Tag: bjp

bjp

  • Sandeshkhali: তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেছেন দেবাংশু, কমিশনের দ্বারস্থ সন্দেশখালির রেখা পাত্র

    Sandeshkhali: তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেছেন দেবাংশু, কমিশনের দ্বারস্থ সন্দেশখালির রেখা পাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মহিলা রেখা পাত্রের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় তফসিলি কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, রেখা পাত্রের (Rekha Patra) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফোন নম্বর, স্বাস্থ্য সাথীর বিস্তারিত তথ্য তিনি সামজিক মাধ্যমে এনেছেন। এভাবে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের অভিযোগ তোলেন রেখা পাত্রের আইনজীবী। এই ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে।

    তৃণমূল নেতা কী বলেছিলেন (Rekha Patra)?

    তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলেন, “রেখা পাত্রের (Rekha Patra) স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যাপারে খোঁজ নেবেন। সরকারি সুবিধা পেতে গেলে তৃণমূল করতে হয় না।” তৃণমূলের পক্ষে দাবি করা হয়, বসিরহাটের এই বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী সকল সুবিধা নিয়েছেন। এরপর রেখার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে দেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। দেবাংশুর বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “শুনেছি রেখা পাত্র বসিরহাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হয়ে অসুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রেখা পাত্রের রয়েছে। তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া (Sandeshkhali)

    গতকাল বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “সরকারের প্রকল্পের সুবিধা কেন নেবেন না সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ। এই সুবিধা কি তৃণমূল দিচ্ছে? এটা তো সরকারের প্রকল্প। একজন লোকসভা প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য কেন প্রকাশ্যে আনা হল? বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার অনুরোধ জানাবো। আবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য নিজে সামজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “বিজেপি প্রার্থীর (Rekha Patra) ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে তৃণমূল। ব্যক্তিগত তথ্য যাতে প্রকাশ্যে না আসে তা নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ভোটের মুখে ভাইরাল, মঞ্চে হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে অশ্লীল নাচ তৃণমূল নেতার! 

    Bankura: ভোটের মুখে ভাইরাল, মঞ্চে হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে অশ্লীল নাচ তৃণমূল নেতার! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্যত টলমল করছে পা, মঞ্চে হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে নাচলেন তৃণমূল নেতা। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে, বিজেপির পক্ষ থেকে যার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাসে। তবে রাজ্যের শাসক দলের নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সামজিক মাধ্যমে আগেও এই রকম অশ্লীল নাচের চিত্র এসেছে। শুধু তাই নয়, মালদা, নদিয়া, বীরভূম জেলার অনেক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেও সরব হয়েছে বিজেপি।

    টলমলে পায়ে মঞ্চে উদ্দাম নাচ (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তৃণমূল নেতার নাম মনোরঞ্জন নন্দী। তিনি বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাস মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুতবিহার বুথের সভাপতি। তিনি এলাকার দাপুটে নেতা। এলাকায় তৃণমূলের সূত্রে খবর, তাঁর হাত ধরে তৃণমূলের অনেক নেতা নিচু স্তর থেকে উপরে উঠেছেন। এলাকায় তাঁর ভূমিকা বিরাট। এবার একটি নাচের দৃশ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছেন তিনি। সেবাশ্রম মেলার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একটি চটুল নাচের আয়োজন করা হয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক তরুণী মঞ্চে গান গাইছেন। সেই মঞ্চে নাচ করছেন এই তৃণমূল নেতা। হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে নাচ করতে দেখা যায় তাঁকে। দেখা যায় তাঁর পা টলমল করছে। তিনি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মঞ্চে উদ্দাম নাচ করছেন। এই ঘটনায় সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। ইতিমধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিষ্ণুপুর লোকসভার (Bankura) বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সব কিছুতে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বুথের তৃণমূল নেতা সকলের সামনে অশ্লীল নাচ করছেন। তৃণমূল মানেই পয়সার বিলাস, তাঁরা সব সময় মজে থাকেন ফূর্তিতে। অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে বিষ্ণুপুর (Bankura) লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, “বিজপি প্রার্থীর মস্তিস্ক বিকৃত তো ছিলই, এখন আরও বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁর চোখমুখের ভাব দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সারাক্ষণ সুজাতা নামক একটা টেনশনে থাকছেন। কে কোথায় নাচবে এবং কে কোথায় গাইবে, আমার আলাদা করে বলার কিছু নেই। এই নিয়ে দলেরও কিছু বলার নেই।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে  শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির সমস্যা এখনও মেটেনি। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেও ওর সাগরেদরা এখনও গ্রেফতার  হয়নি। সাগরেদগুলোকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বললেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্তর দিনাজপুরের জেলার ইটাহার ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন সহ ইটাহার ব্লকের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত বাবু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভেবেছিলাম আগের মতো ইটাহার এলাকায় পিছিয়ে আছি।  কিন্তু, এবার আমরা ইটাহারে লিড পাব।”

    ইউসুফ পাঠান নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

     ইউসুফ পাঠান প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “ইউসুফ পাঠান বাংলা জানেন না বোঝেন না। গুজরাট থেকে এসেছেন। রাজনীতির ‘র’ জানেন না। ভেবেছেন এখানে ভালো পয়সা কড়ি কামাই হবে। তাই চলে এসেছেন এখানে। তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। জানেনই তো না যে নির্বাচনী বিধি কি! ভোট কীভাবে হয় সেটাও জানেন কিনা সন্দেহ আছে।” অপরদিকে গার্ডেনরিচে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি ভাঙ্গা প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, ” বাড়ি ভেঙে কি হবে? বাড়ি ভাঙতে পারবে নাকি গার্ডেনরিচে? ওখানে বাড়ি ভাঙতে গেলে পুরসভার টিমকে ভেঙে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ওখানে সব বাড়িই তো অবৈধ। সব তো পুরসভার কাউন্সিলরকে টাকা দিয়ে হয়েছে। কটা বাড়ি ভাঙবে?

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ” ইডি ডাকলে পরে, ইডির বাঁশি হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মতো। শুনলে পরে অথবা কানে প্রবেশ করলে আজ না হয় কাল দৌড়ে যেতেই হবে। রাধা যেমন দৌড়ে যেত। এই রাধাও দৌড়োবে চিন্তা নেই। কৃষ্ণ সবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে।” এদিকে বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্রের সরকারি সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” সরকারি সাহায্য নেওয়া অপরাধ নাকি? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ভারতবর্ষের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন? ভারতবর্ষে তো মোদির সরকার। আধার কার্ড দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার কার্ড তৈরি করবে না? তৃণমূলের কোন নেতার আধার কার্ড থাকা উচিত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    Malda: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূলের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করলেন উত্তর মালদার বিজেপি-র বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু। বৃহস্পতিবার কয়েকশো বিজেপি কর্মী দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পুলিশি নিরাপত্তা অটুট থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিন বিক্ষোভ স্থলে খগেন মুর্মু অভিযোগ তোলেন, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী পূজন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা সাহেব দাস, দুর্জয় দাস সহ আরও অনেকে পিপল কাশিমপুর এলাকায় বিগত দুই দিন ধরে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামের শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য মন্দিরা দাসের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল এলাকার বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক কমল থোকদারের পরিবারের সঙ্গে। অভিযোগ আর এই গন্ডগোলের জেরে মঙ্গলবার গভীর রাত্রে শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মন্দিরা দাসের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা পূজন দাস ধারালো অস্ত্রশস্ত্র সহ দলবল নিয়ে বিজেপি নেতা কমলের বাড়িতে হামলা চালায়। সেখানে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এই মারধরের জেরে গুরুতর আহত হয়ে কমলবাবুর মা তুলি থোকদার হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়েই হরিশ্চন্দ্রপুরের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত পোহাতেই আবার সেই গন্ডগোল মাথাচাড়া দেয়। বুধবারও ফের হামলা চালায়।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ভোটের আগে সন্ত্রাস তৈরির জন্য তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ দেখায়। এদিকে এ প্রসঙ্গে ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ওরা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। বিজেপি কর্মীরাই আমাদের কর্মীর বাড়িতে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। ওই গ্রামে বিগত ১০ বছর ধরে তৃণমূল জয় লাভ করছে। এখন সামনে ভোট। বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, তাই এই সমস্ত অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না”, বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ নেতা

    Balurghat: “নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না”, বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Balurghat) তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দলে পাত্তা পাচ্ছেন না বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে নয়, অনুগামীদের নিয়ে তৈরি ‘টিম বিপ্লব’ই এই নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে নেমে পড়েছে।

    নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না (Balurghat)  

    জেলাজুড়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চরম অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, দলের অভ্যন্তরে এই অবিশ্বাসের বাতাবরণে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ফেসবুক যুদ্ধ। এরই মধ্যে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি টি-শার্টের বুকে লেখা, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লবের সঙ্গে মৃনালের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।সম্প্রতি যে নির্বাচনী কমিটি করা হয়েছে, সেখানেও বিপ্লব অনুগামীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন তাঁর বিরুদ্ধ অনুগামীরা। এই অবস্থার মধ্যে জেলার প্রচুর নেতা- কর্মীরা তাঁদের অবস্থান ঠিক করতে পারছেন না, চুপ করে রয়েছেন অনেকেই। কিন্তু, এর মধ্যে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলেছে। এই পোস্ট প্রসঙ্গে মৃণাল সরকার এদিন বলেন, ‘দলের নির্বাচনী কোনও পরিকল্পনা বা প্রস্তুতিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমি তাই নিজের বুথেই কাজ করছি।

    বিপ্লব অনুগামী তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    ‘টিম বিপ্লব’ তত্ত্ব মানতে রাজি নন তৃণমূল নেতারা। বিপ্লব অনুগামী বলে পরিচিত জেলা কমিটি ও নির্বাচনী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা বালুরঘাট পুরসভার পুরপ্রধান অশোক মিত্র বলেন, ‘আমাদের দলে টিম বিপ্লব বলে কোনও শব্দ নেই। আমরা সবাই টিম মমতা, টিম তৃণমূলের। যাঁরা এই দল করে তাঁরা সকলেই আমাদের দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। কোথাও কোনও সমস্যা নেই।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Savitri Jindal: বিজেপিতে যোগ! কংগ্রেস ছাড়লেন দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল

    Savitri Jindal: বিজেপিতে যোগ! কংগ্রেস ছাড়লেন দেশের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল (Savitri Jindal) কংগ্রেস ছাড়লেন। প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার মালকিন তাঁর ছেলের মতোই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বল মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে মা ও ছেলের দল ত্যাগ কংগ্রেসের কাছে একটা বড় ধাক্কা। সাবিত্রী জানান মানুষের কথা শুনেই তিনি কংগ্রেস ছাড়ছেন। 

    কেন দল ত্যাগ

    বুধবার গভীর রাতে এক্সবার্তায় সাবিত্রী (Savitri Jindal) লেখেন, ‘আমি গত ১০ বছর বিধায়করূপে হিসারের মানুষের সেবা করেছি। মন্ত্রীরূপে রাজ্যের মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ সেবা করেছি। হিসারের মানুষই আমার পরিবার। সেই পরিবারেরই পরামর্শে আজ আমি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করছি।’ ১০ বছরের কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী জিন্দালের দলত্যাগ লোকসভা নির্বাচনের আগে হাত শিবিরের কাছে একটা বড় ধাক্কা। সূত্রের খবর, শীঘ্রই সাবিত্রী বিজেপিতে যোগ দেবেন।  উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সাবিত্রীর পুত্র তথা ২০০৪-১৪ সাল পর্যন্ত কুরুক্ষেত্র কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দালও দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এবার তিনি বিজেপির টিকিটে কুরুক্ষেত্র থেকেই প্রার্থী হয়েছেন।

    সাবিত্রীর পরিচয়

    সাবিত্রীর (Savitri Jindal) স্বামী ছিলেন দেশের ইস্পাত সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি ওমপ্রকাশ জিন্দল। ২০০৫ সালে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল শিল্পপতি ওমপ্রকাশের। দুর্ঘটনায় ওমপ্রকাশের অকস্মাৎ মৃত্যুর পর বসায়িক সাম্রাজ্যের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সাবিত্রী। স্বামীর অকালপ্রয়াণের পর ভেঙে পড়েননি তিনি। ওপি গোষ্ঠীর দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন। যে বয়সে নিশ্চিন্তে সংসার করেন বেশির ভাগ মহিলা, সেই বয়সে ব্যবসার খুঁটিনাটি শিখতে হয়েছিল তাঁকে। তখন সাবিত্রীর বয়স ছিল ৫৫। সাবিত্রী বর্তমানে ওপি জিন্দল গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন এমিরেটা। গত দু’বছরে তাঁর হাত ধরেই এই গোষ্ঠীর রমরমা বেড়েছে।

    আরও পড়ুন: ভোটের সময় তাপপ্রবাহ! সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের

    অসমের তিনসুকিয়া জেলার বাসিন্দা সাবিত্রীর জন্ম ১৯৫০ সালের ২০ মার্চ। সত্তরের দশকে ওমপ্রকাশের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ব্যবসার পাশাপাশি স্বামীর মতো রাজনীতির আঙিনায়ও পা রাখেন সাবিত্রী। ২০০৫ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে দাঁড়ান। কংগ্রেসের টিকিটে সেই কেন্দ্রে জয়ী হয়ে পা রাখেন হরিয়ানা বিধানসভায়। পরের বিধানসভা নির্বাচনে আবার জয়। ২০১৩ সালে হরিয়ানার ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হয়েছিলেন সাবিত্রী। কিন্তু এবার হরিয়ানার মানুষের ইচ্ছাতেই কংগ্রেস ত্যাগ করলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা, এখন কেমন আছেন?

    Sandeshkhali: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী রেখা, এখন কেমন আছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। তবে, প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরও প্রচার শুরু না করায় অনেকে রেখাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে ফোন করে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বুধবার থেকে তিনি শুরু করেন প্রচার। রেখাকে নিয়ে সন্দেশখালি জু়ড়ে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। তাঁকে এক পলখ দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা, আবেগের কাছে হার মানতে হয় রেখাকে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভর্তি করা হাসপাতালে।

    বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানলেন রেখা! (Sandeshkhali)

    বিজেপি প্রার্থী নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রার্থী  হওয়ার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করার কথাও প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি। আর প্রচার শুরুর পরই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।   বুধবার বিকেলেই অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী এইমস হাসপাতালে। বুধবার রেখা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পা রাখতেই ভিড় উপচে পড়ে। কারও বাড়ির মেয়ে, কারও দিদির মতো করে তিনি কথা বলেন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে সকাল থেকে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। এরপরই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ডিহাইড্রেশনের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রেখা পাত্র। তাঁর শরীরে জলের পরিমাণ কমে গিয়েছিল। কল্যাণী এইমসে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর সবরকমের পরীক্ষা করা হয়। একাধিক রক্ত পরীক্ষা করা হয়, স্যালাইনও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    চিকিৎসকরা কী বললেন?

    বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসকরা বলেন, রেখার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এরপর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে এবার কবে ফের প্রচারে নামবেন, তা এখনও জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা নিয়ে অভাব বোধ করায় তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তিনি ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Kalyani: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনগাঁ লোকসভায় তৃণমূলের থেকে গতবার ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রটি বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি। কল্যাণী (Kalyani) বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নাম ঘোষণার পর থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ও কর্মীসভা করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। বুধবার কল্যাণীর গয়েশপুরে প্রচারে আসেন তিনি। সেখানে প্রচারে বাধার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কল্যাণী (Kalyani) থানার গয়েশপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লির মাঠ থেকে বিজেপির মিছিলের কথা ছিল। সেই মতো বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই আনন্দপল্লি মাঠে আসেন শান্তনু ঠাকুর। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ‘বিজেপি চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। শান্তনুকে উদ্দেশ্য করে ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও। পালটা চোর স্লোগান দিতে থাকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাও। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। বিজেপি কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কল্যাণীর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সান্যাল।

    আরও পড়ুন: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই ওদের হাজার হাজার হার্মাদদের প্রচারে বাধা দিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে আমিই জিতব। সেটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। এই বাধায় ভয় পাওয়ার ছেলে আমি না। ৩৬ ইঞ্চি বুকের পাটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।” গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে এসেছেন শান্তনু ঠাকুর। সাধারণ মানুষ শান্তনু ঠাকুরকে আর চাইছে না। তাই বাধা দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ১৩টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন ইনচার্জ, সহ-ইনচার্জ নিয়োগ বিজেপির

    Lok Sabha Elections 2024: ১৩টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন ইনচার্জ, সহ-ইনচার্জ নিয়োগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ৫৪৩টি আসনে হবে নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার মধ্যে পেতে হবে ৪০০টি আসন। এর মধ্যে আবার বিজেপিকে একাই পেতে হবে অন্তত ৩৭০টি আসন। বাকি ৩০টি পেতে হবে এনডিএর অন্য শরিক দলগুলিকে। এই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাই ৪০০ আসনের লক্ষ্যেই ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

    কে, কোথাকার দায়িত্বে? (Lok Sabha Elections 2024)

    এজন্য দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নির্বাচন ইনচার্জ ও সহ-ইনচার্জ নিয়োগ করেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের তরফে (Lok Sabha Elections 2024) জানানো হয়েছে, অসমের ইনচার্জ নিয়োগ করা হয়েছে ক্যাপ্টেন অভিমন্যুকে। ছত্তিশগড়ের জন্য নিতিন নবীনকে। দিল্লির ইনচার্জ ওপি ধনখড়, মহারাষ্ট্রের জন্য দীনেশ শর্মা, মেঘালয়ের জন্য এম ছুবা আও, মণিপুরের জন্য অজিত ঘোপছেদে, মিজোরামের জন্য দেবেশ কুমার, নাগাল্যান্ডের জন্য নলীন কোহলি, তেলঙ্গানার জন্য অভয় পালিত এবং ত্রিপুরার জন্য অবিনাশ রাই খান্নাকে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যসভার সদস্য তথা উত্তরপ্রদেশের ভূতপূর্ব উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মাকে মহারাষ্ট্রের ইলেকশন ইনচার্জ করা হয়েছে। 

    সহ-ইনচার্জ কারা?

    বিহারের বিধায়ক সঞ্জীব চৌরাশিয়া এবং সাংসদ রমেশ বিধুরি এবং সঞ্জয় ভাটিয়াকে উত্তরপ্রদেশের সহ-ইনচার্জ নিয়োগ করেছে বিজেপি। কর্নাটকের প্রাক্তন বিজেপি প্রেসিডেন্ট নলিন কুমার কাটিলকে কেরলের কো-ইনচার্জ করা হয়েছে। আন্দামান-নিকোবরের সহ-ইনচার্জ হয়েছেন রঘুনাথ কুলকার্নি, দিল্লির অলক গুর্জর। মহারাষ্ট্রের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে নির্মল কুমার সুরানা এবং জীবন সিং পাওয়াইয়া। 

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে ‘রামধাক্কা’, আপ ছেড়ে বিজেপিতে সাংসদ, বিধায়ক

    এবার সাত দফায় হবে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত। তবে কীভাবে আরও বেশি করে আসন নিয়ে ফেরা যায়, সেই জন্যই যাবতীয় পদক্ষেপ করছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। সংসদে বিজেপির প্রতিনিধিত্ব যত বেশি হবে, ততই অনায়াসে পাশ করানো যাবে সেই সব বিল, যেগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। তাই নিয়োগ করা হয়েছে ইনচার্জ ও কো-ইনচার্জ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে ‘রামধাক্কা’, আপ ছেড়ে বিজেপিতে সাংসদ, বিধায়ক

    Lok Sabha Elections 2024: লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে ‘রামধাক্কা’, আপ ছেড়ে বিজেপিতে সাংসদ, বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাজ্যে ‘রামধাক্কা’ খেল আম আদমি পার্টি। তাও আবার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) মুখে। পাঞ্জাবের সবেধন নীলমণি সাংসদ আপের সুশীল কুমার রিঙ্কু (জলন্ধরের সাংসদ) হাতে তুলে নিলেন গেরুয়া ঝান্ডা। তিনি একা নন, জলন্ধর পশ্চিমের বিধায়ক আপের শীতল অঙ্গুরালও যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে। আপ ছেড়ে সাংসদ ও বিধায়কের পদ্ম শিবিরে যোগদানের অনুষ্ঠান হয় দিল্লিতে, বুধবার।

    আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ! (Lok Sabha Elections 2024)

    গত বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে আপ। সেই প্রথম দিল্লির বাইরে রাজত্ব পায় আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) মুখে এক সাংসদ ও এক বিধায়কের বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার ঘটনাটিকে পাঞ্চাবের আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে সুশীল ও শীতলকে স্বাগত জানান গেরুয়া শিবিরে। বিজেপিতে যোগদানের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পাঞ্জাব রাজ্য সভাপতি সুনীল কুমার জাখর ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।

    বিজেপিতে আপ সাংসদও

    পাঞ্জাব থেকে আপের একমাত্র সাংসদ ছিলেন সুশীল। অংসদীয় আচরণের জন্য সংসদের বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। আপের আগে কংগ্রেসেই ছিলেন সুশীল। তিনি কংগ্রেসের তিনবারের কাউন্সিলরও ছিলেন। জলন্ধর পশ্চিমের বিধায়কও হয়েছিলেন ‘হাত’ প্রতীকে লড়ে। ২০২৩ সালে যোগ দেন আম আদমি পার্টিতে। জলন্ধর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সংসদে পা রাখেন আপের প্রতিনিধি হয়ে।

    আরও পড়ুুন: কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে, অতঃ কিম?

    পাঞ্জাবের আপ সরকারের প্রতি মোহভঙ্গ হওয়ায়ই যে তিনি বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে তা জানিয়ে দিয়েছেন সুশীল। তিনি বলেন, “উপনির্বাচনে যেসব প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম, তা পূরণ করতে পারিনি। কারণ আমার সরকার আমায় সাহায্য করেনি। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাজের ধরন আমায় মুগ্ধ করেছে। জলন্ধরের উন্নয়ন সংক্রান্ত যে কোনও কাজ নিয়ে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছি। কেন্দ্র তা অনুমোদন করেছে। আমি কোন পার্টির তা বিচার করেনি। আদমপুর বিমানবন্দরেও বিমান ওঠানামা শুরু হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “জলন্ধরে বন্দে ভারত ট্রেন থামছে। আদমপুর ও জলন্ধরে রেলওয়ে ওভারব্রিজ চাই। কেন্দ্রের সাহায্যে এটাও করব। আমার নিজের কোনও লোভ নেই। কিন্তু জলন্ধরবাসীর জন্য আমার অনেক কিছু চাওয়ার আছে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share