Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় সিবিআই, কথা বললেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় সিবিআই, কথা বললেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভা এলাকার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এরই মধ্যে ভিকির ঘনিষ্ঠের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের জেরা এবং সন্দেহ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন ভিকি ঘনিষ্ঠ যুবক। এমনই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। ভিকির খুনে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও বারংবার পুলিশের জেরায় দিশেহারা হয়ে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন তিনি। যুবকের নাম হরেরাম সাউ (২২)। তাঁর ঘরের ভিতর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি শনিবার ভিকির বা়ড়িতে যায় সিবিআইয়ের এক প্রতিনিধি দল। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেই সাক্ষী খুন হওয়ার বিষয়টি দেখছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে? (Bhatpara)

    শুক্রবার ভিকি ঘনিষ্ঠ হরেরাম সাউ ভাটপাড়ায় (Bhatpara) নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমি ভিকি যাদবের খুনের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। আমাকে মিথ্যে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমি, ভিকি এবং আকাশ যাদবের কাছে চললাম। ভাই, মাকে দেখিস।’ হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট কে ডাকা হয়েছে সুইসাইড নোট পরীক্ষা করার জন্য।

    সুপারি কিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত অঙ্কিত‍!

    ভাটপাড়া (Bhatpara) শ্যুট আউট কাণ্ডে সুপারি কিলারদের সঙ্গে অঙ্কিত সিং ওরফে রিঙ্কুর যোগাযোগ করেছিল। পুলিশি জেরায় তা স্বীকার করেছে সে। তবে, শুটাররা সকলেই পলাতক। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুপারি কিলারদের বাড়ি বিহারে। তবে, ঘটনার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের খোঁজ পায়নি পুলিশ। এদিন রিঙ্কুদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, ২০২১ সালের ২ মে খুন হয়েছিলেন আকাশ যাদব। এই খুনের কেসের মামলা নিয়েছিল সিবিআই। সেই খুনের প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভিকি যাদব। ২১ নভেম্বর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেন। সেই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম অঙ্কিতকুমার সিংহ ওরফে রিঙ্কু এবং রহিস আলি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না” নিদান বিতর্কে তৃণমূল নেতা

    Purba Bardhaman: “টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না” নিদান বিতর্কে তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একশ দিনের টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না”। কার্যত এমন নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এক তৃণমূলের এক নেতা। সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কালনার সিঙ্গেরকোন (Purba Bardhaman) এলাকায় দলের এক কৃষক সভায় এই মন্তব্য করেন। আগামী জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রভু রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতির শ্রীরাম জন্ম ভূমির আন্দোলের বড় শ্লোগান ছিল ‘জয় শ্রী রাম’। শ্রী রাম ভারতের অখণ্ডতার প্রতীক। এমন সময়ে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য অত্যন্ত নিম্নরুচির বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। প্রতিবাদ জানিয়ে এই নিদানকে ধর্মীয় আক্রমণ বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ফলে রাম নাম বন্ধ করার ঘোষণায় রাজনীতিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    ঠিক কী বলেন তৃণমূল নেতা (Purba Bardhaman)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতা দেবু টুডু কালনায় (Purba Bardhaman) বলেন, “১০০ দিনের টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না। বিজেপির কর্মীরা আমাদের পাড়ায় জয় শ্রী রাম বলছেন। এই শ্লোগান দিতে হলে মানুষের কাজের টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে গোটা বাংলার কোথাও উচ্চারণ করতে দেবো না। এটা আমার ভিক্ষা নয়, অধিকার।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার এই উস্কানি মূলক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জেলা বিজেপি সভাপতি সুভাষ পাল বলেন, “এটা হচ্ছে একটা গরু চোর। সেইসঙ্গে ছাগলদেরও নেতা। ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা। রাজ্যের মা মাটির সরকার কেন্দ্রকে হিসাব দেয় না। টাকা চুরি আটকাতে কেন্দ্র সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই রাজ্যের রেশন, আবাস, মিড ডে মিল ইত্যাদিতে দুর্নীতির কথা ধরা পড়েছে। রাজ্যে দেড় কোটি রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় কেন জেলে রয়েছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কী দেবু জানেন? দেবু একটা পাগল, পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে কি না খায়।”

    ১০০ দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ

    ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসক তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে ব্যাপক তর্জা চলছে। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে ধরনা করতে দেখা যায় তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি তৃণমূল শাসকের কাছে, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রের পাঠানো অনুদানের খরচের হিসাব চাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই নিয়ে অভিযোগও করা হয়। সেই সঙ্গে ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির কথা বলে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায়!’ তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায়!’ তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা এমন একটা প্রকল্প, যেখানে দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প চালায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকাও মেরে খেয়েছে তৃণমূলের নেতারা। এখন তো মনে হচ্ছে সামান্য একটা কাজ করতে গেলেও সিবিআই তদন্ত করতে হবে। রাজ্যে মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায় তৃণমূল। এই রকম চোর পৃথিবীতে আর নেই। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    উত্তর ২৪ পরগনার এক জেলা তৃণমূলের নেত্রী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা দেশের স্বার্থ দেখে না। এরা ভোটের স্বার্থ দেখে, যে কারণে তাঁরা এই ধরনের মতামত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে আগত রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এরা নাগরিকত্ব পাইয়ে দিচ্ছে। বিজেপির স্পষ্ট বক্তব্য, যারা শরণার্থী তাঁরা সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু, যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের ভারতে ঠাঁই হবে না। নিজেদের ভোটব্যাংক তৈরি করতে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

    বিশেষ শারীরিকভাবে সক্ষমদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি করলেন সুকান্ত

    শনিবার বালুরঘাট ব্লকের পোল্লাপাড়া জুনিয়র হাই স্কুলের সাংসদ তহবিলের টাকা তৈরি করা শৌচালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ফিতে কেটে শৌচালয়ের শুভ উদ্বোধন করলেন সাংসদ। প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই শৌচালয় নির্মিত হয়েছে। মোট তিনটি শৌচালয়ের মধ্যে একটি শিক্ষক শিক্ষিকা ও বাকি দুটি স্কুল পড়ুয়াদের জন্য। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ এম্পাওয়ারমেন্ট পার্সন উইথ ডিজেবিলিটি প্রকল্পে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট ১ হাজার ৬৮ জন দিব্যাঙ্গ মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হবে। হস্তচালিত ত্রিচক্রযান, মোটর চালিত ত্রিচক্র যান, হুইলচেয়ার, শ্রবণ যন্ত্র সহ শারীরিক চলাফেরার অন্যান্য যন্ত্রপাতি সহ মোট সামগ্রী রয়েছে ২০১৬ টি। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৯৫ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা। ভারত সরকারের নিদিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে একাধিক শিবির চালিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল এই দিব্যাঙ্গজনদের। বালুরঘাট থেকে সামগ্রী প্রদান শুরু হল। এরপর গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুরে এমন শিবির করে বিশেষভাবে শারীরিক সক্ষমদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদেও সক্রিয় চক্র! সারের কালোবাজারিতে নাজেহাল অবস্থা চাষিদের

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদেও সক্রিয় চক্র! সারের কালোবাজারিতে নাজেহাল অবস্থা চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে রমরমিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সার নিয়ে কালোবাজারি করছেন। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সারের দ্বিগুণ দাম নিচ্ছেন। আর সার কিনতে গিয়ে চাষিদের মাথায় হাত পড়ছে। রবি মরসুমের শুরু থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাজুড়ে সক্রিয় এই চক্র। ফলে, চরম অসহায় জেলার চাষিরা।

    দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সার, অভিযোগ চাষিদের (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা, শক্তিপুর, নওদা, বহরমপুর, সালার, কান্দি, জঙ্গিপুর, ডোমকল সহ একাধিক জায়গায় সার নিয়ে কালোবাজারি চলছে। চাষিদের বক্তব্য, সারের বস্তায় যে দাম লেখা রয়েছে, সেই দামে বিক্রি করার কথা ব্যবসায়ীদের। কিন্তু, বাস্তবে ব্যবসায়ীরা বেশ কিছু সারের বস্তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। আমরা কারণ জানতে চাইলে জোগান না থাকার অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। আসলে প্রশাসনের কোনও নজরদারি নেই বলে ব্যবসায়ীদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে।

    কী পদক্ষেপ নিল প্রশাসন?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সারের দাম বেশি নেওয়া রুখতে নির্ধারিত দামে সার বিক্রি ও বিক্রেতাকে ক্যাশমেমো দেওয়ার উপরে নজরদারি শুরু করে কৃষি দফতর। সম্প্রতি জেলা ও মহকুমা স্তরে টাস্ক ফোর্সও তৈরি করেছে প্রশাসন ও কৃষি দফতর। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ডিলার ও সার বিক্রেতাদের দোকানে লাগাতার অভিযান চলছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৩৫০ জন সার বিক্রেতাকে শো- কজ় করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন সার বিক্রেতাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সার বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, জেলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সার পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। দাম বেশি নেওয়া সহ অনিয়ম রুখতে আমরা তৎপর রয়েছি। টাস্ক ফোর্স নজরদারি চালাচ্ছে। অনেক সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি চাষিদেরও সচেতন করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India: বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত! ছোট শিশুর জীবন বাঁচাতে দিল্লি থেকে উড়ে গেল প্রাণদায়ী ওষুধ

    India: বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত! ছোট শিশুর জীবন বাঁচাতে দিল্লি থেকে উড়ে গেল প্রাণদায়ী ওষুধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে (India) হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া জয়ী হয়েছিল। আর সেই ফাইনাল খেলায় ভারতকে হারতে দেখে বাংলাদেশিরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। কেউ কেউ আবার পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করেছেন বলে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিশ্ববাসী তা দেখেছেন। ভারতের প্রতি প্রতিবেশী দেশের এত ঘৃণা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। বাংলাদেশে ৬ বছরের এক শিশুর প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (India)

    হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা রেডিও তরঙ্গে এসএমএস  বাংলাদেশের এক হ্যাম রেডিওর সদস্য জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছয় বছর বয়সী একটি শিশু। চিকিৎসক  যে ওষুধ লিখেছেন সমগ্র বাংলাদেশ তন্ন তন্ন করেও তার হদিশ মেলেনি। ওষুধ খুঁজে বের করার আর্জি জানান তিনি। ভারতীয় (India) হ্যামরা সেই ওষুধের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। কলকাতায়  ওই ওষুধের সমগোত্রীয় একটি ওষুধ পাওয়া গেলেও একই ওষুধ না হওয়ায় তা দিতে চিকিৎসকরা রাজি হননি। ফের, ওষুধ খোঁজা শুরু হয়। দিল্লিতে পাওয়া যায় ওই ওষুধ। সেই ওষুধ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

    বাংলাদেশ হাই কমিশন  এগিয়ে আসেনি, আক্ষেপ হ্যাম কর্তার

    ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, খগেন্দ্রনাথ জানা নামে এক হ্যামের সদস্য ওষুধ জোগাড় করেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনে যোগাযোগ করি আমরা। সেই সাহায্য করেনি। পরে, অহিরুজ্জামান খান নামে বাংলাদেশে এক নাগরিকের সন্ধান পাই আমরা। তাঁর মাধ্যমে ছোট্ট শিশুর আমরা প্রাণদায়ী সেই ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করি। ভারত (India) হারের জন্য বাংলাদেশিরা আনন্দে মেতে উঠেছিল তার যোগ্য জবাব দেওয়া হল। কারণ, ভারত ভালবাসতে জানে। এই ভারতের জন্য ওই দেশের ফুটফুটে এক শিশু কন্যা প্রাণে বাঁচবে। সেখানকার নাগরিকরা আমাদের দেশের প্রতি ঘৃণা ছেড়ে ভালোবাসা শুরু করবে, তত তাঁদের মঙ্গল। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আমরা চাই, ছোট্ট শিশুটির হাসিতে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর হাত আরও  শক্ত হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আরও ৪০ দিন চলবে অনুষ্ঠান, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    Ayodhya Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনের পর আরও ৪০ দিন চলবে অনুষ্ঠান, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) শুভ উদ্বোধন হবে। তাই এখন থেকেই রামনগরী সেজে উঠেছে। সেই সঙ্গে হবে মন্দিরে ভগবান শ্রী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। এরপর প্রায় দেড় মাস ধরে চলবে ‘মণ্ডলোৎসব’। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। অবশ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রায় পাঁচশো বছর ধরে চলে আসা রামমন্দির আন্দোলনের ফল স্বরূপ প্রভু রামের মন্দির যে ব্যাপক মাত্রা পেতে চলেছে, সেই বিষয়ে অনেকেই অনুমান করছেন। এই রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়কে সামনে রেখে দেশজুড়ে বিজেপি, বিশ্বহিন্দু পরিষদ সহ সমগ্র সঙ্ঘ পরিবার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের জন্য ৪০ দিনের একটি বিশেষ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই ‘শ্রীরাম সেবা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হবে। তার মাধ্যমে মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন ভক্তরা। এক্ষেত্রে সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত, গো-সেবা, দুঃস্থ শিশুদের শিক্ষা, অন্নবিতরণের সঙ্গে যুক্ত এবং বয়স্ক মানুষেরা অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে আবেদনকারীদের আবেদনে শংসাপত্রের কথা উল্লেখ করতে হবে।

    প্রত্যন্ত এলাকায় চলছে অনুষ্ঠান

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্য জগদগুরু বিশ্বেশ প্রসন্ন তীর্থ বলেছেন, “অনুষ্ঠান ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।” রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) ঐতিহাসিক আন্দোলন, সাফল্যকে নিয়ে দেশব্যাপী সঙ্ঘ পরিবার একেবারে প্রান্তিক প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নানান কর্মসূচি পালন শুরু করছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে প্রভাত ফেরি, রাম কথার ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য প্রচার এবং বক্তৃতা সভা। অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে রাম মন্দির নির্মাণের ব্যাপকতা আগামী লোকসভার ভোটে বিজেপিকে আরও সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে। 

    অভিষেকের পর হবে দীপ উৎসব

    রামমন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) ভগবান রামচন্দ্রের মণ্ডলোৎসবের শেষ পাঁচ দিনে এক হাজার রুপোর কলস দিয়ে প্রভু শ্রীরামের অভিষেক করা হবে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে ঘরে ঘরে পাঠ করা হবে রাম কথা বিষয়ক গ্রন্থ। রামচরিতমানস, হনুমান চল্লিশা, রামায়ণ পাঠের কথা বলা হয়েছে। সন্ধ্যায় থেকেই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে দীপ উৎসব পালন করে শঙ্খ, ঘণ্টা বাজানো হবে।

    পূজারি পদের বিজ্ঞাপন জারি হয়েছে

    মান্দির কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) উদ্বোধনের পর নিত্য পুজোর জন্য পূজারি নিয়োগ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পূজারি পদের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আবেদনে এখনও পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার আবেদন পত্র জমা পড়ছে। ইতিমধ্যে সেখান থেকে ২০০ এবং তার থেকে ২০ জন পূজারিকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ছয় মাস প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাঁদেরকে মন্দিরের নিত্যপুজো এবং নিত্যসেবার কাজে লাগানো হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    North 24 Parganas: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তুলে লোকসভা নির্বাচনে জেতার ছক কষছে তৃণমূল। এই ধরনের অভিযোগ সাধারণত বিরোধীরা করে থাকে। কিন্তু, লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শাসক দল যে গুরুত্ব দিচ্ছে তা উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) তৃণমূলের এক নেত্রীর মন্তব্যে তা প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্য যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল এভাবে জালিয়াতি করে ভোটে জিততে চাইছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেত্রী? (North 24 Parganas)

    শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাবড়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস, তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস বলেন, আর বাকি তিন মাস। তিন মাস বাদেই আমাদের লড়াই লড়তে হবে। এখন ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ চলছে। জাকিরদার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি লোক বসবাস করেন। জাকিরদা, অভিজিৎদা (স্থানীয় তৃণমূল নেতা) লিঙ্কটা ভালো জানেন। যদি লিঙ্কের কোনও সমস্যা হয়, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন ভোটার লিস্টে নাম তোলার ক্ষেত্রে যদি সমস্যায় পড়েন, জাকিরদাকে কাছে গেলে তিনি সব ঠিক করে দেবেন। এই কাজটা অতি দ্রুত করবেন। আমরা চাই না, একটা ভোটও বাদ যাক। স্বাভাবিকভাবেই এই বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দলীয় নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব

    এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন বলেন, তিনি সেভাবে কিছু বলতে চাননি, রত্নাদি যেটা বলতে চেয়েছেন, সেটা হল ভোটার তালিকা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে দেওয়ার কথা। সেটা আমরা বরাবর করি। ওঁর বলার ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল হয়েছে। আমরা শুধু ফর্মটা পূরণ করে দিই। বাংলাদেশি কথাটা উচ্চারণ না করলেই ভালো হত। গ্রাম্য কথ্যভাষায়, বাংলাদেশি বলতে যেটা উনি বোঝাতে চেয়েছেন, তা হল সাতচল্লিশ সালের আগে যাঁরা এখানে ছিলেন তাঁরা ভারতীয়, আর তাঁদের পরে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বাংলাদেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়! বধূকে মাথা মুড়িয়ে দিয়ে শাস্তি

    South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়! বধূকে মাথা মুড়িয়ে দিয়ে শাস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে। চুরির অপবাদ দিয়ে গৃহবধূর মাথা মুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কাকদ্বীপ থানার নামখানা নারায়ণপুর এলাকার রাজ রাজেশ্বরপুরে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ।

    সন্তানের খাবারের জন্য আলমারি থেকে টাকা বের করার অপরাধ (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন ওই বধূর স্বামী। ছয় মাসের ছেলেকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে শাশুড়ি এবং ননদের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন বধূ। সন্তানের খাবার ও বাড়ির কিছু জিনিস কেনার প্রয়োজন ছিল ওই বধূর। বার বার সকলের কাছে টাকা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু, কেউ কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। তারপর আলমারি খুলে কিছু টাকা নেন ওই মহিলা। সেটা শাশুড়ি জানতে পারেন। তার পরই শুরু হয় চরম নির্যাতন। বধূকে প্রথমে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের পর নাপিত ডেকে তাঁর মাথা কামিয়ে গাছে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর চাউর হলে প্রতিবেশীরা নির্যাতিত মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সরব হন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বধূকে প্রায়শই শাশুড়ি এবং ননদ নির্যাতন করেন। তাঁদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনায় খবর দেওয়া হয়  পুলিশকে। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছে নির্যাতিত গৃহবধূর শাশুড়ি ও  ননদকে আটক করে করে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য,বাচ্চার খাবার ও সংসারের টুকিটাকি জিনিস কেনার প্রয়োজনে ঘরের আলমারি খুলে কিছু টাকা নিয়েছিলেন বধূ। তারজন্য এভাবে কাউকে মাথার চুল কেটে প্রকাশ্যে অত্যাচার করা যায়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Nadia: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন। ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে কম্বল বিতরণ এবং বিভিন্ন জনসভায় খরচ করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে।” শুক্রবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ২৯ নভেম্বর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক (Nadia)

    উল্লেখ্য, চাকরির দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ২৯ নভেম্বর বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা চলো ডাক দেওয়া হয়েছে। এই জনসভাকে সামনে রেখে এদিন একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Nadia) পোস্ট অফিস মোড়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “এরাজ্যে এনআরসি খুব শীঘ্র চালু হচ্ছে। রাজ্যে যখন করোনার সময় চলছিল, তখন পিএম কেয়ারের টাকা লুট করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এবং রাজিব সিন্‌হাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করেছেন। মিড ডে মিলের টাকা নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জে কম্বল বিতরণ করেছেন। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরে এবিষয়ে একটি চিঠি লিখব। তদন্ত শুরু হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো দুজনেই জেলে যাবেন।”

    হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর (Nadia)

    ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে কৃষ্ণনগরে (Nadia) শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেও জয় আমাদেরই। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন। যে যুক্তি রাজ্য সরকার দেখিয়েছে, ঠিক একই যুক্তিতে ২১ শে জুলাইতে তৃণমূলের সভাও বাতিল হতে পারে। আমি এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই।” এছাড়া শুভেন্দু আরও বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়াতে জাল পাসপোর্টের রমরমা চলছে। জেলার জনবিন্যাস পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাবড়ার তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যে বলছেন জাকির নামক দুষ্কৃতীর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নাম সরকারি তালিকায় তোলার কাজ হচ্ছে। খুব ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। মানব পাচারের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে এনআইএ তল্লাশি চালিয়েছে। প্রয়োজনে আরও সক্রিয় হয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: দুর্ঘটনা রোধে রেলের ট্র্যাক পরীক্ষায় এবার অত্যাধুনিক আল্ট্রাসোনিক মেশিন

    Indian Railways: দুর্ঘটনা রোধে রেলের ট্র্যাক পরীক্ষায় এবার অত্যাধুনিক আল্ট্রাসোনিক মেশিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব রেল ট্র্যাক এবং রেলপথের (Indian Railways) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরীক্ষার জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির পর যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পথে পা বাড়িয়েছে রেল। রেলের দাবি, ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে সুরক্ষা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স প্রয়োগের জন্য, রেল এবং ওয়েল্ডেড জয়েন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা করার জন্য পূর্ব রেল ‘আল্ট্রাসোনিক ত্রুটি শনাক্তকরণ’ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। এর মূল বিশেষত্ব হল, ছোটখাট যে সব ত্রুটি খালি চোখে দেখা যায় না, আল্ট্রাসোনিক তরঙ্গের মাধ্যমে সেগুলি শনাক্ত করা সম্ভব। তাই এভাবে কাজের গুণমান কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সেই হিসাবে ইউএসএফডি (Ultrasonic Flaw Detection) একটি অত্যাধুনিক পরিদর্শন সরঞ্জাম, যা প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধমূলক রক্ষণাবেক্ষণ সাহায্য করছে।
     
    কোথায় কত পরীক্ষা হল? (Indian Railways)
     
    পূর্ব রেল ইতিমধ্যে ২০২৩-২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৬২৭.৮৯ ট্র্যাক কিলোমিটার (টিকেএম) রেলপথের (Indian Railways) আল্ট্রাসোনিক ত্রুটি শনাক্তকরণ (ইউএসএফডি) পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ইউএসএফডি পরীক্ষার রেল ডিভিশিন ভিত্তিক অগ্রগতি হল-আসানসোল বিভাগে ২১৮১.৩২৬ টিকেএম, হাওড়া বিভাগে ৩৪৯৮.৫৯৫ টিকেএম, মালদা বিভাগে ১০৮৭.০০২ টিকেএম এবং শিয়ালদা বিভাগে ১৮৬০.৯৬৭ টিকেএম।
     
    এর মূল বৈশিষ্ট্য (Indian Railways)
     
    পূর্ব রেল জানিয়েছে, এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,
     
    উচ্চমানের নির্ভুল স্ক্যানিং: ইউএসএফডি সুনির্দিষ্ট স্ক্যানিংয়ের জন্য উন্নত আল্ট্রাসোনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফলে এর মাধ্যমে সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক, এমন ক্ষুদ্রতম ত্রুটিগুলিও শনাক্ত করা সম্ভব।
    রিয়েল-টাইম ডেটা বিশ্লেষণ: ডেটা বিশ্লেষণ ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত এই মেশিন। ফলে ইউএসএফডি অপারেটররা যখন প্রয়োজন হয়, তখন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
    বর্ধিত নিরাপত্তা: ইউএসএফডি পরীক্ষার মাধ্যমে খালি চোখে দৃশ্যমান নাও হতে পারে, এমন ত্রুটিগুলি শনাক্ত করা সম্ভব। ফলে এটি যাত্রীদের সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে এবং সম্ভাব্য বিপদগুলি সক্রিয়ভাবে মোকাবিলা করে (Indian Railways)।
    অ-ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা: একটি অ-ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা পদ্ধতি হিসাবে ইউএসএফডি রেলের পরিকাঠামোর ক্ষতি না করে পরিদর্শন নিশ্চিত করে, ডাউনটাইম এবং অপারেশনাল ব্যাঘাত কমিয়ে আনে।
    অভিযোজনযোগ্যতা: ইউএসএফডি’র ডিজাইন করা হয়েছে বিভিন্ন ট্র্যাক কনফিগারেশন এবং পরিবেশগত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো করে, যা পূর্ব রেলের বৈচিত্র্যময় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের পক্ষে খুবই কার্যকর হবে বলে রেলকর্তারা মনে করছেন।
     
     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share