Tag: bjp

bjp

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের! আড়াই মাস ধরে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ খালি

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের! আড়াই মাস ধরে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ খালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে দল পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদকে সরিয়ে দেয়। গত আড়াই মাস ধরে উপ পুরপ্রধানের পদ খালি বালুরঘাট পুরসভায়। ঠিক কী কারণে এতদিন পর্যন্ত পুরপ্রধান অশোক মিত্র উপ পুরপ্রধান মনোনীত করতে পারেননি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনাও। বিজেপির দাবি, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    এলাকাবাসীর কী অভিযোগ?

    উপ পুরপ্রধানের পদ হারালেও এখনও তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার পদে রয়েছেন দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। তিনি নিজেকে গৃহবন্দি করে নেওয়ায় তাঁর ওয়ার্ডের কাজেও প্রভাব পড়েছে। সমস্যায় পড়ছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন শংসাপত্র, শরিকি শংসাপত্র, ট্রেড লাইসেন্স নবীকরণ সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এলাকায় পথবাতি খারাপ হলে বা নিকাশি সমস্যা নিয়ে কাকে বলবেন তা নিয়েও ধন্দে রয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে বালুরঘাটে দণ্ডি কাটিয়ে তিন আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ যায় রাষ্ট্রপতি, জাতীয় মহিলা কমিশন, এসটি কমিশন সহ নানা জায়গায়। ওই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে বালুরঘাট পুরসভার উপ পুরপ্রধান তথা তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। প্রথমে দলীয় পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। পরে জেলায় আসেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মে মাসে তপনে গিয়ে ওই তিন আদিবাসী মহিলার কান্না অভিষেক শোনার পর রাতারাতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর উপ পুরপ্রধানের পদ যায়। আইনি ব্যবস্থাও নেয় প্রশাসন। পরে তিনি এই মামলায় আদালত থেকে জামিন নেন। তবে এরপর থেকে তাঁকে আর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর উপর পুরসভার যাবতীয় কর আদায়েরও দায়িত্ব ছিল। প্রায় আড়াই মাস ধরে উপ পুরপ্রধানের পদ ফাঁকা থাকায় সেসব কাজ পুরপ্রধান নিজেই সামলাচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই উপ পুরপ্রধানের পদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ওই পদের জন্য ইতিমধ্যেই বহু কাউন্সিলার জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছেন। দলের তরফেও একটি সম্ভাব্য তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে শহরে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টিও জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা নেতৃত্ব?

    পুরপ্রধান অশোক মিত্র বলেন, ‘উপ পুরপ্রধানের পদ ফাঁকা থাকলেও পরিষেবায় কোনও খামতি হয়নি। পুর আইন অনুযায়ী প্রাক্তন উপ পুরপ্রধানের সব কাজ আমি সামলাচ্ছি। ওই পদে নিয়োগ কবে হবে জানা নেই। রাজ্য থেকেই তা জানানো হবে।’ তৃণমূলের (TMC) জেলা চেয়ারম্যান নিখিল সিংহ রায় বলেন, ‘উপপুরপ্রধানের পদ পূরণের জন্য আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি সেই নাম ঘোষণা করা হবে।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দলের কারণে ওরা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাউকে বসাতে পারেনি। আসলে লোক দেখানোর জন্য ওই মহিলা কাউন্সিলারকে সরানো হয়েছে। কিছুদিন পর মানুষ ভুলে গেলে আবার সেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকেই ফের ভাইস চেয়ারম্যান করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুব্রতর জেলায় উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায়! জলে ভরা গর্তে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    BJP: অনুব্রতর জেলায় উন্নয়ন সত্যিই রাস্তায়! জলে ভরা গর্তে ধান গাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল এখন জেলে। ভোটের আগে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বারবারই বলেছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন। কিন্তু বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন যে কতটা হয়েছে, তা বিভিন্ন এলাকা ঘুরলে সহজেই বোঝা যায়। বীরভূমের সিউড়ি পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড অল্প বৃষ্টিতেই থানা-খন্দে ভরে ওঠে। যেমন বড়বাগান প্রান্তিক সংঘের সামনের রাস্তা একেবারে ভঙ্গুর। অন্যদিকে সিউড়ির ব্যস্ততম সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের রাস্তা, সেখানেও অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। স্থানীয় দোকানদাররা নোংরা ফেলার কারণে হাইড্রেনের মধ্যে জমা থাকে ওই নোংরা। যার ফলে জল বেরিয়ে যেতে পারে না। যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি যেন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নামল বিজেপি (BJP)। 

    কী বলছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা?

    এলাকার মানুষের বক্তব্য, জেলায় জেলায় ডেঙ্গু যেভাবে বাড়ছে, তাতে জমা জল নিয়ে তাঁরা এমনিতেই আতঙ্কিত। অন্যান্য জায়গায় জল বের করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে চুন, মশা মারার তেল প্রভৃতি। কিন্তু সিউড়ি পুরসভা এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। যে কারণে যে কোনও সময় ডেঙ্গুর  প্রকোপ বাড়তে পারে। পুরসভার বিভিন্ন রাস্তা এখনও পর্যন্ত খারাপ। সেই কারণে অল্প বৃষ্টিতেই সেখানে জল জমে যাচ্ছে। এখানেও পুরসভার কোনও হেলদোল নেই।

    ধান গাছ লাগিয়ে আন্দোলনে বিজেপির (BJP) যুব মোর্চা

    প্রান্তিক সংঘের সামনের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। ইতিমধ্যেই সেখানে যে গর্ত রয়েছে, সেখানে জমতে শুরু করেছে জল। এই নিয়ে সিউড়ি নগর যুব মোর্চার (BJP) তরফ থেকে পথ অবরোধ করা হয়। শুধু এখানেই নয়, যেখানে জল জমে আছে, সেখানে তারা ধান গাছ লাগিয়ে এবং মাছ ছেড়ে পুরসভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। সংগঠনের সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি রাস্তা ঠিক না হয়, তাহলে যে আন্দোলনে তাঁরা নেমেছেন, তার থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভয় দেখাতেই কি বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির পিছনে সকেট বোমা? অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nadia: ভয় দেখাতেই কি বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির পিছনে সকেট বোমা? অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর ঘরের পিছন থেকে ব্যাগ ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধার। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপিকে ভয় দেখাতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার গোবিন্দপুর এলাকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভীমপুর থানার পুলিশ। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই এলাকার বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভক্ত বিশ্বাস প্রতিদিনকার মতো আজও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাজে বেরিয়ে যান। এরপর তাঁর মেয়ে সকালে বাড়ির কাজ করার সময় পিছনে একটি বাজার করার ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই বাজারের ব্যাগে কিছু রয়েছে বলে সন্দেহ হয় এবং এরপর তিনি বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। বাড়ির লোকজন প্রাথমিকভাবে ব্যাগটি খুলতেই দেখেন, ভিতরে সকেট বোমা জাতীয় কিছু রয়েছে! এরপরেই খবর দেওয়া হয় ভীমপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই জায়গাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরবর্তীকালে বোম নিষ্ক্রিয় করার আধিকারিকরা এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    বিজেপির জয়ী প্রার্থীর মেয়ের বক্তব্য

    ব্যাগে বোমার ঘটনায় বিজেপির জয়ী প্রার্থীর মেয়ে প্রীতি বিশ্বাস বলেন, সকালে কাজ করার সময় ওই ব্যাগটি আমার নজরে পড়ে। প্রথমে দেখে বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরে দেখি ব্যাগে লোহার গোলাকার বস্তু! এরপর বাড়ির (Nadia) অন্যরাও দেখে বলেন এগুলি সকেট বোমা। এরপর বাড়ির সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    ব্যাগে বোমার বিষয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থী ভক্ত বিশ্বাসের দাবি, যেহেতু গোটা এলাকায় বিজেপি আধিপত্য বিস্তার করেছে, সেই কারণেই ভয় দেখানোর জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। আমি নিজেও একজন বিজেপি জয়ী প্রার্থী। সেই কারণেই দুষ্কৃতীরা চাইছে আমাদের ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে। কিন্তু এভাবে দমানো যাবে না। 

    লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর (Nadia) থানার পুলিশ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    Hooghly: তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় লাগাতার হুমকি, বিধায়কই ফাঁস করে দিলেন দলের সন্ত্রাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে উত্তপ্ত রাজ্য। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চলছে। মিছিলে হামলা, বাড়িতে ঢুকে হামলা, কোনও কিছুই বাদ নেই। বিজেপির পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছে, স্রেফ বিরোধী দল করার অপরাধেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। যদিও তৃণমূল এইসব অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার হুগলি (Hooghly) জেলায় এমন একটি ঘটনা সামনে এল, যাতে তৃণমূলের গোপন সন্ত্রাস আর গোপন রইল না। তা প্রকাশ্যে এনে দিলেন খোদ দলের বিধায়ক। এতে একদিকে যেমন বিরোধীদের তোলা অভিযোগ মান্যতা পেল, তেমনি সামনে এল তৃণমূলের নোংরা রাজনীতও।

    বিধায়ক কীভাবে সামনে আনলেন দলেরই সন্ত্রাস (Hooghly)!

    হুগলি জেলার চুঁচুড়ার কোদালিয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রবীন্দ্রনগর কালীতলা এলাকার ঘটনা। এখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলেরই (TMC) প্রার্থী কৃষ্ণা মণ্ডল। কিন্তু জিতেও মেটেনি সাধ। এলাকার সাতটি পরিবার নাকি তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। এটাই তাঁদের অপরাধ। আর যায় কোথায়! শুরু হয়ে যায় ধমক-চমক। অভিযোগ ওঠে, ওই প্রার্থীর স্বামী আধার মণ্ডল ওই পরিবারগুলিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাতে থাকে ওইসব পরিবার। কোনও ভাবেই সুরাহা না মেলায় অবশেষে তারা এলাকার বিধায়ক তৃণমূলের অসিত মজুমদারের দ্বারস্থ হয়।

    সেই অভিযোগ পেয়ে অসিতবাবু ওই এলাকায় গিয়ে যা করলেন, তাতে কিছুই আর আড়ালে থাকল না। নিজের দলের সন্ত্রাসই বেআব্রু হয়ে পড়ল। তিনি এলাকায় (Hooghly) গিয়ে দলের যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে ডেকে প্রকাশ্যে এমন ধমক দিলেন, যাতে সবার মনে হতেই পারে, তৃণমূল দলটা সত্যিই কতখানি শৃঙ্খলপরায়ণ। জনতার সামনে বিধায়ক ওই নেতাকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বললেন, “এই তোর লাস্ট চান্স। তুই যদি একটা লোককে চমকাস, তোর হাড়গোড় আমি এক করে দেব।… তুই কেন চমকাবি?…তুই বাইরে থাকবি, না ভিতরে থাকবি?” তিনি পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকারও করে নেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। ভবিষ্যতে আর করবে না বলেও কথা দিয়েছে। অর্থাৎ বিধায়কের ওই আপাত ধমক থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেল, স্রেফ তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার জন্য ৭টি পরিবারকে ব্যাপক সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হয়েছে।

    বিধায়ক নাটক করছেন, তোপ বিজেপির

    এলাকার (Hooghly) মানুষ অবশ্য এসবকে আমল দিতে নারাজ। কারণ, তাঁদের বক্তব্য, বিধায়কের প্রচ্ছন্ন মদত না থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। আর ওই নেতাকে লাস্ট চান্স দিয়ে বিধায়ক এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের কাজ ওই নেতা এই প্রথম করছেন না। বিজেপিও এই জায়গাতেই আক্রমণ হেনেছে। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, চুঁচুড়ায় সবথেকে বড় চমকাইবাজ নেতা যদি কেউ হয়ে থাকে, তবে সেটা তো হচ্ছে আমাদের চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC)। যে দলের গোড়ায় এরকম গলদ হয়ে রয়েছে, সেই দলের শাখাপ্রশাখা তো এই রকমই হবে। এ একে চমকাবে, ও তাকে চমকাবে। এটাই তো দলের কালচার। আজ উনি শুধুমাত্র একটা নাটক করার জন্য আইওয়াশ করতে শুরু করেছেন। লোককে ধমকানো চমকানোটাই এই দলের আইডিওলজি। কখনও কর্মীরা চমকাবে, কখনও বিধায়ক চমকাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: এরকম সৎ রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে বিরল, বুদ্ধদেবকে দেখে এসে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: এরকম সৎ রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গে বিরল, বুদ্ধদেবকে দেখে এসে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যতে দেখতে হাসপাতালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার বিকেল নাগাদ হাসপাতালে প্রাক্তনবুদ্ধদেবকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, মিনিট পাঁচেক হাসপাতালে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের কাছ থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরিক অবস্থার খোঁজ নেন শুভেন্দু। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “আমাকে ওনার পার্টির সকলে খুব সহযোগিতা করেছেন। ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন, ওনার শরীরের অক্সিজেন লেভেল বেড়েছে। উনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় আমি বিধায়ক ছিলাম। শুধু বলতে পারি ওনার মতো সৎ রাজনীতিবিদ এ রাজ্যে আর হবে না।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘আমার একজন পরিচিত ডাক্তারবাবু আছেন। কালকে অনেক রাতে তাঁকে ফোন করেছিলাম, তিনিও একই কথা বললেন। বাকি পরিবার বা হাসপাতাল সূত্রে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখছি বা জানাচ্ছে সেইটাই সকলের বলা উচিত, আলাদা করে না বলাই ভাল। ভগবানের কাছ প্রার্থনা করব, যাতে তিনি এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারেন।’’

    বিজেপির তরফেও গতকাল দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে ভুগছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে তাঁকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে বিজেপির তরফেও। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য শনিবার বলেন, ‘‘দলের তরফে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।’’

    বুদ্ধদেব ইস্যুতে কুণাল-সুকান্ত দ্বৈরথ

    রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নাকি ‘মহাপুরুষ’ বানানো হচ্ছে, এনিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কুণাল লেখেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আরোগ্য কামনা আমি করছি। কিন্তু তার পাশাপাশি যাঁরা তাঁকে আদিখ্যেতা করে মহাপুরুষ সাজাচ্ছেন, তার সঙ্গে একমত নই। কারণ বুদ্ধদেববাবুর জমানায় সিপিএম অনেক ভুল কাজ করেছে। আর ওঁর ঔদ্ধত্যে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ভুল কী বলেছি?” এ দিকে এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি কুণাল ঘোষের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সুকান্তর দাবি, আর যাই হোক বুদ্ধবাবুকে ‘চোর’ বলে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আসলে এই মন্তব্য তিনি কুণালের উদ্দেশে করেছেন। কারণ সারদার আর্থিক  জেল খেটেছেন কুণাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তখন নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অধুনা তৃণমূলের মুখপাত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Mazumdar: ‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ রাজ্য সরকার’, মানিকতলায় ব্লিচিং ছিটিয়ে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Mazumdar: ‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ রাজ্য সরকার’, মানিকতলায় ব্লিচিং ছিটিয়ে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিকতলার রাস্তায় ঝাড়ু হাতে সুকান্ত। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ছড়ালেন ব্লিং পাউডারও। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এনিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থ রাজ্য সরকার! কলকাতার মানিকতলা রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করলাম এবং ব্লিচিং পাউডার ছড়ালাম।’’ তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Mazumdar) আরও বলেন, ‘‘এদের আমলে দুবাই থেকে বাংলায় নমিনেশন হয়, তেমনি ডেঙ্গিটাও বাংলাদেশ থেকে এসেছে, এমন কথা বলে দেবে।’’ রাজ্যের মানুষের কাছে সুকান্ত আর্জি জানিয়েছেন, তাঁরা যেন সরকারের আশায় বসে না থাকেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Mazumdar) বলেন,  ‘‘নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এলাকার অপরিষ্কার স্থানগুলো, যেখানে বর্ষার জল জমে সেসব পাত্রগুলো পরিষ্কার রাখুন, আপনাদের সুরক্ষা আপনাদেরই নিতে হবে। ডেঙ্গিকে প্রতিহত করতে আমাদের সকলকে সংকল্প নিতে হবে।’’

    মহরম নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    রাজ্য অফিসে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার বেশ কিছু ছবি তুলে ধরেন। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে কোথাও মন্দিরের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড তো কোথাও আবার ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ধর্মস্থান। এনিয়ে সুকান্ত (Sukanta Mazumdar) বলেন, ‘‘এর কোনওটাই বাংলাদেশের ছবি নয়। সবটাই আমাদের পশ্চিমবঙ্গ।’’ বালুরঘাটের সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘কোনও মুসলিম সংগঠন এগুলো কি আপনাকে করতে বলেছিল? আমাদের কাছে তো সেরকম কোনও খবর নেই। তাহলে আপনি মন্দির ঢাকতে গেলেন কেন?’’ 

    হরিরামপুরে বিডিও এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সুকান্তর

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) দাবি, হরিরামপুরের প্রাক্তন বিডিও শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ পাঠান তাঁকে। অভিযোগ, সুকান্ত মজুমদারকে তিনি বলেন, ‘‘স্যর আপনারা না জিতলে কাপড় খুলে যাবে।’’ এনিয়ে  সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিডিও-রা তৃণমূলের দলদাস হিসাবে কাজ। একজন বিডিও আমায় হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করে হুমকি দিচ্ছেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছি আপনি সরকারি আধিকারিক। এইভাবে কি কথা বলতে পারেন?” বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলের ৫ই অগাস্টের পাল্টা বিজেপির ঝাঁটা মিছিল, তীব্র উত্তেজনা হুগলিতে

    Hooghly: তৃণমূলের ৫ই অগাস্টের পাল্টা বিজেপির ঝাঁটা মিছিল, তীব্র উত্তেজনা হুগলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ই অগাস্ট বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি তৃণমূলের। তাই পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিজেপির দাওয়াই ঝাঁটা হাতে মিছিল। আজ সকালে হুগলির (Hooghly) সপ্তগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত গোস্বামী মালপাড়া অঞ্চলের গ্রামসভায় বিজেপির ১৯০ নং বুথে জয়ী প্রার্থী মানস ঘোসের নেতৃত্বে এই মিছিল সংঘটিত হয়। সঙ্গে ছিলেন হুগলি জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ। জেলায় শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা।

    কেন এই ঝাঁটা হাতে মিছিল

    হুগলি (Hooghly) জেলার বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো যেভাবে ধর্মতলা থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা ঘোষণা করছেন, তা অত্যন্ত উস্কানিমূলক। তিনি আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত তৃণমূল কোনও শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবে না! তাই হাতে ঝাঁটা নিয়ে আমাদের বিশেষ প্রস্তুতির মিছিল ছিল এই ঝাঁটা মিছিল। প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজেদের আত্মরক্ষাই ছিল আজকের প্রধান কর্মসূচি।

    মালপাড়া (Hooghly) অঞ্চলের বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বক্তব্য

    মালপাড়া (Hooghly) অঞ্চলের বিজেপির জয়ী প্রার্থী মানস ঘোষ বলেন, তৃণমূল থেকে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তাকে প্রতিরোধ করতে আমরা আজ এলাকায় ঝাঁটা হাতে মিছিল করলাম। বিজেপি নেতার বাড়ি কেন, কোনও ব্লকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ঘেরাও কর্মসূচি করতে দেওয়া যাবে না। মানুষের গণতন্ত্রকে লুট করার অধিকার তৃণমূলের নেই।

    ৫ই অগাস্ট কী ঘোষণা করেছে তৃণমূল?

    উল্লেখ্য গত ২১ শে জুলাই, ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, রাজ্যের প্রত্যেক বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে ব্লক স্তরে ঘেরাও করার বিষয়ে সহমত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। ঘেরাও নিয়ে আরও বলা হয়, বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে দেওয়া যাবে না, কেবল ছাড় মিলবে বাড়ির বাচ্চা এবং বৃদ্ধদের। আর তারপর থেকেই দিকে দিকে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ও হাওড়া থেকে ৫ই আগস্টের আগেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলার চিত্র ধরা পড়েছে। রাজনৈতিক মহল অভিষেকের এই কর্মসূচিকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে অভিষেকের মন্তব্য এবং কর্মসূচিকে প্ররোচনামূলক বলে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। তৃণমূলের এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে পাল্টা হুগিলতে (Hooghly) ঝাঁটা হাতে বিজেপির মিছিলে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে জেলায়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুরসভার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, পুরসভার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি আবহে, তা রোধে কতটা সচেতন? তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পুরসভা। বিরোধীদের দাবি, সময় মতো নর্দমা ও জঞ্জাল পরিষ্কার না করায়, বৃদ্ধি পাচ্ছে মশা। অপর দিকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে উদাসীন বালুরঘাট পুরসভা বলে অভিযোগ বিজেপির। বামেদের দাবি, সাফাইয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ হচ্ছে। যদিও শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছে বালুরঘাট পুরসভা কর্তৃপক্ষ। রাজনৈতিক চাপন-উতোরে শোরগোল জেলায়।

    ডেঙ্গির কেমন অবস্থা বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur)?

    রাজ্য জুড়েই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সে ভাবে সংক্রমণ না বাড়লেও, সতর্কতা জারি রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় গত জানুয়ারি মাস থেকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ৫০ জনের সংক্রমণের খবর রয়েছে। এর মধ্যে বালুরঘাট শহরের তিনজন সংক্রমিত হয়েছিল। বর্তমানে জেলায় মাত্র দু’ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এবং একজন গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বালুরঘাট পুরসভা ডেঙ্গি সংক্রমণ রোধে উদাসীন বলে অভিযোগ বিজেপির। বিজেপির বালুরঘাট শহর মণ্ডল সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত জানান, শহরের যত্রতত্র আবর্জনায় ভরে উঠেছে। নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার, মশা মারার তেল স্প্রে করছে না বালুরঘাট পুরসভা (Dakshin Dinajpur)। রাজ্যে যেভাবে ডেঙ্গি বেড়ে চলেছে, তাতে পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে শহরে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।

    সিপিএমের বক্তব্য

    বালুরঘাট পৌরসভার (Dakshin Dinajpur) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলার প্রবীর দত্ত বলেন, আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গি সার্ভে সহ স্প্রে, নর্দমা পরিষ্কারের কাজ চলছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ব্লিচিং পাওয়া যাচ্ছে না। ডেঙ্গি রোধে আরও বেশি করে কাজ করা প্রয়োজন। পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধনে প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ হচ্ছে বলে তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন প্রবীর দত্ত।

    বালুরঘাট পুরসাভার বক্তব্য

    বালুরঘাট পুরসভার (Dakshin Dinajpur) চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, বালুরঘাট পুরসভা শহরের পরিচ্ছন্নতার কাজ নিয়মিতভাবে করছে। ডেঙ্গি রোধে সচেতনতা, বাড়ি বাড়ি সার্ভে সহ অন্যান্য কাজ চলছে। স্বাস্থ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ রেখে, স্বাস্থ্য দফতরের গাইড লাইন মেনে, ডেঙ্গি রোধে সমস্ত কাজ করছে বালুরঘাট পুরসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জোর করে মুচলেকা লিখিয়েছে, বাড়ি ফিরে বললেন অপহৃতরা

    South 24 Parganas: তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জোর করে মুচলেকা লিখিয়েছে, বাড়ি ফিরে বললেন অপহৃতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চসায়ের এলাকা থেকে রায়দিঘির (South 24 Parganas) কৃষ্ণচন্দ্রপুরের চার বিরোধী জয়ী প্রার্থীর অপহরণের ঘটনার পর অবশেষে রবিবার বাড়ি ফিরলেন তাঁরা। বাড়ি ফিরেই বললেন, অপহরণ করে জোর করে স্বীকারোক্তি এবং লিখিত নেওয়া হয়। মূলত পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্যই দুষ্কৃতীরা তাঁদের অপহরণ করে। অভিযোগের তির মূলত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই। এলাকায় এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা।

    যাঁরা অপহরণ হয়েছিলেন তাঁদের বক্তব্য (South 24 Parganas)

    অপহরণের শিকার হওয়া চার জয়ী বিরোধী প্রার্থীর নাম হল সুশান্ত মণ্ডল, কমলা মণ্ডল, নারায়ণ চন্দ্র হালদার এবং পুজা ছাটুই। বাড়ি (South 24 Parganas) ফিরেই তাঁদের বক্তব্য, গত ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা অপহরণ করেছিল। এরপরেই জোরপূর্বক তাঁদের থেকে লিখিত ও ভিডিও বার্তা নেওয়া হয়। এরপর একাধিক গেস্ট হাউসে স্থানান্তরিত করে রাখা হয়েছিল। পরে সাদা কাগজে তাঁদের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়াও হয়। আজ রবিবার সকালে তাঁদেরকে আবার অপহরণমুক্ত করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অপহরণ যাঁদের করা হয়েছিল তঁদের মাধ্যে ছিলেন বিজেপির তিনজন প্রার্থী এবং সিপিআইএমের এক প্রার্থী।

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমীকরণ কেমন?

    কৃষ্ণচন্দ্রপুরের (South 24 Parganas) মোট আসন সংখ্যা ১৫, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ৪ টি আসনে, বিজেপি জয়লাভ করেছে ৬টি আসনে এবং সিপিআইএম জয়লাভ করেছে ৩ টি আসনে। আর বাকি দুটিতে নির্দল জয়লাভ করেছে। বোর্ড গঠন করতে হলে মোট আটজন সদস্যের প্রয়োজন। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র চারজন সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার লক্ষ্যে বিরোধীদের চারজন সদস্যকে অপহরণ করে, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। পাশাপাশি সিপিআইএমও বোর্ড গঠনের জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের এই অপকর্ম করে বলে উল্লেখ করে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, যেখানে সিপিআইএমের মাত্র তিনজন সদস্য, তাঁরা কিভাবে এই অভিযোগ তুলতে পারেন! তিনি আরও বলেন, সিপিআইএম এবং বিজেপির মধ্যে সেটিং হয়েছে। সিপিআইএম চক্রান্ত করে তৃণমূলের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: পুকুরে জাল ফেলে মাছের বদলে উঠল “ব্যালট বাক্স”! ডালখোলায় তীব্র শোরগোল

    Uttar Dinajpur: পুকুরে জাল ফেলে মাছের বদলে উঠল “ব্যালট বাক্স”! ডালখোলায় তীব্র শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) পুকুরে জাল ফেলে মাছের বদলে উঠল ব্যালট বাক্স। এই ভিডিও, রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীরা বলেছেন, তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করে ভোট লুট করেছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ডালখোলা থানার অন্তর্গত করনদিঘি ব্লকের বাজারগাঁও -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুয়া বুথে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডালখোলা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার হওয়া ব্যালট বাক্সটিকে ডালখোলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এই ঘটনায় করণদিঘির (Uttar Dinajpur) বিডিও নিতীশ তামাং বলেছেন, “গতকাল একটি ব্যালট বাক্স উদ্ধারের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে বাক্সটি উদ্ধার করে ডালখোলা থানায় নিয়ে আসেন।” তিনি আরও বলেন, গত ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনে ২৫ নম্বর বুথে ব্যালট বাক্স লুটের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার এসে প্রশাসনকে জানিয়ে ছিলেন যে ৩টি ব্যালট বাক্স লুট হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সেই বুথে আবার পুনঃনির্বাচন হয়। পুকুর থেকে যে ২টি ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়েছে, তা লুঠ হওয়া ব্যালট বাক্স বলেই দাবি তাঁর।

    নির্বাচন কতাটা সুরক্ষিত ছিল?

    যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে একটি বাক্স উদ্ধারের ছবি দেখা গেছে। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, গণনার দিন গণনাকেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর মতে করণদিঘী গণনা কেন্দ্রে কারচুপির ঘটনা ঘটেছে বলে সরব হন সাংসদ। কারচুপির অভিযোগে রায়গঞ্জে (Uttar Dinajpur) গণনাকেন্দ্রে গিয়ে রায়গঞ্জের বিডিওকে বিক্ষোভ দেখান। আর এই বিক্ষোভ দেখানোর সময় বিডিওকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। পুকুর থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ভাইরাল হওয়া ভিডিও, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগকে আরও একবার উস্কে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share