Tag: Bengali news

Bengali news

  • Narendra Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ,  দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন সুকান্ত

    Narendra Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ, দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লাখ লাখ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান হতে চলেছে আগামী ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে। ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠানের জন্য দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দশে রওনা দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন বাংলার সাধু-সন্ত সন্ন্যাসী। সামনেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তাই এই গীতাপাঠের অনুষ্ঠান খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলের কাছে। 

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সকালে বলেন, “বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি সম্মিলিত সংস্থা গঠন করা হয়েছে। তাদের উদ্যোগেই লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাশয়কে বিশেষ আমন্ত্রণ জানাতে আজ দিল্লিতে যাচ্ছি। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড ময়দানে এই গীতা পাঠের অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে এসে যোগদান করলে গীতাপাঠের মাত্রা পাবে বিশ্বজনীন। তাঁর উপস্থিতিতে গীতাপাঠের উদ্দেশ্য আরও ব্যাপক সাফল্য পাবে।”

    লোকসভার আগে গীতাপাঠ

    আগামী ২০২৪ সালেই লোকসভার ভোট। ফলে রাজ্য বিজেপি বঙ্গবাসীর মন জয় করতে জনসংযোগের বিষয়ে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না। এই গীতাপাঠের মধ্যে দিয়ে বঙ্গে ভারতীয়ত্ববোধ, ধর্মীয় আস্থা ও বিশ্বাসকে পুনরায় জাগরণ করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন। এই গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে সরাসরি রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির নাম না থাকলেও দলের একটা যে পরোক্ষ প্রভাব আছে, তা রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন। লোকসভার কথা মাথায় রেখে সাধু-সন্ত দ্বারা আয়োজিত এই গীতা পাঠের রাজনৈতিক তাৎপর্য ব্যাপক মাত্রা যে নিতে চলেছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দিল্লি যাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    North 24 Parganas: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙায় তৃণমূল প্রধান মহম্মদ রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম আনোয়ার হোসেন। তার বাড়ি বোদাই এলাকায়। তার বাবা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ফলে, গোষ্ঠী কোন্দলের যে অভিযোগ উঠছে, এই গ্রেফতারির ঘটনায় তা আরও জোরালো হল।

    কে এই রূপচাঁদ? (North 24 Parganas)

    রূপচাঁদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙায়। তিনি এক সময় এলাকায় ছোটখাট জমির দালালি করতেন। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শাসক দলের নেতার সঙ্গে তিনি ওঠাবসা শুরু করেন। সামান্য জমির দালালি করা রূপচাঁদ রাতারাতি জমি মাফিয়া হয়ে ওঠেন। দুহাতে টাকা কামাতে থাকেন। সব সময় চারচাকা করে এলাকা ঘুরতেন তিনি। তৃণমূল দল করলেও কোনও পদ না থাকায় রাজনৈতিক সম্মান মিলছিল না তাঁর। তাই, পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর মনস্থির করে্ন। কিন্তু, প্রথমে টিকিট না মিললেও নিজের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব খাটিয়ে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হন। ভোটে জিতেও যান। ভোটে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন বলে এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায়। পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে তিনি থাকতে রাজি ছিলেন না। তাই, তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েও প্রধান হয়েছিলেন। বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা তাঁকে দিতে হয়েছিল বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে। শুরু হয়েছিল ক্ষমতা আর এলাকা দখলের লড়াই। ফলে, রাজনীতির থেকে তাঁর ব্যক্তিগত শত্রু বেড়ে গিয়েছিল। আর তাঁর পরিণতিতেই অকালেই খুন হতে তাঁকে।

    কেন খুন?

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা এলাকায় রয়েছে কামদেবপুর হাট। এই হাটের দখলদারি ছিল তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর হাতে। প্রধান হওয়ার পর হাটের দখলদারি নিজের অধীনে আনার চেষ্টা করেছিলেন রূপচাঁদবাবু। আর তাতেই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এমনিতেই দলের প্রধান হওয়ার পর নিজের মতো করেই চলতেন। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনেক সময় তিনি পাত্তা দিতেন না। আর এলাকায় জমি মাফিয়া হিসেবে পরিচিত থাকায় তাঁকে কেউ বেশি ঘাঁটাত না। প্রধান হওয়ার পর তিনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে থাকেন। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর পক্ষে তা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। পথের কাঁটা সরাতে রূপচাঁদকে খতম করার পরিকল্পনা করে তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন। আমডাঙা ও বোদাই পঞ্চায়েতের মধ্যে কামদেবপুর হাটের দখলদারি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব ছিল বলে অভিযোগ, তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর আনোয়ার হোসেন নামে প্রথম গ্রেফতারির পর জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি বোদাই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। আর যে কামদেবপুর হাটের দখলদারি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল বলে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে খুন করে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহত তৃণমূল প্রধানের ভাই কী বললেন?

    নিহত তৃণমূল প্রধানের ভাই লালচাঁদ মণ্ডলের দাবি, ‘কোনও রাজনৈতিক কারণ নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার শিকার হয়েছেন রূপচাঁদ’। খুনের ঘটনার জেরে এদিন সকাল থেকে থমথমে এলাকা। কামদেবপুর হাট বন্ধই থাকে শুক্রবার। তবে, যেটুকু মানুষের আসা যাওয়া হয়, সেটাও এদিন হয়নি এই হাটকে ঘিরে। ভর সন্ধ্যায় যখন হাট প্রচুর মানুষের আনাগোনা ছিল, তার মধ্যেই খুন করা হয় ওই তৃণমূল নেতা। খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: আগামী দিনে রেলের প্রত্যেক যাত্রীই পাবেন ‘কনফার্মড’ টিকিট, থাকবে না ওয়েটিং লিস্ট

    Indian Railways: আগামী দিনে রেলের প্রত্যেক যাত্রীই পাবেন ‘কনফার্মড’ টিকিট, থাকবে না ওয়েটিং লিস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনের (Indian Railways) টিকিট পেতে আর যাত্রীদের হয়রান হতে হবে না। করতে হবে না অপেক্ষাও। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ভারতীয় রেলের এই পরিকল্পনার কথা। ভারতের লাইফ লাইন এই রেল। প্রতিদিন তিল ধারণের জায়গা থাকে না লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেনেও।

    উৎসবে টিকিটের চাহিদা বাড়ে 

    দুর্গাপুজো, ছটপুজো, দীপাবলির মতো উৎসব-অনুষ্ঠানে টিকিটের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হয় যাত্রীদের। সমস্যায় পড়তে হয় ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীদের। বাধ্য হয়ে অনেকে পড়েন দালালের খপ্পরে। টিকিটের দামের চেয়ে ঢের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় টিকিট। এসবেই এবার ইতি টানতে চলেছেন ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, আগামী চার-পাঁচ বছরে নেটওয়ার্ক বাড়িয়ে যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রা উপহার দেবে রেল। অতিরিক্ত ৩ হাজার মেল, এক্সপ্রেস ও যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আসছে নতুন ট্রেন 

    বর্তমানে প্রায় ৮০০ কোটি যাত্রী বহন করে রেল। পাঁচ বছরের মধ্যেই এর পরিমাণ পৌঁছবে হাজার কোটিতে। রেলমন্ত্রক (Indian Railways) সূত্রে খবর, বর্তমানে প্রতিদিন ১০ হাজার ৭৪৮টি ট্রেন চলে। করোনা অতিমারির আগে এই সংখ্যাটা ছিল ১০ হাজার ১৮৬। এটা বাড়িয়ে ১৩ হাজার করার পরিকল্পনা করেছে রেল। সেই কারণেই নামানো হবে ৩ হাজার নতুন ট্রেন। ট্রেনে গতি আনতে বাড়ানো হচ্ছে ট্র্যাকও। প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার ট্র্যাকের নয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করছে রেল। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’। গতির কারণে এই ট্রেনে যাত্রীও হচ্ছে প্রচুর।

    আরও পড়ুুন: বৈঠক শেষে ফের জিনপিংকে ‘একনায়ক’ কটাক্ষ বাইডেনের, কেন চুপ চিনা প্রেসিডেন্ট?

    রেলকর্তারা জানান, রেলের লক্ষ্যই হল ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে টিকিট বুক করার জন্য প্রত্যেক যাত্রীই যেন নিশ্চিত টিকিট পান। একজন যাত্রীকেও যেন ওয়েটিংয়ে থাকতে না হয়। সারা দেশে যাত্রীর চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। আরও পুশ-পুল ট্রেন চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার জেরে গতি বাড়বে ট্রেনের। কমবে ভ্রমণের সময়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আরও বন্দে ভারত ট্রেন, আধুনিক এলএইচবি কোচ এবং পুশ-পুল ট্রন চালু করা হবে। এর পাশাপাশি বছরে চার-পাঁচ হাজার কিলোমিটার নয়া ট্র্যাক তৈরির কাজও চলবে। সামগ্রিকভাবে আমাদের লক্ষ্য, ভ্রমণের সময় কমানো ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো (Indian Railways)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Calcutta High Court: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ হাইকোর্টে, খুশি চাকরিপ্রার্থীরা

    Calcutta High Court: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ হাইকোর্টে, খুশি চাকরিপ্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদিকে নিয়ে এই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার সমস্ত শুনানি এই বেঞ্চে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ইডি-সিবিআইকে সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ-দুর্নীতির বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। এই সংক্রান্ত মামলাতেই গত ৯ নভেম্বর নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আগামী দু’মাসের মধ্যে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সমস্ত মামলাগুলি শীর্ষ আদালতে ছিল, সেগুলিকেও পুনরায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের কাছেই। সেই মামলাগুলো নতুন গঠিত ডিভিশন বেঞ্চেই উঠবে বলে জানা গিয়েছে।

    আশায় বুক বাঁধছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    গত ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এই মামলাগুলিকে ফেরত পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। শীর্ষ আদালত সময়সীমা যেভাবে বেঁধে দিয়েছে, এবার সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তে ব্যাপক গতি দেখা যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পুজোর ছুটির পরে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্ট খুলেছে। এদিকে আদালত বিশেষ বেঞ্চ গঠন করায় চাকরিপ্রার্থীরাও আশায় বুক বাঁধছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁদের সঠিক বিচার মিলবে, এই আশাতেই  দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে বসে রয়েছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের মতে, আদালতের (Calcutta High Court) প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। সুবিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হবো না।

     

    আরও পড়ুন: ১৯ বছর বয়সী পণবন্দি তরুণীকে হত্যা হামাসের, ট্যুইট করে জানাল ইজরায়েল

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ডিপিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    South 24 Parganas: শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ডিপিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ১৮৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের সবাইকে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। আর এই দাবি নিয়ে ডিপিএসসি অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, পর্ষদ সভাপতি থেকে শুরু করে তৃণমূলের অনেক বিধায়ক এবং সরকারি আধিকারিক গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সঙ্গে ধর্মতলায় যোগ্য প্রার্থীরা কয়েক বছর ধরে ধর্নামঞ্চে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন বলে সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এখনও চাকরির আশায় দিন গুনছেন প্রার্থীরা।

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ কী (South 24 Parganas)?

    শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ডিপিএসসি অফিসের সামনে নিয়োগের দাবি জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ১৮৩৪ জনের প্যানেলের মধ্যে ১৫০৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখও পর্যন্ত ৩২৮ জন চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পাননি। তাই নিজেদের চাকরির দাবিতে অবস্থানন-বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    চাকরিপ্রার্থী অন্বেষা মৃধা এই প্রসঙ্গে বলেন, “আজ ১৪ বছর অতিক্রান্ত। অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য চাকরি দিতে হবে। প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ হচ্ছে না। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু ডিপিএসসি চেয়ারম্যান কোনও সন্তোষজনক উত্তর আমাদের দিচ্ছেন না। আর যদি চাকরিতে নিয়োগ না করা হয়, তাহলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপিএসসি অফিসের সামনে ধর্নাতে বসবো।”

    আর কী বললেন চাকরিপ্রার্থীর?

    জেলার (South 24 Parganas) ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থী প্রভাস হালদার নিয়োগ ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “তৎকালীন বাম সরকার যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ  করেছিল, সেই সময় থেকে প্রায় আজ ১৪ বছর হয়ে গেল নিয়োগ করা হয়নি। চেয়ারম্যানের কাছে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলা হয়, ওই প্যানেলে ১৭ জনের ডকুমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। পেলে নিয়োগ হবে। ফলে কবে সেই ডকুমেন্ট পাওয়া যাবে আর তার জন্য কি ততদিন আমরা বসে থাকবো? তাই অবিলম্বে নিয়োগ চাই আমরা।”

    ডিপিএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    অন্যদিকে ডিপিএসসি চেয়ারম্যান (South 24 Parganas) অজিত নায়েক বলেন, “প্যানেলের ১৭ জনের ডকুমেন্ট এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হাইকোর্টেও মামলা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত নিয়োগ করাতে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hamas War: ১৯ বছর বয়সী পণবন্দি তরুণীকে হত্যা হামাসের, ট্যুইট করে জানাল ইজরায়েল

    Israel-Hamas War: ১৯ বছর বয়সী পণবন্দি তরুণীকে হত্যা হামাসের, ট্যুইট করে জানাল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর অতর্কিত রকেট হামলা চালায় হামাস। সেদিনই অজস্র ইহুদি নাগরিককে পণবন্দি করে হামাস (Israel-Hamas War)। এরকমই পণবন্দি ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী সেনা জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হল গাজায়। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স আনুষ্ঠানিকভাবে আজকেই এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্য়ুইটার) একথা লিখেছে। ইজরায়েলের সেনার তরফ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের কাছেই উদ্ধার হয় ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর মৃতদেহ। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, মৃত সেনাকর্মীর নাম নোয়া মারকিয়ারানো।

    কী জানাল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স?

    ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (Israel-Hamas War) তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয় যে ১৯ বছর বয়সী তরুণী জওয়ান নোয়া মার্কিয়ানোকে অপহরণ এবং হত্যা করে হামাস জঙ্গিরা। তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে আল শিফা হাসপাতালের কাছেই গাজাতে। জঘন্য, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে ইজরায়েলের ডিফেন্স সার্ভিস। তাদের আরও দাবি, ৬৫ বছর বয়সী এক মহিলা যিনি কিনা পাঁচ সন্তানের মা, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে গাজার হাসপাতাল থেকে। ওই মহিলাকেও পণবন্দি বানিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। গত ৭ অক্টোবর মহিলার স্বামীকে হত্যা করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় হামাস জঙ্গিরা।

    স্কুল ও হাসপাতালগুলিকে ঘাঁটি করছে হামাস

    প্রসঙ্গত, এর আগেই অভিযোগ (Israel-Hamas War) উঠেছে যে স্কুল এবং হাসপাতালগুলিকে জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। এরকমই আল শিফা হাসপাতালে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী অতর্কিত প্রবেশ করলে তারা সেখানে প্রচুর অস্ত্রের হদিশ পায়। বেশ কয়েকদিন আগে ইজরায়েল নিকেশ করে এক শীর্ষ হামাস জঙ্গিকে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল অসুস্থ রোগীদেরকে ঢাল বানিয়ে যুদ্ধ চালানোর। ইজরায়েল শুধুমাত্র এগুলো দাবি করছে এমনটা নয়, তাদের দাবির স্বপক্ষে যুক্তি এবং প্রমাণ হিসেবে ভিডিও তুলে ধরেছে ইহুদি সেনা। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে কীভাবে হাসপাতাল এবং স্কুলগুলিকে জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: আক্রান্ত চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে বিজেপি-র আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার

    Shantipur: আক্রান্ত চিকিৎসকের সুবিচারের দাবিতে বিজেপি-র আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) থানার ফুলিয়া এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। তাতে ১০ জন বিজেপি কর্মী জখম হন। পরে, পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantipur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার ১২ নভেম্বর সকালে ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সুজন দাস নামে এক চিকিৎসক। তাঁর বাড়ি শান্তিপুর (Shantipur)। বাইকে করে তিনি ফুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। বঁইচা ঘোষপাড়ায় ফুলিয়া-আড়বান্দি রোডে স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা কালীপুজোর জন্য চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু, দাবি মতো চাঁদা দিতে রাজি হননি সুজনবাবু। আর তারপরই ক্লাবের ছেলেরা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিরে রোগী দেখতে শুরু করেও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে, সেখান থেকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেদিনই তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। বুধবার বাড়ি ফেরার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেদিনই তাঁকে জেএনএমে পাঠানো হয়।

    আক্রান্ত চিকিৎসককে দেখতে শুভেন্দু, কী বললেন?

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কল্যাণী জেএনএম কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকার ও শান্তিপুর থানার পুলিশকে নিশানা করেন তিনি। শুভেন্দু আসার সময়ে চিকিৎসকের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা ও ভাই। শুভেন্দুর দাবি, স্থানীয় থানার ওসি তাঁর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এফআইআর নম্বর দেননি বলে সুজন আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। উল্টে যে বাঁচাতে গিয়েছিল, তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আসল অপরাধীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক হওয়ায় পুলিশ তাদের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পায়নি।

    বিজেপির শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গন্ডগোল 

    শুক্রবার দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিপুরের (Shantipur) ফুলিয়া ফাঁড়ির সামনে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেখানেই কয়েক ঘন্টা ধরে চলে বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ। পরবর্তীতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকে়ড ভেঙে পুলিশ ফাঁড়ির ভিতরে ঢুকতে গেলে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। তারপর তা প্রায় হাতাহাতিতে পরিণত হয়। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হয় বেশ কয়েকজন মহিলা বিজেপি কর্মী, এছাড়াও আহত হন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার সহ রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। পরবর্তীতে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়, সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার পুলিশ প্রশাসনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। যে ব্যক্তি চিকিৎসককে মারধর করেছে সেই মূল অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হল না? আমরা সেই কারণেই পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে আহত হতে হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বলেন, আমাকেও আঘাত পেতে হয়েছে। পুলিশের এই বর্বরতা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rejinagar Industrial Area:  বুদ্ধদেবের আমলে শিলান্যাস, মমতার আমলেও খাঁ খাঁ করছে রেজিনগর শিল্পতালুক!

    Rejinagar Industrial Area: বুদ্ধদেবের আমলে শিলান্যাস, মমতার আমলেও খাঁ খাঁ করছে রেজিনগর শিল্পতালুক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক দশক অতিক্রান্ত! কিন্তু শিল্পের দেখা নেই রেজিনগর শিল্পতালুকে (Rejinagar Industrial Area)। বুদ্ধদেবের আমলে শিলান্যাস, মমতার আমলেও খাঁ খাঁ করছে রেজিনগর শিল্পতালুক। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পর আসার কথা ছিল ‘কৌশিস ই মিবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেড’-এর। ‘ই-বাস’ নির্মাণ কারখানা গড়ে তোলা হবে বলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরও হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে কারখানার নির্মাণ কোথায়? এই বছর আবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে, কিন্তু শিল্পের দেখা কি সত্যিই মিলবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের মনে। শিল্প নিয়ে রাজ্য সরকার কতটা ইচ্ছাশক্তি রাখে, তাও প্রশ্নের সম্মুখীন। তাই জেলার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনে সুযোগ পেলে বিষয়টি তুলে ধরবেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শিল্পতালুকে বিদ্যুৎ এবং জল নেই, জনমানুষের অভাব, খাঁ খাঁ করছে শিল্পতালুক। কারখানা হলে কিছু কর্মসংস্থান হত। তাই কবে কারখানা হয়, তাই এখন দেখার।

    মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বক্তব্য 

    জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “গত বারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রেজিনগর শিল্প তালুকে (Rejinagar Industrial Area) ই-বাস তৈরির কারখানার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি কোম্পানির চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এবছর আরও একটি সম্মেলন আসতে চলেছে, কারখানার কোনও দেখা মেলেনি। মুর্শিদাবাদ জেলার বহু মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন কাজের জন্য। জেলায় কোনও শিল্প নেই, তাই এই জেলায় শিল্প হলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হতো।”

    জেলা শিল্পকেন্দ্রের বক্তব্য (Rejinagar Industrial Area)  

    এই জেলার শিল্পকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আহমোদুল্লা তালিব বলেন, “আগামী ২১-২২ নভেম্বর কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন হবে। দুই দিন দুই পর্বে আমাদের জেলার বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জন উদ্যোগী ব্যবসায়ী উপস্থিত থাকবেন। জেলা কেন্দ্রে আগামী শনিবার এই নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে।” আবার রেজিনগর প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমি সবেমাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। রেজিনগর শিল্পতালুকে (Rejinagar Industrial Area) ই-বাস তৈরির কারখানার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”

    জেলা প্রশাসনের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৮ সালে তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রেজিনগরে ১৮৭ একর জমিতে শিল্পতালুকের শিলান্যাস করেছিলেন। সেই সময় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছেই এই শিল্পতালুক (Rejinagar Industrial Area)।  কিন্তু তারপর আর কিছু এগোয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Infiltration In India: পাকিস্তানি মা-ছেলের ভারতে অনুপ্রবেশ, গ্রেফতার করল এসএসবি

    Infiltration In India: পাকিস্তানি মা-ছেলের ভারতে অনুপ্রবেশ, গ্রেফতার করল এসএসবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত টপকে ভারতে অনুপ্রবেশ (Infiltration In India) এবং সেই সঙ্গে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পাকিস্তানের নাগরিক এক মা-ছেলেকে গ্রেফতার করল এসএসবি। সশস্ত্র সীমা বল অর্থাৎ এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শিলিগুড়ি ব্লকের খড়িবাড়ি পানিট্যাঙ্কি এলাকায় ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলে ধরা পড়েন মা এবং ছেলে। এরপর তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তারপরেই গ্রেফতার করে দার্জিলিং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা পাকিস্তানি নাগরিক, ধৃত মহিলার নাম শায়িস্তা হানিফ এবং ছেলের নাম মহম্মদ হানিফ।

    কীভাবে পৌঁছালেন শিলিগুড়িতে (Infiltration In India)?

    এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বুধবার সকালে ভারত-নেপাল সীমান্তের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর উপর এশিয়ান হাইওয়ে হয়ে হেঁটে (Infiltration In India) পানিট্যাঙ্কি এলাকায় পৌঁছান। এরপর এসএসবি জওয়ানরা তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁদের তল্লাশি করলে পাকিস্তানি পাসপোর্ট এবং কিছু নথি পাওয়া যায়। এরপর জেরায় জানা যায়, পাকিস্তানের করাচি শহরের গহানমার স্ট্রিটের সারফা বাজারে তাঁদের মূল বাড়ি। বৃহস্পতিবার তাঁদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    সৌদি আরব থেকে কাঠমান্ডুতে আসেন

    ধৃত পাকিস্তানি মা-ছেলের (Infiltration In India) কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা প্রথমে পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবে যান, এরপর সেখান থেকে গত ৫ নভেম্বর তাঁরা ভারত এবং কাঠমান্ডুতে আসার জন্য বিমানে টিকিট কেটেছিলেন। গত ১১ নভেম্বর তাঁরা সৌদি আরবের জেড্ডা বিমান বন্দর থেকে কাঠমান্ডুতে আসেন। তল্লাশিতে তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল, দুটি সিমকার্ড, একটি মেমরি কার্ড, দুটি পেন ড্রাইভ, ১০ হাজার নেপালি টাকা, ১৬ হাজার ৩৫০ ভারতীয় টাকা এবং ৬ ইউরো, ১৬৬টি রিয়াল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই গ্রেফতারের পর দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে গ্রেফতার হওয়া মা এবং ছেলে হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তবে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁরা সৌদি আরবে থাকছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণায় তাঁর এক বোন আছেন, সেখানে যাওয়ার জন্য অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ (Infiltration In India) করেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?

    Cooch Behar: তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীভাঙন কবলিত কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দারা বাঁধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বহুদিন ধরে। বৃহস্পতিবার সেখানে হাজির হন কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। আর তাঁকে হাতের নাগালে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়েই দলের টিকিটে জেতা কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    বৃহস্পতিবার কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাক নদী সংলগ্ন গেদারচর এলাকায় পরিদর্শনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। সেখানে গেলে নিজের দলের কর্মীরাই চৈতিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে ঘিরে চলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সেই সময় ব্লক সভাপতিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বাসন্তী বর্মনের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চৈতিকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে কর্মাধ্যক্ষ বলেন, কোনও বিক্ষোভ নয়। এলাকার মানুষ দাবিদাওয়ার বিষয় আমার কাছে তুলে ধরেছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীবাঁধের দাবি উঠলেও কর্মাধ্যক্ষকে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। কিন্তু সকাল থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকায় হাজির হন। কী উদ্দেশ্য তাঁর? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, নিজের নির্বাচনী এলাকায় অবৈধভাবে রায়ডাক নদী থেকে বালি পাথর পাচারের জেরে ভাঙছে নদীবাঁধ। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু, কর্মাধ্যক্ষের তাতে কোনও হেলদোল নেই।

    বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল নেতাদের কয়লা চোর, বালি চোর ও পাথর চোর বলেছি। এবার গ্রামবাসীরাও একই কথা বললেন। গ্রামের মানুষ যখন নেতাকে চোর বলছেন, তখন অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share