Tag: bjp

bjp

  • Arambagh: আরামবাগে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: আরামবাগে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-১ নম্বর ব্লকের অরুণ্ডা গ্রামে। তৃণমূলের হামলায় ৪ জন বিজেপি কর্মী জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উদ্যোগে একটা খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, আচমকা তৃণমূলের ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী তাঁদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায়। মারধরও করা হয়। এমনকী বাড়িতে থাকা টাকা-সোনাও লুট করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জখম হন বিজেপির দুই মহিলা ও দুই পুরুষ। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ (Arambagh) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অগাস্ট অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল অরুণ্ডা গ্রাম। সূত্রের খবর, চলেছিল গুলি। দেদার বোমাবাজি ও হয়। অনেক বাড়িতে ভাঙচুর চলে, পঞ্চায়েত ভবনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুনও। পুলিশের গাড়িতেও চলে ভাঙচুর। পুলিশের চারটি বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে থমেথমে ছিল গোটা এলাকা। এরমধ্যে ফের তৃণমূল তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধেই স্পষ্ট অভিযোগ আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষের। তিনি বলছেন, তৃণমূল ও পুলিশ উভয়েই অরুণ্ডাতে বিজেপি সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানাব।  সুরাহা না হলে আদালত পর্যন্ত যাব।

    হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মারধর লুটপাট এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। কোন্দল ঢাকতে ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের উপর তৃণমূল নেতার ব্যাপক দাদাগিরির ঘটনায় বন্ধ হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সেই সঙ্গে চলল সরকারি কর্মচারীদের ঘিরে বিক্ষোভ। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার হুমকির কথা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হতেই হুগলিতে (Hooghly) ফের রাজনৈতিক তর্জা শুরু। বিরোধী দল বিজেপি, তৃণমূল নেতার এই অভব্য আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে। অপর দিকে দলের নেতার এই আচরণে ফের অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল।

    কোথায় ঘটনা ঘটল?

    ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়ার সিমলা ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবোনা রাধারাণী হাইস্কুলে। দুয়ারে সরকারের কাজ হওয়ার কথা ছিল এই স্কুলে। পরিষেবা পেতে আসেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এরপর তৃণমূল নেতা নিজের দাবি নিয়ে ধর্না দেন। এর ফলে সরকারি কাজে বাধা পড়ে। শাসক দলের মিটিং কেন এই স্কুলে করতে দেওয়া হল না, এই নিয়ে দুয়ারে সরকারের আধিকারিক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে অত্যন্ত অভব্য আচরণ করে হুমকি দেন এই তৃণমূল নেতা। আর এই তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যের জন্য দুয়ারে সরকারের কর্মকাণ্ড বাতিল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ যাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে এসেছিলেন, তাঁরা অবশেষে বাড়ি ফিরে যান।

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বরে পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ এই দাদাগিরি করেন বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি ছিল, সরকারি কাজ বন্ধ করে দলীয় মিটিংয়ের জন্য স্কুলের হল খুলে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, এক সরকারি কর্মচারীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সঙ্গে শাসক দলের নেতা হওয়ার সুবাদে সকলকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এরপর এই ঘটনার ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কথা বলার সময় আমার গলার আওয়াজটা একটি বেশি হয়েছিল। এটা আমার বদ অভ্যাস। কথা বলার সময় আমার হাতটা একটু নাড়ানাড়ি হয়। যদি আমি কাউকে খারাপ কথা বলে থাকি, তাহলে আমি যে কোনও শাস্তি মেনে নেবো”।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মীর বক্তব্য

    স্থানীয় এক পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী প্রসেনজিত বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় দলীয় মিটিংয়ের জন্য রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন। আমরা জানাই অফিস চলার সময় দলীয় মিটিং করা যাবে না। এরপর এই তৃণমূল নেতা গালিগালাজ শুরু করেন। শেষে আমরা পাণ্ডুয়ার বিডিও সাহেবের কাছে অভিযোগ জানাই।”

    বিজেপির বক্তব্য

    হুগলির জেলা বিজেপি সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, “তৃণমূলের রাজত্বে, সরকারি কর্মীদের এখানে কাজ করার কোনও নিরাপত্তা নেই। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তিনি আরও বলেন, এখনও কেন এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির বিছানায় ফেলা হল বোমা, জখম ৩, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shantipur: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির বিছানায় ফেলা হল বোমা, জখম ৩, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে আবারও বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur)। ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানার মধ্যে বোমা মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতের গবার চর মাঝেরপাড়া এলাকায়। ঘটনায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর নাবালক ভাইপো সহ তিনজন জখম হন। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantipur)  

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গৌরাঙ্গ বিশ্বাস নামে এক দলীয় কর্মী। ভোটে জয়যুক্ত হন তিনি। তারপর থেকেই একাধিকবার গৌরাঙ্গ বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বারান্দাতেই বিছানা করে ঘুমাচ্ছিলেন। তখনই একদল দুষ্কৃতী তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। যদিও একটি বোমা বিছানার উপরে পড়তেই গৌরাঙ্গবাবুর এক নাবালক ভাইপো, ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী জখম হন। এছাড়াও বারান্দার পাশের একটি টিনের দরজা ভেঙেচুরে যায়। এরপরে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে যায় এলাকার লোকজনের।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    বিজেপির জয়ী সদস্য গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল এসব করছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে ওরা ফের আমার বাড়িতে বোমাবাজি করে। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে শান্তিপুরের (Shantipur) বেলঘড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তৃণমূল করি। কিন্তু এলাকায় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেই চেষ্টা করি সব সময়। বোমাবাজির ঘটনা আমরা কিছুই জানি না। বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করে তৃণমূলের নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হলে, তৃণমূলকে হলদিয়ার কারখানা থেকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুরের টাটা স্টিল এবং টাটা পাওয়ার মজদুর সঙ্ঘের শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে ঠিক এইভাবে রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরে আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হবে। হলদিয়া এবং কাঁথিতে কয়েক লাখ ভোটে জয়ী হব। তমলুকে তৃণমূল হারবে। আর তৃণমূল হারলেই মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে হলদিয়ার কারখানার গেট থেকে শাসক দলকে উৎখাত করবো”। এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো লোকসভার ভোট হবে না। লোকসভার ভোটে তৃণমূল ভোট লুট করতে পারবে না”। এদিন বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক সভাপতি ও হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, আনন্দময় অধিকারী, সোমানাথ ভুঁইয়া সহ আরও অনেক মজদুর সঙ্ঘের নেতারা।

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, কলকাতার মানুষ হালদিয়ায় এসে মাতব্বরি করবে আর এই এলাকার মানুষ তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই জেলার অনেক মানুষকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছি। পড়ুয়াদের শিক্ষার সামগ্রী, দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য, রাস্তাঘাট এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপর অনেক কাজ করেছি। এছাড়াও এলাকায় অনেক গাছ লাগিয়েছি। হলদিয়া পুরসভার নির্বাচন হলে তৃণমূলের পরাজয় সুনিশ্চিত। তাই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে আমাদের সকলকে আরও একত্রিত হতে হবে।

    উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে এই উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইস্তফা দেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: চাপে পড়ে ১০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    Dakshin Dinajpur: চাপে পড়ে ১০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে চাপে পড়ে ১০০ টাকায় অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তপনের নাথানিয়াল মুর্মু কলেজের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই, সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মাত্র ১০০ টাকায় অধ্যাপক! শিক্ষার এই মূল্যায়ন! কলেজের ওয়েব সাইট থেকে সারানো হল এই নিয়োগের বিজ্ঞাপন। বিরোধীরা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার কোনও সম্মান নেই। একই ভাবে কিছুদিন আগে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস প্রতি ৩০০ টাকায় অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞাপনকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।পাশাপাশি একে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার চরম খারাপ সময় বলে উল্লেখ করল বিজেপি।

    কলেজের বিজ্ঞাপনে কী বলা হয়েছিল (Dakshin Dinajpur)?

    এই সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে কলেজে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞাপনে বলা হয়, চারটি বিষয়ে মোট অধ্যাপক নিয়োগ হবে ছয় জন। নিযুক্ত শিক্ষকদের প্রতি ক্লাসের জন্য ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে ১৫টির বেশি ক্লাস করতে পারবে না। অধ্যাপকদের যাতায়াতের জন্য কোনও ভাড়া দেওয়া হবে না। ফলে অতিথি অধ্যাপকদের মাসিক বেতনের পরিমাণ মোট দাঁড়ায় মাত্র ৬০০০ টাকা। এত কম টাকায় অধ্যাপকদের পারিশ্রমিককে ঘিরে শিক্ষামহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। আর এরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ (Dakshin Dinajpur) এই বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেয়।

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায় বলেন, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশ কম। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্লাসের সংখ্যাও অনেক বেশি করাতে হচ্ছে। তাই অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম  বলে মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের কলেজ ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। 

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “কলেজের অতিথি অধ্যাপকদের বেতন ১০০ দিনের কাজের থেকেও কম। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিখোঁজ। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে”।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় বিজেপি নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারল দুষ্কৃতীরা। তিন জন দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে, নিজেদের মুখ আড়াল করে বিজেপির নেতাকে গুরুতর আঘাত করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ঠিক কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Birbhum)?

    জানা গেছে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার তপন এবং সুরফুলা গ্রামের কাছেই এক বিজেপি কর্মীকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এই বিজেপি কর্মী যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতি। আহত কর্মীর নাম সুজিত হালদার। মুখে কাপড় বেঁধে পেছন থেকে আঘাত করলে ব্যাপক ভাবে রক্তাক্ত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    গতকাল রাত ন’টার সময় সুজিত হালদার রামপুরহাট (Birbhum) থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময়ে আচমকা চারজন দুষ্কৃতী মুখের কাপড় বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার পেছন দিকে কোপ দেয়। এছাড়াও তাঁর শরীরে আরও বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আঘাতের ফলে শরীরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুজিত হালদার বলেন, “আঘাত করার সময় দুষ্কৃতীরা বলেছে, তুই বিজেপির হয়ে সামাজিক মাধ্যমে খুব পোস্ট করছিস। খুব বড় বিজেপির নেতা হয়েছিস না। ঠিক এই কথা বলতে বলতে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে আমাকে।”

    পুলিশে অভিযোগ

    এই ঘটনার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ভাবে মাড়গ্রাম (Birbhum) থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপির দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত বিজেপির হয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। আর এই জন্যই শাসক দল তাঁকে আটকাতে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সুজিত সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল শাসকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলে তাঁকে শাসক দল নিশানা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Vishwakarma: “পিএম বিশ্বকর্মা কার্যকর না হলে রাজ্যবাসী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে” তোপ অশ্বিনী চৌবের

    PM Vishwakarma: “পিএম বিশ্বকর্মা কার্যকর না হলে রাজ্যবাসী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে” তোপ অশ্বিনী চৌবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা (PM Vishwakarma) যোজনা রূপায়িত না করলে, পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজ্যের সরকারকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবে।’ দুর্গাপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে এইভাবে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য গণবন্টন, বন, আবহাওয়া ও পরিবেশ বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। একই সঙ্গে “তৃণমূল নিজের কবর নিজের খুঁড়ছে” বলে সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী বললেন (PM Vishwakarma)?

    পিএম বিশ্বকর্মা (PM Vishwakarma) প্রকল্প প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে বলেন, “এই যোজনায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তাতে কামার, কুমোর, ছুঁতোর, মুচি, দরজি সহ ১৮ টি বংশ পরম্পরার শিল্প সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক পরিবার উপকৃত হবেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর তাঁদের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে ৫০০ টাকা করে পারিশ্রমিক পাবেন। এছাড়াও প্রশিক্ষণ শেষে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। ১৫ হাজার টাকার নিজেদের পেশায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সুবিধা পাবেন। প্রশিক্ষণের পর নিজের ব্যবসার জন্য ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ সহজ সুদে ঋণ নেওয়া যাবে বলে বলা হয়েছে। এমএসএমই বিভাগ এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে মতো যদি রাজ্যে বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজ্যের সরকারকে তুলে  বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবে।’

    কী বললেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন,”এই প্রকল্প (PM Vishwakarma) হল ১০০ শতাংশ কেন্দ্রের অনুদান। রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত, পুরসভাগুলি উপভোক্তাদের শংসাপত্র যাচাই করে দেবে। তাতে বাধা দিলে অসহায় মানুষগুলো বঞ্চিত হবেন। এর বিরোধিতা করা মানে তৃণমূল নিজের কবর নিজেই খুঁড়বে।”

    বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন,” যেভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার স্বজনপোষণ করে প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করেছে, আশঙ্কা করছি, সেরকমই এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার গরিব অসহায় পরিবারগুলিকে বঞ্চিত করতে পারে। নিজের দলের লোকেদের এই সব সম্প্রদায়ের সাজিয়ে প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটা হলে পশ্চিমবঙ্গবাসী তৃণমূলকে ক্ষমা করবে না। লোকসভা ভোটেই তৃণমূলকে ছুড়ে ফেলে দেবে।”

    পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পে কী ঘোষণা হল?

    রবিবার ১৭ সেপ্টম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির জন্মদিন। পাশাপাশি একদিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। দেশের নাপিত, ছুতোর, কামার, দরজি সহ ১৮ টি বংশ পরম্পরার শিল্প সম্প্রদায়ের পারিবারিক পেশার উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প (PM Vishwakarma) চালু করেছেন। এইদিন দ্বারিকা থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই রাজ্যে কোলকাতা, শিলিগুড়ি ছাড়াও দূর্গাপুরে এই প্রকল্পের ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুর্গাপুরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। এছাড়াও ছিলেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, অজয় পোদ্দার, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সিআরপিএফ আইজি বিদ্যৎ সেনগুপ্ত, ডিআইজি দেবব্রত ভট্টাচার্য  প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিন। মোদি ৭৪ বছরে পদার্পণ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মোদির দীর্ঘায়ু এবং শুভ কামনা জানাতে রাজ্যের বিরোধী দলের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের মন্দিরে পুজো দিলেন। অপর দিকে বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুড়িমা কালীমায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য জানালেন মঙ্গল কামনা। সারা দেশের মতো এই রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পালন করা হল। 

    জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন শুভেন্দু (PM Modi)

    বিশ্বনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে শুভ কামনা জানিয়ে শুভেন্দু পুজো দিলেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের জানকীনাথ মন্দিরে। শুভেন্দু মোদির একটি ছবি নিয়ে মন্দিরে পুজো দিলেন। সেই সঙ্গে লাড্ডু প্রসাদ বিতরণ করলেন সকলের মধ্যে। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে পাশেই একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে চলে কর্মীদের রক্তদান শিবির। যাঁরা রক্তদান করেছেন, তাঁদের হাতে তুলে দিলেন গোলাপ ফুল। রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে জন্মদিনের আনন্দ এবং কুশল বিনিময় করলেন শুভেন্দু। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিলেন সুকান্ত

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে বালুরঘাটের বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রক্তজবা এবং মিষ্টি দিয়ে নিজের পরিবারকে সঙ্গে করে মায়ের মন্দিরে মোদির দীর্ঘায়ু কামনায় পুজো করলেন সুকান্ত। মোদির জন্ম দিনে শুভ কামনার সঙ্গে এই রাজ্যের জন্যও মঙ্গল কামনা করেন তিনি। 

    হাসপাতালে ফল বিতরণ করলেন সুকান্ত

    প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মন্দিরে পুজো দিয়ে সুকান্ত মজুমদার, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রোগীদের আরোগ্য কামনায় ফল বিতরণ করলেন। সেই সঙ্গে রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। রোগীদের বলেন, “যদি মনে হয় শিলিগুড়ি বা কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে তাহলে অবশ্যই যেন জানান”। সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা কেমন আছেন, তা জানতে রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Block: ‘ইন্ডি’ জোটে অনৈক্য! বাতিল হল প্রথম জনসমাবেশ, কটাক্ষ বিজেপির

    Indi Block: ‘ইন্ডি’ জোটে অনৈক্য! বাতিল হল প্রথম জনসমাবেশ, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রথম জনসমাবেশের দিনক্ষণ ঘোষণা আগেই হয়েছিল। পরস্পর বিরোধী নেতারা মঞ্চে বসে ঐক্য দেখানোর চেষ্টা করলেও ‘ইন্ডি’ জোটের (Indi Block) নেতাদের অনৈক্যের ছবি ষ্পষ্ট হয়ে উঠল জনসমাবেশ বাতিল হতেই। প্রসঙ্গত, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ‘ইন্ডি’ জোটের প্রথম বৈঠকে স্থির হয়েছিল ভোপালের সভার কথা। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিরোধী নেতা-নেত্রীরা নাকি জনসভা করবেন ভোপালে! সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল শনিবারই। কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এই জনসমাবেশ বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। তবে পরবর্তী জনসমাবেশ কোথা হবে! আদৌ হবে কিনা! তা নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি জোট নেতৃত্ব। বিরোধী জোটের জনসমাবেশ বাতিল হতে কটাক্ষ করেছে বিজেপি শিবির।

    কী বলছে বিজেপি?

    মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এনিয়ে বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মকে যারা অবমাননা করেছেন, তাঁদের জনসমাবেশ বাতিল হবে এটাই তো স্বাভাবিক। মধ্য প্রদেশের মানুষ সনাতন ধর্মের এই অপমান মেনে নেবে না। আমাদের বিশ্বাসে আঘাত এনেছে ওরা। এই আঘাত সহ্য করা হবে না। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে এই জনসমাবেশ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে তারা। মানুষ এই ব়্যালি হতে দেবে না।’’ কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শিবরাজ সিং চৌহান আরও বলেন, ‘‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে বড্ড গন্ডগোল। পোস্টারে কার ছবি থাকবে আর কার থাকবে না, তা নিয়েও ওদের মধ্যে ঝামেলা। ওরা যখন এইসবে মগ্ন (Indi Block) তখন বিজেপি প্রচারে জোর বাড়িয়ে ফেলেছে।’’

    বিরোধীদের (Indi Block) অনৈক্যর ছবি ষ্পষ্ট

    ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য মনে করছে যে বিরোধীরা ইস্যুভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ না হতে পারার কারণেই তাদেরকে জনসমাবেশ বাতিল ঘোষণা করতে হল। সামনেই বিধানসভা ভোট রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। তার আগেই বিরোধী জোটের এই সমাবেশ বাতিল হল। বিজেপি কটাক্ষ করে বলছে, যাঁরা একসঙ্গে একটা জনসমাবেশ করতে পারছেন না, তাঁরা একসঙ্গে দেশ চালানোর স্বপ্ন কীভাবে দেখছেন! প্রসঙ্গত বিরোধী জোট (Indi Block) নিয়ে ইতিমধ্যে নানা প্রশ্ন শুরু হয়েছে! যে এই জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? আসন সমঝোতা কীভাবে হবে? ইত্যাদি নানা প্রশ্নের মাঝে বাতিল হল জনসমাবেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করলেন

    Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়িয়েছিল নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর নামে হুলিয়াও জারি হয়ে গিয়েছিল। এরই মাঝে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবু তাহের (Nandigram)। সেখানেও মেলেনি রক্ষাকবজ। পরের সুপ্রিম কোর্টে যান ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। শনিবার আত্মসমর্পণ করেন আবু তাহের। জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার দুপুর নাগাদ আবু তাহের (Nandigram) তাঁর পুত্র এবং আইনজীবীকে নিয়ে হলদিয়া কোর্টে আসেন।

    বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে হত্যায় নাম জড়ায় আবু তাহেরের

    প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের (Nandigram) ফল প্রকাশের পরে রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বহু বিজেপি কর্মী নিহত হন শাসক সন্ত্রাসে। ঘরছাড়া হন প্রায় লক্ষাধিক বিরোধী কর্মী। অবাধে রাজ্যজুড়ে লুট হতে থাকে একের পর বিজেপি কর্মীর বাড়ি। নন্দীগ্রামের চিল্লাগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবব্রতকে ভর্তি করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় নাম জড়ায় নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের।

    মামলা দায়ের ৩০২ ধারায়

    ভোট পরবর্তী হিংসাযর তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সিবিআই গ্রহণ করে। সেই তদন্তে উঠে আসতে থাকে একের পর এক শাসকদলের নাম। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান তাঁর নামও উঠে আসে। জানা গিয়েছে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Nandigram) ছিল আবু তাহেরের নাম। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ তিনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু রেহাই মিলল না। শনিবারই আত্মসমর্পণ করতে হল তাঁকে। আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share