Tag: bjp

bjp

  • Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরের (Duttapukur) জগন্নাথপুর মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর থেকেই গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এলে তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর এদিন দুপুরে বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র সহ দলীয় নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Duttapukur)

    স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ভয়াবহ দত্তপুকুরে (Duttapukur) এই এলাকার বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার খুদে নামের এক বাজি ব্যবসায়ীর কারখানায় এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গিয়েছে৷ উড়ে যায় তার কারখানার বাড়ির ছাদ। চারিদিকে ছড়িয়ে যায় বারুদ-সহ বাজি বানানোর অন্যান্য সরঞ্জাম। এদিক ওদিকে ছড়িয়ে পড়ে রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরেও শোনা গিয়েছিল এই বিস্ফোরণের শব্দ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর পরই একাধিক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জেসিবি এনে উদ্ধার কাজ করা হয়। এদিন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ঢুকতে গেলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে, তাঁরা এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁদের বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নিয়মিত পুলিশ টাকা তুলত বলেই রমরমিয়ে এই বেআইনি কারবার চলত। পুলিশ কিছু বলত না।

    বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্ত নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, জেসিবি দিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। আর তাই আমাদের ঘটনাস্থলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আসলে পুলিশ মাসোহারা পেত বলেই চুপ ছিল। দু কিলোমিটার দুরে পুলিশ সুপারের অফিস। সেখানে এই ধরনের বেআইনি কারবার পুলিশ জানে না, এটা হতে পারে না। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। বারুদের স্তূপে রয়েছে গোটা রাজ্য। তৃণমূল নেতাদের মদত রয়েছে। এই এলাকার বিধায়ক খাদ্যমন্ত্রী। তিনি এই বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে সব জানেন। পঞ্চায়েত নির্বাতচনের সময় এখান থেকে বোমা সরবরাহ হয়েছে। দত্তপুকুরের (Duttapukur) এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করছি। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে না।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী এদিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এই ঘটনার জন্য স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি এই ঘটনার আমরা এনআইএ তদন্তের দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari:  ‘লোকসভাতে প্রতিটা বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করব’, খেজুরির সভা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভাতে প্রতিটা বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করব’, খেজুরির সভা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিসিমণি মিটিং হয়েছে? কয়লা ভাইপো খেজুরিতে মিটিং হয়েছে ! ১৪৪ ! মামার বাড়ির আবদার! লোকসভাতে প্রতিটি বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করবো। এভাবেই  শনিবার বিকেলে খেজুরির আলিপুর বাজারে বিজেপির জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কারণ, এর আগে গত শনিবার খেজুরির আলিপুর বাজারে বিজেপির জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু, হঠাৎই পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সভার অনুমতি বাতিল করে। সেদিন খেজুরির বুকে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু বলেছিলেন,আলিপুর বাজারেই সভা করব আগামী শনিবার। আদালতের অনুমতি নিয়েই সভা হবে। আর হলও তাই।

    পুলিশকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বক্তব্যের শুরুতে পুলিশকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে কখনও ‘মামা’ বলে  সম্বোধন করেন। কখনও মমতা পুলিশ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ফ্যাক্টর নয়। সমস্যা হচ্ছে মমতা পুলিশ। এরপরই তিনি বলেন,মমতার পুলিশের থেকেও ব্রিটিশ পুলিশ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। সেই ব্রিটিশ পুলিশকে খেদিয়ে ছিল যে মেদিনীপুর। সেখানে  মিথ্যা মামলা দিয়ে, গাঁজার কেস দিয়ে, অস্ত্র মামলা দিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না।  সংঘবদ্ধ থাকুন। সামনে কঠিন লড়াই।  ২০২৪ সালে মোদীকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করার নির্বাচন। কাঁথি লোকসভা তিন লক্ষ ভোটে বিজেপি জিতবে বলেও তিনি দাবি করেন।

    তৃণমূল কর্মীদের ব্যালট খাওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আমরা জানি, কয়লা, গরু, পাথর, বালি খায়। আমরা জানতাম না তৃণমূল ব্যালট পেপার খায় বলে। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক,  মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি তৃণমূল কংগ্রেস ইভিএম খেতে পারবে না লোকসভায় ইভিএমের আকার এত বড় আর তার সঙ্গে রয়েছে ভিভিপ্যাড। এই দুটো তৃণমূলের ছোট চোর তো পরের কথা, চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ক্ষমতা নেই ইভিএম খেয়ে ফেলার। 

    দলবদলু দুই সদস্যকে কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। কারণ,বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী সেই উদয় শঙ্কর মাইতিকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, নিশ্চিতভাবে দল পরিবর্তনের অধিকার সবার আছে। কিন্তু,তার আগে পঞ্চায়েত সমিতিতে পদত্যাগ করা উচিত উদয়ের। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সব কর্মাধ্যক্ষ বিজেপির হবে বলেও হুংকার দেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন,১০ লক্ষ করে টাকার বিনিময়ে বিজেপির দুজন নিজের মনুষ্যত্ব, নিজের হিন্দুত্ব, নিজের রাষ্ট্রবাদ, নিজের দেশপ্রেম বিক্রি করেছেন এবং গণদেবতাকে অমর্যাদা করেছেন।  এরপরই নিজের উদাহরণ টেনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ১৯ শে ডিসেম্বর অমিত শাহের হাত ধরে পদ্ম ফুলের পতাকা ধরেছিলাম। এই কাজটা যদি উদয় করত তাহলে, আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে লোকসভার আগে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আয়ুষ্মান ভারত চালু করব, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে লোকসভার আগে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আয়ুষ্মান ভারত চালু করব, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার বকখালিতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মান যোজনা চালু করতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। চালু হলে বহু গরিব মানুষ স্বাস্থ্য বিমায় উপকৃত হতেন। কিন্তু, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী করলেও হাসপাতালে গেলে ডাক্তার পাওয়া যায় না, ওষুধ নিতে গেলে ওষুধ পাওয়া যায় না। ডাক্তাররা বসে থাকেন চেম্বারে। লোকসভার আগে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প  চালু করবই বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এই রাজ্যে অসহায় গরিব মানুষদেরকে এখানেই থাকতে হয়। কারণ, উপায় নেই। অথচ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে দু দুবার আমেরিকায় গেলেন। জীবনের দাম তাঁর আছে, সাধারণ মানুষের নেই। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রী রুচিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এই প্রসঙ্গেই তিনি মশকরা করে একটি হিন্দি গানের লাইনও উল্লেখ করেন “পরদে মে রেহনে দো, পরদানা হটাও”তিনি বলেন রুচিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে অনেক বেআইনি অর্থ ঢুকেছে। একে একে সব পর্দা ফাঁস হবে।

    ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে হারানোর জন্যই সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে ইন্ডিয়া নামক একটি জোট তৈরি করেছে। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ওটা ইন্ডিয়া নয়, তিনি দেশকে ভাঙার জন্যই পরিকল্পনা করেছেন। একইসঙ্গে তৃণমূলের সামনের রাখি বন্ধন উৎসবকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।  সুকান্ত মজুমদার বলেন, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বড় চোর। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নব নিযুক্ত সহ-সভাপতি সীমন্ত মালিককে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, আগে সুন্দরবন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি চেয়ারম্যান ছিল চুরি করে হাত পাকানোর পর ভাইপো তাঁকে বড় চুরির দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই চোরেদের বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: রায়গঞ্জে শঙ্খ বাজিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করে পঞ্চায়েতে দায়িত্ব নিল বিজেপি, কেন জানেন?

    Raiganj: রায়গঞ্জে শঙ্খ বাজিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করে পঞ্চায়েতে দায়িত্ব নিল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরোহিত ডেকে শাঁখ, উলুধ্বনির পাশাপাশি গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণের মধ্য দিয়ে  পঞ্চায়েতের দায়িত্বভার নিল বিজেপি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এদিন প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিজেপির রেখা বর্মন।

     পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ? (Raiganj)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। বিজেপি এই পঞ্চায়েতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও বিজেপি জয়ী সদস্যদের শংসাপত্র কেড়ে নিয়ে খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার পর পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন বিজেপির রেখা বর্মন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এই পঞ্চায়েত দখল করেছিল। প্রায় আড়াই বছর পর বিজেপির সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় তৃনমূল কংগ্রেস অনাস্থার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পুনরায় এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে। বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করলেও বোর্ড গঠন নিয়ে তৈরি হয়েছিল টানাপোড়েন। সেই টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। শনিবার পঞ্চায়েতের প্রধান রেখা বর্মন আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে আসার আগেই পঞ্চায়েত অফিসকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। পুরোহিত ডেকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধীকরন করার পর উলুধ্বনি, শঙখধ্বনির মধ্যে দিয়ে প্রধান রেখা বর্মন পঞ্চায়েতে প্রবেশ করেন। পঞ্চায়েতকে কেন শুদ্ধিকরন করা হল এ প্রসঙ্গে বিজেপির অঞ্চল কনভেনর অরূপ পাল বলেন, চলতি বছরে তৃণমূল চারিদিকে সন্ত্রাস করেছে। এমনকী বোর্ড গঠনের দিনে বিজেপির প্রধানের শংসাপত্র খেয়ে নিয়েছিল তৃণমূলের এক প্রতিনিধি। তাই এসব ঘটনা থেকে পঞ্চায়েতকে মুক্ত করে নতুন করে মানুষের জন্য কাজ করার পথ চলা শুরু হল।

    কী বললেন পঞ্চায়েতের প্রধান?

    একইভাবে নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেখা বর্মন বলেন, আড়াই বছর এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। তারা কোনও কাজ করেনি। তাই এদিন শুদ্ধিকরণের মধ্যে দিয়ে নতুন করে পথ চলার বার্তা দেন তিনি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান যমুনা বর্মন বিজেপির এই শুদ্ধিকরনকে আমল দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, মন শুদ্ধ থাকলেই সব শুদ্ধ হয়। এসব করে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে শাসক এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চলের সৃষ্টি হল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি, বাঁশ দিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির।

    গন্ডগোলের সূত্রপাত কীভাবে (Nadia)?

    জানা গেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ টি আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণগঞ্জ (Nadia)পঞ্চায়েতে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পায় ১২ টি আসন। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ও বিজেপি ১টি করে আসনে জয়লাভ করে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ টিতে। অভিযোগ, এদিন পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন করতে গিয়ে তৃণমূল সমর্থিত একজন জয়ী সদস্য বিজেপির সদস্যদের মধ্যে গিয়ে বসেন। তৃণমূলের ওই সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করতেই উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। ওই সদস্যার সার্টিফিকেট ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূল আশ্রিত কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারে গুরুতর জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক বলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে সরাসরি আঙুল তুলতে দেখা যায় বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের। জখম ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে।

    অভিযোগের জবাবে কী বলল তৃণমূল (Nadia)?

    যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সমর্থিত পঞ্চায়েত প্রধান মদন ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত উপ সমিতির (Nadia) ভোটাভুটি শুরু হলে উপস্থিত বিরোধী শিবিরের কর্মীরা তাদের এক সদস্যাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে তাঁর ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। তার ফলেই বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পাবে বিজেপি, আর কাজ করবে তৃণমূল! বুধবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ভোট (Dhupguri By Election) প্রচারে এসে এমন মন্তব্যই করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব। পাশাপাশি ভোটারদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন তিনি। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। প্রচারে এসে অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁর এই আচরণে সাধারণ মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dhupguri By Election)

    বুধবার সকালে তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌতম দেব ধূপগুড়ি পুর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের (Dhupguri By Election) প্রচার করছিলেন। সেখানেই এক ভোটার গৌতম দেবকে সামনে পেয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন। জলকাদায় ভরে গিয়েছে রাস্তা, পানীয় জলের পাইপ রাস্তার ওপর দিয়ে গিয়েছে, এইরকম একাধিক অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই ভোটার। তিনি মেয়রকে বলেন, ফি বছর বর্ষায় আমাদের জলবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। নিকাশি ব্যবস্থা এমনই খারাপ যে, চলাফেরা করার জন্য একেবারে অযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রথম থেকেই ওই এলাকায় কোনও রকম উন্নয়ন হয়নি। আর এতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন গৌতমবাবু। তিনি সেই ভোটারকে পাল্টা জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, বিধায়ক বিজেপির, সাংসদও বিজেপির। কাজেই এই অনুন্নয়নের জন্য দায়ী বিজেপি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধূপগুড়ির জন্য কী কী করেছেন সেই খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি, এটা হতে পারে না। এরপর পাশ থেকে এক দলীয় কর্মী বলেন, এবার উপ নির্বাচনে লিডের ব্যবস্থা করুন, উন্নয়ন হয়ে যাবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলার কৃষ্ণদেব রায় বলেন, ধূপগুড়ি পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে রাস্তার বেহাল অবস্থা। সব থেকে বেশি সমস্যা বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলিতে। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এলাকার কী অবস্থা, তা গৌতম দেব নিজে এসে ঘুরে দেখে গিয়েছেন। তবে, ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা এইভাবে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেননি তিনি। আর এই ঘটনায়  কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। যদিও ধূপগুড়ি পুর এলাকা থেকে বিধানসভা উপ নির্বাচনে (Dhupguri By Election) তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বলে আশাবাদী দলীয় নেতৃত্ব। তবে ধূপগুড়ি পুর এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই। এবারের উপ নির্বাচনে কিছুটা হলেও শাসক-বিরোধী হাওয়া রয়েছে পুর এলাকায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহকুমার দাবিতেই হোক ভোট, ধূপগুড়িবাসীর এমনটাই মত। কিন্তু, প্রতিবার ভোটের সময় মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হয় না, ধূপগুড়ি সেই তিমিরেই রয়ে যায়। এবারের বিধানসভা উপ নির্বাচনেও একই দাবি তুলেছেন ধূপগুড়িবাসী। বাম আমল থেকেই ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার দাবি উঠে আসছিল। তখনও তা হয়নি, এরপর তৃণমূল আমলেও ধূপগুড়ির এই দাবি ব্রাত্য হয়েই পড়ে রয়েছে।

    কেন মহকুমার দাবি ধূপগুড়িবাসীর? (Dhupguri)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছিলেন ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমায় উন্নীত করা হবে। কিন্তু আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার জন্য ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হয়েছে। মূলত তারাই মহকুমার জন্য সরব হয়েছে। সভা, মিটিং, মিছিল, পোস্টারিং এমনকী মানব বন্ধনও করেছে তারা। মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, ধূপগুড়ি বিধানসভায় দুটি ব্লক রয়েছে। ধূপগুড়ি এবং বানারহাট। এই দুই ব্লকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের বাস। বানারহাট ব্লকের শেষ প্রান্ত চামুর্চি, যা কিনা ইন্দো-ভূটান সীমান্ত। এই এলাকা থেকে কোনও সরকারি কাজ করতে গেলে ৮২ কিমি পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়িতে যেতে হয়। গেলেই যে আধিকারিকদের পাওয়া যাবে তাও নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে একটি কাজের জন্য অনেকবার যেতে হয়েছে। এতদুর পথ পেরিয়ে গিয়ে কাজ করাতে গেলে সারাদিন লেগে যায়। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর বা চা-বাগানের শ্রমিক, সময়ের পাশাপাশি অর্থও নষ্ট হয় এদের। এছাড়া ধূপগুড়িকে এখনও গ্রামীণ হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে হয়। একটু কিছু হলেই রোগীদের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। এই বিষয়গুলি নিয়েই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই দাবিকে পুরোপুরি সমর্থন করে বিজেপির ধূপগুড়ি (Dhupguri)  বিধানসভার কনভেনর চন্দন দত্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধূপগুড়িকে মহকুমা করা তার কাজ চলছে। কিন্তু, আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা করছে। মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিতে চাইছে। মানুষ সব বুঝে গেছে। তাই তারা আর এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভুলবে না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, প্রয়াত বিধায়ক বিগত আড়াই বছরে বিধানসভায় একটি কথা বলেননি। আর যদি মহকুমা কেউ করেন সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন। তাছাড়া হাতে তো আরও সময় আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্তে আছে, তাই এই সব বলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূলকে হারিয়ে মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    Malda: তৃণমূলকে হারিয়ে মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল বিজেপি। পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নেই, এই কারণ দেখিয়ে এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভোটাভুটিতে বিজেপি এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করে।

    বোর্ড গঠন নিয়ে কী বললেন সদ্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? (Malda)

    মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ১৭ টি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সিপিএম দুটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয়লাভ করে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, তৃণমূলের এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের পদ খারিজ করে দেয় জেলা প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৩২। বিজেপি আগে থেকে অভিযোগ করছিল তৃণমূল কংগ্রেস মোটা টাকার বিনিময়ে ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাদের সদস্যদের কেনার চেষ্টা করছে ও অবৈধভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার চেষ্টা করছে। বোর্ড গঠনে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে বিজেপি র ১৬ জন সদস্য ও একজন কংগ্রেস সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে আসেন। অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির নেতৃত্বে তৃণমূলের ১৩ জন সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে যান। সিপিএমের দুই সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। ভোটাভুটিতে বিজেপি জয়ী হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার পরই সকলের সামনে কেঁদে ফেলেন সুখীরানি সাহা। তিনি বলেন, তৃণমূল ও পুলিশের অত্যাচারে একমাস অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। বাড়িতে থাকতে পারছিলাম না। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, যেভাবে তৃণমূল নোংরামি করেছে তার যোগ্য জবাব তারা পেয়েছে। হবিবপুর ব্লকের বিডিও ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর মালদার বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, আদালত থেকে নির্দেশ দিয়েছে। সেই কারণেই আজ প্রশাসন বাধ্য হল বোর্ড গঠন করতে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বলেন, এই হার হবে তা জানা ছিল। কারণ, এখানে বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। তাই, তারা বোর্ড গঠন করবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিবস্ত্র করে মহিলা নিগ্রহ, মুখ্যসচিব সহ ৪ আধিকারিককে শো-কজ মানবাধিকার কমিশনের

    Malda: মালদায় বিবস্ত্র করে মহিলা নিগ্রহ, মুখ্যসচিব সহ ৪ আধিকারিককে শো-কজ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনা সামনে আসে গত জুলাই মাসে। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে শো-কজ করল মানবাধিকার কমিশন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে পাঠালো কমিশন। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করার এই ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা রাজ্য এবং নানা মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, যেখানে তৃণমূলের সাংসদরা মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সরব হচ্ছেন, সেখানে তাঁদের শাসিত রাজ্যে এভাবে বিবস্ত্র করে মহিলাদের মারধর (Malda) করা হচ্ছে।

    কী জানতে চাইল কমিশন

    এই ঘটনায় কমিশনের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, ওই দুই মহিলাকে কেন তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না? আবার চার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় তদন্ত হবে না, তাও জানতে চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। প্রসঙ্গত ওই দুই মহিলাকে ভরা বাজারে বিবস্ত্র (Malda) করে মারধর করার পরে উল্টে তাঁদেরকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। গত জুলাই মাসে বামনগোলার (Malda) এলাকায় এই দুই মহিলা লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি। হঠাৎই বাজার এলাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলে কিছু স্থানীয় মানুষজন (Malda)। এরপরই চোর অপবাদ দিয়ে তাঁদেরকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। অভিযোগ, সামনে পুলিশ থাকলেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন

    পরবর্তীকালে স্থানীয় থানা (Malda) এই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে। এই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশন জানতে চেয়েছে, বিবস্ত্র করে মারার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা ১৮ জুলাই ঘটলেও, ১৭ জুলাই পুলিশ তাঁদের (দুই মহিলা) বিরুদ্ধে আবার ফাঁড়ি ভাঙচুরের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। ২৩ জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত।

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বলছেন? 

    মানবাধিকার কমিশনের জবাব চাওয়ার চিঠি প্রসঙ্গ সামনে আসতেই বিজেপি জেলা (Malda) সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘‘একদম সঠিক ভাবেই তারা জানতে চেয়েছে যে, বামনগোলা থানার আইসি, পাকুয়াহাট ফাঁড়ির যে সমস্ত পুলিশকর্মী দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত, তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। ঘটনার বেশ কয়েক দিন পর অভিযোগ দায়ের হরেছে। পুলিশ এমন ভাব করছে যেন, মহিলা দু’জনই দোষী।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কালীঘাটের কাকু নয়, ভাইপোর অফিসে হানা দিয়েছে ইডি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘কালীঘাটের কাকু নয়, ভাইপোর অফিসে হানা দিয়েছে ইডি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম, মোয়াজ্জেমদের নিয়ে মিটিং করছেন সাম্প্রদায়িক মুখ্যমন্ত্রী। তোষণবাজ মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন, তিনি নাকি এনআরসি আটকেছেন।” সোমবার তমলুকের নিমতৌড়িতে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এনআরসি কবে হল? সিএএ আইন পাশ হয়েছে, আর সিএএ আইনে কাউকে তাড়ানো হবে না। সিএএ আইন কার্যকর হবে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখবে আর লুচির মত ফুলবে। সাম্প্রদায়িক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভাজনের রাজনীতি করে। এদিন তমলুকের নিমতৌড়িতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের সরকারি কক্ষে ভারতমাতা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি রাখার নির্দেশ দেন ও  তাঁদের হাতে এই ছবি তুলে দেন। তিনি বলেন, এই জেলায় প্রকৃত জনমত গঠন হয়নি। আবার গণনা হোক। চ্যালেঞ্জ করছি জেলা পরিষদের অনেকে আমাদের জিততো, পিছনের দরজা দিয়ে তৃণমূল জিতেছে। প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন এখানে হয়নি। অনেক জায়গায় বিজেপিকে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। সিভিক দিয়ে ভোট লুট করা হয়েছে। যেটা আমরা জিতেছি ১৯৩৬ জন, সব ঠিক থাকলে সেটা ৪ হাজারের উপরে যেত।

    ‘কালীঘাটের কাকু’র অফিসে ইডি হানা প্রসঙ্গে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)  

    ‘কালীঘাটের কাকু’র অফিসে ইডি হানা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ওটা ভাইপোর অফিস, চ্যানেলগুলোর ভাইপোর কথা বলতে ভয় কীসের? ওটা তো ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ ভাইপোর কোম্পানি। ওই কোম্পানির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার। পাশাপাশি এদিন দলের জয়ী প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এলাকায় প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ান, মানুষের সঙ্গে দেখা করুন। আমরা ২০২৪ সালে যখন প্রচারে যাবো, মানুষ বলবে বিজেপির পঞ্চায়েত যাচ্ছে। তখনই জোঁকের গায়ে নুন পড়বে। যাদবপুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের আবেদন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, এই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধী সংস্থাগুলির  বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশ যদি ব্যবস্থা নিত তাহলে যেতাম না, সেটা হয়নি তাই গিয়েছিলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share