Tag: bjp

bjp

  • Birbhum: “লাভপুরের বিধায়কও আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন” বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

    Birbhum: “লাভপুরের বিধায়কও আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন” বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখানকার বিধায়কের কারণে অনুব্রত মণ্ডল তিহারে! কেষ্ট হয়েছেন নীলকণ্ঠ আর তাঁর হয়ে কাজ করতেন এই তৃণমূল বিধায়ক। লাভপু্রের (Birbhum) জনসভায় ঠিক এই ভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অনুপম হাজরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে বীরভূমের রাজনীতি সরগরম।

    সভায় কী বললেন অনুপম হাজরা (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে বিজেপির জনসভা ছিল। সেই জনসভায় অনুপম হাজরা, লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিনহার নাম উল্লেখ না করলেও, অনুব্রত মণ্ডলের তিহার জেলে যাওয়ার জন্য লাভপুরের বিধায়ককে দায়ী করলেন। নাম না করে অনুপম হাজরা লাভপুরের বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনিই বীরভূমের পুলিশ-প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন! সেই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সাগরেদ হয়ে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ৭২ জনের নামের তালিকা দিয়ে এসেছি দিল্লিতে। সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। কোনও গরু চোর জেলের বাইরে থাকবে না। কেষ্টবাবু যদি তিহারে যেতে পারেন, তাহলে এই বিধায়কের অন্ততপক্ষে আসানসোল, প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তাঁর সীমান্ত পল্লির পিছনের বাড়ি ও জমি মিলিয়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে আসা অনেক নেতার অল্প সময়ে অনেক সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। দ্রুত তদন্ত হবে।

    অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে কী বললেন?

    বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, আমার সাংসদ (Birbhum) তহবিল থেকে কেষ্ট মণ্ডল ২৫ কোটি টাকার জন্য ফাঁকা প্যাডে সই করতে বলেছিলেন। বর্তমানে এখানকার চালকল, টোল, ট্যাক্সি, অবৈধ ব্যবসায়ীরা কেষ্ট লবি থেকে রানা সিংয়ের লবিতে এসে ব্যাপক ফুলেফেঁপে উঠেছে। সকলের নামের লিস্ট দিল্লিতে জমা দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ধরপাকড় শুরু হবে।

    তৃণমূলের লাগাতার হিংসার বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জনসভা (Birbhum) থেকে তৃণমূলের যেসব নেতা বিজেপি কর্মীদের মারধর অত্যাচার করছেন, তাঁদের উদ্দশে কড়া বার্তা দেন অনুপম হাজরা। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কখনই হরণ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গে বলেন, তৃণমূলের ভোট লুণ্ঠনকারী দুষ্কৃতীদের কী ওষুধ লাগবে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝে গেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চোরদের রাস্তায় বেঁধে সঠিক শাস্তি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তিনি আরও বলেন, মানুষের অধিকারের সঙ্গে বঞ্চনা হলে প্রতিবাদী সাধারণ মানুষ আইন তুলে নেবেনই। এই সরকারের পতন নিশ্চিত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বেতন বৃদ্ধির সুবিধা নেবেন না বিজেপি বিধায়করা’’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বেতন বৃদ্ধির সুবিধা নেবেন না বিজেপি বিধায়করা’’, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই মন্ত্রী এবং বিধায়কদের জন্য চারগুণ ভাতা বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে বিতর্ক কম শুরু হয়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমরা সমর্থন করি না সরকারের এই সিদ্ধান্ত। আমরা আমাদের ভাতা বৃদ্ধি চাই না।’’ প্রসঙ্গত, ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেই সমস্ত কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে না ভেবে মন্ত্রী বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। এনিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে সরকারি কর্মচারিদের একাংশকেও।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমরা আশাকর্মী, আইসিডিএস কর্মী, ভিলেজ রিসোর্স পার্সন, ভিলেজ পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভোকেশনাল টিচার, কন্ট্রাকচুয়াল সকলের সমকাজে সমবেতন চাই। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী তা ঘোষণা করুন। আমরা চাই সরকারি কর্মচারি, পুলিশ, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত পেনশনার সকলের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক।’’ অন্য়দিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বেশি অর্থ বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়,  ‘‘আমরা চাই ৫০০-১০০০ ভাগাভাগি না করে পশ্চিমবাংলার প্রত্যেক মাতৃসম্প্রদায়কে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।’’

    মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন কত হল?

    বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী, বিধায়কদের চল্লিশ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করেন। সরকারের বেতন কাঠামো অনুযায়ী বিধায়কদের বেতন প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ছিল এবং তা বেড়ে বর্তমানে হল ৫০ হাজার টাকা। রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রীরা পেতেন ১১ হাজার টাকা অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রীরা ১০ হাজার ৯০০ টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, প্রতিমন্ত্রী, পূর্ণ মন্ত্রীরা ভাতা বাবদ পেতেন সব মিলিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পেতেন। নতুন বেতন বৃদ্ধির ফলে তাঁরা এবার পাবেন দেড় লক্ষ টাকা প্রতিমাসে।  অন্যদিকে বৃহ্স্পতিবারই পশ্চিমবঙ্গ দিবস ইস্যুতে সরগরম হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিজেপি বিধায়করা ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস লেকা গেঞ্জি পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sanatan Dharma: এবার সনাতন ধর্মকে কুষ্ঠের সঙ্গে তুলনা প্রাক্তন ইউপিএ মন্ত্রীর, কড়া প্রতিক্রিয়া অনুরাগ ঠাকুরের

    Sanatan Dharma: এবার সনাতন ধর্মকে কুষ্ঠের সঙ্গে তুলনা প্রাক্তন ইউপিএ মন্ত্রীর, কড়া প্রতিক্রিয়া অনুরাগ ঠাকুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মকে (Sanatan Dharma) ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধি। এবার তাঁর দলেরই এক লোকসভার সাংসদ এবং প্রাক্তন ইউপিএ সরকারের মন্ত্রী এ রাজা সেসব ছাপিয়ে গেলেন। সনাতন ধর্মকে (Sanatan Dharma) তিনি কুষ্ঠ এবং এইচআইভির সঙ্গে তুলনা করলেন। বুধবারই এ রাজা মন্তব্য করেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন কুষ্ঠ এবং এইচআইভি একটি কলঙ্ক হিসাবে বিবেচিত করা হত। বর্তমানে এটিকেও (সনাতন ধর্ম) (Sanatan Dharma) এইচআইভি এবং কুষ্ঠরোগের মতো বিবেচনা করা উচিৎ যা একটি সামাজিক কলঙ্ক রূপে বিবেচিত হত।’’ 

    কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    সনাতন ধর্ম (Sanatan Dharma) সম্পর্কে এমন অপমানজনক মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীর এই ‘নফরত কী দুকান’-এ ‘ঘামান্ডিয়া’ জোটের সদস্যরা ‘নফরত কা সামান’ বিক্রি করছেন।’’

    উত্তরের পাপ্পু রাহুল দক্ষিণের পাপ্পু উদয়নিধি মন্তব্য তামিলনাড়ুর বিজেপির সভাপতির

    অন্যদিকে সনাতন ধর্ম (Sanatan Dharma) সম্পর্কে স্টালিন পুত্র উদয়নিধির এই মন্তব্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই। রাহুল গান্ধী ও উদয়নিধি স্ট্যালিনকে এক সারিতে এনে তামিলনাড়ুর রাজ্য সভাপতি মন্তব্য, উত্তরের পাপ্পু রাহুল গান্ধী দক্ষিণের পাপ্পু উদয়নিধি। তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতির আরও দাবি, ৬ বছর ধরে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে ডিএমকে সরকার। তারা সামাজিক ন্যায় বিচার (Sanatan Dharma) দিতে পারেনি তামিলনাড়ুর মানুষকে অথচ এখন তারাই সামাজিক ন্যায় বিচারের প্রশ্ন তুলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri Counting: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা আজ, গণনায় কারচুপির আশঙ্কায় কমিশনে বিজেপি

    Dhupguri Counting: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা আজ, গণনায় কারচুপির আশঙ্কায় কমিশনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়েছিল। শুক্রবার রয়েছে ভোট গণনা (Dhupguri Counting)। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ভোট গণনা হবে। সকাল ৮টা থেকেই শুরু হবে কাউন্টিং। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে (Dhupguri Counting)। তবে এসবের মাঝেও গণনায় কারচুপির আশঙ্কা করছে বিজেপি এবং ইতিমধ্যে তারা কমিশনেরও (Dhupguri Counting) দ্বারস্থ হয়েছে।

    গণনায় কারচুপির আশঙ্কা বিজেপির (Dhupguri Counting)

    উপনির্বাচনের কমিশনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই দেখা করেন জলপাইগুড়ি সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত রায়। প্রসঙ্গত, বিগত পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে গণনা কেন্দ্র (Dhupguri Counting) দখল করে তাতে কারচুপি করার। এছাড়াও গত বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক গণনা কেন্দ্র শাসক দলের দুষ্কৃতিতে দখলে চলে যায় বলে অভিযোগ। সেই আশঙ্কা থেকেই এদিন নির্বাচন কমিশনের (Dhupguri Counting) পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করেন জলপাইগুড়ির সাংসদ।

    ধূপগুড়িতে (Dhupguri Counting) বিজেপির দাপট ২০১৯ থেকেই চলছে 

    ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে (Dhupguri Counting) বিজেপির দাপট ২০১৯ সাল থেকেই চলছে বিধানসভার অন্তর্গত পুরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বিপুল ভোটে লিড পায় বিজেপি। একুশেও সেই দাপট অব্যাহত থাকে। জেতেন বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। কিন্তু তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাপসী রায় (Dhupguri Counting)। জানা গিয়েছে মোট ২৬০ টি বুথ রয়েছে ধূপগুড়িতে (Dhupguri Counting)। ৫ সেপ্টেম্বর ৭৭.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের নিরিখে এই হার কম বলে জানাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। গণনায় প্রথমে কাউন্টিং হবে পোস্টাল ব্যালট। তারপরে ইভিএম এর গণনা শুরু হবে। দুটি রুমে ১৪ টি করে টেবিল থাকবে এবং ১০০ জন গণনা কর্মী এই কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে। গণনা কেন্দ্রে দমকল বাহিনী, মেডিক্যাল অফিসার, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও থাকবে এছাড়াও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের যাতায়াত থাকবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gang Rape: অশোকনগরে নির্যাতিতা যুবতীর পাশে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী, কী বললেন?

    Gang Rape: অশোকনগরে নির্যাতিতা যুবতীর পাশে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে একটি বাড়িতে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ ওঠে চার যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকায়। নির্যাতিতা যুবতীকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বারাসত হাসপাতালে সেই নির্যাতিতাকে দেখা করতে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি তাপস মিত্র সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

    বিজেপি নেত্রীকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

    এদিন তিনি নির্যাতিতার (Gang Rape) সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বিজেপি নেত্রীকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরে বিজেপি নেত্রী সোজা চলে যান বারাসত হাসপাতালে সুপার সুব্রত মণ্ডলের কাছে। সেখানে গিয়ে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে তিনি সুপারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কেননা, ওই নির্যাতিতার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, দেখা করা যাবে না। পরে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি নির্যাতিতার বাড়ির লোক দেখার অনুমতি দেয় তবেই তারা দেখা করতে পারবেন। এরপরই নির্যাতিতার মা এসে দেখা করার অনুমতি দিলে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন।

    নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে কী বললেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী?

    হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্যাতিতা কিছু না বলতে পারে, তারজন্যই আমাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না।  ২০২১ সালে ওই মেয়েটির ভাইকে খুন করা হয়েছিল। তখন ওই পরিবারটি মধ্যমগ্রামে থাকত। তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যই থেকে গিয়েছে। কারা মেরেছে তা এখনও জানা যায়নি। এমনকি ময়না তদন্তের রিপোর্টটা পর্যন্ত বাড়ির লোককে দেওয়া হয়নি। নির্যাতিতার ভাই সুলভ পোদ্দার বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন। আমরা আলাদা করে তদন্তের দাবি জানাব। পাশাপাশি তার ভাই কীভাবে মারা গিয়েছে তারও তদন্তের দাবি জানাব এবং আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে এর বিচার আমরা করব এবং প্রকৃত দোষী যারা তাদের শাস্তির দাবি জানাব। প্রসঙ্গত,পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে নির্যাতিতা যুবতী টাকা ধার চেয়েছিলেন। সেই টাকা দেওয়ার কথা বলে ওই যুবতীকে ডেকে পাঠানো হয়। তারপরই চারজন মিলে যুবতীকে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (Gang Rape) করে। রাত তিনটে নাগাদ অচৈতন্য অবস্থায় বছর চব্বিশের ওই তরুণীকে উদ্ধার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, তাকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে অশোকনগর থানার  পুলিশ। ধৃতরা হল তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই শিকদার ও গোপাল পাল। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর এলাকায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: খেজুরি পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিসে ভাঙচুর

    Purba Medinipur: খেজুরি পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিসে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। বিডিও অফিসে ঘটল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। চলল ব্যাপক বোমাবাজি, ভাঙচুর করা হল অফিস এবং গাড়ি। আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। স্থায়ী সমিতির গঠনকে নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় ঝুলে রইল সমিতির নির্বাচন।

    ঘটনা কী ঘটেছে?

    খেজুরি (Purba Medinipur) ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ছিল আজ। আর তাকে ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিস এবং সরকারি গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে চলে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতির ১৫ জন সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খেজুরি ২ ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন পঞ্চায়েত প্রধান, খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। ঘটনাস্থলে ছিল প্রচুর পুলিশ, জল কামান। শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক শোরগোলে শেষ পর্যন্ত স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল।

    সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসক দলের দৌরাত্ম্য চলেছে সর্বত্র। গায়ের জোর দেখিয়ে এলাকা (Purba Medinipur) দখল করতে চাইছে তৃণমূল। শাসক দল বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, একটি পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি করে, এলাকার মানুষের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। মানুষ সবই দেখছেন। এরপর সাংবাদিকরা ভিতরে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী আছেন বলে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে সৌমেন্দু বলেন, আইনশৃঙ্খলা মেনেই সব কাজ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় সেই জন্যই আমরা আছি বলে জানান তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    খেজুরি (Purba Medinipur) ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল মিশ্র পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিজেপিকে উস্কানি দিয়ে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ সভাপতি তৃণমূলের, তাই তৃণমূলই পরিচালনা করবে এই পঞ্চায়েত সমিতিকে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, স্থায়ী সমিতি গঠনের নামে বিজেপি সন্ত্রাস তৈরি করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংসদ শিশির অধিকারীকে এক কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এখানে। তারপর ভোটাভুটি করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে বিজেপি। বিজেপি ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    কাঁথির মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, বিডিও সাহবের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। অফিসে ভাঙচুরও হয়েছে। তবে কে বা কারা আক্রমণ করছে তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। বিল্ডিং এর বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে আপাতত। বিডিও সাহেবকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    Dhupguri: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিলেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। ভোট দিয়ে বেরিয়েই তিনি বললেন, ধূপগুড়িতে (Dhupguri) গেরুয়া ঝড় হবে। তৃণমূলের ফের ভরাডুবি হবে। মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিলেন তিনি।

    শাসক দলের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    এদিন ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, মানুষ বিজেপির পক্ষেই রায় দেবেন। তৃণমূল সরকারের এই দুর্নীতি, ধূপগুড়ি (Dhupguri) পুরসভার দুর্নীতি, পঞ্চায়েত ভোটের সময় মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া, সব মিলিয়ে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করবে এবারও। দুহাত ভরে মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করবে। ভোট দিতে এসেই ভোট কেন্দ্রের ভিতরের অব্যবস্থা দেখে চটে যান সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী প্রাক্তন বিধায়ক। ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ইভিএমের সামনে পর্যাপ্ত আলো নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ভোটারদের সমস্যা হচ্ছে। এর পিছনে তিনি সরাসরি চক্রান্তের অভিযোগ এনে বলেন, মানুষ যখন ভোট দিতে যাচ্ছে, তখনই আলোর সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারছে না। মানুষের ভোট সঠিক জায়গায় পড়ছে না। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে তিনি দাবি জানান। বুথের ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে টর্চ নিয়ে এসে তিনি ভোট দেন। পাশাপাশি তিনি ভোটারদেরও বলেন, সঠিক আলো হলেই যেন তাঁরা ভোট দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ করেন।

    বুথের বাইরে জমায়েত নিয়ে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক?

    বুথের বাইরে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করেছিলেন। সেই বিষয়ে মিতালি রায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে নালিশ করেন। পরে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে জমায়েত সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলেন। বলেন, বুথগুলির আলো, জল সব কিছুর বরাত পেয়েছে তৃণমূলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা কিছু ঠিকাদার। জমায়েত করে, বুথের ভিতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না করে কারচুপি করে তৃণমূল জেতার চেষ্টা করছে। কিন্তু, এই সব করে লাভ হবে না কিছুই। ধূপগুড়ি (Dhupguri) উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ই বিপুল ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Arambagh: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরামবাগে (Arambagh) সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল ১৫ টি সংখ্যালঘু পরিবার সহ শতাধিক কর্মী। আরামবাগের জেলা কার্যালয়ে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক মধুসূদন বাগ। এমনিতেই আরামবাগ মহকুমা জুড়ে গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির ভাল ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই এলাকায় বিজেপির সংগঠন আরও মজবুত হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগদানকারীদের কী বক্তব্য? (Arambagh)

    বিজেপিতে যোগদানের পর যোগদানকারীরা বলেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। তারা এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেনি। বরং, রাস্তাঘাটের জন্য বরাদ্দ টাকা পকেটে পুড়েছে তৃণমূলের নেতারা। দিনের পর দিন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, এনআরসি-র কথা বলে আমাদের মনে ভয় ঢোকানো হয়েছিল। বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল। আমরা তো ভারতীয়, তাই আমাদের কোনও সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। ফলে, তৃণমূল এতদিন আমাদের ভুল বুঝিয়ে আসছিল। ভুল ভাঙতেই আমরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আর আরামবাগ (Arambagh) এলাকার উন্নয়নের বিষয়টি তো রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই ভুল ভেঙেছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা মানুষ বুঝতে পারছে। সে জন্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সংখ্যালঘুরা বিজেপির ছাতার তলায় আসছে। তৃণমূল এতদিন তাঁদের ভুল বুঝিয়ে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক করে রেখেছিল। সেটা তারা বুঝতে পেরেই আমাদের দলে যোগ দিয়েছে। আগামীদিনে আরও অনেকেই আমাদের দলে আসবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই যোগদানের প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে কিছু লোকজনকে দলে টানছে। পতাকা ধরিয়ে নাটক করছে। যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা নিজেরাই পরে ভুল বুঝতে পেরে আবার তৃণমূলে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দলের সভায় যাওয়াও ‘অপরাধ’! বারুইপুরে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে মার বিজেপি কর্মীকে

    South 24 Parganas: দলের সভায় যাওয়াও ‘অপরাধ’! বারুইপুরে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে মার বিজেপি কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর (South 24 Parganas) থানার বেদবেরিয়া বিদ্যাধরী পল্লিতে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। শাসক দলের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত বিজেপি কর্মী খোকন বিশ্বাস। গতকাল বিজেপির একটি সভায় গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই অপরাধেই আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিজেপির এই কর্মীর উপর চড়াও হয়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাঁশ, রড, লাঠি সহ একাধিক অস্ত্র দিয়ে তাঁকে মারধর করতে থাকে। আর তা দেখতে পেয়ে, তাঁর স্ত্রী ও মা বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা হীরেন রায়।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য (South 24 Parganas)

    আহত বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, এলাকায় হীরেন রায় দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে হুমকি এবং বেপরোয়া মারধর করা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘুটিয়ারি শরিফ হাসপাতলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে বারুইপুর (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক।

    থানায় দায়ের অভিযোগ

    আহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বারুইপুর (South 24 Parganas) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার দেখা গেছে বিরোধী দল করার অপরাধে শাসকদলের নেতাকর্মীরা বিরোধী কর্মীদের মারধর করে কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব থেকে এই ঘটনা আরও বেশি করা দেখা গেছে। এবার সেই ছবি আরও একবার প্রকাশ্যে এল বারুইপুরে।

    বিধায়কের বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে বারুইপুর (South 24 Parganas) পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার জানান, এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই জড়িত নয়। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ-প্রশাসন এই ঘটনায় যদি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: নজর দেয়নি তৃণমূল, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন বিজেপি বিধায়ক

    Bankura: নজর দেয়নি তৃণমূল, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া বিধানসভা এলাকার বিজেপি বিধায়কের গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। বারবার প্রশাসনে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, ওই গ্রামে বিজেপি বিধায়ক থাকায় রাস্তা মেরামতির সামান্যতম উদ্যোগ নেয়নি তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। শেষ পর্যন্ত বিধায়ক নিজে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি-কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন। বিধায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বেহাল রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। চন্দনা বাউড়ি বিজেপির বিধায়ক। নিজের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ থেকে রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু, অভিযোগ, শুধুমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়ায় তাঁকে সেই কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বর্ষার সময় দিনের পর দিন বেহাল রাস্তার কারণে এলাকার মানুষ খুব কষ্ট করে যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের হাতেই রাস্তার হাল ফেরাতে মাঠে নামলেন চন্দনা। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি-কোদাল হাতে কোমর বেঁধে রাস্তা মেরামতির কাজে নেমে পড়লেন। হাত লাগালেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাও।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বক্তব্য, বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের সব জায়গায় বার বার জানানো সত্ত্বেও শাসকদলের চাপে প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি।’ তাই নিজের বেতনের টাকায় পাথর, মোরাম এবং মাটি আনিয়ে রাস্তার হাল ফেরানোর চেষ্টা করেছি। আসলে বিধায়ক হওয়ার আগে স্বামী শ্রবণ বাউড়ি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। আর আমি জোগাড়ের কাজ করতাম। পাশাপাশি, পেট চালাতে ১০০ দিনের কাজও করেছি দু’জনে মিলে। তাই ঝুড়ি-কোদাল হাতে রাস্তায় মাটি ফেলতে আমাদের কোনও অসুবিধাই হয়নি। দ্বিধা-সংকোচের প্রশ্নই নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিধায়কের উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। চন্দনার অভিযোগ উড়িয়ে ‘সবটাই নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল-পরিচালিত গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পথশ্রী প্রকল্পে ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তারপরেও বিধায়ক এসব করে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার নাটক করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share