Tag: Bengali news

Bengali news

  • Mohua Moitra: ‘‘সংসদের লগ-ইন আইডি হীরানন্দানিকে দিয়েছিলাম’’, কার্যত অভিযোগ স্বীকার মহুয়ার

    Mohua Moitra: ‘‘সংসদের লগ-ইন আইডি হীরানন্দানিকে দিয়েছিলাম’’, কার্যত অভিযোগ স্বীকার মহুয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদদের যাবতীয় প্রশ্নই নাকি সাজিয়ে দিতেন দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি। এবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কার্যত মেনেও নিলেন মহুয়া মৈত্র। ওই সাক্ষাৎকারে সংসদের লগ-ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড কেন তিনি দর্শন হীরানন্দানিকে দিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সংসদের এথিক্স কমিটি বর্তমানে মহুয়া (Mohua Moitra) ইস্যুতে তদন্ত করছে। এথিক্স কমিটির সামনে তাঁর হাজির হওয়ার কথা আগামী ৩১ অক্টোবর।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ? 

    মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra) জানিয়েছেন, দুবাইকেন্দ্রিক ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। লোকসভায় কোন কোন প্রশ্ন তিনি উত্থাপন করবেন তা হীরানন্দানির অফিসের কোনও এক কর্মী টাইপ করে পাঠাতেন। এজন্যই তিনি লগ-ইন আইডি দিয়েছিলেন বলে দাবি সাংসদের। মহুয়ার ভাষায়, “সংসদের ওয়েবসাইটে আমি যে প্রশ্নগুলি দিয়েছিলাম, দর্শন হিরানন্দানির অফিসের কেউ প্রশ্নগুলি টাইপ করে দিয়েছিল। প্রশ্নগুলি টাইপ করার পর আমায় ওরা ফোন করত, আমি প্রশ্নগুলির উপরে এক নজর বুলিয় নিতাম কারণ নিজের কেন্দ্র নিয়ে আমি সবসময় ব্যস্ত থাকি। প্রশ্নগুলি ইমেইলে পাঠানোর পর আমার মোবাইলে ওটিপি আসত। আমি ওই ওটিপি দিলে তবেই প্রশ্নগুলি জমা করা যেত। তাই, দর্শনের আমার আইডিতে ঢুকে নিজের মনগড়া প্রশ্ন লিখে দেওয়ার দাবি অত্যন্ত হাস্যকর।”

    আদানি ইস্যুতে প্রশ্ন সাজাতেন হীরানন্দানি

    বিজেপির দাবি এখনও দর্শন হিরানন্দানির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মহুয়া মৈত্রর। দুবাইয়ের ব্যবসায়ীকে প্রভাবিত করে তথ্য প্রমাণ নষ্টও করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, অর্থ এবং উপহারের বিনিময়ে সাংসদের প্রশ্ন করার বিষয়টি নিজের দেওয়া হলফনামায় স্বীকারও করে নেন দুবাইকেন্দ্রিক ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি। জানা গিয়েছে, আদানি ইস্যু নিয়ে সংসদে যে ৬৩টি প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra), তার মধ্যে ৫০টি প্রশ্নই দর্শন হীরানন্দানির সাজিয়ে দেওয়া ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Narendra Modi: ‘‘সিক্স-জি পরিষেবায় গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে ভারত’’, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi: ‘‘সিক্স-জি পরিষেবায় গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে ভারত’’, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ফাইভ-জি পরিষেবা সারা বিশ্বে টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে। এবার সিক্স-জি পরিষেবায় গোটা বিশ্বকে পথ দেখাবে ভারত’’, শনিবার দিল্লিতে আয়োজিত ভারতীয় মোবাইল কংগ্রেসের সপ্তম অধিবেশনে এমনই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আরও বলেন, ‘‘ফাইভ-জি চালু হওয়ার পর মাত্র এক বছরের মধ্যে এটা দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।’’ এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘গোটা বিশ্ব এখন ভারতের তৈরি ফোন ব্যবহার করছে। সারা দেশে ফাইভ-জি পরিষেবার ৪ লাখ স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। দেশের ৯৭ শতাংশ শহরেই চালু হয়েছে এই পরিষেবা।’’ এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রিলায়েন্স জিও-র চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি। তিনিও তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    দিল্লির প্রগতি ময়দানে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি ইভেন্ট

    প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রগতি ময়দানে শুরু হয়েছে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি ইভেন্ট, ইন্ডিয়ান মোবাইল কংগ্রেস ২০২৩। এখানে তিনদিন ধরে আলোচনা চলবে, ফাইভ-জি এবং সিক্স-জি-র নানা বিষয়ে। এর পাশাপাশি অনেক কিছু নতুন ঘোষণা এখান থেকে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন টেলিকম সংস্থা তাদের ফিচার এবং সর্বশেষ আপডেট সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য প্রকাশ্যে আনবে বলেই শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে ভারতের অন্যতম প্রধান টেলিকম সংস্থা জিও, এয়ারটেল তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও ঘোষণা করবে। শনিবার এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ভারতের টেলিকম শিল্পের অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরাও হাজির ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) তাঁর ভাষণে আরও বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর দ্রুত পরিবর্তিত বিশ্বে এই ইভেন্টে কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ একটা সময় ছিল যখন আমরা ভবিষ্যতের কথা বলতাম, যার অর্থ ছিল পরবর্তী দশক বা পরের শতাব্দী। কিন্তু আজ প্রযুক্তির পরিবর্তনের কারণে আমরা বলি যে ভবিষ্যত এখানে এবং এখন।” টু-জি কেলেঙ্কারির কথা উল্লেখ করে তিনি ইউপিএ সরকারকেও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “আমরা শুধু দেশে ফাইভ-জি প্রসারিত করছি না বরং সিক্স-জি প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেওয়ার দিকেও এগিয়ে যাচ্ছি”। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “সম্প্রতি, গুগল ভারতে তার পিক্সেল ফোন তৈরির ঘোষণা করেছে। ভারতে স্যামসাংয়ের ফোল্ড ৫ মোবাইল ফোন এবং অ্যাপলের আইফোন ১৫ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা গর্বিত যে বিশ্ব এখন মেড ইন ইন্ডিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির পরিচারকও কোম্পানির ডিরেক্টর! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে

    Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির পরিচারকও কোম্পানির ডিরেক্টর! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Distribution Scam) টানা ২১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি গ্রেফতার করে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশে ১০ দিনের ইডি হেফাজত হয় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। রায় শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্ত্রী। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী সুস্থ হওয়ার পরেই গণনা হবে ইডি হেফাজতের দিন। মন্ত্রীর গ্রেফতারির পরপরই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঠিক যেমনটা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছে, পার্থর মতো বীরভূমে রয়েছে মন্ত্রীর সম্পত্তি। পার্থর ছিল ‘অপা’, মন্ত্রীর রয়েছে ‘দোতারা’ নামের বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, শান্তিনিকেতনে ১০ কাঠা জমির উপরে যে স্থানে বাড়িটি রয়েছে তার বর্তমান বাজারমূল্য ৬ কোটি টাকা। আবার অন্য একটি অংশের মতে, বর্তমান বাজারমূল্য ১০-১২ কোটিও হতে পারে। তবে বীরভূমে আরও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে মন্ত্রীর, এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে, সেখানেও রয়েছে প্রাসাদোপম বাড়ি। মন্তেশ্বরে বিরোধী দলের নেতারা দাবি করছেন, গ্রামেও এরকম নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি করেছেন বালু। গ্রামে নাকি রয়েছে ৭০ থেকে ৮০ বিঘা সম্পত্তি। তাঁদের রয়েছে একটি আইটিআই কলেজও।  এতো গেল দক্ষিণবঙ্গের কথা। সূত্রের খবর উত্তরবঙ্গেও নামে-বেনামে আরও সম্পত্তি রয়েছে মন্ত্রীর। শুধু মন্ত্রী নয়, মন্ত্রীর স্ত্রীর নামেও রয়েছে বেনামে প্রচুর সম্পত্তি। বাগডোগরাতে মল্লিক দম্পতির রয়েছে দশ কাঠা জমি। 

    বাড়ির পরিচারকও কোম্পানির ডিরেক্টর

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Ration Distribution Scam) বাড়ির পরিচারকের কাজ করতেন যিনি, তিনিও নাকি দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। তদন্তকারী অফিসারদের মতে, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সরানোর ক্ষেত্রে সেল কোম্পানির গড়ে তোলেন বাকিবুর রহমান ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশ মতোই তিনটি কোম্পানি খুলেছিলেন বাকিবুর রহমান। প্রথমে ওই কোম্পানিগুলিতে ডিরেক্টর পদে রাখা হয় মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যাকে। পরে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ডিরেক্টর হয়ে আসেন অভিষেক বিশ্বাস ও রাম স্বরূপ শর্মা। জানা গিয়েছে, অভিষেক বিশ্বাস হলেন বাকিবুর রহমানের সম্পর্কে শ্যালক। রাম স্বরূপ শর্মা হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক। পরবর্তীতে ওই পরিচারক জ্যোতিপ্রিয়র সুপারিশে চাকরিও পেয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। 

    জ্যোতিপ্রিয় তৈরি করেছিলেন ফার্মও

    তবে শুধুমাত্র এই তিনটে সেল কোম্পানিই নয়, দুটো ফার্মের কথাও উঠে এসেছে ইডি তদন্তে। তদন্তকারীদের দাবি, এ দুটি ফার্ম গড়ে তুলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই। তাঁর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্য একাজ করতে তাঁকে সাহায্য করেন। ফার্মগুলির বর্তমান অবস্থান বাঁকুড়া জেলায়। জানা গিয়েছে, দুটি ফার্মের অ্যাকাউন্টে (Ration Distribution Scam) কুড়ি কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছিল অবৈধভাবে। এই ফার্মের অন্যতম অংশীদার ছিলেন সিপি জান। তাঁর বাড়িতে গত ২৬ অক্টোবর হানা দেয় ইডি। সেখানেই যাবতীয় তথ্য মেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ২৯/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ২৯/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় কিছু বাধার মুখে পড়বেন।

    ২) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদ চললে তা সমাপ্ত হবে।

    বৃষ

    ১) শত্রুরা আপনার জন্য কোনও নতুন সমস্যা সৃষ্টি করবে। তাই সতর্ক থাকতে হবে এই রাশির জাতকদের।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ যাত্রা করতে পারেন। তবে হঠাৎই গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় টাকা খরচ হবে।

    মিথুন

    ১) সহকর্মী আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে।

    ২) আর্থিক দিক দিয়ে যে চেষ্টা করবেন, তাতে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন এই রাশির জাতক।

    কর্কট

    ১) পরিবারের সদস্যের বিয়েতে বাধা সৃষ্টি হলে আত্মীয়ের সাহায্যে তার সমাধান করতে পারবেন।

    ২) প্রেম জীবনে বাণী কঠোর হবে, যার ফলে সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতে পারে।
      
    সিংহ 

    ১) কর্মক্ষেত্রের বিবাদ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। তা না-হলে বরিষ্ঠদের ক্ষোভের শিকার হতে হবে।

    ২) বাবার অসুস্থতার কারণে চিন্তিত হবেন। দেরি না-করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    কন্যা

    ১) শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য চললে, তা দূর হবে।

    ২) শাসনক্ষমতার সহযোগিতা অর্জন করবেন।

    তুলা 

    ১) প্রিয় বস্তু লাভের ইচ্ছা পূর্ণ হবে।

    ২) আইনি বিবাদে জয়ী হবেন এই রাশির জাতকরা।

    বৃশ্চিক

    ১) কারও কথায় এসে কোনও লগ্নি করে বসবেন না। না-হলে সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য দুর্বল হবে। যার ফলে আপনি চিন্তিত থাকবেন।

    ধনু

    ১) জীবনসঙ্গীর পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন এই রাশির জাতক।

    ২) আত্মীয়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করলে সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    মকর

    ১) চাকরিজীবীরা ছোটখাটো পার্টটাইম কাজ করার চিন্তাভাবনা করলে তার জন্য সময় বের করতে পারবেন।
     
    ২) বিবাদে জড়াবেন না। তা না-হলে আইনি মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) নতুন কাজে লগ্নি করলে, তার থেকে পূর্ণ লাভ অর্জন করতে পারবেন।

    ২) পুরনো ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন।

    মীন

    ১) অপ্রিয় সংবাদ শুনতে পারেন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা বাবার সঙ্গে নিজের সমস্যা ভাগ করে নিন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Birbhum: সালিশী সভায় টাকা দিয়ে ধর্ষণের রফা! লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আদিবাসী নাবালিকার

    Birbhum: সালিশী সভায় টাকা দিয়ে ধর্ষণের রফা! লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আদিবাসী নাবালিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক আদিবাসী নাবালিকা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার গোপালনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। আপাতত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    গত ২৫ অক্টোবর বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার গোপালনগর গ্রামে রাতের বেলায় কবাডি খেলার অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে সকলেই খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বাড়ির লোকজনও কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকার সুযোগে পাশের গ্রামের রাজেন মুর্মু নামে এক যুবক বাড়িতে ঢুকে এই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরেই এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিবারের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের নেতৃত্বে ঘটনার পরে বসানো হয় সালিশি সভা। সেখানে ৫০ হাজার টাকায় গোটা ঘটনার রফাও করা হয়। এরকম একটি প্রস্তাব শুনে লজ্জায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই নির্যাতিতা। সালিশি সভার পর সেই আদিবাসী নাবালিকা লজ্জায় শুক্রবার দুপুরবেলায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা নাবালিকাকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজেন মুর্মুও গা ঢাকা দিয়েছে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। স্থানীয় কসবা পঞ্চায়েত এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সালিশি সভা বসিয়ে টাকা দিয়ে যে বা যারা রফা করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, এই ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah:দুর্গা পুজো নয় হাওড়ার খালনা মেতে ওঠে লক্ষ্মী পুজোয়

    Howrah:দুর্গা পুজো নয় হাওড়ার খালনা মেতে ওঠে লক্ষ্মী পুজোয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না দুর্গা পুজো বা কালী পুজো নয়, হাওড়া (Howrah) জেলার শেষ সীমান্তে খালনা গ্রাম, কেবলমাত্র লক্ষ্মী পুজোতেই মেতে ওঠে। শতবর্ষের পুরাতন লক্ষ্মী পুজোর ঐতিহ্য বহন করছে এই গ্রাম। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার সানা জানিয়েছেন, সরকারি খাতায় সব পুজো নেই। কিন্তু এই গ্রামে শতাধিক লক্ষ্মী পুজো হয়। অনেক পুরাতন সময়ের ইতিহাসকে বহন করে চলেছে এই এলাকার লক্ষ্মী পুজো।

    অপরদিকে উত্তর দিনাজপুরে দুর্গাপুজো নয়, লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরেই আনন্দে মাতেন রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রামের বাসিন্দারা। তাই সারা বছর ধরে এই লক্ষ্মী পুজোর অপেক্ষাতে দিন যাপন করেন স্থানীয় মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের অনেক আত্মীয়-পরিজনই লক্ষ্মীপুজোর সময়ে আসেন পুজো ও মেলার টানে।

    খালনার লক্ষ্মী পুজো (Howrah)

    রাজ্যের বিখ্যাত লক্ষ্মীপুজো বলতে সর্বপ্রথম মনে আসে হাওড়ার (Howrah) জয়পুরের খালনার লক্ষ্মীপুজো। এই ক্লাবের পুজো এবারে ১০৩ বছরে পড়ল। রেডিও দিয়ে পশ্চিম খালনা রাজবংশী পাড়া বারোয়ারি লক্ষ্মী পুজোর মন্ডপ নির্মিত হয়েছে। মন্ডপের সামনে একটা বড় রেডিও তৈরি করা হয়েছে।‌ আর সেখানেই শোনা যাচ্ছে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ‌। আবার খালনা গ্রামের ক্ষুদিরায়তলা কোহিনুর ক্লাবের লক্ষ্মীপুজো ১৫৭ বছরে পদার্পণ করল। এই মন্ডপে তুলে ধরা হয়েছে জঙ্গলের পরিসরকে। রয়েছে প্রধান চরিত্রে মুগলি। এছাড়াও রয়েছে মুগলির বন্ধু জঙ্গল, মৌমাছি সহ মধুর চাক, ভল্লুক, বাঘও। সেই সঙ্গে আমরা সবাই ক্লাবের পুজো, তুঙ্গারনাথের মন্দিরের আদলে গড়া মণ্ডপ। একই ভাবে চোখে পড়েছে ‘সহজ পাঠ’-এর মণ্ডপ ভাবনা। হাওড়ার আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, “খালনার এই ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী পুজোকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করতে সম্পূর্ণ সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।”

    ভালো ফলনের জন্য হয় লক্ষ্মী পুজো

    হাওড়ার (Howrah) পাশাপাশি টেনহরির লক্ষ্মীপুজোর মূল আকর্ষণ হল লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে মেলা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এক বাসিন্দা সুধন্যচন্দ্র দাস আজ থেকে আনুমানিক ৭০ বছর আগে, এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় লক্ষ্মীপুজোর সূচনা করেছিলেন। তিনি ওপার বাংলায় ঢাকা জেলার সমরসিং এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সেখানেও বড় করে পুজোর আয়োজন হতো। এদেশে আসার পর, এই এলাকায় ভালো ফলন ও এলাকার প্রতিটি গরীব মানুষের ঘরে যাতে সম্পদ আসে, সেই কামনায় লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেছিলেন তিনি। এখানে লক্ষ্মী মায়ের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারায়ণেরও পুজো করা হয়। পুজোতে লক্ষ্মী-নারায়ণের পাশে জয়া ও বিজয়ার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। রায়গঞ্জ ব্লকের বর্ধিষ্ণু গ্রাম টেনহরির পুজো, এতটাই খ্যাতি অর্জন করেছে যে শুধু রায়গঞ্জ শহর নয়, মালদহ থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর ও বিহারেরও প্রচুর মানুষ, এখানে প্রতিবছর লক্ষ্মীপুজোর উৎসব দেখতে আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুলের একাকী, নিঃসঙ্গ ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের ঝড় নেটিজেনদের, কী বললেন শুভ্রাংশু?

    Mukul Roy: মুকুলের একাকী, নিঃসঙ্গ ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের ঝড় নেটিজেনদের, কী বললেন শুভ্রাংশু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় শুধু মিটিং, মিছিল নয়, ঘরোয়া  বৈঠকে তাঁকে ঘিরেই সবসময় থাকতেন অনুগামীরা। তাঁকে বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলা হত। সেই মুকুল রায় (Mukul Roy) এখন কার্যত একাকী, নিঃসঙ্গ। রাজনৈতিক প্লাটফর্মেও আর তাঁর সেভাবে দেখা মেলে না। বাড়িতে তাঁকে ঘিরে অনুগামীদেরও আর কোনও ভিড় নেই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুকুল রায়ের অসুস্থ, জীর্ণ ছবি সামনে আসতেই একের পর এক প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।

    মুকুলের ছবি দেখে কী লিখলেন নেটিজেনরা? (Mukul Roy)

    দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মুকুল রায় তৃণমূলে ছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ প্রশাসন, আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে দলের অন্দরে চর্চিত ছিল। এমনকী বিধায়ক বা সাংসদের টিকিট পেতে গেলেও তাঁর সবুজ সংকেতের প্রয়োজন হত। কাঁচরাপাড়ায় আসলে তাঁকে ঘিরে থাকতেন এক ঝাঁক অনুগামী। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতা আসার কিছুদিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে, তৃণমূলে অভিষেকের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।  পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি গত বিধানসভায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রতীকে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। কয়েকমাস পরই তিনি ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তিনি অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি নিজে একাই দিল্লি গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৃণমূল দলটা আর করা যায় না বলে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। ফলে, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে নতুন করে তাঁর এই ছবি সামনে আসতেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর এই ছবি পোস্ট করে অনেকে নানা ধরনের কমেন্ট লিখেছেন। দুদিন আগে বাঁকুড়া জেলার এক বিধায়ক হরকালী প্রতিহার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল রায়ের এই ছবি পোস্ট করে একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বাঁকুড়ার দলত্যাগী বিধায়ক হরকালী প্রতিহারেরও একদিন এই হাল হবে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ কেউ লিখেছেন, ‘মুকুল ঝড়ে পড়েছে।’

    বাবার ছবি নিয়ে নেটিজেনদের কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু?

    পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার নিয়েছে পরিবারের লোকজন চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বর্তমানে বাবার অসুস্থতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশিত করেছে, সেই ছবি নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন। হ্যাঁ, তিনি সত্যিই অসুস্থ, ২৫ বছর ধরে ব্লাড সুগারের সঙ্গে লড়াই চালাতে চালাতে তিনি এখন ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এবং তার সঙ্গে বয়সজনিত কারণে মুত্রথলিতেও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। হ্যাঁ, তিনি সত্যিই খুবই অসুস্থ। আমি তার পুত্র হিসাবে এর মধ্যে থেকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, কিছু লোক তাদের শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। ….আর খোঁজ নেওয়ার প্রশ্নে এইটুকু বলে রাখতে পারি যে,আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজে বাবার খোঁজ নেন প্রতিটি সময়ে। আমাদের নেতৃত্ব অভিষেক ব্যানার্জি ও তার ব্যস্ততার ফাঁকে বাবার খোঁজ নেন সবসময়। সকলের কাছে আমার করজোড়ে নিবেদন, শুধু আমার বাবা কেন, কোনও অসুস্থ মানুষের অসুস্থতা নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না, কটাক্ষ করবেন না। এইটুকুই বলার ছিল।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শিশু নির্যাতন-নারী ধর্ষণ রুখতে একরত্তি কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা বাগচি দম্পতির

    Nadia: শিশু নির্যাতন-নারী ধর্ষণ রুখতে একরত্তি কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা বাগচি দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে শিশু নির্যাতন এবং নারী ধর্ষণ রোধ করতে নিজের সাড়ে তিন বছর কন্যাকে, মা লক্ষ্মী রূপে পুজো করে অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানালেন বাগচি দম্পতি। এমন পুজো কার্যত সামজিক সচেতনতার প্রতীক। এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে, নদিয়া জেলার (Nadia) ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার নাঘাটা পাড়ায়। মা লক্ষ্মীর এই অভিনব পুজোতে খুশির উচ্ছ্বাস এলাকায়।

    কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে পুজো (Nadia)

    লক্ষ্মী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে, সারা বিশ্ব যখন ধন-সম্পদ লাভের আশায় ব্রতী, ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের সাড়ে তিন বছর বয়সী একরত্তি শিশু কন্যাকে, দেবী লক্ষ্মী রূপে ধর্মীয় রীতি মেনে পুজো করলেন বাবা-মা। সেই সঙ্গে, পৃথিবী থেকে শিশু নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের মতো অসামাজিক ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য প্রার্থনা করলেন এই বাগচি দম্পতি। নাঘাটা (Nadia) এলাকার বাগচি পরিবারের ঠাকুর ঘরের সিংহাসনে, মা লক্ষ্মীর প্রতিকৃতি রয়েছে। মায়ের সামনেই এদিন নিজের শিশু কন্যা অরিত্রিকা বাগচিকে, মা লক্ষ্মীর রূপে সজ্জিত করে, পুরোহিত ডেকে পুজো করলেন তাঁরা।

    কন্যার মায়ের বক্তব্য

    নদিয়ার (Nadia) পুজো প্রসঙ্গে, কন্যা অরিত্রিকা বাগচির মা ঝুমা বাগচি বলেন, “মেয়ে সন্তানকে পরিবারের লক্ষ্মী হিসাবে দেখছি আমরা। নারী হল মাতৃশক্তির আরেক রূপ। মূলত সেই কারণেই মা লক্ষ্মীর মৃন্ময়ী মূর্তির বদলে, ঘরের মেয়েকেই আমরা মা লক্ষ্মী হিসাবে আরাধনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পাশাপাশি নিজের মেয়েকে ভগবান রূপে আরাধনা করার মধ্যে দিয়ে, সমাজ থেকে শিশু-নারী নির্যাতনের মতো অমানবিক ঘটনার, চিরতরে অবলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছেন পরিবার।

    কন্যার বাবার বক্তব্য

    বহুক্ষেত্রে গ্রাম বাংলার বহু জায়গায় বাস্তব জীবনে মেয়েদের পিছন সারিতে ফেলে রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাই কন্যা অরিত্রিকা বাগচির বাবা অর্জুন বাগচি বলেন, “কন্যা সন্তানদের প্রতি ভ্রান্ত ধারণা ও অসামাজিক মনোভাবকে মুছে দিতে হবে। নারীদের প্রতি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”

    দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে কুমারী পুজোর প্রচলন থাকলেও, কোনও শিশু কন্যাকে লক্ষ্মী রূপে আরাধনা করার ঘটনা এখনও পর্যন্ত নজিরবিহীন। বাগচি দম্পতির এই কর্মকাণ্ডকে স্বচক্ষে দেখে, নাঘাটার (Nadia) বাড়িতে এইদিন ভিড় জমান আশেপাশের প্রতিবেশীরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে উৎসবে মাতলেন নৈহাটিবাসী

    Naihati: বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে উৎসবে মাতলেন নৈহাটিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকালে নবনির্মিত মন্দিরে নৈহাটির (Naihati) বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল। শুক্রবার সেই মূর্তিতে মহা স্নান হয়েছে। হয়েছে চণ্ডীপাঠ, গীতা পাঠ, ঘট পুজো, হোম যজ্ঞ এবং বেদি পূজন। যা দেখতে বহু মানুষ হাজির হয়েছিলেন বড়মার মন্দির চত্বরে। স্বর্ণালঙ্কারে মাকে সাজানো হয়, অনেকটা দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী মায়ের মতো করে। এদিন সকাল থেকে মহাসমারোহে সাড়ে চার ফুটের কষ্টিপাথরের মূর্তিতে মাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্ত সামিল হন। পুজোর পরে  ভক্তদের উদ্দেশ্যে ভোগ বিতরণ করা হয়।

    কী বললেন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক? (Naihati)

    নৈহাটি (Naihati) বড় মা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, এতদিন মা’র ফটো ফ্রেমে পুজো হতো। ১০০ বছরে পদার্পণ করে বড়মার কষ্টিপাথরে মূর্তিতে পুজো হবে। মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর নিত্য পুজো হবে। সাড়ে চার ফুটের এই মূর্তি তৈরি করেছেন রাজস্থানের শিল্পী ধর্মেন্দ্র সাউ। বড়মা বহু মানুষের কাছে আবেগ। হাজার হাজার ভক্তদের দাবি মেনেই এই মূর্তি তৈরি করা হলো। একেবারে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে  চার বেলা পুজো হবে, ভোগ দেওয়া হবে। সোনার গয়নায় মাকে সাজানো হয়েছে। যার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    বড়মা মন্দির কমিটির ট্রাস্টির সভাপতির কী বক্তব্য?

    নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বড়মা মন্দির কমিটির ট্রাস্টির সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবার ১২. ৫০ মিনিটে নবনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। তিনি আরও বলেন, ভক্তদের দানে একটি অসাধারণ মন্দির তৈরি হয়েছে। চারতলার মন্দিরের একতলায় মা অধিষ্ঠান করবেন। হবে ধর্মশালা ও বৃদ্ধাশ্রম। এদিকে কালী পুজোর সময় ২২ ফুটের যে বড়মার পুজো হয় তারও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে কাঠামো পুজো। ফলে, বড়মাকে কেন্দ্র করে জাঁকজমকভাবে উৎসবে মেতে উঠেছেন নৈহাটিবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woman Loco Pilot: প্রথম মহিলা লোকো পাইলট দীপান্বিতা চালালেন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল

    Woman Loco Pilot: প্রথম মহিলা লোকো পাইলট দীপান্বিতা চালালেন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে প্রথম মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) হিসাবে কাজ শুরু করলেন দীপান্বিতা দাস। বর্তমানে তিনি মেদিনীপুর-হাওড়া রুটের লোকাল ট্রেন চালাবেন। ১০ বছর মালগাড়ি চালানোর পর, পদোন্নতি পেয়ে এখন যাত্রীবাহী ট্রেন চালাবেন তিনি। গতকাল শুক্রবার, এই প্রথম মেদিনীপুর-হাওড়া শাখায় লোকাল ট্রেন চালালেন, একজন মহিলা লোকো পাইলট।

    মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot)

    ৪৫ বছরের এই মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) দীপান্বিতা দাসের বাড়ি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে। তাঁর কর্মস্থল হল, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর বিভাগ। এই বিভগের শাখায় তিনি প্রথম মহিলা হিসাবে মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল ট্রেন চালিয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গে দীপান্বিতা দাস বলেন, “নারী পুরুষ বলে কোনও ভেদ নেই। এখন সবাই সমান। মালবাহী ট্রেনের তুলনায় এই যাত্রীবাহী ট্রেন, অনেক বেশি সতর্কতা দিয়ে চালাতে হয়। মালবাহী ট্রেন চালাতে সময় বেশি লাগলেও, যাত্রীবাহী ট্রেনে সময় অনেক কম লাগে। তবে ট্রেন চালানোর আগে শারীরিক পরীক্ষার পর, ট্রেন চালানোর অনুমতি পাওয়া যায়।” তাঁর স্বামীও রেল দফতরে কাজ করেন। তাঁদের এক মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

    ২০০৩ থেকে কাজ করছেন দীপান্বিতা

    ২০০৩ সালে আদ্রা বিভাগে কাজে যোগদান করেন দীপান্বিতা। এরপর ২০০৬ থেকে খড়গপুরে আসেন, ২০১৪ থেকে মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। এরপর গতকাল শুক্রবার একাদশীর দিন, মেদিনীপুর থেকে হাওড়া রুটে লোকাল চালিয়েছেন তিনি। সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে মেদিনীপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে ছিল। এরপর হাওড়ায় পৌঁছানোর পর, আবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ট্রেন চালিয়ে, মেদিনীপুরে নিয়ে যান তিনি। এই মহিলা লোকো পাইলটকে ঘিরে বেশ খুশির আবহ রেলের এই শাখায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share