Tag: Bengali news

Bengali news

  • BJP Rally: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    BJP Rally: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছর বাদে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করতে চলেছে বিজেপি (BJP Rally)। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ‘ওয়ার্মআপ’ জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ধর্মতলায় চলছে মঞ্চ বাঁধার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাস্থলের কাজ খতিয়ে দেখতে সেখানে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    ‘শাহি’ সমাবেশ

    সভায় বঞ্চিতদের নিয়ে আসতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একাধিক সভা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভাস্থল পরিদর্শনে এসে সুকান্ত বলেন, “বুধবার গেরুয়া সুনামি দেখতে চলেছেন রাজ্যবাসী।” ওয়াই চ্যানেলের সামনে এর আগে ‘শাহি’ সমাবেশ হয়েছে ২০১৪ সালে। তবে তখন অমিত শাহ ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। সেই সভায়ও তিনি আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূলকে। সেবারও ইস্যু ছিল তৃণমূলের দুর্নীতি। এই ন’ বছরে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। রাজ্যে পায়ের নিচের মাটি শক্ত করেছে বিজেপি।

    কলঙ্কের কালি তৃণমূলের গায়ে 

    ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলের গায়ে লেগেছে একাধিক কলঙ্কের কালি। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, তেমনি রয়েছে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি। কয়লা ও গরু পাচারের আঁশটে গন্ধও লেগেছে তৃণমূলের গায়ে। এহেন আবহে রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির (BJP Rally) রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই সরকারের দুর্নীতির শেষ নেই। চাল চুরি, একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে কয়লা চুরি, সব কিছুই দেখেছেন রাজ্যবাসী। শিক্ষিত ছেলেদের চাকরি নেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি কর্মীদের সব কিছু থেকে ব্রাত্য করা হচ্ছে। এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধেই আগামিকাল আমাদের সমাবেশ।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিতরা। সুকান্ত বলেন, “গেরুয়া সমর্থকরা ইতিমধ্যেই জেলা থেকে রওনা দিয়ে দিয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার) রাতেও অনেকে চলে আসবেন। আগামিকাল রাজপথে গেরুয়া সুনামি দেখতে চলেছেন শহরবাসী। স্তব্ধ হয়ে যাবে গোটা কলকাতা।” তিনি বলেন, “আগেরবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম। এবার যদি ফের পুলিশ বাধা দেয়, তবে তা হবে আদালত অবমাননার শামিল। আমাদের কর্মীরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি কাল কিছু হয়, তাহলে আমরাও প্রতিবাদ জানাব (BJP Rally)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করে ফিরেও তাকাননি মমতা, মহিলা কলেজের দয়ায় হচ্ছে ক্লাস!

    Dakshin Dinajpur: বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করে ফিরেও তাকাননি মমতা, মহিলা কলেজের দয়ায় হচ্ছে ক্লাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে ঘটা করে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটপর্ব মিটতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কী হাল, তার খোঁজও নেননি মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, জেলার অর্ধেক আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে। এমনই মত রাজনৈতিক মহলের। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে। এদিকে, মেয়াদ ফুরোচ্ছে বালুরঘাট মহিলা কলেজের দেওয়া ভবনের। অথচ আজও নতুন ভবনের ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই ফের সংকটের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন ক্লাস। আগামী এক মাসের মধ্যেই কোনও নতুন ভবনের ব্যবস্থা করা না গেলে অফলাইন ক্লাস বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার কথা ভেবে নভেম্বর মাস পর্যন্ত কয়েকটি ঘর ব্যবহার করতে দিয়েছিল বালুরঘাট মহিলা কলেজ। ওই ঘরগুলিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন ক্লাস চালু করা হয়েছিল। কিন্তু নভেম্বর মাস শেষ হতে চললেও, এখনও নতুন ঘরের ব্যবস্থা না করতে পারায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আরও একমাস ঘর চেয়ে আবেদন জানিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই এক মাসের মধ্যে নতুন ঘরের ব্যবস্থা না করা গেলে সমস্যা বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের অভিভাবকদের বক্তব্য, পরিকাঠামো তৈরি না করে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে কী লাভ? এভাবে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজ্য সরকার ছিনিমিনি খেলছে।

    কবে থেকে চালু হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়? (Dakshin Dinajpur)

    ২০২০ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Dakshin Dinajpur) ঘোষণা হওয়ার পর মাহিনগরে জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু, অর্থের অভাবে সেখানে আজও কোনও ভবন তৈরি করা হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনের জন্য অপেক্ষা না করে,  ২০২১ সালে ১ লা ফেব্রুয়ারি বালুরঘাট শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে কাজ শুরু করা হয়। নিয়োগ হওয়া দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সঞ্চারী  রায় মুখোপাধ্যায়। ওই শিক্ষাবর্ষ থেকেই পঠন পাঠন শুরু হয়ে যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। অঙ্ক, ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান -এই তিনটি বিষয়ে  পঠন পাঠন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু, ক্লাসরুমের মতো ভবন না থাকায় অনলাইনেই ওই শিক্ষাবর্ষ গুলি চলতে থাকে। মাস কয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের  নতুন উপাচার্য হিসেবে দেবব্রত মিত্র কাজে যোগ দেবার পর থেকে অনলাইন ক্লাস বন্ধ করে অফলাইন ক্লাস করানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর হন উপাচার্য। তিনি বিভিন্নভাবে ক্লাস করাবার জন্যে ভবন সংগ্রহের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। এগিয়ে আসে বালুরঘাট গার্লস কলেজ। তারা তাদের অব্যবহৃত একটি হোস্টেলে এই অফলাইন ক্লাস চালু করার জন্য অনুমতি দেয়। তবে, তা নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dakshin Dinajpur) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অমিত রায় বলেন, আমরা পুরসভার কাছে একটি ভবন চেয়েছিলাম। কিন্তু, তারা ওই ভবনের যে পরিমাণ ভাড়া চাইছে, তা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়, তাই এখনও ওই চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। তবে, কথা চলছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রর একাংশ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করার জন্য দেওয়ার কথা রয়েছে। তাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। উপাচার্য দেবব্রত মিত্র বলেন, বেশ কয়েকটি ভবন দেখার কাজ চলেছে। এখনও কোনওটাই আমাদের হাতে আসেনি।

    বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের কী অবস্থান?

    বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন,আমরা ওই ভবনের ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিওসিতে আলোচনা করার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাবো। জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের জন্য দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। একটু আলোচনা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৪, গোষ্ঠী সংঘর্ষেই কি খুন?

    South 24 Parganas: গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৪, গোষ্ঠী সংঘর্ষেই কি খুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুনের ঘটনা যেন রাজ্যে থামছেই না। জয়নগরের পর ফের গোসাবা (South 24 Parganas)! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতার খুনে গ্রেফতার হল ৪ জন। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৪ জনেই তৃণমূলের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। গতকাল সোমবার রাস্তা সারাইয়ে ব্যবহার করা সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন করলে এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এরপর ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয়ে স্পষ্ট হল। প্রত্যেকে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।

    অভিযুক্ত চার জনের পরিচয় কী (South 24 Parganas)?

    বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি মোছাকুলি মোল্লাহত্যার পিছনে যে চারজন রয়েছে তারা হল, রউফ মোল্লা, ইমরান মোল্লা, ফারুক বৈদ্য এবং আনার জমাদার। হত্যার পিছনে তৃণমূল দলের দুষ্কৃতীরাই জড়িত ছিল বলে আগে থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে পরিচয়ে আরও স্পষ্ট হল এলাকায় ধৃতরা সকলেই তৃণমূলের হয়ে কাজ করতেন।

    কীভাবে ঘটেছিল খুনের ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশের অধীনে পূর্ব রাধানগর এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন মোছাকুলি মোল্লা। এলাকায় এক কিলোমিটার রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। কিন্তু নিম্নমানের জিনিস ব্যবহারের কারণে, বচসা বাঁধে বাকিবুর মোল্লা নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লোহার রড দিয়ে মোছাকুলিকে ব্যাপাক মারধর করা হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    উল্লেখ্য, রাজ্যে গত কয়েক মাসে একাধিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিরোধীরা বার বার শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানিয়েছে জয়নগর বা বগটুইয়ের মতো জায়গাগুলিতে শাসক দলের নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রে যারা খুন করছে তারা তৃণমূলের কর্মী এবং যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরাও তৃণমূলের কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Brucellosis: রাজ্যে শুরু হয়েছে ব্রুসেলোসিসের সংক্রমণ? কী এই রোগ, ছড়ায়ই বা কীভাবে?

    Brucellosis: রাজ্যে শুরু হয়েছে ব্রুসেলোসিসের সংক্রমণ? কী এই রোগ, ছড়ায়ই বা কীভাবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট অব্যাহত। তাপমাত্রার পারদ কমতেই ফুসফুস ও শ্বাসনালীর একাধিক সংক্রমণে জেরবার আট থেকে আশি, বিভিন্ন বয়সের মানুষ। আর এর মধ্যেই নতুন আরেক রোগের দাপট। যার জেরে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। আর এই নতুন আতঙ্কের নাম ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)।

    কী এই ব্রুসেলোসিস? 

    ব্রুসেলোসিস হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গবাদি পশু থেকেই এই রোগ ছড়ায়। গরু, উট, কুকুরের মতো প্রাণী থেকে এই রোগের ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। অনেক সময় গরু, ছাগল, মোষের মতো গবাদি পশু এই রোগে আক্রান্ত হলে, আক্রান্ত প্রাণীর দুধ থেকেও মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়াতে পারে। মূলত, পশুর থেকেই এই রোগ (Brucellosis) মানুষের শরীরে প্রবেশ করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    কীভাবে চিহ্নিত হয়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে কয়েকটি উপসর্গ স্পষ্ট জানান দেয়। তাই উপসর্গ সম্পর্কে সজাগ থাকলে এই রোগ দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হলে পেটে, পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা, হাঁটু কিংবা গোড়ালিতে ব্যথা, জ্বরের মতো উপসর্গ (Brucellosis) দেখা দেয়। তার সঙ্গে হয় কাশি ও মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ। খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। রাতে অতিরিক্ত ঘাম হয়। পাশপাশি ওজন দ্রুত কমতে থাকে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    কীভাবে রোগ নির্ণয় সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হলে নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়। রক্ত পরীক্ষা এবং অস্থিমজ্জার কিছু নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে রোগী ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়।

    কেন রাজ্যের জন্য বাড়তি উদ্বেগ? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis) আক্রান্তের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যার জেরেই উদ্বেগ বাড়ছে। সম্প্রতি কলকাতার আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির বাড়ি নদীয়ায়। তাঁর বাড়িতে গরু রয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরুর থেকেই ব্যাকটেরিয়া আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করেছে। পরিস্থিতি জটিল হয়। তাই বাঁচানো যায়নি। এর আগেও বর্ধমান, আসানসোল সহ একাধিক জায়গায় ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। আরও কয়েকজনের ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কয়েক সপ্তাহ আগেই কলকাতা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে একজন ব্রুসেলোসিস আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল।ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রায় আড়াইশো জন ব্রুসেলোসিস আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন এক স্বাস্থ্য কর্তা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যাদের বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি। পশুর শরীরে কোনও রকম ঘা বা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। গবাদি পশুর দেহে যাতে কোনও রকম বড় রোগ না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তবে বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে জ্বর বা পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা চলবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্রুসেলোসিস (Brucellosis) চিকিৎসার নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করলে প্রাণ সংশয় এড়ানো সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দেগঙ্গার পর দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, জখম যুবক, পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bomb Blast: দেগঙ্গার পর দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, জখম যুবক, পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ। আর বিস্ফোরণের জেরে এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। আহত যুবকের নাম কবিরুল আলি। বছর তেইশের জখম যুবকের বাড়ি দেগঙ্গার গোসাইপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার দুদিন আগেই দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখের মোড় এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পিছনে আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে।  খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় এক নাবালক। এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল কদম্বগাছিতে।

    কী করে ঘটল বোমা বিস্ফোরণ? (Bomb Blast)

    এদিন সকালে কোদাল দিয়ে বাড়ির অদূরে জমিতে মাটি কাটচ্ছিলেন কবিরুল। মূলত সেখানে ঝোঁপ পরিষ্কার করার তিনি কাজ করছিলেন। মাটির মধ্যে বোমা পোঁতা ছিল। শাবল দিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কবিরুল। তাঁর শরীরের একটি অংশ ঝলসে গিয়েছে। বাঁ হাতের তালু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে ওখানে বোমা এল তা খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশের নজরদারি অভাবের জন্যই বার বার বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটছে। মাটির নীচে এভাবে বোমা রাখা থাকলে সাধারণ মানুষ কী করে বুঝবে। এই ঘটনার পর রাস্তাঘাটে চলাচল করতে ভয় লাগছে। বোমা মজুতকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে দেগঙ্গা, কদম্বগাছির মতো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বার বার ঘটবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভপতি সর্দার মেহবুব হাসান নয়ন  বলেন, আইএসএফ এই এলাকা সংগঠন তৈরি করতে পারছে না। তাই, এভাবে বোমা মজুত করে সন্ত্রাসের পরিবেশ করতে চাইছে তারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে হুগলির ২ শ্রমিক। পরিবারকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখলেন হুগলির পুরশুড়ার (Hooghly) বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। বিধায়ক বলেন, এই শ্রমিক পরিবারদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। অভাবের সংসার। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে যদি কিছু সাহায্য করা যায়, তাহলে ভীষণ উপকার হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়কে তুলে ধরে বিজেপির অভিযোগ, এই রাজ্যে কাজ নেই, তাই অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “উত্তরকাশীতে রাস্তার সুড়ঙ্গে ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই সুড়ঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। এই জেলারও রয়েছেন দুই জন শ্রমিক। তাঁদের একজন হলেন শৌভিক পাখিরা এবং অপরজন জয়দেব প্রামাণিক। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কাজ দিতে না পারায় অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছিল এই শ্রমিকদের।” দুইজন শ্রমিকের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ৭ রেসকোর্সের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই শ্রমিকদের বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী হলেন তাঁরাই। সুড়ঙ্গে আটকে থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজন খুব অসহায়বোধ করছেন। তাঁদের উভয়ের বাড়িতে অসুস্থ রোগী এবং বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পরিবারের পাশে থেকে সাহায্য করলে খুব ভালো হয়। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে পরিবারের দুশ্চিন্তা কমবে।”

    চারধামের সরল পথ এই সুড়ঙ্গ

    উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ পথে সড়কের কাজ চলাকালীন উপর থেকে ধসের কারণে পাথর ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। রয়েছেন হুগলির (Hooghly) দুই শ্রমিক। এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ এই চারধামের যাত্রা পথকে আরও সরল সহজ করতে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে খননের কাজ খুব জোর কদমে চলছে। ৪১ টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে সুড়ঙ্গের বাইরে। স্থানীয় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক রাখা হয়েছে। মনে করা হয়েছে আজ বিকেলের মধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2023: রাস উৎসবে নবদ্বীপে হাজার হাজার দর্শনার্থী, হয়ে গেল কুমারী পুজোও!

    Rash Yatra 2023: রাস উৎসবে নবদ্বীপে হাজার হাজার দর্শনার্থী, হয়ে গেল কুমারী পুজোও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে চৈতন্যভূমি নবদ্বীপের রাসযাত্রা উৎসব (Rash Yatra 2023)। এখানকার ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা মাতা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও করা হল কুমারী পুজো। শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলাকে কেন্দ্র করে পালন করা হলেও মন্দিরনগরী নবদ্বীপে এই রাসযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে করা হয় একাধিক দেবতার পুজো। তবে শুধু দেব-দেবতাই নয়, দুর্গাপুজোয় বেলুড় মঠ এবং অন্যান্য কিছু জায়গায় যেমন কুমারীকে দেবী সাজিয়ে পুজো করা হয়, ঠিক তেমনি নবদ্বীপের বুড়োশিবতলা রোডের অন্তর্গত ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা মাতা পুজো কমিটির পক্ষ থেকেও করা হয় কুমারী পুজো। প্রত্যেক বছরই এই কুমারী পুজো করা হয় বলে পুজো কমিটি সূত্রে জানা যায়।

    ১২৭ তম বর্ষে পদার্পণ (Rash Yatra 2023)

    কমিটির কর্মকর্তারা জানান, এই পুজোটি এ বছর ১২৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল। ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা বারোয়ারি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এত বছর ধরে পুজো (Rash Yatra 2023) করে আসছে। এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হল কুমারী পুজো। পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার পরে করা হয় এই কুমারী পুজো। এটি চলে আসছে বহু কাল ধরে। সেই কারণে এখনকার প্রজন্মও সেই পরম্পরাকে বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছেন। কুমারী পুজো এই কারণেই করা হয়, অন্নপূর্ণা যেমন অন্নের মা, ঠিক সেই রকম নারী জাতিকে মা রূপে পুজো করার লক্ষ্যেই এই কুমারী পুজো এবং সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য এটাই বলে মনে করেন কমিটির কর্মকর্তারা।

    হাজার হাজার দর্শনার্থী নবদ্বীপে (Rash Yatra 2023)

    উল্লেখ্য সোমবার থেকে সারা নবদ্বীপ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাস উৎসব। দেশ এবং বিদেশ মিলিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থী নবদ্বীপে এসে মিলিত হয়েছেন রাস (Rash Yatra 2023) উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য। প্রশাসনের ভূমিকাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সিসিটিভি থেকে শুরু করে শহরের অলিতে গলিতে পুলিশ কর্মীদের কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে গোটা নবদ্বীপ শহর। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সতর্ক রয়েছেন তাঁরা সর্বত্রই। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। সুতরাং বলাই বাহুল্য, রাস উৎসবে শামিল হতে আগত দর্শনার্থীরা সুন্দর ও সাবলীলভাবেই উপভোগ করতে পারছেন এই দিনগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের দলীয় সভা থেকে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে আসা সমস্ত কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বেসুরো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্যদের মানতে রাজি নন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অবস্থানের জন্য দলের অঞ্চল নেতৃত্বের কাছে সমালোচিত হয়েছেন বিধায়ক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    বিধায়কের বক্তব্যে সরব যোগদানকারীরা (South 24 Parganas)

    ব্লক সভাপতির হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। আর ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে এই যোগদানকারীদের অস্বীকার করেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য প্রধানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী মোট পাঁচজন সদস্য। কিন্তু, তাঁরা দলে যোগদান করেননি।

    অন্যদিকে বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা বলেন, গত ১১ ই নভেম্বর সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারিকা ও কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদারের হাত ধরে গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমরা দুজন আইএএফ এবং তিনজন কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি। আমরা তৃণমূলে যোগদান করার পরই গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিধায়ক না মানলে হব? জেলা নেতৃত্ব তো আমাদের দলে নিয়েছে।

    কী বললেন দলের অঞ্চল সভাপতি?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গাজিপুর অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ব্লক সভাপতি ও জেলা মহিলা সভানেত্রী উপস্থিতিতে বিরোধীদের পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু, কীভাবে বিধায়ক এই কথা বলতে পারেন তা তিনিই জানেন। যোগদানকারীরা তৃণমূলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2023: বেলজিয়াম কাচের ফানুসে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোকিত শান্তিপুরের রাসমণ্ডপ

    Rash Yatra 2023: বেলজিয়াম কাচের ফানুসে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোকিত শান্তিপুরের রাসমণ্ডপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের মঠবাড়ি হোক কিংবা দীনদয়াল ঠাকুরবাড়ি। প্রায় প্রতিটি বিগ্রহ বাড়িতে ব্যবহৃত বেলজিয়াম কাচের ফানুসগুলির একেকটির বয়স প্রায় ২০০ থেকে ৩৫০ বছর।উচ্চতা প্রায় দু’ ফুটের মতো। ঢেউ খেলানো বিভিন্ন আকৃতির রংবাহারি কাচের উপর আঁকা থাকে বিভিন্ন নকশা। বেলজিয়াম কাচের ফানুসের প্রতিটির দাম ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কেন এত দাম? কারণ অবশ্যই তার সূক্ষ্ম কাজের কেরামতির জন্য। সারা বছর বাড়ির অন্দরমহলে সযত্নে রক্ষিত থাকে সেগুলি। রাস উৎসবের (Rash Yatra 2023) সন্ধ্যায় এই বেলজিয়াম ফানুস দিয়ে সাজানো হয় প্রতিটি বাড়ির মূল প্রাঙ্গণ। ভিতরে টিমটিম করে জ্বলতে থাকে মোমবাতির আলো। বাজারের সাধারণ মোম নয়, ফানুসের ভিতর বসানো হয় প্যারাসিন দিয়ে তৈরি সলতে পাকানো বিশেষ ধরনের মোম।

    উপচে পড়ে ভিড় (Rash Yatra 2023)

    এখনও বংশ-পরম্পরায় এই মোম তৈরি করেন শান্তিপুরের কয়েক ঘর মোমশিল্পী। ভাঙা রাসের দিন নগর পরিক্রমা দেখতে শহরের রাজপথে যে ভিড় উপচে পড়ে, আলো আঁধারির খেলা দেখতে বিগ্রহ বাড়ির রাস উৎসবে সেই ভিড়ের অন্তত তিনগুণ দর্শনার্থী থাকেন। নামে বেলজিয়াম ফানুস হলেও এগুলি এক সময় নিয়ে আসা হয়েছিল ফ্রান্স এবং ভেনিস থেকে। এখনও সেখানে এই ফানুস তৈরি হয়। বিগ্রহবাড়ির সদস্যদের কথায়, এখন আর ইউরোপ থেকে বেলজিয়াম ফানুস নিয়ে আসা হয় না। পরিবর্তে জায়গা নিয়েছে শহর কলকাতায় তৈরি কাচের অন্যান্য ফানুস। দামে কম হলেও আভিজাত্যে ধারেকাছেও যায় না।

    তিনদিন সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন (Rash Yatra 2023)

    রাসের তিনদিন সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় শহরের মঠবাড়ি ও দীনদয়াল বাড়িকে। রাসের সময় অন্তত শতাধিক বেলজিয়াম কাচের ফানুসে আলোয় আলো হয়ে ওঠে এই বাড়ি। পরিবারের সদস্য সুশান্ত মঠ বলেন, দেখতে অতীব সুন্দর। কিন্তু ফানুসের ভিতর মোমবাতি বসানোর ধরন একেবারেই সহজ নয়। অসাবধানতা কিংবা ভিতরের জ্বলন্ত মোমবাতি প্রায় এক ইঞ্চি ছোট হয়ে এলেই তাপের কারণে ভেঙে যেতে পারে সেগুলি। এভাবেই ৩০০ বছরের বহু পুরনো ফানুস ভেঙে গিয়েছে এই বাড়িতে। এক সময় মঠবাড়িতে রাসের প্রাঙ্গণে নাকি অন্তত দেড়শোখানা বেলজিয়াম কাচের ফানুস ঝোলানো হত। আজ শুধুই যত্নের ওপর টিকে রয়েছে এই প্রথা (Rash Yatra 2023)।

    জ্বালানো-নেভানোর কায়দা

    জানা গিয়েছে, ফানুসগুলিতে মোমবাতি জ্বালানোর ধরন যেমন আলাদা, তেমনিই মোমবাতি নেভানোর কায়দা। সরু আকৃতির একটি লাঠির মাথায় ন্যাকড়া বেঁধে স্পিরিটে চোবানো হয়। এরপর তাতে আগুন ধরিয়ে ঝুলন্ত ফানুসের ভিতরে থাকা মোমবাতি জ্বালানো হয়। স্থানীয় ভাষায় একে বলে ‘হুঁশ’। ঠিক একইভাবে লাঠির মাথায় ধাতব পাত্র ঝুলিয়ে কাচের ফানুসের উপরে আলতো চেপে ধরলে নিভে যায় মোমবাতি। এই পদ্ধতিকে স্থানীয়রা বলেন ফোঁস। শান্তিপুরের বাসিন্দারা বলছেন, এই শহরে রাসের (Rash Yatra 2023) মাহাত্ম্যের সঙ্গে যেন ওতপ্রোত সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে অভিজাত আলোকধারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share