Tag: bjp

bjp

  • Birbhum News: বীরভূমে কোন্দল শাসক দলে, কাজল শেখ দায়িত্ব পেতেই ছাঁটাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠরা?

    Birbhum News: বীরভূমে কোন্দল শাসক দলে, কাজল শেখ দায়িত্ব পেতেই ছাঁটাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্বভার রাজ্য নেতৃত্ব দিয়েছে অনুব্রতর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ছাঁটতে শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে।

    প্রথমবার জিতেই জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ

    বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ চৌধুরিকে সরিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সভাধিপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ কর্মাধ্যক্ষদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ অনুব্রত গোষ্ঠীর। এ নিয়ে তৃণমূলকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। কাজল শেখ অবশ্য বলছেন, যে কাজ করবে সেই স্থান পাবে। পুরনোরা কি সারাজীবন থেকে যাবে? নতুনরা কি চান্স পাবে না? খুব স্বাভাবিকভাবে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সরানোর সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা আকারে-ইঙ্গিতে এভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন কাজল শেখ। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে ছিলেন অনুব্রত অনুগামী নারায়ন হালদার এবং রবি মুর্মু। তাঁরা নিজেরাই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পদে থাকতে চাইছেন না। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজল শেখ (Birbhum News) ইতিমধ্যে তাই নাম ঘোষণা করেছেন নুরুল ইসলামের।

    গোষ্ঠী কোন্দল জেলা তৃণমূলে (Birbhum News)

    বীরভূম তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দল অবশ্য জনগণের কাছেও ধামাচাপা থাকেনি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিভিন্ন কাট-আউটে দেখা যেত অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। কিন্তু হাল আমলে অনুব্রতর ছবি বাদ গেছে। সর্বত্র দেখা যাচ্ছে কাজল শেখের ছবি। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার দাবি, ‘‘দাদার ভক্ত হবে না ভাইজানের ভক্ত হবে, এই লড়াই যত দিন যাবে, তত সামনে আসবে। শুধু এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাই। এই ব্যবস্থাই চলছে (Birbhum News) তৃণমূলের।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে জগৎবল্লভপুরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাওড়ার রাজাপুর দক্ষিণ বাড়িতে বিজেপি কর্মী পলাশ মালিকের বাড়ি থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করেন। এই উপলক্ষ্যে গ্রামের ওই কর্মীর বাড়িতে সকাল থেকেই রান্নাবান্না সহ অতিথি আপ্যায়নের বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দুপুরে পাত পেড়ে খান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    এরপর স্মৃতি (Smriti Irani) যেন পরিবারের মেয়ে-বউদের সঙ্গে মিশে গেলেন। মাটিতে বসে স্মৃতির সঙ্গে খেলেন দলের হাওড়ার নেতারাও। তাই সকাল থেকে রান্নাবান্না চলছিল পলাশ মালিকের বাড়িতে। ভাত, ডাল, বেগুনি, পটল চিংড়ি, শুক্তো, সর্ষে ইলিশ, রুই মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়। আর শেষ পাতে ছিল মিষ্টি। খেতে বসার আগে দলের জেলার নেতাদের থালায় করে খাবার পরিবেশনও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই উপলক্ষ্যে পরিবারের মহিলা সদস্যা রুমা মালিক বলেন, আমরা তফশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের বাড়িতে মন্ত্রী আসবেন, কল্পনা করতে পারিনি। আমরা খুবই খুশি। তাঁর জন্য আমরা ঘরে বাঙালি খাবারের আয়োজন করেছি। 

    গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)

    মা-কাকিমা সকলে মিলে আমরা রান্নার আয়োজন করেছি। আরেক মহিলা সদস্যা সুচিত্রা হাজরা বলেন, বাঙালি রান্নার আয়োজন আমরা করেছি। খুবই আনন্দিত যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani) তিনি আমাদের মতো গরিবের বাড়িতে এলেন। পনেরো বছর হল এখানে দক্ষিণ বাড়িতে এসেছি। কিন্তু এত বড় মাপের কোনও মন্ত্রী আমাদের গ্রামে আসেনি। বিশেষ করে আমাদের বাড়িতে উনি আসছেন। এটা ভেবেই আমরা খুব আনন্দিত। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি হাওড়ার জগৎবল্লভপুর সহ চামরাইল, জগদীশপুর বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। পার্টি কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক স্থাপন করেন। আমার মাটি আমার দেশ সম্পর্ক অভিযানের কর্মসূচি হিসেবে গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার বিজেপির ৩ জনের প্রতিনিধি দল এবিষয়ে অভিযোগ জানাতে যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় ও দলের নেতা শিশির বাজোরিয়া। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্বাচনের কাজে না লাগানোর দাবিও জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির (BJP) দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে শাসক দলের মদতে জেলা প্রশাসন মৃত ব্যক্তিদের নাম রেখে দিচ্ছে ভোটার তালিকায়। যাতে নির্বাচনে শাসক দল কারচুপি করতে পারে। প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কোথাও কোথাও তো মোট ভোটারের থেকে বেশি ভোটও পড়তে দেখা যায়, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। কারচুপি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এবার লোকসভার সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই কারচুপির অভিযোগে সরব রাজ্য বিজেপি। 

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ, ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ এবং ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামের দুটি প্রকল্প রাজ্য সরকার চালাচ্ছে, যা বাইরের সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে চালানো হচ্ছে। এই সংস্থার কর্মীরাও শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। দলের দাবি, ওই দুই প্রকল্পের কর্মীদের যেন কোনওভাবেই ভোটার তালিকার কাজে না রাখা হয়। এদিন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘শাসক দলের মদতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করা হচ্ছে ভোটার তালিকায়। আমি এটাকে ভুল বলব না, এটা হল এক ধরনের চুরি। এনিয়ে আমরা অভিয়োগ জানিয়েছি।’’ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচনে যাতে কারচুপি না হয়, তাই স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।  প্রসঙ্গত, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পে যে ফোন নং ব্যবহার করা হচ্ছে তা দিদিকে বলো কর্মসূচির ফোন নং। এনিয়ে দলের অভিযোগ, পার্টির কর্মসূচির ফোন নং সরকারি কাজে ব্যবহার করছে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার জন্য এরকম ঘটনা ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি শান্তিপুর (Shantipur) থানার সিভিক ভলান্টিয়ার কার্তিক হালদার। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। বিজেপির টিকিটে স্ত্রী জয়লাভের পর তাঁর সঙ্গে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে। চাপের কাছে মাথানত না করায় এবার চাকরি গেল তাঁর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ একমাস অনুপস্থিত থাকার কারণেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে অপসারণ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবুর স্ত্রীর নাম সুপর্ণা বর্মন। তিনি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। দু’বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা বর্মন বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেন। সুপর্ণাদেবী জয়লাভ করলেও স্বামীকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। চাপ থাকলেও তিনি তৃণমূলে পরে যোগদান করেননি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘শান্তিপুর (Shantipur) থানার পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য আমার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমার ভোটপ্রচারে একদিনও স্বামীকে পাইনি। বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, এবার বুঝি কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কিন্তু, রবিবার রাতে থানা থেকে আমার স্বামীর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি এসেছে।’’

    কাজ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী?

    বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কর্তিকবাবু বলেন, ‘‘এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিউটিতে অনিয়মিত যোগদানের। কিন্তু, গত ১০ বছর ধরে চাকরিতে কোনও ছুটি পর্যন্ত নিইনি। শান্তিপুর (Shantipur) থানার ওসি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতে কোনও অন্যায় হয়নি। আমার স্ত্রী বিজেপির সদস্য বলেই আমার চাকরি চলে গেল।’’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসলে নদিয়া জেলার মধ্যে শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতিই একমাত্র বিজেপির দখলে। সঙ্গে তিনটে পঞ্চায়েতও। আর সেই জয়ের পর বিশেষ পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। ১৩টি তৃণমূলের। অভিযোগ, বোর্ড ঘোরানোর খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে নেমেছিল পুলিশ-প্রশাসনও। শুধুমাত্র বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী বলে তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন রেখেও বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীর চাকরি চলে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন করেই রেখেছিলেন, তাহলে আর চাপ দেওয়া কীভাবে সম্ভব! সিভিক ভলান্টিয়ারের অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বিষয়। তাতে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shah Rukh Khan: ‘‘আপনার জন্য দেশ গর্বিত’’, জি২০ সম্মেলন নিয়ে মোদি বন্দনায় শাহরুখ

    Shah Rukh Khan: ‘‘আপনার জন্য দেশ গর্বিত’’, জি২০ সম্মেলন নিয়ে মোদি বন্দনায় শাহরুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আপনার জন্য গোটা দেশ গর্বিত’’, জি২০ সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে এই ভাষাতেই অভিনন্দন জানালেন বলিউডের কিং খান (Shah Rukh Khan)। প্রসঙ্গত রবিবারই দিল্লির প্রগতি ময়দানে সম্পন্ন হয়েছে জি২০ সম্মেলন। বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা শুক্রবার থেকে হাজির হয়ে যান ভারতে। জি২০ সম্মেলনকে ঘিরে সারা পৃথিবীর খবরের শিরোনামে চলে আসে ভারত। ২০২৩ সালে সম্মেলনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর তা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ভারত। যা নিয়ে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এদিন শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) কন্ঠেও শোনা গেল সেই একই কথা।

    কী বললেন কিং খান

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) লেখেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন সাফল্যের সঙ্গে জি২০ সম্মেলনকে সম্পন্ন করার জন্য। এটি প্রত্যেক ভারতীয়র হৃদয়ে গর্বের অনুভূতি নিয়ে এসেছে। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার এক ভবিষ্যৎ’। প্রসঙ্গত চলতি মাসের ৭ তারিখেই মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) অভিনীত ছবি ‘জওয়ান’ এবং তা বক্স অফিসের রমরমিয়ে ব্যবসা করছে। জানা গিয়েছে, মাত্র তিন দিনের ভিতর ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা ছাড়িয়ে গিয়েছে ‘জওয়ান’। গতকাল রবিবারেও ভালো ব্যবসা করেছে ‘জওয়ান’। 

    ‘জওয়ানের’ সঙ্গে ‘পাঠান’ এর টক্কর

    নির্মাতারা জানিয়েছেন, রবিবার ‘জওয়ান’ ব্যবসা করেছে একাশি কোটি টাকার। প্রসঙ্গত এর আগেই এক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছবি ‘পাঠান’। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা মুক্তি পায়, এবার বর্তমানে ‘জওয়ান’-এর সঙ্গে ‘পাঠান’ এর যেন জোর টক্কর চলছে। কে কাকে পিছনে ফেলবে! বিশেষজ্ঞদের ধারনা,  ‘পাঠান’কে টক্কর দিতে চলেছে ‘জওয়ান’। এই ছবিতে একাধিক সামাজিক রাজনৈতিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। অ্যাটলি পরিচালিত এই ছবিতে শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) বিপরীতে দেখা গিয়েছে নয়নতারাকে। অন্যদিকে সুনীল গ্রোভার, প্রিয়ামণির মতো অভিনেতাদেরও দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোনও।
     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘ভারতে কোনও ইন্ডিয়া থাকবে না, পছন্দ না হলে দেশের বাইরে যাবেন’’, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘ভারতে কোনও ইন্ডিয়া থাকবে না, পছন্দ না হলে দেশের বাইরে যাবেন’’, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব উপড়ে ফেলবে। রাস্তাঘাটে কোনও গোলামির চিহ্ন রাখা যাবে না। কলকাতার রাস্তায় এখনও কিছু ব্রিটিশদের মূর্তি রয়েছে। সবই সরিয়ে দেওয়া হবে। দেশের নাম বদলে ইন্ডিয়া থেকে ভারত করা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, দেশকে যারা পরাধীন করে রেখেছিল, তাদের কোনও চিহ্ন দেশে থাকবে না। আর তাই ভারতে কোনও ইন্ডিয়া থাকবে না। ভারতে ভারত থাকবে। আর যাঁদের তা পছন্দ হবে না, তাঁরা ভারতের বাইরে যাবেন।

    বামেদের নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ? (Dilip Ghosh)

    এদিন বামেদের একহাত নিয়ে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, সিপিএমের লোকেদের খুব কষ্ট, যাঁরা চিরদিন বিদেশের তাঁবেদারি করেছেন। চামচাগিরি করতে গিয়ে বলছেন চিন আমার বাপ। বিভিন্ন শহরের নাম পালটেছে, বিদেশিরা বলতে পারত না বলে। সব পালটে দেব আমরা। কোনও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই আটকে রাখার। ইন্ডিয়া পালটে ভারত হবে । যার পছন্দ হবে না সে বাইরে যাবে। খড়্গপুর শহরের ডিভিসি মার্কেটে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চা চক্রে যোগ দিয়ে একের পর এক হুঙ্কার দেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের মতো বহু রাজ্য ও শহর ব্রিটিশদের দেওয়া নাম পরিবর্তন করেছে বলে তিনি বলেন, এখানকার শাসক দলের বন্ধুরা জানেই না ভারত কী, ইন্ডিয়া কেন বলছে, এর পিছনে ইতিহাস কী রয়েছে?

    রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নিয়ে কী বললেন দিলীপ? (Dilip Ghosh)

    কলকাতার রাস্তায় ব্রিটিশদের মূর্তির প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, কলকাতার বহু রাস্তাঘাটে ব্রিটিশদের বহু মূর্তি ছিল, কোথায় সব এখন। সেগুলি তুলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হাউজে রাখা হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকটা রয়ে গিয়েছে । বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব উপড়ে ফেলব আমরা। মিউজিয়ামের রাখার জিনিস মিউজিয়ামে থাকবে, রাস্তাঘাটে থাকবে না। সকালে উঠে আমাদের ছেলেপুলেরা দেখবে বিদেশিদের মুখ, এ চলবে না। এ দিন রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যপাল তাঁর যেটা দায়িত্ব সেটাই করছেন। যারা ভয় পেয়ে যাচ্ছে, চুরি করছে তারা গালাগালি করছে। তিনি সাংবিধানিক প্রধান। সংবিধান মেনে চললেই হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘লেনিনের সঙ্গে যোগ নেই ভারতের’’, মূর্তি সরানোর সওয়াল সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘লেনিনের সঙ্গে যোগ নেই ভারতের’’, মূর্তি সরানোর সওয়াল সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লেনিনের মূর্তি সরানোর পক্ষে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরাধীনতার চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত, এ কথা আগেই বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবার সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কণ্ঠে শোনা গেল সেই একই কথা। 

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার বলেন, ‘‘ব্রিটিশদের স্মৃতি সৌধ ভেঙেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। লেনিনের যে এত মূর্তি রয়েছে কী অবদান আছে লেনিনের? লেনিনের সঙ্গে ভারতের আত্মার কোনও যোগ নেই। তার চেয়ে আমরা রবি ঠাকুরের মূর্তি বানাবো, বিবেকানন্দের মূর্তি বানাবো, রাজা রামমোহন রায়ের মূর্তি বানাবো। দিলীপ ঘোষকে সরাসরি সমর্থন করে সুকান্ত বলেন, ‘‘বিজেপি বা দিলীপ ঘোষকে দোষী করছেন, সেই দোষে কি নেতাজিও দোষী? পরাধীনতার চিহ্ন মুছে ফেলতে সিঙ্গাপুরে নেতাজি ইংরেজদের একটি স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলেছিলেন। তাহলে কি নেতাজি ভুল কাজ করেছিলেন? ভারতবাসীর জীবনে লেনিনের কি অবদান রয়েছে? আমার জীবনে তো কোনও অবদানই নেই লেনিনের, আমার পূর্বপুরুষের জীবনেও লেনিনের কোনও অবদান ছিল না। তাই এগুলো রাখার কোন দরকার নেই।’’ 

    সুকান্তর আগে দিলীপ ঘোষও একই সওয়াল করেছিলেন

    প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) আগে এই একই সওয়াল করতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকেও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘কোথাও ব্রিটিশ, কোথাও মোঘল যারা আমাদের দেশকে এক হাজার বছর ধরে পরাধীন করে রেখেছিল, তাদের কোনও স্মৃতি সৌধ ভারতে থাকবে না। কোনও বাপের বেটার হিম্মত থাকলে তারা রুখে দেখাক। কলকাতার রাস্তাঘাটে ব্রিটিশের বহু মূর্তি রয়েছে। বিজেপি একবার ক্ষমতায় এলে গোলামীর কোন চিহ্ন রাখা হবে না।’’ প্রসঙ্গত আমার দেশ আমার মাটি কর্মসূচিতে রবিবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন। সারা দেশ জুড়েই চলছে এই বিজেপির কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, ছাড়াও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বাড়ি, কালীঘাটের মন্দির থেকে মাটি সংগ্রহ করে দিল্লি পাঠানো হবে। সেখানে তৈরি হবে অমৃত বাটিকা। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে এই অমৃত উদ্যান তৈরি করার জন্য সারা দেশের বিভিন্ন গ্রাম, শহর এবং পবিত্র স্থানগুলির মাটি সংগ্রহের কাজ চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠাল ইডি। ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। প্রসঙ্গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক রয়েছে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই কমিটিতে রয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লেখেন, ‘‘১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই কমিটির আমি একজন সদস্য। অথচ একটু আগেই আমাকে ইডির তরফে নোটিস পাঠানো হল। ওইদিনই আমাকে তলব করেছে ওরা।’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ 

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। ধৃত কুন্তল ঘোষের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি। পরবর্তীকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কালীঘাটের কাকুর মারফত সন্ধান মেলে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ইডি জানতে পারে এক সময় এই সংস্থার সিইও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যদি ওই সংস্থার সিইও থাকেন, তাহলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি কোনও পদক্ষেপ কেন নিচ্ছে না?’’ বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেদিন নির্দেশ দেন, এসংক্রান্ত তথ্য ১৪ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে তাই ১৩ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, ১২ সেপ্টেম্বর স্পেন ও দুবাই সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঠিক তার পরের দিনই ডেকে পাঠানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে (Abhishek Banerjee) তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে।

    কী বলছে বিজেপি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) তলব নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই নিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা তৃণমূল বলছে, এসব শুনে মানুষ ক্লান্ত। তদন্তকারী সংস্থা কখন, কাকে ডাকবে, সেটা তো তাদেরই বিষয়। আর আমরা তো চাই ইন্ডি জোট আরও শক্তিশালী হোক। ভারতবর্ষের কোথায় কী জোট হচ্ছে, আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা চাই বাংলা থেকে এই জোট আরও শক্তিশালী হোক।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি করার অপরাধে রাস্তায় বেড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি করার অপরাধে রাস্তায় বেড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে সমস্ত রাস্তায় কাঁটা দিয়ে বেড়া দিয়ে বাইরের বেরোনোর পথ আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার মথুরাপুর-২নম্বর ব্লকের দক্ষিণ কনকনদিঘি ডাক্তার ঘেরি  মুন্ডাপাড়া এলাকায়। সেখানে ছটি পরিবারকে গত তিনদিন ধরে যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া দিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    অভিযোগ, ২০১৫ সাল নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মণি নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকার একটি আইলা বাঁধ তৈরি করার কাজে হাত দেয়, তারজন্য প্রায় ২৫ টি পরিবারকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঠে যেতে হয়। ১০ টি পরিবারের নিজস্ব জায়গা থাকায় তাদের সরকার থেকে ঘর করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ১৫ টি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সরকার ৯টি পরিবার ভালোভাবে থাকতে পারলেও ২০১৭সালে ৬টি পরিবারকে ওই আইলাবাঁধের ঢিলছোঁড়া দূরত্বে পাট্টা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে সরকারি টাকায়  ঘর করে দেওয়া হয়। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় ঘর ও জায়গা পেলেও চলাচলের  রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। ৬টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার সরকারি রাস্তার ধারে থাকায় তার কোনও অসুবিধা না হলেও পাঁচটি পরিবার মহা বিপদে পড়েন। ঘরের সামনে অন্যের জায়গার ওপর দিয়ে জল পেরিয়ে বাঁধে উঠে চলাচল শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু ২০২২ সালের দিকে হঠাৎ করে জমির মালিক তাদের যাতায়াতের বাধা দিতে থাকে। অসহায় পরিবার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে বিষয়টি জানান।  পরে, বিষয়টি মিটে যায়। আগের মতো তাঁরা যাতায়াত করতে থাকেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই পরিবারগুলো বিজেপি করেন। তারপরেই শাসক দলের লোকজন এই পরিবারগুলোর উপরে অত্যাচার করা শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী মাঝে মাঝে প্রাণনাশের হুমকি  দেওয়া হয়। হঠাৎ করে দেখা যায় তাদের চলাচলের সমস্ত রাস্তা কাঁটা বেড়া দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, বিজেপি করা আমাদের অপরাধ। বাড়িতে অসুস্থ লোকজন, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া, নলকূপের জল আনা, বাজারে যাওয়া সব কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবেন্দু সুন্দর নস্কর বলেন, শুধুমাত্র রায়দিঘির এই মুন্ডাপাড়া নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিভিন্ন জায়গাতেই শাসক দল এইভাবেই পঞ্চায়েতে যারা যারা বিজেপি করেছে তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করছে। তবে,এর জবাব লোকসভায় মানুষ ঠিক দিয়ে দেবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামল কুমার মাইতি বলেন, এমন যদি ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ব্যক্তিগত কারণে এসব কিছু হতে পারে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আর এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবুও, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: উপনির্বাচনে অব্যাহত গেরুয়া ঝড়, ত্রিপুরা এবং উত্তরাখণ্ডে সহজ জয় বিজেপির

    BJP: উপনির্বাচনে অব্যাহত গেরুয়া ঝড়, ত্রিপুরা এবং উত্তরাখণ্ডে সহজ জয় বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে হয়েছিল উপনির্বাচন শুক্রবারের ফলাফল প্রকাশ হতে দেখা যায় দুটিতেই জয় পেয়েছে শাসক দল বিজেপি (BJP)। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরকেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জয় পেয়েছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী। ত্রিপুরার দুটি আসেন জয়ের পরেই ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ধন্যবাদ জানান দুই কেন্দ্রের মানুষকে।

    ত্রিপুরার উপ নির্বাচনে দুটি আসনে জয়ী শাসক দল বিজেপি (BJP)

    গত ৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা ধনপুর ও বক্সানগর দুটি আসনের উপনির্বাচন হয়। শুক্রবার ফলাফল বের হতে দেখা যায় বক্সানগরে জিতেছেন বিজেপির (BJP) প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের মিজান হোসেনকে পরাস্ত করেছেন তিনি। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ৩০ হাজার এরও বেশি। যেখানে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৩,৯০৯টি ভোট। অন্যদিকে ধনপুর কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী বিন্দু দেবনাথ (BJP)। পরাস্ত হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী কৌশিক চন্দ। ধনপুর কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) প্রার্থী জিতেছেন ১৮ হাজার ৮৭১ ভোটে। উপনির্বাচনের দুটি আসনে জয়লাভের পর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ত্রিপুরা রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সিপিএমের কুৎসা এবং অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন ত্রিপুরার মানুষ। মানুষ যে উন্নয়ন চাইছে তা এই নির্বাচনের ফলাফলের প্রমাণ। প্রসঙ্গত ত্রিপুরা রাজ্যতেও রয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের জোট। ধনপুর এবং বক্সানগর দুটি আসনেই প্রার্থী দেয় সিপিএম এবং সে কারণেই জোট সঙ্গী কংগ্রেস সম্পূর্ণ সমর্থন করে সিপিএম প্রার্থীকে। কংগ্রেসের নেতাদের বক্তব্য, ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে সিপিএম তাই দিল্লির নির্দেশেই তাদেরকে সমর্থন করেছে তারা।

    উত্তরাখণ্ডের উপনির্বাচনে জয়ী বিজেপি (BJP)

    শুক্রবার সকাল থেকেই ভোট গণনা শুরু হয় উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে। ১৪ রাউন্ড পর্যন্ত গণনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত ফলাফল পাওয়া গেছে ১৩ রাউন্ডের এবং সেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী বসন্তকুমারের থেকে  প্রায় ৩ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী পার্বতী দাস। ইতিমধ্যে সেখানকার বিজেপি অফিসে জয়ের আনন্দে খুশিতে শামিল হয়েছেন বিজেপির (BJP) নেতা কর্মীরা। ১৩তম রাউন্ডের গণনা শেষে দেখা যাচ্ছে পার্বতী দাস পেয়েছেন ৩১,৪১১ টি ভোট অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী পেয়েছেন ২৮,৬৮৫টি ভোট।  উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন চন্দন রামদাস। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে এই উপনির্বাচন হয় বাগেশ্বর কেন্দ্রে। বিজেপি (BJP) এক্ষেত্রে প্রার্থী করে চন্দন রামদাসের স্ত্রী পার্বতী দাসকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share