Tag: bjp

bjp

  • Narendra Modi: মোদিকে দেখতে জনজোয়ার, মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

    Narendra Modi: মোদিকে দেখতে জনজোয়ার, মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসলেন, দেখলেন, সকলের মন জয় করলেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ময়নাতলিতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ছিল। তাঁর জনসভাকে কেন্দ্র করে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল ময়নাতলির মাঠ। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষা ছিলেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো (Narendra Modi)

    সভায় উপস্থিত মানুষের মধ্যে একটা বিরাট অংশ দখল করেছিলেন মহিলারা। কেউ মোদির (Narendra Modi) ছবি নিয়ে, তো কেউ আবার দলীয় প্রতীক নিয়ে এসেছিলেন। শুধু তাঁকে একবার দেখার জন্য তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ এদিন সকাল থেকেই সভাস্থলে ভিড় জমাতে থাকেন। বেলা যত বেড়েছে, ভিড় তত বেডেছে। একটা সময় সাধারণ মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। বেলা তিনটে নাগাদ নরেন্দ্র মোদি সভাস্থলে এসে পোঁছান। আর তিনি সভা মঞ্চে পৌঁছতেই সভায় উপস্থিত সকলেই “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি এবং “মোদিজি জিন্দাবাদ” ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। মোদিও তাঁদের সকলকে প্রনাম জানিয়েছেন। প্রায় দুলক্ষ মানুষের ভিড়ে ঠাসা সভাস্থলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই তিনি বার্ণিশের ঝড়ে মৃত পরিবারগুলির প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান। এরপর তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বেশ কিছু দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। প্রথমেই সন্দেশখালির ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ধরনের জঘন্য কাজ যারা ঘটিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মোদির ভাষণ শুনতে জাতীয় সড়কে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন

    প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) সামনে থেকে দেখার জন্য বক্তব্যের মাঝেই মাঠের বেরিকেড ভেঙ্গে প্রচুর মানুষ সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। তাদের সামলাতে পুলিশকে বেশ নাকাল হতে হয়। মানুষের উচ্ছ্বাস এমন জায়গায় পৌঁছায় যে পুলিশ তাদের ঢোকার বিষয়টিতে হাল ছেড়ে দেয়। কাতারে কাতারে মানুষ সভাস্থলে প্রবেশ করে যা সামলানো পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি। একদিকে সভাস্থল অন্যদিকে সভাস্থলের পাশে জাতীয় সড়কে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন মোদির ভাষণ শোনার জন্য। প্রায় আধ ঘণ্টা মোদি তাঁর বক্তব্য রাখেন। তার বক্তৃতা চলাকালীন  কিছু প্রশ্ন তিনি সভায় আসা মানুষদের দিকে ছুড়ে দেন। যেমন সন্দেশখালির অপরাধীদের শাস্তি হওয়া উচিৎ কিনা? তার প্রত্যুত্তরে সভায় উপস্থিত মহিলারা বলেন দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিৎ। দলের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জেতানোর আহ্বান জানালে সভায় উপস্থিত দলের নেতা কর্মী সকলে সমস্বরে সম্মতি জানান তাঁরা। প্রায় আধঘন্টা বক্তব্য জুড়েই ছিল রাজ্য সরকারের অসহযোগীতার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন জানালেন মোদি

    Narendra Modi: নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:“এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার।” রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির জনসভা থেকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন মোদি। সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে মিনি টর্নেডো হয়ে গিয়েছে। একাধিক প্রাণহানির খবর এসেছে। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মোদি। তিনি বলেন, ‘ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাঁরা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’

    প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন (Narendra Modi)

    এদিন দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁচ্ছে দিতে চাই। আর তৃণমূল বলছে, ওদের কাছে টাকা দিতে হবে। ওরা টাকা লুট করবে। আমরা এটা তো মেনে নেব না। এই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করেছে। রেশনে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আমি পরামর্শ নিচ্ছি, কী ভাবে ওই টাকা বঞ্চিতদের ফেরত দেওয়া যায়। শিক্ষকের চাকরির জন্য গরিব মানুষেরা টাকা দিয়েছেন। আমি ওঁদের টাকা ফেরত দেব।” এরপর তিনি জনগনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি। প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করতে হবে। প্রতিটি বুথে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিন। কোনও ভয় পাবেন না।”

    আরও পড়ুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    চা শিল্প নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    উত্তরবঙ্গে চা শিল্প নষ্ট হওয়ার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড়় করান প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে ছোট-বড় তৃণমূল নেতারা বাংলোয় থাকেন। আর চা শ্রমিকদের কোনও সুবিধা নেই। এই তৃণমূলের জমানায় একের পর এক চা কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন,সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার বিশ্বাস জিতে, সবার উন্নয়ন করাই বিজেপির লক্ষ্য। এটাই তো বিকশিত ভারতের সংকল্প। এই সংকল্পের জন্য আজ প্রত্যেক ভারতীয় সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের জন্য আমার প্রতি মুহূর্ত দেশের জন্য সঁপে দিয়েছি। সেই জন্য আমি সর্বক্ষণ ২০৪৭ সালের কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, বিজেপি সরকার জি-২০-র বৈঠকের জন্য উত্তরবঙ্গকে এই কারণেই বেছে নিয়েছিল, যাতে এই এলাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জায়গা পেয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এখানে চওড়া রাস্তা বানাচ্ছে, রেল যোগাযোগ উন্নত করছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্যও জোরকদমে কাজ চলছে। এই সব উদ্যোগের মধ্য দিয়েই নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও”, রাহুলকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন স্মৃতি

    Lok Sabha Elections 2024: “হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও”, রাহুলকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার এই কণ্ঠস্বর যদি রাহুল গান্ধীর কাছ পর্যন্ত পৌঁছায়, তাহলে আমি তাঁকে বলতে চাই, তাঁর মতো অনেকে এলেন, গেলেনও, হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও।” চেন্নাইয়ের এক জনসভায় (Lok Sabha Elections 2024) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

    রাহুলকে তোপ স্মৃতির

    শনিবার ভেপ্পারি জেলার ওয়াইএমসিএ অডিটোরিয়ামে বিজেপি প্রার্থী বিনয় পি সেলভামের সমর্থনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই তোপ দাগেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের তাৎপর্যের বিষয়েও এদিন জোর দেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। স্মৃতি বলেন, “এই দেশে অনেক রাজ্য রয়েছে, যেখানে ইন্ডি জোটের শরিকরা জয় শ্রী রাম বলার জন্য মানুষকে হত্যা করেছে। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে এবং কেরলে। আর আজ? আমাদের সব চেয়ে বড় সৌভাগ্য হল, আমরা ভগবান রামের পায়ে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে রয়েছি। মন্দির করে নির্মাণ হবে, তা বলা হয়েছিল, মন্দির নির্মাণ হয়েছে।

    রামের মহিমা

    ভগবান রামের মহিমাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যাঁরা এক সময় রামের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলতেন, তাঁদেরও আজ ভগবান রাম ডাকছেন। রামের নেতৃত্ব নিয়েও তাঁদের ঔদ্ধত্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।” প্রসঙ্গত, (Lok Sabha Elections 2024) চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দ্বারোদ্ঘাটন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এদিনই প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয় রামলালার।

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মোদির নিশানাতেও রাহুল

    এদিকে, শনিবার রাজস্থানের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “কংগ্রেস অযোধ্যায় রাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল। কংগ্রেসের একজন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় তাঁকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে। তাতে আপনারা খুশি হয়েছেন না হননি? প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছিল। এটা কী ঠিক হয়েছিল? কেবল এটাই নয়, কেউ যদি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যায়, তাকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করা হবে! এদেশে এমনটা ঘটতে পারে? ভগরাম রাম ছাড়া এ দেশের অস্তিত্ব আপনি ভাবতে পারেন (Lok Sabha Elections 2024)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    Narendra Modi: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের আইন এবং সংবিধানকে তছনছ করছে তৃণমূল।”রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে  বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা ছিল। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একথা বলেন। একইসঙ্গে সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে এনআইএ-এর ওপর হামলর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন কেন বার বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর তৃণমূল এভাবে হামলা চালাচ্ছে তা তিনি ব্যাখ্যা দিলেন।

    তোলাবাজদের বাঁচাচ্ছে তৃণমূল (Narendra Modi)

    দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এদিন বলেন, রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এই তোলাবাজদের বাঁচাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তৃণমূল চায় ওদের গুন্ডাদের সন্ত্রাস করার লাইসেন্স মিলুক। তদন্তকারীরা তদন্ত করতে গেলে ওদের ওপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা করায়। আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে আপনারা দেখেছেন, কী হয়েছে এখানে প্রত্যেক ঘটনায় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সন্দেশখালিতে মা, বোনেদের সঙ্গে যা হয়েছে তা সকলেই জানেন। আপনারাই বলুন, সন্দেশখালির অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। ধৃতদের সারা জীবন জেলে কাটানো উচিত নয়?

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ভূপতিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে শনিবার ওই এলাকায় যায় এনআইএ। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তোলার পরেই এনআইএর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। শনিবারই ভূপতিনগর থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। তবে সেই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এর আগে একইভাবে ইডি-র ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তিনজন আধিকারিক জখম হয়েছিলেন। ফলে, বার বার তৃণমূলের বাহিনীর হাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা চালানোর ঘটনা প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ভালোভাবে নেননি তা এদিন তাঁর বক্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন তাঁর বক্তব্যে বেশিরভাগ সময় তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত নয়, পাকিস্তানে নির্বাচনের জন্য ইস্তাহার তৈরি করেছে কংগ্রেস।” শনিবার গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্তকে পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বোঝার ক্ষমতা নেই হিমন্তর। এদিন কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা তোষণের রাজনীতি। এই ইস্তাহার দেখে মনে হচ্ছে, এটা ভারতের জন্য নয়, পাকিস্তানের নির্বাচনের জন্য করা হয়েছে।”

    কী বললেন হিমন্ত? (Lok Sabha Elections 2024)

    তিনি বলেন, “দেশে কোনও ব্যক্তি তিনি হিন্দুই হোন বা মুসলমান, কেউই তিন তালাক ফিরিয়ে আনতে চান না। বাল্যবিবাহ বা বহুগামিতাও সমর্থন করেন না। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এরা সমাজকে বিভক্ত করে দেবে।” হিমন্তর আগে এদিন (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের ইস্তাহারকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছিলেন, “ইস্তাহারে গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যা কথা বলে কংগ্রেস নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। প্রতিটি পাতায় ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে। স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের ভাবনার প্রতিফলন রয়েছে এই ইস্তাহারে। এখানে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের চিন্তাধারার প্রতিফলনও ঘটেছে।”

    ‘অসমের সব আসনেই জয়ী হবে বিজেপি’

    অসমে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সব ক’টিতেই বিজেপি জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। তিনি বলেন, “বিজেপি একটি আন্দোলনের রূপ ধারণ করেছে, যা দেশকে বিশ্বগুরু করে তুলবে।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। বিজেপি দেশের জন্য কাজ করেছে। দেশ আমাদের ধর্ম। আমি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    এদিকে, এদিনই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সব প্রতিশ্রুতির কিছুটাও যদি তারা পূরণ করতে পারত, তাহলে ভারত আজ আরও শক্তিশালী দেশ হত। আমাদের ইস্তাহারপত্র দেখুন। ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলে এসেছি। সেই সময় থেকে বিরোধীরা মন্দির তৈরির তারিখ নিয়ে কটাক্ষ ভরা প্রশ্ন করত। তবে এখন অযোধ্যার মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন (Lok Sabha Elections 2024) রামলালা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

  • Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। আর এ নিয়েই বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের অনুগামীদের সঙ্গে শুরু হয় তৃণমূলের একাংশের কোন্দল। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই জাকিরের তৈরি করা নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন বাইরন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    জোর করে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না (Murshidabad)

    তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে সাগরদিঘির বিধায়কের লড়াই দীর্ঘ দিনের। বস্তুত, বিড়ি ব্যবসায় দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক ময়দানেও। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন জাকির। সেই কমিটি ভেঙে দেন বিধায়ক বাইরন। এই প্রসঙ্গে বাইরন বলেন, “সাগরদিঘিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য পৃথক কমিটি, কনভেনার, পর্যবেক্ষকের পদ তৈরি করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে জেলার অন্য বিধানসভার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা খলিলুর রহমানের হয়ে ‘খাটবেন’, তাঁদের নিয়ে কমিটি তৈরি করব। জোর করে বাইরে থেকে কেউ কিছু চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না।” জাকিরের নাম না করে তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অন্য এক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জোর করে কোনও কমিটি তৈরি করে দেবে, আর আমরা বসে বসে দেখব, এটা হতে পারে না। পাশাপাশি তৃণমূলের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমানকে সর্বাধিক ভোটে জয়যুক্ত করব।”

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    জাকির কী সাফাই দিলেন?

    বাইরনের নির্বাচন কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালোভাবে মেনে নেননি জাকির। তিনি বলেন, “আমি একক সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও কমিটি করিনি। দল যেটা অনুমোদন করেছে, সেটাই হয়েছে। কে মানবে, কে মানবে না সেটা দল দেখবে।”

    কটাক্ষ করেছে বিজেপি

    বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “ভাগের বখরা নিয়ে টানাটানি হলে তৃণমূলের মধ্যে একটু গুঁতোগুঁতি হয়, এটা আমরা সব জায়গাতেই দেখছি। সাগরদিঘিও তার ব্যতিক্রম নয়। তৃণমূলের ওপর মানুষের আস্থা নেই। কয়েকদিন আগে অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ঘেরাওয়ের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Locket Chatterjee: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে এবার বাঁশবেড়িয়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেনপুকুর এলাকায় লকেটকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে। হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর এসবই হয়েছে তৃণমূলের মদতে। ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও জানানো হয়েছে।   যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Locket Chatterjee)

    ২০১৯ সালে হুগলি আসন বিজেপির কাছে হেরেছে তৃণমূল। এবারও বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee) এই লোকসভায় প্রার্থী করেছে। জনসংযোগে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে লকেট। এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহের মধ্যে শনিবার রাতে বাঁশবেড়িয়ার সেনপুকুর এলাকায় কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন এখানকার বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সেরে ফেরার সময় তাঁর ওপর হামলা হয়। গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সপ্তগ্রামের বাঁশবেড়িয়ায় কালীতলায় যাই। কালীপুজোয় গিয়েছিলাম। ফেরার সময় গাড়িতে উঠেই দেখি কিছু লোক হাতে তাঁদের বাঁশ। তাতে কালো পতাকা লাগানো। তাঁরা আসছেন। অশ্রাব্য কথা, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন। আমার গাড়ি ঘিরে গাড়িতে মারতে থাকে। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের বোঝাতে গেলেও শোনেননি। আমি ভিডিও করছি বলে ওরা আরও বেশি করে করছে। এরপর ভিডিওটা বন্ধ করে দিই। আমার সিটের পাশের কাচ ভাঙার চেষ্টা হয়েছে, একজন গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করেন। ড্রাইভার ধাক্কা দিয়ে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন। আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে, বাঁশবেড়িয়ার উপ পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এসব হয়েছে। একজন প্রার্থীর যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে ভোটারদের কী অবস্থা!” অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার তিনি আবেদন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কী বললেন?

    বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে। কারণ, তারা জানে মমতার পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত যে এবারও ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বাঁশবেড়িয়ার উপপুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, কিছু লোক কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন। আমি তাঁদের সরাতে গেলে লকেটের (Locket Chatterjee) নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে ধাক্কা দেন। তাতে আমার আঘাত লাগে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মোদিই আমাদের রক্ষাকর্তা, ভোটটা তাঁকেই দেব”, বলছেন উত্তরপ্রদেশের হিন্দু শরণার্থীরা

    PM Modi: “মোদিই আমাদের রক্ষাকর্তা, ভোটটা তাঁকেই দেব”, বলছেন উত্তরপ্রদেশের হিন্দু শরণার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের হয়ে কেউ কথা বলে না।” কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের তেরাই অঞ্চলের বাঙালি উদ্বাস্তুরা। এখানকার (PM Modi) ২৩টি গ্রামে রয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার বাঙালি উদ্বাস্ত। যদিও সংখ্যাটা এক লাখের কাছাকাছি বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের।

    পিলভিটে আশ্রয়

    এঁদের অনেকেই পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) থেকে চলে এসেছেন ভারতে। এঁদের মধ্যে অনেকেই ফিরে গিয়েছেন। বাকিরা ছিলেন উদ্বাস্তু শিবিরে। এঁদের মধ্যে অনেকেই উধম সিংহ নগর ও পিলভিটে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যদিও তাঁরা কেউই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাননি। ২০১৩ সালে পিলভিট থেকে জয়ী হয়েছিলেন বরুণ গান্ধী। তিনি জানান, তাঁর ঠাকুমা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অত্যাচারিত হিন্দুদের ইনস্ট্যান্ট নাগরিকত্ব দিয়ে ভারতে নিয়ে আসেন। তার পরেও পূর্ববঙ্গ থেকে অনেকেই অবৈধভাবে এসেছেন ভারতে।

    সিএএ

    সম্প্রতি দেশে সিএএ লাগু করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই (PM Modi) আইন এঁদের অনেকের কাছেই আশীর্বাদ স্বরূপ। তাই এই শরণার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা এবার ভোট দেবেন বিজেপিকে। পিলভিটের নেওরিয়া, গাবিয়া, রামনগর এবং রামপুরিয়াকে ‘মিনি বেঙ্গল’ বলে ডাকেন স্থানীয়রা। সিএএ লাগু হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এঁদের কাগজপত্র নিয়ে প্রস্তুত হতে বলেছে। উত্তরপ্রদেশের ১৯টি জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন এঁরা। এঁদের মধ্যে ৩৭ হাজারই থাকেন পিলভিটে।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ভাবনা”, তোপ মোদির

    বিজেপির প্রতি সামান্য হলেও, ক্ষোভ রয়েছে এঁদের। কারণ পিলভিট থেকে পদ্ম চিহ্নে জয়ী হয়েছেন বরুণ ও তাঁর মা মানেকা। তাঁরা পিলভিটের প্রতি তেমন নজর দেননি বলে অভিযোগ। তবে তাতেও খুব একটা সমস্যা হবে না পদ্ম শিবিরের। কারণ এঁদের সিংহভাগই রয়েছেন বিজেপির সঙ্গে। তাঁরা জানান, মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১২ সালে এখানে এসেছিলেন প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। তার পরেও পিলভিট থেকে গিয়েছে পিলভিটেই। এবার তাই হাত উপুড় করে বিজেপিকে ভোট দিতে চাইছেন এঁরা। কারণ সিএএ। স্থানীয় এক প্রবীণ বলেন, “তবুও আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপিকেই ভোটটা দেব। আমাদের প্রতিটি ভোটই পড়বে পদ্ম ঝুলিতে। কারণ কেউই আমাদের হয়ে কথা বলেননি। ইন্দিরা গান্ধী সাহায্য করার পরে আমরা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরি কিংবা স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব আর আমাদের গুরুত্ব দেয়নি।”

    সিএএ চালু হওয়ায় খুশি এঁরা। তাঁরা বলেন, “আমরা এই ইস্যুটিকেই সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিভিন্ন দলের এই এলাকার অনেক নেতা আমাদের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। তবে তাতে চিঁড়ে ভিজবে না। আমরা বিজেপিকেই ভোট দেব। আমরা মোদিজি ও যোগীবাবাকে সমর্থন করি। মোদিজিই আমাদের (PM Modi) রক্ষাকর্তা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ভাবনা”, তোপ মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ভাবনা”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেস। তাতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। শনিবার উত্তরপ্রদেশের সাহরানপুরের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসের সেই ইস্তাহারকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ‘মুসলিম লিগের ভাবনা’

    তিনি বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মুসলিম লিগের যে ভাবনা ছিল, সেই ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে। কংগ্রেসের ইস্তাহারে সম্পূর্ণভাবে মুসলিম লিগের ছাপ রয়ে গিয়েছে।” সাহারানপুরের ওই সভায় কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেস যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে, তাতে এটাই প্রমাণ হয় যে আজকের দিনে ভারতের আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে কংগ্রেসের দূর-দুরান্তেও কোনও যোগ নেই। বর্তমানে ভারতের আশা-আকাঙ্খার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কংগ্রেস।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুসলিম লিগের ভাবনায় পুষ্ট এই ইস্তাহারে যে অংশটুকু বাকি রয়েছে, সেখানেও সম্পূর্ণভাবে বামপন্থী ভাবনার প্রভাব রয়েছে।” তিনি বলেন, “দূর-দুরান্ত পর্যন্ত এখানে কোথাও কংগ্রেসকে দেখা যাচ্ছে না। একবিংশ শতাব্দীতে এসে এই কংগ্রেস ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের ইস্তাহার দেখলে বুঝতে পারবেন, তারা দেশকে একশো বছর পিছিয়ে দেবে। নারীশক্তিকে কোনওদিন গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর থেকে মহিলারা কষ্ট করেছেন। কংগ্রেসকে কি শাস্তি দেওয়া উচিত নয়?”

    আরও পড়ুুন: “শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে গুন্ডামির”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের

    বিজেপি সরকারের একাধিক জনদরদি প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমাদের সাহসী মেয়েরা সেনায় যোগ দিতে পারেন। তাঁদের জন্য সৈনিক স্কুলের দরজা খুলে দিয়েছি। মহিলাদের ছ’মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ঘোষণা করেছি। সংসদে মহিলাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থাও হয়েছে। গ্রামের মহিলারা সাইকেল চালাতে পারতেন না, তাঁরা এখন ড্রোন চালান। ইসরোর প্রকল্পও সামলাচ্ছেন মহিলারা। আপনারা ভাবতে পারেন, অনেক করেছি। বিশ্বাস করুন, এটা ট্রেলার। আরও কাজ হবে। আপনাদের স্বপ্নপূরণের জন্য আমি দায়বদ্ধ। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Siliguri: সরকারি হলে দলীয় প্রচার তৃণমূলের, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    Siliguri: সরকারি হলে দলীয় প্রচার তৃণমূলের, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি। শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের লেকচার থিয়েটার হলে তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমিতির সাংগঠনিক সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে দার্জিলিং আসনের তৃণমূল প্রার্থী গোলাম লামার সঙ্গে সকলের পরিচয় করানো হয়। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন নেতারা বক্তব্য রাখেন। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব মূল বক্তা ছিলেন। মেডিক্যাল কলেজের মতো সরাকারি জায়গায় এধরনের অনুষ্ঠানকে নির্বাচন বিধি ভেঙে করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

     রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দলীয় প্রচারে নামার নির্দেশ গৌতমের (Siliguri)

    রাজনৈতিক বক্তব্য রাখার পাশাপাশি বেশকিছু প্রতিশ্রুতির কথা বলেন মেয়র। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাওয়াখালিতে অফিসপাড়া তৈরি করার মতো বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দেন গৌতম দেব। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীরা। তাদের উদ্দেশ্যে গৌতম দেব বলেন, আপনারা এখান থেকে গিয়ে পাড়ায়-পাড়ায় ছোট ছোট বৈঠকের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জেতানোর আবেদনে প্রচার চালাবেন।

    আরও পড়ুন: মোদির সভা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে, আশায় বুক বাঁধছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা

     কি বলছে বিজেপি?

    বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, মালদাতেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে সভা করে তৃণমূল নির্বাচনী প্রচার করল। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী সহ তাদের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এটা নির্বাচন বিধিভঙ্গের মধ্যে পড়ে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে নালিশ জানাবো। পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আমার প্রশ্ন, যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারছে না তৃণমূল সরকার, সেখানে কোন মুখে তাদের নিয়ে ভোট প্রচার করার পাশাপাশি তাদেরকে ভোটের কাজে নামারও আবেদন জানান? তৃণমূল দু’কান কাটা, তাই তাদের মধ্যে কোনও লজ্জা নেই।

    কী বলছে তৃণমূল?

    সরকারি জায়গায় দলীয় প্রচার করে চরম বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে তৃণমূল। তবে, দলীয় নেতারা কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। তবে,এদিন এই সভার শেষে গৌতম দেবকে সাংবাদিকরা নির্বাচন বিধিভঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share