Tag: bjp

bjp

  • Ram Navami 2024: অর্জুনের গড়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় জনজোয়ার, ব্যাপক উচ্ছ্বাস রাম ভক্তদের

    Ram Navami 2024: অর্জুনের গড়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় জনজোয়ার, ব্যাপক উচ্ছ্বাস রাম ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। বারাকপুর লোকসভার একাধিক বিধানসভায় তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামিয়েছে তৃণমূল। এই আবহে রাম নবমীতে (Ram Navami 2024) কেমন আয়োজন করা হবে তার দিতে তাকিয়েছিলেন সকলে। বুধবার অর্জুনের নেতৃত্বের রাম নবমীর শোভাযাত্রায় ভিড় উপচে পড়ল।

    রামভক্তদের ভিড়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল অবরুদ্ধ হয়ে যায় (Ram Navami 2024)

    বুধবার বিকেলে ভাটপাড়ার আর্য সমাজ মোড় থেকে কাঁকিনাড়া বাজার হয়ে হনুমান মন্দির পর্যন্ত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) মিছিল হয়। সেই মিছিলে আবির খেলা, বাজি ফাটানো, ডিজে বাজতে থাকে। এক দেড় কিলোমিটার পথ ওই মিছিল যেতে সময় নেয় প্রায় ঘণ্টা দুয়েক। রাস্তার দু’ধারে তৃণমূল এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্যাম্প তৈরি করে পানীয় জল, লাড্ডু দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সংখ্যালঘু এলাকার উপর দিয়ে যখন মিছিল যায় অশান্তি এড়াতে ব্যারিকেড করে পুলিশ। বিকেল চারটে থেকে শ্যামনগরে চৌরঙ্গী মোড় থেকে বীজপুর পর্যন্ত পাড়া রোড যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পরে মানুষ। সমস্ত কল্যাণী হাইওয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বিকেলের পরে টিটাগড় এলাকায় রামনবমীর তিনটে মিছিল হয়। গোটা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় এদিন রামনবমীর পুজো হয়। হনুমানজির পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয় গোটা শিল্পাঞ্চলকে।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং?

    বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে ভাটপাড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন বারাকপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। সেই শোভাযাত্রায় রাম ভক্ত অনেকের হাতেই অস্ত্র দেখা গিয়েছে। অস্ত্র হাতে মিছিল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, রাম নবমীতে মানুষের ভিড় প্রমাণ করে দিয়েছে সকলেই রামের সঙ্গেই রয়েছে। তাই, এখন তৃণমূল নেতারা রাম নাম জপছেন। অপরদিকে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, ভাটপাড়ায় এটা আমার প্রথমবার আসা নয়। ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ে এখানকার অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর দাবি, অর্জুন দা মনেপ্রাণে বিজেপিতেই ছিলেন। এদিনের শোভাযাত্রায় হাজির ছিলেন তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রিয়াঙ্গু পান্ডে, প্রাক্তন কাউন্সিলর সোহন প্রসাদ চৌধুরী, মন্নু সাউ প্রমুখ। মিছিলের পেছনে ছিলেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ। তিনি গোটা মিছিলের পেছনে থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, আদালত বলেছে অস্ত্র না নিয়ে মিছিল করতে। আমি বিশ্বাস করি আস্তে আস্তে মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুকে সুকান্তর নেতৃত্বে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল রাম ভক্তদের

    Ram Navami 2024: তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুকে সুকান্তর নেতৃত্বে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল রাম ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বালুরঘাট শহরে রাম নবমী (Ram Navami 2024) উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মিছিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় হাজার দুয়েক রাম ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে নানা রকমের ট্যাবলো নিয়ে শহর পরিদর্শন করেন। এই মিছিলকেই অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই মিছিল শুরু হয় বিজেপি মোড় থেকে এবং সাড়ে তিন নম্বর মোড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফুল ছিটিয়ে মিছিল কে অভ্যর্থনা জানান। অবশ্য এই মিছিলে পা মেলান  বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।

    তৃণমূল প্রার্থীর গড়ে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল করলেন রাম ভক্তরা (Ram Navami 2024)

    পাশাপাশি তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ির এলাকায় রাম নবমী (Ram Navami 2024) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। গঙ্গারামপুরে বাড়ি তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর, আর গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রর ভাই প্রশান্ত মিত্র। সেই গঙ্গারামপুরে রাম নবমীর বিশাল শোভাযাত্রায় হাজারখানেক রাম ভক্তর সঙ্গে পায়ে হেঁটে সামিল হন সুকান্ত মজুমদার। জেলার বুনিয়াদপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, আজ রাম নবমীর দিনে আপনাদেরকে বলছি রামকে ভোট দিন, রাবনকে ভোট দেবেন না।

    রামকে নিয়ে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ভুল বোঝাচ্ছে

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,আজ রামের জন্মদিন। আজকের দিনে সমস্ত সমাজের মানুষ রাম নবমী (Ram Navami 2024) পালন করে ও রামকে শ্রদ্ধা জানান। কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি উস্কানি দিয়ে ভোট ব্যাংকের জন্য এই সব করে। কিন্তু, মানুষ উস্কানিতে পা দেবে না।আজ আমি জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাম নবমীর শোভাযাত্রায় পা মেলালাম। গতবারের রাম নবমীর উদাহরণ তুলে ভোটের আগে বিভাজনের রাজনীতি তৃণমূলের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, রামকে নিয়ে দেশের কারও সমস্যা নেই। কিছু পার্টির নেতাদের সমস্যা আছে। রাম তো এই দেশের আদর্শ। সবাই চেনে রামকে, অন্য ধর্মের মানুষেরা সম্মান করেন রামকে। কিন্তু, কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি কিছু লোককে ভুল বুঝিয়ে রাখতে চায়।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    অসমে উস্কানি দিচ্ছেন মমতা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমে গিয়ে বলেন আপনাদের উপর অত্যাচার হলে আপনারা বাংলায় আসুন এই প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান,এইটা উস্কানিমূলক বক্তব্য। অহমীয়া ও বাঙালিদের মধ্যে একটি গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছে। গন্ডগোল হলে তো বাঙালিরা বিপদে পড়বে। অসমে বাঙালিরা ভালোই আছেন। তারা আমাদের সমস্ত ধরণের সাহায্যে পায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    Ram Navami 2024: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট বড় বালাই। অবশেষে রামকে আঁকড়ে ধরল তৃণমূল। বুধবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) বিজেপি প্রভাবিত রামনবমী মহোৎসব কমিটির মিছিলে বিদায়ী সাংসদ তথা দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী রাজুর বিস্তার সঙ্গে হাঁটলেন দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। রাজু বিস্তা একা নন। সেই মিছিলে ছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমার বিজেপির তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মুর্মু। সবাইকে চমকে দিয়ে সেই মিছিলে পা মেলালেন পাপিয়া ঘোষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় ধসে যাওয়া ভোট ব্যাঙ্ক মেরামতের মরিয়া চেষ্টাতেই এদিন পাপিয়া ঘোষ বিজেপির রাম নবমীর মিছিলে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটল? (Siliguri)

    এদিন সকাল থেকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাম নবমীকে ঘিরে ছিল বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। রামভক্তদের একের পর এক মিছিলে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা শহর। আরএসএস প্রভাবিত রাম নবমী মহোৎসব কমিটির মিছিল তারই একটি। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজু বিস্তা, বিজেপির তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ,  আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মূর্মু। ছিলেন বিজেপির একাধিক নেতা।  শহরের কেন্দ্র স্থল এয়ারভিউ মোড়ে সেই মিছিলেই  পা মেলাতে দেখা গেল দার্জিলিং জেলা( সমতল) তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নির্ণয় রায় সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতাকে। দু’পক্ষকই একে অপরকে উত্তরীয় পরিয়ে, প্রসাদ বিনিময় করেন। বিজেপি বিরোধিতায় এই রামনবমী ও রাম নাম নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম নাম শুনে তাঁকে মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে।  তাই এদিন রাম নামে সব ছুৎমার্গ ভুলে পাপিয়া ঘোষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে হাঁটায় শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিস্মিত হন সাধারণ মানুষ। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের কাছে এটা প্রত্যাশিত। তাদের বক্তব্য, রাম নাম ও রাম নবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের আচরণে তৃণমূলের ভোটেব্যাঙ্কে বড় ধস নেমেছে। ভোটের মুখে রাম নবমী নিয়ে সেই অবস্থান ধরে রাখলে বিপদ বাড়বে। সেটা বুঝতে পেরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এদিন পাপিয়া ঘোষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে রাম নবমীর মিছিলে হাঁটেন।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

     কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ এবারেরও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা পাপিয়া ঘোষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, অবশেষে তৃণমূলের বোধোদয় হয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে রাম নাম ছাড়া সব কিছু অসম্পূর্ণ। ধর্ম নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। এদিন সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছে ভারত দ্রুত রাম রামরাজ্যে পরিনত হতে চলেছে।

     রাম কারও একার নয়, বললেন তৃণমূল নেত্রী

    পাপিয়া ঘোষ বলেন, রাম কারও একার নয়। আমরা হিন্দু, আমরাও রামের ভক্ত। এদিন সকাল থেকে রামের পুজো দিয়েছি। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। তাই রাম নবমীর মিছিলে কে আছে দেখিনি। রামভক্ত হিসেবেই রামনবমীর মিছিলে হেঁটেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chatterjee: “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    Hiran Chatterjee: “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024)। আর এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) পাল্টা জবাব দিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। সম্প্রতি ঘাটালে দেবের (Dev) সমর্থনে প্রচার করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। প্রচার চলাকালীন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এবার অভিষেকের সেই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন হিরণ।

    অভিষেকের বক্তব্য (Hiran Chatterjee)

    গত ৭ এপ্রিল ঘাটালে হিরণের (Hiran Chatterjee) নাম না করেই অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘এখানে যাঁকে বিজেপি (BJP) দাঁড় করিয়েছে, তিনি ছ’-আট মাস আগে আমার দফতরে এসেছিলেন। তৃণমূলে (TMC) ঢোকার জন্য এলেও আমি দরজা বন্ধ করে দিয়েছি।” এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। অভিষেক সেদিন আরও জানিয়েছিলেন, দরকার হলে সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আনবেন তিনি।

    হিরণের পাল্টা বক্তব্য

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই দাবি খারিজ করে বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Hiran Chatterjee) পাল্টা দাবি করে বলেন, “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন। তাই আমি তাঁর দফতরে গিয়েছিলাম। দলকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে গিয়েছিলাম। অভিষেক যেদিন সিসিটিভির ফুটেজ দেবেন, আমি সেদিন সমস্ত প্রমাণ দেব। উনি কত বার আমায় ফোন করেছেন, কেন আমায় ডাকছিলেন, কী কী বলেছেন, সমস্ত রেকর্ড আমার কাছেও আছে। আমাদের পার্টির কিছু নির্দিষ্ট কৌশল আছে। আমরা কিছু জিনিস মেনে চলি। আমরা পাবলিসিটির জন্য ভুলভাল কথা বলি না।”

    আরও পড়ুনঃ অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ‘প্রমাণ’ হাজির করার হুঁশিয়ারি

    উল্লেখ্য, গত বছর একটি ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়, এমনই দাবি করা হয়েছিল। এবারের লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন সেই বিষয়টিই তুলে ধরেন অভিষেক। আর তাঁর পাল্টা জবাব দিয়ে ‘প্রমাণ’ হাজির করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঘাটালের (Ghatal) এই বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে”, মমতাকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন দিলীপ

    Dilip Ghosh: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে”, মমতাকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে।” ফের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশাপাশি মমতার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাবও দিলেন তিনি। একই সঙ্গে  দিলীপ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তৃণমূলকে ফের কড়া আক্রমণ করেন।

    জেলটাই মমতার বৃদ্ধাশ্রম হবে! (Dilip Ghosh)

    বুধবার দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের এবিএস অ্যাকাডেমির মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ফের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার একটি সভা থেকে বলেছিলেন,”আমাকে উদ্দেশ্য করে চোর স্লোগান তোলা হয়। কিন্তু, আমি কারও পয়সায় চা-ও খাই না।” সুযোগ থাকলে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার কথাও তিনি বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারির পাল্টা দিলীপ এদিন বলেন, “সেদিন আপনার চলে গিয়েছে। এবার মানুষ তৃণমূলের নেতাদের প্রকাশ্যে জুতো, ঝাঁটা, লাঠি দেখাচ্ছে। শেষ জীবনে এটাও সহ্য করতে হবে।” এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর জেলযাত্রা মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বললেন, “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাপীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। ৪০ বছর রাজনীতি করার পর কাউকে যদি চোর স্লোগান শুনতে হয়, তাঁর সন্ন্যাস নিয়ে নেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    টাকা নিয়ে ঘুরলেই গাড়িতে তল্লাশি হবে

    এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় দিলীপ ঘোষকে। রাম নবমী নিয়ে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন,  “৫০০ বছর রামলালা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তারপর এবার প্রথম রাম নবমী। তাই, সারা বিশ্বের হিন্দু সমাজ এই দিনটিকে বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করছে। রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে।” আর গাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টাকা নিয়ে ঘুরলেই তাঁর গাড়িতে তল্লাশি হবে। এখন দিলীপ ঘোষের গাড়িতে তল্লাশি করেও কোনও লাভ নেই। কারণ, কিছুই পাবে না। তবে, যার গাড়িতে টাকা থাকবে তার গাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভক্তিতে নয়, ভয়ে এসব করছে”, রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভক্তিতে নয়, ভয়ে এসব করছে”, রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র রাম নবমীর পুণ্যতিথি উপলক্ষে বাসন্তীতে শোভাযাত্রায় যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি এসে পৌঁছান বাসন্তী বাজার এলাকায়। সেখানে হরি মন্দিরে পুজো দিয়ে শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। আর মিছিলে যোগ দিয়েই রাজ্যে রাম নবমীর ছুটির প্রসঙ্গে তোপ দাগেন তৃণমূলকে (TMC)।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    রাম নবমীর দিনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্য সরকারের সুমতি হয়েছে, তাই এই প্রথম রাম নবমীতে ছুটি দিয়েছে। ওরা বাধ্য হয়ে এসব করছে। এসব ভক্তিতে নয়, ভয়ে। ভালো লাগছে, জাগরণ হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এবছর প্রথম রাম নবমীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটির তালিকা দেওয়া ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে যেহেতু রাম নবমীর দিন ছুটি দেওয়া হল, তাই অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

    ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত বাসন্তী

    উল্লেখ্য বাসন্তীর (Basanti) মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যোগ দিতেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা বাসন্তী বাজার চত্বর। শত শত মানুষ যোগ দেন সেই মিছিলে। আর মিছিল পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্য পুলিশ সহ কেন্দ্রিয় বাহিনীর (CRPF) জওয়ানরাও। তবে শুধু বাসন্তীতেই নয়, বুধবার সকাল থেকেই চলছে শুভেন্দুর রাম নবমী উদযাপন। সকালেই বিরোধী দলনেতার দেখা মিলেছিল ইকো পার্কে (Eco Park)। রামের কপালে ফোঁটা দিয়ে পুজো সেরেছেন বিরোধী দলনেতা। পুজোর পর শুরু হয় শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। আর রাম নবমীর (Ram Navami) এই মিছিল দেখতে রাস্তায় উপচে পড়েছিল সাধারণের ভিড়।

    আরও পড়ুনঃ অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট (Lok sabha vote 2024)। আর তার ঠিক আগে রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রাম নবমী (Ram Navami)। সকাল থেকে দিকে দিকে ভক্তরা মেতে উঠেছেন রাম নবমী উদযাপনে। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট, বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল। সেই অনুমতি পেয়েই দিকে দিকে শুরু হয়েছে রাম নবমীর মিছিল। আর এবার সেই মিছিল থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar), জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সঙ্গে প্রথম দফায় কোচবিহারেও (Cooch Behar) ভোটগ্রহণ হবে। শুক্রবার নির্বাচনের আগে বুধবার ছিল শেষ প্রচার। এর মাঝেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) যাতে তাঁর বুথের বাইরে না যেতে দেওয়া হয়, সেই দাবি জানালেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, “উদয়ন গুহ আমার ওপর দুবার হামলা করেছেন। গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন বলে কমিশনে চিঠি দিলাম।”

    ভোটের দিনে অশান্তি আটকাতেই চিঠি (Cooch Behar)

    প্রসঙ্গত কোচবিহারে (Cooch Behar) নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিক মুখোমুখি হয়েছেন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। দুই দলের কর্মীরা একে অপরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। প্রচার চলাকালীন এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিশীথ। তাঁর মতে ভোটের দিন অশান্তি পাকাতে পারেন উদয়ন গুহ। ইতিমধ্যেই তিনি পরিকল্পনা শুরু করেছেন। ভোটের দিন অশান্তি আটকাতেই আগেভাগে কমিশনকে জানিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রসঙ্গত বুধবার সকালে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী নিজের বাসভবনে বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

    হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী উদয়ন (Cooch Behar)

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পর্যবেক্ষক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছেও উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন নিশীথ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, “উদয়নের (Cooch Behar) বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। এমনকী ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও রয়েছে।” ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে তিনি বিজেপি কর্মীদের যে দুর্গতি করেছিলেন, সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। ভোট পরবর্তী সময়ে উদয়ন এলাকায় হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী ছিলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছিল সেখানেও উদয়ন গুহর নাম রয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন নিশীথ।

    আরও পড়ুনঃ আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    উদয়নের বক্তব্য

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ পাল্টা বলেন, “ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ভোটে জিততে পারবে না। সেটা বুঝতে পেরে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবদার করেছে। খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচবার চেষ্টা করছে। সে কারণেই বলছি আমাকে ঘরবন্দি করে রাখা হোক। নির্বাচন কমিশন আমাকে ঘরবন্দি করে রাখলেও তৃণমূল এখানে জয়ী হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ। জয় শ্রীরাম বলার জন্য কনভয় থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরে এক যুবকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই তৃণমূল দলের নেতাদের গলায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি। সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিন তৃণমূলের নেতাদের রাম নাম জপতে দেখে বালুরঘাটবাসী হাসাহাসি করছেন।

    তৃণমূল নেতাদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান (Ram Navami 2024)

    বুধবার সকাল সকাল গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে বালুরঘাট পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, এমসিআইসি বিপুল ঘোষ এবং টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল রাম নবমীর (Ram Navami 2024)  মিছিলে হাঁটেন। শহরের মানুষ সকালে এই দৃশ্য দেখে কিছুটা চমকে ওঠেন। অনেককে বলতে শোনা যায়, ভেবেছিলাম তৃণমূল নেতারা দল বদল করল না তো। পরে, দেখি তৃণমূলে থেকেই রাম নাম জপছেন। কারণ, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি সাধারণত বিজেপি  কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়। আজ রাম নবমী উপলক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের বালুরঘাট শহরের শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় এবং মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেখে অবাক বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    ভূতের মুখে রাম নাম, কটাক্ষ সুকান্তর

    রাম নবমী উপলক্ষে রাম নবমী উদযাপন কমিটির মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিল থেকে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তৃণমূলের এ হেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বেড়াল ঠেলায় না পড়লে গাছে ওঠে না। আগে রাম নবমীতে ছুটি ছিল না। এখন তৃণমূল নেত্রী রাম নবমীতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এই বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় মাদার টেরেসার মূর্তি বসিয়ে এলাকার নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আজ তারাই রাম নাম বলছে। এটা কিছুটা ভূতের মুখে রাম নামের মতো শুনতে লাগলেও লক্ষণ ভালো।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এটা তৃণমূলের কোনও শোভাযাত্রা না। এই শোভাযাত্রাটা সাধারণ মানুষ করেছিল, সেখানে তৃণমূলের কিছু নেতা হেঁটেছেন। জয় শ্রীরাম তাঁরা বলেননি। তৃণমূল এর সঙ্গে যুক্ত নয়। মানুষ এর উত্তর ভোটের ব্যালট বক্সে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: “দলীয় প্রার্থীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হল”, বললেন বিজেপি নেতা

    Jhargram: “দলীয় প্রার্থীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হল”, বললেন বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বিজেপি প্রার্থীর কনভয় থামিয়ে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া অঞ্চলের কাঠুয়াপালে ওই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রথমে তাঁকে সাঁকরাইলের ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে রেফার করা হয়। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jhargram)

    মঙ্গলবার সাঁকরাইল ব্লকের (Jhargram) বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ছিল বিজেপি প্রার্থীর। দুপুরে রোহিণী মন্দিরে পুজো দিয়ে কাঠুয়াপাল গ্রামে যাচ্ছিলেন প্রণত। সেখানে এক কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার আয়োজন ছিল। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ফাটানো হয়। এরপরই তৃণমূলের রগড়া অঞ্চল সভাপতি পঞ্চানন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন তেড়ে এসে প্রণতের গাড়ি থামান বলে দাবি। তাঁর সঙ্গী, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায়ের দাবি, “আচমকা তৃণমূলের পতাকা নিয়ে কিছু লোক প্রার্থীর কনভয় থামিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। ওই পথ দিয়ে যাওয়া চলবে না বলে ফতোয়া দেয়। এরপর প্রণতবাবুকে কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল, চড়, ঘুসি মারা হয়। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হল। তাঁর বুকে আঘাত করা হয়।” বিজেপি কর্মীরা প্রণতকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তাঁদের লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ইটের আঘাতে এক পুলিশকর্মী জখম হন। জয়ন্তের অভিযোগ, “তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। যে কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা ছিল, সেখানেও তৃণমূলের লোকজন বাধা দেয়।” প্রতিবাদে কাঠুয়াপালের রাস্তায় কিছুক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। পরে, সাঁকরাইল থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথা মোড় সহ একাধিক জায়গায় অবরোধ চলে। রাতে সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাত। অভিযোগপত্রে তুফান জানিয়েছেন, হামলাকারীরা প্রণতকে জাত তুলে গালিগালাজ করেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের রগড়া অঞ্চল সভাপতি পঞ্চানন দাস বলেন, “ওই এলাকায় ওদের পতাকা ধরার লোক নেই। বাইরের লোকজন নিয়ে অশান্তি করেছে।’ জেলা তৃণমূলের সধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, এলাকায় বিজেপির কোনও চিহ্ন নেই। ভোট পাবে না বলে এসব নাটক করেছেন প্রার্থী। যাতে প্রচারের আলোয় আসেন।

    জেলা প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলছেন, “ঘটনাটি জেনে ওই এলাকায় ফ্লাইং সার্ভিলেন্স স্কোয়াড পাঠানো হয়। পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।” তবে ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share