Tag: bjp

bjp

  • South 24 Parganas: বাড়ির সামনে গাছ কেটে বিজেপি কর্মীকে শিক্ষা! অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বাড়ির সামনে গাছ কেটে বিজেপি কর্মীকে শিক্ষা! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মীর লাগানো গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ থানার রামগোপালপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্যব্রত মাইতির নামে থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীর নাম তাপস পট্টনায়ক। ২৫ বছর আগে শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রামগোপালপুর গ্রামে স্ত্রী মনোরমা পট্টনায়ককে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির সামনে জমিতে তিনি গাছ লাগিয়েছিলেন। সেই জমির কিছুটা অংশ খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পঁচিশ বছর ধরে জায়গাটি দখল করে থাকার সুবাদে দুয়ারে সরকারে রেকর্ড সংশোধন ও তাঁদের নামে পাট্টার জন্য আবেদন করেছিলেন। এরই মধ্যে তৃণমূল নেতারা দলবল নিয়ে এসে সব বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে চলে যায়। তাপস পট্টনায়ক বলেন, গাছগুলিকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। বিজেপি করি বলেই সব গাছ কেটে নিয়ে চলে গেল। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্যব্রত মাইতি বলেন, এই ঘটনাটি পুরোটাই পারিবারিক গন্ডগোল। ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির কাকদ্বীপ ৩ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক হরেন্দ্রনাথ কামিল্যা বলেন, বিজেপি করে বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। গাছ কাটার জন্য বন দফতরের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন, সেটাও তৃণমূল নেতারা করেনি। তৃণমূলের অত্যাচারে দলীয় কর্মীরা অতিষ্ঠ। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah on CAA: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    Amit Shah on CAA: ‘সিএএ হবেই দিদি, কেউ ঠেকাতে পারবে না’, বাংলায় এসে মমতাকে বার্তা শাহ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিএএ নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় এসে বিজেপির দলীয় বৈঠকে শাহের স্পষ্ট বার্তা, সিএএ দেশের আইন, তা কার্যকর হবেই। এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। প্রত্যেকে নাগরিকত্ব পাবে। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব নিয়ে বারংবার ভুল বোঝানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন শাহ। 

    সিএএ প্রসঙ্গে শাহ

    বড়দিনের রাতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু-দিনের সফরে কলকাতা এসেছিলেন শাহ এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এখানে দলীয় নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সারেন তাঁরা। বিজেপি সূত্রে খবর,মঙ্গলবার কলকাতায় দলের আইটি সেলের এক বৈঠকে সিএএ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় নাকি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, “দিদি প্রায়ই আমাদের উদ্বাস্তু ভাইদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করেন। আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই সিএএ হল দেশের আইন। এবং এর বাস্তবায়ন কেউ আটকাতে পারবে না। প্রত্যেকে নাগরিকত্ব পাবেন।” 

    সিএএ প্রসঙ্গে সুকান্ত

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, “সিএএ ভারতের সংবিধান সম্মত আইন। যা ভারতের লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। এটা আইন। সিএএ লাগু হবে। এবং আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি লাগু হবে।” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর প্রথম থেকে বিরোধিতা করে এসেছেন সিএএ-র। সংসদের দু’কক্ষে (রাজ্যসভা ও লোকসভা) এই বিল পাশ হয়েছে ঠিকই, তবে চারবছর পরও রুল তৈরি না হওয়ায় উদ্বাস্তু সমাজের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। তাই দ্রুত এই বিল লাগু করতে চাইছে সরকার।

    আরও পড়ুুন: ইন্ডি জোটে কোন্দল প্রকাশ্যে, মমতার খাড়্গে-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের

    শাহি-বার্তা

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপির তরফ থেকে শাহের বক্তব্যের অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের জন্য কাজ করতে হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। বাংলায় বিজেপি সরকারের অর্থ হবে গরু পাচার রুখে দেওয়া, সিএএ কার্যকর করা।’ মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে শাহ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘দেশের সব রাজ্যে আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরি হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু বাংলা এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার তৈরির মানে হল হল অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং অনুপ্রবেশকারীদের ‘সিল’ করে দেওয়া।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিজেপি-র মিটিংয়ে দলীয় নেতার উপর হামলা, ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Cooch Behar: বিজেপি-র মিটিংয়ে দলীয় নেতার উপর হামলা, ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি মিটিংয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা এলাকায়। দলের মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথকে চাকু দিয়ে হামলা চালানো হয়। আক্রান্ত তিনজনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    শনিবার দুপুরে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটায় বিজেপির মিটিংয়ে ছিল। সেখানে মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথের নেতৃত্বে কর্মী, সমর্থকরা হাজির হয়েছিলেন। বৈঠক চলার পরই আচমকাই তৃণমূলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। মণ্ডল সভাপতি করতে গেলে তাঁকে চাকু হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় আহত হন মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথ ও সংশ্লিষ্ট  এলাকার বিজেপির সম্পাদক অর্জুন চক্রবর্তী। যদিও পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, তৃণমূলের এই হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অজয় কর বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা বুঝে গিয়েছে যে তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই, আমাদের দলীয় মিটিং দেখেই ওরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। আমাদের মিটিংয়ে এভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের মনোবল কোনওভাবেই ভাঙতে পারবে না। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাব। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার না করা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আমীর আলম। তিনি বলেন, দিনহাটার ঝুড়িপাড়া এলাকা দিয়ে আমরা কয়েকজন মিলে যাচ্ছিলাম, সেই সময় বিজেপি কর্মীরা আমাদের পথ আটকে মারধর শুরু করে। আমরা ওদের মিটিংয়ে কোনও হামলা চালাইনি। ওরা নিজেরা চেয়ার ভেঙে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলেই বুঝতে পারবে তারা হামলা চালিয়েছে। নিজেদের হামলার ঘটনা ঢাকতে বিজেপি এখন নাটক করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চারশোর বেশি আসনে জিতবেন মোদি, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: চারশোর বেশি আসনে জিতবেন মোদি, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারশোর বেশি আসন নিয়ে কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার জয়পুরে দলের কর্মিসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে দলীয় কর্মীদের তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিলেন। বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যে সভায় আসা কর্মীরা চাঙা হয়ে ওঠেন।

    ইন্ডি জোটকে কটাক্ষ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    এদিন স্থানীয় আরবিবি স্কুল ময়দানের ওই কর্মিসভায় বক্তব্যের শুরু থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক  বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আক্রমণ করেন। সঙ্গে ইন্ডি জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে ভোটের ফল দেখার পরে দিদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাধ চলে গিয়েছে।’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘রাজ্য সরকারের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফোন নম্বর এখন মুখ্যমন্ত্রীকে বলো হয়েছে। বোতলটা নতুন, কিন্তু মদটা সেই পুরনো। ওই নম্বরে ফোন করা মানে ঢপ।

    পুলিশ-প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ১০ বছর ধরে পুরুলিয়ায় পুলিশের বেশ কিছু সাব-ইন্সপেক্টর রয়েছে, যারা টাকা তুলছে আর ভোট লুট করছে। তাদের তালিকা আমরা তৈরি করেছি। ভোটের আগে এদের রাজ্যের বাইরে গ্যারেজ করব। ওই তালিকার কয়েকটি নাম এদিন পড়েও শোনান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, পুলিশ পাহাড় কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রকৃতি লুট হচ্ছে প্রতিদিন। গরু পাচারে যুক্ত পুলিশ।

    ডিএ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, যৌথমঞ্চের আন্দোলনকে হাইকোর্ট স্বীকৃতি দিয়েছে। যৌথমঞ্চ ডাকলে আমি যাব। অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে আমরা আগেও ছিলাম, এখনও থাকব। পরবর্তীকালেও আমি ওদের সঙ্গে থাকব। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বঞ্চিত প্রার্থীদের জন্য যে ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, তাতে তিনি সমাজ সংস্কারক হিসেবে উদিত হবেন। তাঁকে প্রণাম জানাই। তাঁর লড়াই যেন স্বার্থক হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: সংখ্যালঘু এলাকায় বেহাল রাস্তা সারায়নি তৃণমূল, তারপর কী হল জানেন?

    Arambagh: সংখ্যালঘু এলাকায় বেহাল রাস্তা সারায়নি তৃণমূল, তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছর পার হয়ে গেলেও হাল ফেরেনি গ্রামের ২ কিমি কাঁচা রাস্তার। এক হাঁটু কাদা পেরিয়েই তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই চিত্র আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি-১ নং পঞ্চায়েতের সাঁপড়োজোল গ্রামের। এই গ্রামে ঢোকে না কোনও অ্যাম্বুল্যান্স, অসুস্থ রোগীকে নিয়ে যেতে ভরসা সেই খাটিয়া। এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের। এলাকাটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। তৃণমূল পঞ্চায়েতকে বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই, এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি, বেহাল রাস্তা সংস্কার করার জন্য তৃণমূলের উপর নির্ভর না করে গ্রামবাসীরা নিজেরাই কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজে হাত লাগান।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটির সাঁপড়োজোল থেকে বেয়ুড় গ্রাম প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা। প্রায় ১৫ বছর ধরে রাস্তাটি বেহাল অবস্থা। তিনটি গ্রামের মানুষের ভরসা এই রাস্তা। যার ফলে যতদিন পেড়িয়েছে, ততই খারাপ হয়েছে রাস্তার হাল। বর্ষা ছাড়াও বৃষ্টি হলেই রাস্তায় এক হাঁটু সমান কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এই রাস্তায় কোনও গাড়ি চলাচল করা যায় না। বেশিরভাগ সময় কাদা পেরিয়ে, সাইকেল কাঁধে নিয়ে পার হতে হয়। ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যেতে চরম অসুবিধা হয়। গ্রামে ঢোকেনা অ্যাম্বুল্যান্স। অসুস্থ রোগীদের খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।  সম্প্রতি ওই রাস্তায় কৃষি কাজে ট্রাক্টর ঢোকায় ফেটে যায় জলের পাইপ। তার জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় রাস্তা। গর্ত হয়ে যায় রাস্তা। তারপরও রাস্তা সংস্কারে তৃণমূল পঞ্চায়েত এগিয়ে আসেনি। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই নিজেদের রাস্তা মেরামতের কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এবিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার বলেন, আমি আগে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ করেছি। পঞ্চায়েতকে মোড়াম করার জন্য বলেছিলাম, তা করেছে কি না তা আমি জানি না। তবে, এবারে পথশ্রীর জন্য ওই রাস্তার নাম পাঠিয়েছি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এবিষয়ে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ওই এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। ওই কাঁচা রাস্তা একেবারেই বেহাল দশা। এলাকায় বহু সংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। এতদিন শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দিয়ে এসেছেন। অন্য দলকে ভোট দেয় নি। তৃণমূল দল কেমন তা ওরা এখন বুঝতে পারছেন। একবার বিজেপিকে ভোট দিয়ে রাস্তা সংস্কার হয় কি না দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ ডিসেম্বর নবান্নের ১৪ তলায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে হাজির হননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়। উল্লেখ্য এই দিনেই শুভেন্দু হঠাৎ নবান্নে পৌঁছে যান। তিনি নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!”। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউরি সহ আরও দুই বিধায়ক।

    কখন পৌঁছালেন নবান্নে (Suvendu Adhikari)?

    এদিন বেলা ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ পৌঁছে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নবান্নে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে নবান্নে নিরাপত্তা বলয় কম ছিল। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নবান্নে পৌঁছালে দ্রুত নিরাপত্তা বলয় বৃদ্ধি করা হয়। একদিকে আজ যখন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, ঠিক সেই সময় শুভেন্দু, মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে, তাই জানতে চেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    নবান্ন থেকে বের হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিজেপির সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রের আবাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে আমরা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বলে গেলাম। মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেছি। আইন মেনে আমরা মোট পাঁচ জন এসেছি। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট লুট হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দিল্লিতে ড্রামা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শৌচালয়ের টাকা পায়নি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাই আজ এখানে প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।”

    শুভেন্দুর হাতে পোস্টার

    সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নিজের হাতে একটি পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নবান্নের সামনে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা, আবাস যোজনার টাকার কথা লেখা ছিল। মোদির সময়ে যত বেশি পরিমাণে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই হিসাবও এদিন লিখে আনেন শুভেন্দু পোস্টারে। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের করা সকল অভিযোগকে খারিজ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমল থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অনেক বেশি আর্থিক বরাদ্দ করেছ বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। পালাটা রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ করেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ‘শোকসভা’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ‘শোকসভা’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের ‘মেগা বৈঠক’কে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “দিল্লির বৈঠক শোকসভা। ছত্তিসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-এই তিন রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের পর ওরা সেমি ফাইনালে পরাজিত হয়েছে। সেই নীরবতা পালনের জন্য এই বৈঠক।” অপর দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়াই করা সম্ভবপর নয়। তাই জোটের কথা বার বার বলছেন।”

    উল্লেখ্য, পাওনা টাকার দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে গতকাল সংসদে বিরোধী দলের শতাধিক সাংসদের অভব্য আচরণের জন্য সাসপেন্ড করার ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। সেই সঙ্গে এই সপ্তাহতেই আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সব চোর। জোটের সমস্ত নেতারা দুর্নীতিগ্রস্থ। ওরা যা ইচ্ছে করুক। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসন অতিক্রম করবে। ওরা শুধু দেখবে, জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে।” উল্লেখ্য, দিল্লীতে গিয়ে বিরোধী জোট প্রসঙ্গ নিয়ে মমতা বলেছেন, “বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতেই হবে। বাম-কংগ্রেস যদি ঠিক মনে করেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। লোকসভার ভোটে জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রীকে হবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লোকসভা নির্বাচনের পরেই।” এরপর থেকেই রাজ্যের প্রেক্ষাপটে মমতা এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাক্যবাণে বঙ্গের রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সুর মিলিয়ে বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শাসক যখন শক্তিশালী হয় তখন দেশে এই রকম হয়। বিরোধীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করেন। আগামী লোকসভার ভোটকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বিজেপির রাস্তা হাইজ্যাক করল তৃণমূল! তারপর কী হল জানেন?

    Balurghat: বিজেপির রাস্তা হাইজ্যাক করল তৃণমূল! তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্প হাইজ্যাক করার নজির তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক রয়েছে। এবার পুরসভা এলাকার সামান্য রাস্তাও হাইজ্যাক করার চেষ্টা করল তৃণমূল। যদিও বিরোধীদের বাধায় সেই পরিকল্পনা মাঝ পথেই ভেস্তে যায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    বিজেপির বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর বিধায়ক তহবিলের টাকায় রাস্তা তৈরি করছে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা। সেই রাস্তার কাজের সূচনাও করেছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, সেই রাস্তার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিধায়ককেই আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। এনিয়ে বালুরঘাট শহরে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। পুরসভার সূচনার পরে সেই একই রাস্তার উদ্বোধন করল বালুরঘাট টাউন বিজেপি নেতৃত্ব। আমন্ত্রণ না পেয়ে বিধায়কের নির্দেশে ফের মঙ্গলবার ওই রাস্তার কাজের সূচনা হয়। বিধায়কের নির্দেশে মঙ্গলবার ওই একই রাস্তার কাজের সূচনা করলেন বালুরঘাট টাউন বিজেপি সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত। এদিন ফিতে কেটে ও নারকেল ফাটিয়ে কাজের সূচনা করেন বিজেপি নেতা। বালুরঘাট শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিমপুর স্কুলপাড়া এলাকার রাস্তার ঘটনা।

    ফের বিজেপির উদ্যোগে রাস্তার শিলান্যাস করা হল

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিমপুর স্কুলপাড়া এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার এই ঢালাই রাস্তাটির জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। দিন পনেরো আগে এই রাস্তার সূচনা করে পুরসভা। ইট পাতা থেকে পাশের নর্দমার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে বিধায়ক তহবিলে এই কাজ হলেও বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি শিলান্যাসের সময়। এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর দত্ত বলেন, বিধায়ক তহবিল থেকে এই রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। কাজের অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে বিধায়ককে ডাকা হয়নি। তাই আমরা এদিন ফের রাস্তাটির শিলান্যাস করে ফের নতুন করে কাজ শুরু করি।

    তৃণমূলের বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তিনি আসেননি কেন তা জানি না। এখন ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    বিজেপি বিধায়কের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) বিধানসভার বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বলেন, এই রাস্তার উদ্বোধনে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, তার জন্য আমি খুব খুশি। তবে, রাস্তাটা যাতে ভালোভাবে হয় সেটা পুরসভা দেখলেই হল। পুরসভার চেয়ারম্যান আবার এই রাস্তাটির ব্যান্ড বাজিয়ে ধূমধাম করে উদ্বোধন করলে আমি আরও খুশি হব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বিজেপির কিষাণ মোর্চার সভায় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্য সরকারকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “ভারতবর্ষ মূলত কৃষকদের অবদানে চলছে। বর্তমান রাজ্যের শাসক গোষ্ঠীর জন্য যেভাবে কৃষকরা বঞ্চিত, লাঞ্চিত হচ্ছেন, তার জন্য আমরা একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছি। অবিলম্বে এমএসপি অনুয়ায়ী ধান ক্রয় করতে হবে। কোনও বাটা বাদ দেওয়া যাবে না। কোনও কাটমানি খাওয়া যাবে না।” তিনি আরও সমালোচনা করে বলেন, “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে।”

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  বলেন, “আপনারা জানেন অনুব্রত মণ্ডল চোর মণ্ডল। তিনি চালকল মালিকের সঙ্গে সাম্রাজ্য খাড়া করেছিলেন। বালু, বাকিবুর আর কেষ্ট যখন বাইরে ছিল, তখন রাজের ২৯ লক্ষ চাষি সমবায় সমিতি, রাইস মিল এবং কিষাণ মান্ডির মাধ্যমে ধান ক্রয়ের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু এবার ১১ লক্ষ রেজিস্ট্রেশন হল৷ কেন? বাকি ১৮ লক্ষ কোথায় গেল? কেন্দ্রের পাঠানো ৫ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে এই সরকার। আপনাদের আমি কথা দিতে পারি এক-দেড় বছরের মধ্যে বিজেপি সরকার করবে। আর এই অরূপ মণ্ডলকে (গোঘাট থানার পুলিশ অফিসার) ওই চাষির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পা ধুয়ে জল খাওয়াবো।”

    বাংলার চাষিরা ফসল বীমার টাকা পাননি

    সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ফসল বিমা নিয়ে বলেন, “২০১৯ সালের নির্বাচনে ১৮ টা লোকসভার আসন বিজেপি জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে বের করে নিয়েছেন। পরিবর্তে বাংলার ফসল বিমা যোজনা করেছে। যার কোনও টাকা বাংলার চাষিরা পাননি। আয়ুষ্মান ভারতের বদলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছে৷ ওই ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা কেউ পান না। প্রাধানমন্ত্রী ৩৬০০ টাকা বস্তা সারে ২৪০০ টাকা ভর্তুকি দিয়েছেন। এখানে তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে একসঙ্গে কালোবাজারে সব সার বিক্রি করছে। পোস্টপোল ভায়োলেন্সের আসামীরা এখনও জেলে যায়নি৷ তাদের জেলে দেখতে চাই।”

    বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করছেন মমতা

    বীরভূমের সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিচারব্যবস্থার পক্ষে বলেন, “বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা এগিয়ে এসেছে ৷ কোন রাজ্যে আছেন আপনারা? হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কিভাবে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন মমতা এবং ভাইপো। আবার সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিনহার আইন মেনে জবাব সওয়াল শুনে সিআইডি দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন মমতা সরকার। কীভাবে বিচারপতিদের আক্রমণ করা হচ্ছে দেখুন। এমনকী তাঁর পরিবারের উপর আক্রমণ করে নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করেছে তৃণমূল সরকার। আমি সুপ্রিম কোর্টের কাছে মঞ্চ থেকে আবেদন করছি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন! বারুইপুরে তীব্র উত্তেজনা

    South 24 Parganas: গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন! বারুইপুরে তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুবককে কুপিয়ে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর থানার অন্তর্গত বলবনা এলাকায়। নিহতের নাম সইদুল শেখ (৪০)। পুলিশের অনুমান, এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে এই হত্যা হয়েছে। স্থানীয় মানুষের দাবি, তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর প্রচুর সম্পত্তিও বৃদ্ধি হয়েছিল। পথের কাঁটা সরাতেই কি খুন? তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, বিরোধীরা খুন করেছে। পাল্টা বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই হত্যার কারণ বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    পরিবারের অভিযোগ (South 24 Parganas)

    নিহত সইদুল শেখের স্ত্রী মাজেদা বিবির অভিযোগ, “এলাকায় খেলার মাঠকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরেই সইদুলকে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর সইদুল শেখের পরিবারের সদস্যরা রাতেই তাঁকে বারুইপুর (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানেই রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর।” সেই সঙ্গে মেয়ে রোহিণী খাতুন বলেন, “মাঠে গাড়ি চালাতে গিয়েছিল বলেই প্রথমে বচসা হয়। এরপর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাবাকে পিছন থেকে মাথায় কোপ দেওয়া হয়। এরপর মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে। রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে এবং প্রতিহিংসার কারণে বাবাকে খুন করা হয়েছে।” মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই সেখানে নেমে আসে শোকের ছায়া। ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এই হত্যার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি মাঠ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। সেই মাঠেই নিজের গাড়ি রেখেছিল সইদুল। আর এই কারণে আইজুল, সাদ্দাম, খোকন, কালো, সাগিররা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি তাঁকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও করে ওই দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে মাথায় কোপও দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে পুলিশ আরও জানিয়েছে অনুমান করা হচ্ছে সইদুলের প্রতিপত্তি বাড়ছিল বিগত কয়েক বছর ধরে। সেটাই সহ্য করতে পারছিল না অভিযুক্তরা। ফলে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।

    আবার স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় দক্ষ সংগঠন তৈরি করেছিল সইদুল। তাঁর নেতৃত্বেই গত পঞ্চায়েতে এই এলাকায় বিজেপি, সিপিএম দাঁত ফোটাতে পারেনি। সেই কারণেই পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। এই ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    বিজেপর বক্তব্য

    এলাকার (South 24 Parganas) বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, “এই হত্যা এলাকার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ ছাড়া আর কিছু না। পুলিশ ঠিক করে তদন্ত করলেই সত্য উঠে আসবে। এই জেলায় যত খুন হয়েছে সব তৃণমূল নেতাদের দ্বারাই হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা গৌতম দাস বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-সিপিএম হারার পর থেকেই সইদুলকে টার্গেট করা হচ্ছিল। মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হইয়েছে। আমরা হত্যার বিচার চাই”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share