Tag: bjp

bjp

  • Durgapur: বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হওয়া অপরাধ, নাবালিকাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল! আন্দোলনে পরিবার

    Durgapur: বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হওয়া অপরাধ, নাবালিকাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল! আন্দোলনে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সমর্থনে নির্দল হিসেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এটাই ছিল অপরাধ। এরপরই রহস্যজনকভাবে ১০ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ পরিবারের। সেই নাবালিকা মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ছবি হাতে নিয়ে মা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন। সঙ্গে বাউরি সমাজের লোকজন। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে। দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগমের সামনে এসে নিখোঁজ নাবালিকার পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ওই সময় পুলিশ এসে তাঁদের আটকে দেয়। এ বার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিআইডিকে তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাউরি সমাজ। তবে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সিবিআই তদন্তের দাবিতে তারা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Durgapur)

    দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার নবগ্রাম পঞ্চায়েতে শিল্পা মণ্ডল পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তাঁকে বিজেপি সমর্থন করেছিল। নির্দল প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের তরফে নানা হুমকি এসেছে। কিন্তু, তিনি ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন। জানা গিয়েছে, শিল্পাদেবীর ১০ বছরের মেয়েকে গত ২ জুলাই অপহরণ করা হয়। তার আগে তাপস মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী হুমকি দেয়। অপহরণের পিছনে তৃণমূলের কয়েক জন আছে। পুলিশের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  

    নাবালিকা মায়ের কী বক্তব্য?

    শিল্পাদেবী বলেন, এ নিয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার পান্ডবেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু, তিন মাস কেটে যাওয়ার পরেও এক জন অভিযুক্তও ধরা পড়েনি পুলিশ। মেয়েরও কোনও খোঁজ পাইনি। এই অবস্থায় পুলিশের ওপর ভরসা না করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।  প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পণ্ডবেশ্বরের হরিপুরের পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ ওই পরিবারকে নিয়ে অনশনে বসে। তখন পুলিশ এসে আশ্বাস দেয় যে দ্রুত ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করবে তারা। কিন্তু এখনও মেয়েকে ফিরে পেলাম না।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ মণ্ডল বলেন, শিল্পা মণ্ডল বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়াই করেছিলেন। তার পরেই তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ যদি সদর্থক ভূমিকা না নেয়, ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের রাজ্যে শিশু এবং নারীরা সবচেয়ে সুরক্ষিত। তৃণমূল এমন একটা ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত থাকতে পারে না। অপহরণের ঘটনার সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনীতি করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই তৃণমূল পুরসভার

    Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই তৃণমূল পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি বলেই বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার। এমনই অভিযোগ বিজেপির। বালুরঘাট পুরসভার ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী রাস্তার বেহাল অবস্থা। খাদিমপুর এলাকার সন্ধ্যা সিনেমা হল থেকে খাদিমপুর গার্লস স্কুল পর্যন্ত রাস্তার পিচ উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ির যাতায়াতের এই রাস্তার সবচেয়ে ভগ্নদশা। কিন্তু, তা সংস্কারে পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার না হওয়া এবং পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ায় বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। বালুরঘাট পুরসভা থেকে পুজোর আগে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও এখনও সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়নি খাদিমপুরের এই রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে খাদিমপুর গার্লস স্কুল, খাদিমপুর বয়েজ স্কুল  এবং কবিতীর্থ বিদ্যানিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা। এলাকায় রয়েছে একটি সিনেমা হলও। রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটে এই রাস্তায়। আমরা চায় দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করা হোক।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট শহরর সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, এই রাস্তার গলির মুখে রয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি। আর ঠিক একারণেই এই রাস্তা সংস্কারে অনীহা বালুরঘাট পুরসভার। এই রাস্তাতে তিনটি হাই স্কুল রয়েছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পুজোর আগে বালুরঘাট পুরসভা যদি রাস্তা সংস্কার করতে না পারে তাহলে আমরা আন্দোলোনে নামব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    যদিও, বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, বালুরঘাটের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খাদিমপুরের রাস্তার কাজ‌ও করা হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি বলে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ ঠিক নয়। পুজোর আগেই কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Cooch Behar: পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছ কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম জয়দীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রয়েছে তাঁর। তারপরও বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    মঙ্গলবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি সেরে জয়দীপবাবু গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন। শুকারুরকুঠি থেকে দিনহাটায় ফেরার পথে নটকোবারি বাজার এলাকায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোচবিহারের এই বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। জয়দীপ ঘোষের গাড়ি নটকোবারি বাজার এলাকায় ঢুকতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলের অদূরেই পুলিশকর্মীরা থাকলেও, পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন বিজেপি নেতা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা?

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার বিজেপি নেতা জয়দীপ ঘোষ বলেন, কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে কিছু মানুষ জমায়েত হয়ে আক্রমণ করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। তারা ভাবছে, এভাবে বিজেপিকে আটকাবে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। যে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে, তারা তৃণমূল আশ্রিত। কোনওভাবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে বেরিয়ে এসেছি। থানায় অভিযোগ করেছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণ মানুষরা একশো দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না, তাঁদের ক্ষোভ-রাগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মহিলারা হাতে ঝাঁটা নিয়ে বিজেপির নেতাকে তাড়া করেছেন। আর ওই বিজেপি নেতা এসব ঢাকতে ওই বিজেপি নেতা তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ ধর্ষকদের সুরক্ষা দেয়’, কামদুনি ইস্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ ধর্ষকদের সুরক্ষা দেয়’, কামদুনি ইস্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে মঙ্গলবার মিছিল করল বিজেপির মহিলা মোর্চা। সেই মিছিলে পা মেলালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আদালতের রায়ে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আর বাকি দুজনকে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ের পরই ফের কামদুনিতে নতুন করে আন্দোলনের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। এমনিতেই এদিন বিজেপির মিছিল হবে বলে আগে থেকে এলাকায় তৃণমূল দলীয় পতাকায় মুড়ে দিয়েছিল। পরে, বিজেপি কর্মীরাও পাল্টা গোটা এলাকা জুড়ে দলীয় পতাকায় মুড়ে দেয়।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কী বললেন শুভেন্দু ? (Suvendu Adhikari)

    এদিন মিছিল থেকেই কামদুনি ইস্যুকে মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মৌসুমী, টুম্পা বা বাকিদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়নি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে, যারা ধর্ষক তাদের বাড়ির সামনে পুলিশ পোস্টিং হয়েছে। তাদের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।  তাদের সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রমাণ হয়ে গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, তাঁর পুলিশ ধর্ষকদের সুরক্ষা দেয়। তাই বিজেপির এই মহিলা মোর্চা আজকের এই আন্দোলন নয়, আগেও সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এখানে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। আজ আমরা হেঁটে গেলাম।’

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘সোমবার আমরা পরিবারের সঙ্গে এবং যাঁরা প্রতিবাদী নারী মৌসুমী-টুম্পার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। রাজ্য সরকারের এসএলপির উপর নির্ভর না করে, তাঁরা যদি সুপ্রিম কোর্টে যান, আমরা নিশ্চিত উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে এই ধর্ষকরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। আমাদের যে বোনটিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।’

    এদিকে সিআইডি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে ফের গর্জে উঠেছে কামদুনি। কলকাতা থেকে কামদুনিতে মিছিল। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিলে কামদুনির প্রতিবাদীদের সঙ্গে পা মেলালেন নামমাত্র বিশিষ্ট। দেখা গেল না বেশিরভাগকেই। পতাকা দূরে সরিয়ে হাঁটলেন বাম-কংগ্রেস নেতারাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Paschim Medinipur: মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোতাখালি এলাকায়। জখম বিজেপি কর্মীর নাম বাবলু দোলই। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘনরামপুর বুথে ৬ টি বুথকে নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল, ভোতাখালি ২৮২ নং বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি বাবলু দোলই ঘনরামপুর বুথে মিটিং সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় রাস্তায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে এবং কেনো এলাকায় বৈঠক করছিল তা জানতে চায়? এরপরই উভয়ের মধ্যে বচসা থেকে বিজেপির বুথ সভাপতির উপর চড়াও হয়ে মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জখম বুথ সভাপতিকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে বিজেপির চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কনভেনার রাজীব পাল বলেন, সাংগঠনিক বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাদের বুথ সভাপতির উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বিজেপিকে এভাবে আটকানো যাবেনা,বুথ সভাপতি হাসপাতাল থেকে ফিরলেই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানান তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অপরদিকে, তৃণমূলের দিকে তোলা বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বান্দিপুর-২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নীলকমল পন্ডিত। পাল্টা তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে এলাকায় উস্কানি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপির বুথ সভাপতি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। বাড়ি ফেরার পথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করেন। তাদের উপর চড়াও হয় ওই বুথ সভাপতি। স্থানীয় মানুষ তাকে ধরে দুতিন থাপ্পড় দিয়ে সরিয়ে দেন। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নই। মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিজেপির বুথ সভাপতি, দাবি তৃণমূল নেতার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর অফিসে যান তিনি। সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন রাজ্যপাল। বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি বোস। সোমবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল। 

    রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ

    সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের নির্যাস তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, অভিষেকর ধরনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল। বৈঠকে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে করেছেন রাজ্যপাল বোস। 

    রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা জনিত বিষয় নিয়েও রাজ্যপাল-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah Meets Ananda Bose) সাক্ষাৎ হতেই পারে। কারণ, সব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয় দেখার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। আর রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নিয়োগ করলেও, তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই রাজ্যে কাজকর্ম করতে হয়। এ ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। রাজভবন সূত্রে খবর ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে শাহ এর দরবারে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ইস্যু নিয়েই একাধিক নালিশ রাজ্যপাল  জানিয়েছেন বলেই রাজভবন সূত্রে দাবি। যার মধ্যে নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে একাধিক খুন, হিংসার ঘটনা। রাজ্যপালের মুভমেন্ট কে ট্র্যাক করা, মহিলাদের উপর নির্যাতন, ১৪৪ ধারা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে অবহেলা বিষয় নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    পাশাপাশি বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সমন্বয়ের অভাবকেও এদিন শাহের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যপাল বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বেআইনি অস্ত্র কারখানা এবং আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও এদিন উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর এখনো পর্যন্ত রাজভবনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, দুর্গাপূজোর আগেই যাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের তদন্তে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের তদন্তে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের ঘটনার মামলায় ৮ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিশিকান্তের পরিবারের লোকজন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

    কী বলেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    জমি আন্দোলনের নেতা নিশিকান্তের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডল বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। অনেকে আদালতের এই রায়ের জন্য নিশিকান্তের পরিবারের লোকজনের দিকে আঙুল তুলেছেন। অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। রবিবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই সত্যজিৎ মণ্ডলকে পাশে বসিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনার ঝড় সামলানোর চেষ্টা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জমি আন্দোলনে নিশিকান্তের ভূমিকা তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, ‘কামদুনি কাণ্ডের ওই রকম রায়ের পর এবার নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা মামলার অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল। যারা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। আদালতের এই রায়ের জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাড়ে ৩ বছরের জেল খাটা এক তৃণমূল নেতার অঙ্গুলিহেলনে সবটা হয়েছে।’  তবে, আদালতের এই রায় মাথা পেতে নেওয়ার পক্ষে তাঁর মত নেই। বরং, সঠিক বিচারের জন্য তিনি বলেন, ‘আগামীদিনে আমার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

    আন্দোলনের ডাক বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, হলদিয়া আদালতে রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন জানানো হবে। তার পর নিশিকান্তর পরিবারের তরফে কলকাতা আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হবে। সেই সঙ্গে কালো পতাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙাবেড়া থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। ফলে, এই ইস্যুতে পথে নেমে সোচ্চার হওয়ার কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডলও এ দিন দাবি করেন, সঠিক ভাবে তদন্ত করা হলে এ রকম রায় হত না। উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করব।

    সরকারি আইনজীবী কী বলেছিলেন?

    আদালতে রায় বের হওয়ার পর সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘উপযুক্ত সাক্ষ্যের অভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে মামলা চলার পর জমি আন্দোলন পর্বে তৃণমূল নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা মামলার ৮ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছে। এমনকী, মৃত নিশিকান্তের পরিবারের লোকেরাও জোড়াল সাক্ষ্য দেননি।’ এসব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলেকে পাশে বসিয়ে আদালতের রায় নিয়ে ঠিক কী অবস্থান তা জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই, ইডি স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তারা তদন্তের কাজ করছে। তাই ভোটের রাজনীতির সঙ্গে তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। পশ্চিমবঙ্গে নেতা-মন্ত্রীদের ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলাটা একেবারেই মিথ্যা। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়নায় ঠিক এইভাবেই তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি।

    হিসাব দিলেই টাকা মিলবে (Purba Bardhaman)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি রায়নায় সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ ও অন্যান্য প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অথচ, তিন বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্র সরকারের কাছে এই কাজের রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্তে এই সরকারের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই কেন্দ্র সরকার প্রকল্পের টাকা রাজ্যকে দিয়ে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসর আগে শেষ ৯ বছরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে  ইউপিএ পরিচালিত কেন্দ্র সরকার যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছিল, এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসর পর, তার থেকে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ২ লাখ ৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা প্রদান করেছে। কাজেই বিজেপি সরকার, রাজ্য সরকারের প্রাপ্য অধিকার থেকে কখনই বঞ্চনা করে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন হিসাব যত তাড়াতাড়ি দেবেন, পাওনা টাকা তত দ্রুত মিলবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  হিসেব নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি।”

    আর কী বললেন?

    বিজেপি সাংসদ পঙ্কজ চৌধুরি পূর্ব বর্ধমানে আরও বলেন, “এছাড়া করোনার সময় রাজ্যকে বিশেষ সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকঠামোর বজায় রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের নেতারা সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর অপচেষ্টা করছে। আন্দোলন, ধর্না গনতন্ত্রের অধিকার। যে কেউ আন্দোলন করতেই পারে। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই। প্রয়োজনে দেশের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। আদালতের কাছে গিয়ে যে কেউ ন্যায় চাইতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার অপরাধ! প্রায় এক মাস ধরে নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায়। এ যেন হাতে না মেরে জলে ডুবিয়ে মারার পরিকল্পনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্নপূর্ণা হালদার নামে গৃহবধূ বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি পরাজিত হন। গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বর্তমান শাসকদলের মদতে জল নিকাশি ব্যবস্থা হঠাৎ করে এক তৃণমূলের এক নেতা মাটি ফেলে বন্ধ করে দেন। তাঁদের দাবি জায়গাটি ছিল তাঁদের, দীর্ঘদিন মামলা করে তাঁরা জয়ী হন। যার ফলে তারা এই পথ দিয়ে আর জল যেতে দেবেন না। আর তার ফলেই প্রায় এক মাস ধরে জলের তলায় ওই বিজেপি প্রার্থীদের তিনটি পরিবার সহ+ বিরোধী রাজনৈতিক দলের আরও ১৯ টি পরিবার। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। বাড়ির উঠান থেকে ঘরের মেঝেতে পর্যন্ত প্রায় এক হাঁটু জল, অনেক বাড়িতে ভেড়ি দিয়ে জল তুলতে হচ্ছে প্রতিদিন। এমনকী গরুর গোয়াল, মুরগির খোঁয়ার পর্যন্ত জলে ডুবে আছে। প্রতিদিন বাড়ির বয়স্ক মানুষ থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জলে অসহায়ের মত দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।

    কী বললেন বিজেপি কর্মী?

    বিজেপি কর্মী অন্নপূর্ণা হালদার বলেন, পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ। তারজন্যই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল এই কাজ করেছে। প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হচ্ছে না। এলাকায় যে ভাবে জল জমে রয়েছে তাতে ডেঙ্গির উপদ্রব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ মৌলি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ, এই ধরনের নোংরা রাজনীতি তৃণমূল করে না। জল নিকাশি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: “আগে কাজ তারপর ভোট’ বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    North 24 Parganas: “আগে কাজ তারপর ভোট’ বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগে কাজ তারপর ভোট’ দেড় কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে, রাস্তার বেহাল দশা পরিদর্শন করে মন্তব্য করলেন বনগাঁ লোকসভার (North 24 Parganas) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্র জামদা আদিবাসী পাড়ার এক রাস্তার অত্যন্ত খারাপ অবস্থার কথা তুলে ধরে, তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন এই বিজেপি সাংসদ। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও বিজেপিকে কটাক্ষের ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। রাজ্যের পঞ্চায়েত-পুরসভাগুলিতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও এলাকার মানুষ নিজেরা চাঁদা তুলে রাস্তা সারাই করছেন, এমন ঘটনার কথাও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে।   

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (North 24 Parganas)?

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (North 24 Parganas) এদিন এলাকার রাস্তা পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, “আমি যদি রাস্তার অনুমোদন করে দিই, আপনাদের দায়িত্ব থাকবে পঞ্চায়েত থেকে সেই রাস্তা বের করে নিয়ে আসা। আপনারা কি পারবেন? আমি কোনও প্রতিশ্রুতি বুঝি না, আগে কাজ তারপর ভোট। কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে। আমি কাজের পক্ষপাতি। এলাকায় অত্যন্ত খারাপ রাস্তা। মানুষের সমস্যা কী তাই আমি জানতে চাই।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    বেহাল রাস্তার ফলে এলাকার (North 24 Parganas) মানুষের সমস্যা অত্যন্ত প্রবল। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া, ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া, ইত্যাদি ক্ষেত্রে গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত নয় এই রাস্তা। এই জামদা এলাকার এক স্থানীয় আশাকর্মী জয়ন্তী বসু বলেন, “অনেক গর্ভবতী নারীকে এই রাস্তায় দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই রাস্তায় বেশ কয়েকটি বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। কারণ রাস্তা খুব খারাপ। চালাচলের যোগ্য নয় এই রাস্তা। প্রয়োজনীয় কোনও গাড়ি এখানে যাতায়াত করতে পারে না। তাছাড়া রাস্তা খারাপ বলে গাড়ি চালকেরা অধিক টাকা চায়। এলাকার বেহাল রাস্তা ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজর নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বনগাঁ এলাকার সাংগঠনিক জেলার (North 24 Parganas) তৃণমূলের কংগ্রেস সহ সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “এলাকার সাংসদ ২০১৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চার বছর শো-কেসে ছিলেন। বনগাঁর কোনও মানুষ তাঁকে চোখে দেখেননি। এলাকার পঞ্চায়েতের কোনও মানুষ তাঁকে চেনে না। সামনে লোকসভার ভোট তাই এখন মাঠে নেমেছেন তিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share