Tag: bjp

bjp

  • Mahua Moitra: আরও বেকায়দায় মহুয়া মৈত্র, সরে দাঁড়ালেন নিজের আইনজীবীই!

    Mahua Moitra: আরও বেকায়দায় মহুয়া মৈত্র, সরে দাঁড়ালেন নিজের আইনজীবীই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাটমানি, চাল চুরি, ত্রিপল চুরি, বালি চুরি, কয়লা চুরি, গরু চুরি এবং চাকরি চুরির মতো নানা অভিযোগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বারবার বিরোধীদের আক্রমণ করতে শোনা গেছে। এবার সংসদ ভবনে টাকা নিয়ে নাকি প্রশ্ন করেন, এমন অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। আর এর ফলে গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে গত সপ্তাহে তৃণমূলের এই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, সাংসদ পদ বাতিলের দাবি তোলেন। পাল্টা বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ দিল্লি হাইকোর্টে মানহানির মা্মলা দায়ের করেন। কিন্তু এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী। সবটা মিলিয়ে তৃণমূল সাংসদ চাপের মুখে এবং আরও বেকায়দায়। আগামী ৩১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ।

    মামলা থেকে কেন সরে গেলেন আইনজীবী? (Mahua Moitra)

    সূত্রে জানা গেছে, মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) আইনজীবী গোপাল শঙ্কর মানহানির মামলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। অবশ্য এর কারণ হিসাবে স্বার্থের কথা উল্লেখ করেছেন গোপাল শঙ্কর। অনুদিকে বিপক্ষের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরাই দিল্লি হাইকোর্টে বলেন, বৃহস্পতিবার মহুয়ার আইনজীবী গোপাল শঙ্কর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, মহুয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি প্রত্যাহার করে নিই, তাহলে পোষ্য কুকুর হেনরিকে ফেরত দিয়ে দেবেন। এই ঘটনার কথা জানিয়ে আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরাই, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের কাছে প্রশ্ন করেন, “মহুয়ার আইনজীবী শঙ্কর মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছেন। তাঁর কি এই মামলায় দাঁড়ানোর অধিকার আছে।” উত্তরে বিচারপতি বলেন, “এর উত্তর আপনাদের দেওয়া উচিত”। ঘটনার সত্যতা জানতে বিচারপতি মহুয়ার আইনজীবীর কাছের জানতে চান, কথা বলেছেন কিনা। জাবাবে গোপাল শঙ্কর বলেন, “তাঁর মক্কেল জয় অনন্তকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন, তাই কথা বলেছেন।” এরপর বিচারক মহুয়ার আইনজীবীকে মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।

    প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল

    মহুয়ার (Mahua Moitra) প্রাক্তন প্রেমিক ছিলেন বিরোধী আইনজীবী জয় অনন্ত দেহরাই। কিন্তু টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ করার পর থেকেই, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক জয় অনন্তকে প্রেমে হতাশ বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে আইনজীবী প্রেমিক, তাঁর বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন মহুয়া। সূত্রে আরও জানা গেছে, সম্পর্ক ভাঙার পর থেকে এই প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে বিবাদ চলছিল। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরই আইনজীবী জয় অনন্ত, সেই অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ সরবরাহ করেন বলে জানা গেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে কখনও বিজেপির হাত ধরেছেন নীতিশ (Nitish Kumar) তো কখনো বা আরজেডির। বর্তমানে আরজেডির সঙ্গে জোটে থাকা নীতিশের কি দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে? কারণ বৃহস্পতিবার বিহারের মতিহারিতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে বিজেপির প্রশংসা করতে শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। তার সঙ্গে নিতীশের আরও বার্তা ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্দেশে, যে তাঁর সঙ্গে এখনও বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যায়নি বিজেপির। এনিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে সারা দেশজুড়ে। 

    মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতিশ

    রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মূর পাশে বসে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা শানিয়েছেন নীতিশ (Nitish Kumar)। এর পাশাপাশি বর্তমান মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকার বিহারে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারের কাছে আমি আবেদনও জানিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য। তবে সেসময় আমার কোনও আবেদনই মান্যতা পায়নি। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবেদন মান্যতা পায়। ২০১৬ সালে মতিহারিতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু হয়।’’ এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিহারের বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশে নীতিশ বলেন যে যতদিন বেঁচে থাকবো সবার সম্পর্কে বজায় থাকবে। সবাই একসঙ্গে কাজও করব।

    দূরত্ব বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে?

    নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) এই মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার পদ্ম শিবিরের হাত ধরতে চলেছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নাম নিয়েই প্রথম থেকে ক্ষুদ্ধ ছিলেন নীতিশ (Nitish Kumar)। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই নাম ঠিক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।  বিরোধী জোট করার ক্ষেত্রে প্রথমে তৎপর হয়েছিলেন নীতিশই এবং সেই মতো তিনি কলকাতাতে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনাও সারেন নবান্নে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নীতিশের নাম ঘোষণা না হওয়াতেও তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: সপ্তমীর পুজোতে আসছেন জে পি নাড্ডা, কোন কোন মণ্ডপে যাবেন জানেন কি?

    JP Nadda: সপ্তমীর পুজোতে আসছেন জে পি নাড্ডা, কোন কোন মণ্ডপে যাবেন জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমীতে শহরে আসছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda)। কলকাতা শহরের বেশ কিছু দুর্গা পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখবেন। সূত্রের খবর, এই বাংলার জামাই শহরের তিনটি পুজোতে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকবেন। তিনটির মধ্যে দুটি জানা গেছে, যার একটি হাওড়ার উলুবেড়িয়ার দুর্গা পুজো এবং আরেকটি সল্টলেকের বি জে ব্লকের পুজো। তাই বঙ্গ বিজেপির মধ্যে তাঁর আগমনকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে।  

    পুজোতে শহরে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি (JP Nadda)

    অমিত শাহের কলকাতা ঘুরে যাওয়ার পর, জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কলকাতা আসার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতা পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে, বাংলার বিজেপি নেতাদের বিশেষ বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে পুজো এবং অপর দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনকে সামনে রেখে, রাজ্য বিজেপিও জনসংযোগের করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

    পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন অমিত শাহ

    পুজোর দ্বিতীয়ার দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি শিয়ালদার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গা পুজোতে প্রদীপ প্রজ্বলন করে উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, “২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে, কিন্তু কলকাতাবাসীরা বাংলায়, দুর্গাপুজোতেই রামমন্দির নির্মাণ করে উদ্বোধন করে ফেলেছেন। সবাইকে অভিনন্দন জানাই। আজকের দিনে কোনও রাজনীতির আলোচনা করবো না। বাংলা, দুর্নীতি থেকে মুক্তি লাভ করুক এটাই মায়ের কাছে কামনা করি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি বাংলায় বার বার আসবো এবং বাংলার রাজনীতির সমস্যা নিয়ে কথাও বলবো। বাংলার পরিবর্তন হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন।” এবার আসবেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) তাই রাজ্য বিজেপির মধ্যে প্রস্তুতির ব্যস্ততা চলছে ব্যাপক ভাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: আদালতে জামিন নামঞ্জুর, তৃণমূল যুব সভাপতির পুজো কাটবে জেলেই

    Jalpaiguri: আদালতে জামিন নামঞ্জুর, তৃণমূল যুব সভাপতির পুজো কাটবে জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো এবার হাজতেই কাটবে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। দু’দিনের পুলিশি হেফাজত কাটিয়ে আদালতে তোলা হলে, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাশ তাঁর জামিন নাকচ করে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ১ নভেম্বর তাঁকে আবার আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার ফলে পুজোর কয়েকটা টা দিন জেলেই কাটবে। অপর দিকে জামিন নাকচ হতেই জেলে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে বিচারকের সঙ্গে অভব্য আচরণের কথা বলে, তোপ দেগেছেন বিজেপি বিধায়ক।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Jalpaiguri)

    সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তাই আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পুলিশ নতুন করে পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন আদালতে জানায় নি।”

    অভিযোগ কী ছিল?

    সমাজসেবী দম্পতিকে আত্মহাত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়। আবার এই মৃত দম্পতি, বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের নিকট আত্মীয়। গতকাল শুনানির সময় আদালতে উপাস্থিত ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি বলেন, “শাসক দলের এই তৃণমূল নেতা এতদিন জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) প্রভাব খাটিয়েছেন। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজের প্রভুত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন সৈকত। এমনকী বিচারকের সঙ্গে ধমকের সুরে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলেন এই যুব নেতা। আমাদের আইনের উপর বিশ্বাস রয়েছে, বিচারক বিচক্ষণ ব্যক্তি। এই তৃণমূল নেতা দোষী, তাই শাস্তি হোক এটা আমরা চাই।”

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    যুব তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি আদালতের উপর ভরসা রেখেছি। বিজেপি বিধায়ক আদালতে সিন ক্রিয়েট করার চেষ্টা করছেন।” সেই সঙ্গে তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত জানিয়েছে যে সুপ্রিমকোর্টে আগে আবেদন করা হইয়েছিল, কিন্তু তা আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জামিন খারিজ হয়ে যায়। আগামীকাল আমরা আবার জাজেস কোর্টে (Jalpaiguri) আবেদন করব।

    পাশাপাশি জেল হেফাজতে যাওয়ার পর সৈকত চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশ্য বিজেপির দাবি, জামিন না পেয়ে নাটক করছেন তৃণমূল যুব নেতা।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: চতুর্থীর দিনে পুজো দিয়ে শুরু হল হাটজনবাজারে উড়ালপুলের কাজ, খুশির আবহ সিউড়িতে

    Birbhum: চতুর্থীর দিনে পুজো দিয়ে শুরু হল হাটজনবাজারে উড়ালপুলের কাজ, খুশির আবহ সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিউড়ি (Birbhum) হাটজনবাজারে বহু প্রতিক্ষিত উড়ালপুলের কাজ পুজো অর্চনার মধ্যে দিয়ে শুরু হল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলের ওভার ব্রিজের ঠিকাদার সহ জেলার বিজেপি কর্মীরা। এই ব্রিজের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ করা গেছে। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতি না থাকায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

    শুরু হল ব্রিজ নির্মাণের কাজ (Birbhum)

    সিউড়ির (Birbhum) হাটজনবাজারের রেল ওভারব্রিজের কাজের ক্রেডিট নিয়ে বিতর্ক কার্যত জিইয়েই রইলো। প্রায় ৭ বছর ধরে অসমাপ্ত হয়ে থাকা ওভারব্রিজের কাজ, বুধবার পুনরায় শুরু হল বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্য দিয়ে। আর সেই পুজোতেই নারকেল ফাটিয়ে রেল ওভারব্রিজের কাজের উদ্বোধন করলেন, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    সিউড়িতে (Birbhum) রেলের ব্রিজ তৈরি করার কাজ সূচনার পুজোতে যোগদান করতে এসে, রাজ্যের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নবরাত্রির চতুর্থীর দিনে বিশ্বকর্মা পুজো করার মাধ্যমে কাজের শুভ সূচনা হল। রেল দফতর ইতিমধ্যে ১০ মাসের মধ্যে কাজ করার কথা বলেছে। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বিজেপি প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। মানুষের কাছে কেন্দ্রের মোদি সরকার একান্তভাবে দায়বদ্ধ। এলাকার তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়করা সিউড়ির টোটো সমস্যা সমাধান করলে ভালো কাজ করবেন। রেলের সিঙ্গেল এন্ট্রি প্রোজেক্ট, ফলে এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, এখানে তিন তিনটি ঠিকাদার, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের তোলাবাজির কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাই রাজ্য সরকার, রেলের প্রকল্প, উড়ালপুল, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বিমান পরিষেবাকে বিজেপির উপরে ছেড়ে দিলেই ভালো করবে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে তৃণমূল সরকার রাজ্যের কোষাগার থেকে ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা, শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করে। বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করার নীতি হল তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিজেপি এই ধরনের কাজে বিশ্বাস করে না।”

    কটাক্ষ তৃণমূলের

    ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কাজের উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতা? আসলে উনি নিজেকে প্রশাসনিক আধিকারিক মনে করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: দাদাগিরি তৃণমূল পুরপিতার, অমান্য আদালতের নির্দেশ! জমি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

    North 24 Parganas: দাদাগিরি তৃণমূল পুরপিতার, অমান্য আদালতের নির্দেশ! জমি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে জমির মালিককে তাঁর জমি ফিরিয়ে দিতে হবে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তা পালন করতে গিয়ে তৃণমূলের পুরপিতার বাধার মুখে পড়তে হল পুলিশকে। এমনই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) সদর শহর বারাসতে। তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডুর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিক। আর তাই জমির মালিককে জমি ফিরিয়ে না দিয়েই ফিরতে হল পুলিশকে। তবে পুরপিতার পালটা জবাব, তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি।

    জমি দখল করে নিয়েছিল কারা (North 24 Parganas)?

    বারাসত (North 24 Parganas) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বারাসত মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন যশোর রোডের ধারে জমি দীর্ঘদিন দখল করে নেয় কয়েকজন দোকানদার। এই জমি আজমিরা খাতুনের পৈতৃক জমি। জমি ফিরে পেতে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াইয়ের পর আদালত, তাঁর পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সেই জমি ফেরত পেতে এসে পুরপিতার বাধার মুখে দাঁড়াতে হলো পুলিশকে। অবশেষে জমি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় পুলিশকে।

    জমির মালিকের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে জমির মালিক আজমিরা খাতুন বলেন, “এসডিইএম আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনকে পৈতৃক জমি জবরদখল মুক্ত করতে হবে। আদালতের নির্দেশের এই কপি বারাসত থানা (North 24 Parganas), পুরসভা, এমনকী জেলার পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় আদালতের এই নির্দেশে জমি জবরদখলমুক্ত করতে যায় বারাসত থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরাও। বুলডোজার দিয়ে জবরদখল মুক্ত করার কাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু তৃণমূল নেতারা এসে দাদাগিরি করে সববন্ধ করে দেয়।” তিনি আরও বলেন, “আমার বাবা বেঁচে থাকাকালীন জবরদখলকারীরা ওই জমি হাতিয়ে নিয়েছিল। সেই জমির প্রকৃত মালিক আমরাই। আদালতের রায় আমাদের পক্ষে গিয়েছে। তাও আমরা এদিন পৈতৃক জমি ফিরে পেলাম না। পাশের ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর কুণ্ডু পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন ।

    পুরপিতার বক্তব্য

    খবর পেয়ে তখনই সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডু। পুরপিতাকে আদালতের নির্দেশের কপি দেখালেও, তিনি কোনও কথা শোনেন নি। পুরপিতা বলেন, “এইভাবে কাউকে তোলা যাবে না। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশের বিষয়টি কেন পুরসভার চেয়ারম্যান (North 24 Parganas), ভাইস-চেয়ারম্যান, আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বকে জানানো হয়নি।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    অবশেষে কাজ অসমাপ্ত রেখেই ফিরতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে শাসকদলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপির নেতারা। এই বিষয়ে এলাকার (North 24 Parganas) বিজেপি নেতা প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের নির্দেশ পালন করতে না দেওয়ায়, তৃণমূল কাউন্সিলরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান অফিসে আসেন না। প্রধান রূপে কাজ করেন তাঁর ভাশুর। ভাশুরও আবার দাপুটে তৃণমূল নেতা। প্রধানের সই নকল করেই তিনি সরকারি কাজ করে চলেছেন। অফিসে বসে নানান দুর্নীতির কাজ করছেন বলে, তাঁর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। ফলে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে কীভাবে কাজ করছে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান স্বামীর দাদা? এই প্রশ্ন এখন জেলায় আলোচনার ভরকেন্দ্র। স্থানীয়রা সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ হলেও, জানা যায়, এই ঘটনা একদিনের না। এরপর এই নিয়ে সামজিক মাধ্যমে লিখে একটি ভিডিও পোষ্ট করে বিজেপি। এরপর, এই বিষয় নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম (Birbhum) জেলার রাজনগর ব্লকের গাংমুড়ি জয়পুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। এই অঞ্চলের প্রধান হলেন একজন মহিলা, নাম তাপসী মন্ডল সাহা। তিনি বর্তমানে কলকাতায় থাকেন। শপথ গ্রহণের পর মাত্র কয়েকদিন পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে আসেন। তারপর থেকে বেপাত্তা। এরপর তাঁর ভাশুর দীলিপ সাহা প্রধানের চেয়ারে বসেন এবং অফিসে প্রধানের সই নকল করে কাজ শুরু করেন। এই খবর জানাজানি হতেই চরম স্বস্তিতে তৃণমূল। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি প্রধান কোথায় জানতে চাইলে, ভাশুর বলেন, “কৈফিয়ত কাউকে দেবো না, এটা ফাজলামি করার জায়গা নয়। অফিস থেকে বেরিয়ে যান।”

    বিজেপির বক্তব্য

    দুবরাজপুরের (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পঞ্চায়েত দপ্তরের উচিত সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করা। নিয়মবহির্ভূত বেআইনী কাজ করে নিজের স্বার্থকে পরিপূর্ণ করলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তৃণমূল সরকারের রক্তে মিশে রয়েছে দুর্নীতি। চোরেরা যে কোনও জায়গায় বসেই চুরি করতে পারেন। অবিলম্বের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে এই অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূলের জেলা (Birbhum) মুখপাত্র মলয় মুখার্জি বলেন, “ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা গ্রামের লোক না। ওরা বিজেপির কর্মী। বিজেপি এলাকায়, উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করতে পারে না। আর তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা প্রচার করছে। মানুষ আগামীদিনে যোগ্য জবাব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল (TMC) নেতার অবশেষে দেখা মিলল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। প্রায় চারমাস পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা হলেন, ডাবগ্রামের ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়কের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ ছিল, আত্মহত্যার ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। 

    Jalpaiguri জেলা বিচারক কি বললেন (TMC)?

    সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, জেলার তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আদলাতে উপস্থিত হন। সৈকত বলেন যে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন আর তাই তিনি বিচারকের কাছে গ্রফতার না করার জন্য বিশেষ রক্ষাকবচ চান। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে এই মামলা শোনার কোনও এক্তিয়ার বিচারকের নেই। জেলার সিজিএম আদালতে এই তৃণমূল নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু বারংবার তৃণমূলের এই যুব সভাপতি আবেদন করলেও, বিচারক তাঁর আবেদনকে নাকচ করে দেন। উল্লেখ্য সিজিএম আদালত তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

    মামলা কী ছিল

    সূত্রে জানা গেছে, এই বছরে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এই দম্পতি আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনার পর, জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায়, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং আরও কিছু তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। উল্লেখ্য অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সৈকতকে খুঁজে না পাওয়ায় গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়।

    মামলা গড়ায় হাইকোর্টে-সুপ্রিমকোর্টে

    গত বেশ কয়েকমাস এই তৃণমূল (TMC) নেতার খোঁজ না মেলায়, মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এই যুবনেতা নিজে হাইকোর্টে আগাম জামিন জানিয়ে আবেদন করলে, আদলাত তা বাতিল করে দেন। পুলিশ নানান জায়গায় হানা দিয়েও সৈকতের কোনও খোঁজ খবর পায়নি। অবশেষে তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়। অপর দিকে যুবনেতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে বিফল হলে, আবার আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলা আদালতে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েতে অফিসের মধ্যে দুর্নীতি-স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে ঘেরাও করে, বিক্ষোভ করল বিজেপি জয়ী সদস্যরা। প্রথমে বিজেপির জয়ী সদস্যরা, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানান। এরপর ক্রমেই বচসার জেরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে এই নিয়ে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় সাহোড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানকে কার্যত পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ১০ টি গ্ৰামের জয়ী বিরোধী সদস্যরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছে বড়ঞা থানার পুলিশকে।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপি জয়ী পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অমর দেবংশী বলেন, “আমাদের প্রধান অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত প্রধান, বিরোধী দলের সদস্যদের মতামতের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করেই বিলি করছে ত্রিপল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সাহোড়া (Murshidabad) গ্ৰাম পঞ্চায়েতে নবনিযুক্ত প্রধান, নিজের মতো করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্যকারীদের তালিকা তৈরি করছেন। ফলে সেগুলি শুধুমাত্র তৃণমূলেরাই পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সরকারি সাহায্যে থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কথায় কাজ না হলে, আজ সন্ধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রায় ৯ জন বিজেপি সদস্যরা একত্রিত হয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।

    তৃণমূল প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান গোষ্ঠ গোপাল ঘোষ বলেন, বিরোধী দলের জয়ী সদস্যদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সরকারি সুবিধা পায়, সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সদস্যরা তা করতে দিচ্ছেন না।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় পুলিশ

    শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এতটাই চাঞ্চল সৃষ্টি হয় যে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বড়ঞা থানার (Murshidabad) পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘক্ষণ কার্যত প্রধানকে পঞ্চায়েত দফতরে নিরাপত্তা দিয়ে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Priyanka Gandhi: উপঢৌকন দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা! প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপির

    Priyanka Gandhi: উপঢৌকন দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা! প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এরই মধ্যে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ, আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। ঠিক কী অভিযোগ? বিজেপির দাবি, নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী স্টুডেন্ট স্কলারশিপ স্কিমের ঘোষণার মাধ্যমে ছাত্রদের প্রতিমাসে ৫০০-১৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলছেন। যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের শামিল। এনিয়ে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী পঙ্কজ ওয়াদানি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,  ভোটের জন্য এভাবেই টোপ ফেলছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রসঙ্গত, বর্তমানে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

    ১২ অক্টোবর জনসভা থেকে ভোট কেনার প্রচেষ্টা

    বিজেপির তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাখিল করা ঐ অভিযোগে দাবি করা হয়েছে যে মধ্যপ্রদেশের মান্ডালা জেলাতে ১২ অক্টোবর একটি জনসভা ছিল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi)। সেখানে তিনি সর্বসমক্ষে উপঢৌকন দেওয়ার কথা বলেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘোষণা করেন যে ক্লাস ওয়ান থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা পাবে ৫০০ টাকা, নবম-দশমের ছাত্রছাত্রীরা পাবে ১ হাজার টাকা এবং দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পাবে দেড় হাজার টাকা। এই প্রকল্পে ৬৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলেও জানান প্রিয়াঙ্কা। 

    আগেই রেউডি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই এই রেউড়ি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বও। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন যে রেউড়ি সংস্কৃতির মাধ্যমে নেতারা যখন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন তখন তাঁরা চিন্তা-ভাবনা করেননা যে এই অর্থ কোথা থেকে আসবে! কীভাবে আসবে!প্রসঙ্গত মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন হতে চলেছে আগামী নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে। ২৩০ টি আসন রয়েছে মধ্যপ্রদেশে রাজ্যের বিধানসভায়। ভোট গণনা হবে ডিসেম্বরের ৩ তারিখে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share