Tag: bjp

bjp

  • Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনবেন, কথা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বর্ধমান (Bardhhaman) থেকে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একাধিক বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি তিনি রতন টাটার উল্লেখ করা “গুড এম, ব্যাড এম” মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন।

    গুড-এম, ব্যাড-এম মন্তব্য

    এসআইআর নিয়ে মিথ্য়াচারের অভিযোগ তুলে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর সেখানেই টাটাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তৃণমূলকে হারাতে মানুষকে একজোট হতে আহ্বান জানান তিনি। রবিবার বর্ধমানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “রতন টাটা বলে গিয়েছিলেন, মাথায় ট্রিগার লাগিয়ে বাংলা ছাড়তে বাধ্য করল। আমি খারাপ এম-কে ছাড়লাম, ভাল এম-এর কাছে যাচ্ছি। খারাপ এম-এর নাম আমরা বলিনি, রতন টাটা বলেছেন। খারাপ এম-এর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর ভাল এম-এর নাম রতন টাটা বলে গিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি।” হুগলির সিঙ্গুর থেকে ন্যানোর কারখানা গুজরাতের সানন্দে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল প্রয়াত শিল্পপতিকে।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, বিজেপি সরকার আসলে টাটাকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি উন্নয়ন, শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন। তৃণমূলকে ‘চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দেন। তিনি সংখ্যা-ভিত্তিক সমস্যার কথাও তুলেছেন—“২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার, ৬০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ” এগুলির জন্য তিনি তৃণমূলকেই দায়ী করেন এবং পরিবর্তনের আহ্বান জানান। গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার কাজই নির্বাচন কমিশন করেছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এসআইআর নিয়ে শুভেন্দু তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেন, বাংলার পরিচয় ও ভোটার-তালিকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন, এবং বলেন যে অনুপ্রবেশ বা অবৈধ এন্ট্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ৬ নভেম্বর প্রথম দফার নির্বাচন শেষে এমন প্রত্যয় ঝরে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। এবার একই দাবি করলেন শাহ।

    শাহের দাবি (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১৬০টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ।” শাহ জানান, রাজ্যে অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে সীমাঞ্চলগুলিতে, যেখানে ২৪টি আসন রয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নির্মূল করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনুপ্রবেশকারী, তাদের বেআইনি ব্যবসা এবং বেআইনি দখলের কারণে পুরো সীমাঞ্চল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে এখানকার আইনশৃঙ্খলার ওপর। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পাঁচ বছরে আমরা অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেব। বন্ধ করে দেব তাদের বেআইনি ব্যবসা। একে একে প্রতিটি বেআইনি দখলও সরিয়ে দেব।”

    পঞ্চ পাণ্ডবের জয়!

    তিনি বলেন, “যেভাবে মানুষ আমাদের সমর্থনে উল্লাস প্রকাশ করছেন, তাতে মনে হয় বিহারের মানুষ এনডিএর সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। আমরা ১৬০ আসনের অনেক বেশিই পাব। এনডিএ ন্যূনতম ১৬০ আসন পাবে। আমি এটিকে পঞ্চ পাণ্ডবের লড়াই বলি। কারণ এনডিএর পাঁচ সহযোগী দল হল, জেডিইউ, বিজেপি, এলজেপি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চ। সবাই একজোট, কোনও বিবাদ নেই। বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত আমরা নরেন্দ্র মোদিজি এবং নীতীশ কুমারজির নেতৃত্বে যৌথ প্রচার চালাচ্ছি (Amit Shah)।”

    প্রথম দফায় ৬৪.৬৬ শতাংশের রেকর্ড ভোটদানের হার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির এই প্রবীণ নেতা জানান, বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এরও এখানে ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, “এসআইআরও ভোটের শতাংশ বাড়ার একটি কারণ। কারণ যে সব ভোট অপচয় হত, যাঁরা মারা গিয়েছেন বা অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করছেন, তাঁদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে (NDA) দু’দফায়। মঙ্গলবার হবে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। এই পর্যায়ে ভোট হবে ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে শুক্রবার (Amit Shah)।

  • 150 Years of Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম শব্দ হাজার অনুভূতি দ্বারা আবৃত, খুব সহজে মাতৃভূমির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এই মন্ত্র’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    150 Years of Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম শব্দ হাজার অনুভূতি দ্বারা আবৃত, খুব সহজে মাতৃভূমির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এই মন্ত্র’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ১৮৭৬। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সংস্কৃত ও বাংলার মিশ্রণে লিখলেন ‘বন্দে মাতরম’। জাতীয়তাবোধে কেঁপে উঠল বাঙালি। উদ্বেলিত হল আসমুদ্র হিমাচল। ১৮৮২ সালে গানটি প্রকাশিত হল আনন্দমঠ উপন্যাসে। আগামী বছর সেই ‘বন্দে মাতরম’ স্তোত্রের দেড়শো বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তাই সেই বিশেষ সময়কে আরও বিশেষ করে তুলতে উদ্যোগী হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম্‌’ – এর সার্ধশতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে বর্ষব্যাপী উদযাপনের সূচনা করলেন মোদি। ৭ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে শুরু হয়ে এই উদযাপন চলবে ৭ নভেম্বর, ২০২৬ পর্যন্ত।

    বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা

    ভারতের জাতীয় স্তোত্র-এর দেড়শো বছর উপলক্ষে এদিন বিশেষ উদযাপনের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনসাধারণের কাছেও আর্জি রাখলেন, ‘বন্দেমাতরম’-এর দেড়শো বছরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য। এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষ্যে একটি স্মারক ডাকটিকিট ও স্মারক মুদ্রার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। যে কালজয়ী রচনা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রেরণা যুগিয়েছিল এবং এখনও জাতীয় গর্ব ও ঐক্যবোধ’কে জাগিয়ে তোলে, তার সার্ধশতবর্ষ পূর্তি উদযাপনের সূচনা হল এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ‘বন্দে মাতরম্‌’ – এর পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ সমবেতভাবে গাওয়া হয়। সমাজের সর্বস্তরের নাগরিকরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

    ভারতের ঐক্য ও আত্মসম্মানবোধের জাগ্রত চেতনা

    ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর অক্ষয় নবমীর পুণ্যতিথিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এই গান লিখেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাঁর আনন্দমঠ উপন্যাস যখন বঙ্গদর্শন পত্রিকায় পর্বে পর্বে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখন তাতে এই গানটি প্রথম দেখা যায়। পরবর্তীকালে ১৮৮২ সালে আনন্দমঠ উপন্যাসটি বই হিসেবে প্রকাশিত হয়। সেই সময়ে ভারত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলছিল এবং জাতীয় পরিচয় ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চেতনা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছিল। মাতৃভূমিকে শক্তি, সমৃদ্ধি ও দেবত্বের মূর্ত প্রতীক হিসেবে অভিবাদন জানিয়ে এই গানটি ভারতের ঐক্য ও আত্মসম্মানবোধের জাগ্রত চেতনাকে কাব্যিক রূপ দেয়। অচিরেই এটি স্বদেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে।

    বন্দেমাতরম সভ্যতার ভিত্তি

    অনুষ্ঠান থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের জাতীয় স্তোত্র বন্দেমাতরম সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করে। এই গানের প্রথম লাইনটাই প্রতিটি ভারতীর মনে অনুভূতির জোয়ার তৈরি করতে সক্ষম। কারণ, বন্দেমাতরম এই একটা শব্দই হাজার অনুভূতি দ্বারা আবৃত। যা খুব সহজ ভাবে মাতৃভূমির সঙ্গে আকর্ষণ তৈরি করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ১৪০ কোটি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষমতা রয়েছে বন্দেমাতরমের মধ্যে। যদি কোনও বিপদ আসে, তখন বন্দেমাতরম স্তুতি করুন। এটাই আমাদের দেশাত্মবোধকে জাগিয়ে রাখতে সক্ষম হবে।’

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়,  বেদ ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করার সময় এই অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছিল যে, পৃথিবী মাতা এবং আমি তার সন্তান। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বন্দেমাতরম’ লিখে মাতৃভূমি এবং তার সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ককে একই ভাবে আবেগের জগতের এক মন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে দেশের সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হয়েছে। কংগ্রেস ব্রিটিশের দাস ছিল। ওরা বন্দেমাতরমের একটি অংশ বাদ দিয়ে দিয়েছিল। এর মধ্যেই নিহিত ছিল দেশভাগের বীজ।

    বন্দে মাতরম্-এর মূল অনুভূতি হলো ভারত, মা ভারতী

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের ঐক্য, আত্মবিশ্বাস ও অবিচল দেশপ্রেমের বার্তা প্রতিধ্বনিত হয়। তাঁর মতে, বন্দে মাতরম্ কেবল একটি গান নয়, বরং এটি ভারতের আত্মা ও মাতৃভূমির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও গৌরবের প্রতীক, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ভারতবাসীকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তিনি আরও বলেন, “বন্দে মাতরম্-এর মূল অনুভূতি হলো ভারত, মা ভারতী। ভারত এক এমন জাতি, যে অতীতের প্রতিটি আঘাত সহ্য করেও আরও উজ্জ্বল রূপে উঠে এসেছে, এবং ঐক্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে অমরত্ব অর্জন করেছে।” আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “আমাদের এমন একটি জাতি গড়ে তুলতে হবে, যা জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষে থাকবে।”  তিনি আরও বলেন, “যখন শত্রু আমাদের নিরাপত্তা ও সম্মানে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে আঘাত করার সাহস দেখিয়েছিল, তখন বিশ্ব দেখেছে — ভারত কীভাবে দুর্গার রূপ ধারণ করে নিজের সম্মান রক্ষা করতে জানে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, “‘বন্দে মাতরম্‌’ ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কণ্ঠস্বর, এটি প্রতিটি ভারতবাসীর অনুভূতিকে প্রকাশ করেছিল। এই শব্দবন্ধ আজও আমাদের বর্তমানকে আত্মবিশ্বাসে ভরিয়ে তোলে এবং এমন সাহস দেয় যে কোনও লক্ষ্যই আমাদের নাগালের বাইরে নয়।”

  • 150 Years of Vande Mataram: ‘‘এই শব্দ ভারতীয়দের মধ্যে অনুরণন তৈরি করে’’ বন্দে মাতরম-এর ১৫০ বছর উদযাপনে নানা কর্মসূচি রাজ্য বিজেপির

    150 Years of Vande Mataram: ‘‘এই শব্দ ভারতীয়দের মধ্যে অনুরণন তৈরি করে’’ বন্দে মাতরম-এর ১৫০ বছর উদযাপনে নানা কর্মসূচি রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি (150 Years of Vande Mataram) উদযাপনে বছরভর নানা কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শুধু ব্রিটিশ ভারতেই নয়, বর্তমান যুগে দাঁড়িয়েও স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সীমান্তে সেনা বাহিনী, রাজনৈতিক দল বন্দে মাতরমের কথা উল্লেখ করে। এই শব্দ ভারতীয়দের মধ্যে এক অনুরণন তৈরি করে।’’ শমীকের কথায়, ‘‘যে বন্দে মাতরম ধ্বনি নিয়ে বহু বিপ্লবী ফাঁসির দড়ি নিজের গলায় তুলে নিয়েছিলেন, যে বন্দে মাতরম ধ্বনির জন্য মাতঙ্গিনী হাজরারা নিজের বুকে গুলি টেনে নিয়েছিলেন সেই বন্দে মাতরমের বিরুদ্ধে কংগ্রেস পথে নেমেছিল দিল্লিতে। তারা বলেছিল এই গান মুসলিমদের পক্ষে গাওয়া সম্ভব নয়। যখন কংগ্রেস দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল নামালো তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল, তিনি প্রতিবাদ করতে পারতেন কিন্তু তা তিনি করেননি।’’

    বন্দে মাতরমকে খন্ডিত করে কংগ্রেস

    শমীক বলেন, ‘‘১৯৩৭ সালে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির একটি সভা হয়। তারা সেদিন বন্দে মাতরমকে খন্ডিত করে দিয়েছিলেন। আমরা চাই এই প্রজন্ম সংক্ষিপ্ত বন্দে মাতরম নয়, পূর্ণাঙ্গ বন্দে মাতরম এর রূপ জানুক। আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।’’ শমীক জানান, ৬১ জায়গায় অখণ্ড বন্দে মাতরম গাওয়া হবে। আগামী এক মাস ব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। এই কর্মসূচিতে হুগলিতে যে বন্দে মাতরম ভবন আছে সেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার কাঁঠালপাড়ায় যেখানে বঙ্কিমচন্দ্রের পৈতৃক বাসভবন রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত থাকবেন, মুর্শিদাবাদের লালগোলায় উপস্থিত থাকবেন রাহুল সিনহা, কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, উত্তর ২৪ পরগনায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।

    ভারত-আত্মার প্রতীক বন্দে মাতরম

    শমীকের কথায়, ‘‘আমরা গর্বিত যে বন্দে মাতরম আমাদের বাংলার মাটিতে লেখা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে বন্দে মাতরম নিয়ে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে সৌগত রায় বলেছিলেন বন্দে মাতরম এর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা আছে। তৎকালীন বাম জামানার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন তাঁর ভাবলে আশ্চর্য লাগে কীভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক আনন্দমঠের মতো উপন্যাস লিখেছিলেন। বন্দে মাতরম ভারতবর্ষের সমস্ত প্রান্তের, সমস্ত ভাষার ব্যবধানকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। আজ সেই বন্দে মাতরামের বিরুদ্ধে যখন রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিবাদ জানায় তখন তা অত্যন্ত লজ্জার। তিনি বলেন, ‘‘আনন্দমঠের ইতিহাস এই প্রজন্মের জানা দরকার এবং সেই সঙ্গে বন্দে মাতরমের মধ্যে দিয়ে ভারত-আত্মা, ভারতীয় সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের যে প্রতিধ্বনি হয়েছে তার সৃষ্টিকাল, যাত্রা সম্পর্কে জানা দরকার। তাই সারা বছর ব্যাপী আমরা নানাবিধ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সেটিকে উদযাপন করব।’’

  • Aadhaar Card: এসআইআর শুরুর হতেই ঝোপে মিলল ভোটার কার্ডের পাহাড়, জলে ভাসছে শয়ে শয়ে আধার! কোথা থেকে এল?

    Aadhaar Card: এসআইআর শুরুর হতেই ঝোপে মিলল ভোটার কার্ডের পাহাড়, জলে ভাসছে শয়ে শয়ে আধার! কোথা থেকে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) জন্য মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। আর পরদিন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে জলাশয় থেকে পাওয়া গেল কয়েকশো আধার কার্ড। তিনটি বস্তায় ভরে আধার কার্ড-সহ অন্যান্য কাগজপত্র রাতের অন্ধকারে কেউ ফেলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, রাজগঞ্জ বিডিও বিতর্কের মধ্যে ওই অফিসের পিছনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর ভোটার কার্ড। কে বা কারা এই ভোটার কার্ডগুলি সেখানে ফেলে দিয়েছে তা এখনও রহস্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীরা প্রথমে ভোটার কার্ডগুলো পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন। তবে সাফাই কর্মীরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। বিজেপির দাবি, এসআইআর-র ভয়ে এই ভুয়ো আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে।

    কোথা থেকে এল এত আধার কার্ড

    পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের বরডাঙা এলাকার একটি বিলে বুধবার সকালে আধার কার্ডগুলি ভেসে থাকতে দেখে এলাকার মানুষজন। খোঁজ করতে গিয়ে তিনটি বস্তা দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় জলে ভেসে থাকা আধার কার্ড ও একটি বস্তা। জলের নিচে থাকা আরও দুটি বস্তা ভর্তি আধার কার্ডগুলি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে এলাকাবাসীর উদ্দেশে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে, কেউ আধার কার্ড পেলে, তা যেন প্রশাসন কিংবা থানায় জমা দেয়। কে বা কারা আধার কার্ডগুলি রাতের অন্ধকারে জলে ফেলে রেখে গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এলাকাবাসীরা জানান, আধার কার্ডে যে ছবি রয়েছে তা অপরিচিত। তাদের কেউ চেনে না। লক্ষ্মণ মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমার এখানে জমি রয়েছে। আজ সকালে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। তারা তিনটে বস্তা দেখতে পান। একটি বস্তা বিল থেকে বের করে আনেন। বাকি দুটি বের করতে পারেননি। কার্ডগুলো দেখেছি। কার্ডে আমাদের এখানকার কারও নাম লেখা নেই।”

    ভোটার কার্ডের পাহাড়

    অন্যদিকে, সরকারি অফিসের এত কাছেই এত সংখ্যক ভোটার কার্ড ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়াও প্রশ্ন তৈরি করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এল কোথা থেকে? এগুলো কি ভুলবশত ফেলা হয়েছে, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও অন্য রহস্য রয়েছে এর পিছনে।সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিডিও অফিস চত্বরের ঝোপের মধ্যে যে সকল ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, এপিক নম্বর একেবারেই বৈধ। এপিক কার্ডে থাকা নাম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাচ্ছে। এই রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের মামলাও। এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই রাজগঞ্জেই এই ঘটনা, স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন জাগাচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে এত শয়ে শয়ে বৈধ ভোটার কার্ড ফেলে দেওয়া হল, তা সবথেকে বড় প্রশ্ন। ব্লকের এক কর্মী বললেন, “আসলে অফিস পরিস্কার করা হয়েছে। অনেক পুরনোকাগজপত্র ফেলা হয়েছে।” অর্থাৎ এই ভোটারকার্ডগুলোকে পুরনো কাগজপত্র বলেই উড়িয়ে দিলেন তিনি।

    এসআইআর শুরু হতেই অবৈধ কার্ড

    বিজেপি তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আধার কার্ডগুলি অবৈধ। আর এসআইআর শুরু হতেই এই অবৈধ আধার কার্ড নষ্ট করতেই ফেলে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা পরিমল মিস্ত্রি বলেন, “হয়তো এগুলো ভুয়ো আধার কার্ড। কী জন্য বস্তাভর্তি আধার কার্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা তদন্তে করে দেখা দরকার। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” রাজগঞ্জের ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “রাজগঞ্জের ওই বিডিও হয়েছেন চুরির নম্বরে। যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই সমস্যা তৈরি করেছেন। ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন।”

  • SIR: আসলে এসআইআর সমর্থনই করছেন রাহুল গান্ধী! কী বলল নির্বাচন কমিশন?

    SIR: আসলে এসআইআর সমর্থনই করছেন রাহুল গান্ধী! কী বলল নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর (SIR) নিয়ে ঘুম ছুটেছে বিরোধীদের। প্রকাশ্যে চলে এসেছে তাঁদের দ্বিচারিতার রাজনীতিও। এক সময় এসআইআরের দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই তিনিই এখন এসআইআরের বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন পথে। এই দ্বিচারিতার রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেসও (Rahul Gandhi)। নির্বাচন কমিশনের দাবি, একদিকে রাহুল গান্ধী এসআইআরের বিরোধিতা করছেন। অথচ এটি ভোটার তালিকা শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া। অন্যদিকে তিনিই অতীতের ভোটার তালিকার অশুদ্ধির কথা তুলে ধরে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। কমিশনের সাফ কথা, “এ থেকে এটি স্পষ্ট যে, শুরুতে তিনি বিরোধিতা করলেও, এখন তিনি এসআইআরকে সমর্থনই করছেন।”

    ভোট চুরির অভিযোগ রাহুলের (SIR)

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ফের দাবি করেন, দেশে ব্যাপকভাবে ভোট চুরি হচ্ছে। এদিন তিনি তাক করেছিলেন হরিয়ানাকে, যেখান ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি। দুপুরে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “প্রিয় ভোটারবৃন্দ, বিরোধী দলনেতা শ্রী রাহুল গান্ধীর প্রেস কনফারেন্সের বিস্তারিত জবাব শীঘ্রই জানানো হবে।” হরিয়ানা সিইওর এক্স হ্যান্ডেলে ‘হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ শিরোনামে একটি পোস্ট করা হয়েছে। তাতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ, মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, পোলিং এজেন্ট, প্রাপ্ত অভিযোগ এসবেরই বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে (Rahul Gandhi)।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    সংবাদ সংস্থা এএনআই নির্বাচন কমিশনের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নির্বাচনী তালিকা নিয়ে কোনও আপিল দাখিল হয়নি। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য হাইকোর্টে মাত্র ২২টি পিটিশন বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে (SIR)। সূত্রের প্রশ্ন, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টরা যদি সত্যিই মনে করে থাকেন যে ডুপ্লিকেট ভোট হয়েছে, তবে তাঁরা ভোটকেন্দ্রেই আপত্তি জানালেন না কেন? গান্ধী কি এসআইআর প্রক্রিয়া সমর্থন করেন নাকি বিরোধিতা করেন? এই প্রক্রিয়াটি তৈরি হয়েছে ডুপ্লিকেট, মৃত এবং স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য। এর পাশাপাশি যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে নাগরিকত্বও। সূত্রের আরও প্রশ্ন, কংগ্রেসের বুথ লেভেল এজেন্টরা কেন তালিকা সংশোধনের সময় কোনও দাবি বা আপিল দায়ের করেননি? নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর ওই দাবিতে, যেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে নকল বা দ্বৈত ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। আর বিজেপির দাবি ছিল, সেই ভোট পড়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। কমিশন আরও জানিয়েছে যে, ‘হাউস নম্বর জিরো’ সেই সব এলাকাকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়, যেখানে পুরসভা বা পঞ্চায়েত এখনও বাড়ির নম্বর বরাদ্দ করেনি (Rahul Gandhi)।

    রাহুলের বিস্ফোরক দাবি

    রাহুল গান্ধীর দাবি, হরিয়ানার প্রতি আটজন ভোটারের একজন নকল। তিনি বুথে পড়া ভোট ও পোস্টাল ব্যালটে পড়া ভোটের মধ্যে অকারণ ফারাক সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন। প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে যে হরিয়ানায় ২৫ লাখ ভোটার নকল, এরা হয় নেই, অথবা এদের নাম দ্বৈতভাবে রয়েছে, অথবা এমনভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যাতে যে কেউ তাদের নামে ভোট দিতে পারে। হরিয়ানায় প্রতি ৮ জনের ১ জন ভোটার নকল, শতাংশের বিচারে তারা ১২.৫ (SIR)।” তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ‘এইচ’ ফাইলস নামে একটি নথি আছে এবং এটি দেখায় কীভাবে পুরো একটি রাজ্যকে চুরি করে নেওয়া হয়েছে। আমরা সন্দেহ করছিলাম যে এটি কেবল আলাদা আলাদা আসনে হচ্ছে না, বরং রাজ্য এবং জাতীয় স্তরেও ঘটছে। হরিয়ানা থেকে আমাদের প্রার্থীদের কাছ থেকে বহু অভিযোগ পেয়েছিলাম যে কিছু একটা ঠিকমতো কাজ করছে না। তাদের সমস্ত পূর্বাভাস উল্টে গিয়েছিল। আমরা এ ধরনের অভিজ্ঞতা মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রেও পেয়েছি, কিন্তু আমরা হরিয়ানায় জুম করে সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল সেটা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জেতাতে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছে।

    হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচন হয় ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভার। সেই নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয় ৪৭টি আসনে।  কংগ্রেস পায় ৩৭টি আসন। সেই নির্বাচনের এক বছর পর এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার ঠিক আগের দিনই দিল্লিতে রাহুল অভিযোগ করেন, গত বছর হরিয়ানায় ৫.২১ শতাংশ ডুপ্লিকেট ভোটার ভোট দিয়েছিলেন (Rahul Gandhi)।  ৯৩ হাজার ১৭৪ জন অবৈধ ভোটার ভোট দেন। আর ১৯ লাখ ২৬ হাজার বাল্ক ভোটার ভোট দেন। সব মিলিয়ে চুরি হয়েছে ২৫ লাখ ভোট (SIR)।

  • Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়ে হামলা চালাল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার নদিয়ায় পরপর কর্মসূচি ছিল সুকান্তর। সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার পিছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের এক শ্রেণির মানুষকে উস্কে দিয়েছেন। যার ফলেই এই ধরনের হামলা হচ্ছে।

    আহত বিজেপি কর্মী হাসপাতালে

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের সরকার পাড়ায় বিজেপি-র একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সুকান্তর কনভয়ে থাকা একাধিক গাড়ি পিছিয়ে পড়ে ভুল রাস্তায় চলে যায়। তারপর নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ঘোরানোর সময় হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর থেকে অনেকে সুকান্তর কনভয়ে থাকা গাড়িতে হামলা চালায়। তারা কনভয়কে বাধা দেয়, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ছিল বলেও অভিযোগ। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পেয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুকান্ত। তাঁর সঙ্গেই বিজেপি-র অনেক নেতা-কর্মীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

    সুরক্ষার জন্য ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা!

    প্রথমে নদিয়ার তাহেরপুরে একটি কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত। এরপর পৌঁছন নবদ্বীপে। বর্তমানে সেখানে রাশ উৎসব চলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সুকান্ত নবদ্বীপে গিয়ে রাস উপলক্ষে শ্যামা মায়ের পুজো দেন এবং বিজেপির একটি বুক স্টলের উদ্বোধন করেন। ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। এদিন কনভয়ে থাকা গাড়িতে এবং দলীয় কর্মীদের উপর হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে সুকান্ত বলেছেন, “আমার দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, রক্তের হিসেব আমরা বুঝে নেব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে, বিজেপি নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে জানে। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আবার আমরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি করব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমরা লড়ব। বার বার যদি আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়, তা হলে এ বার থেকে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডাও রাখতে হবে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।”

    এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে

    কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে হামলা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খগেন মুর্মু। সেই ঘটনার পর এবার হামলার শিকার সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা নিত্যদিনের কাজ হয়ে গিয়েছে। আইনের শাসন নেই। নেতাদের এই অবস্থা হলে কর্মীদের কী হবে! কেন্দ্রীয় সরকারের এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার পিছনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার নদিয়া জেলার নবদ্বীপে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের একাধিক গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় বিজেপি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপর্ণা নন্দী এবং নাদিয়া দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস আহত হয়েছেন। অর্জুন বিশ্বাস, শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মীরা গুরুতর জখম হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ‘অ্যান্টি-এসআইআর’ রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় সমাজের একাংশকে উস্কে দিয়েছিলেন। এসআইআর প্রক্রিয়াকে এনআরসি বলে আখ্যা দিয়ে তিনি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “যে এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেই জেলার পুলিশ সুপার হলেন ‘কুখ্যাত আধিকারিক’ অমরনাথ কে., যিনি প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত প্রিভিলেজ কমিটির তলবেও হাজিরা দেননি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে আতঙ্কে রয়েছে। তাঁদের এই প্রতিক্রিয়াই শেষ পর্যন্ত বাংলায় তাদের বিদায়ের পথ আরও মসৃণ করবে।”

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহারে চলছে প্রথম দফার নির্বাচন, ভোটারদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Bihar Assembly Election 2025: বিহারে চলছে প্রথম দফার নির্বাচন, ভোটারদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’টি দফায় হবে বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Election 2025)। প্রথম দফার (First Phase) ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে। এদিন ভোটগ্রহণ চলছে রাজ্যের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে। চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। কোনও কোনও জায়গায় অবশ্য বিকেল ৫টায়ই শেষ হয়ে যাবে ভোটগ্রহণ। এদিন যে জেলাগুলিতে ভোটগ্রহণ চলছে, সেগুলি হল পাটনা, দ্বারভাঙা, মধেপুরা, সহরসা, মুজফফরপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, বৈশালী, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, লখীসরাই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, বক্সার এবং ভোজপুর। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। এদিন ভোট চলছে ১২১টি আসনে। ইভিএমে ভাগ্য বন্দি হবে ১ হাজার ৩১৪ জন প্রার্থীর। মূল লড়াই এনডিএ এবং বিজেপি বিরোধী মহাগঠবন্ধনের মধ্যে।

    ভাগ্য পরীক্ষায় যাঁরা (Bihar Assembly Election 2025)

    এদিন যেসব উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। তিনি লড়ছেন রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। ময়দানে রয়েছেন লালুপ্রসাদের ‘বিদ্রোহী’ জ্যেষ্ঠপুত্র তথা জনশক্তি জনতা দল সুপ্রিমো তেজপ্রতাপ যাদবও। তাঁর কেন্দ্র মহুয়া। বিহারের দুই বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির সম্রাট চৌধুরী লড়ছেন তারাপুরে, আর বিজয়কুমার সিনহা প্রার্থী হয়েছেন লখীসরাইয়ে। ভোজপুরী গায়িকা মৈথিলী ঠাকুরের ভাগ্যও নির্ধারণ হবে আজ। পদ্ম চিহ্নে তিনি প্রার্থী হয়েছেন আলিনগর কেন্দ্রে। ভোজপুরী গায়ক তথা অভিনেতা আরজেডির প্রার্থী খেসারিলাল যাদব লড়ছেন ছাপরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। এদিন ভাগ্যপরীক্ষা হবে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নয়া দল জন সুরাজ পার্টির কয়েকজন প্রার্থীরও (Bihar Assembly Election 2025)।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

    ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই ভোটারদের পূর্ণ উদ্যোমে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দিতে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, “গণতন্ত্রের উৎসব আজ বিহারে প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই পর্বে সকল ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা পূর্ণ উদ্যমে ভোট দিন।” ওই পোস্টেই বিহারের নয়া ভোটারদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “মনে রাখবেন, আগে ভোট, পরে আহার-বিশ্রাম।” মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবও ভোটদানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আপনার ভোট বিহারের উন্নতির পথ প্রশস্ত করবে। আগে ভোট। অন্য কোনও কাজ কিছু সময় পরেও করা যেতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে বিহারে ভোটার তালিকার এসআইআর হয়েছে এবার। প্রথম দফায় ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লাখেরও বেশি। দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে ১১ নভেম্বর (First Phase)। সেদিন ভোট হবে রাজ্যের ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Election 2025)।

  • BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে বেরলো?” দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডের পর এমনই মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহিলা এই মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের রাত ৮টার (BJP) মধ্যেই ঘরে ‘সেঁধিয়ে’ যাওয়ার পরামর্শও দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সেই তিনিই এবার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় দলকে।

    মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জয় ভারতের (BJP)

    রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২৯৮ রান তোলে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারত। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে সব উইকেট হারিয়ে গোহারা হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাত ১২টার কিছু পরে বিশ্বকাপ ওঠে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের হাতে। তার পরেই দেশজুড়ে শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যান ভারতীয় ক্রিকেট দলের মহিলা সদস্যরা। এই টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষ। এই তালিকায় রয়েছেন মমতাও। তার পরেই কার্যত তাঁকে ধুয়ে দিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেই তাঁর অভিনন্দন-বার্তাকে খোঁচা দিয়েছে পদ্মশিবির।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন-বার্তায় খোঁচা বিজেপির

    ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ, গোটা দেশ উইমেন ইন ব্লু-র বিশ্বকাপ ফাইনালের কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। টুর্নামেন্টজুড়ে তাঁরা যে লড়াই এবং যে কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন, তা তরুণীদের প্রজন্মে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আপনারা প্রমাণ করেছন যে আপনারা শীর্ষ স্তরে একটি বিশ্বমানের দল এবং আপনারা আমাদের কিছু অসাধারণ মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। আপনারা আমাদের নায়ক। ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য আরও বড় সাফল্য অপেক্ষা করে রয়েছে। আমরা (Mamata Banerjee) আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য তুলে ধরেই এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে খোঁচা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (BJP)। “ওএমজি (ও মাই গড) ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন! কিন্তু আপনি তো ৮টার মধ্যেই বাড়ি ঢুকে যেতে বলেছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওটি একটি প্রাইভেট কলেজ। মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মেয়েটি কীভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে গেল? জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কী হয়েছে, জানি না। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলির উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত। রাতে তাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ কীভাবে জানবে রাতে কে কখন বেরোবে? বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব রাতে তারা যেন না বেরোয়। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় কোথাও যায়, পুলিশ তো আর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না (BJP)।”

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন মন্তব্য করা মুখ্যমন্ত্রীই কিনা এখন রাত ১২টা পর্যন্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মহিলা ক্রিকেট দলকে ‘শুভনন্দন’ (শুভ অভিনন্দন না বলে এই শব্দটি ব্যবহার (Mamata Banerjee) করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। যদিও শব্দটি কোনও অভিধানেই নেই।) জানাচ্ছেন (BJP)!

    ভূতের মুখে রাম নাম!

  • BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    BJP: “কংগ্রেস সভাপতি পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমার ভাষায় কথা বলছেন”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পিএফআই, মুসলিম লিগ ও জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের ভাষায় কথা বলছেন।” খাড়গের আরএসএস সংক্রান্ত মন্তব্যের নিন্দে করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করল বিজেপি (BJP)। শুক্রবার খাড়গে বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ী, আরএসএসের (RSS) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। কারণ দেশের অধিকাংশ আইনশৃঙ্খলা সমস্যা বিজেপি-আরএসএসের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি কর্মচারীদের সংঘের সঙ্গে যুক্ত হতে দিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের উত্তরাধিকারের অপমান করেছেন।

    খাড়গের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির প্রতিক্রিয়া (BJP)

    খাড়গের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “আমরা খাড়গের আরএসএস সম্পর্কে মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। আজ তিনি আরএসএসের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, মুসলিম লিগ এবং জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের ভাষার মতো।” তাঁর মতে, এমন আপত্তিকর মন্তব্য করার আগে আরএসএস এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত ছিল কংগ্রেস সভাপতির। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী, বিআর আম্বেডকর, জওহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধী সংঘ সম্পর্কে কী বলেছেন, খাড়গের তা জানা ও বোঝা উচিত ছিল।” সম্বিত বলেন, “১৯৩৪ সালে ওয়ার্ধায় সংঘের একটি শিবির পরিদর্শন করার পর মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন যে সংগঠনে শৃঙ্খলা এবং অস্পৃশ্যতার অনুপস্থিতি দেখে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে পুনেতে সংঘের একটি শিবির পরিদর্শনের পর আম্বেডকর বলেছিলেন যে সংগঠনে উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের মধ্যে সম্পূর্ণ সমতার পরিবেশ দেখে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছেন।”

    গান্ধী-নেহরু-ইন্দিরা-প্রণবের আসএসএস প্রশস্তি

    তিনি (BJP) বলেন, “১৯৬২ সালের ভারত–চিন যুদ্ধের পর জওহরলাল নেহরু ১৯৬৩ সালের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সংঘকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং সংঘ অংশগ্রহণ করেছিল। এসব নথিভুক্ত ইতিহাস।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে কাপূর কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে আরএসএসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক ছিল না এবং এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও সর্বসাধারণের ডোমেইনে রয়েছে।” তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী ও নেহরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী ও প্রণব মুখোপাধ্যায় – সকলেই সংঘের প্রশংসা করেছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গের উচিত আরএসএসের (RSS) ইতিহাস এবং দেশের ইতিহাস পড়া। সংঘ সম্পর্কে কংগ্রেসের বহু নেতার কী মন্তব্য ছিল, সেটাও তাঁর জানা ও বোঝা উচিত (BJP)।”

LinkedIn
Share