Tag: bjp

bjp

  • Arjun Singh: “সন্দেশখালি থেকে ইডি-র ট্রেন যাবে এবার নৈহাটি”, পার্থকে নিয়ে ফের বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: “সন্দেশখালি থেকে ইডি-র ট্রেন যাবে এবার নৈহাটি”, পার্থকে নিয়ে ফের বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে খাসতালুক ভাটপাড়ায় ফিরে ফের বিস্ফোরক অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শনিবার মজদুর ভবনে বসে বারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে কড়া আক্রমণ করলেন অর্জুন। তিনি বলেন, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরার সঙ্গে মিলে পার্থ ভৌমিক নৈহাটিতে কত জমি কিনেছেন, হোটেল কারবার, মাছের ব্যবসা রয়েছে, সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। সন্দেশখালি থেকে ইডি-র ট্রেন এবার নৈহাটিতে যাবে। আমি যা বলছি সমস্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়েই বলছি। একজন স্কুল শিক্ষকের ছেলে কী করে পাঁচটা পেট্রোল পাম্পের মালিক হল? নাম না করে তিনি পার্থ ভৌমিককেই ইঙ্গিত করেছেন।

    নৈহাটিতে পার্থকে হারানোর চ্যালেঞ্জ জানালেন অর্জুন (Arjun Singh)

    অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, দল কাকে টিকিট দেবে তা আমি জানি না। দল যাকেই প্রার্থী করুক না কেন, আমি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে কাজ করব। তবে, এটুকু আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, নৈহাটির বুকে আমি পার্থ ভৌমিককে হারাব। তিনি আরও বলেন, পুলিশ দিয়ে আমাদের কর্মীদেরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দলীয় কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার কেস দেবে। সন্ত্রাস করে ওরা সব কিছু দখল করার চেষ্টা করবে। পুলিশ দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। যেসব পুলিশ অফিসাররা এই সমস্ত কাজে যুক্ত থাকবে, তাদের তালিকা তৈরি করে  সংশ্লিষ্ট দফতরে আমি জানাবো। এই ধরনের কাজ আমরা মেনে নেব না। তৃণমূল প্রার্থীর হাল দেখে আমি হতবাক। তিনি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এখানকার মন্ত্রীর এমন অবস্থা যে নির্বাচনের এজেন্টের জন্য আমার এক ভাইপোর নাম নিতে হচ্ছে। ভোটে লড়াই করতেও অর্জুনের নাম নেওয়া ছাড়া গতি নেই। তৃণমূল দলে লোকই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ভোটারের পরিবর্তে কর্মীদের ঘরে ঘরে যেতে ব্যস্ত তৃণমূল প্রার্থী

    অর্জুন (Arjun Singh) আরও বলেন, তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তিনি শুধু ভোটারদের পরিবর্তে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এখন ঘর গোছাতেই ব্যস্ত তিনি। কারা দল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন সেই আতঙ্কে ভুগছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। আমি টিকিটের জন্য দল ছেড়েছি না, কী কারণে দল ছেড়েছি সেটা এবার প্রমাণ হয়ে যাবে। তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে বালি মাফিয়ারা পোস্টার ছাপিয়েছেন। লোটোর কারবারের মালিক পোস্টার মারছেন। তৃণমূল প্রার্থী দুর্নীতিগ্রস্ত কতটা সেটা বোঝাই যাচ্ছে। উন্নয়নের নিরিখে ভোট হলে কে জয়ী হবে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আসলে বারাকপুরে সিন্ডিকেটরাজ বন্ধ করতে, সন্ত্রাস বন্ধ করতে, তোলাবাজি বন্ধ করে বারাকপুরবাসী পাশে থাকতে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও পার্থ ভৌমিক বলেন, হলফনামায় সব কিছু উল্লেখ থাকবে। ফলে, এসব কথা বলে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অভিযোগ শুনতে বিজেপি-র শিবির

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মানুষের অভিযোগ শুনতে বিজেপি-র শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনী। তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে পুলিশের কাছে বহুবার অভিযোগ জানাতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল বাসিন্দাদের। পরে, সন্দেশখালিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হলে গ্রামে ক্যাম্প করেছিল পুলিশ। এবার বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে হাইকোর্টের আইনজীবীরা সন্দেশখালিতে শিবির করলেন।

    শিবিরে অভিযোগ জানাতে ভিড় (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিবাসীর অভিযোগ জানতে শিবির করতে চেয়ে কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল বিজেপি। আদালতের নির্দেশে এই শিবির করছেন প্রিয়ঙ্কারা। মূলত শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানতে শিবির করল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে ২০ জন আইনজীবী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আগারাটি বিটপোল বাজার এলাকায় শিবির করেছেন। শনিবার সকাল থেকে সেই শিবিরে ভিড় দেখা গিয়েছে। কারও অভিযোগ সরাসরি সন্দেশখালির সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে। কারও আঙুল শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের দিকে।

    কী বললেন বিজেপি নেত্রী?

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জমি দুর্নীতি থেকে নারী নির্যাতনের নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। জমি সংক্রান্ত অভিযোগ জানতে রাজ্য সরকারের ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফেও শিবির হয়েছে সন্দেশখালিতে। অভিযোগ জানতে দুয়ারে সরকার শিবিরের মতো মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েও অভিযোগ-অনুযোগ নথিবদ্ধ করেছেন সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের শাসকদলের তরফে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিজেপিও শিবির করল সন্দেশখালিতে। বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। সন্দেশখালিতে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা আমরা দেখতে চাই। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছেন। তাঁদের বিশ্বাস যে, আমরা তাঁদের জন্য কিছু করব।”

    শাহজাহানের সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুললেন এক বাসিন্দা

    শনিবার ওই শিবিরে পৌঁছে নানা অভিযোগ করছেন গ্রামবাসীরা। তবে বেশির ভাগই জমি দখলের অভিযোগ। মালতি মাহালি নামে এক মহিলা বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের একটি জমি দখল করে নেন শাহজাহানের অনুগামীরা। আমার স্বামী দুলাল মাহালি সেই জমি উদ্ধার করতে শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে বলা হয়েছিল ট্যাংরামারি স্কুলে দেখা করতে। কিন্তু, তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। ওই মহিলার অভিযোগ, স্বামীর খোঁজে একাধিক বার শাহজাহানের কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানায় অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিন ফের অভিযোগ করলাম এই শিবিরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বিজেপির ‘পরামর্শ বাক্স’ চালু আলিপুরদুয়ারে

    Alipurduar: সাধারণ মানুষের মতামত জানতে বিজেপির ‘পরামর্শ বাক্স’ চালু আলিপুরদুয়ারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের জন্যই দেশে তৈরি হয় সরকার। সেই সরকার মানুষের উন্নয়নেই কাজ করে। তাই এবার দেশের সাধারণ মানুষ তাঁদের নিজেদের এলাকায় কী ধরনের উন্নয়নের আশা করেন, বা তাঁদের চাওয়া-পাওয়া জানতে বিজেপি-র উদ্যোগে চালু করা হল “পরামর্শ বাক্সের”। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা বিজেপি কার্যালয়ের বাইরে এই বক্সের উদ্বোধন করেছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা জেলা বিজেপির সভাপতি মনোজ টিগ্গা।

    “পরামর্শ বাক্সের” কাজ কী? (Alipurduar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরের চা-শিল্পকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই এই পদক্ষেপ শুরু করা হচ্ছে। এই বাক্সগুলিতে সাধারণ মানুষ নিজেদের এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন। যা রাজ্য দফতর হয়ে পৌঁছে যাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আগামীদিনে সেই সমস্ত পরামর্শ বিচার বিবেচনা করেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) উন্নয়নের কাজের রূপরেখা তৈরি করবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, “ পরামর্শ বাক্সে মানুষ কি চাইছেন সেই বিষয়ে আমরা মতামত নেব। নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের আগে পর্যন্ত এই মতামত নেওয়া হবে। জেলার সব মণ্ডলে এই পরামর্শ বাক্স থাকবে।“ এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি জানিয়েছেন শুক্রবার থেকে বিজেপির মণ্ডল চলো অভিযান শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচীতে জেলা বিজেপির কার্যকর্তারা প্রত্যেক মণ্ডলে গিয়ে রাত্রি যাপন করবেন। সেখানকার মানুষদের অভাব অভিযোগ শুনবেন। এছাড়া আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কারা প্রচারে আসতে পারেন?

    আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে তৃণমূল ও বিজেপির ঘোষিত দুই প্রার্থীর কাছেই এবারে লড়়াই জমে উঠেছে। বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা একদিকে বিধানসভার পরিষদীয় দলের মুখ সচেতক তথা মাদারিহাটের বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে আলিপুরদুয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় প্রচারে আসবেন বলে জানিয়েছেন খোদ প্রার্থীই। অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গার হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, যোগী আদিত্যনাথ এর মত নেতাদের প্রচারে চেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘হিসেব খুললে কেউ মুখ দেখাতে পারবে না’’, বন্ড-ইস্যুতে বিরোধীদের তুলোধনা অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘হিসেব খুললে কেউ মুখ দেখাতে পারবে না’’, বন্ড-ইস্যুতে বিরোধীদের তুলোধনা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলেক্টোরাল বন্ড স্বচ্ছ, এমনই মন্তব্য করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বিরোধীদের নিশানা করে তিনি আরও বলেন, ‘‘হিসেব খুললে কেউ মুখ দেখাতে পারবে না।’’ এর পাশাপাশি এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসক তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শাহ। রীতিমতো পরিসংখ্যান পেশ করে তুলোধনা করেন বিরোধীদের। ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ-২০২৪’-র একটি মঞ্চে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড পেয়েছে। সব মিলিয়ে ২০ হাজার কোটির বন্ড বিক্রি হয়েছে। তাহলে ১৪ হাজার কোটি টাকার বন্ড কোথায় গেল? তৃণমূল ১৬০০ কোটির বন্ড পেয়েছে, কংগ্রেস ১৪০০ কোটির বনড পেয়েছে, বিআরএস ১২০০ কোটির বন্ড পেয়েছে, বিজেডি ৭৭৫ কোটির বন্ড পেয়েছে আর ডিএমকে ৬৩৯ কোটির বন্ড পেয়েছে।’’

    বিরোধীদের তুলোধনা

    তাঁর (Amit Shah) আরও সংযোজন, ‘‘১৩ রাজ্যে আমরা ক্ষমতায়, লোকসভায় আমাদের ৩০৩ সাংসদ, আমাদের সদস্য সংখ্যা ১১ কোটি। সেই অনুপাতে দেখতে গেলে যদি তৃণমূল যদি আমাদের মতো বড় দল হত, তাহলে তারা যুক্তির খাতিরে ২০ হাজার কোটির বন্ড পেত, বিআরএস পেত ৪০ হাজার কোটির বন্ড আর কংগ্রেস পেত ৯ হাজার কোটির বন্ড। আমার বক্তব্য, ৩০৩ সাংসদের দল হয়ে আমরা ৬০০০ কোটির বন্ড পেয়েছি, আর বাকি ২৪২ সাংসদের দলগুলি পেয়েছে ১৪০০০ কোটির বন্ড।’’

    ইলেক্টোরাল বন্ড ভারতীয় রাজনীতি থেকে কালো ধন (টাকা) হটানোর লক্ষ্যে আনা হয়েছে

    অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, ‘‘ইলেক্টোরাল বন্ড ভারতীয় রাজনীতি থেকে কালো ধন (টাকা) হটানোর লক্ষ্যে আনা হয়েছে। আমাকে কেউ এটা বলুক, ইলেক্টোরাল বন্ডের আগে কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলি চাঁদা পেত? বন্ডে কীভাবে টাকা আসে? সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজের চেক ব্যাঙ্ককে দিয়ে একটি বন্ড কেনে এবং নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে দিয়ে থাকে। এখানে গোপনীয়তার প্রশ্ন উঠছে। আর যখন নগদে চাঁদা আসত, তখন কী হত? সেই সময় কারও নাম প্রকাশ্যে এসেছে?’’

    নিশানা রাহুল গান্ধীকেও

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক লাভ হয়েছে। কারণ বিজেপি ক্ষমতায় আছে… রাহুল গান্ধী তো অভিযোগ করেছেন যে এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মাধ্যম এই ইলেক্টোরাল বন্ড। জানি না, কে রাহুল গান্ধীকে এই ধরনের কথা লিখে দেয় এবং তা তিনি বলেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন”, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    BJP: “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন”, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিপ্লব মিত্র মন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীই থাকুন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংসদ হওয়ার পিছনে কেউ ছোটে নাকি? তৃণমূলের অনেকেই চাইছেন সুকান্ত মজুমদার জিতুন। তাই তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাতেও যাচ্ছেন না অনেকে।” এমনই মন্তব্য বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের। বুনিয়াদপুরের সুকান্ত ভবনে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের গরহাজির থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই সভায় বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র নিজের অনুগামীদের দিয়েই ঘর ভরান বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান গরহাজির

    তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতারাও চাইছেন, সুকান্ত জিতুন। তাই দলীয় বৈঠকেও যোগ দিচ্ছেন না তাঁরা।” যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সেদিন ব্যক্তিগত কাজে অনেকে সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতেই সুকান্ত ভবনে তৃণমূলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল সহ অনেক নেতা ছিলেন। উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে অর্ধেকের বেশি পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান গরহাজির ছিলেন। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী সহ বিপ্লব বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাকেই ওই সভায় দেখা যায়নি। গত কয়েক বছর ধরে বিরোধী শিবিরকে কোণঠাসা করার অভিযোগ রয়েছে বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে। তাই লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লববাবু প্রার্থী হতেই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে বলে এদিন কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত (BJP)।

    কী বলল তৃণমূল, কী জবাব সুকান্তের? (BJP)

    বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “সুকান্তবাবু এবার কয়েক লক্ষ ভোটে হারবেন। তিনি জেলার জন্য কোনও কাজ করেননি। তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী নেই। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী।” এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “বিপ্লব মিত্র দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। তিনি গত বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছেন, আবার তিনি সাংসদ পদে প্রার্থী হয়েছেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সাংসদ পদের পিছনে কেন ছুটছেন? মন্ত্রী আছেন, মন্ত্রীই থাকুন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শাহজাহান, উত্তম ও শিবুদের বাঁচাতে, বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শাহজাহান, উত্তম ও শিবুদের বাঁচাতে, বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাতেই দিল্লির উদ্দেশে তিনি রওনা দেবেন। তার আগেই বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সন্দেশখালির শাহজাহানের সঙ্গে পার্থর সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর নৈহাটিতে ইডি অভিযান হবে বলেও ইঙ্গিত দিলেন বারাকপুরের সাংসদ।

    পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে শাহজাহান যোগ! (Arjun Singh)

    সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় বিঘার পর বিঘা জমি, একের পর এক ভেড়ি, প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে শেখ শাহজাহানের। এটা সকলের কমবেশি জানা। ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সিবিআই হেফাজতে থাকা সন্দেশখালির সেই শেখ শাহজাহানের প্রসঙ্গ টেনে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, “নৈহাটিতে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিঘার পর বিঘা জমি কেনা রয়েছে। পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাদের বাঁচাতে। ওদের সম্পত্তির সঙ্গে বিধায়ক যুক্ত কিনা, সেটা দেখতে হবে। যতদুর জানি, মামুদপুর, পলাশী মাঝিপাড়া এবং জেটিয়া এলাকায় শাহজাহানের প্রচুর জমি রয়েছে। আর রাজারহাটে ১৩ বিঘা জমি শেখ শাহজাহানের সঙ্গে কার নামে রেজিস্টারি আছে তার প্রমাণ আর কিছুদিনের মধ্যেই দিয়ে দেবো। ২০২৪-এ লোকসভায় বিজেপি যদি আমাকে প্রার্থী করে তাহলে আমি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝিয়ে দেব। “এরপরই তিনি বলেন, “নৈহাটিতে খুব শীঘ্রই ইডি আসছে। আপনারা দেখতে পাবেন।” তবে, ই়ডি নৈহাটিতে কোথায় যাবেন তা তিনি খোলসা করেননি। শাহজাহানের সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও দাবি অর্জুনের।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত, গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ

    কী বললেন পার্থ?

    নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকই বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন অর্জুন। কেন লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরেও দেন তিনি। অর্জুন (Arjun Singh) ফের বিজেপিতে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্তও নেন। আর তারপরই পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুনের। যদিও পার্থ ভৌমিক অর্জুনের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “এতদিন কেন একথা বললেন না? আর দলের নির্দেশ মেনেই সন্দেশখালি গিয়েছিলাম।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূলে মোহভঙ্গ! কেষ্ট গড়ে বহু সংখ্যালঘু পরিবার যোগদান করল বিজেপিতে

    Birbhum: তৃণমূলে মোহভঙ্গ! কেষ্ট গড়ে বহু সংখ্যালঘু পরিবার যোগদান করল বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই কেষ্ট গড়ে ধাক্কা খেল তৃণমূল। তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বীরভূমে (Birbhum) শক্তি বাড়াল বিজেপি। ভোটের মুখে বহু সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন। স্বাভাবিকভাবে বিজেপি কর্মীরা উজ্জীবিত।

    তৃণমূল দলটাতে শুধুই দুর্নীতি (Birbhum)

    বীরভূম (Birbhum) জেলার দুবরাজপুর পুরসভার ৭, ৯, ১০, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ টি সংখ্যালঘু পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। এদিন দুবরাজপুর শহর মণ্ডল বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা। এদিনের যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টুটুন নন্দী, সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি মোতাহার খান, সহ সভানেত্রী রুবিনা বিবি, টিকলু খান, শহর মণ্ডল সভাপতি করুণাময় মুখোপাধ্যায়, গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মহম্মদ হামিদ খান ওরফে ভাসান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে আসছি। কিন্তু, আমরা তৃণমূল দলে থেকে কিছু পাইনি। তৃণমূল দলটাতে শুধুই দুর্নীতি। বেকার ছেলেরা কিছু পায় না। আমার সঙ্গে যাঁরা বেকার ছেলেরা রয়েছে তাঁদেরও কিছু দেয়নি এই তৃণমূল দল। তাই, আমরা বিজেপিতে যোগদান করলাম। যদিও বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে চাননি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি-র বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, দুবরাজপুর পুরসভার ৪ টি ওয়ার্ডের ২০ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। তৃণমূল দলে যাঁরা এতদিন ছিল এবং ভেবেছিল দল তাঁদের পাশে থাকবে। কিন্তু, তা হয়নি। কারণ, দুবরাজপুর শহরের নেতারা যে ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতি করছে তাতে মানুষ সোচ্চার হয়েছে। তৃণমূলে মোহভঙ্গ হয়েছে। তারজন্যই বিজেপিতে যোগদান করছে। আগামীদিনে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগদান করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipur Duar: “মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক”, নির্বাচনী প্রচারে আশ্বাস জন বার্লার

    Alipur Duar: “মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক”, নির্বাচনী প্রচারে আশ্বাস জন বার্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে নামবেন আলিপুর দুয়ারে (Alipur Duar) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা (John Barla)। উল্লেখ্য আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যের মোট ২০টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে। ইতি মধ্যে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং প্রচারে নেমে পড়েছেন। নিজের কেন্দ্রে টিকিট না মেলায় প্রথমে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও এরপর দলের হয়ে প্রচারে নামার আশ্বাস দেন জন বার্লা। তিনি বলেন, “দলের নির্দেশে কাজ করব।”

    কী জানালেন বার্লা (Alipur Duar)?

    আলিপুর দুয়ার (Alipur Duar) জংশন স্টেশন সংলগ্ন একটি রেলের অনুষ্ঠানে যোগদান করে জন বার্লা (John Barla) বলেন, “আমার পরিবার মোদি পরিবার। আমার পরিবার বিজেপির পরিবার। এত বড় পরিবারে কখনও কখনও তু তু ম্যায় ম্যায় বা মন কষাকষি হতেই পারে। পরিবারে কিছু হলে সমালানোর দায়িত্ব আমার। মনোজ আমার ভাই, আমি ওঁর অভিভাবক। দলের সকল প্রার্থীর জন্য প্রচার করব। মনোজ সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জয়ী হবে। আগামী দিনে এই এলাকা আমি সামলাবো। এই এলাকার উন্নয়ন জন বার্লাই করবে।”

    বিজপির বক্তব্য

    বিজেপির ফালাকাটার বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ বলেন, “বিজেপি কোনও নেতাকে ছুঁড়ে ফেলে না। জন বার্লাকে নিশ্চয়ই কোনও বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে।” বিজেপির একাধিক নেতা আরও বলেন, তাঁকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন। তবে দিল্লি যাওয়া নিয়ে বার্লা (John Barla) নিজে কিছু না বললেও বিজেপ সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।

    মনোজ টিগ্গার বক্তব্য

    আলিপুর দুয়ার (Alipur Duar) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, “জন বার্লা (John Barla) আমার অবিভাবক, এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে জয়ী করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।” অপর দিকে তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “বিজেপিকে হারাতে আমরা সব রকম চেষ্টা করব। এই চা বাগান পরিমণ্ডলে এই বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একদম সত্য।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতর থেকে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত নিপীড়িত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিষ্টান, শিখ, পারসি ধর্মের মানুষেরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিএএ-এর বিরুদ্ধে নিজের বিভ্রান্তিকর মতকে প্রচার প্রসার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই বার মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি ইস্তফা দেব।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সিএএ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপপ্রচার করছেন। সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করে আইনকে ভুল ব্যাখ্যা করছেন। এই নিয়ে তাঁকে তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ একই ভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “জাতীয় নিরপাত্তার বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেত্রী রাজনীতি করছেন। আপনি তোষণের রাজনীতি করছেন। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে না চাইলে আপনার পাশে কেউ থাকবে না। সিএএ চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবো। না হলে আপনি দেবেন তো? সিএএ লাগু হয়েছে কাউর নাগরিকত্ব যাবে না।”

    উদ্বাস্তু মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে অপপ্রচার

    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধিতা করেছেন বলে মমতাকে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। মমতা হাবড়ার সভা থেকে বলেন, “সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসি যুক্ত। আপনারা আবেদন করলেই নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে। এটা এনআরসির সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনাদের ডিটেনশেন ক্যাম্পে নিয়ে যাবে। এই আবেদন করতে গেলে বারবার ভাববেন।” উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের আমলে সংসদে রাজ্যের অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে পার্লামেন্টে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সিপিএম বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে রাজ্যে সরকার গড়ে, এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার আগে উদ্বাস্তু মতুয়া নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিয়ে কথা বললেও, মা মাটির সরকার গঠনের পর নাগরিকত্ব নিয়ে একবারে উল্টো মেরুতে অবস্থান করছেন বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    Arjun Singh: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কথা দিয়ে কথা রাখেনি তৃণমূল।” বারাকপুর লোকসভায় পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণার পরই প্রকাশ্যে সেকথা বলেছিলেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং (Arjun Singh)।  পরে, পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তবে, কোন দলের হয়ে তিনি ভোটে লড়াই করবেন তা নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি। তাঁর হুঁশিয়ারি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন অর্জুন।

     

    বিজেপিতে অর্জুন! (Arjun Singh)

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরই দলের প্রতি ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন অর্জুন (Arjun Singh)। পরে, ভাটপাড়ার মজদুর ভবন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগানো হয়। তারপর থেকেই একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, অর্জুন বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন। তবে, অর্জুন প্রকাশ্যে তা বলেননি। বৃহস্পতিবার অর্জুন সিং বলেন, “তৃণমূলে ফেরা আমার ভুল ছিল। আমি আর তৃণমূল করব না। আমি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছি। দুপুরের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, কলকাতা বা দিল্লিতে যোগ দিতে পারি। আমি শুধু একা নই, তৃণমূলের বড় একা নেতা আমার সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। পাশাপাশি বারাকপুরের বহু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগদান করবেন। তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তৃণমূলের বহু পুরানো কর্মী বসে গিয়েছেন, তাঁরা সকলে বিজেপিতে চলে আসবেন। আর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি দল ঠিক করবেন।”

    মমতাকে বিঁধলেন অর্জুন

    বুধবারই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্জুন (Arjun Singh) প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, “ও তো এখনও বিজেপিরই সাংসদ”। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যকেই এদিন টেনে এনেছেন বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ। ২০১৯ সালে তৃণমূলের টিকিট না পেয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অর্জুন। বারাকপুর থেকে জয়ীও হন। জিতে আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন। এরপর মমতার এই মন্তব্যে এদিন অর্জুন বলেন, “আমি ব্রিগেডের মঞ্চে ছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাকে শুনতে হল আমি বিজেপির সাংসদ। তা হলেই বুঝুন তৃণমূল দলটার কী অবস্থা!” বৃহস্পতিবার রাতের বিমানেই রওনা দেবেন দিল্লির উদ্দেশে। দিল্লিতে গিয়ে শুক্রবার যোগদান করবেন পদ্ম শিবিরে। তারপরে ওইদিনই ফিরে আসবেন বাংলায়। নতুন করে শুরু করবেন কাজ। তবে, বারাকপুরে তিনি বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়বেন কি না তা তাঁর দল অর্থাৎ বিজেপিই ঠিক করবে বলে জানালেন অর্জুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share