Tag: Bengali news

Bengali news

  • South 24 Parganas: দেশলাই কাঠি দিয়ে বানালেন ছবি আঁকার স্ট্যান্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ কোয়েল

    South 24 Parganas: দেশলাই কাঠি দিয়ে বানালেন ছবি আঁকার স্ট্যান্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ কোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩.৯×৩.৪ সেমি দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকার স্ট্যান্ড বানিয়ে, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলেছেন কোয়েল পুরকায়েত নামে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। তাঁর এই কৃতিত্বে একদিকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন খুশি, তেমনি খুশি পরিবারও। উচ্ছ্বসিত গোটা কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) মানুষ।

    কোয়েলের বক্তব্য (South 24 Parganas)

    ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর খেতাবজয়ী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী কোয়েল পুরকায়েত বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল আমার. তবে এই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর খেতাব জিতবো, তা কোনও দিনই ভাবতে পারিনি। এর পিছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব রয়েছে আমার আঁকার স্যার দেবরাজ মহাশয়ের। তিনিই এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছেন। দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকা এবং স্ট্যান্ড বানানোর কাজ প্রায় দুমাস ধরে করেছি। অবশেষে পরিশ্রম করে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পেরেছি। এই খেতাব আমাকে আগামী দিনে আরও বেশি করে উৎসাহী করবে।” পাশাপাশি কোয়েল আগেও যামিনী রায় পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।

    উচ্ছ্বসিত পরিবার (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের সুভাষ নগরের বাসিন্দা কোয়েল পুরকায়েত। বর্তমানে কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র নিকেতন স্কুলের ছাত্রী। তিন বছর বয়স থেকে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কোয়েল। কৃতি ছাত্রী হিসেবে স্কুলে যেমন সুনাম, তেমনি সুনাম তাঁর আঁকার স্কুলেও। তিন বছর বয়স থেকে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আর্ট অ্যাকাডেমিতে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কোয়েল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন, পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন সেখানে। কোয়েলের এই গৌরবে খুশি এলাকার বিধায়ক তথা প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তিনি কোয়েলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    প্রতিবেশী (South 24 Parganas) মানসী দেবনাথ বলেন, “কোয়েলের বাবা কর্মসূত্রে এই রাজ্যের বাইরে কাজ করেন। ওঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব মায়ের। আজ কোয়েলের এই সাফল্যে শুধু আমরা সুভাষ নগর এলাকার মানুষজন খুশি নই, গোটা কাকদ্বীপের মানুষ গর্বিত। আগামী দিনে ওঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করি আমরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিয়ার লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়ার খবর প্রায় খবরের কাগজে, টিভিতে দেখতে পাওয়া যায়। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে প্রতিদিন লটারির টিকিট কাটেন, এরকম মানুষ এই বাংলায় প্রচুর রয়েছেন। লটারির টিকিট কেটে নিঃস্ব হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার উদাহরণও রয়েছে। এই ডিয়ার লটারির নাম ব্যবহার করে বড়সড় জালিয়াতির হদিশ মিলল মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার থেকে জাল লটারি কারখানায় হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার এলাকায় গোডাউন ভাড়া করে জাল লটারির কারবার চালু করা হয়েছিল। গোডাউনের ভিতরে কারখানা তৈরি করে রমরমিয়ে চলত এই কারবার। রবিবার রাতে সেই কারখানায় পুলিশ হানা দেয়। যদিও পুলিশ অভিযান চালানোর সময় সেখানে কেউ ছিল না। কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় নাগাল্যান্ড কোম্পানির জাল লটারির টিকিট, কয়েক বস্তা জাল লটারি টিকিট। টিকিটে ডিয়ার লটারির কথা উল্লেখ ছিল। এছাড়া জেরক্স মেশিন, লটারির টিকিট তৈরির যন্ত্রাংশ, ইনভার্টার, কাগজ কাটার যন্ত্র, প্রচুর পরিমাণে লটারির টিকিট ছাপানো কাগজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। এই টিকিট খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা তোলা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের মালিকের বিরুদ্ধে সবার আগে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাকে গ্রেফতার করলেই সব কিছু জানা যাবে। গোডাউনের ভিতরে এত বড় বেআইনি কাজকর্মের পিছনে মালিকের মদত রয়েছে।

    বাড়ির মালিকের কী বক্তব্য?

    বাড়ির মালিক বলেন, মাস তিনেক আগে সঞ্জয়কুমার সাউ নামে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তি জেরক্সের কাজ করবেন বলে গোডাউন ভাড়া নেন। সেখানে তাঁরা কী করতেন, তা আমি জানি না। পুলিশের অভিযানের পরই বিষয়টি জানতে পারলাম। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তবে, ঝাড়খণ্ডের একজন অপরিচিতকে কেন ঘর ভাড়া দিতে গেলেন, সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বড় মাপের লটারির টিকিট বিক্রেতা এই ভুয়ো টিকিট ছাপিয়ে বহু টাকা বাজার থেকে তুলে নিচ্ছেন। আর এই জাল টিকিট কেটে কেউ কোনও পুরস্কারও পেত না। পুরো জালিয়াতি করে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সহ আশপাশের জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dayanand Saraswati: বৈদিক আদর্শ পুনঃস্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন, প্রয়াণ দিবসে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী

    Dayanand Saraswati: বৈদিক আদর্শ পুনঃস্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন, প্রয়াণ দিবসে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) প্রয়াণ দিবস আজ। দয়ানন্দ সরস্বতী জন্মগ্রহণ করেন ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮২৪ সালে। উনবিংশ শতকের এই মহান কর্মযোগী দার্শনিক এবং সনাতন ধর্মের প্রচারক হিসাবে সামাজিক এবং শিক্ষামূলক বিভিন্ন সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মূল বাণী ছিল, ‘বেদের যুগে ফিরে চলো’। এই আদর্শেই তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন। সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ঊনবিংশ শতকের এই মহান কর্মযোগী মাত্র ৫৯ বছর বয়সে ৩০ অক্টোবর ১৮৮৩ সালে প্রয়াত হন।

    জন্ম ও প্রথম জীবন

    স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) জন্ম ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ দশমী তিথিতে হয়েছিল বলে জানা যায়। বর্তমান গুজরাটের কাঠিয়ার নামক স্থান ছিল তাঁর পৈতৃক বাসস্থান। বাল্যকালে তাঁর নাম ছিল শঙ্কর তেওয়ারি। কর্শানজি লালজি তিওয়ারি ছিলেন তাঁর পিতা এবং মাতার নাম ছিল যশোদাবাঈ। ১৮৪৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সেই তিনি জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেন। সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ না হওয়ার সিদ্ধান্ত তখনই নেন। স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati) জীবনের পরবর্তী সময়কাল সত্যের সন্ধানে একজন সন্ন্যাসী হয়ে কাটান। এই সময়ে গুরু হিসাবে তিনি সান্নিধ্য লাভ করেন ব্রিজানন্দর। কথিত আছে, গুরুদক্ষিণা হিসেবে তিনি সনাতন সমাজে বেদের আদর্শকে পুনঃস্থাপনের ব্রত নেন।

    সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক নানা সংস্কার আন্দোলন 

    সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক নানা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন দয়ানন্দ সরস্বতী। এর মধ্যে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্থাপন করেন আর্য সমাজ। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বেদের প্রচার এবং ব্যক্তি জীবন ও সমাজ জীবনের সর্বাঙ্গীন বিকাশ। বেদের যুগে ফিরে যাওয়া ছাড়াও আর্য সমাজের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই। তিনি শুদ্ধি আন্দোলনও শুরু করেছিলেন। যে সমস্ত হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হতেন, শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরায় তাঁদের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা হতো।

    ‘বেদের যুগে ফিরে চলো’

    বৈদিক সাহিত্যের প্রচার এবং বৈদিক শিক্ষার জন্য সারা জীবন প্রয়াস চালিয়ে গিয়েছেন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati)। কারণ তিনি মনে করতেন যে হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা, শারীরিক, মানসিকভাবে যে কোনও হিন্দুর বিকাশ সম্ভব বেদকে অধ্যয়ন করে, বেদের অন্তর্নিহিত সত্যকে উপলব্ধি করে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং জ্ঞানের বিকাশের জন্য বৈদিক সাহিত্য অপরিহার্য বলেই তিনি মনে করতেন। বৈদিক সাহিত্যের প্রচারের জন্য তিনি স্কুল এবং কলেজ স্থাপনও করতেন। দয়ানন্দ সরস্বতী ‘সত্যার্থ প্রকাশ’ নামে একটি পত্রিকা বের করতেন। পত্রিকার মাধ্যমে সামাজিক এবং বিভিন্ন ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলতেন। এটা মনে করা হয় যে ভারতবর্ষের চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের বিকাশেও স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর চিন্তাধারা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল। পরবর্তীকালে লোকমান্য তিলক যে ‘স্বরাজ’-এর কথা বলতেন, সেই ধারনা তিনি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) কাছ থেকেই পেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: ‘কালী আরাধনা’র পরেই ডাকাতি! জানুন রঘু ডাকাতের হাড় হিম করা গল্প

    Kali Puja 2023: ‘কালী আরাধনা’র পরেই ডাকাতি! জানুন রঘু ডাকাতের হাড় হিম করা গল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার কোনও ডাকাত দলের সর্দারের নাম বলুন তো? যে কাউকে এই প্রশ্ন করলে মনের মধ্যে ভেসে ওঠে ‘রঘু ডাকাত’ নাম। ‘রঘু ডাকাত’ নামে কত উপন্যাস, কত গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এক কথায় বোঝাতে গেলে বলতে হয়, এই নামটি একটি ‘মিথ’ হয়ে রয়েছে। তবে জানেন কি রঘু ডাকাত মাত্র একজন ছিল না। বর্ধমান থেকে হুগলি, কলকাতা থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনার জঙ্গলগুলিতে একাধিক রঘু ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রত্যেক রঘু ডাকাত-ই মা কালীর (Goddess Kali) ভক্ত। কালী আরাধনার (Kali Puja) পরেই তারা ডাকাতি করতে যেত।

    ‘রঘু ডাকাত’ সম্পর্কে নানা রোমাঞ্চকর গল্প 

    খগেন্দ্রনাথ মিত্র এবং যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তর লেখা থেকেই ‘রঘু ডাকাত’ সম্পর্কে নানা রোমাঞ্চকর তথ্য পাওয়া যায়। যেমন, নৈহাটির রঘু ডাকাতের কথা। সে সময় নৈহাটি থানার দারোগা ছিলেন দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দারোগাবাবু অনেক চেষ্টা করেও বাগে আনতে পারছিলেন না রঘু ডাকাতকে। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, যেভাবেই হোক রঘু ডাকাতকে তিনি ধরবেন। হঠাৎ করেই কিছুদিন পর দারোগাবাবুর কাছে একটি চিরকূট এল। তাতে লেখা রয়েছে, ‘খুব শীঘ্রই আপনার সঙ্গে আমার দেখা হবে দারোগাবাবু’। তলায় লেখা, ইতি আপনার সেবক রঘু‌। এর বেশ কিছুদিন পর এলাকার জমিদারবাবুর নাতির অন্নপ্রাশন। আমন্ত্রিত হয়েও উপস্থিত থাকতে পারেননি দারোগাবাবু। একদিন দুপুরে আহারের পর নিজের চেয়ারে বসে ভাত ঘুম দিচ্ছিলেন তিনি। সে সময় হঠাৎ এক জেলে উপস্থিত হল দুই হাতে দুটো মাছ নিয়ে এবং নিজের ধুতিতে বেঁধে রাখা এক টুকরো কাগজ বের করে দারোগাবাবুকে দিল। যেখানে লেখা ছিল, ‘‘আমার নাতির অন্নপ্রাশনে আপনি আসতে পারেননি, তাই আপনাকে দুটো বড় মাছ পাঠালাম।’’ তলায় ছিল জমিদারবাবুর স্বাক্ষর। বেশ কিছু দিন পর আবার একটি চিরকূট পেলেন দারোগাবাবু‌। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘আপনার সঙ্গে দেখা করে ভালো লাগল, মাছ দুটো কেমন খেলেন?’’

    মা সারদার পথ আটকেছিলেন রঘু ডাকাত? 

    রঘু ডাকাতের প্রচলিত কাহিনি থেকে জানা যায়, তাঁর বাবাকে নীলকর সাহেবরা হত্যা করেছিল। এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নাকি সে ডাকাত হয় এবং নীলকর সাহেবদের লুট করে তা গরীব মানুষের মধ্যে বিতরণ করত। অর্থাৎ বাঙালির রবিনহুড বলতে গেলে সেটা রঘু ডাকাত-ই। জনশ্রুতি রয়েছে, হুগলির রঘু ডাকাত নাকি একবার সারদা মায়ের পথ আটকেছিল সিঙ্গুরের কাছে। এরপর ভীষণ দর্শনা মা কালী প্রকট হলে, রঘু ডাকাত সারদা মায়ের কাছে ক্ষমা চায়। মাকে রাতে চালকড়াই ভাজা খেতে দেয়।

    রঘু ডাকাতের কালীপুজোয় নরবলি!

    অপর এক রঘু ডাকাত বারাসতের জঙ্গলে থাকত বলে জানা যায়। তার কালীপুজো (Kali Puja) আজও ধুমধাম করে হয়। বারাসত শহর থেকে দু’কিলোমিটার দূরে কাজিপাড়া অঞ্চলে এই পুজো হয়, বটগাছের ঝুরি দ্বারা ঘেরা ভগ্ন এক মন্দিরে। স্থানীয়রা এই কালীকে জাগ্রত বলে মনে করেন। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কেতুগ্রামের অট্টহাস সতীপীঠেও নাকি রঘু ডাকাত কালীপুজো করত। তারপর ডাকাতির উদ্দেশ্যে সংলগ্ন এলাকাগুলিতে অভিযান চালাত। জনশ্রুতি অনুযায়ী, রঘু ডাকাত বৈষ্ণব ছিল। তবুও সে শক্তির উপাসনা করত। সাধক রামপ্রসাদের সঙ্গেও রঘু ডাকাতের সাক্ষাতের কথা প্রচলিত রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে, রঘু ডাকাতের কালীপুজোতে নরবলি হত। তারপরে রঘু ডাকাত ল্যাটা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে ডাকাতি করতে যেত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Siliguri: বনমন্ত্রীর গ্রেফতারের পরই সাফারিতে বন্ধ করা হল কাজ! রেশনের পর বন দফতরেও কি দুর্নীতি?

    Siliguri: বনমন্ত্রীর গ্রেফতারের পরই সাফারিতে বন্ধ করা হল কাজ! রেশনের পর বন দফতরেও কি দুর্নীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির অভিযোগে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই উত্তরের বনকর্তাদের একাংশের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার মেঘ জমতে শুরু করেছে। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরপরই শিলিগুড়িতে (Siliguri) বেঙ্গল সাফারি বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ আচমকা বন্ধ রাখায় খাদ্য দফতরের পর বন দফতরেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দুর্নীতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রবিবার হঠাৎ করে সাফারি কর্তৃপক্ষ কর্মীদের এই কাজ বন্ধ রাখার কথা জানায়। সোমবার কোনও শ্রমিক বা ঠিকাদারের লোক কাজে আসেনি। লায়ন এনক্লোজার সহ কিছু কাজ বন্ধ রাখার এই কথা জানাজানি হতেই দুর্নীতি নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় ঠিকাদাররা কী বলছেন? (Siliguri)

    স্থানীয় ঠিকাদারদের বক্তব্য, শিলিগুড়ির (Siliguri) বেঙ্গল সাফারি এনক্লোজার থেকে বাউন্ডারি, রাস্তা সবই তাদের হাতে তৈরি। কিন্তু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তাঁরা আর কোনও কাজ পাচ্ছেন না। নানা অজুহাত ও যুক্তি দেখিয়ে বড় বড় সব কাজ কলকাতার ঠিকাদার সংস্থাকেই দেওয়া হচ্ছে। তবে, বন দফতরের অন্যান্য ছোটখাট কাজে যুক্ত থাকায় বিল পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কায় কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। এক ঠিকাদার নরেশ শৈব বলেন, ‘বেঙ্গল সাফারি স্থানীয় ঠিকাদারদের হাতে তৈরি হলেও বিগত কয়েক বছর ধরে বড় কোনও কাজ আমরা পাচ্ছি না। ই টেন্ডারের নামে নানা কারচুপি করে কলকাতার ঠিকাদার সংস্থা সেই কাজ পাচ্ছে।’ অভিযোগ, এভাবে স্থানীয় ঠিকাদারদের ব্রাত্য করার ক্ষেত্রে কাটমানির বিষয় রয়েছে। বনমন্ত্রী কাটমানির জন্য তাঁর পছন্দের ঠিকাদার সংস্থাকে সব বড় বড় কাজের বরাত দিয়েছেন।

    বেঙ্গল সাফারির কর্মীদের কী বক্তব্য?

    সাফারির কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সাফারি ও উত্তরবঙ্গের বন দফতরের কাজ তদারকি করার জন্য বনমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি শিলিগুড়িতে (Siliguri) বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। প্রায়শই তিনি বেঙ্গল সাফারিতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেখতে আসতেন। বন দফতরের সঙ্গে যুক্ত না হলেও সেই ব্যক্তি সাফারিতে এলে এখানকার আধিকারিকরা তাঁকে খুশি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। ডিরেক্টরের ঘরে তার অবাধ যাতায়াত ছিল। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এরকম আরও অনেক ঘটনা ও অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। আর এটাই এখানকার বন কর্তাদের একাংশের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। কেননা, খাদ্য দফতর ছেড়ে বন দফতরে এসেও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছিলেন বনমন্ত্রী। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির আতশ কাঁচের নীচে বন দফতর যুক্ত হলে তাদের না হয়রান হতে হয়।

    কী বলছে সাফারি কর্তৃপক্ষ?

    যদিও বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর কমল সরকার লায়ন এনক্লোজার সহ কিছু প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, পুজোর সময় শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা এলে আবার কাজ হবে। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হলেও টেন্ডার হয়ে যাওয়া প্রকল্পের কোনও কাজ বন্ধ হবে না। সরকারি নিয়মেই তা চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup: ২০০৩ সালে ডারবানের পর ২০২৩-এ লখনউ, ২০ বছর পর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বধ ভারতের

    ICC World Cup: ২০০৩ সালে ডারবানের পর ২০২৩-এ লখনউ, ২০ বছর পর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বধ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়টা ছিল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ, স্থান ডারবান। গতকাল রাতের আগে সেই শেষবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচ জিতেছিল ভারত। সেই রাত আবার ফিরে এল ২০ বছর পর। 

    ২০ বছর পর ইংল্যান্ড-বধ

    ২০০৩ সালের ফের একবার বিশ্বকাপে ইংরেজ বধ করে লখনউতে বিজয়ী হল ভারত। এই খরা কাটাতে সময় লাগল কু়ড়িটা বছর। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপের ম্যাচ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। আর তাই সরাসরি ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ ঘটেনি ভারতের। অবশ্য এর পরের বিশ্বকাপে নিজেদের ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। যদিও লিগ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের ম্যাচ টাই হয়ে গিয়েছিল। আবার ২০১৫ বিশ্বকাপে, গ্রুপের খেলায় হেরে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ফলে সেই বারও দেখা হয়নি ভারতের সঙ্গে। আর ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারত অনবদ্য খেলা খেললেও, ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছিল। কিন্তু এইবারের বিশ্বকাপে, এখনও পর্যন্ত মোট ৬টি ম্যাচে জয় লাভ হয়েছে ভারতের। তাই চূড়ান্ত পর্যায়ের ম্যাচগুলিতে সাফল্যকে অটুট রাখতে সতর্ক করলেন রহিত শর্মা।

    ১০০ রানের ব্যবধানে জয়

    টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। ভারত ২৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখে ইনিংস শেষ করে। কিন্তু ভারতকে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারাতে বোলিং পারফম্যন্সের উপর যে জোর দিতে হবে, তা বুঝতেই পেরেছিলেন রোহিতরা। আর তাই, এই ম্যাচকে কার্যত ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল মহম্মদ শামি, জসপ্রিত বুমরা-রা। সেই সঙ্গে অনবদ্য সঙ্গ দেন কুলদীপ এবং জাডেজা। ভারত জয়ী হল ১০০ রানের ব্যবধানে। অবশ্য রোহিত শর্মা বলেছেন, ‘অভিজ্ঞতাই আমাদের জয় এনে দিয়েছে। প্রথমে ব্যাটিংয়ের জন্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছিলাম। আমাদের বোলিংয়ের উপর ভরসা করতে হয়েছে।’ ব্যাটিং এবং নেতৃত্বে বিশেষ নজর কেড়েছেন রোহিত। ম্যাচের সেরা পুরস্কারও পেয়েছেন।

    বিশ্ব তালিকায় দ্বিতীয় ভারত

    ১৯৭৫ থেকে ওডিআই বিশ্বকাপ খেলছে ভারতীয় দল। এর মধ্যে ১৯৮৩ এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ম্যাচ জয়ের তালিকায় নিউজিল্যান্ডকে টপকে, শীর্ষে দ্বিতীয় স্থান দখল করল ভারত। তালিকায় অস্ট্রেলিয়া দল ৭৩টি ম্যাচ জিতে প্রথম স্থানে রয়েছে। আর তারপর ৫৯টি ম্যাচ জিতে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তালিকার তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। তাঁদের জয়ী ম্যাচের সংখ্যা ৫৮। আর তারও নিচে  ইংল্যান্ড, জয়ী ম্যাচের সংখ্যা হল ৫০।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: রেশন-দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ নিউ দিঘার হোটেলে! ‘বালু-বাকিবুর’ যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    ED: রেশন-দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ নিউ দিঘার হোটেলে! ‘বালু-বাকিবুর’ যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই নদিয়ার রানাঘাটে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের রেশন দুর্নীতির টাকা দিঘার হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ যে সঠিক, তা দিঘার হোটেলে ইডি-র (ED) নজরদারি শুরু করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। বেনামে সম্পত্তির যোগ খুঁজতে এবার কি পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতে শহরে আসবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? তা নিয়ে জেলা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর থেকেই নিউ দিঘার হোটেল নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বালুর তিনটি হোটলের নামের তালিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হোটেল মেঘবালিকা, বিচ ভিউ এবং বি ভিউ রিসর্ট। এই হোটেলগুলির মালিক অজয় দাস, দেবাশিস দাস ও সম্রাট। ৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে বালু তাঁর স্ত্রী এবং আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের নামে করিয়ে নিয়েছে।’

    দিঘায় চারটি হোটেলের হদিশ (ED)

    সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিঘায় চারটি হোটেলের সঙ্গে বনমন্ত্রীর যোগ খতিয়ে দেখছেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তিনজনকে নিয়ে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা ওই চারটি হোটেল দেখভাল করে। এর মধ্যে একটি হোটেলে বাকিবুরের যাতায়াত ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা চারটি হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছিল। হলিডে হোম ঘাট সংলগ্ন এলাকা এবং তার থেকে খানিকটা দূরে পর পর চারটি হোটেল রয়েছে। তার মধ্যে একই নামে দু’টি হোটেল আছে। চারটির মধ্যে একটি হোটেল কেনা হলেও বাকি তিনটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে একটি পুরনো হোটেল কিনে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সেটি ‘থ্রি-স্টার’ ক্যাটিগরির হোটেল। ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ পর পর তিনটি হোটেল নির্মাণ হয়েছে। যদিও এই হোটেলগুলির পক্ষে মন্ত্রীযোগের বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। সবই অপপ্রচার বলেই দাবি তাদের।

    দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য, ওই চারটি হোটেলের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রীকে না দেখলেও বাকিবুর যোগ রয়েছে। এই ডিরেক্টরদের অনেকেই উত্তর ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা। মন্ত্রীর বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টরদের নিয়ে একটি গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপ এইসব হোটেল দেখভাল করে। তবে, হোটেল তৈরিতে কারা টাকা বিনিয়োগ করেছে তা আমরা বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita Jayanti: ডিসেম্বরে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠান ব্রিগেডে, হাজির থাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি

    Gita Jayanti: ডিসেম্বরে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠান ব্রিগেডে, হাজির থাকতে পারেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির উদ্যোগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থেকে আয়োজন সবেতেই সহযোগী সংগঠনের ভূমিকায় দেখা যাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে। জানা গিয়েছে, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হতে চলা এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন দেশের দুই শংকরাচার্য সমেত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita Jayanti) অনুষ্ঠান

    ‘অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ’-এর উদ্যোগে হতে চলা এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রশাসনিক অভিভাবক হিসাবে  আমন্ত্রণ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বর এই অনুষ্ঠান হবে। ২৪ ডিসেম্বর দিনটিকে বাছার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের মতে, ‘‘হিন্দু সংস্কৃতিতে ওই দিন গীতা জয়ন্তী পালন করা হয়ে থাকে এবং এটাও মনে করা হয় মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে গীতার (Gita Jayanti) জন্ম হয়েছিল, তাই এই দিনকে মোক্ষদা একাদশী হিসেবেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালন করা হয়।’’ হিন্দু ধর্মের কোনও কিছু অনুষ্ঠান হলেই তাতে রাজনীতির যোগ খোঁজার চেষ্টা করেন এক শ্রেণির মানুষ। তবে এর সঙ্গে যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই, তাও স্বীকার করছেন সংগঠনের কর্তারা।

    কী বলছেন উদ্যোক্তারা?

    অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের সভাপতি প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি সকলের জন্য। কোনও রাজনীতি নয়, মানব কল্যাণের লক্ষ্য নিয়েই এই অনুষ্ঠানে আমরা কমপক্ষে এক লাখ মানুষের সমাবেশ করব। সমবেত কণ্ঠে তাঁরা গীতা (Gita Jayanti) পাঠ করবেন। এটা অতীতে বিশ্বের কোথাও কখনও হয়নি।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমরা রাজ্যে সনাতন ধর্মের যত সংগঠন, আশ্রম, স‌ংস্থা রয়েছে সকলকেই যোগদানের আবেদন জানিয়েছি। সব রাজনৈতিক দলের সাংসদ, বিধায়কদেরও জানাব। আগামী ২ নভেম্বর রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি যাওয়া হবে। তিনি উদ্বোধন করবেন। সেটা ঠিক হয়ে গেলেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব আমরা। তাঁকে প্রধান অতিথি হিসাবে পেতে চাই।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: বেআইনি মদের কারবার রুখতে অভিযান, কর্মীদের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    Purulia: বেআইনি মদের কারবার রুখতে অভিযান, কর্মীদের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলার মধ্যেই রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি মদের কারবার। খবর পেয়ে অভিযান চালান আবগারি দফতরের আধিকারিকরা। সে সময় মারধর করার পাশাপাশি তাঁদের লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়া শুরু হয়। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার ঝালদার আমাঠারি-খামার অঞ্চলের উহাতু গ্রামের কাছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Purulia)

    স্থানীয় ও আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া (Purulia) জেলার ঝালদার উহাতু গ্রামের কাছে একটি মাঠে একদিনের ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ১৬টি দল অংশগ্রহণ করেছিল সেই প্রতিযোগিতায়। একে কেন্দ্র করে মেলার মতোও বসেছিল সেখানে। প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছিল। মেলার মধ্যেই চোলাই মদ এবং নকল বিলিতি মদ বিক্রি হচ্ছিল বলে খবর ছিল আবগারি দফতরের কাছে। সেখানেই দুটি গাড়িতে করে গিয়েছিলেন দফতরের আধিকারিকরা। অভিযানের আগে মাইকে সতর্ক করা শুরু করতেই কিছু লোকজন আচমকা আবগারি আধিকারিক ও কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রকাশ্যেই তাঁদের মারধর করা শুরু করে। ইট-পাথরও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। যে গাড়িতে করে আবগারি আধিকারিকরা এসেছিলেন, সেই দুটি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়।

    আবগারি দফতরের আধিকারিক কী বললেন?

    এ বিষয়ে আবগারি দফতরের ঝালদা সার্কেলের ওসি সন্তোষ সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর ছিল। সেই মতো আমরা অভিযানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি খবর ঠিক ছিল। এর পর আমরা উদ্যোক্তাদের বিষয়টি জানাই। উদ্যোক্তাদের তরফে মাইকিং করা শুরু হয়। তখনই কিছু লোক আমাদের আক্রমণ করে। ইট-পাথর ছোড়া শুরু করে। মারধরও করে। আমাদের কয়েক জন জখম হয়েছেন। তবে, ঘটনাস্থল থেকে চোলাই মদ উদ্ধার হয়েছে। হামলার ঘটনা নিয়ে ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amrit Kalash: তৈরি হবে ‘অমৃত বাগান’, বাংলার মাটি নিয়ে দিল্লি রওনা হলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    Amrit Kalash: তৈরি হবে ‘অমৃত বাগান’, বাংলার মাটি নিয়ে দিল্লি রওনা হলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসেই ‘মেরি মাটি, মেরি দেশ’ (Amrit Kalash) কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ৩০ জুলাই নিজের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের জন্য এই কর্মসূচির পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘মেরি মাটি, মেরি দেশ’ কর্মসূচি রাজ্য জুড়ে পালিত হয় ‘আমার দেশ, আমার মাটি’ হিসেবে। জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন কর্মসূচিতে। রবিবারই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মাটি নিয়ে বিজেপি কর্মীরা রওনা হন দিল্লির উদ্দেশে।

    ‘মেরি মাটি, মেরি দেশ’ কর্মসূচি কী?

    দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র স্থানের মাটি এবং গাছ দিয়ে দিল্লিতে তৈরি হবে একটি নতুন বাগান। যার নাম হবে ‘অমৃতবাটিকা’। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির জাকির হোসেন মার্গের ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ প্রাঙ্গণে এই বাগানের মাটিতে (Amrit Kalash) মিশে থাকবে সারা ভারতের মাটি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের কাজে শহিদ হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের গ্রামে  শিলালিপিও স্থাপন করা হয়েছে। এবার এই কর্মসূচির দুদিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে সোমবার। মঙ্গলবার সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রওনা দিলেন হাজারেরও (Amrit Kalash) বেশি বিজেপির নেতা-কর্মী।

    রবিবার বিজেপির ‘অমৃত কলস যাত্রা’

    রবিবার কলেজ স্ট্রিট থেকে অমৃত কলস (Amrit Kalash) নিয়ে একটি মিছিল করে বিজেপি নেতৃত্ব ধর্মতলায় আসে। সেখানে বক্তব্য রাখেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ সমেত অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিকাল ৪ টে ৫৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা স্টেশন থেকে  বিশেষ ট্রেনে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বাংলার বিজেপি নেতা-কর্মীরা। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি দিল্লি পৌঁছাবে সোমবার বিকাল ৩ টে ২০ নাগাদ। সেখানে বিজেপি কর্মীদের স্বাগত জানাতে হাজির থাকবেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এরপরেই অমৃতবাটিকায় যাবে রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র স্থানের মাটি। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবারের ট্রেনে দিল্লি থেকে রওনা হবেন এবং পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবেন শুক্রবার রাতে। জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি ৭৬৬ জেলা থেকে অংশগ্রহণ করবেন। ৮ হাজারেরও বেশি অমৃত কলস (Amrit Kalash) পৌঁছাবে দিল্লিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share