Tag: bjp

bjp

  • Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে হুগলির ২ শ্রমিক। পরিবারকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখলেন হুগলির পুরশুড়ার (Hooghly) বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। বিধায়ক বলেন, এই শ্রমিক পরিবারদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। অভাবের সংসার। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে যদি কিছু সাহায্য করা যায়, তাহলে ভীষণ উপকার হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়কে তুলে ধরে বিজেপির অভিযোগ, এই রাজ্যে কাজ নেই, তাই অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “উত্তরকাশীতে রাস্তার সুড়ঙ্গে ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই সুড়ঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। এই জেলারও রয়েছেন দুই জন শ্রমিক। তাঁদের একজন হলেন শৌভিক পাখিরা এবং অপরজন জয়দেব প্রামাণিক। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কাজ দিতে না পারায় অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছিল এই শ্রমিকদের।” দুইজন শ্রমিকের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ৭ রেসকোর্সের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই শ্রমিকদের বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী হলেন তাঁরাই। সুড়ঙ্গে আটকে থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজন খুব অসহায়বোধ করছেন। তাঁদের উভয়ের বাড়িতে অসুস্থ রোগী এবং বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পরিবারের পাশে থেকে সাহায্য করলে খুব ভালো হয়। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে পরিবারের দুশ্চিন্তা কমবে।”

    চারধামের সরল পথ এই সুড়ঙ্গ

    উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ পথে সড়কের কাজ চলাকালীন উপর থেকে ধসের কারণে পাথর ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। রয়েছেন হুগলির (Hooghly) দুই শ্রমিক। এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ এই চারধামের যাত্রা পথকে আরও সরল সহজ করতে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে খননের কাজ খুব জোর কদমে চলছে। ৪১ টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে সুড়ঙ্গের বাইরে। স্থানীয় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক রাখা হয়েছে। মনে করা হয়েছে আজ বিকেলের মধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার! রত্নার বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল, মঞ্চে ঠাঁই হল না নেত্রীর

    North 24 Parganas: বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার! রত্নার বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল, মঞ্চে ঠাঁই হল না নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতের জেলা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দলেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এমনিতেই লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তা নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছে। এমনকী নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া বাহিনী। কমিশনের তরফেও এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলা তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় শাসক দল। রত্না বিশ্বাসও দলের অন্দরেই সমালোচিত হয়েছেন। এরই মধ্যে দলীয় সভায় জেলা নেত্রীকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হল না। রত্না যে অন্যায় করেছেন, তা তৃণমূল নেতৃত্বের আচরণে স্পষ্ট বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতে ২৬ নভেম্বর সংসদীয় জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা। উপস্থিত ছিলেন বিতর্কিত বক্তব্য রাখা জেলা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস নিজেও। কিন্তু ওই সভায় মঞ্চে দেখা যায়নি রত্নাকে। এমনকী সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নেরও জবাব দেননি তিনি। তবে, রত্নার মন্তব্য যে ভুল, তা এদিন স্বীকার করেছেন কাকলি। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে কথা বলার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। রত্নার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ও ভুল করেছে। বোঝারও ভুল হয়েছে। বলারও একটু ভুল হয়েছে। ১৯৭১ অবধি যাঁরা এসেছেন, তাঁদের একই পরিবারের কারও নাম থাকলেও অনেকের নেই। ও সেটাই বলতে চেয়েছে। ঠিক মতো বোঝাতে পারেনি।’ তবে, সাংসদ তাঁর মন্তব্য নিয়ে কথা বললেও রত্না বিশ্বাস একটি কথাও বলেননি। দলের মধ্যেই তিনি যে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনাই।

    দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    এই বিষয় নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, রত্নার বক্তব্যের পরই পরিষ্কার হয়েছে কীভাবে রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ্যে বলার কারণেই মঞ্চে ঠাঁই হয়নি সংসদীয় জেলার চেয়ারপার্সনের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    South 24 Parganas: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালরা থাকে”। জয়নগরের গিয়ে রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কার্যত মেনে নিলেন রাজ্যে এখন দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কতটা সুরক্ষিত? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলি। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের মধ্যে ভাগের মাল নিয়ে খুনোখুনি চলছে। রাজ্যে আইনের শাসন নেই।

    কী বলেন মন্ত্রী ফিরাদ (South 24 Parganas)?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম জয়নগরের মৃত সইফুদ্দিন লস্করের বাড়িতে (South 24 Parganas) গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, “দলুয়াখাকিতে কিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, তবে গ্রামে কিছুই হয়নি। বাড়ি ভাঙার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মানুষের হত্যা। আর কটা বাড়িতেই বা আগুন লেগেছে! দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালরা থাকে। এটা নিয়ে রাজনীতি কেন হবে? তবে ভাঙচুরকে সমর্থন করি না। যারা করেছে তাদেরকেও চিনি না।”

    বিজপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “জয়নগরের (South 24 Parganas) ঘটনাটা ভাগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি। গত তিন মাসে তৃণমূলের মধ্যে দুর্নীতির টাকার ভাগ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটেছে। বাইক নিয়ে যারা এসেছিল তারা কারা? দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল

    উল্লেখ্য, কালীপুজোর দিন ভোরবেলায় খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে। উল্লেখ্য, বাইকে করে আসা দুষ্কৃতীদের মধ্যে দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। একজনকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর এলাকায় খুনের প্রতিহিংসায় গ্রামে বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে হত্যার পরিকল্পনাও করা হয়। ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। উল্লেখ্য, যাকে ঘটনাস্থলে পিটিয়ে মারা হয়েছিল তার স্ত্রীর দাবি স্বামী তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। রাজনীতির একাংশের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বলেছেন। এ যেন জয়নগরে (South 24 Parganas) ঠিক আরও একবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের ছায়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ডিসেম্বর মাস তৃণমূল নেতাদের কাছে হবে ভয়াবহ, রামপুরহাটে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Birbhum: ডিসেম্বর মাস তৃণমূল নেতাদের কাছে হবে ভয়াবহ, রামপুরহাটে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতাদের সাবধানবার্তা শোনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিলেন, ডিসেম্বর মাস খুব ভয়াবহ হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে। ফলে আগামী ডিসেম্বরে কি আরও তৃণমূল নেতা জেলে যাবেন? শুভেন্দুর হুঙ্কারের জেরে এই জল্পনা রাজনীতির একাংশের মানুষ করছেন। রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাই তৃণমূলের আসল চোরকে ধরতে ২৯ নভেম্বর কলকাতায় যাওয়ার আহ্বান করেছেন তিনি। 

    রামপুরহাটে কী বললেন শুভেন্দু (Birbhum)?

    রামপুরহাটের (Birbhum) সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডিসেম্বর মাস খুব ভয়াবহ হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে। ভোট পরবর্তী হিংসা, চুরি, জিলেটিন উদ্ধারেও তদন্ত হবে। মহম্মদবাজারে জিলেটিন উদ্ধারে অনেক তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। তাই সাবধান নেতারা।” এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, “রাতের অন্ধকারে বালি, পাথর, কয়লা সহ গরু পাচার হচ্ছে। পুলিশের সহযোগিতায় এই পাচার কাজ চলছে।” এরপর রাজ্য পুলিশের ডিআইজি শ্যাম সিং এবং রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কথা উল্লেখ করে সংগঠিত বালি, পাথর, গরু, পাচারের অভিযোগ তোলেন।

    কাজল শেখের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    পাশাপাশি বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবার নতুন একটি পাখি উড়ছে। কাজল শেখ। তাঁর ভাগ্নে বাপি। আমাদের সব নজরে আছে। যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে দেননি তাঁদের খুব ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। সব হিসেব নেওয়া হবে।”

    ডেপুটি স্পিকারকে হারানোর বার্তা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের (Birbhum) বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে নির্বাচনে পঞ্চাশ হাজার ভোটে হারানোর হুমকি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতাকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না খড়্গপুর পুলিশ

    Paschim Medinipur: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না খড়্গপুর পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। রবিবার দুপুরে বিজেপির সভা এবং পদযাত্রার অনুমতি দিল না খড়্গপুর (Paschim Medinipur) পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একই দিনে তৃণমূলের সভা রয়েছে তাই পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। অবশ্য এই অনুমতি না দেওয়ায় বিজপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, তৃণমূল বিজেপির শক্তিকে ভয় পাচ্ছে তাই পুলিশকে দিয়ে পদযাত্রার অনুমতি বাতিল করেছে। আগামী লোকসভার ভোটে বিরোধীদের আটকাতে কি তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করছে? উঠছে নানা প্রশ্ন। বিজেপির অবশ্য দাবি অনুমতি না দিলেও সভা আমরা করবই।

    উল্লেখ্য, আগামী ২৯ নভেম্বরে কলকাতায় অমিত শাহের সভাকে পুলিশ প্রথমে অনুমতি দেয়নি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে এবং অবশেষে বিচারপতির নির্দেশে সভার অনুমতি মেলে। রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিরোধীদের সভা করার অনুমতি না দিয়ে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুমিত মণ্ডল বলেন, “গত ২১ নভেম্বর পুলিশের কাছের রুটের পদযাত্রার কথা বলে আবেদন করা হয়। খড়্গপুরের বারবেটিয়া এলাকায় একটি সভা এবং পদযাত্রার কথা আবেদন করা হয়। সময় হিসাবে উল্লেখ করা হয় দুপুর ৩ টে থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। পদযাত্রার রুট হিসাবে বলা হয়, রিলায়েন্স মোড় থেকে লোকাল থানা পর্যন্ত। কিন্তু পুলিশ রবিবার জানিয়ে দেয় সেইদিন তৃণমূলের সভা রয়েছে। তাই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। প্রথমে আইসি প্রসিড লিখলেও পরে জানিয়ে দেন সভার অনুমতি সম্ভব নয়।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূলর সহ-সভাপতি দেবশিস চৌধুরি বলেন, “আমাদেরও ওই দিন একটি সভা রয়েছে। আমাদেরও অনেক সময় নানা প্রকার অনুমতি দেয় না পুলিশ। ফলে পুলিশকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। পক্ষপাতের তেমন কোনও ব্যাপার নেই এখানে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: দলের মণ্ডল সম্পাদকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ

    Purba Medinipur: দলের মণ্ডল সম্পাদকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ বিরোধী দলের কর্মীদের গ্রেফতার করছে, এ রাজ্যে এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। বিজেপির অভিযোগ, খেজুরির বাঁশগোঁড়ায় (Purba Medinipur) ‘হার্মাদমুক্ত দিবস’ পালনকে ঘিরে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দলের মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নাকে। এবার এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আজ সোমাবার বিজেপি খেজুরিতে ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ পালন করল। বিজেপির দাবি, ধৃত বিজেপি নেতাকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার-গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মিথ্যা গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। সেই কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল এক সময়। বিরোধীদেরকে বারবার শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে পুলিশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে অত্যাচার করে, এই অভিযোগে ফের একবার শোরগোল পড়ল রাজ্য রাজনীতিতে।

    কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ নভেম্বর খেজুরির বাঁশগোঁড়ায় (Purba Medinipur) ‘হার্মাদমুক্ত দিবস’ পালন করতে গেলে ব্যাপক গোলমাল বাধে। বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারের খবর শুনে শনিবার রাত সাড়ে দশটায় কাঁথি ফেরার সময় শুভেন্দু অধিকারী হাজির হন থানায়। এরপর কোনও কারণ ছাড়া বিজেপি কর্মীকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে চান তিনি। এমনকী গ্রেফতারের সময় অ্যারেস্ট মেমোতে সই করা হয়েছিল কিনা তাও জানতে চান। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “এটা অ্যারেস্ট নয়, পুলিশ অপহরণ করছে। আমি ওঁর স্ত্রীকে দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করাবো।”

    খেজুরিতে বিজেপির বন‍্‍ধ

    মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সোমবারে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (Purba Medinipur) ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ ডাকা হয়েছে। সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিজপির মূল দাবি, “রবীন মান্নার নিঃশর্তে মুক্তি চাই”। এলাকায় সকাল থেকেই বিজেপি মিছিল করছে। বেশ কিছু রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ বিজেপি কর্মীদের রাস্তা অবরোধ থেকে সরাতে গেলে পাল্টা রাস্তার মধ্যেই বিক্ষোভে বসেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা এলাকায় কর্মনাশা বন‍্‍ধ চান না। সকলকে দোকানপাট, বাজার খোলা রাখার আবেদন জানিয়েছি। সকলকে আমরা এলাকায় শান্তি রাখার আবেদন করেছি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ‘শাহি সমাবেশে’ বিপুল জমায়েতের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর সেই সভায় যাতে জমায়েত কম হয়, তা রজন্য উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আড়ালে আবডালে নয়, একেবার প্রকাশ্যে পোস্টার দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যাতে মানুষ যোগ না দেন, তার জন্য ভয় দেখাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায়। এখানকার এক নম্বর ওয়ার্ডের কেওটা বটতলা এলাকায় এই ধরনের পোস্টার দেখা যায়।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Hooghly)  

    ২৯ নভেম্বর ‘কলকাতা চলো’র ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওই দিন ধর্মতলায় হবে প্রতিবাদ সভা। সেই সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া-ব্যান্ডেলেও পোস্টার মারা হয়। বিজেপির সেই পোস্টারের উপর সাদা কাগজে ছাপানো লেখা পোস্টার মারা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘কেন্দ্র আমাদের আবাসের টাকা দিচ্ছে না। এলাকা থেকে যাঁরা এই সভায় যাবেন, তাঁদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে। তলায় লেখা জয় বাংলা। স্থানীয়দের নজরে পড়ে এই পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    তৃণমূল ভয় পেয়ে এসব করছে, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে। ওরা মানুষের আবাসের টাকা, একশো দিনের কাজের টাকা খেয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবে। আর আমাদের প্রতিবাদ সভা বন্ধ করতে হাইকোর্টে গেল, কোনও কাজ হল না। এখন ভয় দেখাচ্ছে সভায় যাতে লোক না হয়। এসব করে কোনও লাভ হবে না। ধৰ্মতলা সভায় বহু মানুষের ভিড় হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘বিজেপি পোস্টারের উপর নিজেরাই পোস্টার মেরে প্রচার চাইছে। ওদের সঙ্গে তিনগাছা লোক নেই। তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই পোস্টার মারতে যাবে। মানুষ সব দেখছে বুঝছে, ২৪ সালে সব জবাব দিয়ে দেবে।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: লোকসভার আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বিজেপির, সুকান্তর হাত ধরে যোগদান

    Sukanta Majumdar: লোকসভার আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বিজেপির, সুকান্তর হাত ধরে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। প্রায় শতাধিক কর্মী, সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। বামফ্রন্ট থেকে বহু কর্মী, সমর্থকও বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের ভেটাহার এবং বেরোইল এলাকায় এই যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিনের যোগদান কর্মসূচিতে সুকান্ত মজুমদার ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী  সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    এলাকায় উন্নয়ন করেনি তৃণমূল, সরব দলত্যাগী কর্মীরা

    এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, আমাদের ভেটাহার এবং বেরোইল এলাকার রাস্তা খুবই খারাপ। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনা। আমরা আজ তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। আমরা জানি বিজেপি আমাদের গ্রামে উন্নয়ন করবে। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,সবাই এখন বিজেপিতে যোগদান করবে। কারণ সবাই এখন বুঝতে পেরেছে বিজেপি এখন দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই কারণে এখন বিজেপিতে সবাই যোগাদান করছে।

    বীরভূমে তৃণমূলের বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ্ব বিবাদ মেটাতে ময়দানে মমতা। নেত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা তৃণমূল এবং ভাইপো তৃণমূলের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই আছে। বীরভূম ব্যতিক্রম নয়, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দ্বন্দ্ব আরও বেশি প্রকট হবে। ওরা খেলা করবে আমরা খেলা দেখব।

    ভর্তুকি গ্যাসে এবার বায়োমেট্রিক নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষকে তোপ সুকান্তর

    ভর্তুকি গ্যাসে এবার বায়োমেট্রিক, লক্ষ্য আধার যাচাই, বিরোধীদের কটাক্ষ, আবার সাধারণ মানুষের হয়রানি বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বিরোধীদের লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদির দেওয়া সাধারণ মানুষের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে সেখান থেকে টাকা রোজগার করা। বিরোধীরা জানে যে নরেন্দ্র মোদি কাজ করছেন, দেশের স্বার্থে গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকি যত সাধারণ মানুষের কাছে যায় সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এটা দেখা গেছে সাধারণ গ্যাস ব্যবহৃত হয় কমার্শিয়াল ক্ষেত্রে। এটা বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ।

     রাজ্যের হাসপাতালের বেহাল অবস্থা নিয়ে সরব সুকান্ত

    মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা হাসপাতালে ঝুলছে তালা এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এটাতো নতুন কিছু নয়, রাজ্যের প্রত্যেকটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাল বেহাল। মেডিকেল কলেজের নামে নীল সাদা বিল্ডিং করে দিয়েছে। কোনও ডাক্তার নেই। কোনও যন্ত্রপাতি নেই। গোটা রাজ্য জুড়েই একই চিত্র, শুধু নীল সাদা বিল্ডিং হয়েছে স্বাস্থ্য বলে কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে।” দুর্গাপুরের গোপালমাঠে চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে যত কেলেঙ্কারি হচ্ছে, তার মাথায় মাননীয়া। যদি সবার শাস্তি হয় তাহলে কেন নয় মুখ্যমন্ত্রীর? তাই অপেক্ষা করুন, সব কেলেঙ্কারির তথ্য এবার সামনে আসবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশির ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল বেঁচে আছে।” সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “মহুয়া সংসদে ইংরেজিতে গালিগালাজ করেন, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করেন। লিপস্টিক, পাউডার, স্নো নিয়েছেন।”

    পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত (Durgapur)

    দুর্গাপুরের জনসভায় বনগাঁর তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে দিলীপ ঘোষ কড়া সমালোচনা করেন। শুক্রবার বারাসতের জনসভায় বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করে দেওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার দুর্গাপুরের মায়াবাজার এলাকায় বিজেপির একটি কার্যালয়ে বিজায় সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে এদিন বিকেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ দিলীপ ঘোষ যোগদান করেন। সেই সঙ্গে একটি জনসভাও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ই। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশিদের ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। ওখান থেকে ভোটের প্রচার করতে খালি ভোটার নয়, নায়ক-নায়িকাদেরও নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ থেকে টাকা আসছে, সোনা আসছে অনেক কিছু চলছে তৃণমূলের রাজত্বে। তার মধ্যে ভাগও আছে তৃণমূলের নেতাদের। সেই জন্য বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল জিততে চাইছে। আমরা বারবার বলছি, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রত্না বিশ্বাস তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।”

    মহুয়ার পাপের ঘড়া পূর্ণ!

    দুর্গাপুরে (Durgapur) সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করার সমালোচনার পর, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বলেন, “ছবি দেখুন আপনারা। তাঁর কালো চশমার দাম জানেন? দুই লাখ টাকার গগলস! ভ্যানিটি ব্যাগের দাম এক লাখ টাকা! ঘড়ির দাম তিন লাখ টাকা! শুনেছেন কোনও দিন। সবই উপহার নিয়েছেন। তাঁর দিল্লির কোয়ার্টারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংস্করণ করেছেন। বিনিময়ে দেশের সুরক্ষাকে বিক্রি করছেন মহুয়া। ওঁর পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এবার সিবিআই তদন্ত শুরু করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন জিনিস তৈরি করে দিল্লিতে পাঠিয়ে বাংলার নাক-কান কেটেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ধর্মতলায় বিজেপির ‘শাহি সমাবেশ’ উপলক্ষ্যে হয়ে গেল খুঁটি পুজো, উৎসাহ তুঙ্গে

    BJP: ধর্মতলায় বিজেপির ‘শাহি সমাবেশ’ উপলক্ষ্যে হয়ে গেল খুঁটি পুজো, উৎসাহ তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য সরকার যাঁদের নানাভাবে বঞ্চিত করেছে, তাঁদের নিয়েই বুধবার সভা করছে বিজেপি। সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার সভাস্থানে সম্পন্ন হল খুঁটিপুজো। তার আগে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতৃত্ব সেই স্থানে বসেই প্রধানমন্ত্রীর ১০৭ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনেন। খুঁটিপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। বুধবার বিজেপির সভা সংখ্যার বিচারে অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    হাইকোর্টের অনুমতিতেই হচ্ছে সভা

    ৯ বছর আগে, ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর একই স্থানে সভা করেছিল রাজ্য বিজেপি। তখনও হাজির ছিলেন বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তারপর থেকে রাজ্যে বিজেপির (BJP) যথেষ্ট শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমানে বিরোধী দলের জায়গাও পেয়েছে বিজেপি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। মিলেছে ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাম সংসদের আসন। এমতাবস্থায়, গেরুয়া শিবিরের কাছে লোকসভা ভোটের আগে শক্তি প্রদর্শনের বড় মঞ্চ হতে চলেছে ২৯ নভেম্বরের সভা। সভার অনুমতি নিয়ে অবশ্য জলঘোলাও কম করেনি রাজ্য প্রশাসন। একই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস সভা করলেও বিজেপির সভায় আপত্তি তুলে প্রথমে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। এরপরে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চ আদালতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পুলিশকে অনুমতি প্রদানের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ওই একই স্থানে প্রতি বছর ২১ জুলাই সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে যে তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ যদি ওখানে হতে পারে, তবে বিজেপির সমাবেশ কেন নয়? বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেখানেও রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। সভার অনুমতি প্রদানের বিষয়ে একক বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

    দুর্নীতি ইস্যুতে কোণঠাসা শাসকদল

    প্রসঙ্গত, শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রামস্তরে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির টাকায় কাটমানি নেওয়া, বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতার টাকা চুরির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এর পাশাপাশি রাজ্যস্তরে রেশন দুর্নীতি, শিক্ষা দুর্নীতি এবং গরু পাচারের মতো ঘটনায় শাসক দলের একাধিক নেতা বর্তমানে জেলবন্দি। লোকসভা ভোটের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে অনেকটাই কোণঠাসা মমতা সরকার। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত অগাস্টে অভিষেক ও তাঁর দলবল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে যখন দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক দেখায়, তখনই রাজ্যের বঞ্চিতদের নিয়ে পাল্টা সভার কথা ঘোষণা রাজ্য় বিজেপি (BJP)।

    সভায় থাকছে অভিযোগ জমা দেওয়ার বাক্স

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে লোক আসবে বিজেপির (BJP) ভাড়া করা ন’টি ট্রেনে। একই সঙ্গে বুধবার হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দুটি বড় মিছিল এসে মিশবে ধর্মতলায়। ধর্মতলার বিভিন্ন চত্বরে দশটি বড় মাপের বাক্স রাখা হবে। সেখানে বিজেপির সভায় যোগদান করা মানুষরা লিখিতভাবে জানাবেন যে কোন কোন প্রকল্প থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই আন্দোলন ব্লকস্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সমস্ত অভিযোগ জমা করার পরে তা দিল্লিতে পাঠানো হবে। জানা গিয়েছে, বিজেপির সভায় অমিত শাহের ঢোকার কথা রয়েছে ঠিক দুপুর দুটো নাগাদ। রাজ্য বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পর্যন্ত প্রত্যেকেই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রোফাইল পিকচার বদলে ফেলেছেন। সেখানে সমাবেশকে সফল করার স্লোগানও রাখা হয়েছে। বিজেপি (BJP) তরফ থেকে একটি থিম সং-ও লঞ্চ করা হয়েছে সমাবেশকে সফল করতে। 

    লাখ ছাড়াবে জমায়েত, আশা বঙ্গ বিজেপির

    বুধবারের সভা নিয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা এক লক্ষ জমায়েতের কথা বলেছিলাম। কিন্তু যেভাবে আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে সাড়া পাচ্ছি, তাতে সংখ্যাটা অনেক বেশি হয়ে যাবে।’’ বিজেপির সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল। সে প্রসঙ্গে জগন্নাথবাবু বলেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম দল বিজেপি। কোনও আঞ্চলিক দলের অনুকরণের দরকার পড়ে না আমাদের। তারা কী বলছে, তা নিয়েও আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। তৃণমূল বরং দলের প্রকৃত মালিক নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলমাল মেটাক।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share