Tag: bjp

bjp

  • Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    Asansol: তৃণমূল প্রধানের পদ বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখে! জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন, ভোট, গণনা ও ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী ও কর্মীরা। জামুরিয়ায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

    ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পাশে জিতেন্দ্র তেওয়ারি (Asansol)

    রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি-ঘরছাড়া, লুটপাট, আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুর, খুন, হত্যা, মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বারবার বিজেপি সরব হয়েছে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা কেমন আছেন, তা দেখতেই বৃহস্পতিবার জামুরিয়া (Asansol) বিধানসভা অন্তর্গত তপসি বাহাদুরপুর লালগোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসীদের বাড়ি গিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, যেভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলেছে এবং ভোট লুট হয়েছে রাজ্যে অবিলম্বে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা উচিত। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! সমস্তটাই চলে গেছে কয়লা চোর, বালি চোর, লোহা মাফিয়াদের হাতে। সারা রাজ্য জুড়ে এক অগণতান্ত্রিক এবং হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতে হিংসার আশ্রয় করে জয়লাভ করেছে। এই নির্বাচনে টাকা দিয়ে টিকিট বিক্রি করেছে তৃণমূল। প্রার্থীর পদ বিক্রির দর উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের পদের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা। এই টাকা দেবে কয়লা চোর, বালি চোরেরা। তাদের হাতেই পঞ্চায়েত চালানোর দায়িত্ব থাকবে। সাধারণ মানুষ যেমন আগেও বঞ্চিত হয়েছে, এবারও বঞ্চিত হবে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বিজেপি একটি বড় পরিবার। ভোটের পর সকল সদস্যরা কেমন আছেন, তা জানতেই জামুরিয়াতে এসেছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়া থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা সকল স্তরেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। তাই তাঁদের সাথে দেখা করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান ও সমিতির সদস্যদের পদ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় (Asansol) তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রানাঘাটে ডেঙ্গির সংক্রমণ ভয়াবহ, পুরসভাকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    Nadia: রানাঘাটে ডেঙ্গির সংক্রমণ ভয়াবহ, পুরসভাকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট (Nadia) সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে নদিয়ার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে রোগী ভর্তির জায়গা পর্যন্ত নেই। যে সমস্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন, তাঁদের নব্বই শতাংশই জ্বরের রোগী অথবা ডেঙ্গি আক্রান্ত। একই বেডে থাকতে হচ্ছে দু থেকে তিনজনকে, থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের করিডরে অথবা মেঝেতেও। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। এমনটাই দাবি রোগী পরিবারগুলির। অপর দিকে বিজেপির অভিযোগ পুরসভার দিকে। সবটা মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের।

    পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল বিজেপির (Nadia)

    বর্তমানে রানাঘাটে (Nadia) ডেঙ্গির ভয়াবহতা নিয়ে রানাঘাট পুরসভার দিকে আঙুল তুলছেন রানাঘাট পৌরসভার বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলার কামনাশিষ চ্যাটার্জি। তাঁর বক্তব্য, প্রথম থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে একাধিকবার রানাঘাট পৌরসভায় চিঠি করেছিলাম, কিন্তু পুরসভা কোনও গুরুত্ব দেয়নি। আগে থেকে কোনও রকম সচেতনতার প্রচার পুরসভা করেনি। পুরসভার প্রধানকে বারবার কীটনাশক তেলের ব্যবস্থা করে এলাকায় দেওয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু কোনও উদ্যোগের চিত্র নজরে আসেনি। চোর পালালে বুদ্ধি আসে! আর তাই ডেঙ্গি যখন মারাত্মক তখন পুরসভার জ্ঞান ফিরেছে। তিনি আরও বলেন, আগে থেকে যদি ডেঙ্গি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিত পুরসভা, তাহলে আজকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাটা এতো বাড়তো না।

    পুরসভার বক্তব্য

    বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলারের তোলা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে রানাঘাট (Nadia) পুরসভার পুরপ্রধান কৌশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা ঠিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বিজেপি কাউন্সিলারের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে করা হচ্ছে সার্ভে, এছাড়াও ড্রেন থেকে শুরু করে জলাশয়ের জায়গাগুলিতে দেওয়া হয়েছে কীটনাশক তেল। কলকাতা থেকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা এসে করছেন পর্যবেক্ষণ।

    তবে ডেঙ্গি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ করলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, অভিযুক্ত সিপিআইএম

    Murshidabad: বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, অভিযুক্ত সিপিআইএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনদুপুরে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল সিপিআইএমের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে মু্র্শিদাবাদের ইসলামপুর (Murshidabad) থানার বনমালী ঘাট এলাকায়। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    কেন ঘটল ঘটনা?

    সূত্র মারফত জানা গেছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই ওই বিজেপি (Murshidabad) কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ওই এলাকায় বিজেপি প্রার্থী মাত্র ১৫ ভোটে হেরে যায়। তারপর থেকেই সিপিআইএমের লোকজন লাগাতার শাসানি, হুমকি দিত বলে জানান আহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ। বিজেপি কর্মীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনায় এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে তড়িঘড়ি গোধনপাড়া (Murshidabad) গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। ওই হামলার ঘটনায় রবীন্দ্র মণ্ডল নামের একজন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সারা শরীরে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে আহত বিজেপি কর্মীদের বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি কর্মী রাজদীপ মণ্ডল বলেন, গতকাল বিকেলে মাঠে নিজের মধ্যে আমরা মজা করছিলাম। সেখান থেকেই দুষ্কৃতীরা আমাদের লক্ষ্য করে। এরপর আজ দুপুর ১২ টায় হঠাৎ আক্রমণ হয় আমাদের উপর। সিপিআইএম দলের প্রতাপ, বাপি, সঞ্জিত সকলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার বাবা, ভাই এবং আমাকে কোপায়। খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই তারা বাড়িতে আসে। আমার জ্যাঠার পেটে গভীর আঘাত লাগে। আমি আগে থানায় (Murshidabad) জানিয়েছিলাম। কিন্তু জানিয়ে লাভ হয় না। পুলিশ কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি।

    সিপিআইএমের বক্তব্য

    সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক (Murshidabad) জামির মোল্লা বলেন, আক্রান্ত পরিবার বিজেপির হলেও বিষয়টা পারিবারিক। এই ঘটনায় সিপিআইএমের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। বিষয়টিকে ইচ্ছে করে রাজনৈতিক রং দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Nandigram: নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর গড়ে রক্ষাকবচ মিলল ১৫ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীর। এদিন নন্দীগ্রামের (Nandigram) জয়ী ১৫ জন বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ কোনওভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না তাদের। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চ। জানা গিয়েছে  এখনও পর্যন্ত এই  বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে শাসক দল, যাতে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন না করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, এর আগে নন্দীগ্রামের মেঘনাদ পাল-সহ ৭ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ এদিন তালিকায় ফের জুড়ল ১৫ জন। সব মিলিয়ে ২২ বিজেপি প্রার্থী রক্ষাকবচ পেলেন হাইকোর্ট থেকে৷

    হাইকোর্টে কী বলল বিজেপি?

    বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিজেপির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে বলা হয়, নন্দীগ্রামে (Nandigram) একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে তারা। সামনেই বোর্ড গঠন। যাতে বোর্ড গঠন না করা যায় সেই কারণেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এদিন এনিয়ে ভর্ৎসনার মুখেও পড়েন রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতিজয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, সবাই কি জয়ী প্রার্থী? রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘সেটা জানি না…’ এরপরেই বিরক্ত হন বিচারপতি। পাল্টা আবার প্রশ্ন করেন, “তাঁরা যে বিজেপি করেন, সেটা জানেন? আর জয়ী প্রার্থী কিনা সেটা জানেন না? অ্যাক্টিং কেন করছেন?”  এরপরেই আগামী সোমবার পর্যন্ত বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভাল ফল বিজেপির

    ২০০৭ সাল থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে নন্দীগ্রামের (Nandigram)। ওই বছরের ১৪ মার্চ বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিয়োগ ওঠে সাধারণ কৃষকদের ওপর। মারা যান ১৪ জন প্রান্তিক চাষী। প্রবল গণআন্দোলন শুরু হয় এরপর। যার জেরে ২০১১ সালে পতন হয় বামফ্রণ্ট সরকারের। সেদিনে সেই গণআন্দোলনের নেতা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের বিধানসভায় নন্দীগ্রাম আসন থেকেক জেতেন শুভেন্দু। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগদান করেন শিশির অধিকারীর পুত্র। ২০২১ সালের বিধানসভার ভোটে নন্দীগ্রাম কার দখলে থাকবে এনিয়ে লড়াই তুঙ্গে ওঠে। কোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনে প্রার্থী হন। বিজেপির প্রার্থী হন শুভেন্দু। ফল বেরতে দেখা যায় পরাস্ত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটেও নন্দীগ্রামের সিংহভাগ পঞ্চায়েতে জয় লাভ করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই আক্রান্ত বিজেপি কর্মী, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই আক্রান্ত বিজেপি কর্মী, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ আগস্ট বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতার হুঁশিয়ারির পরই জেলায় জেলায় বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো শুরু হয়েছে। দুদিন আগেই নদিয়ার গয়েশপুরে এক বিজেপির পঞ্চায়েত নির্বাচনে এজেন্টের বাড়িতে তৃণমূলের লোকজন চড়াও হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার বারাবনি বিধানসভার সালানপুরে কল্যা পঞ্চায়েতের ১১৪ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম কপিলদেব মৃধা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    সালানপুরের কল্যা এলাকায় কপিলদেব বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এলাকায় তিনি দলের হয়ে নেতৃত্ব দিতেন। এবার ১১৪ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী থাকলেও বুথে কোনও বিরোধীদের কোনও এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, ভোট লুট করে তৃণমূল এই বুথে জয়লাভ করেছে। ভোটে জয়লাভের পর থেকে এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে বিজেপি কর্মী কপিলদেবের বাড়়িতে চড়াও হয়। তাঁকে সকলের সামনে বাড়ি থেকে বের করে পেটায়। বাড়়িতে হামলা চালানো হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী কপিলদেব বলেন, ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকে বিরোধীদের এলাকায় থাকতে দেবে না। আমি এলাকায় সক্রিয় বিজেপি পার্টি করি, এটাই আমার অপরাধ। তাই, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে বিজেপি করার জন্য শিক্ষা দিতেই হামলা চালায়। আমার বাড়ি ভাঙচুর করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা অভিজিৎ রায় বলেন, অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের উপর হামলা চালানোর জন্য ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। দলীয় কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর বিষয়টি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ আরমান বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। নিজেদের পারিবারিক গন্ডগোলের দায় আমাদের উপর চাপানো হচ্ছে। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক, তাহলেই প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁশকুড়া (Purba Medinipur) থানার চকগোপাল গ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষ। এর ফলে দুই পক্ষের আহত বেশ কয়েকজন কর্মী। বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি জয়লাভ করার পরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ইতিমধ্যে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দিকে পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হবার পর তৃণমূলের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। ইতিমধ্যে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল ও বিজেপি, দুই তরফ থেকেই থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকা এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত পাঁশকুড়ার চকগোপাল এলাকা।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) বিজেপি কর্মী অলোককুমার দুলই বলেন, চকগোপাল গ্রাম বহুদিন ধরে সন্ত্রাস কবলিত। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কাজ করে জনজীবনকে অস্বস্তিতে রেখেছিল। মানুষ জানেন যে, এলাকাকে সন্ত্রাস কবলিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে একমাত্র বিজেপিই মুক্ত করতে পারবে। আর তাই গত বিধানসভায় মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। ঠিক একই রকম ভাবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন। ফলে বিজেপি এলাকায় জয়ী হওয়ার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ করে। বাড়ির মহিলাদের মারধর করে বাড়ি, ঘর ভাঙচুর করে! এমনকি বাড়ির সামনে রাখা গাড়ি এবং টোটকেও ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের উপর বিজেপির আক্রমণের ঘটনা মিথ্যা। আক্রান্ত আরেক বিজেপি কর্মী দিলীপ দুলই বলেন, ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল, অবশেষে গতকাল রাতে এলাকায় বিজেপি করি বলেই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল কর্মী বিশ্বনাথ দুলই বলেন, আমরা চাষ করে দিনপাত করি। এলাকায় তৃণমূল করি। গতকাল রাত ১০ টার সময় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ দেখি প্রায় ১০ জন বিজেপির কর্মী এসে বাড়িতে হামলা করে। দোষ আমার একটাই কেন তৃণমূল করি! অপর দিকে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত রায় বলেন, বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাঁকা মাঠে তাজা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হল ১১ বছরের এক কিশোর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। জখম কিশোরের নাম নুর ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মনোহরপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে নুর ইসলাম গরুকে জল খাওয়াতে যায়। ফাঁকা মাঠে ঘাসে কিছু পড়ে থাকতে দেখে সে। কিছু বুঝতে না পেরে তার ওপর পা দিয়ে দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। গুরুতর জখম হয় ওই নাবালক। বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকে উদ্ধার করে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আরও দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে তারা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। আরও কোথাও তাজা বোমা পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন জখম কিশোরের পরিবারের লোকজন?

    বোমায় জখম কিশোরের দাদু সেখ সোহরাব বলেন, বাড়ির গরু ও ছাগলকে ফাঁকা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেঁধে দিয়ে আসা হয়। গরু ও ছাগলকে জল দেওয়ার জন্য ফাঁকা মাঠে গিয়েছিল নাতি। তখনই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।  আমাদের প্রশ্ন, এই বোমাগুলি কোথা থেকে এল? আমার অনুমান, আশেপাশে আরও বোমা পড়ে রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য গোটা রাজ্যে বোমা-বন্দুক অবৈধভাবে জড়ো করা হয়েছে। তারই ফলশ্রুতি হল এই ঘটনা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার অভিযোগ উঠলেও কিছুতেই কমছে না বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন নদী থেকে রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর বালি। আবার কোথাও গরুর গাড়িতে করে চুরি হচ্ছে বালি। আরামবাগ ও গোঘাট এলাকায় এমনই বেআইনি বালি চুরিতে ক্ষতি হচ্ছে নদী বাঁধের। ফাঁকি যাচ্ছে রাজস্ব কর। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের তুষ্ট করেই চলছে এই কারবার। ইতিমধ্যে দুদিন আগেই অভিযান চালিয়ে দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে আরামবাগ থানার পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি? যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বালি মাফিয়াদের মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    কীভাবে রাতের অন্ধকারে রমরমিয়ে বালি চুরি করে মাফিয়াদের একাংশ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাট ও আরামবাগের (Arambagh) দ্বারকেশ্বর নদীতে যে সমস্ত বৈধ্য বালি খাদান ছিল তা সবই সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। অভিযোগ, তার পরেও বেশ কয়েকটি বালি খাদান থেকে বালি চুরি হচ্ছে অবাধে। রাতের অন্ধকারে নদীতে ট্রাক্টর ও গরুর গাড়িতে করে বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই সমস্ত বালি চুরি চলছে মাফিয়াদের একাংশের মদতে। এলাকায় তৃণমূলের দাদাদের তুষ্ট করেই বালি মাফিয়ারা এই কারবার চালাচ্ছে। প্রথমে মাফিয়াদের কাছে ট্রাক্টর পিছু ১০০০ টাকা করে তাদের তোলা দিতে হচ্ছে। তবেই ছাড় মিলছে খাদানে নামার। পরে অবশ্য বালি নিয়ে যাওয়ার আগে আরও পৃথক ভাবে তাদের শ্রমিক ও রাস্তা মেরামতি বাবদ দিতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। এই ভাবেই প্রায় রাতের পর রাত বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরামবাগে ট্রাক্টরে করে যেমন চুরির অভিযোগ উঠেছে, ঠিক তেমনি গোঘাটে গরুর গাড়িতে করে নদী থেকে বালি চুরি করে অন্য জায়গায় মজুত করা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যেভাবে বালি কেটে পাচার হচ্ছে তাতে করে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা এলাকায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নদী বাঁধে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। কিন্তু কেন প্রশাসন এতদিন কোনো নজরদারি চালায়নি? প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির নেতাদের বত্তব্য, শাসক দল ও পুলিশের মদতে চলছে এই বালি চুরির ঘটনা। তৃণমূলের মদতেই বালি মাফিয়াদের রমরমা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠেছিল এক সপ্তাহ আগে। ঘটনাটি কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নির্যাতিতা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে লড়াই করার পর অবশেষে বুধবার ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামল বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ওই নির্যাতিতা নবম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৮ জুলাই সে স্কুলে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ স্কুলে থাকার পর সে অসুস্থ বোধ করে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কয়েকজন যুবক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পরে, তাকে গণধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে উদ্ধার করে নার্সিংহোম এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরও ওই নাবালিকা স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে, থানায় তারা মিসিং ডায়েরি করেন। কিন্তু, নিখোঁজ হওয়া নাবালিকাকে খোঁজার বিষয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি আন্দোলনে নামে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে দুদিন আগে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কালজানি বাজারে রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, স্কুল থেকে বাড়়ি ফেরার পথে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করা হল। গত ৬ দিন ধরে ওই নাবালিকা কোথায় ছিল তা পরিবারের লোকজন জানেন না। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলায় মেয়ের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Meeting: মধ্যরাত পর্যন্ত দিল্লিতে শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কী নিয়ে হলো আলোচনা?

    BJP Meeting: মধ্যরাত পর্যন্ত দিল্লিতে শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কী নিয়ে হলো আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর দু’দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-র সঙ্গে আলোচনায় বসলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে বৈঠক করলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত ১১ টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে মধ্য়রাত অবধি। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের ফল থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।

    রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

    সোমবারই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-র যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন,  তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট করেন সুকান্ত। দ্বিতীয় দফার বৈঠক ছিল মঙ্গলবার রাতে। আগে রাত দশটা থেকে বৈঠক শুরুর কথা ছিল। কিন্তু রাজস্থানের নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় সময় পিছিয়ে ১১টা করা হয়। সেই মতো রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, দুই পর্যায়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয় শাহের। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের সন্ত্রাস এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার ফলাফলের নিরিখে সাংগঠনিক পর্যালোচনা হয়। মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে।

    আরও পড়ুন: মরশুমের শুরুতেই একের পর এক মৃত্যু! ডেঙ্গি সংক্রমণ হতে পারে লক্ষাধিক!

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। ইতিমধ্যে বাংলায় আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন শাহ। লোকসভা নির্বাচনে দলকে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, কয়েকঘণ্টার শাহি-বৈঠকে সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। সেবার ২ থেকে একলাফে তাদের আসন বেড়ে হয়েছিল ১৮। প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share