Tag: bjp

bjp

  • Devendra Fadnavis: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    Devendra Fadnavis: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমের খবরেই পড়ল সিলমোহর! মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশই (Devendra Fadnavis)। বুধবারের বৈঠকে তাঁর নামেই সিলমোহর দিল পদ্ম-পার্টির পরিষদীয় দল। বিধানসভায় বিজেপির নেতাও তিনি। ৫ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ফড়ণবীশ।

    ফড়ণবীশের নামেই সিলমোহর

    মুখ্যমন্ত্রী পদে কাকে বসানো হবে, তা ঠিক করতে এদিন মুম্বইয়ে বৈঠকে বসে বিজেপির পরিষদীয় দল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক – কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। এই বৈঠকেই ফড়ণবীশের নাম প্রস্তাব করেন রূপানি। তাতে সায় দেন সকলেই। এই বৈঠকেই পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবেও বেছে নেওয়া হয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকেই (Devendra Fadnavis)। এদিনই বিকেলে ফড়ণবীশের নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিধায়কদের একটি দল রাজভবনে যাবে। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা। বিজেপির সঙ্গে এনসিপির অজিত গোষ্ঠীরও নেতারাও রাজভবনে যাবেন বলে খবর।

    জমকালো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আজাদ ময়দানে হবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান। এদিন ফড়ণবীশের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে এবং এনসিপির অজিত পাওয়ারও। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণার পর দলীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফড়ণবীশ প্রধানমন্ত্রীর ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ স্লোগানটির উল্লেখ করেন। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, মহাযুতি জোট একত্রিত।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ১৪৯টি আসনে। পদ্ম ফুটেছে ১৩২টি কেন্দ্রে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট (মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোট নামে পরিচিত)-এর বাকি দুই শরিক শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী পেয়েছে ৫৭টি আসন। আর এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী পেয়েছে ৪১টি আসন। শিন্ডেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। তাই তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা চেয়েছিলেন শিন্ডেকেই ফের বসানো হোক মুখ্যমন্ত্রী পদে। তবে যেহেতু বিজেপিই একক বৃহত্তম দল এবং জোটের মধ্যে তারই ঝুলিতে রয়েছে সব চেয়ে বেশি আসন, তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিল বিজেপিই। সেই দাবিতেই পড়ল সিলমোহর। মুখ্যমন্ত্রী পদে (Maharashtra) বসানো হচ্ছে গৈরিক শিবিরের ফড়ণবীশকে (Devendra Fadnavis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Devendra Fadnavis: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশ, উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের ছেলে?

    Devendra Fadnavis: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশ, উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের ছেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)। বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) ছেলে। মহারাষ্ট্রের নয়া সরকার শপথ নেবে ৫ ডিসেম্বর। তার আগে হবে বৈঠক। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এই বৈঠকেই বিধানসভা দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন ফড়ণবীশ।

    চালকের আসনে ফড়ণবীশ! (Devendra Fadnavis)

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। তার মধ্যে বিজেপি একাই জেতে ১৩২টি আসনে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর (মহারাষ্ট্রে এই জোট মহাযুতি নামে পরিচিত) দুই শরিক শিবসেনার একনাথ শিন্ডের শিবির এবং এনসিপির অজিত পাওয়া গোষ্ঠী পেয়েছে যথাক্রমে ৫৭ ও ৪১টি আসন। যেহেতু বিজেপি এককভাবে সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার পদ্ম-পার্টিই। তবে ওই পদের দাবি জানাচ্ছিলেন শিন্ডের অনুগামীরা। পরে বিজেপিকে নিঃশর্ত সমর্থন জানান শিন্ডে। তার পরেই ফড়ণবীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজেপির একটি অসমর্থিত সূত্রের খবর। একনাথ বলেন, আমি আগেই বলেছি, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমার ও শিবসেনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে এবং তাকে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাব। শিন্ডের ছেলে শ্রীকান্ত যে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন খবর ছড়িয়েছে, তাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শ্রীকান্ত স্বয়ং।

    আরও পড়ুন: “চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    উপমুখ্যমন্ত্রী কে?

    জানা গিয়েছে (Devendra Fadnavis), উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছেন শিন্ডে। তাঁর একাধিক মন্ত্রক পাওয়ার দাবি মেনে নিয়েছে বিজেপি। নয়া ফর্মুলা অনুযায়ী, ফড়ণবীশের সঙ্গেই ৫ ডিসেম্বর উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ার। একটি সূত্রের খবর, বিজেপির হাতে থাকবে ২২টি মন্ত্রক। শিন্ডে সেনা পাবে ১২টি মন্ত্রক। বিধান পরিষদের চেয়ারম্যানের পদও পাবে তারা। বিধানসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান-সহ ৯ থেকে ১০টি মন্ত্রক পাবে এনসিপির অজিত গোষ্ঠী। ৫ ডিসেম্বর সন্ধেয় আজাদ ময়দানে শপথ নেবে মহারাষ্ট্রের নয়া সরকার। প্রসঙ্গত, ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis) মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে (Eknath Shinde) আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক বিজেপির, কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ

    BJP: বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক বিজেপির, কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হচ্ছে। আর সেই সব জেহাদিরা ভারতে এসে চিকিৎসার সুবিধা নিচ্ছে। আমরা সেই সব ভারত বিদ্বেষীদের কখনওই আমাদের দেশে চিকিৎসা করাতে দেব না। মূলত এই দাবি তুলে বিজেপি (BJP) বিধায়ক অম্বিকা রায়ের নেতৃত্বে কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন দলের নেতা-কর্মীরা।  

    চিকিৎসকদের কাছে বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক (BJP)

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চিন্ময় প্রভু। শুধু মৌলবাদীদের হুমকির জেরে তাঁর পক্ষে কোনও আইনজীবী আদালতে সওয়াল না করায় তিনি জামিন পর্যন্ত পাচ্ছেন না। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চলছে। সেখানকার মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বাংলাদেশের কলেজে গেটের সামনে মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা আঁকানো রয়েছে। আর তার ওপর দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা। এটা ভারতবাসীর কাছে অপমানের। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে এদিন কল্যাণী এমস হাসপাতালে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন কল্যাণী বিজেপি (BJP) বিধায়ক অম্বিকা রায় সহ বিজেপি সমর্থকরা। প্রত্যেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি দিতে হবে। এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে বাংলাদেশি রোগীদের বয়কট করতে হবে।

    আরও পড়ুন: দ্রুত নামবে পারদ! মাঝ-ডিসেম্বর থেকেই শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং, বলছে পূর্বাভাস

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    এ বিষয়ে বিধায়ক (BJP) অম্বিকা রায় বলেন, “কিছু ভারতবিদ্বেষী রয়েছে, যারা ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। অথচ তারাই এসে বিনামূল্যে ভারতের চিকিৎসা সুবিধা নিচ্ছে। ১৪০ কোটি মানুষের এই ভারতবর্ষকে নিয়ে অপমান করার সাহস তারা কোথা থেকে পায়? কিন্তু দেখা যাচ্ছে এ রাজ্য সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আমরা চাই সেই সমস্ত ভারত বিদ্বেষী বাংলাদেশিরা যাতে আমাদের দেশে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা না পায় সেই ব্যবস্থা করুক সরকার। সেই কারণেই এদিন আমরা এইমস হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখালাম। আমরা কোনও মতেই ভারত বিরোধী কোনও বাংলাদেশিকে ভারতবর্ষের কোনও সুবিধা পেতে দেব না”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Issue: ‘‘আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

    Bangladesh Issue: ‘‘আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ইস্যুতে (Bangladesh Issue) সংসদে তৃণমূলকে ধুয়ে দিলেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য, জগন্নাথ সরকার। রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে ‘বাংলায় ঢুকে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করছে বাংলাদেশিরা’ এমনই মন্তব্য করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের পর প্রতিদিনই সেখানে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। মঙ্গলবার সাংসদে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনার সময়ই রাজ্যে অনুপ্রবেশের কথা তুলে মমতা সরকারের বিপক্ষে গর্জে ওঠেন বিজেপি সাংসদরা। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলায় অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল, এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য।

    রাজ্য সরকার মদতে অনুপ্রবেশ

    রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রশ্ন, “বাঙালি হিন্দু হওয়া কি অপরাধ?” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বেছে বেছে হিন্দুদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে। মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, আর্থিক তছরুপ হচ্ছে, রাতের বেলা ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলামে। কাঁটাতারের বেড়া মধ্যে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। এপারে এসেও শান্তি নেই। দিনের পর দিন অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারি মদতেই হচ্ছে। তছনছ হচ্ছে সরকারি সম্পদ। ভাঙা হচ্ছে মন্দির। বেলডাঙা, হাওড়া, উলুবেড়িয়ার মতো জায়গায় সরকারি মদতে দাঙ্গা ছড়াচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এগুলি হচ্ছে সরকারি মদতে। রাজ্য সরকার মদত দিচ্ছে হাওড়া উলুবেড়িয়ায় সন্ত্রাস হতে।” জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা আসছে বলেই মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। হুগলি, হাওড়া, নদিয়ার কিছু অংশেও একই সমস্যা। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে প্রথম থেকেই বাংলার শাসকদল কেন্দ্রীয় সরকার, অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিএসএফ-কেই দায়ী করে এসেছে। এক্ষেত্রেও তারা বল ঠেলেছে মোদি সরকারের দিকেই। এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানোর আবেদন করুক কেন্দ্র।” 

    ভোটবাক্সের রাজনীতি

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, রাজ্যে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে মঙ্গলবারও রাজ্যসভায় মমতা সরকারের দিকে আঙুল তোলেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য। রোহিঙ্গারা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমিয়েছে, অথচ রাজ্যের সরকার কিছু করছে না বলে দাবি করেন তিনি। শমীক বলেন, ‘‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, ভারত সরকারের পরমাণু বিভাগের অধীনে রয়েছে। এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্র হাই সিকিওরিটি জোন বলে বিবেচিত হয়। অথচ উত্তরের দেওয়ালের বাইরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা এসে ভিড় জমিয়েছেন। সব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা এমন এক রাজ্যে রয়েছি, যেখানে অনুপ্রবেশকারীদের স্বাগত জানানো হয়। দুই হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাই। পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে রোহিঙ্গারা বসে থাকলে, আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে। পুলিশের কাছে চার চার বার গেলেও সে নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। রাজ্যের সরকারের জন্যই আজ এমন পরিস্থিতি রাজ্যের সরকার অনুপ্রবেশে অনুপ্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশের কথা পরে হবে। প্রতিদিন যে অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা যে প্রশ্নের মুখে, তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার।’’ ভোটবাক্স ধরে রাখতে রাজ্যের সরকার অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে বলেও দাবি করেন শমীক।

    অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রের নিশানা

    প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ (Bangladesh Issue) থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সরকারকে নিশানা করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। শাহের কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ, স্থানীয় প্রশাসনই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি একই কারণে। স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। অসমেও আছে, বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডেও আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে কোথাও নদীনালা রয়েছে, কোথাও পাহাড় রয়েছে। সর্বত্র সুরক্ষা সম্ভব নয়। রাজ্যের ভূমিরাজস্ব দফতর, অনুপ্রবেশের সময় কী করে? জেলাশাসকেরাই বা কী করছেন? পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারকে কেন জানানো হচ্ছে না?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Waqf Land: ‘‘যেখানে নমাজ পড়া হবে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি’’! বিতর্কিত মন্তব্য কল্যাণের, তুলোধনা বিজেপির

    Waqf Land: ‘‘যেখানে নমাজ পড়া হবে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি’’! বিতর্কিত মন্তব্য কল্যাণের, তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ বিলের (Waqf Land) সংশোধনের বিরোধিতায় কলকাতার রানি রাসমণি রোডে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে সমাবেশ করা হয়। সেখান থেকে ওয়াকফ বিল সংশোধনের প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব বেজায় ক্ষুব্ধ। কল্যাণের কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি নেতারা।

    যেখানে নমাজ পড়া হবে, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি হয়ে যাবে (Waqf Land)

    দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনি যেখানে নমাজ পড়বেন বা যাঁরাই নমাজ পড়বেন কোনও এক জায়গায়, সেটাই ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Land) হিসেবে বিবেচিত হবে। যে কোনও একটা জায়গায় যদি ২০ জন বা ২৫ জন বা ১৫ জন বা পাঁচজন নিয়মিত নমাজ পড়েন, সেটাকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর নমাজ যে মসজিদে পড়তে হয়, সেটার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত

    কল্যাণের এই বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন, তাতে কলকাতার একটা বড় অংশই ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কল্যাণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিমানবন্দর, পার্ক, রেললাইনের মতো জায়গাকেও ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। তাঁর দাবি, ‘‘পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো বাংলায় হিন্দুদের সম্পূর্ণ নির্মূল নিশ্চিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ’’বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, ‘‘এটার (কল্যাণের মন্তব্য) অর্থ হল, যে কোনও অজুহাতে রাস্তা, রেললাইন, বিমানবন্দর, পার্ক-সহ অন্যান্য জায়গায় নমাজ পড়া হলে সেটাকে ওয়াকফ জমি (Waqf Land) হিসেবে দাবি করা যেতে পারে। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কলকাতার একটা বড় অংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে চলে যাবে।’’ তিনি তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যটি পোস্টও করেছেন।

    কল্যাণকে খোঁচা যুব মোর্চার

    সত্যিটা বলার জন্য ধন্যবাদ, কল্যাণকে খোঁচা দেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘সত্যিটা এত সোজাভাবে বলে দেওয়ার জন্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে ধন্যবাদ। তাঁর কথা শুনলে বোঝা যায়, কীভাবে ওয়াকফের মাধ্যমে জমি দখল হয়।’’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখন এরা দাবি করছে যে ভারতবর্ষের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ স্থান তাদের। পুরো দক্ষিণ কলকাতা, ধর্মতলা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা নাকি এদের। ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে এরা ভারতবর্ষ দখল করার একটা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতবর্ষ দখলের এদের এই পরিকল্পনায় সম্পূর্ণ সাহায্য করছে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলগুলো। ওয়াকফ কতটা ভয়ংকর, সেটা আপনারা একটু খোঁজ নিলেই বুঝতে পারবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Eknath Shinde: “আমি ইতিমধ্যেই আমার নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছি”, বললেন শিন্ডে

    Eknath Shinde: “আমি ইতিমধ্যেই আমার নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছি”, বললেন শিন্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ইতিমধ্যেই পার্টি নেতৃত্বকে আমার নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছি এবং তাঁদের সিদ্ধান্তের পাশে থাকব।” রবিবার মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra CM) কে হবেন, সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। তিনি বলেন, “জনগণ বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোটের পক্ষে একটি ঐতিহাসিক ম্যান্ডেট প্রদান করেছেন।”

    সরকার জনগণের কথা শুনবে (Eknath Shinde)

    শিন্ডে জানান, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিশ্রামের জন্য তিনি সাতারা জেলায় নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। তিনি এও জানান, তাঁর জ্বর সেরে গিয়েছে। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। সাতারায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শিন্ডে বলেন, “আমি এখন ভালো বোধ করছি। ব্যস্ত নির্বাচনসূচির পর এখানে বিশ্রাম নিতে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার আড়াই বছরের মেয়াদে আমি কখনও ছুটি নিইনি। এখনও লোকজন আমায় এখানে দেখতে আসছেন।” তিনি বলেন, “এই সরকার জনগণের কথা শুনবে।”

    আমাদের কাজ স্মরণীয় হয়ে থাকবে

    শিন্ডে বলেন, “গত আড়াই বছরে আমাদের সরকারের কাজ ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই কারণেই মানুষ আমাদের ঐতিহাসিক ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং বিরোধীদের এমনকি বিরোধী দলনেতা নির্বাচনের সুযোগও দেয়নি।” তিনি (Eknath Shinde) বলেন, “মহাযুতির তিন সহযোগী দলের মধ্যে ভালো সমঝোতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আগামীকাল নির্ধারিত হবে।”

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। মহাযুতি জোটের বাকি দুই শরিক একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা পেয়েছে ৫৭টি আসন। এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর দখলে রয়েছে ৪১টি কেন্দ্রের রাশ। স্বভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির কেউ। তবে ঠিক কে ওই পদে বসবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেই ওই পদে বসানো হতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন: মোহভঙ্গ! ‘ইন্ডি জোট’-কে না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের, বিধানসভায় একক ভাবে লড়বে আপ

    বিভিন্ন জল্পনার জবাব দিতে গিয়ে শিন্ডে বলেন, “দফতর ভাগ নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের প্রতিশ্রুতির কারণে জনগণ আমাদের বেছে নিয়েছে। আমরা তাঁদের সেই আস্থা বজায় রাখতে চাই। কে কী পদ পাবেন (Maharashtra CM), সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছেন, তাই তাঁদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা আমাদের দায়িত্ব (Eknath Shinde)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।এ 

     
     
  • Maharashtra: মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ৫ ডিসেম্বর, হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    Maharashtra: মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ৫ ডিসেম্বর, হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দিনক্ষণ ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। গতকাল শনিবারই মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানিয়েছেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টায় মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথগ্রহণ করবেন। অর্থাৎ একথা পরিষ্কার হয়ে গেল, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই জানা যাবে। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামীকাল ২ ডিসেম্বর বিজেপি বিধায়কদের বৈঠক হবে। যেখানে বিধায়কেরা নিজেদের দলের নেতা বেছে নেবেন। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে মারাঠা ভূমের বিজেপি নেতা বাওয়ানকুলে আরও জানিয়েছেন, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শনিবার ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)  বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, গত মাসের শনিবার ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছিল। তারপর থেকেই শিবসেনা (শিন্ডে)-বিজেপি আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ইস্যুতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন শিন্ডে-ফড়ণবীশ।  সূত্রের খবর, বিজেপি জোটের সব কিছুই ইতিবাচক রয়েছে। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রী কে হন মহারাষ্ট্রে!

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা, সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তি চাইল আরএসএস

    ঐক্যবদ্ধ এনডিএ 

    বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে এনডিএ শিবির। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত)-এর ‘মহাযুতির’র ঐক্যবদ্ধ চেহারা অটুট রয়েছে। প্রসঙ্গত, এনসিপি (অজিত) ফলপ্রকাশের পরের দিন থেকেই বলে আসছে, ফড়ণবীশ মুখ্যমন্ত্রী হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, বিজেপিরই কেউ মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। কেউ কেউ মনে করছেন শিন্ডেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে পারে গেরুয়া শিবির। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবারই শপথের দিন চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২৮৮ জন সদস্য রয়েছেন। এরমধ্যে বিজেপি জোট ২৩৩ আসনে জয় পেয়েছে। এরমধ্যে বিজেপির ১৩২ আসন, শিবসেনা (শিন্ডে) ৫৭ এবং এন সি পি (অজিত) ৪১ আসন পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: কেজরিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল তরল, ‘ক্ষোভের জের’, বলছে বিজেপি

    Arvind Kejriwal: কেজরিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হল তরল, ‘ক্ষোভের জের’, বলছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আক্রান্ত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এবার তাঁকে লক্ষ্য করে তরল পদার্থ ছুড়ে মারলেন এক ব্যক্তি। দক্ষিণ দিল্লির ঘটনায় চাঞ্চল্য (Viral Video)। শনিবার বিকেলে আম আদমি পার্টির তরফে আয়োজন করা হয়েছিল পদযাত্রার। তাতে শামিল হয়েছিলেন কেজরিওয়াল স্বয়ং।

    কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা (Arvind Kejriwal)

    প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ভিড়ের মধ্যেই এক যুবক চলে আসেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর একেবারে কাছে। তাঁকে লক্ষ্য করে তরল পদার্থ ছোড়ার চেষ্টা করেন। দলীয় কর্মীদের তৎপরতায় বড়সড় বিপত্তির হাত থেকে বেঁচে যান আপ সুপ্রিমো। জানা গিয়েছে, হামলাকারীর নাম অশোক ঝাঁ। মারধর করে তাকে তুলে দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের হাতে।

    কেজরির ওপর হামলা হয়েছে আগেও

    কেজরিওয়ালের ওপর হামলার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কালি ছিটিয়ে দিয়েছিলেন এক যুবতী। তার আগে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন তাঁকে কষিয়ে থাপ্পড়ও মেরেছিলেন এক ব্যক্তি। ওই বছরই দিল্লি সচিবালয়ের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) লক্ষ্য করে জুতো ছুড়েছিলেন বেদ প্রকাশ নামের এক যুবক।

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইদানিং প্রায় প্রতিদিনই দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা-সহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন কেজরিওয়াল। এদিন তিনি পদযাত্রা করছিলেন গ্রেটার কৈলাশ এলাকায়। সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি।

    আরও পড়ুন: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সাংসদ বিজেপির কমলজিৎ সেহরাওয়াত বলেন, “দিল্লির সরকার মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি বলেন, “মানুষ ক্ষুব্ধ, কারণ রাস্তা ভাঙা, নর্দমা উপচে পড়ছে এবং দূষণের মাত্রাও অত্যন্ত বেশি। তাই জনগণ ধৈর্য হারাচ্ছে।” সেহরাওয়াত বলেন, “তবে আমি জনগণকে অনুরোধ করছি, তারা যেন ভোটের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশ করে। পুলিশের উচিত সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

    বিজেপির একটা অংশ একে কেজরিওয়ালের ‘গিমিক’ বলেই মনে করছে। তাদের মতে, রাজনৈতিকভাবে সফল হতে পারছেন না কেজরিওয়াল (Viral Video)। তাই লোক দিয়ে এই ধরনের কাজ করাচ্ছেন (Arvind Kejriwal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘পরিবারের যত্ন নিন’, ওড়িশায় দলীয় বৈঠকে কর্মীদের ‘পরামর্শ’ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: ‘পরিবারের যত্ন নিন’, ওড়িশায় দলীয় বৈঠকে কর্মীদের ‘পরামর্শ’ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারের যত্ন নেওয়া, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা এবং একটি ভালো সামাজিক জীবন যাপন করা — ওড়িশায় দলীয় নেতা-কর্মীদের এই তিন মন্ত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ এবং রাজ্যের দলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টা দুয়েক ধরে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এই বার্তা দেন। এদিন বৈঠকে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নেতাদের জিজ্ঞেস করেন সম্প্রতি কে কে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাই বলেন, তাঁরা কোভিড-১৯ অতিমারির সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোভিড-সম্পর্কিত বিষয়ে নয়, অন্য কোনও অসুস্থতার কারণে।”

    কী জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী আরও জানতে চান, ব্যস্ত রাজনৈতিক সময়সূচির মধ্যেও তাঁরা কি নিজেদের পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের যত্ন নেন। বৈঠকে উপস্থিত এক বিজেপি নেতা বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বেশি ছুঁয়ে গিয়েছিল যখন তিনি জানতে চাইলেন, আমাদের যদি অবিবাহিত বোন থাকে এবং তাদের বিয়ে দেরি হচ্ছে, তবে এর কারণ কি আমরা পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিচ্ছি না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, রাজনীতি থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়ে পরিবারের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে। তিনি আমাদের বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও দায়িত্বের আগে পরিবারকে অগ্রাধিকার দিতে।”

    কী বলছেন বিজেপি নেতা?

    অন্য এক বিজেপি নেতা বলেন, “আমরা কখনওই আশা করিনি যে তিনি (PM Modi) বৈঠকটি এতটা ইনফরমাল করবেন। তিনি অভিভাবকের মতো কথা বলেছেন। এটি মূলত একটি ইনফরমাল আলোচনা ছিল।” এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের মনোযোগ সবসময় আপনাদের দিকে থাকে, কারণ আপনারা তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আপনাদের ওপর সব সময় নজর রাখা হয়। তাই জনগণের সঙ্গে আচরণ করার সময় বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমের যুগে আরও সতর্ক থাকতে হবে। আপনি যা বলবেন, তা বলার আগে চিন্তা করুন। আপনার একটি ছোট ভুলের বড় মাশুল আপনাকে দিতে হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বিরোধীরা’’, ওড়িশায় তীব্র আক্রমণ মোদির

    গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিজের অভিজ্ঞতাও এদিন শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “রাজ্যে মেয়েদের শিক্ষা দেশের মধ্যে ২০তম স্থানে ছিল। আমি এটিকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আমি আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের একত্রিত করেছিলাম। বিধায়ক ও দলীয় কর্মীরা সেই সব গ্রামে গিয়েছিলেন, যেখানে মেয়েদের স্কুল ছেড়ে দেওয়ার হার খুব বেশি ছিল। আমাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছিল (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    West Bengal Assembly: ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য’’, বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রশ্নে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) মুলতুবি প্রস্তাব আনলেন প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, ভারতের মাটিতে স্বাধীনভাবে নিজের নিজের ধর্মচর্চা করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। সেই অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের তরফে এটি করা হচ্ছে৷ শুক্রবার, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মুলতুবি প্রস্তাব আলোচনার জন্য ওঠে। কিন্তু, আলোচনায় বিরোধী দলের কোনও সদস্যই প্রস্তাবটি পাঠ করার সুযোগ পাননি। এরপর হট্টোগোল শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা বয়কট (BJP Walk Out) করেন বিজেপির বিধায়করা। 

    ধর্মাচরণে বাধা

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য়। এ ব্যাপারে বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আলোচনা চেয়েছিলাম। অথচ অধ্যক্ষ নিজেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন। গরিষ্ঠতা, দম্ভ, অহঙ্কার দিয়ে বিধানসভার মধ্যেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই ওয়াকআউট।’’ এ ব্যাপারে অধ্যক্ষর প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি। বুধবার রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা বয়কট করেছিলেন গেরুয়া বিধায়করা। আর শুক্রবার ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে’- অভিযোগে কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, অশোক দিন্দা, দীপক বর্মণ একযোগে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ১৪০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব! বন্ধু অ্যালবানিজের সঙ্গে রোহিতদের দেখে খুশি মোদি

    ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ

    শুভেন্দুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে বজরংবলীর মূর্তি ও মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ ব্যাপারেই আলোচনা চাওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের ধর্মের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ ধারা বারেবারে লঙ্ঘিত হচ্ছে। যেমন ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজার, নোদাখালি, বেলডাঙা- বিশেষ সম্প্রদায় হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা তৈরি করছে। অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। অথচ রাজ্য এ বিষয়ে ব্যর্থ। সভায় এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানালে তা খারিজ করা হয়।’’ শুভেন্দু স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘শতাংশের হিসেব দেখলে সবচেয়ে বেশি ভোট আমরা হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং জনজাতিদের পেয়েছি। আমরা যদি তাদের ধর্ম পালনে নিরাপত্তা দিতে না-পারি, তাদের কথা বিধানসভায় বলতে না-পারি, তাহলে কী মূল্য আছে আমাদের!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share