Tag: bjp

bjp

  • BJP: মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার, বিজেপি কর্মী অভিজিতের খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের জালে অরুণ দে

    BJP: মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার, বিজেপি কর্মী অভিজিতের খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের জালে অরুণ দে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা যায় সরকার গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিরোধী দল হয় বিজেপি। এরপরে ভয়ংকর সন্ত্রাস নেমে আসে বিরোধী বিজেপি (BJP) কর্মীদের উপরে। ঐদিনই খুন করা হয় কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে। বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল অরুণ দে। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে পলাতক অরুণকে অবশেষে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)।

    মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার (CBI)

    প্রসঙ্গত, অরুণকে ধরতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের সময় ঘটনাস্থলে হাজির ছিল অরুণ দে। তাকে সেখানে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন সাক্ষীরা। অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়, সেখানে সবথেকে উপরে নাম ছিল অরুণ দে-র। ২ মে-এর পর থেকেই ফেরার হয়ে যায় অরুণ দে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই বিভিন্ন সূত্রের মারফত খবর পায় যে অরুণকে দেখা গিয়েছে। এই খবরের ভিত্তিতেই বুধবার একটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় অরুণ দে-কে। ধৃতকে আজ বৃহস্পতিবার কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

    কে বা কারা এতদিন অরুণকে আশ্রয় দিয়েছে, খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    বিগত চার বছর ধরে অরুণ দে কোথায় কোথায় ছিল এবং কে বা কারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন, সে বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় ধৃত অরুণের বাড়ি নারকেলডাঙ্গার গিরিশ বিদ্যাবর্তন লেনে। অরুণকে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হওয়া হয় অভিজিৎ সরকারকে। খুনের ঘটনায় অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে ভোট-পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুনের মামলাটি যায় সিবিআই-এর হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নামে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নেয় সিবিআই।

    পলাতক আরও ৪

    অভিজিৎ সরকারের খুনের মামলা চলছে শিয়ালদহ এসি জেএম আদালতে। ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর এই খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে অপরাধী ও পলাতক বলে ঘোষণা করে কোর্ট। এরপরেই ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। অভিযুক্তদের ধরতে সাহায্য করলে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেকের মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয় সিবিআই তরফ থেকে। জানানো হয়, পলাতকদের ধরতে সাহায্য করলে তথ্য দিয়ে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, পাঁচজন অপরাধীর মধ্যে শুধুমাত্র অরুণ দে ধরা পড়েছে। এখনও চারজন অধরা এবং তারা পলাতক হিসেবেই নাম রয়েছে। এই চারজন হল: সুখদেব পোদ্দার ওরফে সুখা, গোপাল দাস ওরফে বিশাল, বিশ্বজিৎ দাস ওরফে বোম্পা এবং অমিত নামের একজন। জানা গিয়েছে, এই চার অভিযুক্তের বাড়ি নারকেলডাঙ্গা থানা এলাকাতেই পড়ে। সিবিআই-এর তরফ থেকে সাফ ঘোষণা করা হয়েছে যে, এই চারজনকে ধরিয়ে দিতে যে কোনও রকমের তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

    অরুণ দেকে ধরার জন্য একাধিকবার ফাঁদ পাতা হয়

    সিবিআই সূত্রে খবর, অরুণ দেকে ধরার জন্য একাধিকবার ফাঁদ পাতা হয়, কিন্তু প্রতিবার চোখে ধুলো দিয়ে সে পালিয়ে যেতে থাকে। খুনের ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল অরুণ দে। কিন্তু তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অবশেষে গ্রেফতার করা গেল অরুণ দেকে। কাঁকুরগাছিতে বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনায় তদন্ত নিয়ে অবশ্য নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা বারবার জানিয়েছে নিহতের পরিবার। এর আগেও একাধিকবার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারকে। এই আবহে অরুণ দেকে ধরতে সমর্থ হল সিবিআই। বিগত চার বছর ধরে এই মামলায় তদন্তে নেমে একাধিকবার নিহত অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে সিবিআই। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    বাড়ির সামনেই পিটিয়ে খুন করা হয় অভিজিতকে

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন কাঁকুরগাছি শীতলাতলা লেনের বাড়িতেই ছিলেন নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তাঁর বাড়ি কাঁকুরগাছি শীতলাতলা লেনে। অভিজিৎ সরকার ভারতীয় মজদুর সংঘের নেতা (BJP) ছিলেন বলে জানা যায়। ফল প্রকাশের দিন অভিজিতকে বাড়ির সামনে পিটিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, অভিজিতের পোষা কুকুরটিকেও পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় ফুলবাগান এলাকার তৃণমূলের নেতা পরেশ পালের। ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতের চার্জ গঠন করা হয়।

  • Murugan Conference: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন শুরু, ডিএমকেকে তোপ বিজেপির

    Murugan Conference: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন শুরু, ডিএমকেকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলনকে (Murugan Conference) ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তামিলনাড়ুতে। পুলিশ বেশ কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে এই সম্মেলন করার অনুমতি দিয়েছে। এতদিন যে অনুষ্ঠান হত ১১ দিন ধরে, সেটাই এবার শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন দিনে।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা (Murugan Conference)

    বিজেপির তামিলনাড়ু রাজ্য সভাপতি নাইনার নাগেন্দ্রন বলেন, “মাদুরাইয়ে তামিল দেবতা মুরুগনের জন্য অনুষ্ঠিত বিশাল সম্মেলনের বিষয়ে আদালত ন্যায়বিচার করেছে।” রাজ্যের শাসক দল ডিএমকের বিরুদ্ধে এই অনুষ্ঠান বিঘ্নিত করার চেষ্টার অভিযোগও করেন তিনি। নাগেন্দ্রন বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমরা হয়তো ডিএমকে সরকারের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাইনি, কিন্তু আমরা আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এটি একটি বিরাট সাফল্য।” প্রসঙ্গত, মুরুগা বকথারগালিন আনমেগা মান্ডু (মুরুগা ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন) নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তামিলনাড়ু পুলিশ এতে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। ১৩ জুন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ এই সম্মেলনের অনুমতি দেয়।  তবে হিন্দু মুনানিকে মাদুরাই পুলিশ নির্ধারিত শর্তগুলি মেনে চলার নির্দেশ দেয়।

    সম্মেলনে যোগ হেভিওয়েটদেরও

    বিজেপির সমর্থনে এই সম্মেলনের আয়োজন করে দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দু মুনানি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন (Murugan Conference)। তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মুরুগার ছ’টি মন্দিরের (স্থানীয়ভাবে “আরুপাডাই ভীডু” নামে পরিচিত) অনুকরণে নির্মিত মন্দির দর্শনে বহু মানুষ ভিড় জমান। তামিল দেবতা মুরুগনের সম্মানার্থে আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ, প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই এবং বিজেপির জোটসঙ্গী ও তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকে।

    বক্তৃতা দিতে গিয়ে পবন কল্যাণ বলেন, “কিছু গোষ্ঠী আমাদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করে। একে ধর্মনিরপেক্ষতা বলে। এরা অচিরেই অদৃশ্য হয়ে যাবে।” আন্নামালাই বলেন, “আজ মাদুরাইয়ে আমাদের মতাদর্শের সম্মেলনে পাঁচ লাখ মানুষ এসেছেন। তাঁরা জানেন, তাঁরা বৃষ্টিতে ভিজবেন, তাও এসেছেন। এটি শাসক দলের জন্য একটি সতর্কবার্তা (Murugan Conference)।”

  • Assembly Bypoll Results: কালীগঞ্জে বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় ছাত্রীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Assembly Bypoll Results: কালীগঞ্জে বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় ছাত্রীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের (Assembly Bypoll Results) বলি এক নাবালিকা। পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ঘটনা (Updates)। চার রাজ্যের ৫টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল ১৯ জুন, বৃহস্পতিবার। ফল বের হয় ২৩ জুন, সোমবার। এদিন বাংলার কালীগঞ্জ আসনেও ভোটের ফল বেরিয়েছে। ভোট গণনা চলাকালীন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বছর নয়েকের এক ছাত্রীর। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বড়চাঁদগড় এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই নাবালিকা জখম হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আলিফা আহমেদ। বছর আটত্রিশের আলিফা এই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে।

    কী বলছেন মৃতের মা

    স্থানীয়দের একটা বড় অংশের অভিযোগ, এদিন ভোট গণনায় তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ইঙ্গিত মিলতেই মেলেন্দি এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। ওই বিজয় মিছিল থেকেই সিপিএম কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। সেই সময় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল চতুর্থ শ্রেণির ওই নাবালিকা। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তামান্না খাতুন নামের ওই ছাত্রীর। বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের ছোড়া বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, “তৃণমূল রক্তপাত ছাড়া ভোটে জিততে পারে না।” তাঁর (Assembly Bypoll Results) প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এটাই জয়ের মূল্য?” তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তামান্নার মা-ও। মৃতের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “কারা বোমা ছুড়েছে, আমি দেখেছি। আমরা সিপিএম করি। ওদের নাম না জানলেও, সকলের মুখ চেনা, সবাই তৃণমূল করে।”

    কোন কেন্দ্রে কে জয়ী

    এদিন অকাল বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে গুজরাটের কাদি এবং বিসাবদর কেন্দ্রের, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম কেন্দ্রে এবং কেরলের নীলম্বুর কেন্দ্রে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম আসনে জয়ী হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আপ প্রার্থী সঞ্জীব অরোরা। নীলাম্বুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন (Updates) কংগ্রেসের আর্যদান শৌকথ। গুজরাটের দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপির কিরীট প্যাটেল ও রাজেন্দ্র চাভদা (Assembly Bypoll Results)।

  • West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সকালে ধুন্ধুমারকাণ্ড বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হল বিজেপি (BJP MLAs Suspended) বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে। ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। সেদিন একটি বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। মন্ত্রীর জবাব না শুনেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পদ্ম-বিধায়করা। সেই কারণে রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া বিধায়করা। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই ওই বিষয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলেন অশোক লাহিড়ি।

    অশোকের বক্তব্য (West Bengal Assembly)

    তিনি বলেন, “কোন আইনে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হল, তা জানাতে হবে অধ্যক্ষকে।” অধ্যক্ষের বদলে এর জবাব দিতে শুরু করেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর পরেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্শালের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মনোজ। তাঁকে পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। মনোজ এবং অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন এবং শঙ্কর ঘোষকে পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

    কী বললেন শঙ্কর

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “বিধানসভার ভিতরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এর আগে মনোজ টিগ্গা, দেবলীনা হেমব্রম, আবদুল মান্নানদের মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবারও আমাদের হাসপাতালে পাঠাতে চায়। মার্শাল দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করা হল! বাংলার এই অপশাসন থেকে যদি মুক্তি দিতে না পারি, তাহলে আমরা বিজেপি কর্মীই নই।” তিনি বলেন, “ফ্লোরের মধ্যে আমাদের ফেলে মারা হয়েছে। মহিলা বিধায়কদের গায়েও হাত তুলেছে (BJP MLAs Suspended)। তারপর টানতে টানতে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে (West Bengal Assembly)। এমনকি, আগের দিনও এরা একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।”

    তুমুল হট্টগোল

    জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্করকে ‘মেনশন’ পর্বে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেই স্পিকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পালটা চিৎকার শুরু করেন তৃণমূল বিধায়করা। এই সময় স্পিকার বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার হুঁশিয়ারি দেন। অভিযোগ, এই সময় কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। তার পরেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আবেদনের ভিত্তিতে চলতি অধিবেশনের জন্য বিজেপির চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।

    ডাকা হল মার্শাল

    সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভা থেকে বের করে দিতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার। সেই সময় বিধানসভার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ। ঠেলাঠেলির চোটে বিধানসভা কক্ষেই পড়ে যান বিধায়ক শঙ্কর। তাঁর চশমা ভেঙে যায়। বিধানসভা কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে (West Bengal Assembly)। এরই মধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির অগ্নিমিত্রা। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন অরূপ এবং বিজেপি বিধায়করা। এই হট্টগোলের মধ্যেই তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। তিনি নিশানা করেন পদ্ম শিবিরকে (BJP MLAs Suspended)। এই সময় বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রাখেন বিজেপি বিধায়কদের। আলোচনা শুরু হয় নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে।

    আসরে শুভেন্দু

    বিধানসভায় যখন এই সব কাণ্ড চলছে, তখন বিধানসভা কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (West Bengal Assembly)। তিনি ব্যস্ত ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসের একটি কর্মসূচিতে। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের খবর পেয়ে বিধানসভায় চলে আসেন তিনি। এরপর পুরো ঘটনাটি শোনেন বিজেপি বিধায়কদের কাছ থেকে। তারপর তিনি বিধায়কদের ভাঙা চশমা, ঘড়ি নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অধ্যক্ষের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় শুভেন্দুকে নিজের আসনে গিয়ে বসতে বলেন অধ্যক্ষ। সে কথা কানে না তুলে নিজের বক্তব্যই পেশ করতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (West Bengal Assembly)। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের হাতে তখন ধরা, ‘চুপ বিধানসভা চলছে’ লেখা পোস্টার (BJP MLAs Suspended)।

    বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “সিকিউরিটি মার্শাল আমাকে গোল করে ঘিরে রেখেছিল। ২০ জন মহিলা সিকিউরিটি দিয়ে সার্কেল করে রাখা হয়। ওরা চেয়েছিল আমি মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি করি। কিন্তু হাতদুটো ট্রাউজারের পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। আমি ঠিক করেই রেখেছিলাম, হাত বের করব না। ১৫ মিনিট ধরে ধর্না চালিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত, গত সোমবারও অধিবেশন চলাকালীন (West Bengal Assembly) সাসপেন্ড করা হয়েছিল মনোজকে।

  • BJP: বিজেপির সংখ্যালঘু নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: বিজেপির সংখ্যালঘু নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য হুগলির গোঘাটের শানবাঁধি এলাকায়। মৃতের নাম শেখ বাকিবুল্লা। তিনি গোঘাটে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। শনিবার বাড়ির দোতলার বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ প্রথমে দেখতে পান তাঁর স্ত্রী। খবর (TMC) পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ। পুলিশের অনুমান, রাতেই কেউ বাড়িতে ঢুকে হাত-পা বেঁধে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই এই খুন। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও সরব হন স্থানীয়দের একাংশ। খবর পেয়ে এলাকায় যান পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, “বাকিবুল্লা এলাকার জনপ্রিয় সংখ্যালঘু মুখ ছিলেন। তাই এই খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত থাকতে পারে।”

    কী বলছেন মৃতের বাবা (BJP)

    মৃত বিজেপি কর্মীর বাবা শেখ আবদুল্লা বলেন, “আগে বলেছিল এ (বাকিবুল্লা) সিপিএম করে, একে মার। তৃণমূলের ছেলেরা মারল। আমরা ছাড়ালাম। জ্বালা-যন্ত্রণায় বিজেপিতে ঢুকেছিল। তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এল। ভাইপোরা বলল, চল তৃণমূলে ঢুকি। ছোটটা তৃণমূল করে। সেই সূত্রে ও তৃণমূলে ঢুকতে গেল। যোগ দিল বিজয় মিছিলে। সেখানেও আমার ছেলে দুটোকে ওরা মারল। সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, ওরা যেটা করেছে, সেটা তোলা থাকবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির (BJP) আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুকান্ত বেরা বলেন, “পূর্বপরিকল্পিত। বিজেপি কর্মী। খুব সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সব সময় মানুষের পাশে থাকতেন। ওঁকে যেভাবে হাতে দড়ি বেঁধে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার ধিক্কার জানাই। যারা এ কাজ করেছে, আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, তারা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করব।” তিনি বলেন, “আমরা লাশ নিয়ে থানায় যাচ্ছি। ওখান থেকে আমরা ডেপুটেশন দেব। ডেপুটেশনের মাধ্যমে যেসব দুষ্কৃতী আজও এখানে ঘোরাঘুরি করছে, যেভাবে ওঁকে হত্যা করেছে, যদি তার প্রতিবাদ না করা হয়, তাহলে আগামিদিনে এখানে আর থাকা যাবে না। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ জন্য যতদূর যেতে হয়, আমরা যাব।”

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের লজ্জাজনক অবস্থা। তৃণমূলের (TMC) শাসনে বাংলায় কোনও গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। এটি কোনও একক ঘটনা নয়, একটি ধারাবাহিক প্যাটার্নের অংশ। এখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের টার্গেট করা হয়, তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হয় এবং হত্যা পর্যন্ত করা হয় (BJP)।”

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং কেরলের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচন (Assembly Bypolls)। এদিন সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ঢের আগে থেকেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা (NDA)। এদিন যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে, তার মধ্যে একটি আসন পশ্চিমবঙ্গের। এটি হল নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। রাজ্যে চলছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    ভোট চলছে কালীগঞ্জে (Assembly Bypolls)

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনটির রাশ ছিল তৃণমূলের হাতে। প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বামফ্রন্টের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন কাবিলউদ্দিন শেখ। আর পদ্মপ্রতীকে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বিজেপির আশিস ঘোষ। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতিও। এই বিধানসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৬২টি, বুথের সংখ্যা ৩০৯। ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৭০ জন। বৃষ্টি মাথায় করেই সকাল থেকে বুথে বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    কড়া নিরাপত্তা বলয়

    কালীগঞ্জ কেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৭০০ পুলিশ। নজরদারিতে থাকছে ২০টি ক্যুইক রেসপন্স টিম এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৬টি টিম। কমিশন সূত্রে খবর, ১০০ শতাংশ বুথেই থাকছে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। নজরদারির জন্য জেলা ও বিধানসভা ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে নজরদারিতে থাকবেন একজন করে নোডাল অফিসার। ২০১১ এবং ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কালীগঞ্জ আসনটি দখল করেছিল তৃণমূল। এই দু’বারই জয়ী হয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই প্রার্থী পেয়েছিলেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৭০৯টি ভোট। প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে তাঁকে হারিয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন (Assembly Bypolls)।

    কালীগঞ্জ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের (NDA) অন্তর্গত। গত লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে কালীগঞ্জে বিজেপির চেয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জন্য যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন, সেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৫ হাজার ৮৪০ জন ভোটার। এঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৪২৬ জন মৃত। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ২ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারের সিংহভাগই সংখ্যালঘু। সেই কারণেই এই কেন্দ্রে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের থেকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। কালীগঞ্জের মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৩ জন। মহিলা ভোটার (NDA) ১ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন (Assembly Bypolls)।

    ভোট চলছে পাঞ্জাবে

    পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উপনির্বাচন হচ্ছে আপ শাসিত পাঞ্জাবের লুধিয়ানা (পশ্চিম) কেন্দ্রেও। আপ বিধায়ক গুরপ্রীত সিং গোগীর মৃত্যুর জেরে হচ্ছে অকাল নির্বাচন। কেন্দ্রের রাশ ধরে রাখতে আপ প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব অরোরাকে। অরোরার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির জীবন গুপ্তা। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ভারত ভূষণ আশু, শিরোমণি অকালি দলের তরফে লড়ছেন পরুপকার সিং ঘুম্মান।

    গুজরাটের দুই আসনেও ভোট

    উপনির্বাচন হচ্ছে গুজরাটের দুই আসনেও। একটি হল কাড়ি বিধানসভা এবং অন্যটি বিসাবদার। বিজেপি বিধায়ক কারসনভাই সোলাঙ্কির মৃত্যুতে খালি হয় কাড়ি আসনটি। গেরুয়া শিবির এখানে প্রার্থী করেছে রাজেন্দ্র চাভদাকে। আর কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন রমেশ চাভদা। আপ প্রার্থী করেছে জগদীশ চাভদাকে (Assembly Bypolls)। বিসাবদারে আগের বিধায়ক ভায়ানি ভূপেন্দ্রভাই আপ ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে (NDA)। এবার ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে কিরিত প্যাটেলকে। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নিতিন রানপরিয়া। আপের প্রতীকে লড়ছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা গোপাল ইটালিয়া।

    ভোট কেরলেও

    বিধানসভার উপনির্বাচন হচ্ছে কেরলের নীলাম্বুরেও। এ রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রটি খালি হয়েছিল পিভি আনওয়ারের কারণে। বাম সমর্থনে তিনি নির্বাচিত হয়েছে দু’বার। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। শেষমেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক আর্যাদান মোহাম্মদের পুত্র আর্যাদান শাউকতকে। রাজ্যের শাসক দল এলডিএফ প্রার্থী করেছে এম স্বরাজকে। প্রসঙ্গত, নীলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বর্তমানে এই কেন্দ্রের সাংসদ কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্র (Assembly Bypolls)।

  • Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) মহেশতলা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেবল শুভেন্দুই নন, তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন আরও দু’জন। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

    রাজ্যকে প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সূর্যনীল দাস। আদালতে তিনি জানান, এসপির কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানায়ও জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় ভারতীয় সংহিতার ১৬৩ (পূর্বতন ১৪৪) ধারা জারি রয়েছে। আজ, সোমবার পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে। শুভেন্দুর আইনজীবীর কাছ থেকে এই তথ্য জানার পরেই বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আজ যদি উঠে যায়, তাহলে কীসের অসুবিধা? যদি আদালত অনুমতি দেয়, তাহলে কী আশঙ্কা করছেন?”

    ‘উনি আদালতে এলেন কেন?’

    বিচারপতির প্রশ্ন শুনে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “যেখানেই কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, বিরোধী দলনেতা সেখানেই কেন যেতে চান? উনি আদালতে এলেন কেন? নিজেই তো চলে যেতে পারতেন!” এর পরেই বিচারপতির উদ্দেশে এজি বলেন, “আদালতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হতে দেবেন না।” এদিন আদালতের হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা আসলে পাবলিসিটি পেতে চান (Calcutta High Court)।” এজির প্রশ্ন শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি আটকে দেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?” এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার মহেশতলায় যাবেন শুভেন্দু। তবে কোনও সমাবেশ কিংবা মিছিল করা যাবে না। করা যাবে না বিতর্কিত মন্তব্যও।

    প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন মহেশতলার আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় একটি ফলের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে বচসা, পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার বেশ (Suvendu Adhikari) কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানদানি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও (Calcutta High Court)।

  • TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি ৫জন হিন্দুর মধ্যে একজন ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)! তার পরেও কীভাবে ১৪ বছর গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আসুন, জেনে নেওয়া যাক বছরের পর বছর তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার গুঢ় মন্ত্র।

    দমনমূলক আচরণের শিকার হিন্দুরা (TMC)

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা যে বৈষম্য ও দমনমূলক আচরণের শিকার হন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। এ রাজ্যে ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে। হিন্দু (Hindus) উৎসব পালনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিম তোষণের কারণে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই অনেক এলাকায় হিন্দুরা কার্যত ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে’ পরিণত হয়েছেন। তার পরেও এ রাজ্যের এক উল্লেখযোগ্য অংশের হিন্দু ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমে ঘাসফুল আঁকা বোতামে চাপ দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং যেখানে হিন্দুরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, সেখানেও হিন্দুদের একটা বড় অংশই ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে ৭.৬৩ কোটি ভোটারের মধ্যে হিন্দু প্রায় ৫.১৯ কোটি। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৬৮।

    ভোটের অঙ্ক

    রাজ্যে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার। হিন্দু ভোটারদের উপস্থিতি ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ মুসলিম ভোটারদের উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩.৩৭ কোটি হিন্দু ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এঁদের এক-পঞ্চমাংশেরও কম ভোটার তৃণমূলকে ভোট দেন। অন্তত পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ওই ভোটের ফল থেকে জানা যায়, বিজেপি প্রায় ২.৩৩ কোটি ভোট পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে ৩৮.৭৩। একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা প্রায় সবাই হিন্দু। মুসলিমরা যে বিজেপিকে ভোট দেননি, তা নয়। তবে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এর অর্থ হল, হিন্দুদের প্রায় ৬৯ শতাংশ ((TMC)) – ৩.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৩ কোটি – ছাপ দিয়েছেন পদ্মফুলে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যে ৬৬.৪৫ লাখ ভোট পড়েছে, তার প্রায় ৭০ শতাংশই হিন্দুদের দেওয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৪৬.৫১ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩.৭৭ শতাংশ) কংগ্রেস ও বামপন্থী জোটকে ভোট দিয়েছেন। এভাবে, প্রায় ২.৭৯ কোটি হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন) (Hindus)  তাঁদের ৮২.৭৭ শতাংশ হয় বিজেপি নয়তো কংগ্রেস-বাম জোটকে সমর্থন করেছেন। এর অর্থ হল, মাত্র ৫৭.৮৭ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ১৭.২৩ শতাংশ) তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।

    কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়?

    প্রশ্ন হল, তার পরেও কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়? কীভাবেই বা পর পর তিনটি টার্মে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তোষণের রাজনীতি নামক চাবিকাঠিতে। কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্মানো তৃণমূল জন্মলগ্ন থেকেই হাতিয়ার করেছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মেঠো খয়রাতির রাজনীতি। এই দুই কৌশলে জয় অনায়াস হয়েছে তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল মুসলিম ভোটার। এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই ছাপ দেয় ঘাসফুলে (TMC)। অনুমান, ভোট কেন্দ্রে আসা মুসলমান ভোটারদের প্রায় ৯৩ শতাংশই ভোট দেন মমতার দলকে।

    তৃণমূলের ভোটার কারা? 

    গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৮ লাখ ভোট পেয়েছিল। প্রশ্ন হল, এই ৫৮ লাখ হিন্দু ভোটার কেন এমন একটি দলকে সমর্থন করল, যার সরকার তাদের প্রতি নিরাসক্ত এবং হিন্দুদের উদ্বেগের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে? এই ভোটাররা কারা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দু (Hindus)  সম্প্রদায়ের যে অংশ তৃণমূলে ভোট দেয়, তাদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক, প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষ এবং দুই, শহরের ভদ্রলোক শ্রেণি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে উন্নয়নের ঢাক বাজায়, তবে আদতে রাজ্যটি দারিদ্র্য ও বেকারত্বে পরিপূর্ণ। জীবিকার উপায় খুবই সীমিত। কৃষি আয়ের হ্রাস এবং শিল্প ও পরিষেবা খাতে চাকরির অভাবে তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে (TMC)।

    বেঁচে থাকার সংগ্রাম

    গ্রামাঞ্চল এবং আধা-শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণকে জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে। অথবা রাজ্যেই কোনওরকমে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়াই করে চলেছেন। সমাজবিজ্ঞানী অমিয় বসু বলেন, “চা বা পকোড়া বিক্রির দোকান বসানো, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, বাজারে ছোট জায়গা নিয়ে মাছের দোকান চালানো, ছোটখাটো কন্ট্রাক্ট পাওয়া — এ রকম কাজই হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র জীবিকার উপায়, যা কেবলমাত্র ‘দিন আনা দিন খাওয়া’র মতো অবস্থা তৈরি করে। আর এসবের জন্য দরিদ্র জনগণ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল স্থানীয় তৃণমূল নেতার দয়ার ওপর।” অর্থনীতিবিদ কৌশিক ব্যানার্জীর বক্তব্যও মোটামুটি এক।

    ‘চিল্লার অর্থনীতি’

    তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে বলি ‘চিল্লার অর্থনীতি’। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এবং শহরের একটা বড় অংশ নগণ্য আয় করে ছোটোখাটো ব্যবসার মাধ্যমে অথবা রিকশা চালিয়ে। রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে দোকান বসানো, রিকশা চালানো কিংবা ক্ষুদ্র সরবরাহকারী হওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাই এই নেতাকে খুশি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Hindus)। সেই কারণেই দরিদ্র্যদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে (TMC) ভোট দেয়।” কৌশিক বলেন, “এর সঙ্গে যুক্ত করুন ছোট অথচ প্রভাবশালী অনুদানগুলোর প্রভাব—যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। মহিলাদের ও বিধবাদের অ্যাকাউন্টে যে ১,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়, বা ছাত্রীদের বছরে দেওয়া ১,০০০ টাকা—এই অঙ্কগুলো হয়তো ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলার মতো দরিদ্র রাজ্যে এই টাকাগুলো দরিদ্র মানুষের জীবনে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে তাঁরা বাধ্য হন তৃণমূলকে ভোট দিতে।”

    কুণাল সেনগুপ্তের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুণাল সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের গ্রামীণ ও আধা-শহর এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথাই শেষ কথা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানুষকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। অনেকেই নীরবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গোপনে সেই নির্দেশ মানেন না, কিন্তু অনেক দুর্বল মানুষ সেই সাহস দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে সেই সব বুথে, যেখানে তৃণমূলের এজেন্টরা রাজ্য সরকারের কর্মচারী (যেমন ভোটকর্মী)-দের সঙ্গে মিলে ইভিএমের ওপর কঠোর নজর রাখেন। তার ওপরে তো রয়েছে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ, যা বাংলায় প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা দেবাংশু ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন (TMC), “বাংলায় বুথের ভেতরে যেভাবে গোপনে কারচুপি হয়, তা কল্পনাতীত।”

    ভদ্রলোকের ভোট

    শহুরে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু, যাদের সাধারণত ‘ভদ্রলোক’ বলা হয়, তাঁরা এক দশক আগেও বামফ্রন্টকে ভোট (Hindus) দিতেন। বাম জমানার অবসানের পর তাঁরাই এখন ঝুঁকেছেন তৃণমূলের দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেবপ্রতিম রায় বলেন, “ভদ্রলোকরা নিজেদের বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধশক্তি হিসেবে ভাবেন। তিনি আদর্শগতভাবে বামফ্রন্টকে ভোট দিতে চাইতেন। কিন্তু জানেন বাম এখন খুব দুর্বল এবং অপ্রাসঙ্গিক। তাই বামেদের ভোট দিয়ে তিনি তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। সেই কারণেই তিনি ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)।”

  • Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (Vijay Rupani)। দলের নেতার প্রয়াণে বিজেপি নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। প্রসঙ্গত, বিজয় রূপানি হলেন গুজরাটের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) নিহত হলেন। এর আগে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন বলবন্ত রায় মেহতা বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতির শোকবার্তা

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও শোক প্রকাশ করে বলেন, “ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। বিমান দুর্ঘটনায় দেশ হারাল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিজিকে (Vijay Rupani)। তিনি সারা জীবন জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। এমনদিনে তাঁর পরিবারকে জানাই সমবেদনা।”

    রাজনাথ সিংয়ের শোকবার্তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) শোকবার্তায় লেখেন, “বিজয় রূপানিকে (Vijay Rupani) সর্বদা স্মরণ করা হবে। তিনি একজন ভূমিস্তরের নেতা হিসেবে সারা জীবন রাজ্যের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করেছেন।”

    কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন রূপানির মৃত্যুর খবর

    প্রসঙ্গত, গতকালই কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন যে দুর্ঘটনার সময় বিমানে বিজয় রূপানী (Vijay Rupani) উপস্থিত ছিলেন। গতকালই তিনি বলেন, “ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। কতজন নিহত হয়েছেন তার তদন্ত চলছে। গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিজেপি নেতা বিজয় রূপানিও ওই বিমানে ছিলেন।”

    পুরীর সাংসদ সম্বিত পাত্রের শোকবার্তা

    বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র লেখেন, “গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু শুধু রাজ্যের নয়, গোটা ভারতীয় রাজনীতিতে (Ahmedabad Plane Crash) এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল। মহাপ্রভু জগন্নাথ তাঁর বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং পরিবারের সবাইকে এই শোক সহ্য করা শক্তি দিন।”

    বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের শোকবার্তা

    লুধিয়ানা বিজেপির পক্ষ থেকেও রূপানীর (Vijay Rupani) প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিল্লির মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানান। বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং লেখেন, “বিজয় রূপানিকে তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য চিরকাল মনে রাখা হবে।” উল্লেখ্য, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং পাঞ্জাব বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

    এবিভিপি থেকে শুরু হয় সাংগঠনিক যাত্রা

    বিজয় রূপানির সাংগঠনিক যাত্রা শুরু হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মাধ্যমে। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন প্রচারক হন। পরে তিনি জনসংঘের সদস্য হন এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম দিন থেকেই সদস্যতা গ্রহণ করেন।

    পেশাগত জীবনে আইনজীবী, জরুরি অবস্থায় কারারুদ্ধ

    ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় তিনি কারারুদ্ধ হন বলে জানা যায়। পেশাগত জীবনে বিজয় রূপানি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। জীবনে প্রথম তিনি রাজকোট পুরসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    জন্ম হয় মায়ানমারে, ছিলেন মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ

    বিজয় রূপানির জন্ম একটি জৈন ব্যবসায়িক পরিবারে, মায়ানমারে। ১৯৬০ সালে তাঁর পরিবার ভারতে ফিরে আসে। এরপর থেকেই তিনি জনসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিজয় রূপানি দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন প্রথমবার রাজকোট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন বিজয় রূপানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তৎকালীম মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জেতাতে।

    ২০১৬ সালে হন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী

    পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রাজ্যের পর্যটন দফতরের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজ্য বিজেপিতে তিনি নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন। পরে তাকে দিল্লিতে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেও পাঠানো হয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় আনন্দীবেন প্যাটেলকে। ঠিক দুই বছর পরে, ২০১৬ সালে বিজয় রূপানি আনন্দীবেন প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই তার নাম প্রস্তাব করে।

    ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি

    ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি। পুনরায় গুজরাটে সরকার গঠন করে গেরুয়া শিবার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share