Tag: bjp

bjp

  • Bhatar: প্রকাশ্য সভায় বদলার নিদান তৃণমূল বিধায়কের মুখে, বিতর্ক

    Bhatar: প্রকাশ্য সভায় বদলার নিদান তৃণমূল বিধায়কের মুখে, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সমাবেশ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আগেই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীদের উদ্দেশে। মূলত টার্গেট ছিল বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ৪ জনের বদলে ৮ জনকে জেলে ঢোকাবেন। এবার সেই সুরেই কার্যত সুর মেলালেন ভাতারের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘বদল নয়, এবার বদলা চাইব’। তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? (Bhatar)

    ভাতাড়ের সিপিএমের পক্ষ থেকে ইনসাফ যাত্রা করা হয়েছিল। তার পাল্টা হিসাবে শুক্রবার ভাতারের (Bhatar) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে ভাতারের বলগোনা বাজার থেকে ভাতার বাজার পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানগোবিন্দ অধিকারী বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সেদিন বলে দিয়েছেন, আমাদের চারজনকে জেলে ঢোকালে, আমরা আটজনকে ঢোকাবো। উনি আগে বলেছিলেন বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু এবার বদলা চাইব।’ এরপরেই সিপিএমকে নিশানা করে বিধায়ক বলেন, তোমরা কি করেছো সেটা তো আমরা জানি। এখনকার ১৯ বছরের যুবকরা জানে না তোমরা কি করেছো। কিন্ত, আমরা জানি, সেই হিসাব আমরা চাই।

    বাম আমলে সিপিএমের অত্যাচারের কথা স্মরণ করালেন তৃণমূল বিধায়ক

    ভাতারের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ২০১০ এর ১০ই জানুয়ারি বনপাস স্কুলের কাছে টোটন মল্লিককে মারা হয়েছিল বোম মেরে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সে নিজের বোমাতেই নিজে মারা গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের ৩০ শে জানুয়ারি তেঁতুলতলায় আমাকে গুলি করা হয়েছিল, তখন পুলিশগুলিটাকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম গুলিটা কি হল,যেটা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, বড় সাহেবের নির্দেশে গুলিটা দেখায়নি। ইনসাফ তো আমরা চাই, তোমরা কি চাইবে?’

    বামেদের পাশে লোক দেখে তৃণমূল আতঙ্কিত, সরব সিপিএম নেতৃত্ব

    সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘বদলার রাজনীতি, স্বৈরাচারী রাজনীতি নিয়ে চলছে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে বামেদের পাশে লোক দেখে তাঁরা আতঙ্কিত।’ তাঁর কথায়, ১২ বছর ধরে ইনসাফ চাইতে পারলো না,এখন বলছে ইনসাফ চায়। এসব আর ওদের মানায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: থানায় সটান হাজির শুভেন্দু, পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার হুমকি

    Suvendu Adhikari: থানায় সটান হাজির শুভেন্দু, পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা থানার সামনে একের পর এক গাড়ি এসে থামল। গাড়ি থেকে নামলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে ছিলেন দলীয় বিধায়ক। সোজার ঢুকে পড়লেন থানার ভিতর। শনিবার রাত দশটার ঘটনা। ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা। থানার ভিতরে এভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ঢুকে পড়বেন তা আঁচ করতে পারেননি থানার ডিউটি অফিসার থেকে বড়বাবু। স্বাভাবিকভাবে সকলেই হকচকিয়ে যান।

    থানায় কেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বাশগোড়াতে সভা ছিল। তার আগে বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানকার মণ্ডল কমিটির সম্পাদক যুব নেতা রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে  কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ। একেবারে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনার খবর পেয়ে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ দাসপুর থেকে কাঁথির বাড়ি ফেরার পথে মারিশদা থানায় ঢুকে পড়েন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক-সহ ধৃত বিজেপি নেতার পরিজন ও একঝাঁক দলীয় সমর্থক। শুভেন্দু আসার খবরে মারিশদা থানার বাইরে ক্রমশ ভিড় জমাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। থানার সামনে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

    পুলিশকে অপহরণের মামলার হুমকি দিলেন শুভেন্দু

    গাড়ি থেকে নেমে থানার ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে দলীয় নেতার গ্রেফতারির ‘অ্যারেস্ট মেমো’ দেখতে চান বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। সেই সময় পুলিশকে রীতিমতো ধমকের সুরে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ ও আইনের বিভিন্ন ধারার উল্লেখ করে বিজেপি নেতার গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন। তিনি সরাসরি পুলিশ আধিকারিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনি সুপ্রিম কোর্টের আইন অমান্য করে ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ভায়োলেট করেছেন। আমি ওঁর (বিজেপি নেতার) স্ত্রীকে দিয়ে এখনই কিডন্যাপের (অপহরণ) অভিযোগ দায়ের করাব।’ সেই সময়েই পিছন থেকে এক পুলিশকর্মী কিছু বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘ডোন্ট ডিকটেট মি, ডিউটি অফিসার আমাকে বলুন। সিভিল ড্রেসে গিয়ে বাড়ির লোকের সই ছাড়া দলীয় কর্মীকে তুলে এনেছে। অ্যারেস্ট করেছে ৪টের সময়, এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে। আমি অ্যারেস্ট মেমো চেয়েছি। সেটা দিতে সাড়ে ছ’ঘণ্টা লাগে নাকি! ডিউটি অফিসার আর ওসির বিরুদ্ধে মামলা করব।’ এরপর তিনি থানার বাইরের বেঞ্চে বেশ কিছু সময় বসে থাকেন‘অ্যারেস্ট মেমো’ হাতে পাওয়ার দাবিতে। তবে পুলিশের তরফে কোনও কাগজ না পেয়ে অবশেষে রাত ১১টার আগেই তিনি মারিশদা থানা থেকে বেরিয়ে যান। যাওয়ার আগে পুলিশকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আপনারা আইপিসি-সিআরপিসি মানেন না। আপনাদের সঙ্গে তা হলে আদালতেই আমার দেখা হবে। এই মামলাটি অনেক দূর যাবে।’

    খেজুরি বনধের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা

    থানা থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের পর দীর্ঘ ৫ ঘন্টা তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। সব শেষে রাত প্রায় ১০টা নাগাদ মারিশদা থানায় থাকা কয়েক জন বিজেপির শুভানুধ্যায়ী আমাকে ম্যাসেজ করে জানান, এই থানায় রবীন মান্নাকে রাখা হয়েছে। আমি থানায় ঢুকে যেতেই ডিউটি অফিসার থরথর করে কাঁপছেন। এদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আদালতে যাব। ধৃত নেতা স্ত্রীকে দিয়ে আমি রবিবার কাঁথি আদালতে কিডন্যাপের মামলা দায়ের করব। সোমবার হাইকোর্ট খুললে সেখানে আমি রিট পিটিশন দাখিল করব। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার খেজুরি বনধ ডাকা হল।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা” তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Bankura: “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা” তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুরে এসে পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দী গ্রামের বিধায়ক। উল্লেখ্য, এই সভা নিয়ে প্রথমে রাজ্য সরকার অনুমতি দেয়নি এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোতুলপুরে হাঁটলেন। হাঁটার পথেই করলেন জনসংযোগ। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্নীতি নিয়ে করলেন কড়া আক্রমণ। তিনি বললেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা”।

    নম্বর দিয়ে বালি চুরির ফটো পাঠাতে বললেন শুভেন্দু

    আজকে প্রশাসনের ব্যাপক নজর শুভেন্দুর সভা এবং মিছিলে ছিল। মিছিল শেষে কোতুলপুরের (Bankura) নেতাজি মোড়ে চাচা ছোলা বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। কোতুলপুরে বিধায়ক থেকে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কাউকে রেয়াত দিলেন না। তিনি ঘোষণা করে বললেন, “বাঁকুড়ার আগামী কর্মসূচি ১১ ডিসেম্বর, পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে।” জনসভার খোলা মঞ্চে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে বালিচুরির ছবি পাঠাতে বললেন তিনি। কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের বিরুদ্ধে ছয় লাখ টাকা খেপে খেপে ধার নেওয়ার অভিযোগও তুললেন তিনি। এরপর জনসভা শেষে শুভেন্দু অধিকারী কামারপুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।

    সারের কালোবাজারি নিয়ে কী বলেন (Bankura)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু কোতুলপুরে (Bankura) বলেন, “মোদিজী সারের ভর্তুকি নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলার কৃষকদের ১২০০ টাকার সারকে ২৫০০ টাকা দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সারের কালোবাজারি করা চোরেদের নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলুর বস্তা কম দামে শাসক দলের চোরেরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা গরিব চাষিদের পাশে রয়েছি। ভাইপো বলেছেন এখানে নাকি বিজেপি শেষ হয়ে গিয়েছে। সব বিজেপি নাকি তৃণমূলে চলে গেছে। তাই বিজয়া সম্মেলনের দিনে লেজ দেখিয়ে ছিলাম, আজ দেহ দেখালাম এবং এরপর ১১ তারিখে পুরো সিনেমা দেখাবো। এখানে এলাকার মানুষ ডবল ইঞ্জিনের স্বপ্নে মোদিজীর হাত শক্ত করার কথা ভেবে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন কিন্তু ভাইপোর দলে ঢুকে মানুষের স্বপ্নকে ভঙ্গ করছেন বিধায়ক।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোরের মমতা। চাকরি চোর, বালি চোর, আবাস চোর, রেশন চোর, কয়লা চোর, মিড ডে মিলের টাকার চোরদের ধরতে কলকাতা যাবেন তো। এই রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে মমতাকে সারবো আমরা। সব হিসাব হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না” নিদান বিতর্কে তৃণমূল নেতা

    Purba Bardhaman: “টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না” নিদান বিতর্কে তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একশ দিনের টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না”। কার্যত এমন নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এক তৃণমূলের এক নেতা। সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কালনার সিঙ্গেরকোন (Purba Bardhaman) এলাকায় দলের এক কৃষক সভায় এই মন্তব্য করেন। আগামী জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রভু রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতির শ্রীরাম জন্ম ভূমির আন্দোলের বড় শ্লোগান ছিল ‘জয় শ্রী রাম’। শ্রী রাম ভারতের অখণ্ডতার প্রতীক। এমন সময়ে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য অত্যন্ত নিম্নরুচির বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। প্রতিবাদ জানিয়ে এই নিদানকে ধর্মীয় আক্রমণ বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ফলে রাম নাম বন্ধ করার ঘোষণায় রাজনীতিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    ঠিক কী বলেন তৃণমূল নেতা (Purba Bardhaman)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতা দেবু টুডু কালনায় (Purba Bardhaman) বলেন, “১০০ দিনের টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না। বিজেপির কর্মীরা আমাদের পাড়ায় জয় শ্রী রাম বলছেন। এই শ্লোগান দিতে হলে মানুষের কাজের টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে গোটা বাংলার কোথাও উচ্চারণ করতে দেবো না। এটা আমার ভিক্ষা নয়, অধিকার।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার এই উস্কানি মূলক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জেলা বিজেপি সভাপতি সুভাষ পাল বলেন, “এটা হচ্ছে একটা গরু চোর। সেইসঙ্গে ছাগলদেরও নেতা। ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা। রাজ্যের মা মাটির সরকার কেন্দ্রকে হিসাব দেয় না। টাকা চুরি আটকাতে কেন্দ্র সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই রাজ্যের রেশন, আবাস, মিড ডে মিল ইত্যাদিতে দুর্নীতির কথা ধরা পড়েছে। রাজ্যে দেড় কোটি রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় কেন জেলে রয়েছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কী দেবু জানেন? দেবু একটা পাগল, পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে কি না খায়।”

    ১০০ দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ

    ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসক তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে ব্যাপক তর্জা চলছে। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে ধরনা করতে দেখা যায় তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি তৃণমূল শাসকের কাছে, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রের পাঠানো অনুদানের খরচের হিসাব চাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই নিয়ে অভিযোগও করা হয়। সেই সঙ্গে ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির কথা বলে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে নানা টানাপোড়েন চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এই দলুয়াখাঁকি গ্রামে। ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। এই ঘটনার পর বিভিন্ন  রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে আটকে দেওয়া হয়েছে গ্রামের অনেক আগেই। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রামে ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি মিলল। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ দলুয়াখাঁকি গ্রামে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করা হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যারা গ্রামে অসুস্থ রয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি যাদেরকে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদেরও জামিনের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,’ মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আপনার বাপের সাধ্যি ছিল না। সেই মুসলমানদের এই প্রতিদান দিলেন। তৃণমূলকে ভোট দেয় না বলে এদের ওপর হামলা হয়েছে। বগটুইয়ের মতো পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে দলুয়াখাঁকিতে। দিল্লি যাওয়ার আগে জয়নগরে একবার ঘুরে যান না। আপনি বগটুইতে পুড়িয়েছেন মুসলমানদের। আর এখানে মুসলমানদের বাড়ি পুড়িয়েছেন। বগটুইয়ের মতো পরিকল্পিত হামলা হয়েছে, নাহলে পেট্রল আর হাতুড়ি এল কোথায় থেকে। এই গ্রামের মানুষজন বিরোধী দল করেন বলেই পরিকল্পিতভাবে গ্রামের উপরে হামলা চালানো হয়েছে।’

    সিপিএম প্রতিনিধি দল যায় গ্রামে

    বিরোধী দলনেতার আগে এদিন সকালে সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামে ত্রাণ নিয়ে যান। ঘর তৈরির জন্য বাঁশ টিন থেকে শুরু করে অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন গ্রামবাসীদের হাতে। সেই প্রতিনিধি ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামের প্রবেশ করার মুখে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পাঁচজনের বেশি মানুষ গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দিলে দু পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শেষ পর্যন্ত সিপিএমের তরফ থেকে ত্রাণ নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য! হাইকোর্ট গঠন করল বৃহত্তর বেঞ্চ

    Calcutta High Court: ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য! হাইকোর্ট গঠন করল বৃহত্তর বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক হত্যা, লুট, বাড়ি ভাঙচুর সমেত একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল। বিরোধী মহিলা কর্মীদের উপরও ব্যাপক নির্যাতন হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই সংক্রান্ত মামলাগুলিতে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অভিযোগ, সেই নির্দেশ মানেনি রাজ্য। তাই গত বছর ২৮ নভেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানির জন্য গঠন করা হল পাঁচজন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

    অভিযোগ ছিল মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে 

    মূলত রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই মামলার শুনানির জন্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) গঠন করা নতুন বৃহত্তর বেঞ্চে দুই প্রবীণ বিচারপতি রয়েছেন। এই বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসায় অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জমা পড়ে। প্রশাসনের সামনেই একাধিক ক্ষেত্রে হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। লাখের ওপর বিজেপি কর্মীকে সেই সময় ঘরছাড়া হতে হয়। ফলে এসবেরই বিচার এবার হতে চলেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

    মামলায় আর কী বলা হয়েছিল?

    গত ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছিল, দুষ্কৃতীরা যাদের সম্পত্তিহানি, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুট এবং ক্ষতি করেছে, তাদের অভিযোগ জমা নিয়েছে ‘রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি’। সেখানে মামলা বিচারাধীন। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে কোনও ক্ষতিপূরণই দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে রাজ্যের দাবি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী যেসব বিচারপতির দেওয়া নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি, তাঁরাই আদালত অবমাননার মামলা শুনতে পারবেন। তবে আগের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে দুইজন বিচারপতি বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নেই। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে রয়েছেন, অন্যদিকে অবসর নিয়েছেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। নতুন বেঞ্চ গঠনের মধ্যে দিয়ে সেই বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে গেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেব” হুমকি তৃণমূল নেতার

    Birbhum: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেব” হুমকি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভার ভোটে বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেব”। সরকারি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা বাবু দাস। যা ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বীরভূমের এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য রাজ্যে তৃণমূল সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করতে চাইছে। লোকসভা ভোটে মানুষ দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূলকে ভোট দেবে না।  

    কোন তৃণমূল নেতা বলেন (Birbhum)?

    চার মাস পর ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট, পাখির চোখ করে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল নেতা বাবু দাস। এদিন বোলপুর (Birbhum) পৌরসভার অন্তর্গত এক নম্বর ওয়ার্ডের প্রান্তিক এলাকায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে একটি সভার আয়োজন করেন এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সংগীতা দাস। আর সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্লকের তৃণমূলের নেতা বাবু দাস বলেন, “বিজেপিকে গোহারা হারিয়ে দিন। লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা নিন। আর যদি কেউ ভাবে বিজেপিকে ভোট দিব, তাহলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বন্ধ করে দেব। কথা দিয়ে গেলাম এমনকী সরকারি সব বন্ধ করে দেবো।” ঘটনায় অবশ্য বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের নেতাকে।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    তৃণমূল নেতা প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ করার নিদান দিলে চরম বিতর্ক ছড়ায় বীরভূমে (Birbhum)। পাল্টা বিজেপি নেতা কাঞ্চন ঘোষ বলেন, “সরকারি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া আর হুমকি দিচ্ছেন নেতারা। তৃণমূলের গুন্ডারা রাজ্যের আইন-কানুনকে পরোয়া করে না। তবে মানুষ লোকসভার ভোটে বিজেপিকেই ভোট দেবে। তৃণমূল নেতারা কী করতে আমরাও দেখবো।”

    সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূল নেতার সাফাই

    পরে বোলপুরের (Birbhum) তৃণমূল নেতা বাবু দাস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফাই দিয়ে বলেন, “চার মাস পরেই তো লোকসভার ভোট, তাই মহিলাদেরকে নিয়ে ভোট প্রচার শুরু করে দিলাম। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রেখেছে, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। তাই সমস্ত মহিলাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছি লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে স্বাস্থ্য সাথী সবকিছুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। বিপুল ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন! মোদিকে ‘অপয়া’ বলে আক্রমণ রাহুলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    Narendra Modi: শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন! মোদিকে ‘অপয়া’ বলে আক্রমণ রাহুলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘পনৌতি’ বা ‘অপয়া’ বললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার গান্ধী নেহরু পরিবারের যুবরাজের দাবি করেন, গুজরাটের আহমেদাবাদের ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের দিন মাঠে নরেন্দ্র মোদির হাজির থাকার জন্যই ভারত ম্যাচ ছেড়েছে। মঙ্গলবার রাজস্থানের বারমেরে এক নির্বাচনী জনসভা থেকে এ কথা বলেন রাহুল গান্ধী। এবার তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া শোনা গেল বিজেপির কাছ থেকে। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে এই ইস্যুতে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

    রবিশঙ্কর প্রসাদের বিবৃতি 

    বিজেপির মুখপাত্র তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘তোমার মা মোদিজিকে ‘মৌত কা সওদাগর’ বলার ফল সবাই দেখছে। এবার তুমি বলে চলেছ।’’ ঘটনা হল ২০০৭ সালে গুজরাটের বিধানসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ‘মৌত কা সওদাগর’ বলে তোপ দেগেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। সেই নির্বাচনে বিপুল ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। রবিশঙ্কর প্রসাদ রাহুল গান্ধীকে ১৬ বছর আগের সেই কথাই স্মরণ করালেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    বিজেপি নেতার ট্যুইট ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া 

    অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করে তাঁর এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘তাহলে এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি’কে (Narendra Modi) পনৌতি বলছেন রাহুল। এখানে ভণ্ডামিরও বেশি কিছু আছে। ৫৫ বছরের যে ব্যক্তি নিজে জীবনে একটা দিনেও কাজ করেননি, যাঁর পরিবার দুর্নীতির মাধ্যমে পরজীবীর মতো দশকের পর দশক ধরে দেশকে শোষণ করেছে এবং যাঁদের সরকার আর্থিক দিক থেকে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে যে এরকম কথা বলছেন, সেটা হতাশা এবং মানসিক অস্থিরতার পরিচয় দিচ্ছে।’’

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘এটা খুবই জঘন্য মন্তব্য। ম্যাচ খেলা হয়। ম্যাচে কেউ জেতে, কেউ হারে। উনি কংগ্রেসের ঐতিহ্য বজায় রাখছেন।’’

    শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

    এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে তুলোধনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাদের দেশে কিছু লোক আছেন যাঁরা এখানে খান, এখানে ঘুমোন, এখানেই দাদাগিরি, মাতব্বরি করেন আর রাষ্ট্রবিরোধী কথা লেখেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়, ফেসবুকে পোস্ট করেন। ভারত কাল হেরে যাওয়ার পর দেশের সরকারকে দায়ী করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিম করেন। এটা অন্যায়। বিদেশি শক্তির সঙ্গে লড়াইয়ের আগে দেশের ভিতরে থাকা এই সমস্ত হামাসগুলিকে চিহ্নিত করে উৎখাত করার দরকার আছে। যা হয়েছে তা অত্যন্ত আপত্তিকর, ঘৃণ্য। এগুলি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয়ে। তিনি ভারতীয় দলের প্র্যাকটিস জার্সির গেরুয়া রং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ছাপ্পা মেরে ভোটে জেতা কলকাতার মেয়র বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে ফাইনাল না হলেই ভারত জিততো। এমনটা কোথাও হয় না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র মামলায় (National Herald case) ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র, এই সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পরিচালক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়া। এর পাশাপাশি রয়েছে লখনউয়ের নেহরু ভবনও। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া গান্ধী। ইডি তদন্তে উঠে এসেছে যে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের দখলে রয়েছে ৬৬১.৬৯ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি।

    সংবাদপত্র কংগ্রেস নেতাদের কাছে ঋণ নিয়েছিল

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানা যায়। মনমোহন সিং সরকারের আমলে ২০১৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald case) সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ঠিক তার পরেই ২০১৪ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। স্বামীর মতে, ‘‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড নামের সংস্থা হল ন্যাশনাল হেরাল্ডের (National Herald case) প্রকাশনা সংস্থা। এই সংস্থার বাজারে ৯০ কোটি টাকার দেনা ছিল। এই দেনার বেশির ভাগই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।’’

    ২০১৫ সালেই তদন্তের নির্দেশ দেয় দিল্লির আদালত

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রটি (National Herald case) ২০০৮ সালেই বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় এটি অধিগ্রহণ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার মধ্যে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও। এর ফলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে চলে আসে। স্বভাবতই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কংগ্রেস নেতাদের কাছে নেওয়া ৯০ কোটি টাকা ঋণের সেই বোঝাও চাপে ইয়ং ইন্ডিয়ার ওপর। ঠিক এই সময়ের মধ্যেই দেনার টাকা আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়, এই যুক্তি দেখিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ঋণের টাকা মকুব করে দেয়। এখানেই আপত্তি তোলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। স্বামীর যুক্তি ছিল, ‘‘কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। কোনও রাজনৈতিক দলকে কর দিতে হয় না। আবার কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকে (National Herald case) কোনও রাজনৈতিক দলের ঋণ দেওয়াটা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে।’’ ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানা হস্তান্তরের সময় কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, সেই তদন্তের জন্য ২০১৫ সালের শুরুর দিকেই নির্দেশ দেয় দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    Malda: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশি আক্রমণাত্মক হচ্ছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। দুদিন আগেই কোচবিহারের দলীয় সভায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে মারার নিদান দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ হুমকি দিলেন মালদা (Malda) জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    মালদার (Malda) বামনগোলায় পথসভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন আব্দুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ খগেনবাবুরা ৩৫ কোটি টাকা পান, কত টাকা কমিশনে কাজ বিক্রি করেছেন ঠিকাদরদের কাছে। সেই ৩৫ কোটি টাকা কোথায় তার হিসেব দিতে হবে। এরপরেই তিনি বলেন, ‘বহু কথা বলেছেন,বড় বড় আওয়াজ তুলছেন, মানুষ কিন্তু এবার ছেড়ে কথা বলবে না। যে মুখ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, যে মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন, সেই মুখ থেকে জিভটা টেনে ছিঁড়ে বের করে মানুষ প্রমাণ করবে যে মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কলোনির হাটে যে রাস্তাগুলো হয়নি এখানে কেন্দ্রীয় সরকার যত বঞ্চনা করুক, খগেন মুর্মু যত বঞ্চনা করুক, জুয়েল মুর্মু যত বিরোধিতা করুক আর বিজেপি যত বিরোধিতা করুক, সমস্ত রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেস করবে।’ মূলত বেহাল রাস্তার কারণে খাটিয়া নিয়ে রোগী নিয়ে যেতে রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা থেকে বাঁচতে রাস্তা তৈরির সাফাই দিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, ‘আমরা কারও জিভ ছিঁড়তে রাজি নই। এই মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। মালদায় (Malda) অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার জন্য এক মহিলার মৃত্যু দুঃখজনক। তবে এমজিএনআরজিএ-র কাজ হলে রাজ্য সরকার সেই কাজ করবে। সেটা বিধায়কের দেখার কথা নয়। স্থানীয় গ্রামের প্রশাসনের দেখা উচিত।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share