Tag: bjp

bjp

  • Gaighata: গাইঘাটাকে সন্দেশখালি করার হুমকি তৃণমূল নেতার, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Gaighata: গাইঘাটাকে সন্দেশখালি করার হুমকি তৃণমূল নেতার, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাইঘাটাকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) করার হুমকি তৃণমূল নেতার। প্রতিবাদে হাতে ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন এলাকার মহিলারা এবং সেই সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁরা। ঘটনায় তৃণমূলের তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দল বিজেপি। মূলত জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৃণমূল নেতার এই হুমকি বলে জানা গিয়েছে।

    জমি দখলে উত্তাল (Sandeshkhali)

    জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা। এলাকার বইকারার বসিন্দা বাপি সরকার নামে এক ব্যক্তি নিজের জমির উপর বাড়ি তৈরি করেছেন। এই বিষয়ে বাপি এবং তাঁর স্ত্রী বলেন, এলাকার তৃণমূল নেতা প্রমোটার বিশ্বজিৎ তাঁদের এই জমির উপর জোর করে রাস্তা তৈরি করতে চাইছেন। কিন্ত বাধা দিলে গত বুধবার দলবল নিয়ে এলাকায় হুমকি দেন। এরপর বাপির স্ত্রীকে সাদা থান কাপড় পরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়। এতে এলাকার প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করলে তৃণমূল নেতার দলবলের সঙ্গে ব্যাপক গোলমাল চিৎকার চেঁচামেচি হয়। এই সময় বাপির স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ ও তাঁর দলবল গাইঘাটাকে সন্দেশখালি করার হুমকি দিয়েছেন।” এরপর এলাকার মহিলারা ব্যাপক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাতে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু  করেন।

    মহিলাদের অভিযোগ

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এলাকার মহিলারা বলেন, “আমাদের এলাকাকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) করতে গেলে দুষ্কৃতীদের ঝেটিয়ে বিদায় করব।” উল্লেখ্য সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান, সিরাজ, শিবু, উত্তম, আমির গাজী সহ একাধিক তৃণমূল নেতা নিজেদের পার্টি অফিসে রাতের বেলায় মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করত বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগে ব্যাপক পরিমাণে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছে সন্দেশখালিতে। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।

    বিজপির বক্তব্য

    গাইঘাটাকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) করার হুমকির বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিশ্বজিৎ এলাকার দুষ্কৃতীদের নিয়ে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে। আমাদের এলাকাকে সন্দেশখালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেবো না। আমরা ওঁদের বিদায় করব।” অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, “বিশ্বজিৎ দলের নেতা নয়, ওঁর স্ত্রী আমাদের দলের সদস্য। তৃণমূল কোনও দুষ্কৃতীকে প্রশ্রয় দেয় না।”      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিডিও-র নির্দেশিকা, সরব বিজেপি

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিডিও-র নির্দেশিকা, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিক থেকে কর্মীরা শাসকদলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ করেন। এটা নিছক যে অভিযোগ তা নয়, পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক ভরাতে বিডিও-র এক নির্দেশিকা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। দলের কোনও জেলা নেতা নয়, বিডিও লোক ভরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ৪ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলা সফরে যাচ্ছেন। আর সেখানে লোক ভরাতেই বিডিও খুলেছেন হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ! আর সেই গ্রুপে লোক ভরানোর নির্দেশ। এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। অভিযোগের নেপথ্যে খাড়া করা হল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নির্দেশ দেওয়ার সেই স্ক্রিন শটও।

    কী রয়েছে বিডিও-র নির্দেশিকায়?

    পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে যাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তমলুকে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। সেখানে লোক ভরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও। তাঁর একটি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এসএইজি গ্রুপের যে সঙ্ঘ রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে বাসে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ময়দান ভরাতে নিয়ে যেতে হবে। জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইতের বক্তব্য, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তমলুকে আসছেন। সাধারণ মানুষ তাঁর সভায় যেতে চাইছেন না। তিনি তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিককে সামনে রেখে সভা ভরতে চান। আমাদের জেলার ডিএম তাঁর অধঃস্তনদের দিয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। বাস করে, গাড়িতে করে লোক এনে মাঠ ভরাতে হবে।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তম বারিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভা হবে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায়, প্রশাসনিক কাজে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা আসবেন। তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী হতে পারেন, আশা কর্মী হতে পারেন, উৎসাহী কর্মী হতে পারেন।” তাঁর বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই, ৫০ হাজার হতে পারে, লক্ষও হতে পারে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল প্রশাসনকে দলের কাজে ব্যবহার করছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ১০টি ব্লক থেকে ৪২৬টি বাসে ২১,৩০০ লোককে নিয়ে যেতে হবে, এমনটাই টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা শাসক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না শিবুরা, সন্দেশখালিতে গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না, জয় শ্রীরাম ধ্বনি তো দূরের কথা। শাহজাহান গ্রেফতার হতেই সন্দেশখালি জুড়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস হয়। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মেতে ওঠেন সন্দেশখালির মানুষ।

    জয় শ্রীরাম বলতে দিত না শিবুরা

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাত্রপাড়া, বেড়মজুর, কর্ণখালি, পুকুরপাড়া-সব জায়গা থেকেই এই ভাবে বেরিয়ে এসেছে জমা রাগ। কখনও মেয়েদের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে, কখনও ছেলেদের মারধরের বিরুদ্ধে, কখনও আবার ভিটেমাটি দখলের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালি দ্বীপের ভিতরে যত যাওয়া যায়, এমনই সব ঘটনা পরতে পরতে খুলে আসে। চোখের জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে রাগও। ৮ নম্বর কর্ণখালির এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বরাবর জানি, রাম আমাদের আরাধ্য দেবতা। কিন্তু, ত্রিমণি বাজারে গিয়ে আমরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে পারি না। বললে শিবুর (শিবপ্রসাদ হাজরা) লোকজন ধাওয়া দিত।” আমাদের তো ‘জয় শ্রীরাম’ বলার অধিকার আছে। সেটা এতদিন বলতে পারিনি। পাত্রপাড়ার এক মহিলা বলেন, ওরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে দিত না আমাদের ছেলেদের। ধামাখালির খেয়াঘাট দিয়ে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে তৃণমূলের পতাকার সঙ্গে গেরুয়া রং পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। আর এতদিন জয় শ্রীরাম বলতে না পারার জ্বালা মিটিয়েছেন এলাকাবাসী।

    সন্দেশখালি জু়ড়ে বাড়়ছে ক্ষোভ

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ক্ষোভের আগুন বেড়েই চলেছে। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালি জুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মহিলারা। তাঁরা সাফ বলেন, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামে অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহজাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আস্থা স্পেশালে ভক্তরা রওনা দিলেন রামমন্দির, স্টেশনে শুভেচ্ছা জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: আস্থা স্পেশালে ভক্তরা রওনা দিলেন রামমন্দির, স্টেশনে শুভেচ্ছা জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উপস্থিতিতে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিল আস্থা স্পেশাল ট্রেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দির ও অযোধ্যা একটা বড়সড় রাজনৈতিক হাতিয়ার বিজেপির কাছে। বুধবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট স্টেশনে আস্থা স্পেশাল ট্রেনকে রওনা করানোর উদ্দেশ্যে প্রায় দেড় হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে থেকেই বারবার জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে। বালুরঘাট প্ল্যাটফর্মে রেলের পক্ষ থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ১৪৭০ জন তীর্থযাত্রীকে  নিয়ে বুধবার রাত আটটায় অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেয় স্পেশাল ট্রেন।

    বিশেষ ট্রেন নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    রেলের আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, জেলা থেকে যে পরিমাণ দর্শনার্থীর আশা আমরা করেছিলাম, তার থেকে বেশ কয়েক গুণ মানুষ যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সবাইকে সুযোগ দেওয়া যায়নি। আগামীতে যাতে সবাইকে সুযোগ দেওয়া যায় তার জন্য রেলের কাছে আবার আবেদন জানানো হবে। ভোটের আগেই আরও একবার ট্রেন বালুরঘাট থেকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    বিশেষ ট্রেনের যাত্রীরা কী বললেন?

    তপনের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আসা মণিরাম টুডু বলেন, দীর্ঘদিনের আশা ছিল তীর্থ ভ্রমণ করার, এবার সেই সুযোগ হাতের কাছে পাওয়া গেছে। মাথাপিছু ১৬০০ টাকা দিয়ে অযোধ্যা ঘুরে আসতে পারবো, তা কখনও ভাবিনি। অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হল। আস্থা স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী নারায়ণ কামেথ বলেন, রাম মন্দির আন্দোলনের প্রথম দিক থেকেই এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। একসময় স্বপ্ন দেখতাম মন্দির  তৈরি হবে। আজ সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। অযোধ্যা নিয়ে  যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় সাংসদকে (Sukanta Majumdar) ধন্যবাদ জানাই।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের কোর কমিটি সদস্য সুভাষ চাকি এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ধর্ম বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় সংস্কৃতি নয়, সে যে কেউ তীর্থ করতে যেতেই পারেন। কিন্তু ধর্মীয় আবেগকে নিয়ে যে রাজনীতি বিজেপি করছে তার পরিণাম ভালো হবে না ভবিষ্যতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের দুই ও আরজেডির এক বিধায়ক ঘোষণা করলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা (Lok Sabha Polls)। মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ কুমার। তার পর থেকে বিহারে ভাঙছে ‘ইন্ডি’ জোট। এদিন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর উপস্থিতিতে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে।

    কারা যোগ দিলেন বিজেপিতে?

    এদিন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন কংগ্রেসের মুরারী গৌতম ও সিদ্ধার্থ সৌরভ। আরজেডির বিধায়ক সঙ্গীতা দেবীও হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া ঝান্ডা। মহাগটবন্ধন সরকারে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ। সেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মুরারী। আর পাটনা জেলার বিক্রম বিধানসভা কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক সিদ্ধার্থ। মোহানিয়া কেন্দ্রের সঙ্গীতা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন (Lok Sabha Polls)।

    ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা ব্যর্থ

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিজেপি শিবিরে ভিড়েছিলেন নীতীশ। তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল, কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত ১০ জন হাত-সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন। ভাঙন ঠেকাতে তড়িঘড়ি কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গনার একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিধায়কদের। তার পরেও অবশ্য এড়ানো গেল না ভাঙন। লোকসভা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ভাঙন তত বাড়বে বই কমবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩ জন। এর মধ্যে বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির দল এইচএএমের জোটের দখলে রয়েছে ১২৮টি আসন।

    আরও পড়ুুন: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁছেছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ইন্ডি। জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরা স্রোত বইছে ইন্ডির অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন তা নিয়ে, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জোটের কোনও এক নেতার মঞ্চ শেয়ার করা নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। এরই মাঝে পদ্মার ভাঙনের মতো নিত্য ভাঙছে জোট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়তে থাকবে ভাঙন। তাই বিজেপিকে মাত দিতে গিয়ে জন্ম হয়েছিল যে জোটের, নির্বাচনের আগে সেই জোট আদৌ টেকে কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন (Lok Sabha Polls)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী আসার আগে কৃষ্ণনগরের মাঠে ভূমি পুজো করলেন বিজেপি কর্মীরা

    Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী আসার আগে কৃষ্ণনগরের মাঠে ভূমি পুজো করলেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২ মার্চ নদিয়ায় আসতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার ভূমি পুজোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মঙ্গল কামনা করে শুরু হল প্রস্তুতিপর্ব। নদিয়ার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে ২ তারিখ সকাল দশটার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভামঞ্চে উপস্থিত হবেন।

     প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা (Narendra Modi)

    লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হলেও নদিয়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম হল কৃষ্ণনগর। তাই বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এবং দলকে আরও শক্তিশালী করতে আগেভাগেই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) আগমন বলে জানাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। নদিয়ায় মোট দুটি সাংসদ কেন্দ্র রয়েছে, একটি রানাঘাট এবং একটি কৃষ্ণনগর। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকলেও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে। মূলত, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট হাতিয়ার করেই এখানে তৃণমূলের জয় এসেছিল। তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র লোকসভা ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। যদিও কয়েক মাস আগে তিনি সাংসদ পদ থেকে সাসপেন্ড হোন। কয়েক মাস বাদেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করে মাঠে নামতে চাইছে বিজেপি। এর আগেও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন রাজ্য প্রতিনিধিরা জনসভা করে গিয়েছেন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি এবার যাতে বিজেপি দখলে পায়, সেই কারণে নরেন্দ্র মোদি ভোট ঘোষণার আগেই কৃষ্ণনগরে সভা করতে আসছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। মূলত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের জনগণের উদ্দেশে তিনি কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে বিজেপি কর্মীদের কী বলেন, তার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মিডিয়া আহ্বায়ক সন্দীপ সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আগামী ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে আসছেন। তার আগে আমরা সকলের মঙ্গল কামনায় কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে খুঁটি পুজো করলাম। আগামী ২ তারিখ আমাদের  প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের অবশেষে ঘুম ভেঙেছে’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের অবশেষে ঘুম ভেঙেছে’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের যে অবশেষে ঘুম ভেঙেছে, এটাই আমাদের অনেক বড় পাওনা। অবশেষে সন্দেশখালির অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা যে মোমবাতি খুঁজে পেয়েছেন, এটাই যথেষ্ট।’ বাদশা মৈত্র সহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘বাংলার এই বুদ্ধিজীবীরা তো বায়াস্ট। এঁরা উত্তর প্রদেশের হাতরসে কী হল তার বিরুদ্ধে এখানে সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে নামেন। কিন্তু, সন্দেশখালির ঘটনা এঁদের নজরে আসে না। তবে, এতদিন পরে হলেও যে তাঁদের ঘুম ভেঙেছে এটাই যথেষ্ট।’

    সন্দেশখালির পরিস্থিতি যাচাই করছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    এদিকে সন্দেশখালির প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি প্রাক্তন বাম বিধায়কের প্রসঙ্গ তুলেই এদিন তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন। নিরাপদ সর্দারের অভিযোগ ছিল, সন্দেশখালির কথা বিধানসভায় বলতে গেলেই মাইক অফ করে দেওয়া হত। বাম বিধায়কের এই অভিযোগ সমর্থন করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘এটা ভয়ানক অভিযোগ। তৃণমূলের আমলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানকে বারবার চ্যালেঞ্জ করছেন।’ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, ‘আসলে তৃণমূল নেতাদের সন্দেশখালিতে পাঠিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন মানুষের ক্ষোভ আগুন হয়ে রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি সেখানে যাবেন।’

     শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে (Sukanta Majumdar)

    আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শেখ শাহজাহান আজ পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘তৃণমূল ও পুলিশ জানে, শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে আছে। কিন্তু, পুলিশ তাকে এখনই ধরবে না। শাহজাহানকে ছাড়া ভোট লুট করে জেতা যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে তৃণমূল এখন জল মাপছে। শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে আমরা ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনের ঠেলায় পড়েই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপিকে সমর্থন করায় হামলা, ব্যাপক বোমাবাজি, দুজন গুলিবিদ্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বিজেপিকে সমর্থন করায় হামলা, ব্যাপক বোমাবাজি, দুজন গুলিবিদ্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। এটাই ছিল অপরাধ। আর তারপর থেকেই লাগাতার অত্যাচার চলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দিরবাজার ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেলারামপুর গ্রামে। বুধবার ভোর থেকে ফের মুড়িমুড়কির মতো গ্রামে বোমাবাজি করা হয়। দুজন বিজেপি সমর্থনকারীকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। আহত দুই যুবকের নাম এরাদ আলি মোল্লা ও সাইরাজ মোল্লা। তাঁদের ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) খেলারামপুর গ্রামের বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক নির্দল হয়ে যান। নির্দল দাঁড়় করালেও তাঁরা বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থন করেন। এরপরই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই এলাকায় দফায় দফায় তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর আগেও ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর থেকে ফের শুরু হয় বোমাবাজি। খেলারামপুর গ্রামে বিজেপি সমর্থনকারীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এক বিজেপি সমর্থনকারী বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে আমরা বিজেপিকে সমর্থন করেছিলাম। ওরা এখন আমাদের দলে টানার চেষ্টা করছে। আমরা রাজি নই বলেই এই হামলা। আমাদের একজনকে গুলি করা হয়েছে।

    গ্রামে বোমাবাজি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যুব তৃণমূলের মন্দিরবাজার ব্লকের সভাপতি রিঙ্কু ঘোষ বলেন, তৃণমূলের যুব নেতা পারিবারিক ঘটনা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের নাম মিথ্যাভাবে জড়ানো হচ্ছে। এই গন্ডগোলের সঙ্গে বিজেপি জড়িত রয়েছে। বিজেপি নেতা রণজিৎ হালদার বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব করেছে। এসব মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ প্রশাসনের নজরদারির অভাবের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড বাতিল ইস্যুতে বালুরঘাটের এক সভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সাংসদ বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূল ‘বাংলা সহায়তাকেন্দ্র’ তৈরি করেছে। এই সব কেন্দ্র তৈরির আসল কারণ, বাংলায় রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করা। বিজেপি কিছুতেই তা হতে দেবে না।’ সাংসদ এও বলেন, ‘আধার কার্ড নিয়ে কারও কোনও সমস্যা নেই। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি তাঁরা যেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    বাংলায় আইনের শাসন নেই বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্থাপন করেন সন্দেশখালির ঘটনা। তিনি বলেন,আদালত থেকে রাজ্যকে বলা হয়েছে যেভাবে হোক শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্য পুলিশ সেই নির্দেশ কার্যকর করছে না। উলটে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে শুরু করেছে। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমে এসেছে মহিলারা। শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী সন্দেশখালিতে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তৃণমূল নেতাদের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়বে। আর বেশি দিন নেই, এরপর একের পর এক নেতাদের গাছে বেঁধে রাখবে।’

    আধার কার্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল

    আধার কার্ড নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মুখ খোলেন সন্দেশখালি নিয়েও। আধার কার্ড নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকদিন ধরে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। জলঘোলাও কম হয়নি। আধার কার্ড বাতিল করার চিঠি পেয়েছেন অনেকে। তৃণমূলের তরফ থেকেও শুরু হয় পাল্টা প্রচার। খোদ সুপ্রিমোকে মুখ খুলতে দেখা যায়। এদিকে আবার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্ব এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও আবার মুখ- খুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মিথ্যে কথা বলতেই ওই প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে। আধার কার্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল। কারও কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা হওয়ার কথাও না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল শাহজাহান, চার্জশিট থেকে বেমালুম উধাও তাঁর নাম!

    Sheikh Shahjahan: বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল শাহজাহান, চার্জশিট থেকে বেমালুম উধাও তাঁর নাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী বহু ক্ষেত্রে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত জমা নিত না। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট-পরবর্তী হিংসায় সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে ৩ বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম ছিল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan)। ন্যাজাট থানায় খুন ও অস্ত্র আইনে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলই থানায় এফআইআর করেছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে শাহজাহানের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। তৃণমূলের তরফে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। কিন্তু, বিজেপির অভিযোগপত্রে নাম থাকা শেখ শাহজাহানের নাম নেই চার্জশিটে! এটা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীর দেহ মেলেনি

    সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে ভোট-পরবর্তী সংঘর্ষে ২০১৯ সালে খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল। সেই সময় পুলিশের কাছে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত তাদের পরিবার। এখনও পরিবারের লোকজন এখানে বসবাস করে না। তাঁর মা বাড়িতে আছেন। এতটাই আতঙ্কিত তাঁরা কথা বলতে চাইছেন না। প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের মৃতদেহ পাওয়া গেলেও এত বছর পরও দেবদাস মণ্ডলের মৃতদেহ মেলেনি। নিহত বিজেপি কর্মী দেবদাস মণ্ডলের বোন বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। দাদা নিখোঁজ। তার আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কাউকে ধরেনি।

    সন্দেশখালি নিয়ে আদালতে কী বললেন সরকারি আইনজীবী

    সোমবার হাইকোর্টে সন্দেশখালি সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, শেষ ৪ বছরে ৪৩টি এফআইআর হয়েছে। যার মধ্যে ৪২টিতে চার্জশিট হয়েছে। ধর্ষণের ধারাও যুক্ত আছে। বাকি তদন্ত চলছে। জমি দখলের অভিযোগে ৭টি এফআইআর হয়েছে। সেগুলিতে চার্জশিট হয়েছে। ৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৪টি এফআইআর হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। যেখানে ১৪৪ ধারা ছিল, সেখানে যাননি রাজ্যের মন্ত্রীরা।

    ৪২টি মামলার চার্জশিটে ৪ বছর সময় লাগল

    প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তার মানে ৪ বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছিল। কিন্তু, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাজ্য বলছে, যে জমি দখল করা হয়েছে, সেগুলি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার মানে কিছু একটা ঘটেছে। আর কী প্রমাণের দরকার, সরাসরি সাজা দিতে হবে। আদালত বিস্মিত যে, ৪২টা মামলার চার্জশিট দিতে ৪ বছর কেন লাগল? পরে আমরা চার্জশিটও খতিয়ে দেখব। ক্রমাগত মানুষ ওখানে যাচ্ছেন, তার ফলে ভালোও হতে পারে, আবার খারাপও হতে পারে। আইনকে আইনের পথে চলতে দেওয়া হোক।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share