Tag: bjp

bjp

  • Nisith Pramanik: মন্দিরে পুজো দিয়ে অনন্ত মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন নিশীথ

    Nisith Pramanik: মন্দিরে পুজো দিয়ে অনন্ত মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন নিশীথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহার লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)-এর ফের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। বৃহস্পতিবার মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তিনি। এদিন জেলাশাসকের দফতরে দলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিজেপি প্রার্থী। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন কর্মীরা।

    অনন্ত মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নিশীথ

    ২ মার্চ বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই অনন্ত মহারাজ ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে বলেছিলেন, শাহের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। তাঁকে জানানো হয়েছে, কোচবিহার পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে না। এমনকী তিনি এও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ চাইলে আমি রাজ্যসভার সাংসদ পদ ত্যাগ করব।’ বিজেপি-র সঙ্গে কিছুটা দুরত্ব তৈরি হলেও নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) হস্তক্ষেপে সব সমস্যা মিটে যায়। রাজ্যসভা ভোটের টিকিট পাওয়ার সময় নিশীথই গিয়ে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নিশীথের সঙ্গে অনন্তর সম্পর্ক ‘ভালো’ বলেই জানেন সকলে। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গে জনসভা করে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই জনসভায় মঞ্চে ছিলেন অনন্তও। তবে প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যেও মান ভাঙেনি তাঁর। এই আবহে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক যান অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে। বৃহস্পতিার কোচবিহারের লোকসভা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁকে থাকার অনুরোধ করেছিলেন। নিশীথের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অনন্ত মহারাজ বলেন, ‘দলের নির্দেশে মনোনয়ন পেশের সময় আমি সেখানে থাকব। এর আগে দল আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছিল না, তাই কোথাও যাচ্ছিলাম না। দল এখন ডেকেছে। তাই যাব।’ কথা রেখেছেন অনন্ত মহারাজ। এদিন বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে জেলা প্রশাসনিক ভবনে যান। মিছিলে প্রচুর কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। জেলা শাসকের দফতরে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে লিড দিলেই মিলবে আবাস যোজনার টাকা, বেফাঁস পার্থ ভৌমিক

    কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক? (Nisith Pramanik)

    মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আশীর্বাদ চাইলেন নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যে উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছিলাম সেই উন্নয়ন কেন্দ্রীয় সরকার করে চলেছে। কোথাও অন্যায় হলে আমরা রুখে দাঁড়াব।  পরিকাঠামোগত থেকে যোগাযোগ রক্ষার যে উন্নয়ন সারা দেশে হচ্ছে কোচবিহারেও তা জারি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন দেখেছেন ভারতকে বিশ্বের দরবারে শ্রেষ্ঠ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার, সেই বিষয় সাধারণ মানুষের কাছে আরও একবার আবেদন রাখবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কাঁটাতারের ওপারের ভোটারদের অধিকারে সরব, লোকসভার প্রচারে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    Malda: কাঁটাতারের ওপারের ভোটারদের অধিকারে সরব, লোকসভার প্রচারে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) অনেক ভোটার কাঁটাতারের ওপারে থেকে নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। নিজেদের প্রার্থীদের কখনই চোখে দেখেননি তাঁরা। নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা বলতেও পারেননি কোনও দিন। দক্ষিণ মালদার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র লোকসভা ভোটের প্রচার করলেন এই এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে। প্রচারে নজর কাড়লেন সংবাদ মাধ্যমের। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটের প্রচারে মানুষের মন জয় করতে সবপক্ষ ময়দানে নেমে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী (Malda)?

    দক্ষিণ মালদার (Malda) বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র বলেন, “এই কাঁটাতারের ওপারের মানুষদের জীবনকে দুর্বিষহ করার জন্য একমাত্র দায়ী হল কংগ্রেস। আগের সাংসদেরা ভোটে জয়ী হয়ে এলাকার মানুষের কোনও খোঁজ নেননি। নেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নেই কোনও স্কুল। মানুষকে পেট চালাতে কাঁটাতার পার করে আসতে হয়। এলাকার সাংসদ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও দিন মানুষের কথা ভাবেননি। মানুষ অভিযোগ কাকেই বা জানাবেন? জনপ্রতিনিধিদের কেউ চোখে দেখেননি সেইসব এলাকার মানুষজন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর মেলেনি। আইসিডি সেন্টার নেই। নেই জল জীবন মিশনের জল। স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও সবরকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাঁরা।” কাঁটাতারের ওপারের জনগণের এইসকল বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা।

    কোন এলাকায় প্রচার করলেন?

    কালিয়াচক (Malda) থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় কাঁটাতারে ঘেরা এই ভূখণ্ডের মধ্যে একশোর বেশি ভোটার এবং ৩০০ পরিবারে রয়েছে। কাঁটাতারের ওই পার থেকে এসে মানুষকে কাজ করতে হয়। নিয়মিত কাঁটা তারের সীমান্ত খোলা হয়, এরপর মানুষ এসে কাজ করেন। এই এলাকার ভারত ভূ-খণ্ডের মানুষের কাছে সরকারি কোনও প্রকল্পের সাহায্য পৌঁছায়নি বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    কংগ্রেস জেলা (Malda) সভাপতি অর্জুন হালদার বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বিধায়ক হিসাবে কী কাজ করছেন, আগে তার হিসাব দিন। আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখা উচিত।” আবার তৃণমূল কগ্রেসের সহ-সভাপতি বলেন, “তিনি শহরের বিধায়ক, শহরের জন্য কী করেছেন আগে জানান। গ্রামে কী করেছেন? আমরাও তো বিরোধী দলে ছিলাম। সেই সময় সিপিএম শাসনে ছিল। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে, আবদার করে কাজ করাতাম। বিধায়ক হিসাবে উনি কী করেছেন, আমরাও জানতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে লিড দিলেই মিলবে আবাস যোজনার টাকা, বেফাঁস পার্থ ভৌমিক

    North 24 Parganas: পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে লিড দিলেই মিলবে আবাস যোজনার টাকা, বেফাঁস পার্থ ভৌমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড সহ নানা কারণে জেলা তৃণমূল কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে। পাশাপাশি সিএএ ইস্যুতে মতুয়ারা বিজেপির ওপর বেজায় খুশি। দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মতুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে শাসকদল। ভোটের আগে পালে হাওয়া টানতে এবার ভোটারদের লোভ দেখালেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

    কী বলেছেন জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক? (North 24 Parganas)

    কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার রাজ্যের প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার অভিযোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারংবার করা হয়েছে। সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, যদি কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা না দেয় তাহলে রাজ্য সরকার আবাস যোজনার টাকা প্রাপকদের দেবে। আবাস যোজনার টাকার বিষয়ে নৈহাটির এক দলীয় কর্মসূচিতে বলতে গিয়ে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, যে চারটে পঞ্চায়েত নৈহাটি বিধানসভার মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে যারা ভালো ফল করবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাবে সেই পঞ্চায়েতকে আবাস যোজনার টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    কর্মীদের কী কড়া বার্তা দিলেন পার্থ?

    সম্প্রতি, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁ লোকসভার সাতটি বিধানসভা এলাকার ১৯২৭টি বুথের দলীয় প্রতিনিধিরা ওই কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ছিলেন বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ সহ দলীয় পদাধিকারী ও জনপ্রতিনিধিরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বনগাঁ লোকসভা আসনে ২০১৯ সাল থেকেই বিজেপি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সে বার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর প্রায় ১ লক্ষ ৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। এই লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে একমাত্র স্বরূপনগর ছাড়া বাকিগুলিতে বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটেও একই ফল হয়। তারপরে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা তৃণমূলের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হয়নি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, এ বারের লড়াই যথেষ্ট কঠিন। বনগাঁ শহরে নির্বাচনী কর্মিসভায় এসে পার্থ ভৌমিক দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “পঞ্চায়েত বা পুর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা নিজেদের এলাকায় যে ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে সেই সব এলাকায় জয়ের ব্যবধান কমে গেলে দল তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে।” এরপরই তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোট কমলে ধরে নিতে হবে নিজের ভোটের সময় আপনি যে পরিশ্রম করেছিলেন, লোকসভা ভোটে তা করেননি। দল তখন নিশ্চিত ভাবেই আপনাদের বুঝে নেবে এবং কড়া পদক্ষেপও করবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর আবাস যোজনার বক্তব্যের বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শীলভদ্র দত্ত বলেন, আসলে পার্থ ভৌমিক বুঝতে পেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে না। সেই কারণে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বগটুইকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের পাশে বিজেপি

    Birbhum: বগটুইকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের পাশে বিজেপিদ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিতে স্বজন হারানো পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির প্রতিনিধিদল। এদিন নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানালেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রশ্মি দে সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। একই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল বিজেপি।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Birbhum)?

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করা হয়। সেইরাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। প্রথমে কোপানো হয় এবং এরপর বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে খুন করা হয় ১০ জন শিশু ও মহিলাকে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ সেই ঘটনার প্রথম বর্ষপূর্তিতে বগটুই গ্রামে (Birbhum) একই ঘটনায় দুটি শহীদ বেদী তৈরী করা হয়। একটি শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যটিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ সেই বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যে বগটুই ফের রাজনৈতিক দলগুলির নজরে।

    বিজপির বক্তব্য

    ঘটনায় বিজেপির জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা দাবি করে বলেন, “স্বজন হারানো পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখ সহ তাঁর আত্মীয় স্বজনেরা বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত। তাই একজন সহযোদ্ধা হিসেবে আমরা তাঁর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে এসেছি। পাশাপাশি নিহতদের আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমরা এসেছি। তৃণমূল দুষ্কৃতী এবং খুনিদের কঠিন শাস্তি চাই।”

    পরিবারের বক্তব্য

    বগটুই গ্রামে (Birbhum) স্বজনহারাদের পরিবারের পক্ষে মিহিলাল শেখ বলেন, “আমার খুব ভালো লাগল, আমার এই শোকের দিনে জেলা বিজেপির নেতারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমাকে চাকরি থেকে বঞ্চনা করেছেন। আমার চাকরির বেতন বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই। সিবিআই তদন্ত করার ফলে অভিযুক্তেরা জেলে রয়েছে। রাজ্য প্রশাসন তদন্ত করলে এতদিনে মুক্তি পেয়ে যেতো। তৃণমূল প্রতিশ্রুতি দিলেও আমাদের জন্য কোন কিছুই করেনি। দোষীদের শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “লোকসভা ভোটে কোনও ভাবেই হিংসা বরদাস্ত নয়”, দিনহাটাকাণ্ডে কড়া বার্তা রাজ্যপালের  

    CV Ananda Bose: “লোকসভা ভোটে কোনও ভাবেই হিংসা বরদাস্ত নয়”, দিনহাটাকাণ্ডে কড়া বার্তা রাজ্যপালের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিঠেকাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। একমাস পর নির্যাতিতা নিজের বাড়িতে ফিরলেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যপাল পুলিশকে নিরাপত্তার দায়িত্ব বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে বুধবার সারা দিন দিনহাটায় পরিদর্শন করেন তিনি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “লোকসভা ভোটে কোনও ভাবেই হিংসা বরদাস্ত নয়।”

    কী বলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    মঙ্গলবার রাতে বিজেপির লোকসভার প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে, উওর উত্তরবঙ্গে উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের অনুগামীরা আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় এসডিপিও আহত হন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন দিনহাটায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেন, “এই বাংলায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা শেষ করা পর্যন্ত সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে। কোনও গুণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। বাংলার সকল সাধারণ মানুষ স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোট চান। আমি রাজ্যপাল হিসাবে সবার পাশে থাকবো।” একই সঙ্গে রাজভবনের তরফে যে পোর্টাল খোলা হয়েছে, সেখানেও জনসাধারণেরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    পিঠে কাণ্ডে কী বললেন?

    কোচবিহারের দিনহাটার বুড়িরহাট গ্রামের এক মহিলা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন, রাত ১২ টায় পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে পিঠে বানানোর ডাক পড়ত। আর এই ডাক উপেক্ষা করলে জুটত অত্যাচার। একই ভাবে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান-সিরাজেরা, এলাকার মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে যৌন শোষণ চালাতো। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। এবার দিনহাটায় নির্যাতিত মহিলার বাড়িতে গিয়ে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা থেকে দুষ্কৃতীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কোনও ভাবে হিংসা, গুণ্ডামিকে বরদাস্ত করা হবে না।” একই ভাবে রাজ্যের ডিজি ও জেলার পুলিশ সুপারকে এই বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্যাতিতাকে বাড়িতে সবরকম সুরক্ষা এবং সাহায্যের আশ্বাস দেন রাজ্যপাল।   

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: লকেটের দেওয়াল লিখন করতে গিয়েই রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Hooghly: লকেটের দেওয়াল লিখন করতে গিয়েই রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলি (Hooghly) লোকসভায় দুই তারকার লড়াই জমে উঠেছে। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে এই কেন্দ্রটি বিজেপি দখল করে। সাংসদ নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবারও তাঁকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে এবার লকেটের বিরুদ্ধে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে পাণ্ডুয়াতে দলীয় প্রার্থীর প্রচার কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এতেই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। বিজেপি কর্মীরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। আর দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন করতে গিয়ে রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ধনেখালি এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে হুগলির (Hooghly) ধনেখালির মাঝেরপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখন চলছিল। বিজেপি কর্মী যুগল মান্ডি সহ কয়েকজন দেওয়াল লিখনের কাজ করছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এসে তাঁদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের ওপর লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মী যুগল সহ কয়েকজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁদের প্রথমে ধনেখালি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যার পর যুগল মান্ডিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। জখম বিজেপি কর্মী যুগল মান্ডি বলেন, মাঝেরপাড়ায় দলীয় প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখছিলাম। সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আমাদের টিটকারি করে। এরপর দু’জন দলীয় কর্মীকে মারধর করে আটকে রাখা হয়। তাদের আমি ছাড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হই। আমাকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আরও এক বিজেপি কর্মী মনোজিৎ গুঁই বলেন, লকেটদির নামে দেওয়াল লেখার সময় লাঠি, বাঁশ নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের লোকজন। বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর জখম হন আমাদের সহকর্মী যুগল। ও এখন হাসপাতালে ভর্তি। যদিও, তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে কৃষ্ণনগরের রানি মা, শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান বহু সংখ্যালঘু পরিবারের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Asansol: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই জারি হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী বিধি। এবার সেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল আসানসোলের (Asansol) পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Asansol)

    মঙ্গলবার আসানসোল (Asansol) কুলটির ডিসেরগড়ে পীরবাবার মাজারে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেখানে তিনি চাদরও চড়ান। এর পরই দেখা যায় মাজার চত্বরে থাকা দুঃস্থ মানুষদের টাকা বিলি করছেন তিনি। বিধায়কের টাকা বিলির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ( যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর বিপরীতে বিজেপি তারকা প্রার্থী পবন সিংকে টিকিট দিয়েছিল। তাঁর গানে বঙ্গ নারীদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগের অভিযোগে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই বিতর্কের জেরে লোকসভা ভোট থেকে সরে দাঁড়ান পবন। যদিও পরে শোনা যায় ঘনিষ্ঠ মহলে ফের ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ভোজপুরী গায়ক। বর্তমানে আসানসোল লোকসভা আসনে নতুন করে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি গেরুয়া শিবির। তারই মাঝে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক। যদিও টাকা বিলির বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে কৃষ্ণনগরের রানি মা, শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান বহু সংখ্যালঘু পরিবারের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে এখন সাধারণ মানুষ নেই। তাঁদের কাছে রেশন, চাকরি, কয়লা, জমি চুরির টাকা রয়েছে। তৃণমূল তাই টাকা দিয়ে ভোটারদের কেনার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।” কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আর সাধারণ মানুষ নেই। এই ভোটে তৃণমূলের অবস্থা খারাপ। সংখ্যালঘুরাও তাঁদের পাশে নেই। তাই চুরির টাকা দিয়ে ভোটার কেনার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ জানাব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপিতে কৃষ্ণনগরের রানি মা, শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান বহু সংখ্যালঘু পরিবারের

    Suvendu Adhikari: বিজেপিতে কৃষ্ণনগরের রানি মা, শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান বহু সংখ্যালঘু পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির বর্তমান রানি মা অমৃতা রায় সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী। বুধবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরই দেখা যায় সেখানে উপস্থিত হন রাজবাড়ির বর্তমান রানি মা অমৃতা রায়। শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তিনি বিজেপির পতাকা তুলে নেন। রাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্য রাজবধূ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দলীয় কর্মীরা উজ্জীবিত।

    বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন রানি মা?

    তিনি বলেন, “বাংলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি বিজেপিতে যোগদান করলাম। আপনারা আশীর্বাদ করুন, তাহলে আমি জয়ী হব।” তাঁর এই মন্তব্যে আবারও কৃষ্ণনগরের বিজেপির প্রার্থী নিয়ে রানি মায়ের নাম নিয়ে জোর তরজা শুরু হল। তবে, এ বিষয়ে অমৃতা রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “উন্নয়নমূলক কাজ করতে বিজেপিতে আসা। এক যুগে রাজ পরিবার এলাকা শাসন করেছে। তাই আমারও ভালো লাগছে আমি ভালো কাজ করতে পারবো।” পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রের লোকপাল তলব নিয়ে তিনি বলেন, “কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ আমি করতে চাই না। তবে, এটা ঠিক সাধারণ মানুষ তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।” বিজেপিতে আসার কারণ তিনি বলেছেন, “এটা একটি অনুভূতি। আমি ঠিক জায়গায় গিয়ে কাজটা করতে পারব।”

    আরও পড়ুন: ভোট ঘোষণার পর থেকে কমিশনের কাছে জমা পড়ল লাখের ওপর অভিযোগ

    সংখ্যালঘুরা যোগ দিলেন বিজেপিতে (Suvendu Adhikari)

    লোকপাল তলব নিয়ে মহুয়া মৈত্রকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, পাসওয়ার্ড বিক্রি করে তিনি প্রচুর টাকা কামিয়েছেন। এখনও তাঁর (মহুয়া মৈত্র) বাড়িতে যে গাড়িটি পড়ে রয়েছে আপনারা গেলেই বুঝতে পারবেন ওটা কার গাড়ি। পাশাপাশি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭০ টি সংখ্যালঘু পরিবারের যোগদানের পাশাপাশি প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরদের যোগদান পরিষ্কার বলে দিচ্ছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর বিজেপির হাতে তুলে দিতে চাইছে সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “যে বুথে লিড পাবো না সেই বুথে….”, প্রচারে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    Bankura: “যে বুথে লিড পাবো না সেই বুথে….”, প্রচারে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। লিড না পেলে সেই এলাকায় কী পদক্ষেপ করবেন, তার ব্যাখ্যা করেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি-র পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী? (Bankura)

    তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বাঁকুড়ার (Bankura) মঙ্গলবার প্রচারে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যে বুথে লিড পাবো, সেই বুথে জান লড়িয়ে দেব। যে বুথে পাবো না সেই বুথে আমি তো দূরস্ত, আমার দলের কোনও কর্মীকেও আসতে দেব না।’ ওন্দা ব্লকের নতুনগ্রাম এলাকায় প্রচারে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “কোন কোন বুথে তৃণমূল ও বিজেপি লিড পাচ্ছে তার তালিকা তৈরি করে রাখা হবে। যে বুথে তৃণমূল লিড পাবে সেখানে জান লড়িয়ে দেব। আর যেখানে তৃণমূল লিড পাবে না সেখানে আমি তো দূরস্ত আমার কোনও কর্মীকেও যেতে দেব না”। এখানেই থেমে থাকেননি। সুজাতাকে হুমকির সুরে গ্রামবাসীদের বলতে শোনা যায়, “তোমরা ভোটের বেলায় বড় ফুলকে দেবে, আর চাওয়ার বেলায় ছোট ফুলের কাছে চাইবে তা হয় না। তোমরা বারেবারে এখান থেকে বিজেপিকে জিতিয়েছ। এবারও যদি তাই হয় তাহলে এবার তোমাদের কথা শুনতে আমরা আর আসবো না। তোমরা বিজেপির সঙ্গে বুঝে নেবে।”পরে, সুজাতা মণ্ডলের যুক্তি, এই এলাকা থেকে বারবার বিধানসভা, লোকসভা ও পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওন্দা এলাকাকে উন্নয়নের জোয়ারে ভরিয়ে দিচ্ছেন। এতে তাঁদের যন্ত্রণা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখার বলেন, “ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। তৃণমূল এখন ঠেলায় পড়ে এমন মন্তব্য করছে। এরকম মন্তব্য ওরা যত করবেন, তত মানুষের থেকে তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লোকসভার প্রচারে তৃণমূল-কংগ্রেসকে একযোগের আক্রমণ বিজেপির প্রার্থী নির্মল-গৌরীশংকরের

    Murshidabad: লোকসভার প্রচারে তৃণমূল-কংগ্রেসকে একযোগের আক্রমণ বিজেপির প্রার্থী নির্মল-গৌরীশংকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা হাতিনগর বকুলতলায় সকালে চায়ে পে চর্চায় অংশ গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন “এখানে বিপুল সমর্থন দিয়েছেন আমার মা বোনেরা। তাঁরা আজ এখানে একত্রিত হয়েছেন এবং যুব সমাজও দাঁড়িয়ে পাশে। আজ এখানকার সবাই মোদির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ফেলে দিয়ে নতুন সরকার এখানে আনবেন।” অপর দিকে মুর্শিদাবাদ (Murshidbad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গৌরীশংকর নিজের জয় নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী।

    তৃণমূল-কংগ্রেসকে আক্রমণ নির্মল সাহার (Murshidabad)

    ডাক্তার নির্মল সাহা ভোটের প্রচারে বের হয়ে বলেন, “সেদিনের আর বেশি দেরি নেই, তৃণমূল সরকারের পতন ঘটবেই এবং ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গঠন করবে এই রাজ্যে। অধীরের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন কাজ নয়। আমি চিকিৎসক হিসেবে বহু মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছি। যখন তাঁদের কাছে গিয়ে ভোট চাইবো, তখন আমার এবং দলের আদর্শ নিরিখে আমাকে ভোট দিবেন, এটাই আমার আশা। জেলাবাসীকে একটা কথাই বলবো, এর আগে যাঁকে লোকসভায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁকে প্রশ্ন করুন বহরমপুরে (Murshidabad) তিনি কী কাজ করেছেন? আবার আগামী পাঁচ বছর জয়ী হলে কী কাজ করবেন? ইউসুফ পাঠান আপনাদের কাছে এসে নিশ্চয়ই ভোট চাইবে। তাঁর কাছে জানতে চাইবেন তিনি এখানে কী করবেন?”

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর

    এর আগেও দলের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গৌরীশংকরকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রার্থী ঘোষণা করায় আরও বড় লড়াই হবে। গৌরীশঙ্কর বলেন, “এটা নতুন কিছু না। রাজনীতিতে দল সামলাতে হয়, আবার কখনও নির্বাচনে লড়াইও করতে হয়। এবারের টিমটি পুরো ইয়াং, তাঁদেরকে নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে সুবিধা হবে। মানুষের ভরসার একমাত্র জায়গা বিজেপি। সেই ভরসার জায়গাকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেককেই নামতে হবে। প্রার্থী যেই হোক না কেন তার জন্য অনেক আগে থেকেই দলের কর্মীরা বিজেপিকে জয়যুক্ত করতে অত্যন্ত আশাবাদী।”

    গৌরীশংকরের পরিচয়

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে এবারে বিজেপির প্রার্থী মুর্শিদাবাদ বিধানসভার জয়ী গৌরীশঙ্কর ঘোষ। গৌরীশংকর ঘোষ ভারতীয় জনতা পার্টির একজন রাজনীতিবিদ। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার এম জে ব্লকের হাড়িভাঙ্গা প্রদাদপুরের বাসিন্দা। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএ করেছেন। ২০২১ সালের মে মাসে বিধানসভার সদস্য হিসাবে মুর্শিদাবাদ থেকে নির্বাচিত হন। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সিংহ রায়কে ২৪৯১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। বর্তমান মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থীর সিলমোহর দেয়। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বর্তমান ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি বর্তমানে শাসকদল তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়ক। গত ২০১৯ সালের মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আবু তাহের খান, কংগ্রেসের আবু হেনা, সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান এবং বিজেপির হুমায়ুন কবীর।

    ২০১৯ সালে প্রাপ্ত ভোট কেমন ছিল?

    ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। তিনি মোট ভোট পেয়েছিলেন ৬০৪৩৪৬, কংগ্রেসের আবু হেনা মোট ভোট পেয়েছিলেন ৩৭৭৯২৯, সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান ভোট পেয়েছিলেন ১৮০৭৯৩ এবং হুমায়ুন কবীর বিজেপির হয়ে ভোট পেয়েছিলেন ২৪৭৮০৯। এইবার ঘরের ছেলে মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ মুর্শিদাবাদ লোকসভার প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share