Tag: Bengali news

Bengali news

  • Barrackpore: সেনাবাহিনীর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ! প্রতারণার কৌশল দেখে তাজ্জব সকলে

    Barrackpore: সেনাবাহিনীর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ! প্রতারণার কৌশল দেখে তাজ্জব সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল দেখে হতবাক প্রতারিতরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে  বারাকপুর (Barrackpore) শহরে। এই ঘটনা জানাজানি হতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুরের (Barrackpore) একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। বারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে বলছি বলে সেন্টারের কর্মীকে বলা হয়, ২৭ জন জওয়ানের রক্ত পরীক্ষা হবে। শুক্রবার সকালে সেনা ছাউনিতে এসে তাদের রক্ত নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। গেট পাশের জন্য সেন্টারের দুই কর্মীর আধার কার্ড চাওয়া হয়। কথাবার্তা দেখে কোনও সন্দেহ না হওয়ায় বিশ্বাস করে দুই কর্মী তাঁদের আধার কার্ড দিয়ে দেন। রাত নটার দিকে ফের ফোন করা হয় ওই নম্বর থেকে। এরপর রক্ত পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগবে, তার হিসেব চাওয়া হয়। সেন্টারের পক্ষ থেকে হিসাব দেওয়ার পর তাদের কাছ থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করার দুটি ফোন নম্বর চাওয়া হয়। সেই মতো সেন্টারের দুই কর্মী তাদের ফোন পে নম্বর দেন। সেই নম্বরে বেশ কিছুটা টাকাও পাঠায় প্রতারকরা। ঘণ্টা খানেক পর দুটি অ্যাকাউন্ট থেকেই সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। অ্যাকাউন্ট থেকে এভাবে টাকা সাফ হতে দেখে হতবাক হয়ে যান প্রতারিতরা। এরপর তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    প্রতারিত হওয়া কর্মীর কী বক্তব্য?

    সংস্থার এক কর্মী শম্পা সাহা বলেন, ওরা যেভাবে কথা বলছিল, তাতে আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। তাছাড়া আমাদের অনলাইনে অ্যাকাউন্ট নেওয়ার পর সেখানে টাকা পাঠায়। আমাদের অনেকটাই বিশ্বাস জন্মেছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা উধাও হয়ে যাবে আমরা বুঝতেই পারিনি। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা  লুট করে নিয়েছে প্রতারকরা।

    সংস্থার মালিক কী বললেন?

    ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার মানস দে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান ২৩ বছরের পুরনো। বহু সেনাকর্মী আমাদের কাছে রক্ত পরীক্ষা করেন। এভাবে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারছি না। শুধু আধার কার্ড দেওয়ার জন্য এভাবে টাকা লুট হয়ে যায়! ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সুরক্ষা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: দেবীর বাঁ পা সিংহের উপর, ডান-পা পদ্মফুলে! জানুন হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

    Kali Puja 2023: দেবীর বাঁ পা সিংহের উপর, ডান-পা পদ্মফুলে! জানুন হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম শিবপুরের হাজার হাত কালী মন্দিরের পুজো (Kali Puja 2023)। শিবপুরের মন্দিরতলা এলাকায় এই কালী ঠাকুরের নাম অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে হাজার হাত কালীতলা। কালীপুজোর দিন বিশেষ পুজো হয় এখানে। হাজার হাত কালীর এক অদ্ভুত রূপ। দেবীর বাঁ হাতে খড়্গ, ডান হাতে পঞ্চশূল, বাঁ পা সিংহের উপরে ও ডান-পা পদ্মফুলের উপরে। দুটি পা দু-দিকে থাকার অর্থ, মা সব সময় জলেও রয়েছেন, স্থলেও রয়েছেন। আর ডান হাতে পঞ্চশূল দিয়ে মা সকলকে রক্ষা করছেন। আর যদি কেউ ভুল করে বা ভুল পথে যায়, তাহলে মা তাঁকে খড়্গ দেখিয়ে সচেতন করার বার্তাও দিচ্ছেন। মা কালীর এই রূপ সচরাচর দেখা যায় না।

    তন্ত্র মতে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী (Kali Puja 2023)

    তবে দক্ষিণ ভারতে বিশেষ জনপ্রিয় হাজার হাত কালী। হাওড়ার শিবপুরে হাজার হাত কালীতলায় প্রায় ২৫ ফুট উঁচু মায়ের এই মূর্তি রয়েছে। শোনা যায়, এখনও পর্যন্ত কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি। গোনা বারণও রয়েছে। প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, স্থানীয় মুখোপাধ্যায় বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে মা চণ্ডী স্বপ্নাদেশ দিয়ে কালীর এই রূপ দেখান এবং মন্দির তৈরির আদেশ দেন। সেই স্বপ্নাদেশ মোতাবেক তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবীর এই রূপের পুজো (Kali Puja 2023) করতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। তবে এই মন্দির নির্মাণের বিপুল ব্যয়ভার বহন করার সাধ্য ছিল না তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বা তাঁর পরিবারের। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের এই ইচ্ছাপূরণের জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় ধনী হালদার পরিবার। তাদের চেষ্টায় ১৮৭০ সালে স্থাপিত হয় হাজার হাত কালী মন্দির এবং দেবীর এই বিশেষ রূপ এখানে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সেই থেকে তন্ত্র মতে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী।

    কিছু প্রার্থনা করলে সেটি পূর্ণ হয় (Kali Puja 2023)

    বলিপ্রথা এখানে নেই এবং প্রাচীন প্রথা মেনে আজও মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা এখানে পুজো করে আসছেন। মায়ের পুজো ও মঙ্গলারতিতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেজন্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মায়ের মন্দিরের নামে বেশ কিছু সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। সেই সম্পত্তি থেকেই আয় যা আসে, তা থেকে মায়ের পুজো করা হয় ও মন্দিরের সংস্কার করা হয়। দৈনন্দিন পুজোর পাশাপাশি বুদ্ধপূর্ণিমা ও দীপাবলিতে এখানে বিশেষ পুজো হয়। দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ। সেই উপলক্ষ্যে প্রচুর জনসমাগম হয়। কালীপুজোর দিনে পুণ্যার্থীদের ভিড় এতটাই হয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে হয়। বিশ্বাস, মায়ের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সেটি পূর্ণ হয়। কালীপুজোর দিন খিচুড়ি, পায়েস পোলাও, রাইস, মাছ, মিষ্টি সহ একাধিক নানা প্রকারের ভোগ দেওয়া হয় দেবীকে। ৩ সময় পুজো হয় ভোরবেলা, দুপুরবেলা ও রাত্রিবেলা। ফল-মিষ্টি দিয়ে পুজো (Kali Puja 2023) করা হয় মাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ, মরুরাজ্যে ২৫ জায়গায় তল্লাশি ইডির

    ED Raid: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ, মরুরাজ্যে ২৫ জায়গায় তল্লাশি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে একযোগে রাজস্থানের ২৫টি জায়গায় হানা দিল ইডি (ED Raid)। রাজ্যের এক আইএএস আধিকারিক সহ রাজ্য প্রশাসনের বেশ কয়েকজন পদাধিকারীর বিরুদ্ধে এই তল্লাশি অভিযান করে ইডি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেস এনিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে।

    জলজীবন মিশন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ

    অভিযোগ, প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প রয়েছে জলজীবন মিশন। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে এই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সে রাজ্যের শাসক দলের নেতা তথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। রাজস্থানের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব সুবোধ আগরওয়ালের বাড়িতেও চলে তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, আরও বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিক রয়েছেন ইডির (ED Raid) আতস কাঁচের তলায়। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় জলজীবন মিশন ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে রাজস্থানের ‘অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো’ প্রথম  অভিযোগ দায়ের করে।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে এসেছে ৫০ হাজার কোটি টাকার এফডিআই

    চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগও রয়েছে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে 

    প্রসঙ্গত, জলজীবন মিশন ছাড়া রাজস্থানে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগও উঠেছে। ইডির (ED Raid) দাবি, এখানেও বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে মরুরাজ্যের শীর্ষ কংগ্রেস নেতা তথা একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ সিং এর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্র বৈভব গেহলটকে। রাজস্থানের ভোট রয়েছে আগামী ২৫ নভেম্বর। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। নির্বাচনের আগে দুর্নীতির অভিযোগে বেসামাল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: যজ্ঞ এবং বলি পুজোর প্রধান অঙ্গ! মা কালীর ১১ রূপের মাহাত্ম্য জানেন কি?

    Kali Puja 2023: যজ্ঞ এবং বলি পুজোর প্রধান অঙ্গ! মা কালীর ১১ রূপের মাহাত্ম্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা কালী (Kali Puja 2023) বিভিন্ন রূপে পূ্জিত হন। তন্ত্র মতে, শক্তি আরাধনায় মা কালী ভীষণ জাগ্রত দেবী। মাকে ১১ রূপে বিনাশকারী শক্তি হিসাবে আরাধনা করে থাকেন ভক্তরা। যজ্ঞ এবং বলি হল পুজোর একটি প্রধান অঙ্গ। আসুন জেনে নিই মায়ের ১১ প্রকার তান্ত্রিক শক্তির মাহাত্ম্যকথা এবং কীভাবে তিনি পূজিত হন।

    দক্ষিণাকালী

    গ্রাম বাংলায় সবথেকে বেশি কালীপুজো (Kali Puja 2023) হয় দক্ষিণাকালীর। এই কালী শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। মায়ের সমস্ত শরীর নীল বর্ণের হয়ে থাকে। রুদ্র মূর্তি, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশী হয়ে থাকেন মা। গলায় মুণ্ডমালার সমাহার। বাম হাতে নরমুণ্ড এবং খড়্গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা। মায়ের পদতলে থাকেন মহাদেব।

    শ্মশানকালী

    এই কালীপুজো মূলত শ্মশানে হয়ে থাকে। বাড়িতে শ্মাশানকালীর পুজো হয় না। আদি পর্ব থেকেই অশুভ কাজ করতে যাওয়ার আগে ডাকাতরা এই কালীপুজো করতেন। বাংলার অনেক বিখ্যাত ডাকাত এই দেবীর উপাসক ছিলেন। তন্ত্র, মন্ত্র এবং বলি এই কালীপুজোর অন্যতম উপাদান।

    সিদ্ধকালী

    এই সিদ্ধকালীর আরেক নাম হল ভুবনেশ্বরী। অমাবস্যার দিনে এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) হয়ে থাকে। সাধারণ পরিবারে এই কালীপুজো হয় না। সাধকরা মূলত সিদ্ধিলাভের জন্য এই পুজো করে থাকেন। এই কালীর দুই হাত থাকে। দেবীর শরীরে গয়না থাকে। এই দেবী অমৃত বর্ণে সজ্জিত থাকেন।

    ফলহারিণী কালী

    এই কালীপুজো হল বাৎসরিক পুজো। গৃহস্থের বাড়িতে শান্তি ফেরাতে কালীপুজো করা হয়ে থাকে।

    মহাকালী

    এই কালীর একসঙ্গে দশ মাথা, দশ হাত এবং দশ পা থাকে। দেবীর পায়ের নিচে কাটা মস্তক থাকে। দশ হাতেই অস্ত্র সজ্জিত থাকে। তবে শিব ঠাকুর মায়ের সঙ্গে থাকেন না। ভূত চতুর্দশীর দিনে এই মহাকালীর পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত বাড়িতে এই কালীপুজো হয় না।

    কাম্যাকালী

    এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) সাধারণত অষ্টমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমাতে হয়ে থাকে। মোটামুটি দক্ষিণা কালীর মতোই পূজিত হন। বিশেষ মনোবাসনা পূরণের আশায় এই দেবীর আরধনা করা হয়।

    গুহ্যকালী

    এই দেবীর গায়ের রং কালো। গালায় ৫০ টি নরমুণ্ড হার সজ্জিত থাকে। কানে থাকে শব দেহ বিশিষ্ট অলঙ্কার। তন্ত্রমতে এই দেবীর রূপ অত্যন্ত ভয়ঙ্করী।

    ভদ্রকালী

    জনসমাজের কল্যাণের কারণে এই কালীপুজো করা হয়। মূলত বিভিন্ন বারোয়ারি মন্দিরে এই দেবীর পুজো করা হয়।

    চামুণ্ডা কালী

    চামুণ্ডা কালী হল আদি শক্তি। তিনি একই সঙ্গে ভগবতী দুর্গা আবার একই সঙ্গে পার্বতী। সেই সঙ্গে চণ্ড ও মুণ্ড নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন দেবী। অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করেন এই চামুণ্ডা দেবী।

    শ্রীকালী

    শ্রীকালী, দেবী দুর্গা অথবা পার্বতীর বিশেষ বিশেষ রূপ। এই দেবী দারুক নামক অসুরকে বধ করেছিলেন। মহাদেবের কণ্ঠে ঢুকে কণ্ঠের বিষকে ধারণ করেন এই দেবী।

    রক্ষাকালী

    দক্ষিণাকালীর একটি বিশেষ রূপ হল রক্ষাকালী। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করার জন্য এই দেবীর নাম রক্ষাকালী। পরিবারে সাধারণ বসতিভুমিকে রক্ষা করতে এই দেবীর পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MLA: মহিলা বিডিও-র বদলিতে প্রকাশ্যেই কান্নায় ভাসালেন তৃণমূল বিধায়ক, হতবাক সকলে

    MLA: মহিলা বিডিও-র বদলিতে প্রকাশ্যেই কান্নায় ভাসালেন তৃণমূল বিধায়ক, হতবাক সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনেই হয়েছেন বিডিও বদলি। বিডিওকে ফেয়ারওয়েল জানানোর জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজনও করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ, কর্মীর সংখ্যা কম ছিল না। সকলের সামনেই কেঁদে উঠলেন তৃণমূল বিধায়ক (MLA) সুকুমার দে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মীরা। প্রকাশ্যে এসেছে ভিডিও। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা নন্দকুমারে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিডিও হিসেবে শানু বক্সি বেশ কিছুদিন ধরেই নন্দকুমার বিডিও অফিসে ছিল। অন্যত্র বদলি হতেই কর্মীদের উদ্যোগে বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় বিধায়ক (MLA) হিসেবে সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সুকুমার দে। অনুষ্ঠানে সকলেই বিডিওকে নিয়ে কথা বলেন। বিধায়কও তাঁর গুণকীর্তন করেন। পরে, তিনি আচমকাই বিডিও-র পাশে বসেই কাঁদতে শুরু করেন। প্রকাশ্যে এভাবে বিধায়ককে কাঁদতে দেখে অনেকে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার মহিলা বিডিও শানু বক্সি এবং বিধায়কের দুর্নীতির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, বিডিও-র বদলির জন্য বিধায়ককে এভাবে কাঁদতে দেখে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই অবাক হয়েছেন।

    বিডিও-র বদলিতে কান্না নিয়ে কী ব্যাখ্যা দিলেন বিধায়ক? (MLA)

    প্রকাশ্যে কান্নার ভিডিও সামনে আসতেই চরম বিড়ম্বনায় পড়েন বিধায়ক। যদিও এই বিষয়ে ব্যখ্যা দিয়ে সুকুমারবাবু বলেন, বিডিও-র আন্তরিকাতা, ভালবাসা সকলের মনেই দাগ কেটেছে। তাই আবেগতাড়িত হয়ে আমি আর চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। এর অন্য কোনও অর্থ খোঁজা ঠিক নয়।

    কী বললেন বিডিও?

    অন্যদিকে বিডিও শানু বক্সি বলেন, এখানে কাজ করার সময় কখনও অফিসে কাজ করছি বলে মনে করিনি। সবসময় বাড়ি বলে মনে করেছি। পরিবারে সঙ্গে যে ভাবে থাকি, সেভাবেই অফিসে থাকতাম। এদিন সকলের কাছে বিদায়ী সংবর্ধনা পেয়ে ভাল লাগছে।

    বিরোধীরা কী বলছে?

    যদিও ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলেও। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন, ওরা তো দু’জনে মিলে দুর্নীতি করেছেন। এখন বিডিও চলে যাচ্ছেন। সঙ্গী চলে যাওয়ায় দুঃখেই কেঁদে ফেলেছেন বিধায়ক (MLA)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে উঠেছিল বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ!

    Kali Puja 2023: আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে উঠেছিল বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শতাব্দীপ্রাচীন ও জাগ্রত কালীপুজোর (Kali Puja 2023) মধ্যে অন্যতম হল বালুরঘাট তহবাজার এলাকার বুড়া কালীমাতার পুজো। এখনও সেই পুরনো রীতি-রেওয়াজ মেনেই হয় বালুরঘাট বুড়া কালীমাতার পুজো। তবে কালের স্রোত ও সময়ের সঙ্গে বর্তমানে পুজোর কিছু নিয়ম পরিবর্তিত হয়েছে। শতাব্দীপ্রাচীন হলেও এই পুজোকে কেন্দ্র করে জেলাবাসীর মনে অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। কালীপুজোর দিন এই পুজোকে ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার বুড়া কালীবাড়িতে পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন পড়ে ভক্তদের।

    সারা গায়ে সোনা থেকে রুপোর অলঙ্কার (Kali Puja 2023)

    লোকমুখে শোনা যায়, কয়েকশো বছর আগে বর্তমান বালুরঘাট বুড়া কালীমাতার মন্দিরের পাশ দিয়ে নাকি আত্রেয়ী নদী বইতো। এমনকি লোক মুখে শোনা যায়, মন্দির ও বাজারের জায়গায় ছিল ঘন জঙ্গল। শতাব্দীপ্রাচীন পুজো হলেও এই পুজোর সঠিক বয়স কত, তা কেউ বলতে পারে না। এক সময় আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ বা শিলাখণ্ড। এক তান্ত্রিক সেই সময় নাকি ওই বিগ্রহকে তুলে নিয়ে এসে পুজো দেন। তার পর থেকেই নাকি এই পুজো শুরু হয়। টিনের ঘেরা দিয়ে বুড়া কালীমাতার পুজো শুরু হয়। বর্তমানে বিশাল আকারের মন্দিরে পূজিতা হন বুড়া কালীমাতা। পুজোর দিন মায়ের মূর্তির (Kali Puja 2023) সারা গা সোনা থেকে রূপার অলঙ্কারে সুসজ্জিত থাকে। পুজোকে ঘিরে দিন কয়েক হাজার ভক্তদের সমাগম হয় পুজো প্রাঙ্গনে। পুজোতে এখন পাঁঠা বলি, শোল মাছ বলি হয়। তবে জনশ্রুতি আছে, আগে নাকি ২০ কিলো ওজনের শোল মাছ বলি দেওয়া হত। এই পুজোকে ঘিরে শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরবাসীর নয়, পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর ও মালদা, শিলিগুড়ি থেকেও প্রচুর ভক্ত বা দর্শনার্থী আসে। বর্তমানে বুড়া কালী মন্দির থেকে অনেকটা পশ্চিমে সরে গেছে আত্রেয়ী নদী।

    রানি রাসমণি এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন? (Kali Puja 2023)

    জনশ্রুতি আছে, একটা সময় নাকি কলকাতার রানি রাসমণি এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন। বজরায় করে এসে তিনি আত্রেয়ী নদী থেকে জল নিয়ে এসে মায়ের পুজো দিয়ে আবার ফিরে যেতেন কলকাতায়। তবে এর সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি। এই বিষয়ে পুজা কমিটির সম্পাদক গোপাল পোদ্দার বলেন, আমরা শুনেছি আত্রেয়ী নদীর ধারে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়া কালীমাতার শিলাখণ্ড। সেই সময় ওই শিলাখণ্ড তুলে নিয়ে এসে পুজো দেন এক তান্ত্রিক। তার পর থেকেই শুরু হয় মায়ের পুজো (Kali Puja 2023)। প্রতি বছর দীপান্বিতা অমাবস্যায় মায়ের পুজো হয়। পুজোর দিন বহু ভক্ত আসেন পুজো দিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: উঁচু পাঁচিল ঘেরা জমি, মহিলাদের ছিল আনাগোনা, বালুর বেনামে এই বাড়ি ঘিরে রহস্য

    Jyotipriya Mallick: উঁচু পাঁচিল ঘেরা জমি, মহিলাদের ছিল আনাগোনা, বালুর বেনামে এই বাড়ি ঘিরে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির চারপাশে ১২ থেকে ১৪ ফুটের পাঁচিল। ২৭ কাঠা এলাকা, পুরোটাই ঘেরা রয়েছে পাঁচিল দিয়ে। ভিতরে উঁকি মারলে দেখা যাবে সাদা রঙের একটি বাড়ি। কে থাকেন ওই বাড়িতে? কী কাজ হয়? কেউ জানেন না। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের মণ্ডলপাড়ায় গেলে এই বাড়িটি চোখে পড়বে। বাড়ি ও জমির মালিকানা তাঁর নামে না থাকলেও, এলাকার প্রায় সব বাসিন্দাই জানেন, এটা বালুদা-র (মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) (Jyotipriya Mallick) বাড়ি।

    বাড়ি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে ওই জমি কেনা হয়। পরে বাড়ি তৈরি করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। উঁচু পাঁচিলে ঘেরা। জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ওই এলাকার আর কারও বাড়িতে এমন পাঁচিল নেই। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে বা বেনামে ঠিক কোথায়, কত সম্পত্তি আছে, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। তবে গাইঘাটার মণ্ডলপাড়ায় এই বাড়ি আলাদা করে চিনিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এক বাসিন্দা বলেন, আমরা শুধু শুনেছি এটা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি, কাউকে দেখিনি কখনও। আবার আর এক বাসিন্দার দাবি, কখনও কখনও মহিলারা গেট খুলে ভিতরে যান। এর বেশি কিছু জানি না। অনেকে আবার সেই কথাও বলতে চাইছেন না। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ বছর ধরে উঁচু পাঁচিল দেওয়া বাড়ির মধ্যে কী হয়, তা নিয়ে রহস্য রয়ে গিয়েছে। ইডি-র হাতে মন্ত্রী গ্রেফতার হলেও এই বাড়ির রহস্য ভেদ করতে এলাকার মানুষ এখনও সাহস করছেন না। 

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি?

    গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, মন্ত্রীর (Jyotipriya Mallick) জমি কেনার কথা আমি জানতাম। আমাকে একবার বলা হয়েছিল, বিদেশ থেকে ফান্ড আসবে। ওই বাড়িতে অনাথ আশ্রম তৈরি হবে। কখনও আবার বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল। আবার কেউ বলছেন, ওই বাড়িতে কয়েকজন মহিলার যাতায়াত ছিল, যাঁরা সেলাই-এর কাজ করতেন। কিন্তু, সেই ২০১১ সাল থেকে ওই বাড়িতে কী করা হত, তা সঠিকভাবে আমরা কেউ জানি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Food Processing: মোদি জমানায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে এসেছে ৫০ হাজার কোটি টাকার এফডিআই

    Food Processing: মোদি জমানায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে এসেছে ৫০ হাজার কোটি টাকার এফডিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ বছরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ৫০ হাজার কোটি টাকার এফডিআই (Food Processing) এসেছে ভারতে। তাঁর সরকারের এই বিপুল সাফল্যের কথাই এদিন দিল্লিতে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদির মতে, ‘‘এটা সম্ভব হয়েছে সরকারের সুনির্দিষ্ট শিল্প এবং কৃষক নীতির কারণেই।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে গত ৯ বছরে রফতানি বেড়েছে ১৫০ শতাংশ।’’ বিগত ৯ বছরে যেটি একটি মাইলফলক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    দিল্লিতে চলছে ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া সম্মেলন

    শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি হাজির ছিলেন দিল্লির ভারত মণ্ডপমে। ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া’র দ্বিতীয় সম্মেলনের (Food Processing) এদিন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিন দিনের এই সম্মেলন শেষ হচ্ছে আগামী ৫ নভেম্বর। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক লাখ ‘সেলফ হেল্প গ্রুপ’-এর হাতে বিভিন্ন শস্যের বীজও তুলে দেন। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন ‘ফুড স্ট্রিট’-এর যা ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া’র একটি অংশ। জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল বিশ্বের মঞ্চে ভারতের খাবারকে তুলে ধরা। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল উদযাপিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ হিসেবে। ২০১৭ সালেই ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়ার (Food Processing) প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে পরবর্তী বছরগুলিতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ চলায়, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন আর অনুষ্ঠিত হয়নি। দ্বিতীয় সম্মেলন চলছে বর্তমানে দিল্লিতে।

    সম্মেলনের খুঁটিনাটি

    এদিন ভারত মণ্ডপমে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের মন্ত্রী পশুপতি কুমার পারোস। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকেও দেখা যায় এই অনুষ্ঠানে। বাণিজ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘মোদি সরকার সর্বদাই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নতির জন্য কাজ করে চলেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিগত নয় বছরে এই ক্ষেত্রে কাজের গতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ তিন দিনের এই সম্মেলনকে ভাগ করা হয়েছে ৪৮টি বিভিন্ন সত্রে। প্রতিটি সত্রে আলোচনা চলবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ (Food Processing) শিল্পের উন্নতি, সরকারের আর্থিক সাহায্য, খাবারের গুণগত মান ইত্যাদি বিষয়ে। জানা গিয়েছে, আশিটিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানিরগুলির সিইও-রাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: কেষ্টর ঢঙে বিরোধীদের পা-মাথা কাটার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা জিম্মি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Birbhum: কেষ্টর ঢঙে বিরোধীদের পা-মাথা কাটার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা জিম্মি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সেই অনুব্রতর গড়ে তাঁর ঢঙে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের। দুদিন আগেই বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেষ্টর বুলিই আওড়েছেন। এবার দলের আর এক নেতা সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বিরোধীদের পা-মাথা কাটার নিদান দিয়েছেন।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের ওই নেতা? (Birbhum)  

    বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে এক সরকারি স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট -১ নম্বর ব্লকের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চ থেকে কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,  ‘আপনার বাঁচার অধিকার আছে। আপনার সন্তানদের রক্ষা করার অধিকার আপনার আছে। যদি কেউ মনে করে আপনাদের ওপর আক্রমণ করবে, আপনাদের ক্ষতি করবে, আপনাদের চোখ রাঙাবে, তাহলে আত্মরক্ষার্থে পা কাটবেন, নাকি মাথা কাটবেন, নাকি তার গলা কাটবেন, কিচ্ছু দেখবেন না। আমরা আছি আপনার পাশে। নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে এগিয়ে যাবেন।’ এরপরই তিনি বলেন, আমরা ভোটে জয়ী হব। কোনও বিরোধী শক্তি আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। শুধু নিজে জ্বলে উঠুন। জিম্মির এই বক্তব্য নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে, তখন ওই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, তিনি যা বলেছেন ভেবেচিন্তেই বলেছেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জিম্মি বলেন, ‘ঢোড়া সাপ হলে সবাই মাড়িয়ে দিয়ে চলে যাবে। তাই কেউটে সাপ হতে হবে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য কেউটে সাপের তেজ রাখতে হবে বলে আমি মনে করি। তাই আমি আমার কর্মীদের এ কথা বলেছি।’

    বিরোধী নেতাদের কী বক্তব্য?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, কেষ্ট বড় বড় কথা বলে আজ তিহারে রয়েছে। এত কিছুর পরও তৃণমূল নেতাদের শিক্ষা হয়নি। আসলে তৃণমূল নেতারা যত এসব কথা বলবে, তত দলের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করবে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: স্বপ্নে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর, প্রতিষ্ঠা করেন আদ্যাপীঠের, জানুন ইতিহাস

    Kali Puja 2023: স্বপ্নে দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর, প্রতিষ্ঠা করেন আদ্যাপীঠের, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরের কিছু দূরেই অবস্থান আদ্যাপীঠের (Kali Puja 2023)। এখানে দেবী কালী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে বিরাজ করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। কথিত আছে, এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের শিষ্য শ্রী অন্নদা ঠাকুর (Kali Puja 2023)। আদ্যাপীঠ মঠের অবস্থান প্রায় ২৭ বিঘা জায়গা জুড়ে। এই পীঠের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে অজস্র অলৌকিক কাহিনীও। দেবী আদ্যার মূর্তি ছাড়াও দেখতে পাওয়া যায় এখানে রাধাকৃষ্ণ এবং শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মূর্তিও। গবেষকরা বলেন, মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অন্নদা ঠাকুরের বাড়ি ছিল অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তাঁর পৈতৃক নাম অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য। বাংলার ১৩২১ সালে অন্নদা ঠাকুর চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় কবিরাজি পড়তে আসেন। এই সময়ে কলকাতার বর্তমান আমহার্স্ট স্ট্রিটে এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন অন্নদাচরণ। সেখান থেকেই কবিরাজি পাস করেছিলেন বৃত্তি সমেত। তাঁর বন্ধুর বাবার সাহায্যে কবিরাজির চেম্বারও তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়।

    স্বপ্নাদেশে কী নির্দেশ পান অন্নদাশঙ্কর

    কথিত আছে, এই সময়ে অন্নদা ঠাকুরকে স্বপ্নাদেশ দেন আদ্যা মা। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও সেই স্বপ্নাদেশে এসেছিলেন। ওই স্বপ্নাদেশে, শ্রী রামকৃষ্ণ তাঁকে (অন্নদাচরণকে) ইডেন গার্ডেন্সে গিয়ে ঝিলের পাশে নারকেল এবং পাকুর গাছের কাছ থেকে কালি মূর্তি (Kali Puja 2023) নিয়ে আসতে বলেন। ঝিলের পাশ থেকে অন্নদাচরণ ১৮ ইঞ্চি আদ্যা মায়ের কোষ্ঠী পাথরের মূর্তি পান। ঘটনাক্রমে, সেদিন ছিল রামনবমী তিথি। রাতেই দেবী তাঁকে দেখা দিয়ে বলেন, ‘‘অন্নদা কাল বিজয়া দশমী, তুমি আমায় গঙ্গায় বিসর্জন দিও।’’ দেবীর এই কথা শুনে অন্নদা একপ্রকার আঁতকে ওঠে। সে ভাবতে থাকে পুজোপাঠ করিনি তাই হয়তো দেবী রাগ করে চলে যাচ্ছেন। তখন দেবী বলেন, ‘‘সহজ সরল প্রাণের ভাষায় যে ভক্ত নিজের ভোগ্য বস্তু আমাকে নিবেদন করেন সেটাই আমার পুজো। যদি কোনও ভক্ত আমার সামনে আদ্যাস্তোত্র পাঠ করে, তাহলে আমি বিশেষ আনন্দিত হই।’’ এরপরেই দেবী আদ্যাস্তোত্র পাঠ করেন, অন্নদা ঠাকুর তা লিখে রাখেন। স্বপ্নের মধ্যেই বিজয়া দশমীতে আদ্যা দেবীকে (Kali Puja 2023) বিসর্জন দেন অন্নদা। তবে স্বপ্নাদেশে পাওয়া সেই মাতৃমূর্তি ছবি নিজের মনে রেখে দিয়েছিলেন অন্নদা ঠাকুর। পরে তা থেকেই তৈরি হয় বর্তমান মূর্তিটি। বাংলার ১৩২৫ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে স্বপ্নেই সন্ন্যাসী দীক্ষা দেন বলে জানা যায়।

    আদ্যাপীঠের ভোগ

    আদ্যাপীঠে রাধা কৃষ্ণের জন্য সাড়ে ৩২ সের চালের রান্না হয়। দেবী আদ্যার জন্য সাড়ে ১২ সের চাল রান্না হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের রান্না হয় সাড়ে ১২ সের চালে। সেই ভোগ পঞ্চ ব্যঞ্জন এ নিবেদন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে পরমান্ন ভোগ। অন্নদা ঠাকুরের নির্দেশ অনুযায়ী, বড় মন্দিরে ভোগ যায় না। মন্দিরের পাশে ভোগালয় তা সাজিয়ে রাখা হয়। সেখানেই নিবেদন করা হয় ভোগ। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র পরমান্ন ভোগই যাবে দেবীর কাছে। আজও সেই রীতি বজায় রয়েছে আদ্যাপীঠে (Kali Puja 2023)। রাতে পরমান্ন ভোগ দেওয়া হয় ঘি এবং উৎকৃষ্ট চাল সহযোগে। বাংলার ১৩৩৫ সালে অন্নদা ঠাকুর পুরীতে প্রয়াত হন বলে জানা যায়। তাঁর ভক্তরা আজও পালন করে চলেছেন অন্নদা ঠাকুরের দেওয়া শিক্ষা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share