Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar: ‘জেলের মধ্যেই তৃণমূল ক্যাবিনেট মিটিং করবে,’ তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘জেলের মধ্যেই তৃণমূল ক্যাবিনেট মিটিং করবে,’ তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে সমস্ত বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো দিয়ে আসলে তৃণমূল কালো টাকা সাদা করতো। তৃণমূলে একে একে সবাই জেলে হবে। ওই পার্টির যা অবস্থা তাতে আস্তে আস্তে দেখা যাবে জেলের মধ্যেই তারা ক্যাবিনেট মিটিং করবে। শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একটি প্রতিবাদী সভায় এসে রাজ্য সরকারকে এভাবেই আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    লোকসভায় রাজ্যে আরও বেশি আসন পাবে বিজেপি, বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক কৃষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর লাইব্রেরির মাঠে একটি প্রতিবাদী জনসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। কর্মীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন। পরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর। আগামী দিন দেখতে পাবেন সকলে গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে অধ্যক্ষকে অধীর চৌধুরীর চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে অধীর চৌধুরী তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও দিল্লিতে পাপ্পু আর এ রাজ্যের আম্মু একসঙ্গে রাজনীতি করে। তিনি বলেন, গত বছর লোকসভা ভোটে এ রাজ্য থেকে আমরা ১৮ টি আসন পেয়েছিলাম। তবে, এ বছর আমরা আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে অব্যাহত রাখব।

    কৃষ্ণনগর লোকসভা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কৃষ্ণনগর আসনটি এক সময় আমাদের ছিল। এই আসনে জয়লাভ করা আমাদের লক্ষ্য। তাই, এখানে একবার বা দুবার নয়, আমরা বার বার মিটিং করব। এখানে আমি ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক নেতা বার বার মিটিং করতে আসবেন। অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পথ খারিজের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর নিজস্ব পদাধিকার ক্ষমতা রয়েছে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি নিজেই ঠিক করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Medinipur: “চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় সেই কাজেই আমরা ব্যস্ত” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Purba Medinipur: “চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় সেই কাজেই আমরা ব্যস্ত” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে অবশেষে খেজুরিতে (Purba Medinipur) নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সভা করলেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, “খেজুরির মানুষ নানা ভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। যেহেতু তৃণমূলের ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাই তারা এলাকায় অত্যাচার করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই এলাককে উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছিল। তাই চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় এবং বঞ্চিতরা কীভাবে তাঁদের অধিকার ফিরে পায় সেই কাজে আমরা ব্যস্ত।”

    কী বলেন শুভেন্দু (Purba Medinipur)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী খেজুরিতে (Purba Medinipur) রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আজকের এই সভা কোনও রাজনৈতিক সভা নয়, ভোট চাওয়া বা দেওয়ার কথা বলতে আসিনি। এখানকার মানুষ বার বার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মানুষের মন জয় না করতে পেরে পুলিশকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমাদের কর্মীদের। সিপিএমের শাসনেও আমি নিজে এলাকায় মানুষের পাশে থেকেছি। এইরকম ঘটনা আগে হয়নি। যত মিথ্যা মামলা হয়েছে আমরা সব সাটিফায়েড কপি তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। বোগা, চরকাপীঠ, কসবাতে সভা করেছি। বাটুল, গোপাল, রবীনদের মিথ্যা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। থানায় গিয়ে কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি। আমি সকলের পাশে বন্ধু হিসাবে থেকেছি।”

    আর কী বললেন?

    খেজুরিতে (Purba Medinipur) এদিন সভায় শুভেন্দু আরও বলেন, “তৃণমূলের চোর, ডাকাত যাঁদের দেখেছেন তাঁরা সবাই ২০১০ সালে হিমাংশু দাসের নেতৃত্বে হওয়া আন্দলেনের ফলে গর্তে লুকিয়ে ছিল। তৃণমূলের চোরদের একদম ভয় পাবেন না। এলাকার বিরাট নেতা নৌসদ, জালালদের মদের বতলে ছবি প্রকাশিত হয়। আমাকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন থরথর করে কাঁপে, ঠিক সেই সময় সিপিএমের লোকেরা কেঁপেছিল। সে দিন আমি ছিলাম বলেই আজ তোলা মূলেরা টিকে আছে। সিপিএমের প্রবীণ নেতাদেরকে বিজেপির পক্ষে আগামী লোকসভার ভোটে নামামো। একেবারে চৌকিদারের মতো পাহাড়া দেবো আমি আপনাদের। আপানাদের পাশে থেকে আমি সব রকম সহযোগিতা করব।”

    হাইকোর্টের অনুমতিতে সভা হয়েছিল

    খেজুরির (Purba Medinipur) বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নারকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় কেস দিয়ে গ্রেফতার করলে প্রতিবাদে ২ ডিসেম্বর সভা করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু প্রশাসনের কাছে জানিয়েও আবেদন মেলেনি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে। শক্রুবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ, খেজুরিতে শনিবার ২ টো থেকে ৫ টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশকে লেঠেল বাহিনীতে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক। পুলিশের কাজ শুধু দড়ি দিয়ে মমতা এবং অভিষেককে পাহাড়া দেওয়া আর টাকা তোলা। শুক্রবার কল্যাণীতে আত্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে এসে এই ভাষাতেই রাজ্য পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বিজেপি কর্মীর উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মিহির বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে কল্যাণী থানার উত্তর চাঁদমারি এলাকার একটি সেলুনের দোকানে ঢুকে আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ওই এলাকারই অভিযুক্ত দুই ভাই আরমান শেখ এবং আরবাজ শেখ। জানা যায়, আরমান এবং আরবাজ ওই এলাকার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিজেপি কর্মীকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসা চলছে তার। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপরই শুক্রবার রাতে ঘটনার কথা জানতে পেরে হাসপাতালে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশকে কাজ না করতে দিলে যে ঘটনা ঘটার কথা সেটাই হয়েছে। পুলিশ এখন শুধুমাত্র দড়ি ধরে মমতা এবং অভিষেককে নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত। গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ স্তরের নির্বাচন হলে ভোট লুট করে কীভাবে তৃণমূলকে জেতানো যাবে সেই কাজ করানো হয় পুলিশকে দিয়ে।

    মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মতুয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলাদেশ থেকে জামাতদের কারণে মতুয়ারা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে এসেছিলেন। আজ তাদেরই নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে করে কোনও মতুয়া তৃণমূলকে ভোট দেবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েতে জেতার মাশুল! তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য রোজ রাতে ‘বিশেষ অনুরোধ’

    BJP: বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েতে জেতার মাশুল! তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য রোজ রাতে ‘বিশেষ অনুরোধ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ছাড়ার জন্য প্রতি রাতেই তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে গিয়ে ‘বিশেষ অনুরোধ’ করছে। এর সুরাহার দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ, রাত হলেই ভয়ে থাকতে হচ্ছে বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী মহিলা সদস্যা বন্দনা টুডু ও তাঁর স্বামী মোহনলাল টুডুকে। এ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব এবং তাঁদের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা প্রশাসনের কাছে অভিযোগে যা জানিয়েছেন, সেটাও যথেষ্ট চমকে দেওয়ারই মতো। বিজেপি সদস্যা ও তাঁর স্বামীকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য ’ভীতি প্রদর্শন’ করতে রাত হলেই নাকি পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতর উপ-প্রধান সহ শাসকদলের লোকজন তাঁদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। আর এই ঘটনা নিয়েই এখন আলোচনায় জামালপুরের পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি শাসকদলের নেতৃত্ব।

    অভিযোগে কী জানিয়েছেন বিজেপি সদস্যা? (BJP)

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পর্বতপুর গ্রামের ১২৮ নম্বর বুথে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বন্দনা টুডু। তিনি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছেন, ভোট দিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে জয়ী করে পঞ্চায়েতে পাঠান। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃণমূল পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। কিন্তু তার পরেও একেবারে বিরোধীমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার শাসক দলের লোকজন এবং পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান উত্তম হাজারী। তাঁর কথায়, ‘বেশ কিছুদিন ধরে রাত হলেই উত্তম হাজারী তাঁর দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলে আমি যাতে যোগদান করি, তার জন্য তারা আমাকে ও আমার স্বামী মোহনলাল টুডুকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এমনকি ব্লক তৃণমূলের পার্টি অফিসে আমাদের নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য প্রায় প্রতিদিনই চাপ সৃষ্টি করছে।’ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিহিত চেয়েছেন পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা বন্দনা টুডু।

    বিজেপির অভিযোগে কী জবাব তৃণমূলের?

    এই নিয়ে বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি প্রধানচন্দ্র পাল বলেন ,“তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করানোর জন্য আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীকে ভীতি প্রদর্শন করছে শাসক দলের উপ-প্রধান ও তার দলবল । এই বিষয়টি লিখিতভাবে ব্লকের বিডিও ও থানায় জানিয়েছি। প্রশাসন যদি এসব বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে“। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান; ‘মানুষ বিজেপি ,সিপিএম দুই দলকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্লকের কোনও পঞ্চায়েতেই বিরোধীরা বোর্ড গঠন করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে ’মাইলেজ’ পেতে বিজেপি নেতারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অন্য দল থেকে লোক টেনে আনার মতো অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়নি।’
     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় তৃণমূলের কে প্রার্থী হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। এর মধ্যেই বসিরহাটে (Basirhat) অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না বলে পোস্টার পড়ল। তৃণমূলের একটা অংশের পক্ষ থেকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বাদুড়িয়া, হাড়োয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় এমনই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে? (Basirhat)

    বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়ার কুলটি, বাদুড়িয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সাদা কাগজে পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা রয়েছে, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে কোনও বহিরাগত বা কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না। এলাকার ভূমিপুত্র, কাছের মানুষ ও কাজের মানুষকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে হবে। একেবারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারের নিচে ‘আমরা তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ বলে উল্লেখ রয়েছে।

    পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ

    বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তিনি সাংসদ হওয়ার পর এলাকায় তেমন কোনও উন্নয়ন হয়নি। সাংসদকে এলাকার সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, তৃণমূলের কর্মীরাও কাছে পাননি। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে এলাকার কর্মীদের মনে, এমনটাই দাবি দলের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে বড় কোনও সমাবেশ ছাড়া সাংসদকে এলাকায় দেখা যায়নি। কোনও সাংগঠনিক বৈঠকে তাঁকে ডেকে কাছে পাননি তৃণমূলের কর্মীরা। সাংসদ তহবিলে তেমন কোনও উন্নয়ন এলাকায় হয়নি। হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধ্যক্ষ বাহার আলি মোল্লা বলেন, ‘পোস্টারটা বড় কথা নয়। প্রতিটা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আমাদের কেন্দ্রের প্রার্থী এলাকার কর্মীদের কাউকে করা দরকার। বর্তমানে যিনি সাংসদ আছেন, তাঁকে আমরা কোনও অনুষ্ঠানে ডেকে সেভাবে কাছে পাই না। এমন কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করা দরকার, তিনি আমাদের সাংগঠনিক বুদ্ধি দেবেন। তিনি আমাদের তৃণমূলের পরিবারের অভিভাবক হবেন। যাকে ডাকলে বা কোনও সমস্যায় পড়লে কাছে পাই।’

    পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই প্রসঙ্গে মিনাখাঁ এরিয়া সিপিএম কমিটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ রায় বলেন, ‘আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখেছি, যিনি যত টাকা উপরের নেতাদের দিতে পেরেছেন, তিনিই টিকিট পেয়েছেন। এক্ষেত্রেও তাই হবে। কোথায় কোন তৃণমূলের কর্মীরা পোস্টার মারলেন, তা তৃণমূলের উঁচু স্তরের নেতারা দেখেন না। তাঁরা শুধু দেখেন টাকা। ‘মিনাখাঁর বিজেপি নেতা জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘এই চোরেদের দল নিয়ে আর কী বলব। যিনি প্রার্থী হবেন, তিনিই চুরি করবেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাজনা মানিক দুয়ানি এলাক। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকার মানুষ এদিন বিক্ষোভ দেখান।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই এলাকায় গত পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী অতসী পণ্ডিত এবং ১৮ নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী গীতা বৈরাগী জয়ী হন। সেই কারণে ভোগান্তির শিকার হতে  হচ্ছে এই এলাকার মানুষদের। এই এলাকার জন্য দেড় হাজার ফুট রাস্তা তৈরির অনুমোদন হয়। লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর থেকে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু, এই দুটি এলাকায় বিরোধীরা জয়ী হয়েছে। তাই, এই রাস্তাটি বিরোধীদের এলাকায় না হয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদারের বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে। আর দেড় হাজার ফুটের পরিবর্তে ৪০০ ফুট করা হয়েছে। সেখানে ফলক বসানো হয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে, বর্তমান আর্থিক বর্ষে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২৯ টাকা খরচা করে লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর হইতে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা নির্মিত হইল। যার ফান্ড নম্বর ১৫ এফসি/২২/২৩। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে লোকজন জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছে বলে এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়নি। আর দেড় হাজার ফুটের জায়গায় ৪০০ ফুট রাস্তা হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদার বলেন, এই রাস্তাটি আগে অনুমোদন হয়েছিল। তাই, রাস্তাটি করা হচ্ছে। ভুলবশত ওই বোর্ড বসেছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা, ট্রেনে-বাসে জেলা থেকে দলে দলে আসছেন বিজেপি কর্মীরা

    BJP Rally: ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা, ট্রেনে-বাসে জেলা থেকে দলে দলে আসছেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির (BJP Rally) বিক্ষোভসভা। সভায় যোগদান করবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও এই সভায় প্রথমে রাজ্য প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। পরবর্তীকালে হাইকোর্টে মামলা হয় এবং বিচারপতির নির্দেশে এই সভার অনুমতি মেলে। বিজেপির এই সভার মূল উদ্দেশ্য হল রাজ্য জুড়ে চলা তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পের সুবিধাকে কার্যকর না করে সাধারণ মানুষকে প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদসভা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রত্যেক জেলা থেকে আসবেন বিজেপি কর্মীরা। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসবে বিশেষ ট্রেন। জমায়েত হবেন লক্ষ লক্ষ বিজেপি কর্মী।

    উত্তরবঙ্গ থেকে আসবে বিশেষ ট্রেন (BJP Rally)

    উত্তরবঙ্গের বিজেপি কর্মীদের আনার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে একাধিক ট্রেনের। মঙ্গলবার রাতে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ট্রেনে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে দলে দলে বিজেপি কর্মীরা কলকাতার সভায় যোগদান করবেন। এদিন রাতেই মালদা থেকে আরও একটি ট্রেন বিজেপি (BJP rally) কর্মীদের নিয়ে আসবে। এই ট্রেনে দক্ষিণ মালদা, উত্তর মালদার সাংগঠনিক কার্যকর্তা এবং কর্মীরা আসবেন বলে জানা গিয়েছে। সাড়ে চার হাজার কার্যকর্তা এই ট্রেনে আসবেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রেনে মোট ২২টি বগি থাকবে। মালদা থেকে ট্রেনটি ফরাক্কা হয়ে একে একে জঙ্গিপুর, আজিমগঞ্জ, কাটোয়া, ব্যান্ডেল, নৈহাটি হয়ে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছবে ভোর পাঁচটায়। পাশাপাশি, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থেকে মঙ্গলবার রাত দশটায় একটি স্পেশাল ট্রেন ছাড়া হবে। ট্রেনটি গঙ্গারামপুর, গাজোল, মালদা, আজিমগঞ্জ কাটোয়া, ব্যান্ডেল, নৈহাটি হয়ে ভোর ছ’টায় শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছাবে। এই ট্রেনে আসবেন বিজেপির(BJP Rally) বুথ, মণ্ডল এবং জেলাস্তরের অসংখ্য কর্মী।

    দক্ষিণবঙ্গেও ব্যবস্থা করা হয়েছে ট্রেনের

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, আসানসোল, নদিয়া থেকে একটি করে ট্রেনে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও মেদিনীপুর থেকে ২টি বিশেষ ট্রেনে বিজেপি (BJP Rally) সমর্থকরা কলকাতায় পৌঁছবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, বীরভূমের বোলপুর থেকে একটি পৃথক ট্রেনে করে গেরুয়া সমর্থকরা আসবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কলকাতা সংলগ্ন শহর-শহরতলি থেকে বহু বাস, লরি, ম্যাটাডোর ভাড়া করা হয়েছে। আসবেন লক্ষ লক্ষ বিজেপির কর্মী সমর্থরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে! মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে! মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করে রাজ্যের নামে প্রকল্প করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার কমন সার্ভিস সেন্টারের একটি জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    উল্লেখ্য রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ যে বন্ধ করে দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি আদালতে দাবি করেছিলেন রাজ্যে প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে মমতার সরকার।

    আদালতের নির্দেশ কী (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়ে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে যে আগামী ১২ ডিসেম্বর রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। উত্তরে, রাজ্য হলফনামা দেওয়ার বিষয়ে অতরিক্ত সময় চাইলে বিচারপতি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার হুঁশিয়ারি দেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সব কিছুতে রাজনীতির রঙ না দেখাই ভালো। এটা যে পিপলস ওয়েলফেয়ার স্কিম।” যদিও এই মাসের প্রথম সপ্তাহে মামলাটি বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে উঠেছিল। সেই সময় রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিচারপতিরা।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত স্তরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সকল প্রকল্পগুলির জন্য ই-পরিষেবার মাধ্যমে সকলকে পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে এই ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ নাম বদল করে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ রাখা হয়। এরপর সুকান্ত মজুমদার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রকল্প বন্ধের ফলে অনেকের কাজ চলে গিয়েছে। এখানে অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে একটা কাজের সুযোগ ছিল। রাজ্য সরকারের রাজনীতির কারণে মানুষ নিজের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যেমন-কেন্দ্রের বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও প্রকল্পকে রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প নাম দিয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    BJP Rally: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছর বাদে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করতে চলেছে বিজেপি (BJP Rally)। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ‘ওয়ার্মআপ’ জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ধর্মতলায় চলছে মঞ্চ বাঁধার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাস্থলের কাজ খতিয়ে দেখতে সেখানে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    ‘শাহি’ সমাবেশ

    সভায় বঞ্চিতদের নিয়ে আসতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একাধিক সভা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভাস্থল পরিদর্শনে এসে সুকান্ত বলেন, “বুধবার গেরুয়া সুনামি দেখতে চলেছেন রাজ্যবাসী।” ওয়াই চ্যানেলের সামনে এর আগে ‘শাহি’ সমাবেশ হয়েছে ২০১৪ সালে। তবে তখন অমিত শাহ ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। সেই সভায়ও তিনি আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূলকে। সেবারও ইস্যু ছিল তৃণমূলের দুর্নীতি। এই ন’ বছরে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। রাজ্যে পায়ের নিচের মাটি শক্ত করেছে বিজেপি।

    কলঙ্কের কালি তৃণমূলের গায়ে 

    ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলের গায়ে লেগেছে একাধিক কলঙ্কের কালি। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, তেমনি রয়েছে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি। কয়লা ও গরু পাচারের আঁশটে গন্ধও লেগেছে তৃণমূলের গায়ে। এহেন আবহে রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির (BJP Rally) রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই সরকারের দুর্নীতির শেষ নেই। চাল চুরি, একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে কয়লা চুরি, সব কিছুই দেখেছেন রাজ্যবাসী। শিক্ষিত ছেলেদের চাকরি নেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি কর্মীদের সব কিছু থেকে ব্রাত্য করা হচ্ছে। এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধেই আগামিকাল আমাদের সমাবেশ।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিতরা। সুকান্ত বলেন, “গেরুয়া সমর্থকরা ইতিমধ্যেই জেলা থেকে রওনা দিয়ে দিয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার) রাতেও অনেকে চলে আসবেন। আগামিকাল রাজপথে গেরুয়া সুনামি দেখতে চলেছেন শহরবাসী। স্তব্ধ হয়ে যাবে গোটা কলকাতা।” তিনি বলেন, “আগেরবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম। এবার যদি ফের পুলিশ বাধা দেয়, তবে তা হবে আদালত অবমাননার শামিল। আমাদের কর্মীরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি কাল কিছু হয়, তাহলে আমরাও প্রতিবাদ জানাব (BJP Rally)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share