Tag: bjp

bjp

  • Paschim Medinipur: দাঁতনে ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি এজেন্টকে মারধর করল তৃণমূল

    Paschim Medinipur: দাঁতনে ভোটপরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি এজেন্টকে মারধর করল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় (Paschim Medinipur)। দাঁতনের তররুই গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

    কী ঘটেছিল (Paschim Medinipur)?

    আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম পূর্ণ চন্দ্র নন্দী। এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। এই বিজেপি নেতাকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার। উল্লেখ্য, দাঁতনের এই এলাকা বছরের অন্যান্য সময়ও শাসকবিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই এই এলাকায় ছিল চাপা উত্তেজনা। জেলার অন্যান্য জায়গার মতোই এখানেও নির্বাচনে ভালো ফল করেছে শাসক দল তৃণমূল। আর তাই ফলাফলের পর এই বিজেপি নেতাকে (Paschim Medinipur) মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর বলেন, আমরা বিজেপি করি বলে আমাদের উপর আক্রমণ করে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। প্রায় ১০-১২ জন তৃণমূলের দুষ্কৃতীর দলকে নেতৃত্ব দেয় এলাকার তৃণমূল নেতা বিমল ভদ্র। তিনি আরও বলেন, প্রথমে হুমকি দিয়ে বলে যায় বাড়িতে (Paschim Medinipur) যে তাঁর স্বামী যেন এলাকার তৃণমূলের পার্টি অফিসে দেখা করেন। ভোটে কেন বিজেপির এজেন্ট হয়ে ছিলেন! আর এটাই বিজেপি কর্মীর প্রধান অপরাধ।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) এক বিজেপি নেতা বলেন, পূর্ণ চন্দ্র নন্দী হলেন বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। বাড়িতে ১০৬ বছরের বৃদ্ধ বাবা এবং তাঁর মা ক্যান্সার আক্রান্ত। অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হয়েছিলেন। গতকাল রাত ৯ টায় তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রচুর মারধর করে। বর্তমানে উনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এই জেলায় কোথাও কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। আর এই নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিজেপি করার জন্য মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি তৃণমূলের

    TMC: বিজেপি করার জন্য মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে তৃণমূলকে সমর্থন না করা। অন্যদিকে বিজেপিকে সমর্থন করা। এই দুই ধরনের ঘটনাতেই শাসক দলের রক্তচক্ষুর মুখে পড়ছেন অনেকেই। রোজই এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে আকছার ঘটছে। তবে এক্ষেত্রে তৃণমূলের কাছে মানবিকতার যে কোনও স্থান নেই, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল একটি ঘটনায়। বিজেপি করার জন্য এবার স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যথেষ্ট ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। প্রতিবাদে স্কুলের সামনে তাঁরা বিক্ষোভও দেখালেন।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের অন্তর্গত নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গানগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে ২০০৩ সাল থেকে প্রায় কুড়ি বছর ধরে মিড ডে মিলের রাঁধুনির দায়িত্বে রয়েছেন দুর্গানগরের বাসিন্দা রীতা পন্ডা। রীতা পন্ডার অভিযোগ, গত বুধবার স্কুল চলাকালীন দুর্গানগর এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তথা নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান চন্দ্রমোহন পাইক স্কুলে গিয়ে তাঁকে হুমকি দেয়। পাশাপাশি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা চন্দ্রমোহন পাইক বলেন, পরের দিন থেকে স্কুলে রাঁধুনি রীতা পন্ডা যদি আসে, তাহলে মিথ্যা ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ দুর্গানগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবিকারা।

    কী বলছেন অভিযোগকারীরা?

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই স্কুলের রাঁধুনি রীতা পন্ডার করা সমস্ত অভিযোগই সত্যি। পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও রীতা পন্ডা আরও বলেন, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামী শনিবার এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে একটি আলোচনাসভারও আয়োজন করা হয়েছে।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (TMC)?

    তবে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই রাঁধুনির সম্পর্ক রয়েছে। তৃণমূল (TMC) নেতা বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সর্বদাই মদ্যপ অবস্থায় থাকেন। আর ওনারা যে বলছেন বিজেপি করেন, তা তো আজকে করেন না। সর্বদাই বিজেপি করেন। কই আগে তো কিছু বলা হয়নি। এখন এসব কথা উঠছে কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Election 2023: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৩৯ ভোটে জেতার পরও দেওয়া হয়নি উইনিং সার্টিফিকেট। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের এক প্রার্থী। বাধ্য হয়ে উচ্চ আদালত ও রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের জেলা পরিষদের (Panchayat Election 2023) ওই প্রার্থী অমিতা মাহাত (চক্রবর্তী)। বিজেপির জেলা পরিষদের ওই প্রার্থীর অভিযোগ, প্রশাসনের লোকই ভোট গণনার পর আমাকে জয়ের কথা জানিয়ে দেয়। আমি উইনিং সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। আমাকে সেখানে তৃণমূলের লোকরা রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, আমি যদি উইনিং সার্টিফিকেট নিই, আমাকে মার্ডার করে দেওয়া হবে। এরপরও বিডিও সাহেবের কাছে আমি বার বার বলেছি, আমাকে উইনিং সার্টিফিকেট দিন। কিন্তু আমাকে এখনও পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। বিজেপির ওই প্রার্থীর অভিযোগ, সেদিন গণনা কেন্দ্রের ভিতরে আমার কাউন্টিং এজেন্টদের অনেককেই বের করে দেওয়া হয়। অথচ তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী সেখানে অবাধে বিচরণ করে। আমি কয়েকজন মাত্র এজেন্টকে নিয়ে সেখানে ভোট গণনার খোঁজখবর নিয়ে নিতে থাকি। তাতে প্রত্যেকটা অঞ্চলে আমার লিড ছিল। সেখানে প্রশাসনের আধিকারিকরাই অনেকে জানিয়ে দেন আপনি জয়ী হয়েছেন। অথচ সার্টিফিকেট দেওয়া হল না।

    একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন আরও প্রার্থীরা (Panchayat Election 2023) 

    কুমারগ্রামের ওই ভোট গণনার দিন ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে বিজেপির আরেক প্রার্থী (Panchayat Election 2023) কল্পনা নাগও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। ২০১৮ সালে কল্পনা নাগ কুমারগ্রাম থেকেই আলিপুরদুয়ারে একমাত্র জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে শাসক দলের ভোট লুট থেকে অরাজকতার বিরুদ্ধে লড়েও সেবার জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু এবার যে ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভোট গণনা হল, সেটা বর্ণনা করার ভাষা আমার কাছে নেই। আমার কাউন্টিং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের গুন্ডারা বের করে দিয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে একটা ঘরে আটকে দিয়ে তারা হুমকি দিয়ে বলছিল, আপনি এখান থেকে উইনিং সার্টিফিকেট নিয়ে বেরোলে আপনার যে কী পরিণতি হবে, সেটা ভাবতে পারছেন না। সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পরিষদের কুমারগ্রামের বিজেপির আরেক প্রার্থী মেনকা ভক্তও একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, আলিপুরদুয়ারের মানুষ বিজেপির প্রার্থীদের দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন ও শাসক দল মিলেমিশে একাকার হয়ে জনগণের সেই রায়কে খারিজ করে দিয়ে জোর করে নিজেদের জয়ী (Panchayat Election 2023) ঘোষণা করেছে। মানুষ যথা সময়ে এর জবাব দেবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজয়ী প্রার্থীকে সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ! গঙ্গাজলঘাটিতে বিক্ষোভ বিজেপির

    BJP: বিজয়ী প্রার্থীকে সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ! গঙ্গাজলঘাটিতে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের বিজয়ী প্রার্থীকে ‘সার্টিফিকেট’ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালো বিজেপি (BJP)। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার ভোটের ফল ঘোষণার দিন গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ নম্বর আসনে তাদের দলের প্রার্থী বন্দনা সিংহকে ‘বিজয়ী’ ঘোষণা করা হলেও তৎক্ষণাৎ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার বন্দনা সিংহ সার্টিফিকেট আনতে গেলে ঐ আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী সিংহ রায় জয়ী হয়েছেন বলে জানানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বন্দনা সিংহের তরফে সংশ্লিষ্ট বিডিওকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বন্দনা সিংহকে নিয়ে বিডিও অফিসে আসেন বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্ব সিংহ। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর বিজেপি (BJP) কর্মী। এরপরেই, গঙ্গাজলঘাটি ব্লক অফিসে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি।

    কী বলছেন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ও মহকুমা শাসক?

    বিক্ষোভের পর বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। বিলেশ্বর বলেন, ‘‘এর সুবিচার পেতে আমরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। অন্যায়ভাবে হারানো হয়েছে আমাদের প্রার্থীকে।’’ অন্যদিকে, বিজেপির আনা এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত। তিনি বলেন,  ‘‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী এই আসনে ১০ ভোটে পরাজিত হয়েছন। আর বিজেপির গণনা প্রতিনিধিরা হয়তো শেষ পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রে না থাকায় সর্ব শেষ আপডেট জানতে পারেন নি। তাই এই সমস্যা হচ্ছে।’’

    বিষ্ণুপুরে নির্দল প্রার্থীর বিজেপিতে যোগদান

    বিষ্ণুপুরে বুধবার গেরুয়া শিবিরের (BJP) এক জয়ী সদস্যকে নিজেদের দলে টেনেছিল তৃণমূল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাক্তন তৃণমূল বলে পরিচিত এক ‘নির্দল’ পঞ্চায়েত সদস্যকে নিজেদের দলে টেনে নিল বিজেপি। এর ফলে বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে শক্তি বৃদ্ধি করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে শ্যামল ব্যানার্জি নামে ওই ‘নির্দল’ পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদির জনমুখী কর্মসূচিতে মুগ্ধ, বিষ্ণুপুরের নির্দল প্রার্থীর যোগদান গেরুয়া শিবিরে

    BJP: মোদির জনমুখী কর্মসূচিতে মুগ্ধ, বিষ্ণুপুরের নির্দল প্রার্থীর যোগদান গেরুয়া শিবিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরে বুধবারই গেরুয়া শিবিরের (BJP) এক জয়ী সদস্যকে নিজেদের দলে টেনেছিল তৃণমূল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাক্তন তৃণমূল বলে পরিচিত এক ‘নির্দল’ পঞ্চায়েত সদস্যকে নিজেদের দলে টেনে নিল বিজেপি। এর ফলে বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে শক্তি বৃদ্ধি করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে শ্যামল ব্যানার্জি নামে ওই ‘নির্দল’ পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা।

    আরও পড়ুন: “‘রাজ্যসভায় ভোট দেব না,” কেন এই হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

    অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে সমীকরণ

    প্রসঙ্গত, ১২ আসন বিশিষ্ট বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার ৬ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল, পাঁচটিতে বিজেপি (BJP) ও একটিতে ‘নির্দল’ প্রার্থী জয়লাভ করেন। এর আগে বুধবার সকালে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত সলমা মুর্ম্মু নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যাকে নিজের দলে টেনে নেয় তৃণমূল। এবার ‘প্রাক্তন’ তৃণমৃল কর্মী হিসেবে পরিচিত অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬ নম্বর আসন থেকে জিতে আসা শ্যামল ব্যানার্জিকে নিজেদের দলে টেনে শাসক দলকে ধাক্কা দিল বিজেপি।

    কী বলছেন বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপিতে আসা ‘নির্দল’ পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামল ব্যানার্জি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির জনমুখী কর্মসূচিতে মুগ্ধ হয়েই আমি বিজেপিতে যোগদান করলাম। পশ্চিমবঙ্গের বুক থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে উৎখাত করতে পারবে একমাত্র বিজেপি।’’ এদিন দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে শ্যামল আরও বলেন, ‘‘ওরা (তৃণমূল) আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল।’’ অন্যদিকে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা বলেন, ‘‘নির্দল প্রার্থী আমাদের সঙ্গে এসেছেন, আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই। আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করব আমরা।’’ তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি দিব্যেন্দু ব্যানার্জি বলেন, ‘‘কে কার আদর্শে অনুপ্রাণিত হবে সেটা আমাদের ভাবার বিষয় নয়।’’ মানুষ উন্নয়ন ও তৃণমূলের সঙ্গে আছে বলে তিনি দাবি করেন।

     

    আরও পড়ুন: বিজেপিকে ভোট দেওয়া বহু বৈধ ব্যালট পড়ে নদীর ধারে, ভোটে জিতল তৃণমূল, বিতর্ক

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: নদীর ধারে ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির, লাঠিচার্জ পুলিশের, উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ

    BJP: নদীর ধারে ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির, লাঠিচার্জ পুলিশের, উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জে আত্রেয়ী নদীর ধার থেকে ৪০টি ব্যালট উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবারই। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। দেখা যায়, ব্যলটগুলিতে অধিকাংশ ভোটই বিজেপিতে পড়েছে। খবর পাওয়া মাত্র ওই স্থানে আসেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।  নদীর ধারে জঙ্গলের মধ্য থেকে যে ব্যালটগুলি পাওয়া গিয়েছে, কুমারগঞ্জের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যালট বলে জানা গিয়েছে। ব্যালট উদ্ধারের স্থান থেকে গণনা কেন্দ্রের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কুমারগঞ্জ বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    বিজেপির (BJP) বিক্ষোভে উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ, লাঠিচার্জ পুলিশের

    বিডিও অফিসের সামনে কুমারগঞ্জ রাজ্য সড়কও অবরোধ করেন বিজেপির কর্মীরা। পুলিশ ও বিজেপি (BJP) কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিক্ষোভে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম বিজেপি কর্মীকে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। লাঠিচার্জে আহত এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘আমি একজন বিজেপির প্রার্থী। শুনতে পেলাম আমাদের ব্যালট পেপার নদীতে ফেলে দিয়েছে। সেই খবর শুনে আমরা ওই স্থানে যাই। আমরা বিডিওর কাছে জানতে চেয়েছিলাম ব্যালট পেপার কেন ফেলা হল? আমাদের নেতারা বিডিও অফিসের ভিতরে গিয়েছিল, আমরা চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। সেই সময় পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে। পুলিশ-প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে এই সব করেছে। আমরা কোনও অশান্তি করিনি।’’

    কী বলছেন বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘‘ভোটের নামে রাজ্যে প্রহসন হচ্ছে। বটুন পঞ্চাতের ব্যালট পেপার কুমারগঞ্জের গণনা কেন্দ্রের কিছুটা দূরের নদীর ধারে পাওয়া গিয়েছে।এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কতটা অত্যাচার হয়েছে এবার আমরা সেটা টের পাচ্ছি। বিডিও নিজের পাপ ঢাকতে এখন বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে৷  পুলিশের লাঠিচার্জে আমাদের অনেক বিজেপি (BJP) নেতা ও কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। আমরা এই ঘটানার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এর প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিডিওর উপর চড়াও তৃণমূল, সুকান্তর ট্যুইটে তোলপাড়

    Dakshin Dinajpur: প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিডিওর উপর চড়াও তৃণমূল, সুকান্তর ট্যুইটে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রমকে রিকাউন্টিং করে জিতিয়ে দিতে হবে। এরকমই দাবি তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিডিও অফিসে চড়াও হয়। বিডিও অনুজ সিকদার প্রশাসনের পঞ্চায়েত ইলেকশন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এমনই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগপত্র ও কিছু সিসি টিভির ভিডিও নিয়ে সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করেছেন। আর তাই নিয়ে তোলপাড় জেলায়।  

    কোথায় ঘটল (Dakshin Dinajpur)?

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইটে  জানা যায়, বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রম হেরে যাওয়ায়, পরদিন বিডিওকে রিকাউন্টিং করার চাপ দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে বিডিও নিজে প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গণনার দিনেই এই বিডিওর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগে সুকান্ত মজুমদার দীর্ঘ সময় গণনা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার সেই বিডিওকেই চাপ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং বিডিও নিজে আতঙ্কিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও এই বিষয়ে বিডিওকে সংবাদমাধ্যম ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।

    সুকান্ত মজুমদার কী বললেন?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের প্রার্থী জেতার পর থেকেই তাঁকে সার্টিফিকেট না দিয়ে নানান রকম চক্রান্ত চলছিল। সেই চক্রান্ত ভোটের ফলাফল হবার পরও শেষ হয়নি। তৃণমূলের গুন্ডারা বিডিওকে গিয়ে ফোন করে ধমকাচ্ছে। এই বিডিও জোর করে আমাদের বিজেপি প্রার্থীদের পঞ্চায়েত ভোটে হারিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই বিডিও তাঁর অফিসিয়াল গ্রূপে লিখতে বাধ্য হয়েছেন, তৃণমূলের কিছু গুন্ডা তাঁকে ধমকাচ্ছে চমকাচ্ছে, যাতে তিনি স্নেহলতা হেমব্রমকে সার্টিফিকেট দেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে এবং বিডিও এই প্রহসনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। অনেক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে তৃণমূলে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন।

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    এই বিষয় স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, আমি ওখানে গিয়েছিলাম রিকাউন্টিং-এর আবেদন করাতে এবং গিয়ে দেখি বিডিও সাহেব অফিসে নেই। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে বাড়িতে ছিলেন। আমি সঙ্গে কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে গিয়েছিলাম তাঁর বাড়িতে। কোনও রকম চাপ দেওয়া হয়নি, বিডিও এটা সত্য বলছেন না। উনি তো আমাদেরই লোক। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ-সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, সুকান্ত মজুমদার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।

    জেলাশাসক কী বললেন

    জেলাশাসক (Dakshin Dinajpur) বিজিন কৃষ্ণা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়া বহু বৈধ ব্যালট পড়ে নদীর ধারে, ভোটে জিতল তৃণমূল, বিতর্ক

    BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়া বহু বৈধ ব্যালট পড়ে নদীর ধারে, ভোটে জিতল তৃণমূল, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণ এবং গণনা, দুটোই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এমনকী ফলাফলও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তারপরও নদীর ধারে পাওয়া গেল বিজেপি (BJP) ও বামেদের ভোট দেওয়া বৈধ ব্যালট পেপার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের গণনা কেন্দ্র থেকে কুড়ি মিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর ধারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারগঞ্জের গণনা কেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার দূরে নদীর ধারে প্রায় ৪০টি ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাদা কাগজের এই ব্যালটে অধিকাংশই বিজেপি প্রার্থীর ওপর ছাপ মারা রয়েছে। রেজাল্ট অনুযায়ী এই বুথে বিজেপি ৩৪১টি, তৃণমূল ৬৯৭টি, সিপিএম ৭২টি ভোট পেয়েছে। জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী  ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে স্ট্রং রুমে ব্যালট পরিবর্তন করা হয়েছে। বিজেপিতে ছাপ দেওয়া ব্যালট বক্স থেকে বের করে নদীতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইভাবে মানুষের মতামতকে যেভাবে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলকে খেসারত দিতে হবে।

    কী বললেন বিডিও?

    এবিষয়ে কুমারগঞ্জের বিডিও ছেয়াং তামাং বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দ্বারা কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এমনটা হওয়ার কথা না। এটা রাজনৈতিক দলেরই কেউ বানাতে পারে। তবে পুরো ঘটনাটি আমরা যাচাই করে দেখব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে কুমারগঞ্জ তৃণমূল ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, ভোট গণনার দুদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন ব্যালট পেপার দেখা যায়নি। দুদিন পরে ব্যালট পেপার উদ্ধার হচ্ছে। আমাদের মনে হয় এটা বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি (BJP) যে অভিযোগ তুলছে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

    মুর্শিদাবাদে বুথে গড়াগড়ি খাচ্ছে বিরোধীদের ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার

     মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েতের ইন্দ্রডাঙ্গা বেসিক প্রাইমারি স্কুলে ১৬০ নম্বর বুথে বৈধ ব্যালট পেপার গড়াগড়ি খাচ্ছে। ব্যালট পেপারে ভোটারের চিহ্ন দেওয়া জ্বলজ্বল করছে। এই সব বৈধ ব্যালট ছাড়াই কী করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হল, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে এবং তার ফলাফল ঘোষণা কার্যত সারা হয়ে গিয়েছে। এরপরেও চারিদিকে গণনা পর্বে হিংসা এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। যার ফলে ভোটের ফল ঘোষণা হওয়া সত্বেও, আদালতের রায়ের দিকে জিতেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। ফল ঘোষণার পর তেঁতুলিয়া পঞ্চায়েতের ইন্দ্রডাঙ্গা বেসিক প্রাইমারি স্কুলে ১৬০ নম্বর বুথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু ব্যালট পেপার। বেশ কিছু ব্যালট পেপারে প্রার্থীদেরকে ভোট দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু নতুন ব্যালট পেপার যেগুলি ভোটে ব্যাবহার করা হয়নি, সেরকম বহু ব্যালটও পড়ে রয়েছে। কিন্তু, প্রত্যেকটি ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের সই রয়েছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের এজেন্ট সফিকুল হাসান বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এই এলাকার সব বুথ তৃণমূলের দখলে ছিল। বুথে তৃণমূল ছাপ্পা মারে। তখনই কি সিপিএমের প্রার্থীর ব্যালট পেপারগুলি বাইরে বার করে নতুন ব্যালট পেপারগুলিতে ছাপ মেরে ব্যালট বক্সে ভরা হয়। আমাদের প্রশ্ন, কী করে সিপিএম প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপারগুলি বাইরে এরকম ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকল? তাহলে বিডিও সাহেব গণনার দিন কী করে ব্যালট পেপারের হিসাব ঠিক করলেন। কার ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হল?

    কী বললেন বিডিও?

    এই বিষয়ে বিডিও প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়কে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এরকম কোনও অভিযোগ নেই। যদি কেউ অভিযোগ করত তাহলে আমি অবশ্যই বলতে পারতাম। তবুও, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    Cooch Behar: ভোটের হিংসায় ফের খুন কোচবিহারের এক বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন তুফানগঞ্জের (Cooch Behar) নয়ারহাটে শালবাড়ি-২ এর বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধারালো দা দিয়ে আক্রমণ করা হয়। গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর তার পরেই তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে এবং তার পর কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পুরো ঘটনাটি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রার্থী ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ৭ই জুলাই আক্রান্ত হন এবং আজ ১৩ ই জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ভোটের হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮।

    পরিবারে বক্তব্য (Cooch Behar)

    মৃত বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মনের ভাই অনন্ত বর্মন বলেন, আমাদের বাড়ি শালবাড়ির বজরাগ্রামে। গত ৭ই জুলাই ভোটের আগের দিন রাত ১২ টার সময় আমার দাদাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরপর দাদাকে ধরালো দা দিয়ে কোপানো হয়। এই আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায় দাদা। এতদিন হাসপাতালে (Cooch Behar) ভর্তি ছিলেন। আজ দুপুরের পরে মৃত্যু হয়। দাদার মৃত্যুর পর ভাই অনন্ত বলেন, যারা দাদাকে খুন করছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই। আরও বলেন, আমার দাদার দুই মেয়ে, একজনের বয়স ১৮ অপর একজনের বয়স ১২। এই অবস্থায় পরিবার কীভাবে চলবে! তাই সরকারি সাহায্য চাই।

    অপর দিকে একই দিনে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদে। নির্দলের বাড়ির কাছেই কান্দিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।

    মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণ

    এক দিকে কোচবিহারে (Cooch Behar) যেমন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, ঠিক তেমনি অপর দিকে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত মুনিগ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আজ বৃহস্পতিবারেই দুপুরে হঠাৎই মজুত করে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় পশ্চিমপাড়া এলাকায়। নির্দলের প্রার্থী মতিহার বিবি বলেন, আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎ তীব্র শব্দ হয়। এরপর দেখি বিস্ফোরণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুব আতঙ্কে রয়েছি আমরা। নির্দলের উপর তৃণমূলের আক্রমণ চলছে। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কান্দি থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল, প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে বিজেপি

    BJP: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল, প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে ফের তৃণমূল পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে। সেই মতো দলীয় নেতা কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোটের প্রচুর পরিশ্রম করলেন। ভোটের ফল বের হওয়ার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনও পেল তৃণমূল। সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়েছে বিজেপি (BJP)। কিন্তু, প্রধান কে হবে তা নিয়ে আরামবাগের সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতাদের এখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।

    কেন এমন পরিস্থিতি?

    বেশি আসন পেয়েও আপাতত প্রধানের আসন দখল নিতে পারল না তৃণমূল। সংরক্ষিত আসনের গেড়োয় পড়ে চরম বিপাকে এখন শাসক দল। কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসার সম্ভাবনা বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীর। আরামবাগের সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৬ টি। তারমধ্যে ১০টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। আর বাকি ৬ টি আসন দখল করে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির থেকে শাসক দলের প্রার্থীরা বেশি আসনে  জয়ী হলেও প্রধানের আসন দখল নিতে পারছে না শাসক দল। সংরক্ষিত আসনের কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধানের আসনটি এসটি মহিলা সংরক্ষিত। আর তৃণমূলের এসটি মহিলা যে প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন তিনি পরাজিত হয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মাণ্ডি প্রধান হওয়ার সমস্ত যোগ্যতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী তিনি প্রধান পদের একমাত্র দাবিদার। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী বলেন, এটা একেবারে আইনের বিষয়। দলীয় নেতৃত্বকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে যে নির্দেশ দেবে সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে, বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে প্রধান করে বোর্ড গঠন করা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে থাকা সদ্য জয়ী বিজেপি (BJP) সদস্যা?

    বিজেপি (BJP) সদস্যা পূর্ণিমাদেবী বলেন, এই পঞ্চায়েতে নিয়ম অনুযায়ী আমি প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছি। প্রধান হলে এই এলাকায় যে সব সমস্যার কথা আমরা জানি, সেই সমস্যা সমাধান এবং পঞ্চায়েত এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করার চেষ্টা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share