Tag: bjp

bjp

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার ন‍্যাজাট থানার ভাঙ্গিপাড়ার ঘটনা। ২০১৯ সালের ৬ই জুন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিধানসভার ভাঙ্গিপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভা হয়। সেই সভার শেষে এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডলের ওপর হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের। সেই সঙ্গে নিখোঁজ হন দেবদাস মণ্ডল।

    পুলিশের তদন্ত কোন পথে (Sandeshkhali)?

    সেই সময় থেকে দেবদাস মণ্ডলের (Sandeshkhali) খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর পরিবার ন‍্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ তাঁর সাগরেদদের। পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ যায় এফআইআর থেকে। তারপর দেবদাসের পরিবার দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি পুনরায় এফআইআরের নির্দেশ দেন এবং শেখ শাহজাহান নাম বহাল রাখা হয়। তারপর কেটে গেল পাঁচটি বছর।

    নিঁখোজের স্ত্রী কী বলছেন?

    আদৌ কি ফিরবে দেবদাস মণ্ডল (Sandeshkhali)? নাকি সেই দিনই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর তাঁর দেহ লোপাট করা হয়েছে কোনও মাছের ভেড়িতে। আজও অজানা তাঁর মৃত্যুর রহস্য। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল।

    বর্তমান অবস্থা

    আজও দেবদাসের খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। স্ত্রীর দাবি, স্বামী মৃত অথবা জীবিত ফিরে আসুক ঘরে। বর্তমানে শেখ শাহজাহান রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন। পরিবারের (Sandeshkhali) পক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়েছে, দেবদাসের খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্ত করা হোক। তাহলে আসল রহস্য প্রকাশ্যে আসবে। নিহত প্রদীপ মণ্ডলের পরিবার সেই ঘটনার পর থেকে কোথায় আছে, তা এখনও অনেকের অজানা। নিহত সুকান্ত মণ্ডলের পরিবার বলতে একমাত্র তাঁর মা। তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে আর দেখার কেউ নেই। কষ্ট করে সুন্দর একটি পাকা দালান বাড়ি তৈরি করেছিলেন সুকান্ত। বর্তমানে তাঁর সুন্দর একটি বাড়ি থাকলেও সেই বাড়িতে বসবাস করার মতো আর কেউ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।

    দেবদাস মণ্ডলের পরিবারে বয়স্ক বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবদাস। বর্তমান তাঁর সংসারের  খুবই করুণ দশা। তাঁর বর্তমানে একটি ছোট্ট মেয়ে ও একটি ছোট্ট ছেলে রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা কবে বাড়ি ফিরে আসবে। তাদের মা পথ চেয়ে বসে আছে কবে তাঁর স্বামী ঘরে ফিরবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: স্বাধীনতার পর প্রথম আসছেন কোনও প্রধানমন্ত্রী, জন-সুনামি হবে মোদির সভায়, দাবি বিজেপির

    Narendra Modi: স্বাধীনতার পর প্রথম আসছেন কোনও প্রধানমন্ত্রী, জন-সুনামি হবে মোদির সভায়, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী জনসভা করতে আসছেন রায়গঞ্জে। বিজেপি নেতা, কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি উন্মাদনা তুঙ্গে সাধারণ মানুষেরও। পাড়ায়-পাড়ায়, হাটে-বাজারে, প্রতিটি চায়ের দোকানের আড্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে চর্চা চলছে।

    মোদির সভার প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে (Narendra Modi)

    জানা গিয়েছে, ১৯৮৬ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় সস্ত্রীক এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেই সময়ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছিল। এমনকী ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ও দোকানের ছাদে উঠে সাধারণ মানুষ ভিড় করেছিলেন। একটি ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন একাধিক মানুষ। পথসভা করলেও কোনও প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেননি রায়গঞ্জে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে আগামী ১৬ই এপ্রিল নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সভার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এসপিজি কমান্ডোরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করে, সভাস্থল সহ আসা-যাওয়ার রাস্তা, হেলিপ্যাড এবং গোটা শহরের সার্বিক অবস্থা সমস্তটাই খতিয়ে দেখছেন।

    জন্মের পর প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পাব, বলল রায়গঞ্জবাসী

    ইতিমধ্যে বায়ুসেনার একাধিক MI17 হেলিকপ্টার এসে রায়গঞ্জ স্টেডিয়াম ও মিরুয়ালে অবস্থিত বিএসএফ ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে এসে ট্রায়াল দিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভা ঘিরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। শুধু বিজেপি নেতা-কর্মী নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও চরম উদ্দীপনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে। গণেশ দাস নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা খুব উৎসাহী, প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখতে পাব। জন্মের পর থেকে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীকে রায়গঞ্জে দেখতে পাব।” বাপ্পা সাহা নামে রায়গঞ্জের অপর এক বাসিন্দা বলেন, “এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে সভা করবেন। অবশ্যই দেখতে যাব। আমরা সাধারণ মানুষ খুবই উৎসাহী।” রায়গঞ্জের অপর এক বাসিন্দা তথা ছাত্রী সুস্মিতা দাস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসছেন, আমরা খুবই এক্সাইটেড। খুব ভালো লাগছে যে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসবেন। রায়গঞ্জের উন্নয়ন হোক এটাই চাই।” কৌশিক সরকার নামে এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তো কোনও দলের নয়, প্রধানমন্ত্রী সবার। এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী রায়গঞ্জে আসছেন, অবশ্যই ভালো। সাধুবাদ জানাই।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    জন সুনামি হবে 

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “আগামী কাল লক্ষাধিক মানুষের জন-সুনামি হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ,উদ্দীপনা, রোমাঞ্চ কাজ করছে, তা কল্পনাতীত। আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন বাজারে, দোকানে, প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভাতে আসার নিমন্ত্রণ করতে গিয়ে তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ লক্ষ্য করেছে। আমরা চিন্তায় রয়েছি যে এত লোককে কোথায় জায়গা দেব? তাই সাধারণ মানুষের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, এবং প্রধানমন্ত্রীর সভা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সমস্তটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নন্দীগ্রামে (nandigram) বিভিন্ন প্রকল্পের (government project) লাভ পাওয়া মহিলারা কে কোথায় থাকেন খোঁজ নিতেই শুরু হল বিক্ষোভ। ১০০ দিনের জব কার্ডের (MGNREGA) টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রকাশ মালের ঘোলপুকুর এলাকার বাড়ি ঘেরাও করা হয়। মহিলাদের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। মহিলাদের বিক্ষোভে নন্দীগ্রাম যেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি!

    নন্দীগ্রাম যেন সন্দেশখালি (Nandigram)

    মহিলাদের বিক্ষোভে এযেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি (sandeshkhali) তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া বাড়ির মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। এর পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন এলাকার মহিলারা। সঙ্গে অবশ্য পুরুষরাও ছিলেন। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে নন্দীগ্রামবাসীর। ফলে ভোটের মুখে তৃণমূল আরও চাপে।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) এক ব্যক্তি বলেন, “আমফানের সময় পাঁচটি বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও আমি বিজেপি করি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে তৃণমূলের সভায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের মিটিং মিছিলে গেলে এক লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে গোপনে তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যেতাম। তিনি কিন্তু বরজের ক্ষতির টাকা আজও তিনি পাননি।” স্থানীয় অপর আরেক এক মহিলা অভিযোগের সুরে বলেন, “আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা কিছু পাইনি। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়ে এসেছি। তারপর ফোন করে জিজ্ঞেস করছে কোন বাড়ির মহিলা। আমাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে কেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি নেতার রাজর্ষি লাহিড়ী অভিযোগে করে বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা সন্দেশখালীর প্রাথমিক পর্যায়। আগে কে কোন বাড়ির মহিলা তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর সুন্দরী দেখে তাঁদের প্রথমে দিনের বেলায় মিটিং মিছিল, তারপর রাতে পিঠে বানানোর জন্য ওরা ডাকবে বলে এইসব কাজ করছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে পাল্টা তমলুক তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার (Nandigram) সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে এসব করা হচ্ছে। আবেদন করলে ভেরিফিকেশন করা আগেও হয়েছে। তবে ভেরিফিকেশন কেন প্রশাসনের বদলে রাজনৈতিক দলের তরফে হবে? মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।”

    পার্টি অফিসে তালা

    অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে ময়দানে নামে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপির দাবি, মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরে অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য নিঝাতে তালা ভেঙে দেন। এতদূর তো ঠিক ছিল বিজেপির পতাকা নিজে খুলে ফেলে দেন তিনি। পতাকা ফেলে দেওয়াকে মোটেই ভাল কাজ বলে আখ্যা দেয়নি রাজনৈতিক মহল। সামাজিক মাধ্যমেও পতাকা ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন নেটিজনেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ হতে পারে তাই জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাচ্ছে না, এমন দাবি একাধিক সভায় করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার রীতি মতো তৃণমূলের এই দাবিকে মিথ্যা বলে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন,  ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছিল কমিশন তবে বোকা বানাচ্ছেন মমতা।

    ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরম দিতে নির্দেশ দেয় কমিশন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ির বিধ্বংসী ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা, যারা ঘর বাড়ি-সহ তাঁদের শেষ সহায় সম্বলটুকুও প্রকৃতির রোষে হারিয়েছেন তাঁরা যাতে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান পান, তার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরণ এবং বাড়ি তৈরির আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আদর্শ আচরণ বিধির আওতার বাইরে রেখে অনুমোদন মঞ্জুর করেছেন। শুধু তাই নয় ওই দিনই অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ২০২৪ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়।”

    নিশানায় মমতা ও অভিষেক

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, “অনেক আগেই ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর বাড়ি নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান দিয়ে দেওয়াই যেত, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্র সরকারের নামে মিথ্যাচার করতেই ব্যস্ত। আসলে তাদের উদ্দেশ্য অন্য, তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়িয়ে ভোটের বাজারে নিজেদের লাভের অঙ্ক বাড়িয়ে নিতে চান। সহায় সম্বলহীন, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের এই দুর্দশা এবং কষ্টদায়ক পরিস্থিতির তাদের কাছে কোনও মূল্য নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Basirhat: “বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ দিয়ে মারুন”, প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভাইরাল

    Basirhat: “বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ দিয়ে মারুন”, প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলা রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বুথে বুথে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের। আর শাহজাহানের কীর্তি এবং দুর্নীতি ইস্যুতে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। তাই, এবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Basirhat)

    দলীয় প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলামের সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট (Basirhat) উত্তর বিধানসভার বিবিপুর বেগমপুর তৃণমূলের পক্ষ থেকে পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূলের বিবিপুর বেগমপুরের অঞ্চল সভাপতি মিয়াজুল ইসলাম বাবুয়া। দলীয় সভা থেকে প্রকাশ্যে বলেন, বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ নিয়ে যুব সমাজ তৈরি থাকবেন। মা-বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন। ভোট চাইতে এলেই মা, বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করবেন। আর যুবকরা চেলা কাঠ দিয়ে পেটাবেন। এরপর তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেননি। মুখ্যমন্ত্রী ২ টাকা কিলো চাল সহ সব প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। তাই, বিজেপির কেউ ভোট চাইতে এলেই তাঁদের চেলা কাঠ দিয়ে মারবেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সভার পরে, তাঁকে এই ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বলা উচিত ছিল। যদিও তৃণমূল নেতার বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত দল হচ্ছে তৃণমূল। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই, এখন এই ধরনের হুমকি দিয়ে আমাদের কর্মীদের আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। সামনে ভোটে ওদের উচিত শিক্ষা দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির নববর্ষ। ১৪ এপ্রিল জন্মেছিলেন সংবিধান প্রণেতা তথা দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী বি আর অম্বেডকর। এহেন শুভ দিনেই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি। যার পোশাকি নাম ‘সঙ্কল্পপত্র’। ‘ন্যায়পত্র’ নাম দিয়ে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেসও। তবে সেখানে গালভরা প্রতিশ্রুতি থাকলেও, কীভাবে তা পূরণ হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট দিশা নেই। আর ‘সঙ্কল্পপত্রে’ যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি কীভাবে বাস্তবায়িত করা হবে, সেই মার্গও দর্শানো হয়েছে। বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা ইস্তাহার কমিটির হোতা রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    সঙ্কল্পপত্র (Lok Sabha Elections 2024)

    ‘সঙ্কল্পপত্রে’র প্রথমেই সুনিশ্চিত করা হয়েছে দেশবাসীর খাদ্য নিরাপত্তা। ১১ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “২০২০ সাল থেকে আমরা ৮০ কোটিরও বেশি নাগরিককে নিখরচায় রেশন সামগ্রী বিলি করছি। পিএম গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় আগামী পাঁচ বছরও মুফতে মিলবে রেশন সামগ্রী।” ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে দরিদ্রদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে (Lok Sabha Elections 2024)। এই প্রকল্পে এবার প্রবীণ নাগরিক ও ট্রান্সজেন্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। পিএম আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া হবে প্রতিটি গরিব পরিবারকে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবেন নলবাহিত পানীয় জল। প্রকল্পের নাম ‘হর ঘর নল সে জল’।

    লাখপতি দিদি

    ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় তিন কোটি গ্রামীণ মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৫৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিখরচায় ইন্ড্রাস্ট্রি-ফোকাসড কোর্স করানো হবে। স্বল্প আয়ের পরিবারের লোকজন এতে উপকৃত হবেন। ১৩ পৃষ্ঠায় নয়া-মধ্যবিত্তদের রোজগার বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং যাতে উন্নত হয় সেই সাহায্য করা হবে। গত দশ বছরে সৃষ্টি হয়েছে এই নয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণির।

    আরও পড়ুুন: জট কাটল জয়শঙ্করের ফোনে, আটক ভারতীয় জাহাজিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ইরানের

    রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্র

    রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রকে স্বচ্ছ ও সিটিজেন-ফ্রেন্ডলি করতে রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি অ্যাক্ট ২০১৬-কে (Lok Sabha Elections 2024) আরও পোক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, টু-টায়ার ও থ্রি-টায়ার শহরগুলিতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম প্রসারে সাহায্য করা হবে। খোলা হবে নতুন আইআইটি, এইমস এবং আইআইএমএস। মধ্যবত্তি শ্রেণির মানুষের জীবন যাতে অনায়াস হয়, তাই ব্যবহার করা হবে প্রযুক্তির। জনওষুধি কেন্দ্রের মাধ্যমে যে ভর্তুকিযুক্ত ওষুধ সহবরাহ করা হচ্ছিল, তা চলবে। গড়া হবে নয়া মেডিক্যাল কলেজও। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যাতে আরও বেশি করে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই জন্যই এহেন উদ্যোগ পদ্ম-পার্টির।

    তরুণদের ক্ষমতায়ণ

    দেশের তরুণদের ক্ষমতায়নের দিশা দেখানো হয়েছে ১৮ নম্বর পৃষ্ঠায়। ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া সিড ফান্ড স্কিম’ ও ‘স্টার্টআপ ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমে’ ফান্ডিং বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। মুদ্রা লোন লিমিটের (তরুণ ক্যাটেগরি) পরিমাণ ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। জাতীয় শিক্ষা নীতির ওপরও জোর দিয়েছে বিজেপি। সঙ্কল্পপত্রের ৬০ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শিশুদের উন্নত শিক্ষা দিতে ‘পিএম শ্রী স্কুল’, ‘একলব্য স্কুল’ এবং এই ধরনের অন্যান্য স্কুলগুলিকে বিশ্বমানের গড়ে তোলা হবে। অটোমেটিক পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ‘এক দেশ, এক স্টুডেন্ট আইডি’র ব্যবস্থা করা হবে। ৫৭ পৃষ্ঠায় আরও বেশি করে এইমস এবং মেডিক্যাল কলেজ তৈরি এবং সেগুলিতে পড়ুয়াদের জন্য আসন সংখ্যাও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

    কিষান নিধি

    ‘কিষান নিধি যোজনা’য় কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ধানের মতো প্রধান শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোরও। ভারতকে বিশ্বের নিউট্রিহাবে পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। মিলেট চাষেও উৎসাহ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৩১ নম্বর পৃষ্ঠায় ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। খাদির পুনরুজ্জীবনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। ভারতকে ‘গ্লোবাল টয় হাবে’ পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

    গ্লোবাল লিডার

    ভারতকে ‘গ্লোবাল লিডার’ বানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ৩৫ নম্বর পৃষ্ঠায় (Lok Sabha Elections 2024)। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত যাতে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে, তার চেষ্টাও করা হবে। সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধ জারি থাকবে লড়াই। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। বিশ্বে যোগ এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসা প্রমোট করা হবে। ৪০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় তিন নম্বরে নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার উন্নয়ন, ভারতীয় ম্যানুস্ক্রিপ্টের ডিজিটাইজেশন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি কোষের উন্নয়নে গেরুয়া পার্টির দায়বদ্ধতার কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারের ৩৮ নম্বর পাতায়। এ প্রসঙ্গে ২০১৬-র ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এবং উনিশের ‘এয়ার স্ট্রাইকে’র কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ইমপ্লিমেন্টেশনও নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সিএএ লাগু করতে গিয়ে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পূরণ করা হবে। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে দেশে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ লাগুর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারের ৫৪ পৃষ্ঠায়।

    বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং কবচ ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৬জি প্রযুক্তির বিকাশ, দুলাখ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভারত নেটের আওতায় নিয়ে আসা, হাইস্পিড ইন্টারনেট অ্যাকসেসের সুবিধা দানের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু করতে যে কমিটি গড়া হয়েছিল, তার সুপারিশ বাস্তবায়িত করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    Murshidabad: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীল ষষ্ঠীর (Nil Sasti) পরের দিনই মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। শুধু মন্দির ভাঙচুরই নয়, শিবের স্তুতি করার অপরাধে গাজনে সন্ন্যাস নেওয়া কয়েকজন সন্ন্যাসীর ওপর স্থানীয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। এইসব ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বেলডাঙা থানার কামনগর পঞ্চায়েতের কামনগর গ্রামে গাজনে সন্ন্যাস নেওয়া কয়েকজন গ্রামবাসী টোটোয় চড়ে গ্রামের মন্দিরে (Temple) ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁরা ভগবান শিবের স্তুতি করছিলেন। আর এই অপরাধে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে৷ হামলার ঘটনায় ১৮-২০ জন সন্ন্যাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের অভিযোগ, রীতিমতো মারধর করা হয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে একই দিনে বেলডাঙা, শক্তিপুর, সালার থানা এলাকার কুমারপুর, মির্জাপুর তালিতপুরসহ একাধিক এলাকার মন্দিরে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। কুমারপুরের শিবমন্দিরের (shiv Temple) ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা প্রস্রাব করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    বিজেপি প্রধানের বক্তব্য

    এই ঘটনায় কামনগর (Murshidabad) পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রধান বাপন ঘোষ বলেছেন, “শুধু গাজনের সন্ন্যাসীদের উপর হামলাই নয়, বিজেপি পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে একটা মুদিখানা দোকানে ভাঙচুরও চালায় দুষ্কৃতীরা। থানায় (Police Station) আমরা অভিযোগ দায়ের করব। হিন্দু সমাজের উপর আক্রমণ আমরা মেনে নেব না। 

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত!

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দুর পোস্ট

    এই প্রসঙ্গে মন্দিরে ভাঙচুরের একটি ভিডিও ফুটেজ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত মৌজামপুর ও মির্জাপুরে দুপুর থেকে দুষ্কৃতীরা ধর্মীয় স্থান ভাঙচুর করেছে। এমনকী গুন্ডারা নিরপরাধ মানুষের বাড়িঘর টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি মুখ্যসচিব শ্রী বি পি গোপালিকা (আইএএস), ডিজিপি পুলিশ শ্রীসঞ্জয় মুখার্জি (আইপিএস), এডিজি শ্রী মনোজ কুমার ভার্মাকে (আইপিএস) অনুরোধ করছি, অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উচিত সচেতন হওয়া এবং এলাকায় স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “তৃণমূলের লোক জড়ো করতে মুখ্যমন্ত্রীকে নাচতে হচ্ছে”, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “তৃণমূলের লোক জড়ো করতে মুখ্যমন্ত্রীকে নাচতে হচ্ছে”, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মমতাকে নিশানা করে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার তিনি বর্ধমানের সদরঘাটে যান প্রাতঃভ্রমণে। সেখানে ছট পুজোয় অংশ নেন দামোদরের ঘাটে। চৈত্র ছটে আসা ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন বিজেপি প্রার্থী। তারপর তিনি মাঠে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হাঁটেন। এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ব্যাট হাতে মাঠে ছক্কা হাঁকান।

    মমতাকে তোপ দিলীপের (Dilip Ghosh)

    উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের সঙ্গে নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, তৃণমূলের লোক জড়ো করতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীও নাচতে হচ্ছে, প্রার্থীরাও নাচছেন। রাস্তার ধারে নেচে লোক জড়ো করছেন। আমরা যেখানে যাচ্ছি এমনিতেই লোক জড়ো হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনীতি, ব্যাট, বল, ক্যারাটে সবই করি। তাই আমার সামনে সবাই আসতে ভয় খায়। যত দিন যাচ্ছে তত ফিকে হয়ে যাচ্ছেন কীর্তি আজাদ, কারণ উনি তো রিটায়ার্ড এবং টায়ার্ড ম্যান। উনি এখন বুঝতে পারছেন এখানকার জনতা ওনাকে নিচ্ছেন না, পার্টির লোকেরাই ওনার সঙ্গে বের হচ্ছেন না। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, আমাদের সঙ্গে মানুষ আছে। পঞ্চায়েতে এখানে পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে লুট করা হয়েছে। সামনের পঞ্চায়েতে দেখবেন আমরা ওদের বাড়ি থেকে বের হতে দেব না। আমি তো প্রচারই করিনি। লোকের সঙ্গে দেখা করছি, ক্রিকেট খেলছি। ওরা ঘোড়া নিয়ে আসছে, টাকা খরচ করে। দিলীপ ঘোষ একাই একশো, যতই ওরা এখানে প্রচারে আসুক।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

     তৃণমূলের গুন্ডারা যেখানে সেখানে রাস্তা আটকে টাকা তুলছে

    এদিন বিজেপি প্রার্থী (Dilip Ghosh) বলেন, বুথে আমার শুধু কর্মীরা বসবে না, বুথ সামলাবে। বাইরে থেকে যদি কেউ যায় সে কীভাবে ফিরবে আমরা ঠিক করে দেব। গতবারে বুথে গন্ডগোল হয়নি, বুথের বাইরে হয়েছিল, এবার হতে দেব না। ওদের বলে দেবেন দিলীপ ঘোষ এসে গেছে। আমি যেখানে যাই, সেখানে মূল শুদ্ধ উপরে ফেলি, ওদের বলে দেবেন। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা করে ভোট করি না। সাধারণ মানুষ যাতে ঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন সেজন্য সেন্ট্রাল ফোর্স এসেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ট্রান্সপোর্টের লোকেরা আমাকে বলেছে, আমরা খুব সমস্যার মধ্যে আছি। পুলিশ এবং তৃণমূলের গুন্ডারা যেখানে সেখানে রাস্তা আটকে টাকা তুলছে। মমতাকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কিছুই করেননি, মোদিজি হাইওয়ে করেছেন, চন্দ্রযান করেছেন। উনি করেছেন বলেই আজ উদ্বোধন করছেন। এয়ারপোর্ট, ট্রেন উদ্বোধন করছেন। মমতা টাকা দাও টাকা দাও করে রাস্তায় হাঁটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয়

    Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িতেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের ৭ আত্মীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিরাট থেকে সালাসর বালাজির দর্শন করে ফেরার সময় রাজস্থানের সিকর এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় (Accident) ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সকলেই গাড়ির ভিতরে জীবন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা যান। মৃতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ও দুজন তাঁদের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা সকলেই মিরাট ক্যান্টনমেন্টের বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক সত্যপ্রকাশ অগরওয়ালের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে হল দুর্ঘটনা (Accident)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরাট রোড থেকে এই পরিবার সালাসর বালাজির দর্শন করতে গিয়েছিলেন। দর্শন করার পর পরিবারের সকলে একই গাড়িতে ফেরত আসার সময় সতীমাতার দর্শন করার জন্য হিসার যাচ্ছিলেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সেই সময় সিকর এলাকায় উড়ালপুলে একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় তাঁদের গাড়ি ট্রাকে ধাক্কা মারে। এরপরই গাড়ির সিএনজি ট্যাঙ্ক দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। গাড়ির ভিতরেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে সাতজন মারা (Accident) যান। মারা যাওয়া সকলেই শিবশংকর পুরীর বাসিন্দা। তাঁদের নাম নিলম গোয়েল, মুকেশ গোয়েল, মঞ্জু বিন্দাল, হার্দিক বিন্দাল, স্বাতী বিন্দাল, দিশা ও তাঁর দু বছরের বোন (নাম অজ্ঞাত) বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে হার্দিক বিন্দল প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক প্রকাশ আগরওয়ালের শ্যালক। তাঁরা সকলের প্রাক্তন বিধায়কের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য

    রবিবার দুপুরবেলায় এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী রামনিবাস সৈনি বলেছেন, “দুপুর বেলা ২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি নিজের পিকআপ গাড়ি সার্ভিস করানোর জন্য উড়ালপুলের পাশের একটি সার্ভিস সেন্টারে যাচ্ছিলাম। সেই সময় উড়ালপুলের ওপরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমার পাশ থেকে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। গাড়ি ওভারটেক করার চেষ্টা করে। সেই সময় ট্রাকে ধাক্কা মারে গাড়ি। আমি নিজের গাড়ি সাইড করে দুর্ঘটনাস্থলের (Accident) দিকে দৌড়ে যাই। পিছনে বসে থাকা দুজন ব্যক্তি চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন করছিলেন। সেই সময় গাড়ির পিছনের সিএনজির ট্যাংক থেকে গ্যাস লিক করতে শুরু করে। এর পরে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তাতে পুড়ে মারা যান সকলে। আগুন এতটাই জোরালো ছিল যে গাড়ির দরজা খোলা যায়নি। পুলিশ এসে আগুন নেভায় এবং এরপর গাড়িটিকে ক্রেনের সাহায্যে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায়।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে রাজনাথ সিং, জয় জয়কার মোদির

    মোবাইল থেকে মৃতদেহ শনাক্ত

    ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর এবং সিম কার্ড থেকে মৃতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মোবাইলের সিম কার্ড থেকে পাওয়া তথ্য থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর এই দুর্ঘটনার (Accident) কথা জানানো হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    Narendra Modi: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য জেলায় ভোটপ্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে বুনিয়াদপুরে এবং ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে গঙ্গারামপুরে ভোটপ্রচারে এসেছিলেন। ১৬ এপ্রিল ফের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসছেন প্রধানমনন্ত্রী। বালুরঘাট রেল স্টেশন ময়দানে নরেন্দ্র মোদির সভাকে ঘিরে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।

    মোদির সভাস্থলে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি (Narendra Modi)

    রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদি। জেলার সমস্ত বিধানসভা ক্ষেত্র থেকেই কর্মী-সমর্থকরা আসবেন মোদির এই সভায় যোগ দিতে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদির (Narendra Modi) সভায় এক লক্ষ মানুষের ভিড় হবে। এর আগে ২০১৯ সালে বুনিয়াদপুরে এসেছিলেন সুকান্তর হয়ে ভোট প্রচারে। সেবার ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এবার ভোটের ব্যবধান বাড়াতে বিজেপি নেতৃত্ব কোনওরকম কসুর রাখছেন না। এর আগেই জেলায় সভা করে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বুনিয়াদপুরের সভা করেছেন। এবার নরেন্দ্র মোদির সভা বালুরঘাটে। মোদির সভা মঞ্চ গড়ে তোলার কাজ প্রায় শেষ। চলছে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনীর কুকুর ও মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে তল্লাশি। এছাড়াও সভাস্থলে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এখন থেকেই শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। ইতিমধ্যে সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সভাস্থলের কাজ পুরো খতিয়ে দেখেন। মোদির সভাস্থলে সঞ্চালনার কাজ করবেন একজন আদিবাসী নেত্রী ও একজন আদিবাসী নেতা। সভাস্থলের হেলিপ্যাডে তিনটি পরীক্ষামূলক উড়ান দেয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। বালুরঘাটে নরেন্দ্র মোদির সভাকে কেন্দ্র করে উৎসাহে আছে বালুরঘাট সহ জেলাবাসী।

    আরও পড়ুন: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,”অন্য রাজনৈতিক দলের যেটুকু হাওয়া রয়েছে, ওটুকুই থাকবে। কারণ, আগামীকাল ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বালুরঘাটে সভা করবেন। সভা করে যাওয়ার পর জেলায় বিজেপির যে ঝড় উঠবে, তাতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি লড়াই থেকে ছিটকে যাবে। এই আসনে জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে বিজেপির।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল পাল্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসেও কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share