Tag: bjp

bjp

  • Serampore: “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে, বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট”, কল্যাণকে আক্রমণ কবীরের

    Serampore: “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে, বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট”, কল্যাণকে আক্রমণ কবীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ময়দানে প্রাক্তন শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াই ব্যাপক ভাবে জমে উঠেছে। কেউ কারুর জমি এক ইঞ্চি ছেড়ে দিতে নারাজ। শ্রীরামপুর (Serampore) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন কবীর শঙ্কর বোস অপরদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ নির্বাচনের প্রচারে বলেছিলেন বাউন্ডারি হাঁকাবেন। এবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কবীর বলেন, ‘বোল্ড আউট হবেন।”

    মাহশে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু কবীরের (Serampore)

    শ্রীরামপুরে (Serampore) পরপর তিনবারের তৃণমূল সাংসদ হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও তাঁর আশা জয়ের। অপরদিকে বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী কবীর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন। এবারের লোকসভায় দুই প্রার্থী পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এদিন বিকেলে মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী কবীর। ঘটনাচক্রে বিজেপি প্রার্থী কবির শঙ্কর বোস হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের প্রাক্তন স্বামী। প্রাক্তন শ্বশুরকে আক্রমণ করে কবির শঙ্কর বলেন, “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে। বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট হবেন। ৪ জুন ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে যেতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব”, কেন্দ্র বদলেও স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ

    কী বললেন কবীর?

    এদিন শ্রীরামপুরের (Serampore) বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর, কল্যাণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সব মানুষের একটা অতীত থাকে এবং বর্তমানও থাকে। এই প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ থাকে। আমি একজন আইনজীবী, তিনিও আইনজীবী। উনার প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। কিন্তু তিনি যে দলে রয়েছেন, সেই দল মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। এই বাংলায় তাঁদের মুখ দেখানোর জায়গা নেই।”

    উপরাষ্ট্রপতিকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন কল্যাণ

    উল্লেখ্য শ্রীরামপুরের (Serampore) তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রতিক সময়ে সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়ে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গী করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। আবার বিভিন্ন সময়ে সমাজিক মাধ্যমে ঠাকুরের সামনে বাঁধ ভাঙা কান্নার ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। আবার একটা সময় দলের অন্দরে অভিষেকের সঙ্গে সংঘাত চরমে উঠলে এলাকায় কল্যাণের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। ফলে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দলকে বিজেপি কতটা কাজে লাগাতে পারে, সেটাই এখন দেখার।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “অন্য পার্টির লোক আমাদের ভুল বুঝিয়ে ছিল, রেখার পাশে রয়েছি”, বললেন বিক্ষোভকারীরা

    Sandeshkhali: “অন্য পার্টির লোক আমাদের ভুল বুঝিয়ে ছিল, রেখার পাশে রয়েছি”, বললেন বিক্ষোভকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান বাহিনীর নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। পুলিশের পোশাক পরে বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। সেই প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রকে এবার বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু, রেখা প্রার্থী হতেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিক্ষোভ। সন্দেশখালির মহিলারাই আবার পথে নামে। পোস্টারে লেখা থাকে, “সন্দেশখালির আন্দোলনকারীরা রেখা পাত্রকে চায় না।” যা নিয়ে ফের চর্চায় চলে আসে সন্দেশখালি। তবে, প্রতিবাদের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার ভোলবদল। এবার সেই মহিলারাই বলছেন, “আমাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল…”

    রেখা পাত্রের পাশেই রয়েছি, বললেন বিক্ষোভকারীরা (Sandeshkhali)  

    সোমবার রাস্তায় নেমে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়। আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভোলবদল করলেন রেখা পাত্রের প্রার্থীপদের বিরোধিতায় থাকা মহিলারা। যে মহিলা সোমবার বলেছিলেন, “যে নিজের নামটুকুই সই করতে পারে না, সে লোকসভা কী বিধানসভা কোথাওই প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নয়।” তিনিই রাতারাতি অবস্থান বদল করে বললেন, “আমরা রেখার পাশে আছি। আমাদের ভুল বোঝানো হয়ছিল। রেখা পাত্র আমাদেরই একজন। রেখা প্রার্থী হওয়ায় আমরা খুশি।” বিরোধিতা করা এক মহিলা সোমবার বলেছিলেন, “আমরা পরিশ্রম করেছি বলেই ও আজকে এখানে। ওর কোনও যোগ্যতাই নেই। প্রার্থী হয়ে অহংকার হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ভোট প্রয়োজন নেই বলছে। এলাকাতে নেই ও।” সেই মহিলা আবার মঙ্গলবার বললেন, “গতদিনের জন্য আমরা রেখার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদেরকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। অন্য লোকের দ্বারা, অন্য পার্টির লোক আমাদের ভুল বুঝিয়ে ছিল। আমরা সেটা বুঝেছি। আমরা রেখার পাশে রয়েছি।” তবে, কোন পার্টির লোক ভুল বুঝিয়েছে সেই বিষয়ে খোলসা করে তাঁরা কিছু বলেননি। আরেক বয়স্ক মহিলা বলেন, রেখার সঙ্গে আমাদের অনেক পুরনো সম্পর্ক। আমরা প্রথম থেকেই ওর পাশে রয়েছি। আমাদের বাড়িতে লোক এসেছিল। ওরা বলেছিল, আমরা নাকি বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। আমরা বললাম না. তারপরও আমাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গেল।” আরেক মহিলা বললেন, “যাঁরা আমাদের ওর সম্পর্কে ভুলভাল বোঝাতে আসবে, ঝাঁটা মেরে বিদায় করব। প্রয়োজনে রেখার বাড়ি গিয়ে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইব আমরা।”

    আরও পড়ুন: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    এ প্রসঙ্গে অবশ্য রেখা পাত্র বলেন, “আমি শুনলাম আমি নাকি বলেছি, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ভোট আমার লাগবে না। আমি তো একথা বলতে পারি না। সন্দেশখালির মায়েরাই তো আমাকে এই অবধি পৌঁছেছে। তাই একথা আমি কোনওদিনও বলতে পারব না। সন্দেশখালির মুখ আমি। সন্দেশখালির যত মা রয়েছেন, সবাই প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে আর বেশি দেরি নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলের তরফে নাম ঘোষণা হতেই রঙের উৎসবের দিনেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়লেন রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। মন্দিরে পুজো দিয়ে দিনভর চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপি প্রার্থী।

    কে এই কার্তিক পাল? (Raiganj)

    রবিবার রাতেই দিল্লি থেকে রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কার্তিক পালের নাম ঘোষণা করা হয়। বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে, রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে সামিল কার্তিকবাবু। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবু ভূমিপুত্র। একসময় তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি এলাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। ২০১৯ সালের পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এলাকায় তাঁর নিবিড় জনসংযোগ রয়েছে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। ফলে, কার্তিকবাবু প্রার্থী হওয়াতে শুধু বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা খুশি হয়েছেন তা নয়, সাধারণ মানুষও বেজায় খুশি।

    আরও পড়ুন: চন্দ্রনাথের বাড়িতে উদ্ধার ৪১ লাখ, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রীকে তলব ইডির

    দোল ও হোলিতে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরেই জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন কার্তিক পাল। মাড়োয়ারি পট্টিতে দোল উৎসবে সামিল হন তিনি। তারপর  কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনিতে অবস্থিত প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মূর্তিতে মাল্যদান করেন। দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাহেবঘাটা এলাকায় এক নাবালিকার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের সমাধিস্থলেও মাল্যদান করেন। পাশাপাশি পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। মঙ্গলবার শেঠ কলোনি, মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায় হোলি খেলার পাশাপাশি চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। পরে, কার্তিকবাবু বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমার বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সঙ্গে আমারপ মূল লড়াই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে, হোলি খেলে বর্ধমানে লোকসভার প্রচারে দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে, হোলি খেলে বর্ধমানে লোকসভার প্রচারে দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বর্ধমানে হোলি খেলে লোকসভার প্রচারে অংশ গ্রহণ করলেন বিজেপি প্রার্থী। এই ভোটের প্রচার উপলক্ষে বর্ধমানের ১০৮ শিব মন্দিরে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পুজো দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন সকালে দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমন সেরে কর্মীদের সাথে দেওয়াল লিখনে যোগদান করলেন তিনি। তারপর সেখানে চায়েপে চর্চা সেরে বর্ধমানে আসেন তিনি। চা পানের সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় নেতা কর্মীদের সঙ্গে হোলির শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মঙ্গলবারে পুজো দিয়েই প্রচার শুরু করে দেন তিনি।

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    এই দিন নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পৌঁছে প্রচার অভিযান শুরু করে দেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আগের বারে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির জয়ী প্রার্থী ছিলেন এই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তবে কেন্দ্র বদল হলেও জয় বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তিনি এদিন বলেন, “শক্ত আসন বুঝেই দল আমাকে প্রার্থী করেছে। এই কেন্দ্রে বিজেপিই বিপুল ভোটে জয়ী হবে। বাংলায় লোক কম পড়েছে তাই বিহার থেকে তৃণমূলকে প্রার্থী ভাড়া করে আনতে হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। জয় আমাদের নিশ্চিত।”

    আরও পড়ুনঃ ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের

    মানুষের হয়ে লোকসভায় প্রশ্নের আশ্বাস

    এদিন দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারে একটি বেসরকারি হোটেল থেকে বেরিয়ে শহরের প্রাণ কেন্দ্র সিটি সেন্টার, বেঙ্গল অম্বুজা এলাকায় রাস্তায় হেঁটে প্রচার করেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। চলতি পথে লোকের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি চতুরঙ্গ মাঠে পৌঁছান। তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন মানুষের হয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করবেন, সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। আগামী দিনেও মাঠে মায়দানে থেকে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে শাসকদল সন্ত্রাস করবে না এমনটা হতে পারে না। আর এটা কমিশন খুব ভালো করে জানে। আর তাই ১০০ কোম্পানি বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। সিপিএমের অত্যাচারের থেকেও বেশি তৃণমূল অত্যাচার করছে। মানুষ ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন আনবেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “আমেঠির মতো রাহুলের পরিণতি হবে এখানেও”, বললেন ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী

    Lok Sabha Elections 2024: “আমেঠির মতো রাহুলের পরিণতি হবে এখানেও”, বললেন ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমেঠির মতো রাহুলের পরিণতি হবে এখানেও।” সোমবার কথাগুলি বললেন কেরলের ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী কে সুরেন্দ্রন। ওয়েনাড় লোকসভা (Lok Sabha Elections 2024) কেন্দ্রে রাহুলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেরল বিজেপির এই রাজ্য সভাপতি। রাহুলকে হারানোর বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

    আমেঠিতে হেরেছেন রাহুল (Lok Sabha Elections 2024)

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের আমেঠি ও কেরলের ওয়েনাড় এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। দীর্ঘদিন গান্ধী পরিবারের দখলে থাকা এই কেন্দ্রের রশি হাতছাড়া হয় গত লোকসভা নির্বাচনে। এই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হন রাহুল। চার লাখেরও বেশি ভোটে গান্ধী পরিবারের এই সদস্য জয়ী হন ওয়েনাড়ে। এবারও ওয়েনাড়েই প্রার্থী হয়েছেন (Lok Sabha Elections 2024) রাহুল।

    কী বলছেন ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী? 

    তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন সুরেন্দর। তিনি বলেন, “আমেঠিতে রাহুলের যে দশা হয়েছিল, সেই একই দশা হবে ওয়েনাড়েও।” ওয়েনাড়ে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক সিপিআইয়ের প্রার্থী অ্যানে রাজাও। ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে বাজিমাত করবে বিজেপিই। অন্তত এমনই আশা গেরুয়া শিবিরের। ওয়েনাড়ের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “এই লোকসভা কেন্দ্রে উন্নয়ন সেভাবে হয়নি। এই কেন্দ্রের জন্য রাহুল কিছুই করেননি। গত লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে তাঁর পরিণতি যা হয়েছিল, ওয়েনাড়েতেও তা-ই হবে।”

    আরও পড়ুুন: চন্দ্রনাথের বাড়িতে উদ্ধার ৪১ লাখ, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রীকে তলব ইডির

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল পরাস্ত করেছিলেন সিপিআইয়ের পিপি সুনীরকে। হারিয়েছিলেন সাড়ে চার লাখেরও বেশি ভোটে। সেবার ওয়েনাড়ে বিজেপি নয়, প্রার্থী দিয়েছিল এনডিএর শরিক দল ভারত ধর্ম জন সেনা। এই দলের ঝুলিতে পড়েছিল মাত্রই ৭৮ হাজার ৮১৬ ভোট। এবার প্রার্থী দিয়েছে খোদ বিজেপিই। সুরেন্দ্রন বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার ওপর ভরসা করেছেন। তাঁরা আমায় ওয়েনাড়েতে লড়তে বলেছেন। ওয়েনাড়ের ভোটাররা নিশ্চয়ই প্রশ্ন করবেন, ইন্ডি জোটের শরিকরা কেন একই কেন্দ্রে সম্মুখ সমরে।” ওয়েনাড় কেন্দ্রটি পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে রয়েছে নানা সমস্যা। তার মধ্যে একটি হল মানুষ এবং পশুর লড়াই। এই ইস্যুতেই কংগ্রেস কুপোকাত হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা রাখেননি দেব, ঘাটালে পড়ল পোস্টার, শোরগোল

    Dev: ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা রাখেননি দেব, ঘাটালে পড়ল পোস্টার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিকাঠামো উন্নয়নে স্কুলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev) ওরফে দীপক অধিকারী। কথা রাখেননি বিদায়ী সাংসদ। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে পড়ল পোস্টার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়েছে।

    ৫০ লক্ষ টাকা স্কুলকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন দেব (Dev)

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পুরসভা এলাকায় রয়েছে ‘খড়ার সূর্যকুমার হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়’। সেই স্কুল বিল্ডিং-এর বেহাল দশা। পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। এ কথা জানতে পেরে গত বছরের ৮ অক্টোবর খড়ারে স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দেব (Dev)। সেখানেই তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কয়েক মাস কেটে গেলেও দেবের কথা দেওয়া টাকা এখনও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও কেন টাকা দেওয়া হল না, সেই অভিযোগ তুলেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে এলাকায়। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘হিরণ জিতে দেবে টাকা।’

    আরও পড়ুন: ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের

    স্কুল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    এই প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগেই দেব (Dev) দাবি করেছেন যে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট সময়ে। তবে, এখনও সেই টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ পায়নি। টাকা যে এখনও পর্যন্ত দেব স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেননি, তা স্বীকার করেছেন স্কুল পরিচালন কমিটি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। সেই কারণেই বিজেপি দাবি করেছে যে, দেব কথা রাখেননি। কয়েকদিন আগে প্রচারে এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলে দেব বলেন, বিষয়টি মাথায় আছে। টাকা দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, আমরা  রাজনীতি বুঝি না, শুধু দ্রুত উন্নয়ন চাই স্কুলের।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, আমি নিজে টাকা জোগাড় করেছিলাম, কিন্তু তৃণমূল ধমকে-চমকে সেই টাকা নিতে নিষেধ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ভোটের জন্য এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও লাভ হবে না। পরবর্তীতে এসব নিয়ে আন্দোলন আরও বড় হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব”, কেন্দ্র বদলেও স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব”, কেন্দ্র বদলেও স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কেন্দ্রের বদল ঘটেছে। আগের বার ২০১৯ সালের লোকসভার ভোটে মেদিনীপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন এই নেতা। এবার তাঁর কেন্দ্রের বদল ঘটেছে। এবার তিনি লড়বেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে। তবে কেন্দ্র বদলে তৃণমূলের কটাক্ষকে পাল্টা নিজের স্বমেজাজে উত্তর দিয়ে বলেন, “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব।”

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে মেদিনীপুরের প্রার্থী হয়েছেন জুন মালিয়া। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পল। মূলত মহিলা প্রার্থীর বিরুদ্ধে মহিলা প্রার্থী দিয়ে বিজেপি নির্বাচনী লড়াইকে বিরাট চমক দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অপর দিকে বিজেপির দক্ষ সংগঠক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) দলের নির্বাচনী কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে বলেন, “যেখানে আমি লড়ব সেটাই আমার কেন্দ্র। আর সেখানেই আমি জিতব। দল সেই কারণে আমাকে ওখানে পাঠিয়েছে। আমি সংগঠনকে গ্রামেগঞ্জে নিয়ে গিয়েছি। আমরা সকলে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য লড়াই করার ময়দানে নেমেছি। ফলে সব জায়গাতে আমাদের নির্বাচনী লড়াই করতে হবে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমি কোনভাবেই যাবো না।” তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন আজই আমি নির্বাচন কেন্দ্র দুর্গাপুর যাবো।

    আরও পড়ুনঃ চিন থেকে ঋণ নেওয়াই কি কাল হল দেশটির? কী বললেন মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

    টিকিট প্রত্যাশিত ছিল

    ২০১৯ সালে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভার নির্বাচনে লড়াই করে ১ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এই কেন্দ্রের প্রতি বুথে বুথে সংগঠন তৈরি করেছিলেন তিনি। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তিনি এই কেন্দ্রেই নিজের টিকিট প্রত্যাশা করেছিলেন। এমনকী নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে সেই কথা জানিয়েও ছিলেন। কিন্তু দলের ইচ্ছেতে তাঁকে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকেই লড়তে হচ্ছে। অবশ্য কেন্দ্র বদলে জয়ের বিষয়ে বিন্দু মাত্র চিন্তিত নন। তিনি বলেন, “মোদিজির সৈনিক হিসাবে যে কোনও জায়গা থেকে লড়াই করতে বললে পিছু পা হবো না।” অপর দিকে মেদিনীপুর তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া বলেছেন, “দিলীপদা মানসিক চাপে রয়েছেন।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের  

    Barrackpore: ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে পুজো দিয়ে নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বারাকপুরের (Barrackpore) বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। গতকাল চতুর্থ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এরপর আজ থেকেই প্রচারে নেমে পড়লেন বিজেপি প্রার্থীরা। তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করে নির্বাচনে জয়ের সঙ্কল্প নিলেন অর্জুন। তিনি বললেন, “মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব।” পাল্টা তৃণমূল কটাক্ষ করেছে বিজেপিকে।

    কী বললেন অর্জুন সিং (Barrackpore)?

    বারাকপুরের (Barrackpore) বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, মা আমাকে সফল করুন। যত অসুর শক্তি আছে, তাদের নাশ করবেন।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “পার্থ ভৌমিক এই এলাকার ভূমিপুত্র নন। ভূমিপুত্র হলে নৈহাটি ছেড়ে সোদপুরে যেতেন না। তাঁর বাড়ি ওখানেই। নৈহাটিতে মোহভঙ্গ হয়েছে তাই বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকেন। এই শিল্পাঞ্চলের মানুষ ২০১১ থেকে ভূমিপুত্র হিসাবে অর্জুনকেই পেয়েছেন। মানুষের সুখে দুঃখে আমাকেই পায় কাছে। তাই মায়ের কাছ থেকে আমার উপর আশীর্বাদ যেন বর্ষিত হয়।”

    আর কী বললেন?

    বারাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী অর্জুন আরও বলেন, “আমার পরিবার ১৪০ বছরের পরিবার। এই এলাকায় আমরা ১৪০ বছর ধরে মানুষের সেবা করে আসছি। এই এলাকার মানুষের আশীর্বাদ আমার উপরে থাকবে।” অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, “৪ জুন ফলাফল আসবে। অর্জুন সিং নিজে চোখে সর্ষে ফুল দেখবেন।”

    উল্লেখ্য তৃণমূলের ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় বারাকপুরের প্রার্থী হিসাবে পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময়ে অর্জুন বলেন আমার সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করা হয়েছে। আগে জানতে পারলে আসতাম না সভায়। কিন্তু অর্জুন সিং প্রথম বারের জন্য ২০১৯ সালে সাংসদ হয়েছিলেন বিজেপির টিকিটেই। পরে ২০২১ সালের পর নিজে আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলের ফিরে যান। কিন্তু ফের এবার লোকসভার আগে তৃণমূল থেকে টিকিট না পেয়ে আরেকবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। লোকসভা নির্বাচনের আবহে বারাকপুর  এখন বেশ সরগরম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কর্মীদের সঙ্গে আবির খেলে, দেওয়াল লিখন করে চুটিয়ে জনসংযোগে রানিমা অমৃতা রায়

    Nadia: কর্মীদের সঙ্গে আবির খেলে, দেওয়াল লিখন করে চুটিয়ে জনসংযোগে রানিমা অমৃতা রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রানিমা অমৃতা রায় বিজেপিতে যোগ দেন। সেই রানিমাকে এবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রার্থী করল বিজেপি। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই গেরুয়া আবির নিয়ে খেলায় মেতে উঠলেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রানিমা। রাজবাড়ির চত্বরে দেখা গেল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকদের। সকলের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় সহ গেরুয়া আবিরে হোলি খেললেন তিনি। এমনকী রং তুলি হাতে দেওয়াল লিখতেও দেখা গেল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে।

    কলকাতার লা মার্টিনের ছাত্রী রানিমা (Nadia)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অমৃতার জন্ম ১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে। তাঁর স্বামী সৌমিশ চন্দ্র রায়। তিনি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ৩৯তম কুলবধূ। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সময় কাল থেকে ধরলে অমৃতা রায় নবম কুলবধূ। নদিয়া (Nadia) রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের নবম পুরুষ সৌমিশ চন্দ্র রায়। তাঁরই স্ত্রী অমৃতা। আর অমৃতা রায়ের একমাত্র পুত্র মণীশ চন্দ্র রায়। তিনি পেশায় আইনজীবী। অমৃতার স্বামী এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ঐতিহ্যের সম্পত্তি দেখভালের জন্য লন্ডনে থাকাকালীন স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে কৃষ্ণনগরে চলে আসেন তিনি। বর্তমানে কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি কলকাতা বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডেও বসবাস করেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। শিক্ষা ক্ষেত্রে রানিমা বিড়লা উইমেন্স কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন তিনি। লা মার্টিন স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন অমৃতা। কলেজ পাশ করার পর মন্তেশ্বরী দেবী শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও ধন্তেশ্বরী টিচার্স ট্রেনিং স্কুল তৈরি করেন। শিল্পকলার অত্যন্ত পৃষ্ঠপোষক অমৃতা রায়। ডেকোরেশনের বিষয়েও তাঁর যথেষ্ট পারিদর্শিতা রয়েছে বলে জানা যায়। এক্ষেত্রে ইন্টিরিয়র ডেকোরেশনে তিনি বিশেষ পারদর্শী অমৃতা রায়। ক্রিয়েটিভ ডিজাইন নিয়েও কনসালট্যান্টের কাজ করেছেন তিনি। অমৃতা রায়ের বাবা কিশোরপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজতন্ত্র উঠে যায়। তবুও, আজও রাজবাড়ি ঘিরে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণনগরের মানুষের।

    আরও পড়ুন:’নিজের মনে করেই সকলে আবির মাখাচ্ছে’, দোলে জনসংযোগ করে বললেন সুকান্ত

    দোল উৎসবে রাজবাড়িতে কর্মীদের সঙ্গে আবির খেললেন রানিমা

    এদিন সকাল থেকে রানিমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি কর্মীরা। রাজবাড়ির মধ্যে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। এ বিষয়ে রাজবধূ অমৃতা রায় বলেন, দোল উৎসবের এই শুভদিনে সকলের মঙ্গল কামনা প্রার্থনা করি। তবে, দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি একটা জায়গা খুঁজছিলাম। সেই বৃহত্তর একটা জায়গা আমি খুঁজে পেলাম। বিগত দিনে আমাদের বংশধররা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, ঠিক সেইভাবে আমিও মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার দলের স্ট্যাটেজি যাই হোক আমি একজন সাধারণ মানুষ হয়েই মানুষের পাশে থাকবো। এদিনের বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে আবির খেলায় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস সহ একাধিক দলীয় নেতৃত্বরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: রানিমার নাম ঘোষণা হতেই দেওয়ালে লিখন শুরু, রাজবাড়ীতে বিজেপির উচ্ছ্বাস

    Krishna Nagar: রানিমার নাম ঘোষণা হতেই দেওয়ালে লিখন শুরু, রাজবাড়ীতে বিজেপির উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar) লোকসভায় রানিমার নাম ঘোষণা হতেই দেওয়ালে রঙ তুলি দিয়ে লিখন শুরু। গতকাল বিজেপির চতুর্থ প্রার্থী তালিকায় বাংলায় ১৯ আসনের নাম ঘোষণা হয়েছে। এই তালিকায় কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে রানীমা অমৃতা রায়ের নাম ঘোষণা হতেই রাজবাড়িতে কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেল। রাজবাড়িতে গেরুয়া আবিরে হোলি খেললেন সকলে মিলে। একই সঙ্গে দেওয়াল লিখনে অংশ গ্রহণ করলেন রানিমা। সেই সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীকে দিলেন হুঙ্কার।

    কী বলেন বিজেপি প্রার্থী রানি মা (Krishna Nagar)

    কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) বিজেপি প্রার্থী রানিমা অমৃতা রায়, তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রচার করার অনেক ইস্যু রয়েছে। সব কিছুকেই তুলে ধরব আমরা। জয় বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত।” এই রানিমার জন্ম ১৯৬১ সালে। তিনি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ৩৯ তম কুলবধূ। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় ধরলে তিনি নবম কুলবধূ। পরিবারের নবম পুরুষ হলেন সৌমিশ চন্দ্র রায়। তাঁর স্ত্রী হলেন অমৃতা। তাঁর একমাত্র পুত্র মনীশ চন্দ্র রায়। পুত্র পেশায় একজন আইনজীবী। তাঁর স্বামী এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন। রাজবাড়ির সম্পত্তি দেখার জন্য স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে কৃষ্ণনগরে চলে আসেন।

    রানিমার পড়াশুনা

    রানিমা অমৃতা রায় কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) পাশাপাশি বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একটি বাড়িতেও থাকেন। তিনি বিড়লা উইমেন্স কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন। লামার্টিন স্কুলে পড়াশুনা করেছেন। কলেজ শেষ করে মন্তেশ্বরী দেবী শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও ধন্তেশ্বরী টিচার্স ট্রেনিং স্কুল তৈরি করেন। শিল্পকলায় নিজে অসাধারণ পারদর্শী ছিলেন। ক্রিয়েটিভ ডিজাইনের উপর অনেক কাজ করেছেন। তাঁর বাবা ছিলেন কিশোর প্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে দলে যোগদান করেছেন রানিমা। এবার লোকসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share