Tag: bjp

bjp

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Nandigram: নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর গড়ে রক্ষাকবচ মিলল ১৫ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীর। এদিন নন্দীগ্রামের (Nandigram) জয়ী ১৫ জন বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ কোনওভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না তাদের। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চ। জানা গিয়েছে  এখনও পর্যন্ত এই  বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে শাসক দল, যাতে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন না করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, এর আগে নন্দীগ্রামের মেঘনাদ পাল-সহ ৭ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ এদিন তালিকায় ফের জুড়ল ১৫ জন। সব মিলিয়ে ২২ বিজেপি প্রার্থী রক্ষাকবচ পেলেন হাইকোর্ট থেকে৷

    হাইকোর্টে কী বলল বিজেপি?

    বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিজেপির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে বলা হয়, নন্দীগ্রামে (Nandigram) একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে তারা। সামনেই বোর্ড গঠন। যাতে বোর্ড গঠন না করা যায় সেই কারণেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এদিন এনিয়ে ভর্ৎসনার মুখেও পড়েন রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতিজয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, সবাই কি জয়ী প্রার্থী? রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘সেটা জানি না…’ এরপরেই বিরক্ত হন বিচারপতি। পাল্টা আবার প্রশ্ন করেন, “তাঁরা যে বিজেপি করেন, সেটা জানেন? আর জয়ী প্রার্থী কিনা সেটা জানেন না? অ্যাক্টিং কেন করছেন?”  এরপরেই আগামী সোমবার পর্যন্ত বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভাল ফল বিজেপির

    ২০০৭ সাল থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে নন্দীগ্রামের (Nandigram)। ওই বছরের ১৪ মার্চ বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিয়োগ ওঠে সাধারণ কৃষকদের ওপর। মারা যান ১৪ জন প্রান্তিক চাষী। প্রবল গণআন্দোলন শুরু হয় এরপর। যার জেরে ২০১১ সালে পতন হয় বামফ্রণ্ট সরকারের। সেদিনে সেই গণআন্দোলনের নেতা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের বিধানসভায় নন্দীগ্রাম আসন থেকেক জেতেন শুভেন্দু। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগদান করেন শিশির অধিকারীর পুত্র। ২০২১ সালের বিধানসভার ভোটে নন্দীগ্রাম কার দখলে থাকবে এনিয়ে লড়াই তুঙ্গে ওঠে। কোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনে প্রার্থী হন। বিজেপির প্রার্থী হন শুভেন্দু। ফল বেরতে দেখা যায় পরাস্ত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটেও নন্দীগ্রামের সিংহভাগ পঞ্চায়েতে জয় লাভ করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই আক্রান্ত বিজেপি কর্মী, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই আক্রান্ত বিজেপি কর্মী, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ আগস্ট বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতার হুঁশিয়ারির পরই জেলায় জেলায় বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো শুরু হয়েছে। দুদিন আগেই নদিয়ার গয়েশপুরে এক বিজেপির পঞ্চায়েত নির্বাচনে এজেন্টের বাড়িতে তৃণমূলের লোকজন চড়াও হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার বারাবনি বিধানসভার সালানপুরে কল্যা পঞ্চায়েতের ১১৪ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম কপিলদেব মৃধা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    সালানপুরের কল্যা এলাকায় কপিলদেব বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এলাকায় তিনি দলের হয়ে নেতৃত্ব দিতেন। এবার ১১৪ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী থাকলেও বুথে কোনও বিরোধীদের কোনও এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, ভোট লুট করে তৃণমূল এই বুথে জয়লাভ করেছে। ভোটে জয়লাভের পর থেকে এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে বিজেপি কর্মী কপিলদেবের বাড়়িতে চড়াও হয়। তাঁকে সকলের সামনে বাড়ি থেকে বের করে পেটায়। বাড়়িতে হামলা চালানো হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী কপিলদেব বলেন, ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকে বিরোধীদের এলাকায় থাকতে দেবে না। আমি এলাকায় সক্রিয় বিজেপি পার্টি করি, এটাই আমার অপরাধ। তাই, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে বিজেপি করার জন্য শিক্ষা দিতেই হামলা চালায়। আমার বাড়ি ভাঙচুর করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা অভিজিৎ রায় বলেন, অভিষেকের হুঁশিয়ারির পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের উপর হামলা চালানোর জন্য ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। দলীয় কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর বিষয়টি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার আশ্বাস দিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ আরমান বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। নিজেদের পারিবারিক গন্ডগোলের দায় আমাদের উপর চাপানো হচ্ছে। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক, তাহলেই প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    Purba Medinipur: বিজেপি করেন, তাই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁশকুড়া (Purba Medinipur) থানার চকগোপাল গ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষ। এর ফলে দুই পক্ষের আহত বেশ কয়েকজন কর্মী। বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি জয়লাভ করার পরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় মারধর এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ইতিমধ্যে বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দিকে পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হবার পর তৃণমূলের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। ইতিমধ্যে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল ও বিজেপি, দুই তরফ থেকেই থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকা এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত পাঁশকুড়ার চকগোপাল এলাকা।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) বিজেপি কর্মী অলোককুমার দুলই বলেন, চকগোপাল গ্রাম বহুদিন ধরে সন্ত্রাস কবলিত। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কাজ করে জনজীবনকে অস্বস্তিতে রেখেছিল। মানুষ জানেন যে, এলাকাকে সন্ত্রাস কবলিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে একমাত্র বিজেপিই মুক্ত করতে পারবে। আর তাই গত বিধানসভায় মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। ঠিক একই রকম ভাবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বিজেপিকেই ভোট দিয়েছেন। ফলে বিজেপি এলাকায় জয়ী হওয়ার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ করে। বাড়ির মহিলাদের মারধর করে বাড়ি, ঘর ভাঙচুর করে! এমনকি বাড়ির সামনে রাখা গাড়ি এবং টোটকেও ভাঙচুর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের উপর বিজেপির আক্রমণের ঘটনা মিথ্যা। আক্রান্ত আরেক বিজেপি কর্মী দিলীপ দুলই বলেন, ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল, অবশেষে গতকাল রাতে এলাকায় বিজেপি করি বলেই বিয়ারের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল কর্মী বিশ্বনাথ দুলই বলেন, আমরা চাষ করে দিনপাত করি। এলাকায় তৃণমূল করি। গতকাল রাত ১০ টার সময় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ দেখি প্রায় ১০ জন বিজেপির কর্মী এসে বাড়িতে হামলা করে। দোষ আমার একটাই কেন তৃণমূল করি! অপর দিকে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত রায় বলেন, বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Bomb Blast: নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণ, জখম কিশোর, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাঁকা মাঠে তাজা বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হল ১১ বছরের এক কিশোর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। জখম কিশোরের নাম নুর ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মনোহরপুর গ্রামে ফাঁকা মাঠে নুর ইসলাম গরুকে জল খাওয়াতে যায়। ফাঁকা মাঠে ঘাসে কিছু পড়ে থাকতে দেখে সে। কিছু বুঝতে না পেরে তার ওপর পা দিয়ে দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। গুরুতর জখম হয় ওই নাবালক। বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ শুনে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরকে উদ্ধার করে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আরও দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে তারা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। আরও কোথাও তাজা বোমা পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন জখম কিশোরের পরিবারের লোকজন?

    বোমায় জখম কিশোরের দাদু সেখ সোহরাব বলেন, বাড়ির গরু ও ছাগলকে ফাঁকা মাঠে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেঁধে দিয়ে আসা হয়। গরু ও ছাগলকে জল দেওয়ার জন্য ফাঁকা মাঠে গিয়েছিল নাতি। তখনই বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।  আমাদের প্রশ্ন, এই বোমাগুলি কোথা থেকে এল? আমার অনুমান, আশেপাশে আরও বোমা পড়ে রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য গোটা রাজ্যে বোমা-বন্দুক অবৈধভাবে জড়ো করা হয়েছে। তারই ফলশ্রুতি হল এই ঘটনা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    Arambagh: আরামবাগ জুড়ে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নদী থেকে দেদার উঠছে বালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার অভিযোগ উঠলেও কিছুতেই কমছে না বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন নদী থেকে রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর বালি। আবার কোথাও গরুর গাড়িতে করে চুরি হচ্ছে বালি। আরামবাগ ও গোঘাট এলাকায় এমনই বেআইনি বালি চুরিতে ক্ষতি হচ্ছে নদী বাঁধের। ফাঁকি যাচ্ছে রাজস্ব কর। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের তুষ্ট করেই চলছে এই কারবার। ইতিমধ্যে দুদিন আগেই অভিযান চালিয়ে দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে আরামবাগ থানার পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন, কেন আগে থেকে প্রশাসন কোনও ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি? যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বালি মাফিয়াদের মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    কীভাবে রাতের অন্ধকারে রমরমিয়ে বালি চুরি করে মাফিয়াদের একাংশ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাট ও আরামবাগের (Arambagh) দ্বারকেশ্বর নদীতে যে সমস্ত বৈধ্য বালি খাদান ছিল তা সবই সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। অভিযোগ, তার পরেও বেশ কয়েকটি বালি খাদান থেকে বালি চুরি হচ্ছে অবাধে। রাতের অন্ধকারে নদীতে ট্রাক্টর ও গরুর গাড়িতে করে বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই সমস্ত বালি চুরি চলছে মাফিয়াদের একাংশের মদতে। এলাকায় তৃণমূলের দাদাদের তুষ্ট করেই বালি মাফিয়ারা এই কারবার চালাচ্ছে। প্রথমে মাফিয়াদের কাছে ট্রাক্টর পিছু ১০০০ টাকা করে তাদের তোলা দিতে হচ্ছে। তবেই ছাড় মিলছে খাদানে নামার। পরে অবশ্য বালি নিয়ে যাওয়ার আগে আরও পৃথক ভাবে তাদের শ্রমিক ও রাস্তা মেরামতি বাবদ দিতে হচ্ছে ৪০০ টাকা। এই ভাবেই প্রায় রাতের পর রাত বালি চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরামবাগে ট্রাক্টরে করে যেমন চুরির অভিযোগ উঠেছে, ঠিক তেমনি গোঘাটে গরুর গাড়িতে করে নদী থেকে বালি চুরি করে অন্য জায়গায় মজুত করা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যেভাবে বালি কেটে পাচার হচ্ছে তাতে করে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা এলাকায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। নদী বাঁধে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। কিন্তু কেন প্রশাসন এতদিন কোনো নজরদারি চালায়নি? প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির নেতাদের বত্তব্য, শাসক দল ও পুলিশের মদতে চলছে এই বালি চুরির ঘটনা। তৃণমূলের মদতেই বালি মাফিয়াদের রমরমা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে নদী বাঁধের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠেছিল এক সপ্তাহ আগে। ঘটনাটি কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নির্যাতিতা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে লড়াই করার পর অবশেষে বুধবার ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামল বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ওই নির্যাতিতা নবম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৮ জুলাই সে স্কুলে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ স্কুলে থাকার পর সে অসুস্থ বোধ করে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কয়েকজন যুবক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পরে, তাকে গণধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে উদ্ধার করে নার্সিংহোম এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরও ওই নাবালিকা স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে, থানায় তারা মিসিং ডায়েরি করেন। কিন্তু, নিখোঁজ হওয়া নাবালিকাকে খোঁজার বিষয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি আন্দোলনে নামে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে দুদিন আগে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কালজানি বাজারে রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, স্কুল থেকে বাড়়ি ফেরার পথে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করা হল। গত ৬ দিন ধরে ওই নাবালিকা কোথায় ছিল তা পরিবারের লোকজন জানেন না। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলায় মেয়ের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Meeting: মধ্যরাত পর্যন্ত দিল্লিতে শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কী নিয়ে হলো আলোচনা?

    BJP Meeting: মধ্যরাত পর্যন্ত দিল্লিতে শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ, কী নিয়ে হলো আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর দু’দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)-র সঙ্গে আলোচনায় বসলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে বৈঠক করলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাত ১১ টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে মধ্য়রাত অবধি। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের ফল থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।

    রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা

    সোমবারই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-র যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন,  তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট করেন সুকান্ত। দ্বিতীয় দফার বৈঠক ছিল মঙ্গলবার রাতে। আগে রাত দশটা থেকে বৈঠক শুরুর কথা ছিল। কিন্তু রাজস্থানের নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় সময় পিছিয়ে ১১টা করা হয়। সেই মতো রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, দুই পর্যায়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয় শাহের। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের সন্ত্রাস এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তার ফলাফলের নিরিখে সাংগঠনিক পর্যালোচনা হয়। মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে।

    আরও পড়ুন: মরশুমের শুরুতেই একের পর এক মৃত্যু! ডেঙ্গি সংক্রমণ হতে পারে লক্ষাধিক!

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। ইতিমধ্যে বাংলায় আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন শাহ। লোকসভা নির্বাচনে দলকে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, কয়েকঘণ্টার শাহি-বৈঠকে সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। সেবার ২ থেকে একলাফে তাদের আসন বেড়ে হয়েছিল ১৮। প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: অনুব্রতর গড়ে ফের তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় শোরগোল

    Bomb Blast: অনুব্রতর গড়ে ফের তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনুব্রতর গড় বীরভূমে তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার ডেমুরটিটা গ্রাম। এই গ্রামেরই একটি ফাঁকা জায়গায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সেখ সেরাফতের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এই নির্মীয়মাণ বাড়িতে বালির নীচে রাখা ছিল প্রচুর পরিমাণ বোমা। আর সেই বোমাগুলোই বিস্ফোরণ হয়। ফলে এলাকা কেঁপে ওঠে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লোকপুর থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক তথা তৃণমূল কর্মী পলাতক।

    কী বললেন স্থানীয় এক বাসিন্দা?

    যে জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে, সেই জায়গায় আরও বোমা আছে কিনা তার জন্য খবর দেওয়া হয় পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞদের। তারা এসে বোমা বিস্ফোরণের জায়গা মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে চেক করে। তাছাড়াও  বিস্ফোরণ হওয়া বাড়ি সংলগ্ন নবনির্মিত বেশ কয়েকটি বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। উল্লেখ্য, গ্রামে দুই গোষ্ঠী রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্দল। সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রামে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে নির্দল সমর্থক সেখ সামিরচাঁদ বলেন, আমি সকালে উঠে বোমার বিকট শব্দ শুনি। তৃণমূল কর্মী সেখ জামালের ছেলে সেখ সেরাফতের নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাঁরা গ্রামকে অশান্ত করার জন্যই আনুমানিক ৭০ পিস বোমা মজুত রেখেছিল। ফাঁকা জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে কোনও হতাহতের খবর নেই। বাড়ির মালিক পলাতক। তবে তাঁদের সমর্থকরা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    তৃণমূল কর্মী সেখ সেরাফতের পিসি সেলিমা বিবি বলেন, যেখানে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে, সেটা আমার ভাইপোর বাড়ি। কিন্তু সে বড় গাড়ি চালায়। এখানে থাকে না। ওর বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে বোমা রাখা হয়েছে। কারণ আমরা তৃণমূল করি। তাই আমাদের ওপরে দোষ চাপানোর জন্যই নির্দলের লোকেরা বোমগুলো রেখেছে। অন্যদিকে বিস্ফোরণ স্থলের পাশের বাড়ির মঞ্জিলা বিবি নামে এক মহিলা বলেন, আমি ঘর থেকেই বোমার আওয়াজ পেলাম। তবে কে রেখে গিয়েছে বোমাগুলো আমরা তো বলতে পারব না। এই গ্রামে এখন বিরুদ্ধ পার্টি রয়েছে। তাই এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমরা খুব ভয়ের মধ্যেই আছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বলেছি সন্ত্রাস হবে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস বোমা-বারুদ শিল্পে পরিণত করেছে। বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে আইএসএফের জয়ী দুই প্রার্থী এবং কংগ্রেসের এক প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। কংগ্রেস ও আইএসএফের জয়ী প্রার্থীজোট এই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই বিরোধীদের তিনজনকে নিয়ে তৃণমূল (TMC) সেই পঞ্চায়েত দখল করতেই এমন আচরণ করছে বলে অভিযোগ।

    কেন বিরোধীদের তিন সদস্যকে তুলে নিয়ে গেল তৃণমূল (TMC)?

    জানা যায়, কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। নির্বাচনে ৬ টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস পেয়েছে ৫ টি, আইএসএফ ২টি, বিজেপি ১টি, সিপিআইএম ১টি আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে দরকার ৮ জন সদস্য। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস মোট পাঁচটি আসনে জয় লাভ করায় তাদের পক্ষে বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়। তাই আইএসএফের দুই জয়ী প্রার্থী এবং কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মোজাফফর মোল্লাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে শাসক দলের গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। এমনটাই অভিযোগ দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তাদের।

    কী বললেন আইএসএফ নেতৃত্ব?

    আইএসএফের ব্লক নেতৃত্বের অভিযোগ, গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দল (TMC) বোর্ড গঠন করতে না পেরে আইএসএফ  ও কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ওঠা  অভিযোগ অস্বীকার করেন গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। তিনি বলেন, কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজ জয়ী প্রার্থীদের খোঁজ না মিললেও জয়ী প্রার্থীরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানান, তাঁরা নিরাপদ জায়গায় রয়েছেন এবং নিজেদের ইচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। অবশ্য জয়ী বিরোধী দলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য কোথায় রয়েছেন, তার হদিশ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মারধর করে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: মারধর করে বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটলেও সন্ত্রাস কমেনি বিন্দুমাত্র। জেলায় জেলায় (South 24 Parganas) বিরোধীদের ওপর হামলা চলছেই। এখনও ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী। সাত-আটমাসের শিশুদের নিয়েও বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের জেলা অফিসে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছে। ফের একবার বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। রায়দিঘির খাঁড়ি শাসন (South 24 Parganas) এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, একই ঘটনা ঘটেছিল ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের আগে। আহত বিজেপির বুথ সভাপতির নাম গোপাল অধিকারী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    আহত বিজেপির বুথ সভাপতির অভিযোগ, রবিবার রাতে রায়দিঘির খাঁড়ি শাসন পাড়ায় (South 24 Parganas) হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা দলবল নিয়ে গোপাল অধিকারীর উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে গোপাল অধিকারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সোমবার রায়দিঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির বুথ সভাপতি। অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    কী বলছেন আক্রান্ত?

    আক্রান্ত গোপাল অধিকারীর ডান চোখে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে চোখের আশেপাশে। হাসপাতালে বসে থেকে গোপাল বলেন, ‘‘আনোয়ার হোসেনের লোকজন দল বেঁধে হামলা চালায় আমার ওপর। পঞ্চায়েত ভোট থেকেই আমাকে টার্গেট করেছে ওরা। সেসময় এলাকায় বোমাবাজি করে চলে যায় ওরা। তবে ভোটের পরে দেখে নেওয়ার হুমকি তারা দিচ্ছিল। এদিন তারা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চোখে ঘুষি চালাতে থাকে। আমি বারবার বলার চেষ্টা করেছিলাম, আমি তো তোমাদের কোনও ক্ষতি করিনি, কিন্তু তাও ওরা মারতে থাকে আমাকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share