Tag: Bengali news

Bengali news

  • Birbhum: ডিসেম্বর মাস তৃণমূল নেতাদের কাছে হবে ভয়াবহ, রামপুরহাটে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Birbhum: ডিসেম্বর মাস তৃণমূল নেতাদের কাছে হবে ভয়াবহ, রামপুরহাটে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতাদের সাবধানবার্তা শোনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিলেন, ডিসেম্বর মাস খুব ভয়াবহ হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে। ফলে আগামী ডিসেম্বরে কি আরও তৃণমূল নেতা জেলে যাবেন? শুভেন্দুর হুঙ্কারের জেরে এই জল্পনা রাজনীতির একাংশের মানুষ করছেন। রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাই তৃণমূলের আসল চোরকে ধরতে ২৯ নভেম্বর কলকাতায় যাওয়ার আহ্বান করেছেন তিনি। 

    রামপুরহাটে কী বললেন শুভেন্দু (Birbhum)?

    রামপুরহাটের (Birbhum) সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডিসেম্বর মাস খুব ভয়াবহ হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে। ভোট পরবর্তী হিংসা, চুরি, জিলেটিন উদ্ধারেও তদন্ত হবে। মহম্মদবাজারে জিলেটিন উদ্ধারে অনেক তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। তাই সাবধান নেতারা।” এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, “রাতের অন্ধকারে বালি, পাথর, কয়লা সহ গরু পাচার হচ্ছে। পুলিশের সহযোগিতায় এই পাচার কাজ চলছে।” এরপর রাজ্য পুলিশের ডিআইজি শ্যাম সিং এবং রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কথা উল্লেখ করে সংগঠিত বালি, পাথর, গরু, পাচারের অভিযোগ তোলেন।

    কাজল শেখের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    পাশাপাশি বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবার নতুন একটি পাখি উড়ছে। কাজল শেখ। তাঁর ভাগ্নে বাপি। আমাদের সব নজরে আছে। যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে দেননি তাঁদের খুব ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। সব হিসেব নেওয়া হবে।”

    ডেপুটি স্পিকারকে হারানোর বার্তা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের (Birbhum) বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে নির্বাচনে পঞ্চাশ হাজার ভোটে হারানোর হুমকি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতাকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এজেন্ট উত্তরবঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে!’ ইডি-কে চিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক

    ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এজেন্ট উত্তরবঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে!’ ইডি-কে চিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে রয়েছেন। কিন্তু, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে তাঁর এজেন্টরা কেন এখনও ইডির (ED) আতশকাচের তলায় এল না। কীভাবে তাঁরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? এই প্রশ্নে শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গে তদন্তে আসার জন্য ইডিকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। সেই চিঠিতে উত্তরবঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রধান এজেন্ট হিসেবে বিমল রায়ের নাম উল্লেখ করেছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে অভিযোগে জেলে রয়েছেন, তার দোসর হিসেবে শিলিগুড়ির বিমল রায়কে ইডি তদন্তে ছাড় দিতে পারে না বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের।

    কে এই বিমল রায়?

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতারের পর রেশন দুর্নীতি নিয়ে শিলিগুড়ির বিমল রায়ের নাম বিভিন্ন মহল থেকে উঠে এসেছে। শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ব্লকের পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিমল রায় রেশন ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিলেন। শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে রাজ্যের খাদ্য দফতর তথা রেশন ব্যবস্থার তিনিই ছিলেন শেষ কথা। নিজের পরিবারের জন্য রেশনের একাধিক লাইসেন্স রয়েছে তাঁর। অভিযোগ, রেশন ডিলারশিপ ও ডিস্ট্রিবিউটরের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর পছন্দ-অপছন্দ শেষ কথা হয়ে উঠেছিল। খাদ্য দফতরে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগেও বিমলবাবু শেষকথা ছিলেন। তাঁর ইচ্ছেতে রাতারাতি রেশন কার্ড তৈরি হয়েছে। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের কাছে বিমল রায় ছিলেন ‘রায় সাহেব’। রায় সাহেবের ভয়ে সকলেই তটস্থ থাকতেন। 

    ইডিকে কেন উত্তরবঙ্গে আহ্বান বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের? (ED)

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, শিক্ষা, গরু পাচার, শিক্ষক সহ বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ দুর্নীতি, খাদ্য দফতরে একের পর এক দুর্নীতিতে জেলে রয়েছেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গেও তাদের এজেন্টরা রয়েছেন। এদের মাধ্যমে এখান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা কলকাতায় চলে যেত। সেই টাকা রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে ক্র্যাশার, পর্যটন ব্যবসায় খাটানো হয়েছে। বিমল রায় সেরকমই একজন প্রভাবশালী এজেন্ট। তাঁর নিজের ও তাঁর পরিবারের নামে দুটি রেশন ডিলার ও একটি ডিস্ট্রিবিউটরের লাইসেন্স রয়েছে। খাদ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী যা অবৈধ। তাহলে বিমল রায় কীভাবে এই লাইসেন্সগুলি পেয়েছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরেই রয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর রেশন দুর্নীতির সঙ্গে বিমল রায়ের ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার দিকটি। কিন্তু, আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর এখনও বিমল রায় ও অন্যান্য এজেন্টরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে ইডির (ED) শিলিগুড়ি সহ  উত্তরবঙ্গে আসা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না খড়্গপুর পুলিশ

    Paschim Medinipur: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না খড়্গপুর পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। রবিবার দুপুরে বিজেপির সভা এবং পদযাত্রার অনুমতি দিল না খড়্গপুর (Paschim Medinipur) পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একই দিনে তৃণমূলের সভা রয়েছে তাই পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। অবশ্য এই অনুমতি না দেওয়ায় বিজপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, তৃণমূল বিজেপির শক্তিকে ভয় পাচ্ছে তাই পুলিশকে দিয়ে পদযাত্রার অনুমতি বাতিল করেছে। আগামী লোকসভার ভোটে বিরোধীদের আটকাতে কি তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করছে? উঠছে নানা প্রশ্ন। বিজেপির অবশ্য দাবি অনুমতি না দিলেও সভা আমরা করবই।

    উল্লেখ্য, আগামী ২৯ নভেম্বরে কলকাতায় অমিত শাহের সভাকে পুলিশ প্রথমে অনুমতি দেয়নি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে এবং অবশেষে বিচারপতির নির্দেশে সভার অনুমতি মেলে। রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিরোধীদের সভা করার অনুমতি না দিয়ে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুমিত মণ্ডল বলেন, “গত ২১ নভেম্বর পুলিশের কাছের রুটের পদযাত্রার কথা বলে আবেদন করা হয়। খড়্গপুরের বারবেটিয়া এলাকায় একটি সভা এবং পদযাত্রার কথা আবেদন করা হয়। সময় হিসাবে উল্লেখ করা হয় দুপুর ৩ টে থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। পদযাত্রার রুট হিসাবে বলা হয়, রিলায়েন্স মোড় থেকে লোকাল থানা পর্যন্ত। কিন্তু পুলিশ রবিবার জানিয়ে দেয় সেইদিন তৃণমূলের সভা রয়েছে। তাই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। প্রথমে আইসি প্রসিড লিখলেও পরে জানিয়ে দেন সভার অনুমতি সম্ভব নয়।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূলর সহ-সভাপতি দেবশিস চৌধুরি বলেন, “আমাদেরও ওই দিন একটি সভা রয়েছে। আমাদেরও অনেক সময় নানা প্রকার অনুমতি দেয় না পুলিশ। ফলে পুলিশকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। পক্ষপাতের তেমন কোনও ব্যাপার নেই এখানে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Headless Chicken: দেড় বছর বিনা মুণ্ডতেই বেঁচে ছিল ‘মাইক’! তাজ্জব বিজ্ঞানী মহল

    Headless Chicken: দেড় বছর বিনা মুণ্ডতেই বেঁচে ছিল ‘মাইক’! তাজ্জব বিজ্ঞানী মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত আশ্চর্য কত কিছু ঘটে চলেছে। তার মধ্যে কিছু ঘটনা আমাদের সত্যি ভাবিয়ে তোলে, যার ব্যাখ্যা অভিজ্ঞরাও দিতে হিমশিম খান। কল্পবিজ্ঞানের নানা জিনিস মানুষ দেখতে খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু কল্পবিজ্ঞানের জিনিস যদি বাস্তব দুনিয়াতেও ঘটে, তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ, বাস্তবে এমন এক ঘটনাই ঘটেছিল পৃথিবীতে, যা বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অভিজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলেছিল। ঘটনাটি হল, একটি মুরগি প্রায় দেড় বছর বিনা মুণ্ডতেই বেঁচে ছিল (Headless Chicken)। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। আজ জানব সেই মুণ্ডহীন মুরগির সম্বন্ধে।

    কীভাবে প্রকাশ্যে এল ওই ঘটনা? (Headless Chicken)

    সালটা ১৯৪৫, কলোরাডোর স্বাভাবিক দৈনন্দিন সকালের মতোই একটি সকাল। এই অঞ্চলের ফ্রুটা শহরে মুরগির মাংস সরবরাহ করতেন এক দম্পতি লয়েড ওলসেন ও তাঁর স্ত্রী ক্লারা। এক দিন তাঁরা প্রায় চল্লিশটি মুরগি কেটে সাপ্লাই করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখনই হঠাৎ তাঁদের নজরে পড়ে, ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে গেলেও মুণ্ডহীন ভাবেই হেঁটে আসছে একটি মুরগি। তখন এই দৃশ্য দেখে যথারীতি অবাক হন দম্পতি। প্রথমে স্বাভাবিক মনে হলেও এটি মারা যাওয়ার অপেক্ষায় একটি বক্সে ভরে ঘুমাতে যান তাঁরা। পরের দিন সকালে উঠে বাক্স খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। দেখা যায়, মুরগিটি তখনও পর্যন্ত জীবিত অবস্থাতেই রয়েছে। এই অবাক করা খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহর জুড়ে। রাতারাতি সব কিছু বদলে যায়। সাংবাদিকদের ভিড় জমতে শুরু করে এই অলৌকিক জিনিস দেখার জন্য। একটি মুরগি (Headless Chicken) কীভাবে নিজের মুণ্ড ছাড়াও এভাবে বেঁচে থাকতে পারে? এভাবে প্রায় কয়েকদিন কেটে গেলেও মুণ্ডহীন ভাবেই মুরগিটি জীবিত অবস্থায় থাকে এবং মুরগিটি একটি নাম রাখা হয় “মাইক”। এই মাইককে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে যেতে থাকেন লয়েড। যথারীতি যত্ন নেওয়া হয় মাইক-এর। গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে “Mike the headless chicken” এর কথা। কিন্তু এই অসম্ভব সম্ভব হল কী করেে, তা নিয়ে যথারীতি হইচই পড়ে যায় বিজ্ঞানী মহলে। কিন্তু এই মুণ্ডহীন মুরগিটির মতো অন্য মুরগি তৈরি করতে বার বার ব্যর্থ হন বিজ্ঞানীরা।

    কীভাবে অসম্ভব সম্ভব হল? (Headless Chicken)

    এটি কোনও জাদু না অলৌকিক ঘটনা, তা নিয়ে মাথাব্যথা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। অনেক গবেষণা শুরু হয়, কীভাবে একটি মুরগি মুণ্ড ছাড়াও এভাবে এক বছর বেঁচে থাকতে পারে! মাইক মুরগিটিকে লিকুইড খাবার ড্রপারে করে মুখে থাকা ছিদ্রের মাধ্যমে খাওয়াতেন। কীভাবে এই সব কিছু সম্ভব হচ্ছিল, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা তদন্ত শুরু করেন এবং অনেক গবেষণায় দেখা যায়, যেদিন সকালে ওই দম্পতি মুরগিটিকে মাথায় কোপ মেরেছিলেন, সেদিন মুরগিটির (Headless Chicken) মুখের সামনে অংশ বাদ গেলেও মস্তিষ্কের গুরু অংশটি অক্ষত অবস্থাতেই রয়ে যায়। মস্তিষ্কের প্রায় ৮০ শতাংশ বেঁচে যায় সেই সময়। কারণ মুরগির মস্তিষ্কের অংশ মূল মুখমণ্ডলের থেকে অনেকটাই পিছন দিকে থাকে। আর মুরগিটির অর্থাৎ মাইকের মস্তিষ্কের এই অংশটিই শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদ্‌স্পন্দন, খিদে, হজমের মতো সমস্ত শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করত। মাথা না থাকায় ড্রপারের সাহায্যে তরল খাবার ঢেলে দিতেন লয়েড। আর ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতেন লয়েড। ফলে আশ্চর্যজনক ভাবে মাইক মুণ্ডহীন ভাবেই বেঁচে যায় দিব্যি।

    কবে ও কীভাবে মৃত্যু ঘটে মাইকের? (Headless Chicken)

    ১৯৪৭ সালে লয়েড দম্পতি একবার মাইককে নিয়ে পশ্চিম আমেরিকার ফিনিক্স শহরে এক প্রদর্শনীতে যান। সেখানে সব শেষে হোটেলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ এক শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। দেখেন, দম আটকে প্রায় শেষ অবস্থা মাইকের। পরে দেখা যায় গলায় খাবার আটকে দম বন্ধ হয়ে যায় মাইকের। আর সেদিনই মৃত্যু ঘটে মাইকের। এই অস্বাভাবিক ঘটনার জন্য আজও সেলিব্রিটি মুণ্ডহীন মুরগি মাইক জনপ্রিয় হয়ে আছে গোটা পৃথিবী জুড়ে। প্রায় দেড় বছর এভাবে বেঁচে ছিল মুরগিটি। শুধু একটি দিন কীভাবে আর সাধারণ মুরগির থেকে মাইকের জীবন আলাদা করে দেবে, কারও তা জানা ছিল না। গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে “Mike the Headless chicken” এর কথা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SBSTC: এসবিএসটিসি-র টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, কীভাবে জানেন?

    SBSTC: এসবিএসটিসি-র টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (SBSTC) লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি সংস্থা বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে টিকিট বিক্রির ৭ কোটি ১৯ লক্ষ ১০ হাজার ৬৪৬ টাকা জমা পড়েনি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার দফতরে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এ নিয়েই দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল জানিয়েছেন, সংস্থার নিজস্ব তদন্তে বেনিয়ম পাওয়া গেছে। তাই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণা? (SBSTC)

    নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি সংস্থা ২০০৩ সাল থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (SBSTC) মাধ্যমে ই-টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পায়। বাঁকুড়া, সিউড়ি, বহরমপুর সহ একাধিক জায়গায় ই টিকিটি এই সংস্থা বিক্রি করত। প্রতি বছর সেই সংস্থাকে বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হত। কিন্তু, ওই সংস্থা নিগমের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ডের অপব্যবহার করে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। নিগমের কর্মীদের একাংশের মদতেই এসব হয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগেও ওই সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থার এক কর্তা তনয় মণ্ডল বলেন, সবটাই কম্পিউটারে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটা ভিত্তিহীন।

    নিগমের দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে এই আর্থিক তছরূপের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। জেলা কংগ্রেস নেতা দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, এই বিষয়টি আজকের না, অনেকদিনের। এত কোটি টাকার তছরূপ জানা সত্ত্বেও সরকার এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যারা এই তছরূপ চালাচ্ছে, তারা মাফিয়া ছিল। এখনও ওই সংস্থা এসবিএসটিসি-র কাউন্টারে বসে পয়সা খাচ্ছে। সিপিআইএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেছেন, এই যে দুর্নীতি হয়েছে তা অডিটে কেন ধরা পড়ল না। এসবিএসটিসি-র (SBSTC) গ্যারাজে, তেলে, রক্ষণাবেক্ষণেও দুর্নীতি আছে। কারা করছে এ সব? এজন্য কর্মী, ঠিকাকর্মীদের বেতন হয় না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, এই ঘটনা তদন্ত হলে দোষীরা শাস্তি পাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: দলের মণ্ডল সম্পাদকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ

    Purba Medinipur: দলের মণ্ডল সম্পাদকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ বিরোধী দলের কর্মীদের গ্রেফতার করছে, এ রাজ্যে এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। বিজেপির অভিযোগ, খেজুরির বাঁশগোঁড়ায় (Purba Medinipur) ‘হার্মাদমুক্ত দিবস’ পালনকে ঘিরে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দলের মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নাকে। এবার এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আজ সোমাবার বিজেপি খেজুরিতে ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ পালন করল। বিজেপির দাবি, ধৃত বিজেপি নেতাকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার-গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মিথ্যা গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। সেই কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল এক সময়। বিরোধীদেরকে বারবার শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে পুলিশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে অত্যাচার করে, এই অভিযোগে ফের একবার শোরগোল পড়ল রাজ্য রাজনীতিতে।

    কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ নভেম্বর খেজুরির বাঁশগোঁড়ায় (Purba Medinipur) ‘হার্মাদমুক্ত দিবস’ পালন করতে গেলে ব্যাপক গোলমাল বাধে। বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারের খবর শুনে শনিবার রাত সাড়ে দশটায় কাঁথি ফেরার সময় শুভেন্দু অধিকারী হাজির হন থানায়। এরপর কোনও কারণ ছাড়া বিজেপি কর্মীকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে চান তিনি। এমনকী গ্রেফতারের সময় অ্যারেস্ট মেমোতে সই করা হয়েছিল কিনা তাও জানতে চান। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “এটা অ্যারেস্ট নয়, পুলিশ অপহরণ করছে। আমি ওঁর স্ত্রীকে দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করাবো।”

    খেজুরিতে বিজেপির বন‍্‍ধ

    মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সোমবারে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (Purba Medinipur) ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ ডাকা হয়েছে। সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিজপির মূল দাবি, “রবীন মান্নার নিঃশর্তে মুক্তি চাই”। এলাকায় সকাল থেকেই বিজেপি মিছিল করছে। বেশ কিছু রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ বিজেপি কর্মীদের রাস্তা অবরোধ থেকে সরাতে গেলে পাল্টা রাস্তার মধ্যেই বিক্ষোভে বসেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা এলাকায় কর্মনাশা বন‍্‍ধ চান না। সকলকে দোকানপাট, বাজার খোলা রাখার আবেদন জানিয়েছি। সকলকে আমরা এলাকায় শান্তি রাখার আবেদন করেছি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parambrata-Piya Marriage: জল্পনাই সত্যি হল, অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে ঘর বাঁধছেন পরমব্রত!

    Parambrata-Piya Marriage: জল্পনাই সত্যি হল, অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে ঘর বাঁধছেন পরমব্রত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুঞ্জন অনেক ধরেই চলছিল (Tollywood Tales)। অবশেষে প্রকাশ্যে এল, ২৭ নভেম্বর অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata-Piya Marriage) এবং মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তীর বিয়ের খবর। বর ও কনে পক্ষের সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, নিমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা খুব বড় কিছু হবে না। সোমবার বিকালে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ের পর্ব সারবেন পরমব্রত-পিয়া। ইন্ডাস্ট্রি থেকে সেভাবে আমন্ত্রিত নন কেউই, তবে ব্যক্তিগতভাবে দুজনের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু সেখানে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    অনুপম রায়ের সঙ্গে ডিভোর্স হয় পিয়া চক্রবর্তীর

    পরমব্রতর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা পিয়া চক্রবর্তী (Parambrata-Piya Marriage) অবশ্য আগে ছিলেন গায়ক অনুপম রায়ের ঘরণী। বছর দুই আগেই তাঁদের ডিভোর্স হয়। ২০২১ সালে অনুপম রায় এবং পিয়া দুজনেই সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে সে কথা জানান। তখনই কোনও কোনও মহল থেকে শোনা গিয়েছিল এই বিচ্ছেদের জন্য তৃতীয় ব্যক্তি হলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তবে পরমব্রত একথা বারবারই নাকচ করেছেন এবং বলেছেন যে পিয়া তাঁর খুব ভালো বন্ধু। পরমব্রত তখন বলেন, ‘‘দুটো মানুষ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছে, সেখানে হামলে পড়ে একটা তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়ে সেনসেশন তৈরি করাটা কাঙ্খিত নয়। …. প্রথমে শুনে খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। খুব খারাপ লেগেছিল।’’ সেসময় নাকচ করলেও পিয়া (Parambrata-Piya Marriage) ও তাঁর সম্পর্কের নাম যে শুধু ভালো বন্ধু নয়, তা আজ বোঝা গেল (Tollywood Tales)।

    নেদারল্যান্ডসের চিকিৎসকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন পরমব্রত

    এর আগে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata-Piya Marriage) অবশ্য দীর্ঘদিন লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন নেদারল্যান্ডসের চিকিৎসক ইকার সঙ্গে (Tollywood Tales)। করোনার সময়েই পরমব্রত এবং ইকার সম্পর্ক ভেঙে যায়। ৪৩ বছর বয়সী পরমব্রত ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা বলেই পরিচিত। এর পাশাপাশি ছবি পরিচালনার কাজও করেন তিনি। টলিউডের পাশাপাশি এখন তাঁকে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে বলিউডেও। টালিপাড়ার অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, লন্ডনে পরমব্রতর শুটিংয়ে উড়ে গিয়েছিলেন পিয়া। আবার পার্ক স্ট্রিটের এক নামী রেস্তোরাঁয় পিয়া ও তাঁর মা এবং পরমব্রতকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আদালতের নির্দেশে ধরা পড়ল তৃণমূলের আবাস-দুর্নীতি! কী হয়েছে জানলে চমকে উঠবেন

    South 24 Parganas: আদালতের নির্দেশে ধরা পড়ল তৃণমূলের আবাস-দুর্নীতি! কী হয়েছে জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে যখন রাজ্যের শাসকদল শিক্ষা থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ, তখন ফের আবাস যোজনার দুর্নীতির ছবি উঠে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভা এলাকায়। আদালতের নির্দেশে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। তদন্তে নেমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শাসকের দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগে সিলমোহর দিলেন মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও।

    কীভাবে হয়েছিল এই আবাস দুর্নীতি? (South 24 Parganas)

    প্রতারিত উপভোক্তাদের বক্তব্য, আবাস যোজনায় নাম থাকা ব্যক্তির একটি করে আইডি নম্বর করা হয়েছিল বিডিও অফিস থেকে। তোলা হয়েছিল তাঁদের ভাঙা ঘরের ছবি। সেই আইডি নম্বরের পাশে বসানো হয়েছিল সেই ভাঙা ঘরের ছবিটি। পরে, তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ লোকজনের একটা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ওই আইডির সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে, প্রকৃত প্রাপকের পরিবর্তে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঢুকে যায় তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে। আর এতে সহযোগিতা করেছিল বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েতের কিছু অসৎ আধিকারিক।

    আবাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিলেন বিডিও?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকের নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭ জন গরিব মানুষের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠেছিল। আর সেই এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা শাসক দল আর প্রশাসনের আধিকারিকদের সহযোগিতায় অন্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে কে বা কারা তুলে নেয়। অবশেষে এই বিষয় নিয়েই নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দা দীপু বর নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়। এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সেই এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে ফেরত দেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন। এমনকী টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা জানিয়েছেন বিডিও। তবে ইতিমধ্যে সাত-আটজনকে টাকা ফেরত দিতে নোটিশ পাঠালে তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানান, কীভাবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল তাঁরা তা জানেন না। তাঁরা সেই টাকা দিয়ে ঘর করেছেন, এখন কোথা থেকে সেই টাকা ফেরত দেবেন। তবে, এই ২৭ জনের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কিংবা তাঁদের আত্মীয়স্বজন।

    দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল থাকতে পারে না, তোপ বিজেপির জেলা সভা

    মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবেন্দুসুন্দর নস্কর বলেন, জল ছাড়া যেমন মাছ থাকতে পারে না, ঠিক তেমনি দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে পারে না। শুধুমাত্র নগেন্দ্রপুরই নয়। গোটা রায়দিঘি বিধানসভা জুড়েই এরকম ভুরি ভুরি আবাস দুর্নীতি রয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের রায়দিঘির বিধায়ক অলক জলদাতা বলেন, পুরোটাই কোর্টের বিষয়। আমি এই বিষয়ে সেই ভাবে কোনও কিছু মন্তব্য করবো না। তবে, আমি এইটুকুই বলতে পারি, লিস্ট ওপর থেকে হয়ে আসে, এখানে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দোষ রয়েছে। তবে, যারা যারা উপভোক্তা নয়, তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তারা অবিলম্বে টাকাটা ফেরত দিয়ে দিক। তাহলে হয়তো বিষয়টা মিটে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কোন শারীরিক সমস্যা ডেঙ্গিতে বাড়তি বিপদ ডেকে আনে? 

    Dengue: কোন শারীরিক সমস্যা ডেঙ্গিতে বাড়তি বিপদ ডেকে আনে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু চলছেই! কলকাতা, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, এই জেলাগুলিতে প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ ডেঙ্গি-আক্রান্ত হচ্ছেন। লাগাতার ডেঙ্গি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর জেরে উদ্বেগ বাড়ছে। শীতেও এবার ডেঙ্গির প্রকোপ জারি থাকবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, কয়েকটি ক্ষেত্রে ডেঙ্গি (Dengue) বিপদ বাড়াতে পারে। তাই বড় ক্ষতি এড়াতে আগে থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়তি বিপদ? (Dengue)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভবতী মহিলাদের ডেঙ্গি বাড়তি বিপদ তৈরি করে। গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গি হলে মা ও গর্ভস্থ শিশু দু’জনের জন্যই বিপদ। গর্ভস্থ মহিলার শরীরে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর ডেঙ্গি হলে শরীরে জলের অভাব দেখা যায়। আর তার জেরেই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে প্রাণ সংশয়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের এই সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনো, বাড়ির আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখা এবং এলাকায় কেউ সংক্রমিত (Dengue) হলে, বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তবে, ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে গর্ভবতী মহিলাদের আরও বেশি যত্নের প্রয়োজন। শরীরে যাতে তরল পদার্থের অভাব না হয়, সেদিকে আরও বেশি খেয়াল রাখা জরুরি, পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কিডনি কিংবা লিভারের সমস্যা?

    কিডনি কিংবা লিভারের সমস্যা থাকলে ডেঙ্গি (Dengue) বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণের পরে জটিলতা তৈরি করে কিডনি এবং লিভার। এই দুই অঙ্গ অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকমতো কাজ করে না। তাই রোগীর শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। তাই যাদের কিডনি ও লিভারের সমস্যা রয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। মশা বাহিত রোগ তাদের জন্য আরও বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    একবার হলে বাড়তি সতর্কতা (Dengue)

    যাদের একবার ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, একাধিক বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই প্রাণ সংশয় দেখা যায়। তবে, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) যে কোনও সময়েই বড় বিপদ তৈরি করতে পারে। ডেঙ্গির জটিলতা বাড়ায়, একাধিক অঙ্গের কার্যশক্তি হারিয়ে ফেলে। তাই ডেঙ্গি আক্রান্তের জ্বর কমলেও পরবর্তী কিছুদিন বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাই ডেঙ্গির জ্বর কমলেও যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি কমবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘শাহি সমাবেশ’কে সফল করাই পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির, নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ

    BJP: ‘শাহি সমাবেশ’কে সফল করাই পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির, নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহের জনসভাকে সফল করাই এখন পাখির চোখ রাজ্য বিজেপির (BJP)। ২৯ তারিখের সমাবেশকে সফল করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। চরম ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে কর্মী সমর্থকদের। দিকে দিকে চলছে দেওয়াল লিখন, পথসভা, মিছিল-মিটিং করে তাঁরা জনসংযোগ সারছেন। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফ থেকে লঞ্চ করা হয়েছে অফিসিয়াল থিম সং-ও। শাহি সভাকে কেন্দ্র করে বানানো থিম সং বিজেপির (BJP) ছোট বড় সব সভাগুলিতেই বাজছে।

    সমাবেশকে সফল করতে রাজ্যে আজ একাধিক জায়গায় সভা শুভেন্দুর

    আজ সোমবার বীরভূম জেলার রামপুরহাটে জনসভা করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রামপুরহাটে তাঁকে পদযাত্রা করতেও দেখা যাবে। এর পাশাপাশি হুগলির সিঙ্গুরেও সভা করতে দেখা যাবে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। সন্ধ্যার মধ্যে বীরভূম এবং সিঙ্গুরের কর্মসূচির সেরে শুভেন্দু ফিরবেন কলকাতায়। এরপরে শ্যামবাজারে রয়েছে তাঁর জনসভা। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের পাড়া হাজরাতে সভা করতে দেখা যাবে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।

    জোর কদমে প্রচার সোশ্যাল মিডিয়াতে

    এর পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ২৯ নভেম্বর সমাবেশকে সফল করতে। রাজ্য জুড়ে অভিনব ভাবনায় প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির (BJP) নেতৃত্ব সোশ্যাল মিডিয়াকে ভরপুর ব্যবহার করছেন। মহা সমাবেশের প্রচারের জন্য শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার প্রত্যেকেই বদলে ফেলেছেন নিজেদের প্রোফাইল পিকচার। সেখানে সমাবেশকে সফল করতে ‘কলকাতা চলো’-এর ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ছোট ছোট ছড়ার মাধ্যমে দুর্নীতিকে তুলে ধরে তা পোস্টও করছেন বিজেপি কর্মীরা।

    রবিবারই সম্পন্ন হয়েছে খুঁটিপুজো

    রবিবার সভাস্থানে সম্পন্ন হয়েছে খুঁটিপুজো। তার আগে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতৃত্ব সেই স্থানে বসেই প্রধানমন্ত্রীর ১০৭ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনেন। খুঁটিপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। বুধবার বিজেপির সভা সংখ্যার বিচারে অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে লোক আসবে বিজেপির (BJP) ভাড়া করা ন’টি ট্রেনে। একই সঙ্গে বুধবার হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দুটি বড় মিছিল এসে মিশবে ধর্মতলায়। ধর্মতলার বিভিন্ন চত্বরে দশটি বড় মাপের বাক্স রাখা হবে। সেখানে বিজেপির সভায় যোগদান করা মানুষরা লিখিতভাবে জানাবেন যে কোন কোন প্রকল্প থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share