক। সেই বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা চেয়ারপার্সনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে তাঁরা বিস্তর অভিযোগ জানান। সিআইসি সদস্যদের না জানিয়েই কাজকর্ম হচ্ছে পুরসভায়। বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা সরব হন। বৈঠক চলাকালীন সিআইসি সদস্যরা মিটিং বয়কট করেই  বেরিয়ে যান। ফলে, মাঝ পথে মিটিং ভেস্তে যায়। বৃহস্পতিবার ছিল বোর্ড মিটিং। সেই মিটিংয়ে দুই কাউন্সিলার হাজির ছিলেন। বৈঠক চলাকালীনই সত্যেন রায় পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদত্যাগ দাবি করেন, তাঁকে চেয়ারপার্সনের অনুগামীরা থামাতে গেলে বাকবিতণ্ডা বাধে। এরই মাঝে সিআইসি পূর্ত অরুণ ব্রহ্ম বলেন, আমার দফতরের কাজ পুরসভা এলাকায় হচ্ছে। অথচ পুরসভার সিআইসি সদস্য হিসেবে আমি সেই কাজ কি হচ্ছে তা জানতে পারছি না। কাজ হয়ে যাবার পর আমাকে দিয়ে ফাইলে সই করানো হচ্ছে। এটা চলতে পারে না।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দল তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় যা উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তা আগে কখনও হয়নি। কিছু মানুষ পুরসভার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি ক্যাশ এবং গয়না। মেশিন নিয়ে এসে রাতভর চলেছিল টাকা গোনার কাজ। আর তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল রাজ্যবাসীর। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের  বা়ড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তাঁর বাড়ি থেকে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যা জানাজানি হতে এলাকার মানুষও হতবাক হয়ে যান। প্রতিবেতন লেখা পর্যন্ত ৩১ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    শৌচাগারেও মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা (CBI)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীদের নজর ছিল ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের উপর। তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, জাফিকুলের দুটি কলেজ রয়েছে। তাঁর সম্পত্তি, আয় এবং যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সকাল থেকেই সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। বাড়ির পিছন থেকে দুটি ব্যাগের মধ্যে প্রচুর নথি উদ্ধার করে সিবিআই (CBI)। সেই তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। পরে, বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময় লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ পান আধিকারিকরা। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল,মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু টাকা মিলেছে জাফিকুলের বাড়ির শৌচাগার থেকে। তদন্তকারীদের একটি অংশের সূত্রে দাবি, বিধায়কের বেডরুমেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেও প্রচুর টাকার হদিশ মিলেছে।  বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় রয়েছেন। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিধায়কের বাড়ির শৌচাগারের  থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের ওই অংশের দাবি, জাফিকুলের ‘বেডরুম’ থেকেও কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

    টাকা উদ্ধার নিয়ে বিধায়কের পরিবারের লোকজন কী সাফাই দিলেন?

    যদিও এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে প্রকাশ্যে বা সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিধায়ক না থাকায় সিবিআই আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে। সেই টাকাই তাঁর বাড়িতে ছিল। অন্য কোনও বিষয়। তবে, শৌচাগারে কেন টাকা রাখা হয়েছিল সেই বিষয়ে পরিবারের লোকজন স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভা ভোট শেষ হওয়ার এতদিন পরও ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে কে বসবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। পুরসভায় বোর্ড গঠন এখনও আটকে রয়েছে আইনি জটে। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ঝালদা পুরসভার অনাস্থা ভোট নিয়ে এদিন দিনক্ষণও ঠিক করে দিয়েছেন।

    কী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক? (Jhalda)  

    বিচারক অমৃত সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আস্থাভোট করাতে হবে ঝালদায় (Jhalda)। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা ভোট করতে হবে। জেলাশাসককেই এই ভোটের দায়িত্ব নিতে হবে। আস্থাভোট করানোর পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। যতদিন না আস্থাভোট মিটছে, ততদিন যেমন পুরসভার কাজ চলছে তেমন চলবে।’ জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অপসারণের দাবিতে গত ২৩ নভেম্বর জোড়া মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। পাঁচ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু, এবার শীলাকেই সরাতে চাইছে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই। তাই আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা, কীভাবে?

    Fraud: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই জামতারা গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বারাকপুর জুড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগ উঠেছিল একটি দলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। মূল পান্ডার খোঁজে তল্লাশি শুরু করছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার রাজ্য পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কালীচরণ মাঝি প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়লেন। তিনি বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের প্রাক্তন দেহরক্ষী ছিলেন। প্রতারকরা কয়েক দফায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতিমধ্যেই বারাকপুর সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। একজন পুলিশ কর্মীর অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)

    রাজ্যজুড়ে অনলাইন প্রতারণা (Fraud) চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আধার কার্ড জালিয়াতি করে বহু মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। অনলাইনে প্রতারকদের বিরুদ্ধে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু, প্রতারকদের এই জালিয়াতি বন্ধ করতে পারছে না পুলিশ। নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে প্রতারকরা মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, কালীচরণ মাঝি রাজ্য পুলিশের কর্মী ছিলেন। তিনি থাকেন সোদপুরে। তিনি পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবসরকালীন অনেক টাকাই গচ্ছিত ছিল। এই গচ্ছিত টাকার একটা বড় পরিমাণ প্রতারকরা হাতিয়ে নেয়। কালীচরণবাবু বলেন, আমার মোবাইলের মেসেজে একটা নম্বর আসে। এরপর একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। বিদ্যুতের বিল আপডেট নেই বলে জানানো হয়। আমি বিল মিটিয়ে দিয়েছি। অফিস যাচ্ছি বলার পর ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, অফিস যাওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি ওটিপি দিচ্ছি। সেটা শেয়ার করলেই বিল আপডেট হয়ে যাবে। ওটিপি শেয়ার করতেই পর পর মোবাইলে মেসেজ আসে। এরপর কয়েক দফায় আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, রাজ্যজুড়ে প্রতারণা (Fraud)  চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অবসরকালীন তিনি যে টাকা পেয়েছিলেন, সেই টাকার একটা বড় অংশ প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমাদের দাবি, যে বা যারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Flag: পরাধীন ভারতেও বাংলায় উত্তোলিত হয়েছিল জাতীয় পতাকা! কোন জেলায় জানেন?

    National Flag: পরাধীন ভারতেও বাংলায় উত্তোলিত হয়েছিল জাতীয় পতাকা! কোন জেলায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের এত রোমহর্ষক কাহিনী আছে যে, সেগুলির অধিকাংশই আমাদের অজানা। বলা বাহুল্য, ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের বাঁধন ছিন্ন করে স্বাধীনতা অর্জন করা মোটেই কয়েক দিনের সংগ্রাম ছিল না। এর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল রক্ত-ঘাম মিশে থাকা বহুদিনের সংগ্রাম। এই প্রতিবেদন এমনই এক কাহিনী নিয়ে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেকটাই ছাপ ফেলেছিল। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে বীরভূমের দুবরাজপুর অঞ্চল (National Flag)।

    কী সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনী?

    বীরভূমের ইতিহাস থেকে জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই জেলার দুবরাজপুরের মাটিতে দুটি দিন স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে অগাস্ট এবং সেই একই বছরের ১ লা সেপ্টেম্বর। কথিত আছে, এই দুটি দিনে পরাধীন ভারতে দেশের জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়েছিল দুবরাজপুর আদালতে। সেই সময় এই দুবরাজপুর আদালত ছিল মুন্সেফ কোর্ট। ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, দুবরাজপুরের এই তৎকালীন মুন্সেফ কোর্টে জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছিল ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে অগাস্ট। সেই সময় সৌরেন্দ্রনারায়ণ সেন এবং শ্রীপতি পাতর-এর নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ জন মিছিল করে এই মুন্সেফ কোর্ট এবং ডাকঘরে উপস্থিত হন, শুরু হয় বিশাল আন্দোলন। আবার প্রচলিত কিছু কাহিনী থেকে জানা যায়, ওই একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর মুন্সেফ কোর্টে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এ নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এই দুটি দিনই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক আলাদা নজির স্থাপন করেছিল।

    কী ঘটেছিল সেদিন? (National Flag)

    প্রচলিত নানা তথ্য এবং বিশেষজ্ঞদের থেকে জানা যায়, দুপুর বারোটার সময় প্রায় ৫০০ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী মিছিল করে দুবরাজপুর থানার সামনে বন্দেমাতারাম স্লোগান সহ জমায়েত করেন এবং শুরু হয় আন্দোলন। পরে তাঁরা পৌঁছে যান দুবরাজপুরের মুন্সেফ কোর্ট প্রাঙ্গনে। এখানে তাঁরা ভাঙচুর করেন এবং ভিতরে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে দেন, কাগজপত্র, নানা নথি, চেয়ার, টেবিল পুকুরে ফেলে দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ২৫ জনকে কড়া শাস্তি প্রদান করা হয়।

    সমগ্র ঘটনায় একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম সব থেকে বেশি উঠে আসে, হারান খাঙ্গার। এই হারান খাঙ্গারেরও শাস্তি হয় এবং তাঁকে সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। এখনও সেখানে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামী তৎকালীন বীরভূমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম পতিত চ্যাটার্জি, শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়, শম্ভুনাথ কবিরাজ প্রমুখ। এই সবই বীরভূম জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলেই জানা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sourav Ganguly Biopic: মহারাজের বায়োপিকে দেখা যাবে আয়ুষ্মান খুরানাকে? চলছে জল্পনা

    Sourav Ganguly Biopic: মহারাজের বায়োপিকে দেখা যাবে আয়ুষ্মান খুরানাকে? চলছে জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক নিয়ে জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই (Sourav Ganguly Biopic)। দু’বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে এটি নাকি নির্মাণ হতে চলেছে। তবে মহারাজের ভূমিকায় পর্দায় কাকে দেখা যাবে, তা নিয়েও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে নানা জল্পনা! ইতিমধ্যে অনেক তারকার নামই উঠে এসেছিল। তবে তাঁরা প্রকাশ্যেই তা অস্বীকার করেছেন। অভিনেতাদের মধ্যে সব থেকে চর্চায় উঠে এসেছিল রণবীর কাপুরের নাম। এছাড়াও তালিকায় ছিলেন হৃত্বিক রোশনও। কিন্তু এর কোনওটাই আর শেষ পর্যন্ত হয়নি। ইতিমধ্যে একটি নাম নিয়ে ফের গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তা হল আয়ুষ্মান খুরানা (Sourav Ganguly Biopic)।

    ভালো ক্রিকেট খেলেন আয়ুষ্মান

    জানা গিয়েছে, বলিউডের এই অভিনেতা এমনিতে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেন। মহারাজের ভূমিকায় অভিনয় করতে ক্রিকেট খেলাটাও একটা অন্যতম শর্ত। হৃত্বিকদের বাদ দিয়ে এবার আয়ুষ্মান খুরানার নামই শোনা যাচ্ছে মহারাজের ভূমিকায়। তবে এ নিয়ে কোনওরকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু একটি ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে আয়ুষ্মান খুরানার তরফ থেকে। যেখানে অভিনেতা বলছেন, ‘‘বরাবরই অভিনয় জীবনে ক্রিকেটারের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে ছিল। খুব শীঘ্রই সে ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে।’’ এতেই বেড়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা টেলিভিশনে একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘দাদাগিরি’ রিয়েলিটি শো-এর সঞ্চালক। এখানেও একাধিকবার ওঠে মহারাজের বায়োপিকের প্রসঙ্গ। সে নিয়ে মন্তব্যও করতে শোনা যায় মহারাজকে। আবার এই শো-তে অংশগ্রহণ করেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনিও সৌরভের বায়োপিক (Sourav Ganguly Biopic) নিয়ে মুখ খোলেন।

    শোনা যাচ্ছে নেট প্রাকটিস করছেন আয়ুষ্মান

    অন্যদিকে, বলিউডের অন্দরের খবর, চলতি বছরের এক মাস বাকি। এখন থেকেই ব্যাটিং প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছেন খুরানা। রাত-দিন তাঁর নেট প্রাকটিস চলছে। খুব শীঘ্রই মহারাজের (Sourav Ganguly Biopic) সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আপাতত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দাদার ভক্তরা। কবে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে মহারাজের বায়োপিক তৈরির কাজ। মাঠের মহারাজের ব্যাটিং, পর্দায় কবে দেখা যাবে, সে নিয়েই চলছে জোর চর্চা। প্রসঙ্গত, শচীন তেন্ডুলকরের বায়োপিক ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক সামনে আসে ২০১৬ সালেই। এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বায়োপিক (Sourav Ganguly Biopic) দেখার জন্য উদগ্রীব জনতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পেটে মাঝেমধ্যে যন্ত্রণা। ওষুধ না খেলেও কমে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই মাঝেমধ্যে হতে থাকা যন্ত্রণা হঠাৎ ভোগান্তি বাড়ায়। অসহ্য যন্ত্রণা, বমি, রক্তপাতের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগ পরীক্ষা করে অধিকাংশ সময়েই জানা যায়, রোগ নির্ণয়ে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। 
    নভেম্বর মাস প্যানক্রিয়েটাইটিস ক্যান্সার সচেতনতা মাস। ক্যান্সার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার (Pancreatic Cancer)। জীবন যাপনের একাধিক বদল এই রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই রোগের জটিলতা বাড়াচ্ছে অসচেতনতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী উপসর্গ অবহেলা করেন। ফলে, যখন চিকিৎসা শুরু হয়, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তাই সতর্কতা আর সচেতনতা, এই দুই দাওয়াই রুখতে পারে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার।  

    কেন বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার? (Pancreatic Cancer) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খাবার খাওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সকালের জলখাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন। ভারী খাবার খাচ্ছেন না। দুপুরে লাঞ্চ করছেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই লাঞ্চের মেনুতে থাকছে কোনও রেস্তোরাঁর খাবার। দীর্ঘ ব্যবধানে এই খাবার অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়ার জেরে দেহে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি হজমের লাগাতার গোলমাল হয়। এর জেরেই অন্ত্রে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে (Pancreatic Cancer)। 
    এর পাশপাশি, কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর না দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। কারণ, অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা প্রসেসড খাবার খেলে পাকস্থলী, অন্ত্রে আরও ক্ষত তৈরি করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে বিরিয়ানি, মোগলাই, চাইনিজ খাবার অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা তৈরি করে। পাশপাশি বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো প্রসেসড খাবার খেলে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ, এই ধরনের খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক দেওয়া থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সব্জি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন খাবারের মধ্যে সমতা নেই। সবুজ সব্জিতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান। যেগুলো অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল এবং সব্জি না খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া অগ্নাশয়ের জন্য ভালো নয় বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    পাশপাশি মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। অতিরিক্ত মাত্রায় নিয়মিত মদ্যপান অগ্নাশয়ের জন্য ক্ষতিকর। ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Pancreatic Cancer)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। 
    পাশপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাবারের মাঝে সময়ের ব্যবধান কমাতে হবে। নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে। এতে হজমের সমস্যা কমবে। পাকস্থলী, অন্ত্র এবং অগ্নাশয় সুস্থ থাকবে। ফলে, যে কোনো রকম রোগ (Pancreatic Cancer) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার কোনও ভাবেই এড়ানো যাবে না। নিয়মিত সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার, ডিম, দুধ, রুটি, সব্জি, খিচুড়ি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার জলখাবারের মেনুতে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া অনিয়মিত হলে সঙ্গে রাখতে হবে ফল, ড্রাই ফ্রুটস। যাতে পেট ভর্তি থাকে। খেজুর, কিসমিস, পেস্তা, আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাদের কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সবসময় খাওয়া সম্ভব হয় না, তাঁরা সঙ্গে এই জাতীয় ফল ও ড্রাই ফ্রুটস রাখতে পারেন। 
    পাশপাশি বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় প্রসেসড খাবার নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে এই ধরনের খাবার এড়ানো দরকার। নিয়মিত বাড়ির তৈরি কম তেলমশলার খাবার মেনুতে রাখতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় পিছনের পুকুরে দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিধায়ক। মেশিন লাগিয়ে পুকুরের জল মেরে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই (CBI)। এর সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সেই মুর্শিদাবাদ জেলায় হানা দিল সিবিআই। এবার প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    বাড়়ির পিছনে মিলল নথি বোঝাই দুটি ব্যাগ! (CBI)

    ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ির পিছনে মিলল নথিবোঝাই দু’টি ব্যাগ। কী রয়েছে নথিতে, এখন তা-ই পরীক্ষা করে দেখছেন সিবিআইয়ের (CBI) তিন তদন্তকারী আধিকারিক। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সিবিআইয়ের চারজন আধিকারিক বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ডও করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়ির গ্যারাজের পিছন দিকে যাচ্ছেন। সেখানে দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ব্যাগে ভরা রয়েছে নথি। ওই নথি কিসের, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে জন্য প্রতিটি নথি আলাদা আলাদা করে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের অন্তত চার জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কেন, কোন মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাতসকালে অভিযান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বড়ঞায় সিবিআই হানা নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় বড়ঞার কুলিতে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী সুজল আনসারি ওরফে ঝন্টু শেখের বাড়িতে। সূত্রের খবর, ঝন্টু নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়াও তাপস মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও ঝন্টুর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় ভিড় করেন। গাফ্ফর সেখ বলেন, ঝন্টু খুব খারাপ ছেলে। অনেক স্কুল করেছে। সিবিআই (CBI) হানা দেখতে এসেছি। আমরা চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়। তবে গ্রুপ সি মামলায় জামিন হলেও নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতারের আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। তাই জামিন পেয়েও বের হওয়া হল না কল্যাণময়ের। এদিন তাঁকে ফের জেলে যেতে হল।

    ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকছেন কল্যাণময়

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে জেলেই থাকবেন অশোক সাহা, সুব্রত সামন্তরাও। প্রসঙ্গত, নিজাম প্যালেসের (Recruitment Scam) সিবিআই এর দফতরে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে তাঁকে তলব করে সিবিআই। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর একাধিক বয়ানে অসঙ্গতি মেলে। এরপরেই কল্যাণময়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্রে সই করে তা শান্তিময়প্রসাদ সেনের কাছে কল্যাণময় পাঠাতেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসে।

    কী কী শর্ত চাপানো হল কল্যাণময়ের ওপর? 

    এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও, তাঁকে তদন্তে সাহায্য (Recruitment Scam) করার নির্দেশও দিয়েছেন। তবে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়েই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এদিন জামিন দেওয়া হয়। এগুলি হল, তাঁকে কলকাতা পুরসভার এলাকাতেই থাকতে হবে। বিধাননগর কমিশনারেট ও পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় কল্যাণময় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁর যদি কোনও পাসপোর্ট থাকে তবে তা নিম্ন আদালতে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share