Tag: Bengali news

Bengali news

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ০৯/১১/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ০৯/১১/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভাল সুযোগ পেতে পারেন। 

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    সিংহ 

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    তুলা 

    ১) বেশ কিছু দিন ধরে বাতিল হতে থাকা ইচ্ছা পূরণ হবে এবার।

    ২) ব্যবসায় নতুন চুক্তি হাতে আসবে। তবে এখনই কোনও নতুন কাজ শুরু করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে। 

    ২) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
     
    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    মীন

    ১) কিছু কেনাকাটার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক যুবককে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে খুন, নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Titagarh: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক যুবককে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে খুন, নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল বারাকপুরের টিটাগড়ে (Titagarh)। এলোপাথাড়়ি গুলি চালিয়ে এক যুবককে খুন করে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় পুরসভার উড়ানপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ হাসান ওরফে ছোটকা। ১০ দিন আগেই দুই কাউন্সিলারের গন্ডগোলের জেরে টিটাগড়ের পুরানো বাজার এলাকায় আকাশ প্রসাদ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। সনু সাউ নামে তৃণমূল কাউন্সিলারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তারপর পুলিশ অনেক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিল। এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। কিন্তু, ১০ দিনের মধ্যে ফের খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, পুরানো কোনও শত্রুতা জেরেই দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তলাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটকার বিরুদ্ধে মাদক মামলা সহ পুলিশের খাতায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৬ মাস আগে সে জেল থেকে বাড়়ি ফিরে আসে। এরপর সে একটি মাংসের দোকানে কাজ করা শুরু করে। এদিন বিকেলে সে টিটাগড়ের (Titagarh) উড়ানপাড়া এলাকায় বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকালের দিকে রাস্তায় লোকজন ছিল।   আচমকাই একটি বাইকে তিনজন আসে। তারা খুব কাছ থেকে ওই যুবককে লক্ষ্য দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে আমরা হামলাকারীদের পিছনে ধাওয়া করি। কিন্ত, তারা জোরে বাইক চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ওই যুবক সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ফলে, পুরানো গন্ডগোলের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan Medical College: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকেই পাচার হচ্ছে পচা লাশ! দুর্নীতির আরও এক চক্র ফাঁস

    Burdwan Medical College: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকেই পাচার হচ্ছে পচা লাশ! দুর্নীতির আরও এক চক্র ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কয়লা, বালি, পাথর, মাটি, রেশন, চাকরি দুর্নীতির পর আরও এক দুর্নীতির খবরে তোলপাড়। আর তা হল মেডিক্যাল থেকে লাশ পাচারের দুর্নীতির খবর। একটা সময় রাজ্য কাটমানি ইস্যুতে তীব্র উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। শাসক দলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল, মৃতদেহ দাহ করতে গেলেও কাটমানি নেওয়া হয়। এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Burdwan Medical College) থেকে পচা লাশ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এমন ভয়ানক ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Burdwan Medical College)?

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (Burdwan Medical College) থেকেই পাচার হতে চলেছিল পচা লাশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যানাটমি বিভাগের মৃতদেহ রাখার ঘর থেকে তিনটে লাশ পাচার করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। উল্লেখ্য পাচারের আগেই ঘটনার কথা ফাঁস হয়ে যায়। মৃতদেহ পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক চালক সহ মোট সাত জন। এই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হাসপাতালের আরও চারজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    লাশ পাচারের কথা জানিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের (Burdwan Medical College) প্রিন্সিপাল কৌস্তভ নায়েক বলেন, “মৃত দেহগুলি চুরি করা হচ্ছিল, আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।” পুলিশের ডিএসপি ট্রাফিক রাকেশ চৌধুরি বলেন, “অভিযুক্তদের মধ্যে চালক সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছিল সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশিকা

    গত অক্টোবর মাসে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়, এসএসকেএম, এনআরএস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে মোট ২০ টি মৃতদেহ মণিপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে দান করা হবে। এর ফলেই জটিলতা তৈরি হয়। প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বর্ষে ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য ৬ টি দেহই পর্যাপ্ত। তাই মণিপুর মেডিক্যাল কলেজের জন্য ২০ টি মৃতদেহ কেন? ফলে অতিরক্ত মৃতদেহ কী করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যেই বর্ধমান মেডিক্যাল (Burdwan Medical College) থেকে লাশ পাচারের ঘটনায় এই লাশ দুর্নীতির সন্দেহ আরও প্রবল হয়ে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: পুকুরে মাছচোর সন্দেহে মারধর, পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুরে ব্যাপক উত্তেজনা

    Purba Bardhaman: পুকুরে মাছচোর সন্দেহে মারধর, পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুরে ব্যাপক উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়ি ঘেরাও করে রীতিমতো ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। গতকাল মঙ্গলবার তাঁর বাড়ির গেট এবং পাঁচিলের মধ্যে চলল ব্যাপক ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্ত্রীর বাড়িতে গেল বিশাল পুলিশবাহিনী। মন্ত্রীর দাবি চক্রান্ত করে এই আক্রমণ করা হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Purba Bardhaman)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রায়নার (Purba Bardhaman) কামারহাটি গ্রামের বাড়িতে পুকুরে মাছ ধরতে যান এক আদিবাসী যুবক। এই আদিবাসী যুবকের নাম মহেন্দ্র হেমব্রম। এরপর মাছ চুরির অপরাধে মন্ত্রীর কেয়ারটেকর তাঁকে চোর বলে আটক করে রাখে। শুধু তাই নয় অভিযোগ আরও যে তাঁকে ব্যাপক মারধরও করা হয়।

    এরপর মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়। উত্তেজিত গ্রামবাসী আদিবাসী যুবকের সমর্থনে, হাতে লাঠি, লোহা নিয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় মন্ত্রীর বাড়িতে। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলে পুলিশ বাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করে। এখনও পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি বলে জানা গিয়েছে।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    স্থানীয় এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, “একজন সাধারণ গরিব আদিবাসী যুবককে চোর বলে ধরে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁকে মারধর করা হয়। এলাকায় তৃণমূল মন্ত্রীর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষ নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।”  

    পঞ্চায়েতমন্ত্রীর বক্তব্য

    রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী এই ঘটনায় বলেন, “ওই রায়নার (Purba Bardhaman) বাড়িতে কেউ থাকে না। আমি গত কয়েকদিন ধরে দুর্গাপুরে রয়েছি কাজে। কোভিডের সময় অনেক লোক গ্রামে ফিরে এসেছেন। আমি নিজে মাছচাষে উৎসাহ দিয়েছিলাম। আর তাই এই বাড়ির পুকুরে অনেকে মাছ ধরে খান। শুনেছি মাছ নিয়ে গোলমাল হয়েছে। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও পেছন থেকে কেউ ইন্ধন দিয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ তদন্ত করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Firecrackers: দীপাবলি উদযাপনে আলোর বাজি কতখানি বিপজ্জনক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Firecrackers: দীপাবলি উদযাপনে আলোর বাজি কতখানি বিপজ্জনক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শব্দবাজির তীব্রতা নিয়ে সরব নানা মহল। শব্দদূষণের পাশাপাশি হৃদরোগ, শ্রবণশক্তি হ্রাসের মতো একাধিক বিপদ বাড়ায় শব্দবাজি (Firecrackers)। কিন্তু আলোর বাজি! এ কি বিপদমুক্ত? বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, বিপদ লুকিয়ে আছে আলোর বাজিতেও। বিশেষত শিশুদের জন্য বাড়তি বিপদ বাড়াচ্ছে এই আলোর বাজি। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দীপাবলির উদযাপনে আলোর বাজিতে মাতলে বিপদ বাড়বে। সতর্কতা জরুরি।

    কী ধরনের বিপদ বাড়াচ্ছে আলোর বাজি? (Firecrackers)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আলোর বাজির ধোঁয়া আর রাসায়নিক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই আলোর বাজি একেবারেই বিপদমুক্ত নয়। বরং শীতের শুরুতে এই বাজির ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে ঋতু পরিবর্তন হয়। তাপমাত্রার অনেকটাই হেরফের হয়। এর ফলে, বাতাসে ধুলিকণার মাত্রা বাড়ে। এর জেরে এই সময়ে অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। আবার অনেকর নানান রকম অ্যালার্জি হয়। আর আলোর বাজির ধোঁয়া বাতাসে সেই ধুলিকণার মাত্রা আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে কয়েক গুণ (Firecrackers)। 
    ধোঁয়ার পাশপাশি আলোর বাজিতে যে সমস্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশেষত শিশুস্বাস্থ্যের জন্য এগুলো খুবই বিপজ্জনক বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিছু আলোর বাজি পুড়লে এক ধরনের সাদা ধোঁয়া আর আলো দেখা দেয়। এগুলোতে অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাডমিয়ামের মতো রাসায়নিক পদার্থ থাকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ম্যাগনেসিয়ামের প্রভাবে পাকস্থলীর মারাত্মক ক্ষতি হয়। ক্যাডমিয়ামের জেরে অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। 
    আবার কিছু আলোর বাজিতে কমলা আলো দেখা দেয়। এই ধরনের বাজিতে লোহা ও বিভিন্ন ধরনের কার্বনেট যৌগ ব্যবহার করা হয়। নীল বা হলুদ আলোর বাজিতে অতিরিক্ত তামার ব্যবহার হয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমবেশি সব ধরনের বাজিতেই (Firecrackers) সীসা, নাইট্রিক যৌগের ব্যবহার হয়। যা খুবই বিপজ্জনক। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সীসার জেরে আজীবন চর্মরোগের শিকার হতে পারে শিশুরা। এছাড়াও, কিডনি, লিভার এবং চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে সীসা। নাইট্রিক যৌগের প্রভাবে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে শিশুরা মানসিক অস্থিরতার সমস্যায় ভুগতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক মহল।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Firecrackers)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বছরের এই সময়ে খুবই সচেতনতা জরুরি। বিশেষত শিশুদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। বাতাসের ধুলিকণা আর বাড়তি বিপজ্জনক বিষ এড়াতে এই সময়ে মাস্ক ব্যবহার জরুরি। এতে ফুসফুস ও শ্বাসনালীর একাধিক সংক্রমণ এড়ানো সহজ হবে। বাজি পোড়ানোতেও লাগাম জরুরি। ছোটদের পাশপাশি অভিভাবকদেরও দূষণহীন দীপাবলির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে হবে। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: সরকারি জমির জাল নথি তৈরি করে চলছে বিক্রি, টিটাগড়ে সক্রিয় জমি মাফিয়ারা

    Titagarh: সরকারি জমির জাল নথি তৈরি করে চলছে বিক্রি, টিটাগড়ে সক্রিয় জমি মাফিয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিটাগড় (Titagarh) পুরসভা জুড়ে জমি মাফিয়ারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকারি জমির জাল নথি তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। আর বিষয়টি সামনে আসতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় পুর কর্তৃপক্ষের। জমি মাফিয়াদেরকে তৃণমূলের একটা অংশ মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। সব জেনেও প্রশাসন চুপ রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জমি মাফিয়ারা সরকারি জমি বিক্রি করে দিচ্ছে।

    কীভাবে জালিয়াতির বিষয়টি সামনে এল? (Titagarh)

    টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং খড়দা পুরসভার-১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় টিটাগড় পুরসভার প্রায় সাড়ে তিনশো বিঘা জমি রয়েছে। রেল লাইনের ধারেই এই জমি রয়েছে। জমির গুরুত্ব অনুসারে অত্যন্ত লোভনীয় প্লট। স্বাভাবিকভাবে দামও চড়া। জমি যে জায়গায় রয়েছে সকলের তা পছন্দ হবে। ফলে জমি মাফিয়ারা সহজেই ভালো দামও পাচ্ছে। আর সেই জমি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই জমি মাফিয়ারা বেশ কয়েকজনকে এই জমি বিক্রি করেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি মাফিয়াদের কাছ থেকে জমি কেনার পরেই এক ব্যক্তি জমির মিউটেশন করতে পুরসভা এসেছিলেন। পুর কর্তৃপক্ষ জমির অবস্থান তদারকি করতে গিয়ে জানতে পারে, পুরসভার জমি কিনেছে ওই ব্যক্তি। এরপরে জমি মাফিয়াদের জমি জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। তদন্ত নেমে জানতে পারে ওই এলাকায় এরকম অনেককেই জমি বিক্রি করেছে জমি মাফিয়ারা। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে পুর কর্তৃপক্ষ।

    পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    পুরসভার (Titagarh) চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ বলেন, জমির কিছু দালাল এই বেআইনি কারবার করছে। টিটাগড় পুরসভার সাড়ে তিনশো বিঘা জমির বেশ কিছুটা বিক্রি করে দিয়েছে তারা। আমাদের কাছে যারা আসছে তাদের ক্ষেত্রেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত জমিতে আমরা পুরসভার বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি। আর জমি কেনার ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পরেই জমি কেনার জন্য সকলকে আবেদন জানাচ্ছি। যে বা যারা এভাবে জাল নথি তৈরি করে সরকারি জমি বিক্রি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।। কাউকে রেয়াত করা হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ডিলাররা ফড়েদের কাছে রেশন-সামগ্রী বিক্রি করত, অভিযোগে তোলপাড় মেমারি

    Ration Scam: ডিলাররা ফড়েদের কাছে রেশন-সামগ্রী বিক্রি করত, অভিযোগে তোলপাড় মেমারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিলাররা ফড়েদের কাছেই রেশনের (Ration Scam) সামগ্রী বিক্রি করে। উপভোক্তাদের এই অভিযোগে তোলপাড় পূর্ব বর্ধমানের মেমারি। রেশন-দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অপর দিকে রেশনের চাল, আটা, গম বিক্রি করে কালো টাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পাহাড় নির্মাণ করেছেন তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান। এখন জেলায় জেলায় রেশন দুর্নীতি মামলায় চলছে ধরপাকড় এবং তল্লাশি। রেশনের সামগ্রী ফড়েদের কাছে বিক্রি করেই করা হত রেশন-দুর্নীতি।

    কীভবে চলত বিক্রি (Ration Scam)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন (Ration Scam) ডিলাররা উপভোক্তাদের অনলাইনের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী না দিয়ে দিতেন টোকেন। এরপর উপভোক্তাদের প্রাপ্য সামগ্রী এক দল অসাধু ব্যবসায়ী বা ফড়েদের কাছে বিক্রি চলতো। এই বিষয়ে মেমারির বেনাপুর গ্রামের মানুষের অভিযোগ, এমন ভাবেই এই এলাকার ডিলার, রেশনের সামগ্রী বিক্রি করে দুর্নীতি করতেন। আর গতকাল মঙ্গলবার এই অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে পুলিশ।

    রেশন ডিলারের বক্তব্য

    স্থানীয় ডিলার রাজীব রায় বলেন, “ওই টোকেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারেন। রেশন সামগ্রীর হিসাবেও গোলমাল হচ্ছে, খাদ্য দফতরকে জানাবো।” পরে অবশ্য রেশন দোকানের কর্মী বিপ্লব পাল বলেন, “টোকেন দেখেই আমরা রেশন সামগ্রী দিতাম। তবে কাকে কীভাবে টোকেন দেওয়া হয়েছে, তা আমি বলতে পারবো না।”

    পূর্ব বর্ধমানের জেলা খাদ্য নিয়ামক মিঠুন দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে তদন্তকারী অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি রসুলপুরের রেশন (Ration Scam)  ডিলারকে সোমবার সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

    ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

    পশ্চিমবঙ্গ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক পরেশচন্দ্র হাজরা বলেন, “রেশন বণ্টনে (Ration Scam) টোকন দেওয়ার বিশেষ কোনও নিয়ম নেই। ইংরেজি বুঝতে না পারলে গ্রাহকের অনলাইন বিলের পিছনে প্রাপ্য সামগ্রী লিখে রাখতে হবে। এই বিষয়ে খাদ্য দফতর ব্যবস্থা যদি না নেয়, তাহলে ডিলার অ্যাসোসিয়েশন কোনও ব্যবস্থা নেবে না। ”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল যুবকের, আতঙ্ক

    Dengue: রাজ্যে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল যুবকের, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতেও ঘাতকের রূপ নিল ডেঙ্গি (Dengue)। বুধবার সকালে শিলিগুড়ি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক যুবকের মৃত্যু হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই যুবকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের দাবি, এবছর শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dengue)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ নভেস্বর, মঙ্গলবার ২৭ বছর বয়সী ওই যুবককে এখানে ডেঙ্গি শক সিনড্রোম নিয়ে ভর্তি করানো হয় একটি নার্সিংহোমে। পাঁচদিন ধরে জ্বর ছিল। তার আপার ইন্টেস্টিনাল ব্লিডিং হচ্ছিল। হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, প্লেটেলেট কমে যাওয়ায় দুই ইউনিট প্লেটলেট দেওয়া হয়। আমরা তাঁকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন সকালে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে সেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এবার প্রথম থেকেই শিলিগুড়ি পুরসভা ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪২৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর ঘটনা এদিনই প্রথম ঘটল। তবে এবার শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতবারের মতো ব্যাপক আকার নেয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ২৭ বছর বয়সের ওই যুবকের মৃত্যুতে শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণের প্রকৃত চেহারা প্রকাশের দাবি তুলেছে বিজেপি। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি কাউন্সিলার অমিত জৈন বলেন, শহরে অনেকদিন থেকেই ডেঙ্গি ব্যাপক আকার নিয়েছে। সেই তথ্য গোপন রেখে মেয়র সহ তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। তাই অক্টোবর মাসেই দেড়শোরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রন্ত হয়েছেন। পুজোর সময়ে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (ভিসিটি) কাজ করেনি। মশা নিধনে ফগিং, স্প্রে হয়নি। সকলে উৎসব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অক্টোবর মাসে শিলিগুড়ি শহরের ডেঙ্গি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ডেঙ্গির প্রকৃত চিত্র সামনে আনছে না পুরসভা। এদিন ডেঙ্গিতে এক যুবকের মৃত্যু হলেও তা আড়াল করার প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক কী বললেন?

    দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলেন, ওই যুবক ডেঙ্গিতে (Dengue) মারা গিয়েছে, তা এখনই  নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কারণ তার যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তার প্রকৃত কারণ জানতে হবে। অন্য কোনও কারণে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকতে পারে এবং সেই অবস্থাতে সে ডেঙ্গি আক্রান্ত হতে পারে। তাই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: সেই সিঙ্গুরেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! জমি অধিগ্রহণে গিয়ে এবার ঘাড়ধাক্কা খেল মমতার দফতর

    Singur: সেই সিঙ্গুরেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! জমি অধিগ্রহণে গিয়ে এবার ঘাড়ধাক্কা খেল মমতার দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। নিয়ম মেনে জমি অধিগ্রহণ করে টাটা গোষ্ঠী হুগলির সিঙ্গুরে (Singur) ন্যানো কারখানা তৈরি করছিল। ৯০ শতাংশ কারখানা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। দো-ফসলি জমি নষ্ট করে শিল্প করা যাবে না, এই অজুহাত দেখিয়ে চাষিদের বন্ধু হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে আন্দোলন শুরু করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের আন্দোলনে পিছু হটতে বাধ্য হয় টাটা গোষ্ঠী। সিঙ্গুর আন্দোলনের উপর ভর করে রাজ্যে বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর এক যুগ কেটে গিয়েছে। এবার সেই সিঙ্গুর, সেই জমির গেরো! আর তাতেই মমতা সরকারের আমলে জুয়েলারি হাবের ভবিষ্যৎ শিকেয়। আপাতত হন্যে হয়ে জমি খুঁজছে হুগলি জেলা প্রশাসন। এলাকার মানুষের বাধায় জুয়েলারি হাব করার জন্য তৃণমূল সরকার সিঙ্গুরে জমি পায়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত এই কাজ করা হবে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Singur)

    এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সিঙ্গুরে (Singur) নসিবপুর পঞ্চায়েতে সরকারি খাস জমিতে ০.২৩ একর জমিতে সিঙ্গুর ইমিটেশন জুয়েলারি ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, সেখানে ৩৮টি ইউনিট থাকবে। এর মাধ্যমে হাজার পাঁচেক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ পাবেন, মিলবে নানা ধরনের সুবিধা। গত মার্চ মাসেই সরকারি কর্তারা জমি মাপতে এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে তাঁরা বাধা পান। টাটাদের যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একইভাবে এলাকার মানুষ সরকারি ওই আধিকারিকদের বাধা দেন। ব্লক প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা পৌঁছলেও জট কাটেনি। এলাকার মানুষ সরকারি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়ে বলেছিলেন, এই জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা কিছুতেই করতে দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসন বহু চেষ্টা করেও চাষিদের মন জয় করতে পারেনি। আর তাই বছরের প্রায় প্রথম দিক থেকে জমি নিয়ে এই হাব তৈরিতে সমস্যা হলেও বছর শেষেও এই সমস্যা মিটল না। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টুম্পা ঘোষ বলেন, ‘জায়গাটা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’ বিরোধীদের বক্তব্য, এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে সিঙ্গুরেও মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। চাষিরাও আর দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না। এই সিঙ্গুর তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছে, এই সিঙ্গুরই তৃণমূলকে ডোবাবে।

    কী বললেন জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার?

    জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুমনলাল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিঙ্গুরে (Singur) জুয়েলারি হাবের জন্য আগে যে জমি দেখা হয়েছিল সেখানে কিছু সমস্যা আছে। আমরা নতুন জমি খুঁজছি। আমরাও চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব জমি খুঁজে এই ক্লাস্টারের কাজ চালু করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মৃতের নাম শুভদীপ মিশ্র। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের কাছে বুধবার সকালে বটগাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন শুভদীপবাবু। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভদীপ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ায় এলাকার মানুষের অনেকটাই কাছের হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ভালো সংগঠক ছিলেন। মাঝে মধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। গত সাতদিন আগে তিনি উধাও হয়ে যান। মঙ্গলবারই বাড়ি ফেরেন। এরপরই এদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির কাছে একটি বটগাছের ডালে নাইলন দড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের সঙ্গে বাঁধা ছিল হাত। প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ গেলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবি জানানো হয়। এভাবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। তার পর ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ দেহ নিতে গিলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। দোষীদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামের মানুষ। ভাঙচুর করা হয় প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়িও। ওই মহিলা-সহ তাঁর পরিবারের তিনজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা প্রথমে বাধা দেন।খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি যান। মৃতের গলা থেকে ফাঁস খুলে দেহ গাড়িতে চাপিয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই শালতোড়ার বিধায়ক পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ পাঁজাকোলা করে বিধায়ককে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বলেন, পরিবারের দাবি, দীপুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি তদন্তের দাবি জানালে আমাকেও হেনস্তা করেছে পুলিশ। রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আমরা তদন্তের দাবি থেকে নড়ছি না। এর পর আমরা গঙ্গাজলঘাটি থানা ঘেরাও করব। প্রয়োজনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করব।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন তিনি ট্যুইট করে স্পষ্ট বলেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী শুভদীপের জনপ্রিয়তা মানতে পারেনি তৃণমূল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে শুভদীপকে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ, সিবিআই তদন্ত চাই’।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাটি-২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, ঘটনা আত্মহত্যা কি না তা তো তদন্তেই বোঝা যাবে। পারিবারিক কারণেই এই ঘটনা বলে আমার ধারণা। প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share