Tag: Bengaluru

Bengaluru

  • Karnataka: সাইবার প্রতারণায় গত বছরে কর্নাটকের নাগরিকরা হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা, বলছে রিপোর্ট

    Karnataka: সাইবার প্রতারণায় গত বছরে কর্নাটকের নাগরিকরা হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধীদের জালিয়াতির ফাঁদে পড়ে কর্নাটকের (Karnataka) নাগরিকরা ২০২৪ সালে হারিয়েছেন প্রায় ২,৯১৫ কোটি টাকা। সে রাজ্যের সিআইডি -এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে সর্বাধিক সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরু শহরে। যেখানে কর্নাটক জুড়ে সংঘটিত মোট সাইবার অপরাধের ৪২.৯ শতাংশই বেঙ্গালুরুতে ঘটেছে (Cyber Fraudsters)।

    কীভাবে চলে জালিয়াতি (Karnataka)

    রিপোর্টটি ইতিমধ্যেই কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতারণার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষকে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এই কারণেই বেঙ্গালুরু শহরের ১৯টি থানায় অসংখ্য এফআইআর দায়ের হয়েছে। সিআইডি-র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে (Cyber Fraudsters), সাইবার প্রতারকরা প্রথমে নানা ধরনের প্রলোভনের মাধ্যমে নাগরিকদের ফাঁদে ফেলে। তারা ‘দ্রুত লাভ’, ‘দ্বিগুণ রিটার্ন’ অথবা ‘নিরাপদ বিনিয়োগ’-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। দেখা গিয়েছে, মোট সাইবার প্রতারণার ৭০.৫ শতাংশ ঘটনা এই ধরনের বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও, কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করেছে প্রতারকরা। চাকরি দেওয়ার নাম করে নানা ফাঁদ পেতে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

    ডিজিটাল অ্যারেস্ট করেও টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটেছে

    সম্প্রতি আলোচনায় উঠে এসেছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নামক নতুন প্রতারণার কৌশল। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার জানিয়েছে, এটি সাইবার অপরাধীদের একটি আধুনিক ফাঁদ। কর্নাটকেও (Karnataka) এই ধরনের প্রতারণার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে অপরাধীরা পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার সেজে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করেছে। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন উপায়ে এই ধরনের প্রতারণা চালায়—যেমন ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি, সামাজিক মাধ্যমে ফেক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ, অথবা ভুয়া কল করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু শহর মূলত সাইবার প্রতারকদের টার্গেট হয়ে উঠেছে, কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে অনলাইন লেনদেন হয় এবং শহরজুড়ে অসংখ্য প্রযুক্তি সংস্থা, শিক্ষার্থী ও কর্মরত পেশাজীবীর উপস্থিতি রয়েছে—যাঁরা অনেক সময়ই এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন।

  • Make in India: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে ফের সাফল্য, অত্যাধুনিক ড্রোন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করল বেঙ্গালুরুর সংস্থা

    Make in India: মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে ফের সাফল্য, অত্যাধুনিক ড্রোন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করল বেঙ্গালুরুর সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পে ফের সাফল্যের ছোঁয়া। একটি অত্যাধুনিক ড্রোন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করল বেঙ্গালুরুভিত্তিক (Bengaluru) প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থা ভারত সাপ্লাই অ্যান্ড সার্ভিস (Bharat Supply and Service)। এই ড্রোন একে-২০৩ রাইফেল যুক্ত করে আকাশপথে লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালাতে সক্ষম। এটি মূলত কম উচ্চতায় কৌশলগত অভিযানের জন্য তৈরি। এতে নজরদারি ও দূর থেকে আক্রমণ করার সুবিধা রয়েছে। এই সিস্টেমটি সম্প্রতি ভারতীয় সেনার সহযোগিতায় সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।

    ভারতের প্রথম AI-চালিত প্রাণঘাতী অস্ত্রের সফল পরীক্ষা

    চলতি সপ্তাহেই ভারত সাপ্লাই অ্যান্ড সার্ভিস ভারতীয় সেনার সঙ্গে যৌথভাবে দেশের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্ভর স্বয়ংক্রিয় লাইট মেশিন গান (LMG) সিস্টেমের ট্রায়াল চালায়। এই অস্ত্রটিতে ইজরায়েলের তৈরি ৭.৬২×৫১ মিমি ব্যারেলযুক্ত নেগি এলএমজি ব্যবহার করা হয়েছে। এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে চালিত এই সিস্টেম ৩০০ মিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে এবং ৬০০ মিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে গুলি চালাতে সক্ষম। অস্ত্রটির কার্যকর রেঞ্জ ১,০০০ মিটার পর্যন্ত বলে জানানো হয়েছে। সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ভিকি চৌধুরী বলেন, “এটি ভারতের প্রথম এআই চালিত অস্ত্র সিস্টেম যা .৫০ ক্যালিবার পর্যন্ত যেকোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।” তিনি আরও জানান, বিশ্বজুড়ে খুব কম সংখ্যক সংস্থা এমন সফল পরীক্ষা চালাতে পেরেছে।

    প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও সক্ষমতা

    এই এআই ভিত্তিক সিস্টেমে রয়েছে থার্মাল ও অপটিক্যাল সেন্সর, যা খারাপ দৃশ্যমানতাতেও লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। এটি বাতাসের গতি, তাপমাত্রা ও দূরত্ব বিবেচনা করে ব্যালিস্টিক পথ হিসেব করতে সক্ষম। সিস্টেমটি একটি এনক্রিপ্টেড রিমোট কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। চলতি বছর এপ্রিলের ৫ তারিখে রুরকিতে এর প্রাথমিক পরীক্ষা শুরু হয়। পরে এটি ১৪,৫০০ ফুট উচ্চতায় কঠিন পরিস্থিতিতেও সফলভাবে কাজ করেছে। এই সিস্টেম ২১ দিন পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংকারের ভিতর থেকে কাজ করতে পারে। এটি নৌজাহাজেও যুক্ত করা যায়।

    আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশল

    ভারতীয় সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে স্বয়ংক্রিয় এবং এআই-চালিত অস্ত্র ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। এআই ভিত্তিক প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলোর জন্য “মেক ইন ইন্ডিয়া” (Make in India) উদ্যোগের আওতায় সরকার প্রতিবছর ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। ২০২০ সালে ভারত ইজরায়েল থেকে ১৬,৪৭৯টি নেগি এলএমজি কেনে। দেশে এই জাতীয় অস্ত্রের মোট চাহিদা ৪০,০০০। বেঙ্গালুরুর সংস্থার তৈরি এই এআই ড্রোন সেই আত্মনির্ভর প্রযুক্তিরই অংশ।

     

     

     

     

     

  • BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট (Bengaluru Stampede) হয়ে মৃত অন্তত ১১। বুধবারের ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এই ঘটনায় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, এত বড় জমায়েতের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এই দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য লেখেন, “চিন্নাস্বামী থেকে আসা মর্মান্তিক খবরে ভীষণ শোকাহত। এটি আনন্দ ও অনুগত ভক্তির এক উৎসব হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা এক মর্মান্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকার ও নেতৃত্ব যখন আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নেওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত, মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন উৎসবে খোলাখুলি আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন, তখন মাটিতে কোনও প্রস্তুতিরই ব্যবস্থা ছিল না।” তিনি লেখেন, “সরকার এই পুরো পরিকল্পনাটি ব্যর্থ করেছে এবং শেষ মুহূর্তে উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    আরসিবির জয় (BJP)

    ১৮ বছর পর শেষমেশ আইপিএল ট্রফি জিতেছে আরসিবি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)। দলের জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বেঙ্গালুরু শহর। তার মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির জয় সেলিব্রেট করতে কোহলিদের জড়ো হওয়ার কথা ছিল। সেই স্টেডিয়ামের গেটেই দর্শকদের হুড়োহুড়ির জেরে ঘটল দুর্ঘটনা। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল পুলিশকে। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাঁদের সকলকেই ভর্তি করা হয়েছে শিবাজি নগরের বাউরিং হাসপাতালে (BJP)।

    সেলিব্রেশনের আগেই বিপত্তি

    এদিন সকালে আরসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ট্রফি নিয়ে দল শহরে পৌঁছতেই সেলিব্রেশন হবে। সেই হিসেবে ছকে ফেলা হয় বিরাটদের গোটা দিনের পরিকল্পনা। বিমানবন্দরে নামার পর থেকে ভিক্ট্রি প্যারেড, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনার কথা সমর্থকদের সঙ্গে শেয়ার করতেই বেঙ্গালুরুতে ভিড় বাড়তে থাকে। একটা সময়ে বাসে করে রাস্তায় ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা বাতিল করা হলেও, পরে ফের করা হয়। এই সময়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায় তারা পরিস্থিতি (Bengaluru Stampede) সামাল দিতে তৈরি। ফলে সমর্থকরা বেরতে থাকেন রাস্তায়। তার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা (BJP)।

  • Virat Kohli : ‘ই সালা কাপ নামদু’! অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, চোখের জলে মাটি স্পর্শ, আইপিএল ট্রফিতে চুম্বন বিরাটের

    Virat Kohli : ‘ই সালা কাপ নামদু’! অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, চোখের জলে মাটি স্পর্শ, আইপিএল ট্রফিতে চুম্বন বিরাটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাপমোচন! স্বপ্নপূরণ! অধরা মাধুরী ধরা দিল। ১৮ বছর পর বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ট্রফি ক্যাবিনেটে এল আইপিএল (IPL Final 2025) খেতাব। রাজার মতোই ট্রফি হাতে অনুগতদের ভিড়ে মিশে গেলেন কিং কোহলি। আঠারোর উপাখ্যান লিখলেন ক্রিকেট দেবতা। ফাইনালে শ্রেয়স আইয়ারের পাঞ্জাব কিংসকে ছয় রানে হারিয়ে আইপিএলের অষ্টাদশ মরশুমে প্রথমবার আইপিএল জিতল ‘নম্বর ১৮’ বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। সেই ২০০৮ সাল থেকে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে বিরাটের পথ চলা শুরু। দীর্ঘ ১৮ বছর কোহলি কখনও ট্রফি ছোঁয়ার স্বাদ পাননি। ট্রফির জন্য আরসিবি ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। তাঁকে পেতে মুখিয়ে ছিল অসংখ্য দল। কিন্তু ট্রফি জয়ের থেকে বরাবরই আনুগত্যকে এগিয়ে রাখেন বিরাট। আর সেই আনুগত্যের দাম দিল ক্রিকেট দেবতা।

    চার বল বাকি থাকতেই আবেগের বিস্ফোরণ

    খেলা শেষ হতে তখনও চার বল বাকি। জশ হেজলউডের বলটা শশাঙ্ক সিং বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিতেই হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে পড়লেন তিনি। দু’হাতে ঢাকলেন চোখ। পাশ থেকে দুই সতীর্থের পিঠ চাপড়ানি, গোটা মাঠের গর্জন, সতীর্থদের পাগলপারা উচ্ছ্বাস— কিছুই ছুঁতে পারছিল না তাঁকে। বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে চোখ ঢেকে ফেললেন কোহলি। চোখের কোনা দিয়ে গড়িয়ে পড়ল জল। খেলা শেষ না হলেও তত ক্ষণে বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কোহলি। প্রতীক্ষার পালা সাঙ্গ হল। এক দিনের বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, দেশের হয়ে সবই জিতে ফেলেছেন। এ বার ক্লাবের হয়ে আইপিএলও হয়ে গেল। এই ট্রফি ক্রিকেটজীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কোহলির জবাব, “সত্যি বলতে, অনেকটা উপরের দিকেই থাকবে। গত ১৮ বছর ধরে নিজের সবটা এই দলকে দিয়েছি। যা-ই হোক না কেন, এই দলের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে। কখনও কখনও মনের মধ্যে বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা এসেছে (দল ছাড়ার)। তবু এই দলের সঙ্গে থেকে গিয়েছি। সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছি, ওঁরাও আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। ওঁদের সঙ্গেই জেতার স্বপ্ন দেখেছি। ট্রফি জয়টা আরও ভাল লাগছে কারণ আমার হৃদয় এবং আত্মা রয়েছে বেঙ্গালুরুর সঙ্গেই। আইপিএলের শেষ দিন পর্যন্ত এই দলের সঙ্গেই থাকব।”

    স্বপ্নপূরণের কান্নায় ভাসল মোতেরা

    এদিন খেলা শেষে মাঠে নামলেন কোহলির (Virat Kohli) প্রিয় বন্ধু এবি ডিভিলিয়ার্স। তাঁকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন কোহলি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরেও এই দলকে ডিভিলিয়ার্স কতটা ভালবাসেন তা বোঝা যাচ্ছিল। কোহলি পরে জানালেন, তাঁদের উৎসবের মঞ্চে থাকবেন এবি। মাঠে নামলেন কোহলির আর এক বন্ধু ক্রিস গেইলও। তিনিও বেঙ্গালুরুর জার্সি পরেছিলেন। তাঁকেও দেখা গেল বেঙ্গালুরুর উৎসবে। সতীর্থ, কোচ, বন্ধুরা পাশে থাকলেও তখনও কোহলির চোখ এক জনকে খুঁজছিল। বার বার গ্যালারির দিকে তাকাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে তাঁকে দেখতে পেলেন কোহলি। তিনি অনুষ্কা শর্মা। তাঁর সব লড়াইয়ের সাক্ষী। বেঙ্গালুরুর মেয়ে অনুষ্কা। দু’বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কাঁদতে কাঁদতে স্ত্রী অনুষ্কাকে জড়়িয়ে ধরেছিলেন কোহলি। এ বারও তাই করলেন। তবে সেই কান্না ছিল দুঃখের। স্বপ্নভঙ্গের। এই কান্না আনন্দের। স্বপ্নপূরণের। কোহলির কথায়, “এই ট্রফি দলের জন্য যতটা, ততটাই সমর্থকদের জন্য। আঠারোটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে এই দিনটা দেখতে। এই দলটাকে নিজের যৌবন, নিজের সেরা সময় এবং অভিজ্ঞতা দিয়েছি। প্রত্যেক মরসুমে ট্রফি জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, নিজের সবটা দিয়েছি। তাতেও ট্রফি পাইনি। অবশেষে এই দিনটা দেখতে পাওয়া অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি।”

    ই সালা কাপ নামদু

    আইপিএলের (IPL Final 2025) ইতিহাসে কোহলিই (Virat Kohli) একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি ১৮ বছর ধরে একটা দলেই খেলছেন। চেন্নাই টুর্নামেন্ট থেকে দু’বছর নির্বাসিত হওয়ায় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অন্য দলে খেলতে হয়েছে। রোহিত শর্মা দলবদল করেছেন। কিন্তু কোহলি বেঙ্গালুরু ছাড়েননি। অধিনায়ক না থেকেও পর্দার পিছনের নায়ক তিনিই। তাঁকে বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত, কোনও পরিকল্পনা করে না বেঙ্গালুরু। রজত পাতিদারের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার আগেও কোহলির সবুজ-সঙ্কেত নেওয়া হয়েছিল। অনেকে বলেন, পাতিদার কোহলিরই ‘নির্বাচিত’। অধিনায়কত্বে তরুণ রক্ত আনতে চেয়েছিলেন বিরাট। সেই তরুণ তুর্কিরাই কোহলিকে চ্যাম্পিয়ন করতে মাঠে উজাড় করে দিয়েছেন। যেমন ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপটা সচিন তেন্ডুলকরকে জেতানোর পণ করেছিল গোটা ভারতীয় দল। আইপিএল ফাইনালের আগে পাতিদার বলে দিয়েছিলেন, “আমরা এ বার বিরাটভাইয়ের জন্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব। এত বছর ধরে এই দলের জন্য বিরাটভাই লড়েছে। এটা ওর প্রাপ্য।” অবশেষে সফল বেঙ্গালুরুর স্লোগান ‘ই সালা কাপ নামদু’ বাংলা তর্জমায় ‘এ বছর কাপ আমাদের’।

    বিরাট-রেকর্ড

    মঙ্গলবার আইপিএল ২০২৫-এর (IPL Final 2025) ফাইনালের মঞ্চে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটি ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েন। তিনি এক্ষেত্রে ভেঙে দেন শিখর ধাওয়ানের সর্বকালীন আইপিএল নজির। আপতত এই নিরিখে বিশ্বের সব ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে চলে আসেন কোহলি। তিনি বেঙ্গালুরুর হয়ে ওপেন করতে নেমে সব থেকে বেশি ৪৩ রান সংগ্রহ করেন। ৩৫ বলের ইনিংসের কোহলি মোট ৩টি চার মারেন। ফাইনালে এই ৩টি চার মারার সুবাদেই রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়ে নেন কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি রানের মালিক বিরাট (৮৬৬১)। সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি (৮টি) করেছেন তিনি। সব থেকে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির (৬৩টি) রেকর্ডও আগে থেকেই ছিল বিরাট কোহলির দখলে। মঙ্গলবার আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি চার মারা ক্রিকেটারে পরিণত হন কোহলি। তিনি আইপিএলের ২৬৭টি ম্যাচের ২৫৯টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ৭৭১টি চার মেরেছেন। এতদিন আইপিএলে সব থেকে বেশি চার মারার রেকর্ড ছিল শিখর ধাওয়ানের। তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে সাকুল্যে ৭৬৮টি চার মেরেছেন। সুতরাং, ধাওয়ানের কাছ থেকে সেই রেকর্ড ছিনিয়ে নিলেন বিরাট। বিরাট কোহলি আইপিএল ২০২৫-এর ১৫টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৫৭ রান সংগ্রহ করেছেন। কোনও শতরান না করলেও তিনি মোট ৮টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে। আরসিবির হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন কোহলিই।

  • EtherealX: বিশ্বে প্রথম! বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ তৈরি করল পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট রকেট

    EtherealX: বিশ্বে প্রথম! বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ তৈরি করল পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট লঞ্চ ভেহিকল তৈরি করল বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক স্টার্টআপ ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন গিল্ড (EtherealX)। ভারতের প্রযুক্তি নগরীর এই সাফল্য এখনও পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম মহাকাশ সংস্থা ইলন মাস্কের স্পস এক্সও (SpaceX) অর্জন করতে পারেনি। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা ইতিমধ্যেই ভারতের বেসরকারি মহাকাশ শিল্পে এক শক্তিশালী সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইসরোর প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার মানু জে. নায়ার, শুভায়ু সরদার এবং প্রশান্ত শর্মার হাত ধরে ভারতের এই সংস্থার পথ চলা শুরু। এই সংস্থার তৈরি প্রধান রকেট রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1), যে কোনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। এই রকেট ইসরোর (ISRO)-এর বর্তমান রকেটগুলোর থেকেও উন্নত, বলে দাবি প্রস্তুতকারকদের।

    নতুন প্রযুক্তি, নতুন দিগন্ত

    রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1)-এর সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো এর দুটো ধাপ—বুস্টার এবং আপার স্টেজ—উভয়কেই পুনর্ব্যবহারযোগ্যভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যেখানে স্পেস এক্স সহ বহু সংস্থাই উচ্চতাপে পোড়া আপার স্টেজ ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন একটি বিপরীতমুখী কৌশল নিয়েছে। তারা এই প্রবল তাপকে রকেটের নিজস্ব ইঞ্জিন চালানোর জন্য ব্যবহার করছে। সংস্থার সিইও মানু নায়ার বলেন, “পুনঃপ্রবেশ তাপের সঙ্গে যুদ্ধ না করে, যদি তা দিয়ে ইঞ্জিন চালানো যায়—তবেই তো আসল উদ্ভাবন।” আদতে এই স্টার্টআপটির লক্ষ্য হল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শিল্পে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা, যেখানে রকেটের বুস্টার এবং উপরের স্তর উভয়কেই পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এটি একটি উদ্ভাবনী ধারণা, যা আগে কেউ সফলভাবে করতে পারেনি।

    তাপ নয়, শক্তিতে রূপান্তর

    রকেটের আপার স্টেজ পুনরুদ্ধারের প্রধান সমস্যা হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময় সৃষ্ট তাপ। এই তাপ ঠেকাতে সাধারণত হিট শিল্ড ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে। নায়ার বলছেন, “আমরা এই তাপকে ঠেকানোর পরিবর্তে সেটিকে কাজে লাগানোর একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি। এই তাপ দিয়ে আমরা ইঞ্জিন চালাতে পারি, এটাই আমাদের নতুন ফিড সাইকেল।” এর ফলে, এই রকেট প্রতি কেজি উৎক্ষেপণে খরচ হবে মাত্র ৩৪০ থেকে ২০০০ মার্কিন ডলার— যা স্পেস এক্স-এর আটভাগের এক ভাগ। অতএব কম খরচেই রকেট লঞ্চ সম্ভব হবে।

    ভারতের স্পেস রেনেসাঁয় বেঙ্গালুরুর নেতৃত্ব

    ভারতের মহাকাশ প্রযুক্তিতে যে নবজাগরণ ঘটছে, তার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বেঙ্গালুরু। ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ বলেছিলেন, “আজ ছোট স্যাটেলাইট বানানো হয় ঠিকই, কিন্তু আমি আশা করি একদিন ৪-৬ টন ওজনের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটও ভারতেই তৈরি ও উৎক্ষেপণ হবে।” এই দিক দিয়ে বেঙ্গালুরু এখন ভারতের স্পেস হাব হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে ইউরোপ, জাপানসহ একাধিক দেশের সংস্থার সঙ্গে ১১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন (EtherealX)। বর্তমানে প্রতিরক্ষা ও বৈজ্ঞানিক দিক থেকে বিশ্বের বহু দেশ এখন চিন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প খুঁজছে। এক্ষেত্রে ভারত হয়ে উঠছে সেই বিকল্প। ইন্দো-ইউএস স্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন, মহাকাশ প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা লজিস্টিক্সের নতুন বিশ্বজোটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।

    ২০২৭-এর দিকে নজর

    রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1)-এর প্রযুক্তিগত ডেমো লঞ্চ হতে চলেছে ২০২৬ সালে। এই রকেটটির পূর্ণাঙ্গ লঞ্চ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৭ সালের মার্চে। ইতিমধ্যে তারা ১.২ মেগা-নিউটন ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী বেসরকারি রকেট ইঞ্জিন হতে চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি তহবিল থেকে প্রাথমিক ৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে তারা। আগামী দিনে আরও বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র বিশ্ব জয়

    ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন (EtherealX)-এর প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মডেলে তৈরি হচ্ছে। প্রায় সব যন্ত্রাংশই ভারতেই উৎপাদিত, কিছু বড় ও জটিল উপাদান বর্তমানে আউটসোর্স করা হলেও ভবিষ্যতে তা ভারতেই উৎপন্ন করার কথা জানিয়েছেন সংস্থার সিইও। নায়ার মনে করেন, স্পেস এক্স-এর মতো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে গেলে মূল বাধা শুধু পুঁজি। তবে বর্তমানে মোদি সরকারের আমলে মহাকাশ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ছে। সরকার নিজেও সেক্টর-ফোকাসড ভেঞ্চার ফান্ড তৈরি করেছে। ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন দেখিয়ে দিচ্ছে, শুধুমাত্র লঞ্চ সাইট হিসেবে নয়, একটি লঞ্চ শক্তি হিসেবেও বিশ্ব মানচিত্রে ভারতের উঠে আসা সম্ভব।

  • George Soros: জর্জ সোরোসের সংস্থা থেকে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বেঙ্গালুরুর তিন কোম্পানি!

    George Soros: জর্জ সোরোসের সংস্থা থেকে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বেঙ্গালুরুর তিন কোম্পানি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-মার্চে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত আটটি জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি (ED)। এই কোম্পানিগুলি মার্কিন নন-প্রফিট ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশন থেকে ফান্ড পেয়েছিল। এই ফাউন্ডেশনের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার জর্জ সোরোস (George Soros)। এই ফান্ড নেওয়ায় ওই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।

    ২৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার! (George Soros)

    মার্চ মাসে ইডির অভিযানের আগে ওই ফাউন্ডেশন কয়েক মাসে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ওই কোম্পানিগুলিতে ট্রান্সফার করেছিল ২৫ কোটি টাকা। এই অভিযোগ পেয়েই ওই তিন কোম্পানিতে অভিযান চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জেনেছে, এএসএআর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাডভাইজার্স, যেটি ওই কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি, তারাও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) থেকে ৮ কোটি টাকা পেয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিদেশে বাম, ডান এবং প্রগতিশীল অ্যাজেন্ডা প্রচারের জন্য এই ইউএসএআইডি-র সমালোচনা করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কোম্পানিগুলি ২০২২-২৩ সালে ফরেন ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স হিসেবে ওই অর্থ পেয়েছে। তবে এএসএআরের দাবি, ইউএসএআইডি থেকে তারা যে ফান্ড পেয়েছিল, তা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারকে দেওয়া পরিষেবার বিনিময়ে।

    কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার

    ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, অলাভজনক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা সম্পদের ব্যবহার, পুনর্ব্যবহার এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় নিবেদিত। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলি বোঝা এবং ভারতের উন্নয়নের প্রভাব নিয়ে কাজ করে (George Soros)। তাদের সব গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে প্রাসঙ্গিক। তবে এএসএআর কর্তারা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারকে কী ধরনের পরিষেবা দিয়েছিল এবং ইউএসএআইডির এতে কী ভূমিকা রয়েছে, তা উল্লেখ করেননি। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে জর্জ সোরোস বা ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কোনও যোগ নেই (ED)। জর্জ সোরোস বা ওপেন সোস্যাইটির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক বা ফান্ড প্রাপ্তির ইতিহাস নেই (George Soros)।

  • RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (এবিপিএস), ২০২৫ সালের ২১ থেকে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা সংঘের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সংস্থা এবং এটি প্রতি বছর আয়োজিত হয়। এবারের এবিপিএস বেঙ্গালুরু শহরের কাছে চান্নেনাহল্লিতে অবস্থিত জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্র প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।

    সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (RSS)

    গত বছর সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (কার্যবৃত্ত) এই বৈঠকে উপস্থাপন ও আলোচনা করা হবে। এর বিশ্লেষণের পাশাপাশি, সংঘের বিভিন্ন প্রান্ত ও শাখার দ্বারা গত বছরের বিশেষ উদ্যোগগুলির প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হবে। ১৯ মার্চ, বেঙ্গালুরুতে জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে, আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানান, বৈঠকটি ২১ মার্চ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, “আরএসএসের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সংঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে গত বছরের কাজের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন, যেখানে শাখা কার্যক্রম, বিশেষ কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলির বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিরা তাদের নানা প্রান্তে হয়ে যাওয়া কাজের রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন, যার মধ্যে উদ্যোগ, বিশেষ কর্মসূচি এবং মাঠ পর্যায়ের কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে (Bengaluru)।”

    কী বললেন সুনীল অম্বেকার?

    সুনীল আম্বেকার বলেন, “২০২৫ সালে বিজয়া দশমীতে আরএসএসের একশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শাখা সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যগুলির পর্যালোচনা করা হবে। ২০২৫-২০২৬ সালটি আরএসএসের (RSS) শতবার্ষিকী বছর হিসেবে পালিত হবে। এই সভায় সেই সময়কালে আয়োজিত কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বছর, সংঘ চিন্তা ও কাজের প্রসার এবং এতে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালানো হবে।” তিনি বলেন, “পঞ্চ পরিবর্তন, সামাজিক পরিবর্তনের পাঁচটি মূল বিষয়, যথা সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন, পরিবেশ সচেতনতা, ‘স্ব’ এর ওপর জোর এবং নাগরিকদের দায়িত্বগুলিও আলোচনা করা হবে।”

    দুটি প্রস্তাব

    সুনীল আম্বেকর জানান, বিভিন্ন প্রান্তের কার্যকর্তারা জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা, অন্তর্দৃষ্টি এবং চিন্তাভাবনা শেয়ার করবেন। তিনি বলেন, এই সভায় দুটি প্রস্তাব গৃহীত হবে- প্রথম প্রস্তাবটি বাংলাদেশে ঘটে চলা উদ্বেগজনক ঘটনাবলী, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ নিয়ে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হবে আরএসএসের গত ১০০ বছরের যাত্রা, শতবর্ষ উদযাপনকালীন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। প্রতিনিধি সভায় রানি আবাক্কার ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অবদান নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

    আরএসএসের (RSS) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর জানান, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে স্বয়ংসেবকদের জন্য ৯৫টি প্রথম বর্গ ও দ্বিতীয় বর্গ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭২টি বর্গ ৪০ বছরের কম বয়সীদের জন্য এবং ২৩টি বর্গ ৪০ বছর ও তার বেশি বয়সিদের জন্য হবে। প্রতিনিধি সভায় সর সংঘচালক মোহন ভাগবতজির জাতীয় পর্যায়ের প্রবাস পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন এবং প্রতিনিধি সভায় আলোচিত বিষয়গুলি সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করবেন (Bengaluru)।

    শতবর্ষ উদযাপন

    গত কয়েক বছরের কাজ সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর বলেন, “গত চার বছর ধরে, আমাদের শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষিতে, আমাদের স্বয়ংসেবকরা দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছেছেন, শাখার সংখ্যা বাড়িয়েছেন এবং আরএসএসের কার্যক্রম প্রসারিত করেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে ‘Join RSS’ লিংকের মাধ্যমে প্রতি বছর ১.২ লক্ষ ব্যক্তি আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন।” হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শুধু বাংলাদেশে নয়, আরএসএস বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গর্ব ও নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষত যেখানে হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হয়।”

    হিংসার নিন্দা

    সুনীল আম্বেকর নাগপুরের হিংসারও নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “যে কোনও ধরনের হিংসা সমাজের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আমি মনে করি পুলিশ এই ঘটনাটি লক্ষ্য করেছে এবং বিস্তারিত তদন্ত করবে।” ঔরঙ্গজেবের প্রাসঙ্গিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (ঔরঙ্গজেব) আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক নন।” জানা গিয়েছে, আরএসএসের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সহ বাকি ছয় সহ-সরকার্যবাহ এবং নির্বাহী সমিতির সকল সদস্য এই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মোট ১,৫০০ কর্মী, মূলত প্রান্ত ও ক্ষেত্র পর্যায় থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, এই সভায় অংশগ্রহণ করবেন। ৩২টি আরএসএস প্রভাবিত সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সংগঠন সম্পাদকও উপস্থিত থাকবেন (Bengaluru)।

  • ED Raid in Bengaluru: বেঙ্গালুরুতে জর্জ সোরসের সংস্থায় ইডি হানা, কী মিলল মার্কিন ধনকুবেরের অফিসে?

    ED Raid in Bengaluru: বেঙ্গালুরুতে জর্জ সোরসের সংস্থায় ইডি হানা, কী মিলল মার্কিন ধনকুবেরের অফিসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের (George Soros) সংস্থা ওপেন সোসাইটি ফেডারেশনের (Open society Foundation) বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) অফিসে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিদেশি অর্থ লেনদেনে (Foreign exchange management act) অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে এই অভিযান বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তদন্তকারীরা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি।

    কী অভিযোগ

    মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের ওই সংস্থা দেশে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময়ে ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন বলে সোরস অতীতে একাধিক বার সরব হয়েছেন৷ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ রাহুল গান্ধী আসলে সোরসের সংস্থার উসকানিতে দেশে-বিদেশে গণতন্ত্র বিপন্নতা নিয়ে সরব। মার্কিন এই ধনকুবেরের সংস্থা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে দেশে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে থাকে বলে নানা সময়ে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে পালা বদলের পিছনেও সোরসের সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে্। সেই ধারণা আরও জোরদার হয় সোরস পুত্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করার পর। বাংলাদেশে পালা বদলের পর বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার বার বার খর্ব হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছা।

    বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন

    ভারতে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের কুনজরে রয়েছে ওএসএফ। বিদেশি মুদ্রা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। বছর তিন আগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (Amnesty International) দিল্লি ও মুম্বইয়ের দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ওই সংস্থার বিরুদ্ধেও বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তল্লাশির পর থেকে ভারতে ওই সংস্থার কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। এবার পালা ওপেন সোসাইটি ফেডারেশনের।

  • Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের হাত ধরে অস্ত্রের জগতে ভারত ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া পুলিশ কমান্ডো প্রতিযোগিতায় (All India Police Commando) কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্যগুলির কমান্ডো শাখাকে পরাজিত করে স্নাইপার (Sniper Rifle) বিভাগে জিতেছে। দেশে তৈরি স্নাইপার রাইফেল এবার টেক্কা দিয়েছে তার বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের।

    রাইফেলের নিখুঁত নিশানা

    সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার (Sniper Rifle) ক্যাটেগরিতে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি) বাহিনী ‘সাবার’ ব্যবহার করেই ছিনিয়ে এনেছে সেরার সম্মান। এর পোশাকি নাম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। এই অস্ত্র প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে! শুধু নিখুঁত লক্ষ্যভেদই নয়, প্রাণঘাতী আঘাত-সহ সমস্ত মাপকাঠিতেই ‘নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী’ আমেরিকায় তৈরি ৫০ ক্যালিবারের ‘ব্যারেট’কে পিছনে ফেলেছে ‘সাবার’। ওই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে দ্বিতীয় হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডো বাহিনী ‘ফোর্স ওয়ান’।

    চাহিদা বাড়বে

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল (Sniper Rifle) ফ্যাক্টরিতে প্রায় দেড় দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। রাইফেল সাবার সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি। এর ডিজাইনও শুধুমাত্র ভারতে করা হয়েছে। এই রাইফেল দিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নির্ভুল নিশানা করা যায়। বেঙ্গালুরুর ছোট আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্সের তৈরি .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ইতিমধ্যেই বিদেশের কয়েকটি কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে। উৎকর্ষের নতুন মাত্রায় পৌঁছোনোর ফলে তার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশীয় প্রযুক্তির গর্ব

    ‘সাবার’ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifle) । এর সাফল্য দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে ভারত এখন আন্তর্জাতিক মানের সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম। সাবার’-এর সাফল্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

  • HMPV in India: ভারতেও মিলল এইচএমপি ভাইরাস! বেঙ্গালুরুতে আক্রান্ত আট মাসের শিশু

    HMPV in India: ভারতেও মিলল এইচএমপি ভাইরাস! বেঙ্গালুরুতে আক্রান্ত আট মাসের শিশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের নয়া ভাইরাস এবার ভারতে (HMPV in India) প্রবেশ করল। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এ আক্রান্ত বেঙ্গালুরুর এক শিশু। আট মাসের এক শিশু শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল ওই শিশুর। সেখানেই নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হদিস পাওয়া যায়। ওই শিশু সাম্প্রতিক সময়ে কোথাও ঘুরতে যায়নি বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভারতে এটিই প্রথম এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) সংক্রমণ।

    কী বলল কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর

    কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরে বেঙ্গালুরুর এক শিশুর জ্বর ছিল এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এইচএমপিভি-র (HMPV in India) উপসর্গের সঙ্গে মিল থাকায় ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানেই রিপোর্ট পজেটিভ আসে। কর্নাটকের প্রশাসন এই সংক্রমণের বিষয়টি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রককেও জানিয়েছে। কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি ল্যাবরেটরিতে ওই শিশুর নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। প্রাইভেট হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় চিনের এই নয়া ভাইরাসের হদিস মিলেছে। রাজ্য সরকারও আলাদাভাবে শিশুটির নমুনা পরীক্ষা করবে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, “এই ভাইরাসের স্ট্রেন সম্পর্কে এখনও আমরা কিছু জানি না, কারণ চিনে কোন স্ট্রেনের ভাইরাস ছড়াচ্ছে, সে সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য নেই।”

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মারছে ‘র’! অভিযোগ আতঙ্কিত ইসলামাবাদের, অস্বীকার দিল্লির

    সতর্ক ভারত

    ২০২৫ সালের গোড়া থেকেই চিনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নয়া ভাইরাস, এইচএমপিভি (HMPV in India)। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (Human Metapneumovirus) অনেকটা করোনার মতোই। মূলত শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিদেরই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মূলত ১১ বছরের কমবয়সিদের মধ্যেই এই ভাইরাসের হদিস মিলছে। দেশে প্রথম এইচএমপিভি আক্রান্তের খবর মিলতেই সতর্কতা জারি হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। ইতিমধ্যেই দিল্লি ও মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কোভিডকালের মতো পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি নিতে ও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। কুম্ভ মেলাতেও সতর্কতা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। কেরল সরকার, সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বাদের বাড়ির বাইরে কিংবা কোনও জলবহুল স্থানে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে দেশবাসীকে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share