Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar: গৌড়বঙ্গে নেট পরীক্ষার সেন্টারের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গৌড়বঙ্গে নেট পরীক্ষার সেন্টারের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট বা নেট পরীক্ষার সেন্টার মালদায় করার দাবিতে সরব হয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar) উদ্যোগ নিয়েছেন। এনিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে লিখিতভাবে জানাতে চলেছেন।

    দুবছর আগেও মালদার সেন্টারে হত নেট পরীক্ষা

    কলেজে অধ্যাপনা ও উচ্চশিক্ষার জন্য নেট পরীক্ষা আবশ্যক। বছরে দু’বার করে এই পরীক্ষা হয়। দু’বছর আগেও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, মালদা ও শিলিগুড়িতে নেট পরীক্ষা নেওয়া হত। গৌড়বঙ্গের পরীক্ষার্থীদের জন্য মালদার একটি পরীক্ষার কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হত। তবে, ২০২২ সালের পর থেকে গৌড়বঙ্গে আর কোনওরকম পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়নি। শুধুমাত্র গৌড়বঙ্গ নয়, মুর্শিদাবাদেও কোনওরকম পরীক্ষা কেন্দ্র নেই। বর্তমানে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে নেট পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। গৌড়বঙ্গে তিন জেলা মিলিয়ে প্রায় ১৫-২০ হাজার পরীক্ষার্থী নেট পরীক্ষায় বসেন। মালদায় পরীক্ষা কেন্দ্র হলে দুই দিনাজপুর ও মালদার পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হত। গত দুবছর ধরে তা বন্ধ রয়েছে। ফলে, গৌড়বঙ্গের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয় কলকাতা অথবা শিলিগুড়িতে যেতে হচ্ছে। পরীক্ষার দু-তিন দিন আগে পরীক্ষা কেন্দ্র জানানো হয়। যার ফলে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। পরীক্ষা দিতে গিয়ে থাকা খাওয়া ও যাওয়াটা ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। তাই, পড়ুয়ারা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দ্বারস্থ হয়েছেন।

    পরীক্ষার্থীদের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাটের নেট পরীক্ষার্থী প্রদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, বালুরঘাট থেকে কলকাতা বা শিলিগুড়িতে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়াটা অনেকটাই ব্যয়বহুল। আগের মতো মালদাতে যদি একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে পরে আমাদের জেলার পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে নেট পরীক্ষার্থী অসীম বর্মন বলেন, বছরে দুবার করে নেট পরীক্ষা হয়। একটা সময় মালদায় পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল। এখন আর মালদায় পরীক্ষা হয় না। গৌড়বঙ্গে যদি পরীক্ষার কেন্দ্র হয়, তাহলে আমাদের মতো সকলের সুবিধা হবে।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বললেন? (Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। গৌড়বঙ্গের পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার যে কোনও একটিতে যাতে পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দেব। প্রয়োজনে এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি! (Sheikh Shahjahan) 

    বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বাংলা সংবাদ মাধ্যমের একটি বিতর্কসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আমি বসিরহাটের বিজেপির দায়িত্বে আছি। সন্দেশখালিতে কাজ করি। আমি যেটা দেখেছি, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ২০২১ সালের পরে অবিচারে হিন্দুদের সম্পত্তি ১ টাকা দরে জোর করে গান পয়েন্টে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। তিনটি ট্রাস্ট-সুমাইয়া আবেদা ট্রাস্ট, হাবু আবু সিদ্দিকি ট্রাস্ট এবং বাসন্তী এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট তৈরি করে রোহিঙ্গা কলোনি গড়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ১৩৯ একর জমি কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা কলোনি ও তিনটি ট্রাস্ট গড়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে। তিনি আরও বলেন, ওই জমিগুলি কোনও মুল্য না দিয়েই গায়ের জোরে তিনি দখল করেছেন।

    বাম আমল থেকে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট (Sheikh Shahjahan)  

    বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan)। তৃণমূলে আসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হতেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মেছোভেড়ি থেকে ইটভাটা, এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত এই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: সজলধারা প্রকল্পের নামে সরকারি জায়গা নিয়ে হচ্ছে ব্যক্তিগত বাড়ি! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    Arambagh: সজলধারা প্রকল্পের নামে সরকারি জায়গা নিয়ে হচ্ছে ব্যক্তিগত বাড়ি! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার মদতে সরকারি জায়গা দখল করার অভিযোগ। আর সেই জায়গা দখল করেই চলেছে পাকা বাড়ি তৈরির কাজ। আর কেউ প্রতিবাদ করলেই জুটছে হুমকি। আরামবাগের (Arambagh) কাষ্টদহী এলাকায় এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের কাষ্টদহী এলাকা। সেখানেই গ্রামের পাকা রাস্তার মোড়ে হঠাৎ করেই দেখা যায়, রাস্তার ধারে রাতের অন্ধকারে সরকারি জায়গা দখল করে শুরু হয় পাকা বাড়ি তৈরির কাজ। অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শান্তিরাম মালিক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেই অন্যের নামে এই বাড়ি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকী কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও ঘটনার খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই সরকারি জায়গা দেখিয়ে সজলধারা প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজের পরিবর্তে রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে সেখানেই তৈরি হচ্ছে নেতার দোকান ঘর। যা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তাই আমরা একজোট হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অন্যদিকে, সরকারি সম্পত্তি দখল প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শান্তিরাম মালিক বলেন, আমি পেশায় রাজমিস্ত্রী। ওই এলাকার এক ব্যক্তি আমার থেকে জমি বিক্রির টাকা পেত। সেই টাকার পরিবর্তে আমি তাঁকে বাড়ি করে দিচ্ছি। সরকারি জমি দখল করে কেন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিজের নামে আমি কোনও জায়গা দখল করিনি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একটা জায়গাকে তিনবার বিক্রি করা, সরকারি সম্পত্তি দখল করা এটা তৃণমূল নেতাদের বৈশিষ্ট্য। আগামী আর কয়েক মাসের মধ্যে তৃণমূল দলটা আর থাকবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান কোথায় আত্মগোপন করে রয়েছেন, তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলে যে-কথা শোনা যাচ্ছিল ইডির একটি সূত্রে, রবিবার তা উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দুর দাবি, মোটেও বাংলাদেশে পালিয়ে যাননি শাহজাহান। তিনি সন্দেশখালিতেই আস্তানা গেড়েছেন।

    শেখ শাহজাহান নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রবিবার নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ দিবস কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর শাহজাহান প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘সন্দেশখালিতেই রয়েছেন শাহজাহান। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক জাহান মোল্লার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন। লুকআউট নোটিশ জারি থাকায় ঢুকতে পারেননি বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করেছে। একইসঙ্গে রাজ্যে সন্দেশখালির ঘটনার সূত্রে ৩৫৫ ধারা জারি করার আওয়াজও তুললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘৩৫৫ ধারা জারি হলেই সব টাইট হয়ে যাবে।’

    ঠিক কী হয়েছিল সন্দেশখালিতে?

    ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে রেশন-দুর্নীতি মামলার সূত্রে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বেনজির হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ইডি আধিকারিক। তারপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শেখ শাহজাহানের একটি অডিও টেপ সামনে আসে। সেখানে সিবিআই বা ইডিকে যাতে সন্দেশখালি তথা তাঁর অনুগামীরা ভয় না পান, সেই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু। ঘটনা হল, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিমানবন্দরকে এ-ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনওমতেই যাতে তৃণমূল নেতা পালাতে না পারেন।

    ৩৫৫ ধারার দাবি তুললেন শুভেন্দু

    এদিকে রবিবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। সন্দেশখালির বেনজির ঘটনার কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি রাজ্যপালকে বলব, রাজ্যের ৩০ থেকে ৪০টি থানাকে চিহ্নিত করে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করুন। তাহলেই সব টাইট হয়ে যাবে।’ সন্দেশখালিতে ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে তারা সদা তৎপর।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Udayan Guha: তৃণমূলের এ কী অবস্থা! মন্ত্রী উদয়নের ডাকে সাড়া নেই নেতাদের

    Udayan Guha: তৃণমূলের এ কী অবস্থা! মন্ত্রী উদয়নের ডাকে সাড়া নেই নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে আরও মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। বিশেষ করে কোচবিহার জেলায় শাসক দলের ছন্নছাড়া অবস্থা। গত কয়েকদিনে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এরইমধ্যে মন্ত্রী উদয়ন গুহর  (Udayan Guha) নেতৃত্বের ডাকা কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা হাজির হন না বলে অভিযোগ। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Udayan Guha)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূলের কোচবিহার দিনহাটা থানা ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। কিন্তু, মন্ত্রীর ডাকা কর্মসূচিতেই দেখা মেলেনি এলাকার অনেক বড় বড় তৃণমূল নেতাকেই। নেতাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি যে তাঁর নজর এড়ায়নি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নিজেই। ৫ জানুয়ারি নিজের ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, কোন কোন অঞ্চলের নেতারা আসেননি দলের কর্মসূচিতে। প্রত্যেকের নাম তিনি লিখে দিয়েছেন ফেসবুকে। উদয়ন গুহর এই পোস্টকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চাপানউতর শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। তাহলে কি তৃণমূল দল সম্পর্কে মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতা কর্মীদের? সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে দলের অবস্থা তুলে ধরায় দলের অন্দরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    দলীয় কর্মসূচিতে স্থানীয় একাধিক নেতা না আসায় সোশ্যায় মিডিয়া উদয়ন গুহ (Udayan Guha) উষ্মা প্রকাশ করলেও তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সকলের সব সময় সময় হয় না। তাই হয়তো আসেননি। সেটা নিয়ে রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না। এসব বিরোধীদের অভিযোগ। এখানে অন্য কোনও বিষয় নেই।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, এবার নির্বাচনে দিনহাটায় ব্যাপকভাবে হারবে তৃণমূল। মানুষ বীতশ্রদ্ধ। দলীয় নেতার নির্দেশ কর্মীরা মানছেন না। দলটার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনে লোকসভা ভোটে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সাহয্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত মজুমদার, কলকাতায় চিকিৎসা পেলেন বৃদ্ধা

    Sukanta Majumdar: সাহয্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত মজুমদার, কলকাতায় চিকিৎসা পেলেন বৃদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রচেষ্টায় বিনামূল্যের চিকিৎসা পেলো এক বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকার গুজুরি পাহান নামে এক বৃদ্ধা রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর পা ভেঙে যায়। তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে রেফার করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায় অবস্থায় রয়েছেন। পরিবারের লোকেদের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার সামর্থ্য না থাকায় তাঁরা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে দ্বারস্থ হন। সুকান্ত মজুমদার তাঁর নিজের তহবিল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা করে কলকাতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। এই সাহয্যে খুশি পরিবারের সদস্যরা।

    চিকিৎসা পেয়ে বৃদ্ধার বক্তব্য (Sukanta Majumdar)

    সাহায্য পেয়ে এবিষয়ে বৃদ্ধা গুজরি পাহান বলেন, “টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারিনি। দেড় মাস ধরে বিছানাগত। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আমাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছেন। এবার হয়তো আমার চিকিৎসা সম্ভব হবে। আমি আমার নিজের পায়ে হাঁটাচলা করতে চাই।”

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে এক এলাকবাসী জানান, বৃদ্ধা বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছিলেন না পরিবারের লোকেরা। তাঁরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কাছে চিকিৎসার আবেদন করেছিলেন। এদিন সাংসদের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হল। আমরা এই বিষয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে কুর্নিস জানাই। তিনি সবসময় মানুষের পাশে আছেন।

    কী বললেন সুকান্ত

    এবিষয়ে বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “ওই মহিলার দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে আমি তাঁর চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করেছি। তাঁকে বালুরঘাট থেকে অ্যাম্বুল্যান্স করে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগামী দিনেও তাঁর পাশে সর্বদা রয়েছি।”

    এবিষয়ে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী বলেন, “গতকাল রাতে অসহায় ওই বৃদ্ধাকে আমরা অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতায় পাঠিয়েছি। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সাংসদ নিজে। হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের মদতেই রমরমিয়ে চলছে মাটি-বালি পাচার! আটকালেন বিজেপি বিধায়ক

    Arambagh: তৃণমূলের মদতেই রমরমিয়ে চলছে মাটি-বালি পাচার! আটকালেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদী সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকার বালি ও মাটি তুলে তা রাতের অন্ধকারে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ। আরও অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশ এবং তৃণমূলের মদতেই চলছে এই সব বেআইনি কারবার। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) হুগলির খানাকুলের হরিশচক এলাকায়।

    রাতের অন্ধকারে পাচার হয়ে যাচ্ছে বালি ও মাটি (Arambagh)

    জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) মুন্ডেশ্বরী নদীতে বাঁধ সংস্কারের জন্য নদী খননের কাজ শুরু করে সেচ দফতর। সেই মতো টেন্ডার দেওয়া হয় একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাকে। অভিযোগ, ওই বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বাঁধ সংস্কার ও নদী খননের নাম করে নদী থেকে বালি তুলে তা পাচার করে দিচ্ছে। দিনের আলোয় মাটি, বালি মজুত করা হচ্ছে নদী বাঁধের পাশে। আর রাতের অন্ধকারে তা ডাম্পারে ও ট্রাক্টর ,লরি করে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    তৃণমূলের মদতেই পাচার, সরব বিজেপি বিধায়ক

    আর্থ মুভার দিয়ে কখনও রাতের অন্ধকারে আবার কখনও প্রকাশ্য দিবালোকে নদী থেকে কোটি কোটি টাকার বালি ও মাটি তোলার পর তা গোপনে অন্যত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে, এবার এমনই অভিযোগ তুলে সরব হন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। আটকে দেওয়া হয় বালি বোঝাই ট্রাক্টর ও লরি। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিধায়ক সহ বিজেপি কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ, নিয়ম মানা হচ্ছে না এই ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে। বালি দিয়ে বাঁধ মেরামত হচ্ছে না। তাহলে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর ও লরি লরি বালি যাচ্ছে কোথায়? লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এই বালি। প্রশাসনের সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কোনও সঠিক উত্তর মেলেনি। আসলে প্রশাসনের একাংশ ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মদতেই এসব হয়েছে।

    ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গাড়ি ও মেশিনের আওয়াজে রাতে ঘুমোতে পারা যায় না। তবে, এলাকার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, যদি বৈধ কোনও কাজই হয় তাহলে তা দিনের আলোয় হয় না কেন? রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে কেন বালি তোলার কাজ হবে?

    মহকুমা শাসক কী বললেন?

    আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা শাসক সুভাষিনী বলেন, নদী বাঁধের কাজের জন্য কয়েক জায়গায় খননের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নদী থেকে তোলা ওই বালি বিক্রি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মমতার পুলিশই জানিয়ে দেয়, ইডি আসছে”, শাহজাহানকাণ্ডে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতার পুলিশই জানিয়ে দেয়, ইডি আসছে”, শাহজাহানকাণ্ডে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আজ শুক্রবার বেলডাঙায় সভা করে রাজ্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে। আর এই জঙ্গলরাজকে শেষ করতে গেলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব চ্যানেলের পর্দায় সকাল থেকে একটাই খবর, শেখ শাহজাহান! শেখ শাহজাহান! তিনি কে? তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের আশ্রিত দুষ্কৃতী।” দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে তদন্ত না করতে পারে, সেই জন্যই ইডির বিরুদ্ধে তৃণমূলের মাফিয়ারা দৌরাত্ম্য এবং তাণ্ডব চালায় আজ।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি শাহজাহানের আশ্রিত তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি ব্যবস্থা, সাংবিধানিক ব্যবস্থার উপর আঘাত করা হয়েছে। রাজ্যে সাংবিধানিক কোনও বডি সুরক্ষিত নেই। রাজ্যে তৃণমূল দুর্নীতির পাহাড় নির্মাণ করে চাকরি চুরি, মাটি চুরি, বালি চুরি, কয়লা চুরি, রেশন চুরি করেছে। জেলে বন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালুবাবু গরিবের চাল, গম, আটা-রেশন খেয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এই রেশন দুর্নীতির তদন্তে বালুর সঙ্গে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত পেয়ে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিল। অবশ্য মমতা পুলিশ আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছে যে আসছে ইডি, বাঁচাতে পারবে না দিদি, তাই পালা তাড়াতাড়ি। এরপর দরজায় তালা লাগিয়ে শাহজাহান পালিয়েছেন। এরপর তদন্তকারী অফিসারেরা তালা ভাঙতে গেলে আক্রমণ করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। ইডির অফিসারদের মাথা ফেটেছে, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনজন আধিকারিক গুরুতর আহত এবং এখনও কয়েকজন নিখোঁজ। ফলে প্রমাণ হয়ে গেছে কেউ সুরক্ষিত নয়। সংবিধানের কোনও পদ এখানে সুরক্ষিত নয়।”

    কে শাহজাহান?

    তৃণমূলের প্রধান দুষ্কৃতী হলেন শাহজাহান (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু তাই বলেছেন, “২০১৯ সালে বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। খুন করে সেই সময় বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জমিকে জোর করে দখল করে নিয়েছেন। তাঁর দখল করা জমির পরিমাণ ১৩৯.১৭ বিঘা। এছাড়া তিনটে ট্রাস্টে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ডক্টর স্বপ্নকুমার রায়চৌধুরির জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। আগে সিপিএম করতেন, তাঁর গুরু ছিলেন হার্মাদদের নেতা মুসলেম। এরপর তৃণমূলে যোগদান করে মাফিয়া হয়েছেন। এলাকার আম্ফানের ত্রাণ, আবাস যোজনার ঘর, শৌচালয়, একশো দিনের টাকা, মাছের চাষের ভেড়ি সব কিছু খেয়ছেন তিনি।”

    রাজ্যালকে কী আবেদন কিরলেন?

    ইডির তদন্তে বাধাপ্রদান এবং আক্রমণের ঘটনায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), মমতার সরকারকে নিশানা করে রাজ্যপালকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। তাই রাজ্যপালের উচিত কেন্দ্র সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ করার সুপারিশ করা। রাজ্যের আইনের রক্ষকরা ভক্ষক হলে, সংবিধানকে অমান্য করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজভবনের খোলা সহায়ক কেন্দ্রে অনেক মানুষের অভিযোগ জমা পড়েছে। কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই সমস্যার সমাধান চেয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের কথা বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মুকুটমণিপুর মেলার সূচনা মমতার আমলে! যুবনেত্রীর পর তৃণমূল মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

    Bankura: মুকুটমণিপুর মেলার সূচনা মমতার আমলে! যুবনেত্রীর পর তৃণমূল মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুবনেত্রীর পর এবার তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীর মন্তব্যে ফের বিতর্কের সূত্রপাত। গতকাল বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার (Bankura) মুকুটমণিপুর মেলার সূচনার অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের আদিবাসী দফতরের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক বলেন, “এই সরকারের আমলেই এই মেলা শুরু হয়।” পাল্টা বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “মিথ্যে কথা বলাটা তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অবস্থান করছে।” তৃণমূল মন্ত্রীর বক্তব্যে রাজ্যে এবার মেলা নিয়েও শোরগোল পড়ে গেল।

    কবে থেকে মুকুটমণিপুর মেলা?

    বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বিষ্ণুপুর মেলার মতো ঐতিহ্যবাহী হল মুকুটমণিপুর মেলা। এই মেলার শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। প্রায় ২৫ বছর ধরে ঐতিহ্য মেনেই এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘এই মেলার সূচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে।’ আর এই মন্তব্যের কারণেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

    মন্ত্রী কী বলেছিলেন?

    রাজ্য সরকারের অর্থানুকূল্যে মুকুটমণিপুরে (Bankura) মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “এই মেলা আগে হত না, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই এই মেলা প্রতি বছর হয়ে চলেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।” যে মেলা গত ২৫ বছর ধরে চলছে, সেই মেলাকে মাত্র ১২ বছর ধরে চলা একটি সরকারের দ্বারা চালু করা হয়েছে, এই কথা কীভাবে বলা যেতে পারে? এই প্রশ্নে বিরোধীরা কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইককে।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, “মিথ্যে বলাটা ওঁদের একটি বড় বদ অভ্যাস। ২৪ বছর আগে কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ছিলেন? এই সব অবান্তর কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। শাসক দলের মন্ত্রী ভুলে গেছেন দল আর সরকার এক নয়। সরকারি কাজে দলের নেতানেত্রীর নামে শ্লোগান দেওয়া গণতন্ত্র এবং সংবিধান বিরোধী।”

    ‘কার্জন গেট’ নিয়ে যুবনেত্রীর বেফাঁস মন্তব্য

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী গতকাল বর্ধমানের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, “ছিল কি গেট? এই আলো ধবধবে রাস্তা, সবটাই তৃণমূলের আমলে হয়েছে।” অথচ ইতিহাস বলছে ১৯০৩ সালে জিটি রোডের ধারে বিরাট তোরণ তৈরি করা হয়েছিল। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের নামে ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। এরপরে ১৯৪৭ সালের পর দেশ স্বাধীন হলে নাম বদল করে রাখা হয় ‘বিজয় তোরণ’। বিরোধীদের বক্তব্য, ‘তৃণমূলের মধ্যে ইতিহাসবোধ কম”। ফলে মুকুটমণিপুর মেলা (Bankura) নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: লোকসভার আগে বিজেপির প্রচার শুরু, জেলায় ঘুরবে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”

    Malda: লোকসভার আগে বিজেপির প্রচার শুরু, জেলায় ঘুরবে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভার ভোট। ময়দানে বিজেপি নেমে পড়েছে। ভোটারদের মন জয় করতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধার কথা প্রচার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। এবার মালদায় (Malda) লোকসভা ভোটের আগে তাই সাধারণের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের প্রচার তুলে ধরতে উদ্যোগী বিজেপি। প্রতিটি লোকসভায় ঘুরবে ট্যাবলো। যার নাম দেওয়া হয়েছে “মোদি গ্যারান্টি ভ্যান”। আজ শুক্রবার মালদহ উত্তরে এই ট্যাবলোর সূচনা করেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব।

    ট্যাবলোয় পাওয়া যাবে আবেদনপত্র (Malda)

    আগামী এক মাসেরও বেশি সময় মালদার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল এবং শহরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করা হবে। একই সঙ্গে প্রচার চালানো হবে এই গ্যারান্টি ভ্যান থেকে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদনপত্র পাওয়া যাবে এই প্রচার ভ্যানেই। এর ফলে সাধারণ বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।

    কী বললেন খগেন মুর্মু?

    মালদা উত্তর লোকসভার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “এই গাড়ি হল মোদি গ্যারান্টি ভ্যান। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখে যা বলেন, বাস্তবে তাই করে দেখান। গত নয় বছরে কী কী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছে কীভাবে এই সুযোগ পৌঁছাবে, সেই কথা এই গাড়িতে প্রচার করা হবে। দেশের পিছিয়ে থাকা দলিত সাধারণ মানুষ কীভাবে উন্নয়নের পথে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সেই কথাও এলাকায় এলাকায় ঘুরে প্রচার করা হবে। স্বনির্ভর ভারত, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে গেলে এই মোদির গ্যারান্টি একান্ত প্রয়োজন। যদি কেউ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তাহলে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। আজ মালদায় দুটি গাড়ি এসেছে। আগামীতে আরও গাড়ি আসবে। সারা দেশ জুড়ে ২০০০ এর বেশি গাড়ি মোদির গ্যারান্টি নিয়ে প্রচার করছে। নয় বছরের সরকারের কাজে প্রকল্প এখনও যাঁরা জানেন না, তাঁদের কাছে পৌঁছানোই এই প্রচারের একমাত্র লক্ষ্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share