Tag: bjp

bjp

  • Coochbehar: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি

    Coochbehar: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কোনও সংস্কার করতে হলেই দিতে হবে পুরকর। এমনই নির্দেশ জারি করেছে কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভা। যা নিয়ে পুরসভা এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুরসভার হাজার হাজার বাসিন্দা চরম ক্ষুব্ধ। আর এই ইস্যুকে সামনে রেখেই আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

    পুরসভার নতুন নির্দেশিকা কী? (Coochbehar)

    কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভা এলাকায় পুরানো বাড়ি কেউ সংস্কার করলে, বাড়িতে কেউ টাইলস বা মার্বেল বসাতে চাইলে পুরসভাকে আগে কর দিতে হবে। পুরসভার নতুন ফরমান অনুযায়ী পুরসভার সব বাসিন্দাকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আর এতেই পুরসভার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। একই সঙ্গে ভবানীগঞ্জের বাজারে বহু বছর ধরে ব্যবসায়ীরা রয়েছে। পুরসভার নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ব্যবসায়ী নিজের দোকান কাউকে বিক্রি করতে পারবে না। কোনও ব্যবসায়ী দোকান বিক্রি করতে চাইলে পুরসভাকে তা হস্তান্তর করতে হবে। বৃহস্পতিবারই দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে মিছিল করে পুরসভায় জমায়েত হন। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে দরবার করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার সার্বিক পরিষেবা বলে কিছু নেই। মূলত এই পুরসভা এলাকায় একাধিক রাস্তা বেহাল রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। অথচ পুরসভার প্রচুর টাকা রয়েছে। কারণ, ভবানীগঞ্জের বাজার মিনি মার্কেট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরসভা প্রচুর টাকা পুরকর সংগ্রহ করে। কিন্তু, সেই টাকার কোনও পরিষেবা নেই। এখন বাড়ি সংস্কারে পুরকর ধার্য করেছে পুরসভা। এটা বাস্তবে নেওয়া কি ঠিক? পুরসভা গা জোয়ারি করে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। পুরসভার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। পুরসভার এই অবিবেচক সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এই ধরনের নিয়ম বদলানোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের এই আর্জি মেনে সিদ্ধান্ত বদল না করলে আমরা আগামীদিনে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, পুর আইন অনুযায়ী আমি এই কাজ করেছি। পুর আইনের বাইরে আমি কিছু করিনি। সামনে নির্বাচন আছে তাই বিজেপি এসব করেছে। এটা নিয়ে আমার কাছে বলার কিছু  নেই।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: কোচবিহারে ভাঙন শাসক দলে, গেরুয়া শিবিরে যোগদান ২ নেতার

    Bjp: কোচবিহারে ভাঙন শাসক দলে, গেরুয়া শিবিরে যোগদান ২ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে যেন তৃণমূলের ঘর ভেঙেই চলেছে। ফের শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে (Bjp) যোগদান করতে দেখা গেল কোচবিহার জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতাকে। বুধবার গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন কোচবিহার ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সিতেন বর্মন এবং চেয়ারম্যান অমল চন্দ্র সরকার। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই বারংবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কোচবিহার। লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গাড়িতে হামলা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেরও। ঝরে বেশ কতগুলি তরতাজা প্রাণ। এতকিছুর পরেও ভোটের ফল ঘোষণা হতে দেখা যায়, বিজেপি (Bjp) জোর টক্কর দিয়েছে শাসকদলকে।

    আরও পড়ুুন: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    অস্বস্তিতে শাসক শিবির…

    কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লক থেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন শাসক দলের সুমিতা বর্মন এবং সহ-সভাপতি হন আব্দুল জলিল আহমেদ। কিন্তু সেই ব্লকেই দলের ভাঙনে জোর অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। এদিন দলত্যাগী দুই নেতাই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, উত্তরবঙ্গে ক্রমশই পায়ের তলায় মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা ভোট যত এগোবে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক তত বাড়বে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চার গির্জায় ভাঙচুর, পোড়ানো হল বাইবেলও, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খ্রিস্টানরা

    কী বলছেন দলত্যাগী ২ নেতা

    দলত্যাগী দুই নেতা বৃহস্পতিবার একঝাঁক কর্মী সমর্থক নিয়ে বিজেপিরজেলা অফিসে হাজির হন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়। বৃহস্পতিবার শাসকদলের দুই নেতাকে স্বাগত জানাতে কোচবিহার জেলা বিজেপির (Bjp) পার্টি অফিসে হাজির ছিলেন জেলা কমিটির একাধিক নেতা। দুই দলত্যাগী নেতার বক্তব্য, তৃণমূলে কোনও নীতি আদর্শ নেই। কোচবিহার জেলা তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। এখানে কেউ কাউকে মানে না। তাই মানুষের কাজ করতেই বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিজেপির (Bjp) জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘ওঁরা দুজনেই তৃণমূলের ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি (Bjp) জয়েন করলেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের হাতছাড়া শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতি। জেলার মধ্যে এই প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি। অতীতে কখনও বামফ্রন্ট, পরবর্তীতে তৃণমূলের হলেও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি এই প্রথম দখল করল বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। 

    কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি হলেন নৃপেন মণ্ডল। তিনি হরিপুর ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছিলেন। অপরদিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন চঞ্চল চক্রবর্তী, তিনি আবার ফুলিয়া টাউনশিপ ২৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিজয়োল্লাস লক্ষ্য করা যায়। এদিনের বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, চাকদা বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Nadia) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যেভাবে বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোটই দেবে না মানুষ। তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি অঞ্চল সভাপতির মতো আচরণ করছেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া, মারধর করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। শাসকের এত হিংসার পরেও মানুষ বিজেপিকে জয়যুক্ত করেছেন। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করলেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শান্তিপুরের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর দাবি, বিজেপি বারবার দাবি করে এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়বে। যেদিন এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার হবে, সেদিন এই রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পরিণত হবে। এই রাজ্যে তৃণমূল আছে বলেই মা বোনেরা এখনও স্বাধীনভাবে রাস্তায় বেরোতে পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোকানের মালিকানার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটে শুরু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বনধ। এখানেই রয়েছে হংকং মার্কেট। পাহাড়, জঙ্গল ঘুরতে এসে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা একবারের জন্য হলেও হংকং মার্কেটে আসেন বিদেশি পণ্য কেনার জন্য। কিন্তু এদিন হঠাৎ করে বাজার বন্ধ থাকায় অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পরও দোকানের মালিকানা না পেয়ে এদিন ব্যবসা বনধ ডাকার পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। এই মিছিলে পা মেলান সমস্ত ব্যাবসায়ী ও কর্মচারীরা। সুবিশাল মিছিল বিধান মার্কেট থেকে শুরু হয়ে শহরের মূল রাস্তা পরিক্রমা করে।

    কেন এই ব্যবসা বনধ?

    দেশভাগের পর উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষের পুনর্বাসনের জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) এই বাজার তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। সেই মতো এই বাজারের নামকরণ করা হয় বিধান মার্কেট। কিন্তু, এতদিন পরেও বংশানুক্রমে ব্যবসা করে আসা ১৬২০ জন ব্যবসায়ী দোকানের মালিকানা তথা জমির সত্ত্ব পাননি। দোকানের মালিকানার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিধান মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা। রাজ্যের শাসক দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। শিলিগুড়ি- জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (এস জে ডি) সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেও ব্যবসায়ীরা দোকানের মালিকানা পাননি। অবশেষে ধর্মঘটের পথে হাঁটেন ব্যাবসায়ীরা। বিধান মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা বলেন, এরপরেও এসজেডিএ যদি আমাদের দাবি পূরণ না করে তাহলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।

    ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    এদিকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও তাঁর দল। দোকানের মালিকানা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেবিষয়ে তিনি বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সবরকমভাবে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে রাজু বিস্তা রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে  প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি রোহিঙ্গাদের পাট্টা দেওয়া হয়, তাদের ভারতের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, তাহলে বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কেন দোকানের পাট্টা দেওয়া হবে না?

    কী বলছে এসজেডিএ?

    এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, এদিনই বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। তারা এলে আলোচনা করে গোটা বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করার কথা বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করার কথা বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে জেলে ঢোকানো উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যুজুড়়ে তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে। বিজেপিও এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার কথা কেন বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    বুধবার তমলুক জেলা পরিষদের জয়ী বিজেপি সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, যাদবপুরের ছেলেটা আত্মবলিদান দিয়ে চোখ খুলিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের অন্য কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কি হচ্ছে কোনও খবর আছে? তিনি অভিযোগ করেন, কোন কলেজ হোস্টেলগুলোতে সিসিটিভি কিংবা সুপার আছে? আসল সমস্যার সমাধান না করে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। একে ধরছে, ওকে ধরছে আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরা উচিৎ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। যেখানেই হাত দেবেন পচা গন্ধ বের হবে কোনও দফতরই ভালো না। যাদের যোগ্যতা নেই তাঁদের রেজিষ্টার, প্রো ভিসি করা হয়েছে। অ্যাডমিশন বেচে খেয়েছে। যারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কালেক্টর ছিল। ডিয়ার লটারি ও মদ খাইয়ে যুব সমাজকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তাই আজ কলেজে অনার্স বিভাগে ৫০ শতাংশ সিট খালি থাকে।

     বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ গঠন নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, জেলা পরিষদের বিজেপির ১৪ জন জয়ী সদস্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবে। কিন্তু, সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। বিগত বোর্ডের সময় জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের সৌজন্যে জেলা পরিষদ পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছিল। আমরা তা আর হতে দেবোনা। দলের ১৪ জন সদস্য দক্ষ বিরোধী দলনেতা ঠিক করবে। সেই সুদক্ষ বিরোধী দলনেতা জেলা পরিষদের স্বচ্ছভাবে কাজ যাতে হয় তা দেখবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই চটুল গানে তৃণমূল নেতাদের নাচানাচি, বিতর্ক

    Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই চটুল গানে তৃণমূল নেতাদের নাচানাচি, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়া -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস লাগোয়া সরকারি ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের প্রার্থীদের চটুল গানের তালে তালে নাচানাচি করার অভিযোগ উঠল। সেই নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?(Howrah)

    এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাওড়া (Howrah) জেলা পরিষদের এক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য শামসুল আলম তরফদার এবং বাঁকড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজন সদস্যকে গায়ে সবুজ আবির মেখে আইটেম সং এর তালে তালে নাচতে। সানি লিওনের জনপ্রিয় আইটেম সং ‘লায়লা মে লায়লা’ গানের তালে তালে নাচতে থাকা শামসুল আলম তরফদার সহ অন্যদের ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এরা জন প্রতিনিধি। এরা সাধারণ মানুষকে সুস্থ সংস্কৃতি শেখাবে, তার বদলে যদি এরাই চটুল গানের তালে তালে নাচতে থাকে তাহলে তা দেখে সাধারণ মানুষ বা ছোট বাচ্চারা কী শিখবে?

    কী বললেন বিতর্কিত তৃণমূল নেতা?

    বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শামসুল আলম তরফদার বলেন, এই নাচের মধ্যে কোথাও খারাপ কিছু দেখছি না। আর ওটা পঞ্চায়েত অফিস নয়। পঞ্চায়েত অফিসের পাশের একটি ভবন। তৃণমূল কংগ্রেস জানে কোথায় কী করতে হয়। যেখানে নাচ হচ্ছে কোথাও লেখা দেখাতে পারা যাবে না যে সেটা বাঁকড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। তিনি বলেন, খুশিতে নেচেছি। আমি নাচতে পারি, গাইতে পারি। অনেক কিছুই করতে পারি। খেলতে পারি এবং খেলাতে পারি। সেটা যদি কেউ হিংসা করে তাতে আমি কী করব। এখনও আমার ভিতরে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। সেটা সময়মতো দেখতে পাবেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    হাওড়ার (Howrah) বিজেপি নেতা উমেশ রায় বলেন, এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গিয়েছে শহিদ দিবসে মেয়েদের নিয়ে পাগলু ডান্স করতে। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। ওরা এটাও বোঝে না পঞ্চায়েত অফিস বা সরকারি কার্যালয় মানুষকে সেবা করার একটা মন্দির। এই লজ্জাকর ঘটনা ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই আমাদের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। শুধু আরামবাগ নয়, হুগলি জেলায় প্রথম বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করল। যদিও বোর্ড গঠনের আগেই একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে যায়। খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৫ টি আসনে। আর বাকি ১৮ টি আসনের দখল নেয় বিজেপি। সেই কারণে এদিন সকাল থেকে বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক জমায়েত হন। প্রথমদিকে সামান্য উত্তেজনা হওয়ার পর বিজেপি বোর্ড গঠন করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    এদিন আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। ঘটনার সূত্রপাত, ব্লক অফিসে একটি অচেনা গাড়ি ঢোকাকে কেন্দ্র করে। অচেনা গাড়ি দেখে হঠাৎ করে বিজেপি কর্মীরা বাধা দেন। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতেই বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ করেন। বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই বাধ্য হয়েই পিছু হটতে হয় পুলিশকে। যদিও পরে, শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠন হয়। প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এই খানাকুলে তৃণমূল এতদিন সন্ত্রাস কায়েম করে রেখেছিল। এবার মানুষ বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে নতুন বিজেপি বোর্ড। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমাদের কর্মীরা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে গিয়েছিল, সেখানে পুলিশ তাদের ওপর অমানবিকভাবে বিনা দোষে লাঠি চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শাসক দল চেয়েছিল পুলিশকে দিয়ে বোর্ড গঠন বানচাল করে পঞ্চায়েত সমিতি দখল নেবে। কিন্তু, আমাদের কর্মীরা মার খেয়েও এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি। তাই, এতদিন পর আমরা বোর্ড দখল করলাম।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপির বাধায় আমাদের কর্মীরা যেতে পারেনি। যাওয়ার পর ওরা যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তাতে কর্মীরা বাধ্য হয়ে ফিরে আসে। তবে পুলিশের উপর হামলা করেছে বলে জানতে পারছি। এ ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদার হবিবপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি, বোর্ড গঠন বাতিল করল প্রশাসন

    Malda: মালদার হবিবপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি, বোর্ড গঠন বাতিল করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী না থাকার কথা জানিয়ে সোমবার বাতিল হয়ে গেল পূর্ব নির্ধারিত মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন। পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকা তৃণমূলকে সন্তুষ্ট করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে বিজেপির অভিযোগ। এদিন পূর্ব নির্ধারিত সময়ে বোর্ড গঠনের জন্য বিজেপির লোকজন হবিবপুর ব্লক প্রশাসনের কার্যালয়ে এসে বোর্ড গঠন স্থগিতের নোটিশ টাঙানো দেখে ক্ষুব্ধ হন। হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার অর্ডার জারি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ বিজেপি সমর্থকরা মালদার (Malda) হবিবপুর বিডিও অফিসে গিয়ে জানতে পারে, আজ বোর্ড গঠন হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন স্থগিত করা হয়েছে জানতে পেরে ব্লক জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। প্রশাসনের তরফ থেকে তাদেরকে বোঝানো হয়। অবশেষে নোটিশ হাতে করে তারা ফিরে যায়। জানা গিয়েছে, হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৩৩ টি। বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭ জন সদস্যের। নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি- ১৭, তৃণমূল- ১৩, সিপিআইএম- ২ এবং কংগ্রেস- ১ টি আসনে জয়ী হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মহিলা তফশিলি জাতি সংরক্ষিত একটি আসনে বিজেপি’র এক বিজয়ী প্রার্থী সুলেখা সিংহের জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো বলে বাতিল করা হয়েছে তৃণমূলকে সন্তুষ্ট করতে। এদিন বিজেপির বিধায়ক জয়েল মুর্মু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির বিজয়ী প্রার্থী সুলেখা সিংহের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করে তাঁর জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করেছে প্রশাসন। তৃণমূলকে খুশি করতেই এই ব্যবস্থা। সোমবার বোর্ড গঠনের ভোট ছিল। এদিন আমরা এসে দেখি, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকার কথা উল্লেখ করে বোর্ড গঠন স্থগিত রাখার নোটিশ টাঙাচ্ছে। এদিন বোর্ড গঠনের দিন ধার্য করেছিল প্রশাসন। তাহলে কেন পুলিশি ব্যবস্থা আগে নেওয়া হয়নি। আসলে বিজেপি যাতে বোর্ড গঠন করতে না পারে এটা সেই চক্রান্ত। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্বের?

     স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনিক। তাই, এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে হারিয়ে ১০টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল বিজেপি

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে হারিয়ে ১০টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় বাজিমাত করল বিজেপি। তৃণমূলের খাসতালুকেই এখন গেরুয়া বাহিনীর দাপট। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা প্রায় দূরবীন দিয়ে দেখতে হত। এখন সেখানে জেলার একাধিক ব্লকেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বহু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। যা এতদিন ভাবা যেত না। বহু জায়গায় বোর্ড গঠন করতে পেরে বিজেপি কর্মীরাও চাঙ্গা।

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় কটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি?

    এই জেলায় (Murshidabad) লোকসভার তিনটি আসন রয়েছ। এর মধ্যে দুটি তৃণমূলের এবং বিধানসভায় ২২ টি সিটের মধ্যে ২০ টি তৃণমূলের। সেখানে কী করে বিজেপি এতগুলি সিট পেল সেই নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় চলছে চুলচেরা বিচার। ভরতপুর বিধানসভার টেঁয়া-বদ্যিপুর, বহরমপুর ব্লকের হাতিনগর গ্রাম প়ঞ্চায়েত, বেলডাঙ্গা বিধানসভার মহুলা গ্রাম পঞ্চায়েত, বড়ঞা ব্লকের কুরুন্ননুন, বেলডাঙ্গা-১ ব্লকের চৈতন্যপুর-২, বহরমপুর ব্লকের রাঙামাটি চাঁদপাড়া, বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের রামনগর বাছড়া, বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের কামনগর, বড়ঞার বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েত, কল্যাণপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির প্রধান নির্বাচিত হয়েছে। বিজেপির উপ প্রধানও হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন,  বিজেপির সাহায্য নিয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করছে। স্বাভাবিক কারণে এই জেলায় কিছু কিছু জায়গায় স্থানীয় রাজনীতির উপর ভিত্তি করে অনেক কিছু হয়েছে। তাই বিজেপিও বেশ কয়েকটি বোর্ডে ক্ষমতায় এসেছে। তবে, মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে আমাদের অধিকাংশ জায়গায় দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোদিজির উন্নয়নকে মানুষ বিশ্বাস করেছে। তৃণমূলের একচেটিয়া রাজকে তছনছ করে বিজেপিকে চেয়েছে। যার ফলে জেলায় (Murshidabad) বিজেপির এইরকম রেজাল্ট হয়েছে। জেলায় দশটি পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান রয়েছে। আর আটটা উপপ্রধান রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৭ জন জয়ী হয়েছে। জেলায় ৩৭৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবার জয়ী হয়েছে। সংখ্যালঘু জেলায় বিজেপির উপর আস্থা বাড়ছে এই ঘটনা তা প্রমাণ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে মেরে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভার ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের থানুপাড়া এলাকায়। জখম ওই বিজেপি কর্মীর নাম হরিশ চন্দ্র  দাস। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে স্থানান্তরিত করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)   থানুপাড়া এলাকা জুড়ে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তৃণমূল কর্মীরা সেই পতাকা খুলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে থানুপাড়ার বাসিন্দা সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ চন্দ্র  দাস পতাকা খোলাতে বাধা দেন। পতাকা খোলাতে বাধা দিলেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হয়। সেসময় এলাকার আরও দুজন বিজেপি কর্মী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের বাঁ চোখে গুরুতর চোট লাগে। এরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, রবিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কুমারগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক মনোজ ওরাও বলেন,  অত্যন্ত গরিব সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। ওই এলাকায় আমাদের বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মী কার্তিক চন্দ্র রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে ইট,পাথর দিয়ে ঢিল ছোঁড়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন,এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। এই পারিবারিক বিবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপির নোংরা রাজনীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share