Tag: bjp

bjp

  • Siliguri: “খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে নয়, ঘোষণা করুন মুখ্যমন্ত্রী”, চ্যালেঞ্জ বিজেপি বিধায়কের

    Siliguri: “খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে নয়, ঘোষণা করুন মুখ্যমন্ত্রী”, চ্যালেঞ্জ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) প্রশাসনিক বৈঠকের দিন চ্যালেঞ্জের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। খেলা বন্ধ করে খেলার মাঠকে এভাবে ব্যবহার করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সোমবার রাতে গ্রেফতার হন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মধ্যরাত নাগাদ শিলিগুড়ি থানা থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পেয়েই খেলার মাঠকে খেলার জন্য ব্যবহার করার ঘোষণার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বিজেপি বিধায়ক।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সোমবার সন্ধ্যায় ধর্নায় বসেন বিধায়ক। পুলিশ তাঁকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত  শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত মধ্যরাত নাগাদ শঙ্কর ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি সন্ত্রাসবাদী নই, আমি খেলোয়াড়। যেভাবে শয়ে শয়ে পুলিশ, জলকামান, কমব্যাট ফোর্স ইত্যাদি নামিয়ে এই ধর্না আটকানোর চেষ্টা হয়েছে তা দেখে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এটা জানাতে চাই যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফুটবল, ক্রিকেট লিগ খেলে আমি বড় হয়েছি। আমি সন্ত্রাসবাদী নই। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আবেদন রেখেছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি কর্মসূচি না করে, আপনি আপনার কর্মসূচি অন্য জায়গায় করুন। খেলার মাঠকে বাঁচতে দিন।

     মুখ্যমন্ত্রীকে কী চ্যালেঞ্জ জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) স্টেডিয়াম নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শঙ্কর ঘোষ বলেন, “মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে সরকারি ঘোষণা করুন যে খেলার মাঠ খেলা ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহৃত হবে না। তা না হলে আপনার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের সমস্ত মাঠ সুরক্ষার দাবি নিয়ে খেলোয়াড়, ক্রীড়াপ্রেমী এবং নাগরিকদেরকে নিয়ে রাস্তায় আরও বড়সড় প্রতিবাদে নামবো।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: টাকার পাহাড়ে নেতারা! প্রতিবাদে বিজেপির অবরোধে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    Hooghly: টাকার পাহাড়ে নেতারা! প্রতিবাদে বিজেপির অবরোধে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন ধরেই সরগরম প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড। কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর ঘর থেকে ৩৫৩ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ায় সারা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। আয়কর দফতরের হানায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থের হদিশ মিলেছে, যার উৎস এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাংলাতেও তৃণমূল নেতাদের আস্তানা থেকে মিলেছে বিপুল অর্থ। আর এইসব চরম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি (Hooghly)।

    পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    সোমবার চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর এলাকায় এই ইস্যুতে বিজেপি’র ওবিসি সেলের নেতৃত্বে (Hooghly) কয়েকশো দলীয় কর্মী  জি টি রোড অবরোধ করে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন। সকাল ১১ টা নাগাদ এই কর্মসূচি শুরু হয়। চলে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে। বিক্ষোভের জেরে জি টি রোডের উপর চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রবীন্দ্রনগর লাগোয়া জি টি রোড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চুঁচুড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীতে সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। এরপর বলপূর্বক বিজেপি কর্মীদের রাস্তা থেকে হটিয়ে দেয় চুঁচুড়া থানার পুলিশ। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা বিজেপির ওবিসি মোর্চা সভানেত্রী লাভলী দে, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? (Hooghly)

    হুগলি জেলা বিজেপির ওবিসি মোর্চা সভানেত্রী লাভলী দে বলেন, তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি সীমাহীন, সাধারণ মানুষের কাছে যেখানে টাকা নেই, সেখানে যেখানে সেখানে টাকা পাওয়া যাচ্ছে। পিছিয়ে নেই অন্য দলও। এই তো দেখুন ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া আমাদের (Hooghly) মূল অভিযোগ হল, বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ওবিসি’কে বঞ্চিত করা হচ্ছে।পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ওই নেত্রী বলেন, পুলিশ তো তৃণমূলের দলদাস। ওরা তাই আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: চক্ষুশূল বিজেপির ‘বিকশিত ভারত’ রথযাত্রাও, হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিল তৃণমূল!

    Cooch Behar: চক্ষুশূল বিজেপির ‘বিকশিত ভারত’ রথযাত্রাও, হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করে দিল তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বার্তা দিতে বিজেপি-র উদ্যোগে তৈরি “বিকশিত ভারত” নামে একটি সুসজ্জিত রথ আটকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বার্তা দিতে সোমবার থেকে কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা জুড়ে এই রথ ঘুরবে বলে ঠিক ছিল। কিন্তু, সেই সুসজ্জিত রথ যখন কোচবিহারের নিউ কোচবিহার রেলওয়ে স্টেশনের সামনে আসে। ঠিক সেই মুহূর্তে তৃণমূল নেতৃত্ব সেই রথ আটকে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। শুধু আন্দোলনই নয় তারা সেই গাড়ির ফেস্টুন ছিড়ে দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফেষ্টুনে কালি পর্যন্ত ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গাড়ি আটতে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    রথযাত্রা করতে দেব না, হঁশিয়ারি তৃণমূল নেতৃত্বের

    এই বিষয়ে হামলাকারী তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরুপ দে ভৌমিক বলেন, কেন্দ্র সরকার যখন ভারতের আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না, সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য টাকা না পেয়ে দিনের পর দিন কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। অথচ আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের কাছে তারা নতুন করে ভুল বোঝাতে এই রথ যাত্রার শুভ সূচনা করতে চাইছেন। মানুষ তা মেনে নেবে না। এই জেলায় এই ধরনের কর্মসূচি করা চলবে না। আমরা রাস্তায় নেমে আন্দেলন করছি। আগামীদিনেও করব।

     তৃণমূলীদের বাধা আমরা মানব না, সরব বিজেপির জেলা সভাপতি

    বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, মোদি সরকার যে উন্নয়ন সেটা মানুষ জানলে তৃণমূলকে আর কেউ ভোট দেবেনা। তৃণমূলের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। এরপর তিনি বলেন, আমরা জানি সারা ভারতবর্ষ জুড়ে কেন্দ্র সরকার উন্নয়নের যে প্রচার চলছে তার যে পারমিশন রয়েছে, সেই পারমিশনই চলবে। কিন্তু লোকাল থানা থেকে বলছে তাদেরও পারমিশন নিতে হবে। আমরা এই রথ যাত্রা করব, তৃণমূলীদের বাধা আমরা মানব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • East Medinipur: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বক্তব্য! বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

    East Medinipur: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বক্তব্য! বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক! গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান থেকে বিজেপির প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। সরকারি অনুষ্ঠানে সেখানেই দলীয় বক্তব্য রাখেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে কিছু সময়ের জন্য সভা বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চায়েত প্রধান জনগণের সামনে ভুল স্বীকার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? (East Medinipur)

    পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মন্ত্রী অখিল গিরি মহুয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কোনও ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলেও তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কী চান? নির্লজ্জভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আমাদের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। দু’মাস-ছ’মাস পর ভোট হবে, কৃষ্ণনগর থেকে আবার জিতে আসবে মহুয়া মৈত্র।’ পাশাপাশি তিনি হুমকির সুরে বলেন, ‘বিজেপি কেমন ভাবে জিতবে সেটা আমরা দেখব। এই বক্তব্যের পরেই উপস্থিত সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই বক্তব্য থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের বক্তব্য কেন তা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। পরে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর দাবি, বিরোধীরা তাঁদের মতো বলবেন, আমরা আমাদের মতো বলব। মন্ত্রী মঞ্চ ছাড়তেই পুনরায় কার্যত জনগণের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর পরেই কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন দাস ও প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। এদিনের সভায় উপস্থিত জনগণের সামনে ক্ষমা চান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপনকুমার দাস।

    তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘এই মঞ্চে আমাদের পক্ষ থেকে দলীয় প্রচার করার কোনও ইচ্ছা নেই। গ্রাম পঞ্চায়েতের দল-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই থাকবেন এই বার্ষিক সভায়।’

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা অনুপম জানা বলেন, ‘গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় একাধিক মন্ত্রী উপস্থিত রয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। এলাকার উন্নয়নের জন্য বিরোধী দল হিসেবেও সহযোগিতা করব। এই সরকারি অনুষ্ঠানটি অন্যরকম হয়ে গেল মন্ত্রী অখিল গিরির বক্তব্যে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন  শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, একজন বলেছিলেন কালী মদ খায় আর মাংস খায়। এক বছরও গেল না সেই কালী মায়ের কৃপায় সাংসদ হারা হয়ে গেলেন তিনি। নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি।

    শিশুর বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন, কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    নদিয়ার নবদ্বীপে সারা ভারত কীর্তন ও বাউল গীতি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁকে করতাল হাতে নিয়ে কীর্তন করতেও দেখা যায়। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন ধর্মকে যদি আমরা রক্ষা না করতে পারি তাহলে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে না। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। মুর্শিদাবাদে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য ভালো নেই। যেখানে শিশুর চিকিৎসা হওয়ার কথা, সেই বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছে।

    কৃষক মৃত্যু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যে সারের কালোবাজারি চলছে। সরকারের কোনও হেলদোল নেই। গোঘাট থানার ওসি কৃষকদের সঙ্গে যা আচরণ করেছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে এই সরকার কৃষকদের কথা ভাবে না। তাই, কৃষকরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ের বিয়ে নিয়েও সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সরকার যে বিয়ে তা এই প্রথম দেখলাম। এবার তো সরকার প্রজাপতি অফিস খুলবে। পাত্র-পাত্রী কে বাছাইয়ের কাজ করবে। রাজ্যে কৃষকের মৃত্যু হচ্ছে, হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে আর মুখ্যমন্ত্রী বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

    চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ১০০১দিনে পড়ল। ১০০০দিনে এক চাকরি প্রার্থী মস্তক মুন্ডন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এই সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, এই সরকার যতদিন থাকবে ওই চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh CM: জল্পনার অবসান, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে আদিবাসী মুখ বিষ্ণু দেও সাই

    Chhattisgarh CM: জল্পনার অবসান, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে আদিবাসী মুখ বিষ্ণু দেও সাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এতদিন কে হবেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনায় এবার ইতি পড়ল। রবিবার সামনে এল ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই হবেন ছত্তিসগড়ের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে রায়পুরে নির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকেই বিষ্ণু দেও সাই-কে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ

    ছত্তিসগড়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ হলেন বিষ্ণু। এখানকার বিজেপির অন্যতম পুরনো নেতা তিনি। ২০১৪ সালে রাইগড় কেন্দ্র থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তিনি দাঁড়িয়েছিলেন কুনকুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ৮৭ হাজার ৬০৪। বিজেপির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং এবারও ওই পদের জন্য নির্বাচিত হন কিনা তা নিয়ে সবার মধ্যেই জল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল বিজেপি ওই পদে বিষ্ণু দেও সাইকেই মনোনীত করেছে।

    আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককেই গুরুত্ব

    বিজেপির এই সিদ্ধান্ত থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, বিষ্ণু দেওকে মুখ্যমন্ত্রী করার মধ্য দিয়ে তারা আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককেই গুরুত্ব দিল। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তফশিলি জাতি এবং জনজাতিদের ভোটের বেশিরভাগটাই গিয়েছিল কংগ্রেসের দখলে। এবারের ভোটে সেই চিত্রটা পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। ওই সব ভোট এসেছে বিজেপির ঝুলিতে। তাই এদের গুরুত্ব এবং মর্যাদা দিতেই বিজেপির এই সিদ্ধান্ত বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে রমন সিং-এর নাম বারবার আলোচিত হলেও বয়সজনিত কারণ তাঁকে নির্বাচিত না করার পিছনে অন্যতম কারণ বলে অনেকে মনে করছেন।

    কী বললেন তিনি?

    মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর বিষ্ণু দেও সাই বলেন, ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র অধীনে বিজেপি এই রাজ্যের মানুষের কাছে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলি তিনি পূরণ করার চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে তাঁর সরকারের প্রথম কাজ হবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ১৮ লক্ষ উপভোক্তার জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মারিশদার পর এবার হুগলির গোঘাট থানা। থানার ভিতরে ঢুকে রনং দেহি মূর্তি ধারণ করলেন বিরোধী দলনেতা।

    কেন গোঘাট থানায় বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের ভিকদাস ধান্য ক্রয় কেন্দ্রের সামনে। কৃষকরা অভিযোগ তোলে, প্রয়োজনের তুলনায় ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বেশি বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষকদের উদ্যেশে গালিগালাজের অভিযোগ হুগলির আরামবাগ মহকুমার গোঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের অরূপ মন্ডলে বিরুদ্ধে । সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনগরে দলীয় কর্মসূচিতে একটি জনসভা ছিল। সেই সভা শেষ করে সেখান থেকে সোজা আরামবাগের গোঘাট থানাতে এসে হাজির হন শুভেন্দু। কৃষকদের হয়ে প্রতিবাদ জানাতে । এদিন সন্ধ্যায় গোঘাট থানর গেটে বিরোধী দল নেতার কোন এসে পৌঁছাতেই বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। 

    থানায় গিয়ে কী করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গোঘাট থানার  সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দলীয় নেতা কর্মীরা গেটের সামনেই ফুলমালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। তারপর তিনি ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক ও পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ ও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে সঙ্গে নিয়ে থানার ভিতরে ঢোকেন। এরপর থানায় ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন থানার ওসি অরূপ মণ্ডল কোথায়?  তার সঙ্গেই কথা বলবো। যদিও ডিউটি অফিসার জানান, তিনি বিশেষ কাজে বাইরে আছেন। তবে এই কথা শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ কর্মীদের ধমক চমক  দিতে থাকেন।

    মমতার পুলিশ কাপুরুষ

    থানায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই অকথ্য ভাষায় কৃষকদের গালিগালাজ কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমিও একজন কৃষক পরিবারের ছেলে, আর এই এলাকায় মানুষ কৃষির উপরে নির্ভরশীল, তাই একজন কৃষককে গালিগালাজ করবে মমতা পুলিশ এট মানা যায় না। সতর্ক করে গেলাম। এই ধরনের কোনওরকম ব্যবহার কোনও মানুষের সঙ্গে যেন আর দ্বিতীয়বার করা না হয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো নিজে আমার মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ভুল স্বীকার করবেন। কিন্তু আমার আসার কথা শুনেই তিনি পালিয়ে গেছেন।  বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মমতার পুলিশ কাপুরুষ। আমি আসবো বলে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আবার আসবো, রেহাই কাউকে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। আগামী মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। আর সেদিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শিলিগুড়িতে পালটা সভা করবেন। কিন্তু, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য ভবন দিতে চাইছে না কেউ। এমনটাই অভিযোগ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের। পুলিশি অনুমতিও নেই। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে – মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন শংকর ঘোষ। পুলিশ সেই কর্মসূচির অনুমতিও দেয়নি।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আয়োজনের মূল দায়িত্ব শংকর ঘোষেরই। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, অন্তত ১০টি ভবনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মালিকেরা বলছেন, আপনাদের ভবন দিতে পারব না। নিষেধ রয়েছে। চোখ রাঙানো হচ্ছে। কেউ অন্য যুক্তি দিচ্ছেন। তৃণমূল রয়েছে এ সবের পিছনে।’ শংকর দাবি করেন, ‘বাড়ির মালিকেরা আমাদের বলছেন, তাঁদের সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করার। কাউকে বিব্রত করতে চাই না। ‘ এদিন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ধরনা কর্মসূচির অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘সভার নামে স্টেডিয়ামকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। যেখানে রাজ্য সরকার ও পুরনিগমের তরফে অনেকদিন ধরেই বহুবার বলা হয়েছে স্টেডিয়ামের মাঠে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না, সেই মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা কী করে হয়, মেনে নেওয়া যায় না।’ শুধুমাত্র ১৪৪ ধারা বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষদের জন্য, শাসকদলের জন্য কেন হয় না, তারও প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। করছে

    এর আগেও শুভেন্দুর একাধিক সভায় পুলিশ অনুমতি দেয়নি

    প্রসঙ্গত, বিজেপির সভার অনুমতি নিয়ে সবসময় সমস্যা তৈরি  করছে প্রশাসন। সম্প্রতি ধর্মতলায় একুশের সভাস্থলে অমিত শাহের জন সভার জন্য প্রথমে বিজেপি পুলিশি অনুমতি পায়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিজেপি সভা করার অনুমতি পায়। এর ক’দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের তাঁর খেজুরিতে স্থানীয় প্রশাসন দিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি পায় বিজেপি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরেও দু’দফায় বাধা পাওয়ার পরে আদালতের অনুমতি নিয়েই মিছিল ও পথসভা করেন শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়িতে কী হয় হয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    BJP: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চাওয়ার কথা শুনিয়েছেন। এবার এ নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে বর্ধমানের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন। সব সময় উনাকে প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন কেন? উনি দিল্লি গিয়ে নাটক করেন। কয়েকদিন আগে তাঁর দলবল নাটক করতে দিল্লি গিয়েছিল। আসলে উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন সিবিআই, ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য। দিল্লি সফরের আগে বরাদ্দ বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপেক্ষিতেও সরব হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রকল্পের নাম বদল করা হচ্ছে। প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। মিড ডে মিলে বড় ঘাবলা হয়েছে। চালে পোকা, কাঁকড় পাওয়া যাচ্ছে। এসব এড়িয়ে বঞ্চনার নাটক করা হচ্ছে।

    ধর্নামঞ্চে কুণাল (BJP)

    গান্ধীমূর্তির সামনে SLST-র  ধর্নামঞ্চে কুণাল ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে যাচ্ছেন। ১২ বছর ধরে চলছে। এক হাজার দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছে। এখন মনে পড়েছে! সামনে ভোট আছে, তাই ধর্না মঞ্চে গেছেন। ভোট পার হলে সব ভুলে যাবে। আবার ২৬ সালে মনে পড়বে। ২৪ নির্বাচনে এর জবাব পাবে সরকার। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী অথচ মহিলারা ধর্নায় বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? এটা অন্যায় নয়?

    মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ (BJP)

    অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP) বলেন, অনেকেই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কালীঘাটের কাকু। এঁরা সবাই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। বড় বড় কংগ্রেসের আইনজীবীরা মোটা টাকার বিনিময়ে মামলা লড়বে। বাংলা থেকে দেশের সুরক্ষার জন্য যে সাংসদকে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে, সেখানে তিনি গোপন পাসওয়ার্ড অন্য জনকে শেয়ার করেছেন। এটা দেশের সুরক্ষা ব্যাপার। মহুয়া মৈত্র দেশদ্রোহী। আইন আইনের পথে চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের মাঠ! এই অভিযোগে ফের একবার সরব হলেন শিলিগুড়ির (Siliguri News) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এর প্রতিবাদে মাঠের অদূরে ধর্নায় বসার কর্মসূচিও ঘোষণা করলেন বিধায়ক। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন। আসলে নামেই প্রশাসনিক সভা, আদতে তা তৃণমূলের দলীয় সভাই হয়ে ওঠে শেষ পর্যন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির ‘সুপার ডিভিশন লিগ’ও। মাঠ তো খেলার জন্য। যে কোনও সরকারি বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের কারণে সেই খেলা বন্ধ হওয়া মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়, এমনটাই মত রয়েছে শিলিগুড়ির নাগরিক মহলের একাংশের।

    কী বলছেন শঙ্কর ঘোষ?

    শুক্রবার শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন শঙ্করবাবু। এই সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মাঠে তো ঢুকতেই পারলাম না। দুর্গ তৈরি করে তার ভিতর সাজসজ্জা চলছে। মাঠের অন্তর্জলি যাত্রা হচ্ছে, সেটাই দেখলাম। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামী ১১ তারিখ বিকেল ৪টে থেকে ১২ তারিখ সকাল পর্যন্ত খেলোয়াড় এবং ক্রীড়াপ্রেমীদের নিয়ে ধর্নায় বসব।’’ উত্তরবঙ্গের এই বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ, ‘‘খেলার জন্য স্টেডিয়াম। সেটা বন্ধ করে রাজনৈতিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গা-জোয়ারি সিদ্ধান্ত। এটা হল, আমি যা ইচ্ছা তা করব ব্যাপার।’’

    দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে

    বিধায়কের আরও সংযোজন, ‘‘এই স্টেডিয়ামে (Siliguri News) সর্বশেষ যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেটা স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংহের। ব্যক্তিগত ভাবে সে দিন প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ভাবে অরিজিৎ সিংহের ফ্যান হওয়ার সত্ত্বেও এবং আয়োজকদের আমন্ত্রণ পেয়েও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সভায় যাইনি। এখন আবার মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে শিলিগুড়ির সুপার ডিভিশন লিগের টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হল!’’ শঙ্করবাবুর মতে, দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে শ্মশান করার চেষ্টা চলছে। আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময় ধর্নায় বসব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share