Tag: bjp

bjp

  • Adhir Chowdhury: বিজেপিকে ভোট দিতে বললেন অধীর! ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, তৃণমূলের কারসাজি বলছে কংগ্রেস

    Adhir Chowdhury: বিজেপিকে ভোট দিতে বললেন অধীর! ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, তৃণমূলের কারসাজি বলছে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর লোকসভার কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। আর বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন অধীর? (Adhir Chowdhury)

    মঙ্গলবার জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মোর্তাজা হোসেনের সমর্থনে সভা করতে গিয়েছিলেন অধীর (Adhir Chowdhury)। সেই সভায় ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমও। একটি ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে অধীরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে, তার থেকে ভাল বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতানো।” কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিও তৃণমূল নেতারা শেয়ার করেছেন। এই প্রসঙ্গে এক সিপিএম নেতার কথায়, “ওই কথার পরে অধীর বলেছেন, বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতাতে হবে। কিন্তু, তৃণমূল একটি অংশই তুলে ধরে অপপ্রচার করছে। তবে, ভোটের মুখে অধীরের মুখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    তৃণমূলের কারসাজি

    এই বক্তব্য নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “যে ভিডিও সমাজ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তা তৃণমূল তৈরি করেছে। এরকম কথা অধীর চৌধুরী বলেননি। আসলে ওই ভিডিও কারসাজি করে তৃণমূল বাজারে ছেড়েছে। তৃণমূল মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনটি আসনেই হারবে বলে ভয় পেয়েছে। তাই এই সব করছে। সাধারণ মানুষ সব জানেন, অধীরের বিরুদ্ধে এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না। তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অধীরের জনপ্রিয়তার কাছে তৃণমূল ধারে কাছে যেতে পারছে না। তাই, এসব কুৎসা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: যোগীর সভায় যাওয়ার কারণে বিজেপি কর্মীকে বেধড়়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Birbhum: যোগীর সভায় যাওয়ার কারণে বিজেপি কর্মীকে বেধড়়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিত্যনাথ যোগীর জনসভায় গিয়েছিলেন। এটাই বিজেপি কর্মীর অপরাধ। আর তার জেরেই প্রকাশ্যেই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি থানার গাংটে গ্রামে। আহত বিজেপি কর্মীর নাম মিলন বেদে। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত। ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও  দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী মিলনবাবুর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি থানার গাংটে গ্রামে। মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে যোগী সভা করতে আসেন। সেই সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন মিলনবাবু। সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এমনকী ছেলেকে মারতে দেখে তাঁর মা বাঁচাতে যান। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁর মাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানার পরই গ্রামে যায় পুলিশ। জখম বিজেপি কর্মী ও তাঁর মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জখম বিজেপি কর্মী মিলন বেদে বলেন, যোগীর সভা থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় তৃণমূল দুষ্কৃতী গ্রামের মধ্যে আমার ওপর হামলা করে। মদ খেয়ে ছিল সকলে। আমার মাকেও মেরেছে তৃণমূলের বুথ সভাপতি। আবার বিজেপির মিটিংয়ে গেলে আরও খারাপ অবস্থা করব বলে হুমকি দিয়ে যায়। চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আসলে যোগীর জনসভায় জমায়েত দেখে তৃণমূলের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এখন এভাবে কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস করে মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এটা ওদের পারিবারিক ঘটনা। নিজেদের মধ্যে বিবাদ হচ্ছিল। সেই কারণেই হয়েছে। রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dinhata: ভোটের বাজারে মাফিয়ারাজ! অভিযুক্ত উদয়ন অনুগামীরা

    Dinhata: ভোটের বাজারে মাফিয়ারাজ! অভিযুক্ত উদয়ন অনুগামীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনহাটায় (Dinhata) জমি জায়গার অবৈধ কারবারের অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha) অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ শাসকদলের ছত্রছায়ায় একাধিক জায়গায় চলছে অবৈধভাবে জমি বেচা কেনার কারবার। অভিযোগ যে উড়িয়ে দেওয়ার মত নয় কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন উদয়ন গুহ। মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ লিখেছেন, “জমি সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় আমার মাথা ব্যথা নেই। যারা আমার নাম ব্যবহার করে তারা নিজেদের স্বার্থে করে।”

    স্থানীয়দের অভিযোগ

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “উদয়ন গুহর অনুগামীরা মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে জমির আসল মালিকদের ভয় দেখাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জমি মালিকের অজান্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। জমি বেচাকেনার অবৈধ কারবার চলছে গোটা দিনহাটা (Dinhata) জুড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। প্রসঙ্গত মন্ত্রীর নাম কারা ব্যবহার করে এবং কেনই বা তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জিজ্ঞেস করা হলে উদয়ন বলেন, “আমার কাছে খবর আছে কেউ কেউ আমার নাম উল্লেখ করে বা আমার নাম ভাঙ্গিয়ে জমি জায়গার ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। তাই ওদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি। সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যিনি জমি সংক্রান্ত কারবার করবেন নিজের দায়িত্ব করবেন।” দলের তরফে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন করা হলে উদয়ন বলেন নির্দিষ্ট করে কেউ আমার কাছে বা পুলিশে অভিযোগ করলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    উদয়ন গুহর ওই পোস্টে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, “কারা (Dinhata) বেআইনি জমির কারবার করছে তা শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা ভালই জানেন। তাঁরা জানেন না এ কথা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। আসলে কাটমানিটা তাঁদের কাছেও পৌঁছে যায়। তাই তাঁরা চুপ থাকেন। ধীরে ধীরে সবই প্রকাশ্যে আসছে। চাকরি থেকে জমি সব জায়গায় জড়িত তৃণমূলের নেতারা।”

    জমির হাঙরদের রাজত্ব চলছে

    তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে কিছুদিন আগে দিনহাটার (Dinhata) বোর্ডিং পাড়া এলাকায় একটি জায়গা বিক্রি হয়। এই জমি বিক্রি নিয়ে তৃণমূলের দিনহাটা শহর ব্লক কমিটির এক নেতার নাম জড়িয়ে পড়ে। তিনি উদয়ন গুহর ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। সেই প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি কেনা বেচা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে স্টেশন রোড এলাকায় মুচির মাঠ সংলগ্ন একটি জায়গাও মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে জোর করে কেনার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পরে। জানতে পেরে উদয়ন সরব হন বলে জানা যায়। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, “যে সমস্ত ক্ষেত্রে কাটমানি নেতার কাছে পৌঁছে যায় না। সেই বিষয়েই প্রতিবাদে সরব হন তিনি। বাকি ক্ষেত্রে তিনি চুপ করেই থাকেন।”

    আরও পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে হানা, শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে তলবের নোটিস দিল সিবিআই

    কেন বাড়বাড়ন্ত ?

    কিছুদিন সবকিছু থেমে থাকলেও বর্তমানে ফের ভোটের বাজারে জমি মাফিয়াচক্র সক্রিয় হয়েছে। মনে করা হচ্ছে প্রশাসনের মাথায় এখন ভোটের চাপ। তাই এই সুযোগে স্বার্থসিদ্ধি করার অভিযোগ উঠছে। কোথাও (Dinhata) ভয় দেখিয়ে আবার কোথাও জোর করে বাজার মূল্যের কম দামে জমি কিনে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, “যারা জমি জায়গার কারবার করেন তাঁরা চিরকাল শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকেন। বর্তমানেও তারা শাসক দলের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক জনসভা, বিতর্ক

    Murshidabad: সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক জনসভা, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের গোদায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আর সেখানে জমির ফসল কেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করলেন। আর কৃষি দফতরের চাষের ফার্মে জনসভা করাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে জনসভা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। আর সেই জনসভা ঘিরেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির।

    সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা (Murshidabad)

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য,”মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে কৃষির খেত-খামার। ওটা একটা ফার্ম। সেখানে তিলের চাষ হচ্ছে। সেই তিল নষ্ট করে, জনসভা হল। যে জায়গায় সভা হয়েছে, সেই জায়গাটি কৃষি দফতর বিভিন্ন বীজ শস্য পরীক্ষা- নিরীক্ষণের জন্য ব্যবহার করে। সেখানে বেশ কিছুটা জায়গায় তিল চাষও করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য সেই ফসল কেটে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য জমির ফসলও নষ্ট করা হল। আর এই ফসল নষ্ট করার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।” কংগ্রেস নেতৃত্বও সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সভার করার নিন্দা জানিয়েছেন। তবে, এই বিষয়ে খড়গ্রামের ব্লকের কৃষি আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফলে, জোর করে এই জমি তৃণমূল নিয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও জমি বিতর্কে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। খড়গ্রামের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, “ফসল নষ্ট হয়নি। ওই জমিতে সামান্য জায়গায় ফসল ছিল। খুব বেশি ফসল ছিল না। যেগুলি ছিল, সেগুলিও প্রায় মরেই গিয়েছিল। আর আমরা বিনা পয়সায় জমি নিয়েছি, এমন নয়। আমরা তার ক্ষতিপূরণ দিয়েই সভা করেছি। সামান্য যে ফসল ছিল, তার অনেক গুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দিয়েই সভা হয়েছে। “লোকসভা ভোটের আবহে এই সভাস্থলের জমি ইস্যু আরও চর্চায় উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi:  “মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন?” প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের

    Narendra Modi: “মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন?” প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে বিজেপি মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে। এবার দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আসছেন বর্ধমানে। আর নিয়ম মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার জন্য বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (বিডিএ) কাছে গোদার মাঠের অনুমোদন চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই অনুমোদন মেলেনি। ফলে, গোদার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন? (Narendra Modi)

    ৩ মে সকাল ১০টায় বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভা করার কথা। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি-র একটি দল বর্ধমানে এসেছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গোদার মাঠে অনুমতি না পেলে বিকল্প হিলেবে সাইয়ের মাঠে ঠিক করে রাখা হয়েছে। গোদার মাঠে অনুমতি না মিললেও পরিকাঠামোর অবস্থা খতিয়ে দেখতে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ যান। তিনি বলেন, “লক্ষাধিক মানুষ আসার মতো ব্যবস্থা আছে। চারদিকে জনবসতি নেই। গাড়ি রাখার সুবিধা আছে। হেলিকপ্টার রাখা যাবে। তাহলে এই মাঠ কেন দেওয়া যাবে না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে এই মাঠেই প্রশাসনিক সভা করেন। দিলীপের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন? মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লেখা হয় প্রশাসনিক, আর সেখানে উনি প্রধানমন্ত্রীকে গালাগালি দেন। এটা কী ধরনের প্রশাসনিক সভা! বিডিএ-র মাথায় কে বসে আছেন? আপনাদের রাজনীতি, আর আমাদের বেলায় আইন দেখাবেন? আমরাও এর জবাব দেব। প্রয়োজনে আদালতে যাব।”

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    বিডিএ-র চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত অবশ্য বলেন, ওই মাঠ স্বাস্থ্যনগরীর জন্য উন্নীত করা হবে। সরকারি মাঠ সরকারের অনুষ্ঠানের জন্য দেওয়া যেতেই পারে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা হয়। কিন্তু যে মাঠের কাছে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, সেই মাঠকে কী ভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য দেব?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: তৃতীয় দফায় কী প্রচার করবেন, কৌশল বাতলে এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি মোদির

    PM Modi: তৃতীয় দফায় কী প্রচার করবেন, কৌশল বাতলে এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ মে তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাতে তাঁদের বলা হয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে তুলে দেবে তাদের ভোটব্যাঙ্কের হাতে। এই মর্মে ভোটারদের সচেতন করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। 

    সাত দফায় নির্বাচন (PM Modi)

    এবার সাত দফায় হবে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে দুটি দফার ভোট। তৃতীয় দফার নির্বাচন ৭ তারিখে। এই দফায় ভাগ্য নির্ধারিত হবে এনডিএর ৯৪ জন প্রার্থীর। তাঁদের জয় নিশ্চিত করতেই প্রচারের কৌশল উল্লেখ করে ‘সঞ্জীবনী’-পত্র দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডি’ জোট

    কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডি’ জোটের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) শরিকরা যে বিভাজন ও স্বেচ্ছাচারী নীতি-আদর্শের পথ নিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে জোরলো আওয়াজ তুলতে হবে বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ওরা ওদের মুসলিম তোষণের ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে ব্যস্ত। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ অসাংবিধানিক। ওরা মানুষের কষ্টার্জিত রোজগারের অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে ওদের ভোটব্যাঙ্কের খাতায় জমা করতে চাইছে। ওদের বিপজ্জনক ভাবনার বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে একত্রিত করতে হবে।’

    চিঠিতে কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “পাঁচ ছ’দশক ধরে এই দেশ ও আমাদের পূর্বসূরীরা যে দুর্ভোগ সহ্য করেছেন, সেখান থেকে মুক্তি ও শান্তি ফিরিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ। গত দশ বছরে ভারত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হলেও, ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছি আমরা।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    প্রধানমন্ত্রীর চিঠি যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদেরই একজন গুজরাটের পোরবন্দরের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য মনসুখ মাণ্ডব্য। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সেই চিঠির প্রতিলিপি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, মেরি সাথি কার্যকর্তা সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওরা মুসলমানদের সংরক্ষণ চালু করতে হকের ভাগ ছিনিয়ে নিতে চাইছে এসসি, এসটি এবং অনগ্রসর শ্রেণির। আপনারা এটাই প্রচার করুন (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Howrah: “বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে”, হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

    Howrah: “বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে”, হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর হাওড়ার (Howrah) সালকিয়া অবাঙালি অধ্যুষিত বহুতল বাড়িগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। হাওড়া পুরসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফলাফলেও সেটা প্রতিফলিত হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনেও হাওড়া উত্তর বিধানসভা এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। তাই এ বার ওই ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে তৎপর তৃণমূল। উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপিকে ভোট দিলেই জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে (Howrah)

    দলীয় প্রার্থীর হয়ে গোলাবাড়ি (Howrah) থানার কাছে একটি আবাসনের কাছে তিনি ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। ওই আবাসনের ভোটার সংখ্যা প্রায় ন’শো। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক জনকে উদ্দেশ্য করে বিধায়ক বলেন, ওই আবাসনের বাসিন্দারা যেন ভোটের দিন বাড়ি থেকে না বের হন। আর যদি বের হন, তা হলে আমি বুঝে যাব কাকে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তারপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয় তা হলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, “যেখানে নির্বাচন কমিশন কোটি কোটি টাকা খরচ করছে নির্বাচনের জন্য, মানুষকে নির্ভয়ে ভোট দিতে আবেদন করছে। সেখানে এক জন জনপ্রতিনিধি কী ভাবে মানুষকে ভোট না দিতে বলেন? তিনি কী ভাবে বলতে পারেন যে, বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে?” আমরা এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করছি। আর তৃণমূল বিধায়ক (Howrah) গৌতম চৌধুরী বলেন, আমি ওই এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলাম ঠিকই। তবে, এমন হুমকি আমি দিইনি। এরপরই তিনি বলেন, “পাঁচ বছর প্রত্যেক দিন, চব্বিশ ঘণ্টা আমি মানুষের পাশে থাকি। আমরা জল দিই, রাস্তা তৈরি করি। মানুষকে নিরাপত্তা দিই। তা হলে মানুষ কেন আমাদের ভোট দেবেন না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Agnimitra Paul: বসিরহাটের কায়দায় এবার দাঁতনে অগ্নিমিত্রাকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের!

    Agnimitra Paul: বসিরহাটের কায়দায় এবার দাঁতনে অগ্নিমিত্রাকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে রেখা পাত্র। তার পর অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া কি তৃণমূলের (TMC) রণকৌশল। উঠছে প্রশ্ন। দুটি প্রচারে বাধা দেওয়ার ধরণে মিল রয়েছে। তিনি বলেছেন, “চোরের দল বাধা দিয়েছে, মহিলাদের শিখিয়ে পড়িয়ে এগিয়ে দিয়ে পিছনে থাকছেন তৃণমূল নেতারা।”

    গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল কর্মীরা (Agnimitra Paul)

    ভোটের প্রচারে ফের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি (BJP) প্রার্থী অগ্নিমিত্র পল-কে। মঙ্গলবার দাঁতনে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul)। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ করছিলেন তিনি। আচমকাই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থকরা। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। এমনকি অপশব্দ বলতেও শোনা গেছে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করতে এসেছিলেন অগ্রিমিত্রা (Agnimitra Paul )। দাঁতনের কুসমি এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছতেই অগ্নিমিত্রাকে ঘিরে ধরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। মহিলাদের এগিয়ে দেওয়া হয় গাড়ির সামনে। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এবং কয়েকজন মহিলা স্লোগান দিতে শুরু করেন। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগানও। তাঁর গাড়ি আটকে রাখার চেষ্টা করে কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তৃণমূলীরা।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল?

    এ বিষয়ে অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul ) বলেন, “ওদের দলের চুরি যাতে জনমানসে না বেরিয়ে যায় তাঁর জন্য একদিকে সুপ্রিম কোর্ট দৌড়াচ্ছেন অন্যদিকে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। রাজ্যে সব জায়গায় দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা এতদিন চুরি করেছে তাদের আজ অসুবিধা হচ্ছে বলে বিজেপি প্রার্থীকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে। গ্রামের মানুষ কেউ বেরিয়ে আসেনি, জনাকয়েক চোর বেরিয়ে এসেছে।” প্রসঙ্গত অগ্রিমিত্রা স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে দাবি করেন, “দলের কয়েকজন কর্মী ছাড়া ওদের পাশে কেউ নেই। এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা চুরির সঙ্গে যুক্ত। এরপর জনগণ ওদের কাছ থেকে চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাইবে।” হুঁশিয়ারী দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী (Agnimitra Paul )। প্রসঙ্গত এদিন সকালেই বসিরহাটে (Basirhat) একই কায়দায় রেখা পাত্রকে (Rekha Patra) ঘিরে ধরে কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক। রেখাকে আটকে ঘেরাও করা মহিলাদের পেছনে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এদিন দাঁতনেও দেখা গেল একই ছবি। সামনে মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক পিছনে দাঁড়িয়ে পুরুষরা। প্রচারে বাঁধার জেরে দলীয় প্রার্থীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার গোসাবা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার এবং গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    সরকারি লঞ্চে তৃণমূলের মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন দুই বিধায়ক (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা (South 24 Parganas) বিডিও-র লঞ্চে করে দলীয় মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং মন্দির বাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। আর এই ঘটনার সামনে আসতে সুর চরিয়েছে বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ , নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পর কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মিটিংয়ে বিডিও লঞ্চ ব্যবহার করে দুই বিধায়ক তাদের দলীয় মিটিংয়ে আসে। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তারা সরকারি লঞ্চ ব্যবহার করছে এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি। তবে, এই ঘটনায় গোসাবা বিডিও বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তবে,এ বিষয়ে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, এখন বিভিন্ন বিডিও অফিস, ডিএম অফিস, থানা থেকে ওপরে সমস্ত সরকারি দফতরগুলি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। তারা ভুলেই গেছে এখন নির্বাচন আচরণবিধি কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। তারপরেও কীভাবে বিডিও অফিসের লঞ্চ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারে?এই বিষয় নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করব। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে মন্দির বাজারের বিধায়ক তথা সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি। আমরা ব্যক্তিগতভাবে লঞ্চ ভাড়া করে নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যাই। বিরোধী শিবির ও বিজেপির কোনও ইস্যু নেই, তাই এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে প্রচারে আসতে চাইছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ভোটপ্রচারে চুটিয়ে খেললেন হকি, দিলীপের নিশানায় মমতা

    Dilip Ghosh: ভোটপ্রচারে চুটিয়ে খেললেন হকি, দিলীপের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাঠি, ত্রিশূল, গদা, তলোয়ারের পর এবার দিলীপ ঘোষের হাতে হকি স্টিক। বর্ধমান শহরে একটি ক্লাবের মাঠে চুটিয়ে হকি খেললেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) হাতে হকি স্টিক ও বল তুলে দেন বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা শ্যামল রায়। দিলীপ বাবুর যুক্তি এটা দলের প্রোগ্রাম নয় এবং উনি এই কেন্দ্রের ভোটার।

    চাকরি বিক্রি হয়েছে (Dilip Ghosh)!

    একাধিক ইস্যুতে এদিন শাসকদলকে নিশানা করেন বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন একদিকে তিনি চাকরি দিচ্ছেন। অন্যদিকে বিজেপি চাকরি খেয়ে নিচ্ছে। আসলে উনি চাকরি দিচ্ছেন না। উনি টাকা নিচ্ছেন। যেভাবে চাকরি বিক্রি করেছেন তা ইতিহাসে কখনও হয়নি।” এদিন সন্দেশখালি ইস্যুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “শাহজাহানকে বাঁচাতে মরিয়া মমতা। আদালত বলছে শাহজাহানকে (Seikh Shahjahan) নিয়ে এত তৎপরতা কেন। এটা আগেও হয়েছে। তাঁর যত প্রাণ ভোমরা শাহজাহানের মত লোকেরা যার উপর টিএমসি (TMC) বেঁচে আছে, সরকার দাঁড়িয়ে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত যারা গুন্ডা পুলিশের রাজনীতি করে তাঁরা ভিখারির জায়গায় চলে যাবে। শাহজাহানের টাকা অনেক মন্ত্রীর কাছে গেছে। অনেক এমএলএ, এমপির কাছে গেছে, সরকারের কাছে গেছে, কালীঘাটে গেছে। টাকার কোন সীমা নেই। কতজনকে পাঠিয়েছে তার কোন তালিকা নেই। তদন্তে সব বের হবে। চিন্তা করবেন না।”

    আরও পড়ুনঃ কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে বিপদ! বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে কতটা?

    সংখ্যালঘুদের নিয়ে কী বললেন দিলীপ?

    এদিন সংখ্যালঘু ভোটের ইস্যুতে মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “ওরা সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে ভাবে। আমরা সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভাবি। তাদের বাড়ি, শৌচালয় করে দিয়েছেন মোদি। জল দিয়েছেন, গ্যাস দিয়েছেন, রাস্তা দিয়েছেন, রেশনের চাল দিয়েছেন। তাঁদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জন্য বৃত্তি দিচ্ছেন। কংগ্রেস সিপিএম শুধু ব্যবহার করেছে। ক্রিমিনাল তৈরি করেছে। এবার দিদির সঙ্গে একই ঘটনা ঘটবে। তাঁদের জন্য কেউ কিছু করেনি। শুধু ভোটার বানিয়ে রেখেছে। ওরা সেটা বুঝে গেছে। সেই জন্য ওরা বলছে, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হয়। এবার তারা পদ্মফুলের সঙ্গেই আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share