Tag: bjp

bjp

  • Panchayat Board: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    Panchayat Board: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড (Panchayat Board) গঠন করা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। কারণ, হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল তৃণমূল। কিন্তু, বোর্ড গঠনের দিন এরকম রাজনৈতিক চমক তৃণমূল নেতৃত্ব আশা করেনি। বোর্ড গঠনের দিনই আচমকাই তৃণমূল  ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করল। আর তাতেই পঞ্চায়েত বাজিমাত করল তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন ৩ জন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী। সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকেও বোর্ড গঠন করতে পারল না তৃণমূল। এই পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৩ টি। তার মধ্যে বিজেপি ৯ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। আর তৃণমূল পেয়েছিল ১৪টি আসন। কিন্তু,বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই চমক দেয় বিজেপি। তিন জন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী বিকাশ দাস, দেবাশিস সিং ও অসীমা কারক বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপরই পাল্লা ভারী হয় বিজেপির। ৯ টি আসন থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১২ টি। আর তৃণমূলের আসন কমে দাঁড়ায় ১১ টি। তারপরেই প্রার্থীদের নিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের জন্য হাজির হয় বিজেপি। পঞ্চায়েত মোড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জমায়েত করে রয়েছে। রয়েছে পুলিশও।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ী প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ী প্রার্থী বিকাশ দাস দলেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এই দলের সঙ্গে থাকা যায় না। আমরা এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল ছেড়়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম। কারণ, মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, আগে মুচলেকা দিয়েছে প্রার্থীরা, তারপর যোগদান করানো হয়েছে। আসলে তারা আমাদের দলকে ভালবেসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। কোনও ভয় দেখানো হয়নি। তৃণমূল  দুর্নীতিগ্রস্ত দল। তাই, কেউ ওই দলের সঙ্গে থাকতে চাইছে না। বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠন করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা দুখীরাম দলুই বলেন, টাকার লোভেই তারা বিজেপিতে গিয়েছে। দলকে ভালবাসলে ওদের তৃণমূলের ফিরে আসা দরকার। এভাবে দল বদল করে মানুষের আস্থা পাওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালায় তৃণমূল। প্রথমে প্রশাসনের কর্মীদের রাস্তা আটকে পঞ্চায়েতে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা পঞ্চায়েত অফিসে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার কার্যত বোর্ড গঠন ঝুলে রইল জলপাইগুড়ির রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার  দিন ধার্য্য থাকলেও বোর্ড গঠন ঝুলে রইল ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই অঞ্চলে। এই গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ২৪টি। বিজেপি এবং তৃণমূল পেয়েছে ১২ টি করে আসন। টসের মাধ্যমে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের জন্য ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের মাঝ পথেই এদিন তাঁদের আটকে দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি (BJP) নেতা কর্মীরা তাদের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গঠনের জন্য আসলেও তৃণমূলের কোনও জয়ী প্রার্থী না আসায় বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত থাকে। এদিকে বিজেপি নেতা কর্মীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যেতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ জানিয়েছে, ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে তারা। পুলিশের কথা শুনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের আন্দোলনের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে দেন। তবে, এদিন দুপুর পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঝুলে রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) ময়নাগুড়ি ব্লকের উত্তর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক শান্ত স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, আমরা শান্তিপূর্নভাবে এদিন বোর্ড গঠনের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের লোকজন ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের আটকে দেয়। তার ওপর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এদিন আর বোর্ড গঠন হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেল। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমরা এই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে অবস্থান করব, যাতে তৃণমূল অন্যায়ভাবে এসে বোর্ড গঠন করতে না পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গ্রেফতার করিয়েও শেষরক্ষা হল না তৃণমূলের, টসে জিতে মেখলিগঞ্জে বোর্ড গঠন বিজেপির

    BJP: গ্রেফতার করিয়েও শেষরক্ষা হল না তৃণমূলের, টসে জিতে মেখলিগঞ্জে বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পুলিশ বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের পুরানো মামলার সূত্র ধরে গ্রেফতার করে আটকে রাখছে। বোর্ড গঠনের সময় থেকে রাজ্যজুড়ে এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বোর্ড গঠনের এক দিন আগে বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিজেপির সেই জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যই হয়ে গেলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

    কেন গ্রেফতার বিজেপির জয়ী সদস্য?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন গণনাকেন্দ্রের সামনে ঝামেলা করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি (BJP) নেতা রমানাথ বর্মনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই সোমবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতে যান তিনি। বিজেপির অভিযোগ, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই পুলিশ তৃণমূলের কথা মতো মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    কী করে বিজেপি বোর্ড গঠন করল?

    হলদিবাড়ি ব্লকের পার মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪টি। এবার ভোটে বিজেপি (BJP) জয়ী হয়েছে ৭টি, তৃণমূলের দখলে আসে ৬টি আসন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক পায় একটি আসন। যদিও পরবর্তীতে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূল ও বিজেপির আসন সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়। সে কারণেই একজন জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতারির পর বিজেপির অভিযোগ ছিল, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এদিকে ঘাসফুল ও পদ্ম শিবিরের আসন সংখ্যা সমান হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় টসেই ঠিক হবে প্রধান। সেই টসে জিতে পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে যান বিজেপির জয়ী সদস্য রমানাথবাবু। বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। উপপ্রধান হয়েছেন ডলি রায়। এদিকে গ্রেফতারির পর পুলিশ রমানাথকে আদালতে তুললে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়ে যান। অংশ নেন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়। লটারিতে রাতারাতি তাঁর ভাগ্য ফিরে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে বিডিও অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    South 24 Parganas: ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে বিডিও অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামখানা (South 24 Parganas) ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আজ প্রধান গঠন ছিল। আর সেখানেই শাসক দলের হয়ে নির্বাচন অফিসার ছাপ্পা ভোট করিয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে বিডিও অফিস ঘেরাও করল বিজেপি। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিডিও অফিসের সামনে। অপর দিকে বোর্ড গঠনের পর ফের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত ভাঙড়। বোমায় আহত ৫ আইএসএফ কর্মী, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।

    কেন তালা লাগানো হলো (South 24 Parganas)?

    মূলত শিবরামপুর (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতে মোট ২৮ টি সিট রয়েছে। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে ১৭ টি, অন্যদিকে বিজেপি দখল করেছে ১০ টি এবং সিপিআইএম ১টি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধান, উপপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হলেও বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী অনিতা মন্ডলের নাম ঘোষণা করা হয়। আর সেখানেই নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এরপর বিডিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিডিওর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    মূলত বিজেপির অভিযোগ, বিডিও (South 24 Parganas) হলেন বোর্ড গঠনের নির্বাচন অফিসার, তিনি শাসকদলেকে মদত করতে, শাসক দলের হয়ে ছাপ্পা ভোট করান। ফলে শাসকদলের মনোনীত অর্চনা মাইতিকে প্রধান ও দেবাশীষ দাসকে উপপ্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা করেছেন বিডিও। বিজেপিকে বোর্ড গঠনে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং ভোটদান করতেও দেওয়া হয়নি। আর এই নিয়ে আজ বুধবার দিন নামখানা বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর ভাঙড় আবারও উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ফের বোমাবাজি ভাঙড়ে

    পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর আবারো উত্তপ্ত ভাঙড় (South 24 Parganas)। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পরে আইএসএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে কাশিপুর থানার মাঝেরহাট গ্রামে। বোর্ড গঠনের পরে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাশিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল কর্মীদের মারা বোমের আঘাতে পাঁচ জন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি। আহতদের উদ্ধার করে জিরান গাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে মাঝেরহাট গ্রামের আইএসএফ কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    Suvendu Adhikari: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে পিংবনিতে সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওবিসিতে বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে কেবল মাত্র ভোটের অঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) তোপ মমতাকে

    পিংবনির সভা থেকে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দাগলেন। এই আক্রমণের প্রধান তির ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘রানিমা হেলিকপ্টারে করে জঙ্গলমহলে কুম্ভকার-দলিতরা কেমন আছেন, তা দেখতে এসেছেন। সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী সভা করছেন। আপনারা না চিনলেও আমি পিসিকে হারে হারে চিনি। ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম। জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা খুঁজে পাননি। কীভাবে লালগড় যেতে হয়, সেই রাস্তাটাও জানতেন না। ২০০৯ সালে আমি রাস্তা চিনিয়েছিলাম।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হারিয়েছি নন্দীগ্রামে, আদালতে ফাইনও জমা করেছিলেন তিনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে যদি প্রাক্তন না করতে পারি, ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই আমরা। আপনার আদরের দুলালটি জেলে যাবে। বালি, পাথর, গরুর পর এখন ব্যালট খায় তৃণমূল।’’

    ওবিসিদের নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    পিংবনি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এই রাজ্যে তোষণ ও দুর্নীতির জন্য সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ওবিসিরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওবিসিতে বিশেষ ধর্মের মানুষকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। সংরক্ষণ নীতিকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এই ওবিসিদের মধ্যে আছেন কুড়মি, কুম্ভকার, স্বর্ণকার। কিন্তু তাঁরা বঞ্চিত।‘‘ চাকরি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়েও সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অষ্টম তফসিলে সাঁওতালি ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। মুখ্যমন্ত্রীর মারাং প্রকল্পের সমালোচনা করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর কথিত অলচিকি ভাষা আদতে লিপি। তাই শুভেন্দু বলেছেন, ওসব ভুলভাল, মারাং কী জিনিস মমতা জানেন না, আদতে মুখ্যমন্ত্রী অশিক্ষিত। রাজেশ মাহাতো বিক্রি হতে পারেন, তবে মাহাতো সমাজ বিক্রি হওয়ার লোক নয়। কুড়মিরা বিক্রি হওয়ার লোক নয়।‘‘

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বোর্ড গঠনের দিনই পঞ্চায়েত অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বোর্ড গঠনের দিনই পঞ্চায়েত অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর। বুধবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অনন্তপুর, মোস্তাফানগর ও ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন স্থির করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই মতো এদিন নির্ধারিত সময়ে বোর্ড গঠনের জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু আচমকাই মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে বাইরে শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ভেঙে যায় দফতরের জানলার কাচ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, ৮ নম্বর মোস্তফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ৩০ টি। ম্যাজিক ফিগার ১৬টি। তার মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৩ টি আসনে। বিজেপি (BJP) পেয়েছে ৮ টি,কংগ্রেস ৩ টি, সিপিএম ২ টি ও নির্দল ৪ টি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৮ সালে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠন করলেও ২০২৩ সালের নির্বাচনে এই পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। এদিন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন ধার্য্য করেছিল ব্লক প্রশাসন। কিন্তু, বোর্ড গঠন শুরুর মুহূর্তে পঞ্চায়েত দফতরে বোমাবাজি চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে কেউ হতাহত না হলেও জানলার কাঁচ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা গৌরাঙ্গ দাস বলেন, বোর্ড গঠনে বাধা দিতেই তৃণমূল এই গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে। পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয় পঞ্চায়েত দফতরে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গিয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    বোর্ড গঠনের দিনই বিজেপি প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ

    অন্যদিকে, বোর্ড গঠনের আগে রাস্তা থেকেই বিজেপির (BJP) ৩ ও ১ নির্দল সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে অপহৃত চার পঞ্চায়েত সদস্যর নাম ধীরেন রায়,অষ্টমি রায়, আদোরি বর্মন ও পঞ্চমী রায়৷ এদের মধ্যে পঞ্চমী রায় নির্দল জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    এদিন বোর্ড গঠন উপলক্ষ্যে চার জন সদস্য গাড়ি করে পঞ্চায়েত দফতরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ডালিমগাঁ পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের রাস্তা থেকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার পর থেকে এখনও কোনও খোঁজ নেই বিজেপির ৩ ও নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যর। উল্লেখ্য ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৮ টি। ২০২৩ সালে ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতে সর্বাধিক আসনে জয়ী হয় বিজেপি (BJP)। তাদের মোট আসন ১২ টি। অন্যদিকে তৃণমূলের দখলে যায় ১১ টি আসন। বাকী সিপিএম ২ টি, কংগ্রেস ২ টি ও নির্দল ১ টি আসনে জয়লাভ করে। এদিন বোর্ড গঠনের আগেই বিরোধী চার পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা কর্মীরা।

    অপহরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতা গৌতম বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যাতে বোর্ড করতে না পারে সেজন্য দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের অপহরণ করেছে তৃণমূল। এদিকে এই ঘটনায় পালটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে তোপ দেগেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাধন সরকার বলেন, বিজেপির প্রধান কে হবেন তা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই জয়ী সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে, বোর্ড গঠনের পথে গেরুয়া শিবির

    BJP: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই জয়ী সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে, বোর্ড গঠনের পথে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলাতেও তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা দল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছে। বহরমপুর জেলা কার্যালয়ে বেলডাঙ্গা-১ ব্লকের চৈতন্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুজন জয়ী তৃণমূলের সদস্য বিজেপিতে যোগদান করলেন। তৃণমূলে ধস নামিয়ে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বাজিমাত করতে চলেছে বিজেপি।

    পঞ্চায়েতে বিজেপির আসন সংখ্যা কত হল?

    চৈতন্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৪টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ৫টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। ৬টি বিজেপির (BJP) দখলে রয়েছে। বাকী ৩ টি আসন বিরোধীদের দখলে রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের হাত থেকে  বেলডাঙ্গা -১ নম্বর ব্লকের চৈতন্যপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থী শ্যামলী হালদার এবং সুফল দাস বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন। দুজন জয়ী প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ৮ জন। আর তৃণমূলের আসন কমে হল ৩ জন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জয়ী প্রার্থী সুফল দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকার বলেন, জেলার প্রতিটি অঞ্চল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ফোন আসছে। তৃণমূল সন্ত্রাস করে ভোটে জয়ী হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলে কেউ থাকতে চাইছে না। তাই, বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে। চৈতন্যপুর-২ পঞ্চায়েতে আমরা সব থেকে বেশি আসন পেয়েছিলাম। কিন্তু, বোর্ড গঠনের জায়গায় ছিলাম না। দুজন সদস্য যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    নওদার তৃণমূল বিধায়ক সাইনা মমতাজ বেগম বলেন, আসলে মানুষের লোব। মোটা টাকা লোভ দেখিয়ে বিজেপি (BJP) ওদের দলে টেনে নিয়েছে। এসব করে মানুষের মনে ওরা জায়গা করতে পারবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। গোয়ালতোড় কলেজ (Paschim Medinipur) মাঠের পর পিংবনিতেও সভার অনুমতি বাতিল করল পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি। সভা বাতিল করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির। পাল্টা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। আজ হাইকোর্ট থেকে বিচারতি জয় সেনগুপ্ত সময় বেঁধে দিয়ে পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা করার অনুমতি দিলেন। 

    মূল অভিযোগ কী (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসের দিন, একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে সভা করবেন, ঠিক সেই সময় গোয়ালতোড়ে (Paschim Bardhaman) সভা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথমে জেলা বিজেপির তরফে গোয়ালতোড় কলেজ মাঠে সভা করার কথা ঠিক করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এরপর পিংবনিতে এই সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, ইচ্ছে করেই শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি প্রত্যাহার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি সহ-সভাপতি শংকর গুচ্ছাইত বলেন, পুলিশ অনৈতিক ভাবে সভা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন। পিংবনির মাঠের কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে আমাদের সভার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বারবার সভাকে বাতিল কারার কথা বলছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সভা বলেই পুলিশ বাধা প্রদান করছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ জোর করে সভাকে বাতিল করার অপচেষ্টা করছেন। বিজপির সভাকে নিয়ে দলদাস পুলিশ তৃণমূলের মতন আচরণ করছেন। এই সভায়, রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা জনজাতি সমাজের মানুষকে সম্মানিত করবেন। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সভা বাতিলের চেষ্টা করছেন পুলিশ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা হাইকোর্টে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব। অবশেষে আজ হাইকোর্ট পিংবনিতে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি বলেছেন- সবার অনুমতি দেবে কি দেবে না তা পুলিশের ব্যাপার। এর সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • BJP: তৃণমূলের সন্ত্রাস! বোর্ড গঠনের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা

    BJP: তৃণমূলের সন্ত্রাস! বোর্ড গঠনের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইকের খাসতালুক কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি শাসকদল। সেখানে বিজেপিই (BJP) কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত ক্ষমতা দখলের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে শাসকদলকে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বোর্ড গঠনের আগে পর্যন্ত ঠিকানা দলের জেলা কার্যালয়। দলের কোনও সদস্যকেই ভয়-ভীতি দেখিয়ে বা কোনও প্রলোভন দিয়ে শাসক দল তাদের দিকে টানতে না পারে তারজন্যই পঞ্চায়েত সদস্যদের বোর্ড গঠনের অনেক আগেই রবিবার রাত থেকে দলের জেলা কার্যালয়ে সেভ জোনে রাখা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা বলেন, কুমারগ্রামে জয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। এখানে নির্বাচিত সদস্যরা নির্দিষ্ট সময়ে বোর্ড গঠন করতে যেতে পারলে বিজেপির দখলেই আসবে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। তৃণমূলের সন্ত্রাস তো চলছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে প্রলোভন দিয়ে যাতে দলের কোনও সদস্যকেই ভাঙ্গাতে না পারে তারজন্যই আমরা দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় রেখেছি।

    কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা কত?

    কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ৯টি, বিজেপি-৮টি, সিপিএম ২টি, নির্দল-১টি এবং কেপিপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছে। জানা গিয়েছে, বোর্ড গঠনে সিপিএম অংশগ্রহণ করবে না। নির্দল জয়ী প্রার্থী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে নির্দল প্রার্থী এবং কেপিপি-র জয়ী প্রার্থী তৃণমূলের দিকে রয়েছে। ফলে, বোর্ড গঠনে বিজেপির (BJP) পাল্লা ভারী। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি, বিরোধী শিবিরের অন্যান্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থন তাদের পক্ষেই রয়েছে। তারা গেরুয়া শিবিরকেই বোর্ড গঠনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী ১৪ আগস্ট কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। তার আগে দলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা দলের জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়ায় তাদের সঙ্গে দেখা করেন দলের জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গা।  কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত কে বিজেপি পাখির চোখ করেছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে গেরুয়া শিবির তৃণমূলের জেলা সভাপতিকেই কার্যত রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে চাইছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক  বড়াইক দাবি করেছেন, কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও প্রভাব প্রতিপত্তি না খাটিয়েই শেষ পর্যন্ত শাসক দল সেখানে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই সেখানে নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও তৃণমূলকে বোর্ড গঠন করতে সহযোগিতা করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    BJP: হুগলির বিজেপি নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন স্ত্রী। মৃত বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। তাঁর বাড়ি হুগলির গুড়াপে। ধনেখালি-২ মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন তিনি। ৫ অগাস্ট নদিয়ার কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    গত ৪ অগাস্ট চুঁচুড়ায় বিজেপির (BJP) হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সুদীপ। ৩ অগাস্ট বিকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনকে ফোনে ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন মগরায় রয়েছি। ৫ অগাস্ট বাড়ি ফিরব। সেদিনই পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। সুদীপের দুই সন্তান আছে। সুদীপের স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ বলেন, ‘যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে, তারা শাস্তি পাক। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুক। শ্বশুর-শাশুড়ি সহ আমি অনেকবার বলেছিলাম পার্টি ছেড়ে দিতে। শুধু দলকে ভালবাসত বলে বিজেপি করত। দলকে ভালবাসতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই চলে গেল। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা যেই হোক না কেন, যেন শাস্তি পায়। সুদীপের বাবা সুফল ঘোষ বলেন, ‘ছেলে বিজেপি দলের সক্রিয় কর্মী। এলাকায় ভাল সংগঠন তৈরি করেছিল। আর তার এই উত্থানে শাসকদল বিপদে পড়ে যাচ্ছিল। তাদের সংগঠনের লোক কমে যাচ্ছিল। তাই ছেলেকে সরিয়ে দিতে পারলে শাসকদলের সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আমার ধারণা। ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুগলি জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘পুলিশকে না জানিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ নামিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেও তার মাথায় একটি দাগ ছিল, পায়েতেও কালশিটে দাগ। তাই আমরা কোনওভাবে মনে করছি না এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্বেকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে।’

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির (BJP) কোনও মণ্ডল সভাপতিকে মারতে যাবে। এসব ফালতু কথা। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share