Tag: bjp

bjp

  • TMC: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    TMC: বাড়ি কিনে তোলাবাজির মুখে শিক্ষক, ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে তাণ্ডব, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বাড়ি কিনেছেন। আর কাউন্সিলারের কাছে নজরানা পাঠাননি। এটাই পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমনাথ সর্দারের অপরাধ। পেশায় শিক্ষক সোমনাথবাবু এত সব নিয়ম জানতেন না। তাই, বাড়ি কেনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের কাছে থেকে তাঁর কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে ফোন আসে বলে অভিযোগ। সেই টাকা না দিলে তার বাড়িতে তাণ্ডব চালায় হয় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  সোমনাথ সর্দারের বাবা অসুস্থ। বাড়িতে সদ্যোজাত সন্তান রয়েছে। পরিবারের আরও অনেক সদস্যদের সামনে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের অনুগামীরা চড়াও হন। এর আগে ১০ জুলাই কাউন্সিলারের ছেলেরা চড়াও হয়েছিলেন। এবার চড়াও হয়ে বাড়ির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ৫ লক্ষ টাকা অবিলম্বে কাউন্সিলারে কাছে পৌঁছে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পরে, সোমনাথবাবু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    কী বললেন অভিযোগকারী শিক্ষক?

    সোমনাথবাবু বলেন, নতুন বাড়ি কেনা কী আমার অপরাধ? আমার কাছে থেকে ৫ লক্ষ কাউন্সিলারের লোকজন দাবি করছে। তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার নিজে ফোন করে দেখা করতে বলছে। আর দাবি মতো ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়নি বলে ওরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। বাড়ির ভিতরে তাণ্ডব চালায়। আমার ভাইকে মারধর করেছে। আমার অসুস্থ বাবাকে শারীরীকভাবে হেনস্থা করা হয়। এই ঘটনার পর চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারের কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার হিমাংশু দেব। তিনি উল্টে অভিযোগ করেন, সোমনাথবাবু তাঁর শ্বশুর ও শালির কাছ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে না দেয়নি। শুধু তাই নয় একজন বিধবা মহিলার কাছ থেকে স্থানীয় ক্লাবের নাম করে ৫ লাখ টাকা তিনি নিয়েছেন। সকলেই আমার কাছে জানিয়েছে। অখন তিনি নিজে এসব ঘটনা জড়িয়ে রয়েছেন বলে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির  উত্তর কলকাতা শহরতলির জেলার সহ-সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়  বলেন, এই ঘটনা নতুন নয়। গোটা রাজ্যজুড়েই এমন চলছে। মানুষকে  ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষ যেন ভয় না পেয়ে প্রতিবাদ করে, রাস্তায় বেড়িয়ে এসে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বোর্ড মিটিংয়ে ডাকেনি তৃণমূল, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিজেপি কাউন্সিলারের অভিনব প্রতিবাদ

    BJP: বোর্ড মিটিংয়ে ডাকেনি তৃণমূল, গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিজেপি কাউন্সিলারের অভিনব প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার একমাত্র বিজেপি (BJP) কাউন্সিলার। তাই, বোর্ড মিটিংয়ে না ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি তৃণমূল। তৃণমূলের এই অপমান মুখ বুজে সহ্য করেননি আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানান। যা নিয়ে আরামবাগ শহর জুড়ে ব্যাপত চর্চা শুরু হয়েছে।

    কীভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপি (BJP)  কাউন্সিলার?

    পুরসভার বোর্ড মিটিং এ ডাকা হয়নি তাঁকে বলে দাবি বিজেপির (BJP) এই কাউন্সিলারের। গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে পুরসভা চত্বরে ঘুরে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন তিনি। পুরসভায় বোর্ড মিটিং চলাকালীন গলায় প্ল্যাকার্ড পড়ে সারা পুরসভার বিভিন্ন দফতর ঘুরে ঘুরে তাঁর ক্ষোভের কথা সকলের কাছে তিনি পৌঁছে দেন তিনি। প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘বিরোধী দলের কাউন্সিলর হওয়ার সুবাদে আরামবাগ পুরসভার বোর্ড মিটিং-এ ডাকা হয়নি কেন? জবাব চাই জবাব দাও।’

    কী বললেন বিজেপি (BJP) কাউন্সিলার?

    এবারের পুর নির্বাচনে ১৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৮ টি এবং বিজেপি পেয়েছে ১ টি ওয়ার্ড। বিজেপি (BJP) কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, পুর বোর্ড যেদিন থেকে গঠন করা হয়েছে, তারপর থেকে যত বোর্ড মিটিং হয়েছে কোনওটাতেই আমাকে ডাকা হয়নি। পাশাপাশি পুরসভার সভাকক্ষে  শুক্রবার বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে ১৮ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা থাকলেও আমাকে ডাকা হয়নি।  তারই প্রতিবাদে এদিন অভিনব প্রতিবাদ জানালাম।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ডাকা হয়নি নয়, তিনি আসেন না বোর্ড মিটিংয়ে। না এসে আপনাদের কাছে যাচ্ছে, গিয়ে এইসব বলছে। প্রসঙ্গত, পুরবোর্ড গঠনের পর অনেক ক্ষেত্রেই পুরসভার কাজ থেকে বিরোধী কাউন্সিলারদের বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠে আসে বিভিন্ন জেলা থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই পুরসভার কোনও জনহিতকর না গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী কাউন্সিলরের মতামত নেওয়া হয় না, বিরোধীদের বোর্ড মিটিংয়ে ডাকা হয়না বলে অভিযোগ করা হয়। সেরকমই এক অভিযোগ এবার দেখা গেল আরামবাগ পুরসভাতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গড়বেতায় বিজেপির কর্মীকে পার্টি অফিসের ভিতরে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গড়বেতায় বিজেপির কর্মীকে পার্টি অফিসের ভিতরে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। ফের বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্টকে তুলে নিয়ে এসে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবং, দাঁতনের পর এবার ঘটনাস্থল গড়বেতার মায়তা অঞ্চলের খুনবেড়িয়া। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। শাসক শিবির যাই বলুক না কেন একের পর এক অভিযোগে শাসকদলের অন্তরে অস্বস্তি যে ক্রমে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী ঠিক কী অভিযোগ?

    শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্ট বরুণ রুইদাসকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কা অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার গভীর রাতে ওই বিজেপি কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতেই বিজেপি কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছায় রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সমিত দাস সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সহ সভাপতি সমিত দাস বলেন, বিজেপি পোলিং এজেন্টের কাছে পিকনিকের টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় দলীয় কর্মীর উপর হামলা চালানো হয়। আর আক্রান্ত কর্মী জল চাইলে তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটের তথা বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার নামে আষাঢ়ে গল্প ফাঁদছে বিজেপি (BJP)। পাড়াগত বা পারিবারিক গণ্ডগোল হলেও তৃণমূলের নাম দিয়ে চালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন এলাকায় প্ররোচনা তৈরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মালদায় রাস্তার ধারে উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার ব্যালট! বিক্ষোভে বিজেপি

    BJP: মালদায় রাস্তার ধারে উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার ব্যালট! বিক্ষোভে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়ায়। জেলায় জেলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ৮ জুলাই ভোটের দিনও সকাল থেকেই ছাপ্পা, বোমাবাজি, রাজনৈতিক খুনের খবর আসতে থাকে। ১১ জুলাই গণনাতেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে থেকে উদ্ধার হতে থাকে ব্যালট। শুক্রবার সকালে মালদাতেও দেখা যায় একই চিত্র। মানিকচক ব্লকের মথরাপুর হাটখোলা গরু হাটে অসংখ্য ব্যালট পেপার ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যালটগুলিতে দেখা যায়, বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে  ঘটনাস্থলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা গৌর মন্ডল যান। প্রায় ৩০০০ ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় মানিকচক ব্লকে। দেওয়া হয় ডেপুটেশনও। বিডিও ও প্রশাসন শাসকদলকে জেতাতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে একই চিত্র দেখা যায় গঙ্গাসাগরেও। সেখানেও গণনাকেন্দ্রের বাইরে উদ্ধার হয়েছে অজস্র ব্যালট।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    বিজেপির (BJP) অভিযোগ পত্র

    শুক্রবার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে স্থানীয় মানিকচক ব্লকের বিডিওকে ডেপুটেশনও জমা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ পত্রে, তাঁরা উল্লেখ করেন, নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা হয়েছে। শাসক দল ব্যালট বক্স বদল করেছে বলেও সরব হয় বিজেপি। এপ্রসঙ্গে, মানিকচক ব্লকের একটি বুথের উদাহরণও দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা তথ্য দিয়ে বলেন, উত্তর চন্ডীপুর মানিকনগর বুথে মোট ভোটার ১১০৪ অথচ ভোট পড়েছে ১২৯৮।

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এসডিও এবং বিডিও-এর মদতে বদলে ফেলা হয়েছে ব্যালট বক্স। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, এসডিও এবং বিডিওদের গাড়িতেই এসেছে তৃণমূলের বদলে ফেলা ব্যালট বক্সগুলি। নির্বাচনের নামে এই প্রহসনের শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। প্রয়োজনে তাঁরা হাইকোর্টেও যাবেন বলেছেন।

     

    গঙ্গাসাগরের গণনা কেন্দ্রের পিছনে উদ্ধার ব্যালট পেপার

    অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের গণনা কেন্দ্রের পিছন থেকে মিলল অসংখ্য ব্যালট পেপার। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গঙ্গাসাগর চৌরঙ্গী জনকল্যাণ সঙ্ঘ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে সম্পন্ন হয়েছিল ভোট গণনার কাজ। ঠিক স্কুলের পিছনে পড়ে রয়েছে অজস্র ব্যালট পেপার। বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতীকে ছাপ রয়েছে ব্যালটগুলিতে। কীভাবে ব্যালটগুলি এখানে এল তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাস্থলে চলে আসেন সাগর বিধানসভার বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: জয়ী প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি, থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপি সাংসদ

    Bjp: জয়ী প্রার্থীদের লাগাতার হুমকি, থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের রাতের অন্ধকারে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। এমনই অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হল শান্তিপুর থানার সামনে। এদিন একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে থানার সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দলীয় কর্মীদের নিয়ে অবশেষে থানার সামনে বসে পড়েন বিজেপির (Bjp) সাংসদ। দীর্ঘক্ষণ ধরে থানার গেট আটকে চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। যদিও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তার খাতিরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    থানার ওসিকে তীব্র আক্রমণ

    ভোট পরবর্তী হিংসার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা এবং বিজেপির (Bjp) জয়ী প্রার্থীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে থানা ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির এই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে শান্তিপুর থানার ওসিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। স্লোগান ওঠে ‘তৃণমূলের দালাল ওসি দূর হটো’। ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরো’। ‘তৃণমূলের দালাল ওসি সুব্রত মালাকার দূর হটো’।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    তাঁর দাবি, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারপরে রাতের অন্ধকারে বিজেপির (Bjp) জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যার মদত দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাই। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীদের উপর যদি কড়া ব্যবস্থা পুলিশ প্রশাসন না নেয়, তাহলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তম আন্দোলনের পথে নামবে বিজেপি। শান্তিপুর থানার গেটের সামনে বসে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিজেপি (Bjp) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় এবার বিষ্ণুপুরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার বলি আরও এক বিজেপি প্রার্থী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের কেওড়াডাঙা পঞ্চায়েতের ঘটনা। গণনার দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। তারপর আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিলেন। অবশেষে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভোলানাথ মণ্ডল (৫৩)। রাজ্য জুড়ে ভোটের সন্ত্রাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছে (South 24 Parganas)?

    কেওড়াডাঙা (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের ঘটনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন রাতে তৃণমূলের বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রথম বার। সেই সময় মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। ভোটে মনোনয়নের পর থেকেই ভোলানাথ মণ্ডলকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর গত ১১ জুলাই গণনার দিন বিষ্ণুপুরে ভোটের গণনায় হেরে যান। আর তার পরেই গণনা কেন্দ্র থেকে বেরনোর সময় বিকেলে তাঁকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। এবারও মাথায় আবার আঘাত পান তিনি। এরপর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি শিরাকোলে গিয়ে উঠেছিলেন ভোলানাথ। কিন্তু আজ ভোরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ বেলা বারোটা নাগাদ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভোলানাথ মণ্ডলের। মৃত্যুর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ডায়মন্ডহারবার (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি দীপক হালদার বলেন, তৃণমূলের সন্ত্রাসে সারা রাজ্য উত্তাল। কেবল মাত্র বিজেপি করা এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য খুন করা হয় ভোলানাথ মণ্ডলকে। মনোনয়নের পর থেকেই তাঁকে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল। অবশেষে খুন হতে হল তাঁকে। এই মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হত্যার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ছাপ মারা ব্যালট!

    Panchayat Election 2023: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এবার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ছাপ মারা ব্যালট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার ব্যালট উদ্ধার কুমারগঞ্জে। শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর ব্লকের কুমারগঞ্জের ধাদলপাড়ায় বেশ কিছু ব্যালট (Panchayat Election 2023) দেখতে পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন কুমারগঞ্জের বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রে (ডাম্পিং গ্রাউন্ড) এই ব্যালটগুলি দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ ব্যালটগুলি উদ্ধার করে।

    বিজেপির ছাপ মারা ব্যালটই (Panchayat Election 2023) বেশি

    উল্লেখ্য, কুমারগঞ্জ ব্লকের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা হয়েছিল কুমারগঞ্জ হাই স্কুলে। গতকাল সেই গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর ধারে প্রায় ৪০টি ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বরা। গতকালের ব্যালট উদ্ধারকে নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকি বিক্ষোভে চলে পুলিশের লাঠিচার্জ। আহত হন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। সেই বিক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ব্যালট (Panchayat Election 2023) উদ্ধার। যার ফলে ফের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কুমারগঞ্জে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যালটগুলিতে ছাপ মারা রয়েছে। যার বেশিরভাগ বিজেপির দলীয় চিহ্নে, কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি ও সিপিএমের দলীয় চিহ্নে বেশি ছাপ রয়েছে। গণনার পরপরই একের পর এক ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় গোটা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    একে স্থানীয় বাসিন্দা জানান,আমরা গতকাল দেখেছিলাম কুমারগঞ্জের আত্রেয়ী নদীর ধারে ব্যালট (Panchayat Election 2023) উদ্ধার হওয়া । আজ আবার কুমারগঞ্জে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে প্রায় ৫০ টি ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপির দলীয় চিহ্নে, কিছু বামেদের এবং সামান্য কিছু তৃণমূলের দলীয় চিহ্নে ছাপ রয়েছে। আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ ব্যালটগুলি উদ্ধার করে।

    কী বলছেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, ভোটের (Panchayat Election 2023) নামে প্রহসন হয়েছে। গতকাল নদীর ধার থেকে ব্যালট উদ্ধারের পর এদিন আবার ডাম্পিং গাউন্ড থেকে ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। এভাবেই বিজেপি প্রার্থীদের হারানো হয়েছে। ব্যালট বাইরে থাকার কথা নয়, এর জবাব প্রশাসকে দিতে হবে। এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, ব্যালটের নমুনা প্রিন্ট করে, এটা বিজেপি চক্রান্ত করে করছে। কেউ চুরি করলে কি রাস্তায় ফেলে দেবে? বিজেপি একটা নাটক তৈরি করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    Panchayat Violence: লাঠি, বাঁশ নিয়ে অতর্কিত হামলা, সংঘর্ষ, মারধর, উত্তপ্ত গোঘাট, গলসি, খেজুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট শেষ, গণনাও শেষ। বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট, সন্ত্রাস চালিয়ে তৃণমূল রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছে। কিন্তু শাসক দলের রক্তচক্ষু শান্ত হয়নি। বিরোধীদের উপর একের পর এক হামলা হয়েই চলেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িছাড়া করার ঘটনাও (Panchayat Violence) ঘটেছে হাওড়া জেলার আমতায়। শুক্রবার ফের একাধিক জায়গায় হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।

    ফের ভোট পরবর্তী হিংসা (Panchayat Violence) হুগলির গোঘাটে

    বিজেপি ও তৃণমুল সংঘর্ষে উত্তেজনা গোঘাটের সন্তা এলাকায়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা তৈরি হয় গোঘাটের সন্তা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে হঠাৎ করে তৃণমুলের দলবল লাঠি, বাঁশ নিয়ে গ্রামে ঢুকে অতর্কিত হামলা (Panchayat Violence) চালায়। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে দু’জনকে রাতেই গোঘাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় গোঘাট থানার পুলিশ। আটক করা হয় ৮ জনকে। রাতের পর শুক্রবার সকালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এলাকায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল ও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গোঘাটের বিজেপি বিধায়কের উস্কানিতে তৃণমূলের উপর চড়াও হয় বিজেপির লোকজন।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত (Panchayat Violence) গলসি

    এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ আচমকা শাসক দলের লোকেরা সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের উপরে চড়াও (Panchayat Violence) হয় বলে অভিযোগ। এরপরই এক মহিলা সহ চার সিপিএম সমর্থকের উপর হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি ঘটনায় তৃণমূলের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাহাঙ্গীর সেখকে ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠেছে সিপিআইএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গলসি ১ নম্বর ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের করকডাল গ্রামে।  ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে চারজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বর্ধমানে স্থানান্তর করা হয়।

    খেজুরিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বাড়ি ভাঙচুর (Panchayat Violence) 

    ভোটের ফল ঘোষণার পরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে (Panchayat Violence) উত্তপ্ত খেজুরি। আহত দুপক্ষের বেশ কয়েক জন। খেজুরি দুই ব্লকের বীরবন্দর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেখালি গ্রামের ১৬১ নম্বর মহামায়া বুথের ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল জয় লাভ করায় তাদের কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, এই বুথে তৃণমূল কংগ্রেস জেতার ফলে তাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশি টহলও চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    BJP: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা, কোচবিহারে একথা বললেন বিজেপি (BJP) নেতা রবিশঙ্গর প্রসাদ। পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে  সারা রাজ্য। শুধুমাত্র ভোটের দিনই সন্ত্রাসের বলি হয়েছে ১৭টি তরতাজা প্রাণ। ছাপ্পা, বুথ দখল, গুলি, বোমায় রক্তাক্ত হয়েছে বাংবলা, ভুলুণ্ঠিত হয়েছে গণতন্ত্র। নিন্দায় সরব হয়েছে সারা দেশ। এই আবহে রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশকে কমিশন কতটা নির্বাচনের সময় কার্যকর করেছে, তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কমিশনের রিপোর্টে অসন্তোষ ব্যক্ত করছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্বাচনে ব্যালট লুট করা এবং রাস্তায় পড়ে থাকার দিক সহ সমগ্র অশান্তি ঠেকাতে কমিশন কতটা ব্যর্থ ছিল, সে কথাও স্পষ্ট করেছেন। তাই বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় স্তর থেকে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে চার সাংসদের দল নির্বাচনে হিংসা কবলিত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শন করেন, এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত পরিবারে সঙ্গে দেখা করেন। এরপর শুক্রবার এই টিম উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে যায়। সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ঘুরে দেখে। এই টিম বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কাছে নির্বাচন এবং হিংসার উপর বিশেষ রিপোর্ট জমা করবে।

    কোচবিহারে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম 

    বিজেপির (BJP) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কোচবিহারের দিনহাটা, ফলিমারী সহ বিভিন্ন প্রান্তে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে তার সমস্ত জায়গা পরিদর্শন করলেন শুক্রবার। কোচবিহারের বিভিন্ন প্রান্ত পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টিমের সদস্যরা বলেন, ‘‘যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই প্রশ্ন জাগছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা মাটি মানুষের সরকারে কোথায় গেলো। এখানে তো জঙ্গল রাজ চলছে। যেখানেই যাচ্ছি সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের ঘটনা চোখে পড়েছে।’’

    আগামীর নির্বাচনে থাকবে না তৃণমূল

    বিজেপি (BJP) নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‘মমতাদি আপনি তো বামপন্থীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এখানে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সাধারণ মানুষ আপনাকে ভরসা করেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে আপনি বামপন্থীদের অত্যাচারের সীমাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে যে ভোট দেবে, তাদের ওপর গুলি করবেন ? বাচ্চাদের অপহরণ করবার হুমকি দেবেন এটাই কি আপনার শাসন ব্যবস্থা?’’ এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও অভিযোগ করেন, গর্ভবতী মহিলাদেরও মারধর করেছে এরা। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামীর নির্বাচনে এই সরকার আর থাকবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মাথা ন্যাড়া করে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে পাপমুক্ত করলেন বিজেপির বিজয়ীরা

    Nadia: মাথা ন্যাড়া করে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে পাপমুক্ত করলেন বিজেপির বিজয়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাওয়ায় পঞ্চায়েত দখল করার আনন্দে মাথা ন্যাড়া করে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেন বিজেপি কর্মীরা। নদিয়া (Nadia) জেলা জুড়ে এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক। আর এই ব্লকের অন্তর্গত ১৮ টি আসন বিশিষ্ট ভাজনঘাট টুঙ্গী গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘ ১৫ বছর নিজেদের দখলে রেখেছিল শাসক দল তৃণমূল। সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ টি আসনের মধ্যে ১২ টিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি। টিএমসি পেয়েছে বাকি ৬টি আসন। ১৫ বছরের ঘাসফুল দুর্গে ধস নামিয়ে বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করার পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেই নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের হাত থেকে পঞ্চায়েত মুক্ত হওয়ার আনন্দে ভাজনঘাট টুঙ্গী গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সামনে মাথা ন্যাড়া করে আনন্দ উৎসবে মাতলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) বিজেপির নেতা অক্ষয় ঘোষ বলেন, দীর্ঘ এতগুলো বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এলাকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোনও প্রকার কাজ করেনি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। আর এই কারণেই এত বছর পর শাসকদলের পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে বিজেপির উত্থান ঘটিয়ে কার্যত পাপমুক্ত করা হল পঞ্চায়েতকে। মূলত ১৫ বছরের দুঃসময় কাটিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করার লক্ষ্যে মাথা ন্যাড়া করে পঞ্চায়েত ভবনের সামনে আনন্দ উৎসবে মাতলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জয়ী প্রার্থী নারায়ণ মল্লিক বলেন, তৃণমূলের পাপ মুক্ত হওয়ার জন্য মাথা ন্যাড়া করলাম।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Nadia) ১২৮ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী তৃণমূল নেতা আজাদ মণ্ডল বলেন, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস অনেক কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল থাকার কারণেই তৃণমূলের বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে আমাকে সাধারণ মানুষ দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। তিনি আরও বলেন, যাঁরা ন্যাড়া করেছেন তাঁরাও কোনও না কোনও ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share