Tag: bjp

bjp

  • Manipur: ‘‘রাহুল গান্ধী চান মণিপুরে ভারতীয়দের ওপর গুলি চালাক সেনা’’ তোপ বিজেপি নেতা রবি শঙ্করের

    Manipur: ‘‘রাহুল গান্ধী চান মণিপুরে ভারতীয়দের ওপর গুলি চালাক সেনা’’ তোপ বিজেপি নেতা রবি শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) হিংসা ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী কেরলে দাঁড়িয়ে মণিপুর ইস্যু নিয়ে বলেন যে মণিপুরে সেনাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কি তার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ১৯৬৬ সালে আইজলে বায়ু সেনাকে বোমা ফেলার নির্দেশ দিয়ে কী লাভ হয়েছিল? রাহুল গান্ধীকে তুলোধোনা করে রবি শঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কি আশা করেন যে উত্তপ্ত মণিপুরের (Manipur) সেনাবাহিনী ভারতীয়দের উপর গুলি চালাবে? শান্তি সম্প্রীতি ফেরাবে?  

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পাল্টা দিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের সময় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন যে মণিপুরে (Manipur) ভারত মাতাকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে তখন লোকসভার ভিতরে প্রধানমন্ত্রী মোদিও সরব হন। এবং বলেন, ‘‘এক নেতা যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে ভারতবর্ষের গরিমা নষ্ট হচ্ছে।’’  রবি শঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, ‘‘সংসদে রাহুল গান্ধী বলেছেন যে মণিপুরে ভারত মাতা খুন হয়েছে, ও না বোঝে দেশ, না বোঝে রাজনীতি! এমনকি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ।

    মণিপুর (Manipur) ইস্যু 

    এদিন কংগ্রেসের নেতৃত্বে একের পর এক গণহত্যার উদাহরণও টেনে আনেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। এবং তিনি বলেন, ‘‘ ১৯৮৪ সালে সাম্প্রদায়িক অশান্তির মধ্যে দিয়ে কীভাবে দিল্লিতে শিখ দাঙ্গা করা হয়েছিল। এটাই হল কংগ্রেস, যা সবসময় ভাগ করে ভারতকে। বিরোধীরা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। এবং এ প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন লোকসভায় সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কথা। রবি শঙ্কর প্রসাদ এদিন আরও বলেন, ‘‘মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রেখেছেন লোকসভায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ১ ঘণ্টার উপরে বক্তব্য রেখেছেন। মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে বিরোধীরা প্রথমে অভিযোগ জানিয়েছিল যে মোদির কিছু বলা উচিত! যখন নরেন্দ্র মোদি বলতে লাগলেন, তখন বিরোধী নেতারা তাঁর বক্তব্যের মাঝে বাধা দিতে থাকলো।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Priyanka Gandhi Vadra FIR: বিজেপি সরকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে এফআইআর

    Priyanka Gandhi Vadra FIR: বিজেপি সরকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যেপ্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বাঢরা। আর এরপরেই তাঁর বিতর্কিত অভিযোগের উপর মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে, থানায় এফআইআর (Priyanka Gandhi Vadra FIR) করল বিজেপি। বিজেপির লিগ্যাল সেলের কনভেনর নীমেশ পাঠক এই এফআইআর করেছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য।

    মূল অভিযোগ কী (Priyanka Gandhi Vadra FIR)?

    মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার বিশেষ দুর্নীতি করেছে, এই অভিযোগের কথা বলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা এক্স ট্যুইটারে একটি চিঠি বিনিময় করেন। এই চিঠিতে জ্ঞানেন্দ্র অবস্তি নামক এক ব্যক্তির ভুয়ো বার্তালাপ সামজিক মাধ্যে ব্যাপক ভাইরাল করেন বলে অভিযোগ। এই বার্তালাপে বলা হয় সরকারি কাজের জন্য ৫০ শতাংশ টাকা কমিশন দিতে হবে। যে সকল কনট্রাকটর সরকারি কাজের ঠিকাদারি করেন, তাঁদের সকলকেই এই টাকা দিতে হবে। কর্ণটাকেও ৪০ শতাংশ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য এই ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়ার চিঠিটি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ, অরুণ যাদবও সামজিক মাধ্যমে বিনিময় করেন। শ্রীমতী গান্ধি বঢরা আরও অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যের কনট্রাকটাররা হাইকোর্টে ন্যায়ের জন্য দ্বারস্থ হয়েছেন। পাল্টা এই চিঠিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বিজেপি থেকে ইন্দোরে কংগ্রেস নেত্রী এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪২০ ধারায় জালিয়াতি এবং ৪৬৯ ধারায় মানহানির বিশেষ অভিযোগ করে এফআইআর করেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    মধ্যপ্রদেশের বিজেপি লিগ্যাল সেলের নেতা নীমেশ পাঠক বলেন, সামজিক মাধ্যমে কংগ্রেসের নেতারা মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। বিজেপির ভাবমূর্তি এবং সম্মানহানি করার অপচেষ্টা করছেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধি। আর এই সম্মানহানির বিরুদ্ধেই পুলিশের কাছে এফআইআর (Priyanka Gandhi Vadra FIR) করা হয়েছে। অপর দিকে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রা বলেন, কোনও বিষয় এখন কংগ্রেস কর্মীদের কাছে নেই, তাই অপ্রচার করছেন প্রিয়ঙ্কা। রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা প্রথমে রাহুল গান্ধিকে দিয়ে মিথ্যা বলিয়েছেন। এখন আবার প্রিয়ঙ্কাকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলাচ্ছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ আদালত, কেন জানেন?

    Raiganj: তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ আদালত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের এক জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ (Raiganj) জেলা আদালত। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের ২০ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে। এই আসনে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী সেলিমা খাতুন। এই আসনের বিজেপি প্রার্থী রমা বর্মন তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

    কেন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা?

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী সেলিমা খাতুন জলসম্পদ দফতরের (গ্রুপ ডি) চুক্তিভিত্তিক কর্মচারি। পঞ্চায়েত আইনে কোনও সরকারি দফতরের গ্রুপ ডি পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা ভোটে দাঁড়াতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মতো বিজপির পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ (Raiganj) জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতের বিচারপতি পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী ওই তৃণমূল প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ কোথাও দেখাতে কিংবা জমা করতে পারবে না বলে রায় দেন। আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচী বলেন, ‘হেমতাবাদ ২০ নং জেলা পরিষদ আসনের তৃণমূল প্রার্থী সেলিমা খাতুন জলসম্পদ দফতরের গ্রুপ ডি ক্যাজুয়াল স্টাফ। সে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না, এই মর্মে মামলা দায়ের করে রমা বর্মন। জেলা আদালতের বিচারপতি ওই প্রার্থীর উইনিং সার্টিফিকেট কোথাও ব্যবহার করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন। কার্যত তা বাতিল করা হল।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ যোশি বলেন, ‘মনোনয়ন জমা করার সময় আমরা জানতে পারি নির্বাচন কমিশনের যে গাইডলাইন, তাতে বলা আছে কোনও সরকারি কর্মচারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমরা জানতে পারি তৃণমূল প্রার্থী একজন গ্রুপ ডি কর্মী। সরকারি কর্মচারি হয়ে নমিনেশন ফাইল করেছেন, তখন আমরা রায়গঞ্জে (Raiganj) আদালতের দ্বারস্থ হই। তারই স্থগিতাদেশ হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্ক্রুটিনিতেও কি করে বিষয়টি ধরা পড়লো না এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ-সাজসের অভিযোগ আনেন তিনি।

    তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর স্বামী কী বললেন?

    সেলিমা খাতুনের স্বামী মজিবুর রহমান বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোনও তথ্য এখনও পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্ত্রীর নমিনেশন যদি অবৈধ হত তাহলে তা  স্ক্রুটিনিতেই ধরা পড়ত। তাঁকে উইনিং সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশন দিয়ে দিয়েছে। বিজেপি যেখানে ভোটে লড়াই জিততে পারে না সেখানে হয়তো আমাদেরই কিছু লোক তাদের সঙ্গে মিলে এ সমস্ত অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আর যদি সত্যিই কোর্টের এমন কোনও নির্দেশ আমার কাছে আসে তাহলে আমরাও আইনি পথে লড়ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বোর্ড গঠন করার সময় প্রথমে অসুস্থ এবং ঠিক তারপরেই আকস্মিক মৃত্যু হল বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতির। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল এলাকায়। প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনাই মৃত্যুর কারণ বলে জানা গেছে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা(Nadia)?

    নদিয়ায় (Nadia) আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের চার নম্বর বুথের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি জিতেন সর্দারের আজ এভাবেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। জানা যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। মোট কুড়িটি আসন আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতে। যার মধ্যে বিজেপির দশটি এবং তৃণমূলের দশটি। তাই আজ বোর্ড গঠনের জন্য অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সাথে তিনিও ছিলেন উৎকণ্ঠার মধ্যে। সেই সঙ্গে ছিল বোর্ড গঠন ঘোষণার প্রতীক্ষা! প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    খবর পেয়ে রানাঘাটের (Nadia) সাংসদ জগন্নাথ সরকার ছুটে যান মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে। তিনি পরিবারবর্গের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন এবং মৃত কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। তিনি বলেন, ৪ নম্বর বুথের প্রথম সভাপতি ছিলেন জিতেনবাবু। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিয়েও বিজেপির জন্য কাজ করতেন। বোর্ড গঠনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত গরম এবং উত্তেজনায় মারা গেছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, তিনি শান্তিপুর (Nadia)  গোবিন্দপুর অঞ্চলে একটি তেল মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর দুটি নাবালক পুত্রসন্তান, স্ত্রী এবং মা রয়েছেন। মৃতদেহ শান্তিপুরে দাহ করা হবে বলেই জানা গেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বোর্ড গঠন ঘিরে হানাহানি এবং মারধর-সন্ত্রাসের ঘটনার যে কী ভয়ানক পরিণতি হতে পারে, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) খানাকুলের রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে আজ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপির প্রচুর কর্মী সমর্থক। টসে জিতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি, আর এরপর শুরু হয় এরপর তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় চারিদিকে। তৃণমূলের কর্মীরা বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে চড়াও হয় বিজেপির উপরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় প্রচুর পুলিশ।

    কেন উত্তেজনা (Hooghly)?

    বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগত লোক নিয়ে অশান্তি করতে আসে। আর তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে এলাকার সাধারণ মানুষ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা খানাকুলের (Hooghly) রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েত চত্বরে। আরও জানাগেছে, এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল ৯ টি করে মোট আসনের সমান সামন হয়ে গেছে। এইদিন বোর্ড গঠনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপক্ষেরই মতামত নিয়েই টস করে, আর তাতে ফলাফল ঘোষণা হলে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপি প্রধানের পদ দখল করে। ঠিক তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। ঘটনার জেরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) বিজেপি নেতা অশোক মালিক বলেন, এখানে বিজেপি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে। আর তাই বিজেপি বোর্ড গঠন করায় বহিরাগত গুন্ডাদের ভাড়া করে এনে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ জেগে গেছে। তৃণমূলের চোরদের মানুষ চিনে নিয়েছে। এবার আসল খেলা খেলবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আসন সমান সমান হওয়ার জন্য অনেক তৃণমূল কর্মী এবং বিজয়ী প্রার্থীরা বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছে। এই চোরেদের পাশে মানুষ নেই বলে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে দুষ্কৃতীরা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) এক তৃণমূল নেতা সুকুমার শিকদার বলেন পাশের পঞ্চায়েতে আমার বাড়ি, আমি নিজে তৃণমূল কংগ্রেস করি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত গঠন হবে বলে এসছি। কিন্তু এসে দেখি বিজেপির পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর উপরেও আক্রমণ হয়েছে বলে জানান তিনি। এই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যা গরিষ্ঠতায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও আরামবাগের (Hooghly) সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতে প্রধান পদ দখল নিলো বিজেপি। এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য হুগলিতে। উপপ্রধান আসনে তৃণমূল বসলেও, সংরক্ষণের কারণে, প্রধানের আসন হাতছাড়া হলো তৃণমূলের। অপর দিকে প্রধানে বাজিমাত বিজেপির।

    আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতে কত আসন  (Hooghly)?

    সালেপুর  (Hooghly) পঞ্চায়েতে মোট ১৬ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬ টি আসন জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই পঞ্চায়েত প্রধান আসন দখল নিলো বিজেপি। এখানে ৬ টি বিজেপি পেলেও, ১০ টি আসনে জয়ী হয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তার পরেও সংরক্ষিত আসনের জেরে প্রধান হতে পারেনি তৃণমূল।

    আসন সংরক্ষণ কেমন?

    জানা গেছে, ওই পঞ্চায়েতের  (Hooghly) প্রধান আসন এসটি(ST) ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল  সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন দখল করলেও এসটি এবং মহিলা কেউ জয়ী হতে পারেনি। আর তার জেরেই কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডি। যদিও উপপ্রধান পদে বসেন তৃণমূলের সত্যজিত চক্রবর্তী। এইদিনে বোর্ড গঠনে পঞ্চায়েতের সামনে জমায়েত হয় প্রচুর বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকরা। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রধান বিজেপির হতেই আনন্দে উচ্ছ্বাসে বিজেপি সমর্থকদের। গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সালেপুর পঞ্চায়েতে  (Hooghly) প্রধান নির্বাচিত হয়ে পূর্ণিমা মান্ডি বলেন যে এলাকায় অনেক কাজ করতে হবে। এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন এবং পানীয় জলের সমস্যাগুলিকে আগে মেটাতে হবে। যাঁদের ঘর বাড়ি নেই তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গির প্রভাব থেকে সকলকে সচেতন করতে হবে। জনগণের জন্য সরকারের সকল প্রকল্পের সুভিধা গুলিকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ব্লকের এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধান প্রার্থী আদিবাসী সমাজের জন্য সংরক্ষিত। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে এখানে। আমরা তৃণমূল মাত্র ৫ ভোটে পরাজিত হয়েছি। আমাদের তৃণমূল দলের নির্দেশে উপপ্রধান পদের জন্য একজনকে স্থির করা হয়েছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত চালাতে গিয়ে বিজেপি যদি অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের ১০ জন সদস্যদের নিয়েই প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করব। আশাকরি প্রধান সহযোগিতা করবেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলি জেলার খানাকুলে বিজেপি (BJP) বিধায়কের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিধায়কের গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের কিশোরপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সামনে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gram Panchayat Election)

    খানাকুলের কিশোরপুর-১ নং পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৩ টি। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৮ টি। আর বিজেপি জয়ী হয় ৫ টি আসনে। সেই জয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ করাতে গিয়েছিলেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। অভিযোগ, সেখানেই তৃণমূল নেতা নঈমুল হকের নেতৃত্বে বিধায়ককে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইট ছোঁড়া হয়। সেই ইটের আঘাতে জখম হন বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী। পাশাপাশি বিধায়কের গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। তারপরেই জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে খানাকুল থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ বসেন বিজেপি বিধায়ক। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। পাশাপাশি আরামবাগ -গরেরঘাট ও কলকাতা,তারকেশ্বর ১৬/২০ রুটে খানাকুল বাসস্টপে রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, দলীয় জয়ী প্রার্থীদের (Gram Panchayat Election) নিয়ে যাওয়ার সময় ওরা এই হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল বোর্ড গঠনের দিনই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। আসলে এলাকায় ওরা তাণ্ডব করতেই এই হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা নঈমুল হক বলেন, বিজেপি (BJP) বিধায়ক আমাদর দলের জয়ী প্রার্থী নিজের দলে টানার চেষ্টা করছিলেন। সেটা এলাকার মানুষ বুঝতে পেরে প্রকাশ্যে প্রতিরোধ করেছে। সাধারণ মানুষ সরব হয়েছে। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সংযোগ নেই। ওরা আমাদের নামে এসব অভিযোগ করে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: নদিয়ায় বিজেপির প্রধানকে অপহরণ, অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতিবাদে জাতীয় সড়়ক অবরোধ

    Krishna Nagar: নদিয়ায় বিজেপির প্রধানকে অপহরণ, অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতিবাদে জাতীয় সড়়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের পর বিজেপির (BJP) নির্বাচিত প্রধানকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর-২ নম্বর (Krishna Nagar) ব্লকের ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের ২১টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ১১টিতে জয় লাভ করে বিজেপি। ৮ টি পায় তৃণমূল। ২টি আসনে সিপিএম জয়লাভ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে বৃহস্পতিবার শাসকদলের হাত থেকে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। অভিযোগ,বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত ভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার সময়  জোরপূর্বক অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে শাসকদল  তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনের বিরুদ্ধে। বিজেপি মনোনীত প্রধানকে অপহরণের পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। যার ফলে উভয়পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। এবং ধুবুলিয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে তৃণমূলের লোকজন এই  কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এছাড়াও খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হতে হয় সংবাদ কর্মীদের। দুর্বৃত্তদের হাতে মার খেয়ে মোবাইল ফোন ভেঙে যায় একজন সংবাদকর্মীর। এছাড়াও সংবাদ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবটাই পুলিশের সামনে ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পরে, এদিন বিকেলের পর বিজেপির প্রধানকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপির (BJP) প্রধান গৌতম সরকার বলেন, বোর্ড গঠনের পর আমাকে নিয়ে টানাটানি হয়। তাতে আমার চোট লাগে। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? (Krishna Nagar)  

    বিজেপি (BJP) নেতা সৈকত সরকার বলেন, বিজেপি বোর্ড গঠন করেছে বলে ওরা আমাদের প্রধানকে অপহরণ করেছিল। তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছিলাম। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, বিজেপি (BJP) সংখ্যগরিষ্ঠতা পেলেও ওরা ভোটাভুটিতে হেরে যাচ্ছিল দেখে এসব নাটক করেছিল। অপহরণের ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। ওদের সবই বানানো গল্প।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

    Panchayat Board: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় গণনা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের এমন অভিযোগে চক্ষু চড়ক গাছ হয়েছিল ভোটারদের। শেষে কিনা তাঁদের জনমত পেটে! এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার সেই অবাক করা ঘটনার পুনরাবৃত্তি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Panchayat Board)৷ তৃণমূল সদস্যা এবার খেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ব্যালট নয়। তাঁর পেটে গেল বিজেপি প্রার্থীর জয়ের শংসাপত্র। আর এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তোলপাড় উত্তর দিনাজপুর জেলা৷

    কীভাবে ঘটল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা (Panchayat Board)?

    জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নং কমলাবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া ছিল। ফলে সকাল থেকেই টান টান উত্তেজনার পরিবেশ ছিল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শুরু হয় যাবতীয় প্রক্রিয়া। অথচ বেলা বাড়তেই আচমকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরে যখন প্রধান নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি চলছিল, তখন হঠাৎ তৃণমূলের এক সদস্যা বিজেপির জয়ী সদস্যর শংসাপত্র হাত থেকে কেড়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে টপাটপ মুখে পুড়ে নেন। যা দেখে হতভম্ব হয়ে যান সেখানে উপস্থিত অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এমন ঘটনা মনে করিয়ে দিল গত মাসে সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যবাসী নিন্দায় মুখর হয়। এবার সেই ছায়া উত্তর দিনাজপুরে পড়ল।

    কী জানালেন বিজেপির সদস্য, কী জবাব দিল তৃণমূল?

    বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল সরকারের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তৃণমূল সদস্য সোনা টোপ্পা তাঁদের এক সদস্যর হাত থেকে শংসাপত্র ছিনিয়ে খেয়ে নেন। বোর্ড হাতছাড়া হতে দেখে এমনই পথ বেছে নেয় তৃণমূল, যাতে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে না পারে৷ কিন্তু তৃণমূলের সেই অপচেষ্টা রুখে দিয়ে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পেরেছে। যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের সোনা টোপ্প৷ তাঁর দাবি, বিজেপি ভোটাভুটি করতে চাইছিল না। সে কারণে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: খেজুরিতে বোর্ড গঠনে বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Board: খেজুরিতে বোর্ড গঠনে বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি-২ ব্লকের নিজ কসবা এলাকায় পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনজন বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে একাধিক পুলিশ কর্মী জখম হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নিজ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৮টি। তারমধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১২টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ১৬টি আসন। বৃহস্পতিবার এই পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিন ধার্য করা হয়। সেই মতো বিজেপি এবং তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন। উত্তরদিকে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত হন। আর দক্ষিণদিকে জমায়েত হন বিজেপি কর্মীরা। প্রথমে দুই দলের কর্মীদের নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেটা বাড়তে বাড়তে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে,  পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। চলে গুলিও। বিজেপির জয়ী প্রার্থীর স্বামী সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মীও জখম হন। পরে, ভোটাভুটিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপির জয়ী সদস্য মৌসুমী মণ্ডল প্রধান নির্বাচিত হন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, তৃণমূলই এদিন জমায়েত করে এলাকায় সন্ত্রাস করেছে। আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ৩ জন কর্মী আমাদের গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা  হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আহত তিন বিজেপি কর্মীকে শিল্যাবেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। জখম একাধিক পুলিশ কর্মীকে জনকা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবাশিস দাস বলেন, বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিনে বিজেপি গণ্ডগোল পাকানোর জন্য ব্যাপক জমায়েত করেছিল। ওরাই এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

    হুগলির ফুরফুরায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে বোমাবাজি

    হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরায় পঞ্চায়েত বোর্ড (Panchayat Board)  গঠন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, ফুরফুরার পঞ্চায়েত গেটে তালা ঝোলানো ছিল। আইএসএফ এই তালা দিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ তালা খুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। পরে, বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। আইএসএফের অভিযোগ, এই পঞ্চায়েতে আইএসএফ জয়ী হয়েছে। তৃণমূল দাবি করছে তারা জয়ী হয়েছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় বোর্ড গঠন করা ঠিক নয়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আইএসএফ এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share