Tag: bjp

bjp

  • Durgapur Barrage: ‘বালি মাফিয়াদের জন্য রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, কোনও নজরদারি নেই’, তোপ আলুওয়ালিয়ার

    Durgapur Barrage: ‘বালি মাফিয়াদের জন্য রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, কোনও নজরদারি নেই’, তোপ আলুওয়ালিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। চলছে টানা বৃষ্টি। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, নজরদারির অভাবে অনৈতিকভাবে বালি তোলাই বন্যার কারণ।

    নদীতে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ? (Durgapur Barrage)

    অবৈধভাবে বালি তোলার জেরে প্লাবন! দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) পরিদর্শনে এসে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এমনকী পরিদর্শনে এলেও তালা খুলে দেখানো হল না দুর্গাপুর ব্যারেজের অটোমেশিন পদ্ধতি ‘স্কাডা’র কাজ। আর তাই নিয়ে বিস্তর রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে, জলে টইটম্বুর ব্যারেজে যখন লক্ষাধিক কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে, তখন অপারেটার না থাকায় তালা খুলল না ‘স্কাডা’। এদিন সাংসদ বলেন, ‘দুই জেলায় দামোদর উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমি কোনও সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলাম। সমস্যা থাকলে সহযোগিতা করব বললাম। আমাকে নিয়ে গিয়ে ভেতরে বসিয়ে রাখা হল। কী কারণে স্কাডা সিস্টেম দেখালো না, তা বুঝতে পারছি না। এদের আচরণ সন্দেহজনক। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ‘নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। বালি তোলার অনুমতি জেলা প্রশাসন দিলেও নজরদারি নেই। নদীর কিনারায় বালি তোলার ফলে গতিপথ বদলে যাচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী গ্রাম ও চাষজমি প্লাবিত হচ্ছে। তাই নদী থেকে বালি তোলায় নজরদারি দরকার।”

    নদীতে ড্রেজিং নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ বলেন, এর আগেও দামোদরের (Durgapur Barrage)  ড্রেজিং এর ব্যাপারে আমি বলেছি, আবারও বলব। তবে, সাংসদের যুক্তি, জল ছাড়া হলে জলের প্রধান স্রোতের সঙ্গে বালি ভেসে চলে যায় বলে স্বাভাবিকভাবে ড্রেজিং করার প্রয়োজন হয়। তিনি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দোষ দেখছেন না। তিনি প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ১৯৭৮ সালে চার লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল, তখন সামাজিক মাধ্যম ছিল না। সাংসদের কথায় দুই ধারে বালি জমে যায় ফলে বালি তোলার জন্য সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। সাংসদ দায়ী করছেন, অন্যায়ভাবে বালি উত্তোলন করা হয় বালিঘাটের কাছেই। জেসিবি দিয়ে বালি তোলা হয়। তাই,আশপাশের গ্রামগুলিতে বন্যা হয়।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিজেপিকে অযথা আক্রমণ করা হচ্ছে। কার্যত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে। এরাজ্যে বিরোধীদের কর্মসূচি করতে গেলে কোর্টে যেতে হয়। অপর দিকে তৃণমূলকে দিল্লিতে কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়নি।। রবিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দলীয় কর্মসূচিতে এসে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন সুকান্ত (Siliguri)?

    শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরাজ্যে  লাঠি, গুলির দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচার সহ্য করছে বিজেপি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীও খুন হয়েছেন। প্রত্যেক দিন মহিলাদের শ্লীলতাহানি হচ্ছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া। এরকম অনেক প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে বিরোধীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সুস্থভাবে সকলে রাজনীতি করতে পারে। তাই তৃণমূলের ভয়ের কিছু নেই। বিজেপি, তৃণমূলের কনভয় শান্তিপূর্ণভাবে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু এরাজ্যে আমাদের কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়। দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না। এটাই পার্থক্য।”

    ট্রেন-বিমান বাতিল প্রসঙ্গে কী বললেন?

    বিজেপি তৃণমূলের ট্রেন-বিমান বাতিল করেনি। বাতিল নিয়ে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি বলেন, “বিমান প্রাইভেট সেক্টর চালায়, কেন্দ্র সরকার চালায় না। কাজেই প্রাইভেট সেক্টর এয়ার এশিয়া কেন বিমান বাতিল করেছে, সেটা বিমান সংস্থাই বলতে পারবে। ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলা হচ্ছে, কিন্তু আদৌ কি ট্রেন বুক করা হয়েছিল? সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। ট্রেনের জন্য আবেদন করেছিল, আর আবেদন করলেই ট্রেন বুক করা হয় না। তৃণমূলের এত কান্নাকাটি করার কী আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দুটো চার্টার্ড প্লেন ভাড়া নেওয়া আছে। প্রতি মাসে তার জন্য সরকারের টাকা যায়। সেই প্লেনে লোক ভরে ভরে নিয়ে যাক।

    হিসেব না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকা পেতে গেলে বিগত বছরের টাকার হিসেব ক্লাবগুলিকে দিতে হবে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে বলেন, “ক্লাবগুলিকে মদ মাংস খাইয়ে, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতেন, এই টাকায় কাজ করবে না ক্লাবগুলি। রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। তাই এখন বলছেন, হিসেব না দেওয়ার জন্য ক্লাবকে টাকা দেবেন না। এটাই তো নিয়ম হওয়া দরকার। ঠিক একই কারণে বিভিন্ন প্রকল্পে হিসেব না দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই আরামবাগে বিজেপি কাউন্সিলারের ওয়ার্ড বলে রাস্তা সংস্কার না করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে বনগাঁয় বিজেপি করার অপরাধে এক দলীয় কর্মীর উপর হামলা এবং ছেলে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন মা। নৃশংস এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। এসব ঘটনার মধ্যে এবার পঞ্চায়েতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে যোগাযোগের বাঁশের সাঁকো কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের  (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়লাভ করে। নতিবপুর-২ পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। এই দুই গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। তার উপরই বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো রাতের অন্ধকারে নদীতে জল বাড়ার সুযোগ নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই সাঁকোই করাত দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের স্থানীয় নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে। খানাকুলের বালিগোড়ি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে এমনটা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির বিধায়ক। এলাকা ঘুরে তিনিও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। বুড়ো-বাচ্চাদের নিয়ে আরও সমস্যা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতেই এসব করছে। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাও তাতে জড়িত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্রিজের একটা অংশ কেটে দেওয়া হয়। আর তার জেরেই জলের হালকা স্রোতে বাকিটা ভেসে যায়। আমিও ওখানে গিয়ে দেখেছি, চারপাশে কাঠের গুঁড়ো ছড়ানো। মেশিন দিয়ে ওই ব্রিজটি কাটা হয়েছে। খানাকুল থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সম্পাদক বিপ্লব লহরী বলেন, সুশান্ত ঘোষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন। আসলে ব্রিজটি ভগ্নপ্রায়ই ছিল। ডিভিসি জল ছেড়েছে। সেই জলের তোড়ে ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল এসব কেন করতে যাবে? রাজনীতি করতে বিজেপ এসব করছে। তৃণমূল কোনওদিনই এসব চায় না।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bongaon: বিজেপি করা অপরাধ! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Bongaon: বিজেপি করা অপরাধ! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীর মাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায় বনগাঁর (Bongaon) ঠাকুরনগরের মানিকহীরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কানন রায়। তাঁর ছেলের নাম জয়ন্ত রায়। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। হামলাকারী তৃণমূল কর্মীর নাম সমীর মল্লিক। তিনি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bongaon)  

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তবাবুর পরিবারের সকলেই বিজেপি সমর্থক। আর এই বিজেপি দল করার অপরাধে প্রায়ই তাঁর বাড়ির উদ্দেশে গালিগালাজ করত সমীর মল্লিক নামে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। বুধবার সন্ধ্যাতেও গালিগালাজ করতে করতে যাচ্ছিলেন তিনি। জয়ন্তবাবু তার প্রতিবাদ করলে সমীর মল্লিক তাঁর ওপর চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করতে থাকে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বৃদ্ধা মা ও বাবা। তাঁদেরও মারধর করেন সমীর। এমনকী জয়ন্তবাবুর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। জয়ন্তবাবুর মাকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও ঘটনার পরই অভিযুক্ত হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী?

    মৃতার ছেলে তথা বিজেপি কর্মী জয়ন্ত রায় বলেন, বিজেপি করাটা আমাদের অপরাধ। সমীর নামে এই তৃণমূল কর্মী এর আগেও আমাদের বহুবার গালিগালাজ করেছে। বুধবার আমি প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ও এভাবে আমার বাড়ির সকলের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার মাকে তো খুন করে দিল। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, যে বুথে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই বুথে সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আজকে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি যেখানে একজন তৃণমূলের যুব নেতা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খুন করিয়ে দিল। আমরা অবিলম্বে  দাবি জানাচ্ছি। এই বাংলায় শাসন বলে কিছু নেই ক্রিমিনাল গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। নিরূপমের নেতৃত্বে ওই বিজেপি কর্মীর মা খুন হয়েছ। সবার আগে নিরুপমকে গ্রেফতার করা দরকার ছিল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায় বলেন, কাল রাতে একটা ঘটনা ঘটেছে মানিকহীরা দেশপাড়ায়। সমীর মল্লিক নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী এলাকার বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুই বেদনার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: পুজো কমিটিকে ঢালাও টাকা, নজর নেই নিত্য যাতায়াতের রাস্তায়, হাওড়া যেন মরণফাঁদ

    Howrah: পুজো কমিটিকে ঢালাও টাকা, নজর নেই নিত্য যাতায়াতের রাস্তায়, হাওড়া যেন মরণফাঁদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কমিটিগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পুজো উদ্যোক্তারা সেই টাকা পেতে শুরু করেছেন। এই খাতে রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ এবার হাওড়া (Howrah) শহরে একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপ থেকে অন্য পাড়ার পুজোমণ্ডপে ঠাকুর দর্শন করতে গেলে কার্যত পা ভাঙার অবস্থা হবে। কারণ বহু জায়গায় রাস্তা বলে কিছু নেই। পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার রাস্তা ভেঙে এতটাই গর্ত হয়ে গিয়েছে যে সামান্য বৃষ্টি হলে তা ডোবায় পরিণত হচ্ছে।

    কোন কোন রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ?  (Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুর এলাকায় জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বাম আমলেও নানা পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেই জল জমার সমস্যার সমাধান হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেও হাওড়া শহরের জমা জলের সমস্যা মেটাতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ,কিন্তু তাও খুব বেশি কাজ হয়নি। যার ফলে বেশিরভাগ রাস্তাতেই বৃষ্টির জল জমে যাচ্ছে। আর সেই জমা জলের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে ভেঙে চৌচির হচ্ছে বিভিন্ন রাস্তা। এর ফলে বড় বড় রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আর তার ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, সামান্য কয়েকটি রাস্তায় প্যাচওয়ার্কের মতো করে গর্ত বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। শালিমার রেলগেট, বামুনগাছি, লিলুয়া, বেনারস রোড, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক জায়গায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাতায়াত বন্ধ করে দিতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ঘুর পথে পৌঁছাতে হচ্ছে গন্তব্যে। অন্যদিকে, হাওড়া শহরের সংযোজিত এলাকা বলে পরিচিত কোণা, ভূতবাগান, পেয়ারাবাগান, বালির জয়পুর বিল এলাকার নিচু এলাকাগুলির অবস্থা আরও খারাপ। এখানে অনেক জায়গায় এখন কাঁচা রাস্তা রয়ে গিয়েছে। সেই সমস্ত রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে।

    পুজো উদ্যোক্তারা কী বললেন?

    সালকিয়া বাজলপাড়া প্রতিরোধ বাহিনী দুর্গাপুজো কমিটির এক উদ্যোক্তা অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, পুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ খুব ভাল। কিন্তু, পুজোর আগে রাস্তা এভাবে দাঁত, নখ বেরিয়ে থাকবে?  সালকিয়া এলাকায় রাস্তার যা হাল তাতে দর্শনার্থীরা কী করে প্রতিমা দর্শন করবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে অবরোধে বিজেপি

    হাওড়া (Howrah) জুড়ে রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সালকিয়া সীতানাথ বোস লেনে বিজেপি কর্মীরা সকালে রাস্তা অবরোধ করেন। বিজেপির জেলা নেতা উমেশ রায় বলেন, মেলা, খেলায়, পুজো কমিটির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। আর রাস্তাগুলির দিকে তাঁর কোনও নজর নেই। শহরের সব রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান কী বললেন?

    যদিও হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বর্ষার মধ্যে পুরোপুরি নতুন করে রাস্তা করা যাবে না। তারপর পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত ভাঙা রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন

    Howrah: হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হাওড়া পুরনিগম সূত্রে খবর, গত বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত যেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৫০ জন, এবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯০ জন। এলাকার বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির জমাজল এবং যত্রতত্র আবর্জনার কারণে ডেঙ্গির মশা বাড়ছে। যদিও হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক নিতাইচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত গোটা জেলায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। অপর দিকে বিজেপি, ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করে বলে, জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া পুরসভা রাশ টানতে ব্যর্থ। 

    বালি, জগাছা এবং সাঁকরাইলে ডেঙ্গি আক্রান্ত অধিক (Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুরসভা এলাকা, বালি পুরসভা এলাকা, বালি জগাছা ব্লক এবং সাঁকরাইলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ডেঙ্গু রুখতে মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে বলে জানা গেছে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। হাওড়া পুরসভার ৪, ৩৯, ২৯, ৩১  এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক জায়গায় বৃষ্টির জল জমে রয়েছে এবং এই এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। মূলত বাড়িতে জল জমে থাকার কারণেই ওইসব এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। তবে হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং নাগরিকদের বোঝাচ্ছেন। একই সঙ্গে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম মশা মারার তেল স্প্রে করছে।

    বিজেপির অভিযোগ

    এদিকে শহরের (Howrah) ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উত্তর হাওড়ার বিজেপি নেতা উমেশ রাই, এই ডেঙ্গি সংক্রমণের অভিযোগ করে তৃণমূলকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, “ডেঙ্গির পরিসংখ্যানের তথ্য গোপন করা হচ্ছে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জানানো হচ্ছে না। একই সঙ্গে ডেঙ্গিতে মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ করা হচ্ছে না। সরকার তথ্য গোপন করে মানুষকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রেণে সচেতন করছে না। শাসক দল ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। যা বাস্তবে ঘটছে তাই পাঠানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সেই জন্য যেমন বাড়ি বাড়ি সচেতন করার কাজ চলছে, একইভাবে বর্ষায় জমা জল যাতে দ্রুত নেমে যায়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় রাস্তা ভেঙে গিয়ে, ছোট ছোট গর্তে যাতে জল জমতে না পারে, সেই জন্য বর্ষার মধ্যেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনের সফরসঙ্গীদের জন্য কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন? জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বাংলাকে পথ দেখাবে। নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব। সিপিএমকে একটা সময় পর্যন্ত সরানো অসম্ভব মনে হলেও কার্যত নন্দীগ্রামই পথ দেখিয়েছে। এভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের আগে বার্তা দিলেন। রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কর্মীদের অনুপ্রেরণা জোগালেন বলে মনে করছেন রাজনীতির এক অংশের মানুষ।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “৩৪ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটেছিল নন্দীগ্রাম থেকে। ভবিষ্যতে তৃণমূলের অবসান ঘটবে এই গ্রাম বাংলা থেকেই। নন্দীগ্রামের মানুষ হয়তো মমতাকে ভোট দিলে কয়েকটা চাকরি পেতেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ বাংলার সঙ্গে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে মমতাকে হারিয়েছেন। বাংলার মানুষ নন্দীগ্রামকে স্মরণ করলেই পরিত্রাণ পাবেন।”

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে বিরোধী দলনেতার কী ভূমিকা, তা আগে মানুষ জানতেন না। আগে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার নাম নিতেন না। এখন বাধ্য হয়ে নিতে হয়। ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল যেমন গাছে ওঠে না, ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও তাই করছেন। এই কাঁথি, তমলুক অঞ্চলের পঞ্চায়েতে যে সব কর্মীরা বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি প্রশিক্ষণ দেবো। ”

    শিল্প প্রসঙ্গে কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে। কেন্দ্রে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রাজ্যে কী কী  শিল্প এসেছে তার হিসাব জানাতে চান। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “রাজ্যে কোন কোন কারখানা বন্ধ হয়েছে, তার তালিকা দিয়ে দিতে পারব”। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ কত? রাজ্যে নেই মহার্ঘ্য ভাতা! চলছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। সফরসঙ্গীদের জন্য মমতা কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন, তাও জানতে চান শুভেন্দু।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Hooghly: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য একটি রাজনৈতিক নেতাদের ছবি সহ ব্যানার। আর সেই ব্যানার নিয়ে তোলপাড়় হুগলি (Hooghly) জেলার রাজনীতি। জেলার একাধিক প্রান্তেই ওই ব্যানার কে বা কারা টাঙিয়েছে। আর সেই ব্যানারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী রয়েছে ব্যানারে? (Hooghly)  

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোট গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে, সেই জোটের স্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রচারের ইস্যু কী হবে তা কিছুই ঠিক হয়নি। ব্যানারে কাদের ছবি ব্যবহার করা হবে, কাদের হবে না সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট কোনও বার্তা নেই। এরমধ্যেই হুগলি (Hooghly)  জেলায় একটি ব্যানারে দেখা গেল, এক ফ্রেমের মধ্যে মমতা- অভিষেক-সনিয়া-রাহুল-সেলিম-সুজন সকলের মুখ একসঙ্গে শোভা পাচ্ছে ব্যানারে। বাংলার রাজনীতিতে এমন ছবি বিরল। তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস সব দলের নেতাদের মুখ একসঙ্গে। এক ব্যানারে। শুধু তাই নয়, একই ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘ইনক্লাব’, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিও। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে। হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় এমন ব্যানার লাগানো হয়েছে। চাঁপদানী, ভদ্রেশ্বর, পোলবা-সহ অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে মমতা-সেলিম- অধীরদের ছবি নিয়ে এই ব্যানার। কিন্তু কারা ছড়াল এসব? ব্যানার দেখে তা বোঝার উপায় নেই। কারণ, কোনও দল বা কোনও সংগঠনের নাম সেখানে উল্লেখ নেই। শুধু ইন্ডিয়ার সমর্থনে প্রচার করা হয়েছে।

    ব্যানার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কোনও রাজনৈতিক দলই ব্যানার লাগানোর দায় নিচ্ছে না। তৃণমূলের হুগলি (Hooghly) জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলছেন, ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক, এটা আমরা সবাই চাই। বিজেপিকে আটকাতে হলে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে হবে। তবে, এই পোস্টার বা ব্যানার কারা লাগাচ্ছে, সেটা আমাদের জানা নেই। আমাদের দলের কেউ করেনি এটা বলতে পারি। ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে এই পোস্টারের দায় নিতে নারাজ বামেরাও। সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলছেন, আমাদের নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, যেখানে এই ধরনের পোস্টার দেখবে, যেন সেগুলি ছিঁড়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের হুগলি জেলা সহ সভাপতি দেবব্ৰত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইন্ডিয়া জোট হওয়ার পর বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। যাতে এই সমঝোতা ভেঙে যায়, সেই চেষ্টা করছে বিজেপি। সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিকে ব্যানার বিতর্কে বিজেপি আবার খোঁচা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসকে। পদ্ম শিবিরের হুগলি (Hooghly)  সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলছেন, বেঙ্গালুরুতে যখন এদের শীর্ষ নেতৃত্বরা বৈঠক করেছিল, তখনই রাজ্যের মানুষের কাছে এদের আসল ছবি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। এদের দিল্লিতে একরকম মুখোশ, পশ্চিমবঙ্গে আরেকরকম মুখোশ। এই ব্যানার নিয়ে সাধারণ মানুষের এতটুকু মাথাব্যথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: নবজোয়ারের পর আরামবাগে বহু পঞ্চায়েত হাতছাড়া তৃণমূলের, ক্ষমতা দখল বিজেপির

    Arambagh: নবজোয়ারের পর আরামবাগে বহু পঞ্চায়েত হাতছাড়া তৃণমূলের, ক্ষমতা দখল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির পর আরামবাগ (Arambagh) মহকুমায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন করে শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দুর্বল হয়ে পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বিজেপি। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিজেপি ঝান্ডা উড়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল বোর্ড গড়লেও সেখানে পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলকে সমান টক্কর দিয়েছে বিজেপি। ফলে, আরামবাগে যুবরাজের নবজোয়ারের ফানুস অনেকটাই চুপসে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিধানসভার পর থেকেই আরামবাগে (Arambagh) শুরু হয় বিজেপির জয়যাত্রা

    ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই মহকুমা (Arambagh) শাসক দল তৃণমূলই সব জায়গায় ক্ষমতায় ছিল। গোটা মহকুমা একেবারেই  বিরোধীশূন্য হয়ে পড়ে। এরমধ্যেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০১৮ সালে এই মহকুমাতেই একমাত্র বিরোধী দল হিসাবে জায়গা করে নেয় বিজেপি। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বিজেপির উত্থান শুরু হয়।  ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ১ হাজার ২০০ ভোটে জয়লাভ করেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শ্রীমতি অপূর্ব পোদ্দার। তারপর থেকেই আরামবাগে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বিজেপির সংগঠন। ২০২১সালে আরামবাগ মহকুমার খানাকুল, আরামবাগ, পুরশুড়া, গোঘাট বিধানসভায় বিজেপি জয়লাভ করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরামবাগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেন যুবরাজ। আরামবাগের ভালিয়া এলাকায় একটি সভাও করেন। এই মঞ্চ থেকেই আরামবাগ মহাকুমার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এলাকায় বহু সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি সাধারণ মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। কারণ, যেখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে বিজেপি ভাল ফল করেছে। এমনই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    আরামবাগে পঞ্চায়েত স্তরে কেমন ফল করেছে বিজেপি?

    ২০১৮ সালে এই মহকুমায় (Arambagh) পঞ্চায়েত স্তরে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল তো দূরের কথা বিজেপির কোনও সদস্যই ছিল না। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। ২০২৩ সালে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু পঞ্চায়েত সদস্য নয় একেবারে ত্রিস্তর বিজেপি শক্তিবৃদ্ধি করেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে আরামবাগ মহকুমায় মোট ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত, খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে। জেলা পরিষদের আরামবাগের খানাকুলে এই প্রথম দুটি আসন পেয়েছে বিজেপি।  খানাকুল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গড়লেও ২৩টি আসনের মধ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা ১১টি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের যুবরাজ দুর্নীতির টাকায় গরু,কয়লা,বালি সহ অন্যান্য বেআইনি কারবারের টাকায় নবজোয়ার কর্মসূচি করেছিল। তার ফল জিরো হয়েছে। ফলেই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। কারণ, এই মহকুমায় যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে সেখানে বিজেপি জয়লাভ করেছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে শুধু আরামবাগ মহকুমা নয়, সারা রাজ্যে বিজেপির খুব ভালো ফল হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, নবজোয়ারের মাধ্যমে বিজেপির বিভিন্ন দুর্নীতি ও কারচুপি মানুষ বুঝতে পেরেছে। আমাদের যুবরাজ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা মানুষের কাছে তুলে ধরেছিল। বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: শিশিরের ভোটে খেজুরিতে স্থায়ী সমিতি গঠন করল বিজেপি, তীব্র উচ্ছ্বাস কর্মীদের

    Purba Medinipur: শিশিরের ভোটে খেজুরিতে স্থায়ী সমিতি গঠন করল বিজেপি, তীব্র উচ্ছ্বাস কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ শিশির অধিকারীর ভোটেই খেজুরিতে (Purba Medinipur) পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি অবশেষে গঠন করল বিজেপি। তিনি বলেন, “খেজুরির গ্রাম উন্নয়নের পক্ষে এই ভোট”। উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে, শাসক দলের দৌরাত্ম্যে উত্তাল হয়ে উঠেছিল খেজুরির বিডিও অফিস। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ব্যাপক বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ ওঠে। সাংসদ শিশিরবাবু সেই দিন ভোট দিতে গেলে, রাস্তায় যাওয়ার পথে, তাঁর গাড়িতে ইট ছোড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তারপর থেকেই ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়।

    বিজেপি কীভাবে গঠন করল স্থায়ী সমিতি (Purba Medinipur)?

    তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার আশ্রয় নিয়েও শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে আটকানো গেল না। খেজুরি ২ (Purba Medinipur) পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি দখল করল বিজেপি। গতকাল বুধবার, তমলুকের নিমতৌড়ি এলাকায় অবস্থিত জেলা শাসকের দফতর ব্যাপক নিরাপত্তা ছিল পুলিশের। অফিসের ৫০০ মিটার এলাকায় জারি ছিল ১৪৪, প্রচুর পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছিল। খেজুরি ২ পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্য জেলা শাসকের অফিসে আসেন। এরমধ্যে আটজন তৃণমূলের এবং সাতজন ছিলেন বিজেপির সদস্য। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে মোট ২৪ জন ভোট দাতা উপস্থিত হন। ভোটের পরে স্থায়ী সমিতি গঠনে বিজেপি জয়ী হয় বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব থেকেই খেজুরি বেশ উত্তপ্ত ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫ আসনের মধ্যে ৯ টি বিজেপি এবং ৬ টি তৃণমূল পায়। বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি এবং আরও এক বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপরেই শাসক-বিরোধীর মধ্যে শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। ভোট পর্ব স্থগিত হয়ে যায়। মামলা পৌঁছায় হাইকোর্টে। এরপর আদালতের নির্দেশের পর গতকাল বুধবার স্থায়ী সমিতি গঠন হয়।

    সাংসদের বক্তব্য

    কাঁথি (Purba Medinipur) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “ আমার ভোট উন্নয়নের পক্ষে ছিল। দলের কোন হুইপ থাকলে আমাকে দল জানায় নি। যাঁরা উন্নয়ন করবে তাঁদের পক্ষেই আমি ভোট দিয়েছি। তবে কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভোট আশা করতে পারেন, কিন্তু তাতে আমার কিছু করার নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতা অসিত মণ্ডল বলেন, “ নয়টি স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য ২৪ জন ভোটারের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৩ এবং তৃণমূল পেয়েছে ১১। আজ শিশিরবাবু তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে দিয়েছেন। আর এরফলেই বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়েছে। কে কাকে ভোট দিয়েছে আমরা সবই দেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share