Tag: bjp

bjp

  • BJP: আমতায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, শুনলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা

    BJP: আমতায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, শুনলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার আমতা সহ বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে গোলমালের কারণ খুঁজতে একের পর এক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দলের পর সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের মহিলা সাংসদদের প্রতিনিধিরা ঘুরে গিয়েছেন বাংলা থেকে। এ বার তফশিলি সাংসদদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এল আমতায়। আমতার কাঁকরোলে ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা খতিয়ে দেখতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তফশিলি সাংসদ দলের সদস্যরা। যদিও এই প্রতিনিধি দল আসার আগে আমতায় রাস্তা আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

    কী বললেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা?

    বিজেপির (BJP) তফশিলি সাংসদদের এই দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ রাজরি, এস মুনিস্বামী। তাঁরা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে তফশিলি সম্প্রদায়ের ২৮ জন মানুষ খুন হয়েছেন। বিজেপির যে ১০ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮জন তফশিলি।’ মনোজের অভিযোগ, ‘বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে। আমতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান,  এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। অথচ এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে কিভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে তা আপনারা (সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন) সারা দেশের সামনে তুলে ধরুন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই মহিলাদের উপর সব থেকে বেশি নির্যাতন চলছে। গরিব ও দলিত মানুষদের উপর সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ ঠিক মতো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সব ঘটনার পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।

    প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে কী বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা?

    প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন ক্ষতিগ্রস্ত মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে তাঁরা বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি, দোকান ঘর সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা কোথায় থাকব তা ভেবে পাচ্ছি না। মনোজ রাজরি তখন তাদের শান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। সব অপরাধীরা সাজা পাবে। তিনি বলেন, এই বোনেদের চোখের জল মমতা দিদির সরকারকে ডোবাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির কেন্দ্রীয় দল হুগলির সন্ত্রাস-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করল রবিবার

    BJP: বিজেপির কেন্দ্রীয় দল হুগলির সন্ত্রাস-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করল রবিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনায় এখনও ঘরছাড়া বহু বিজেপি (BJP) কর্মী। পরিস্থিতির খোঁজ নিতে এবং সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বাংলায় এসেছে বিজেপির আরও একটি প্রতিনিধি দল। এই দলটি তফশিলি সম্প্রদায়ের পাঁচ সাংসদ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

    হুগলির তারকেশ্বর ও আরামবাগের সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন

    দলটি রবিবার হুগলির তারকেশ্বর ও আরামবাগের সন্ত্রাস কবলিত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখে। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন থেকে সেই জায়গাগুলিতে ‘সন্ত্রাস’ চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শাসকদলের হুমকির রোষে বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। ভোটের দিন যে সব দলীয় কর্মী তৃণমূলের হাতে মার খেয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সংবিধান মেনে কাজ না করলে এবং বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

    কী বলছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা 

    রবিবার বিকেল নাগাদ তারকেশ্বরের পিয়াসাড়া নাইটা মালপাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালপাহাড়পুর ও রামচন্দ্রপুর গ্রামে যায় বিজেপির তফশিলি সম্প্রদায়ের ওই দল। দলে ছিলেন বিনোদ সোনকর, সুরেশ কশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ চাবড়া। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, ‘‘ভোটের দিন মালপাহাড়পুরের ১৪৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী নীলকান্ত বাগ-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মীর উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই রাস্তায় তাঁদের বাঁশ, লাঠি, রড দিয়ে মারধর করা হয়। সেই ঘটনায় নীলকান্ত, তাঁর বুথ এজেন্ট সঞ্জিত মাজি এবং বিজেপি কর্মী সাগর রুইদাস গুরুতর জখম হন। তাঁদের তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।’’ এই দলটি সঞ্জিতের বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে তারা। রবিবার সন্ধ্যায় আরামবাগের পার্টি অফিসেও যায় কেন্দ্রীয় দলটি। দলের সদস্য বিনোদ সোনকর বলেন, ‘‘তৃণমূলের অত্যাচারে আমাদের দলের কর্মীরা ঘরছাড়া। পুলিশের মদতে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির কর্মীদের হামলা করেছে। এর দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিতে হবে। কারণ, তিনিই পুলিশমন্ত্রী। সংবিধান মেনে কাজ হোক। সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। না হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’ বিনোদ সোনকরের আরও সংযোজন, ‘‘এখানে পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে রাখছি, তারা একটা রাজনৈতিক দলের মতো কাজ করছে। সেটা বন্ধ করতে হবে। তারা যদি এ রকম কাজ করতে থাকে, তা হলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও একই রকম পদক্ষেপ করা হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রভাবিত গ্রাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক বিরোধী ভোট পড়েছে বিজেপিতে। ঠিক এই অভিযোগে রাস্তা সারাইয়ে দ্বিচারিতা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। আর তাই বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে অবরোধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। রবিবার ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের বনগ্রাম ও গোমহল এলাকায়।

    মূল সমস্যা কী (Purba Bardhaman)?

    বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের (Purba Bardhaman) ডিভিসি ক্যানালের লকগেট থেকে পান্ডুদহ সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। সেচ ক্যানালের পাড়ে এই রাস্তার ওপর রয়েছে বনগ্রাম, গোমহল সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়াও ওই রাস্তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে কয়েকশো হেক্টর চাষজমিও। লাল মোরামের ওই রাস্তাটি একদশকের বেশি সময় ধরে বেহাল দশায়। খানাখন্দে ভর্তি। কোথাও আবার এক হাঁটু গর্ত। বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। বেহাল রাস্তায় সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগীদের। জানা গেছে, গত অর্থ বছরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটার রাস্তা পিচ করার অনুমোদন দেয়। বাকি প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অভিযোগ, ওই রাস্তার ওপর দিয়ে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টরের অবাধ আনাগোনা। দামোদর নদের শাঁকুড়ি, শালডাঙা ঘাট থেকে দিন-রাত চলে অবৈধ বালিবোঝাই ট্রাক্টর। তার জেরে মোরামের ওই রাস্তা ভেঙে পড়েছে। বছর দুয়েক আগেও গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সরব হয়েছিল। গোটা রাজ্য যখন রাস্তাশ্রী, পথশ্রীতে মাতোয়ারা, সেখানে এই চিত্র প্রতিহিংসার ছবি ছাড়া আর কিছুই না।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা (Purba Bardhaman) জানান, “গ্রামে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে, হাসপাতাল ও বাজারে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তা। বর্ষায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সাইকেল মোটরবাইক নিয়ে চলাচল দূর অস্ত, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।” বাসিন্দারা আরও জানান,”বনগ্রাম, গোমহল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দুদিকে কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় হেঁটে যেতে হয়। তারপর একটু ভালো রাস্তা পাওয়া যায়। বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কাজের কাজ হয়নি। চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসীরা।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) বিজেপি কর্মী, বর্ণালী মাজি জানান, “রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ওই রাস্তাটি পাকা হবে। ১২ বছরে এখনও পাকা হয়নি। গ্রামবাসীরা বেহাল রাস্তা নিয়ে ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছিল, ছবি তুলেও পাঠিয়েছিল। তারপরও রাস্তাটি সারানো হয়নি।” আরেক বিজেপি নেতা প্রদ্যুত মণ্ডল বলেন,”সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটেও ১১ টি গ্রাম সংসদে বিজেপির ভোট বেশি থাকায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল পরিচালিত চাকতেঁতুল (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের প্রাধান অশোক ভট্টাচার্য্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”রাস্তাটি নতুন করে তৈরির জন্য জেলায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে পিচ রাস্তা তৈরির উদ্যোগ জেলা পরিষদ নিয়েছে। ১ কিলোমিটার পিচ হয়েছে। বাকি রাস্তা খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঢোলাহাটে বিজেপি নেতার ধানের জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: ঢোলাহাটে বিজেপি নেতার ধানের জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার রামগোপালপুর অঞ্চলের হরেন্দ্রনগর ঠাকুরচক গ্রামে। বিজেপি নেতার নাম হরেন্দ্রনাথ কামিলা। তিনি বিজেপির স্থানীয় অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বিজেপি (BJP) নেতা হরেন্দ্রনাথবাবুদের যৌথ পরিবার। অন্যান্য ভাইয়ের সঙ্গে তাঁদের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। সেই জমিতেই হরেন্দ্রনাথবাবু সহ অন্যরা ধান চাষ করেছিলেন। বিঘার পর বিঘা জমিতে ঘাস মারার বিষ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বিঘা চাষের জমি এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সকাল বেলা স্থানীয় বাসিন্দারা জমির এমন অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি খবর দেন বিজেপি নেতা ও তাঁর দাদা বাদল কামিলাকে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে পৌঁছে তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমিতে  ধান চাষের বীজ চাষ করেছিল ওই কামিলা পরিবার। সারাবছর চাষবাসের ওপর নির্ভর করেই সংসার চলে ওই চাষি পরিবারের। কিন্তু কীভাবে চলবে সারাটা বছর অঝর নয়নে কেঁদে চলেছেন বিজেপি নেতার ৯০ বছরের বৃদ্ধ মা দ্রৌপদী কামিলা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপি (BJP) নেতা হরেন্দ্রনাথ কামিলা বলেন, আমি বিজেপির এই অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করেছি। ভোট শেষ হওয়ার পরই বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দেওয়া হল। পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই কাজ করেছে। এই ঘটনায় ঢোলাহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চলের সহ-সভাপতি সত্যেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, যারা দোষ করেছে তারা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। তবে, শাসক দল এমন ঘটনায় কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবে, প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েতে বিজেপি করার জন্যই কী পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হল, না এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। তদন্ত শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঘাটালে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ঘাটালে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে ঢিল, তারপর বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইতিচক গ্রামে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কাকলি কুড়েল নামে বিজেপি (BJP)  প্রার্থী জয়ী হন। জয়ী হওয়ার পর থেকেই শাসক দলের পক্ষ থেকেই হুমকি দেওয়া হয়। ঘাটাল ব্লকের ২১ টি আসন বিশিষ্ট এই সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়। তৃণমূল-১০ টি,বিজেপি-১০ টি ও নির্দল-১ টি করে আসনে জয়ী হয়। ফল, ঘোষণার পরই ঘাটাল ব্লকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের গোপন ডেরায় রেখেছিল বিজেপি। দিন দুয়েক আগে সুতলানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইতিচক গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন বিজেপির এই জয়ী প্রার্থী কাকলি কুড়েল। আর তারপরই শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে বেশ কয়েকবার ঢিল ছোঁড়া হয়। তারপরই রাত নাগাদ বোমা ছোঁড়া হয় বোম ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায়। বোমার আওয়াজ পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা। ঢিল ছোঁড়ার জেরে প্রার্থীর টালির ছাউনির কিছু অংশ ভেঙে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে প্রার্থীর বাড়িতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী?

    বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী কাকলি কুড়েল বলেন, ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এতদিন বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলাম। গ্রামে ফিরতেই বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে। আসলে ওরা সন্ত্রাস করে আমাদের এলাকা ছাড়া করতে চাইছে। এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যদিও এবিষয়ে স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব পুরো ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda Incident: মালদাকাণ্ডে রাজ্যে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    Malda Incident: মালদাকাণ্ডে রাজ্যে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই মহিলাকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধরের ভিডিও সামনে এসেছে মালদায় (Malda Incident) (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। এবার এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্য়ুইট প্রকাশ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women)। অন্যদিকে মহিলা কমিশনের টিমও মালদায় (Malda Incident) আসবে বলে জানিয়েছেন এনসিডাব্লু-এর প্রধান রেখা শর্মা। অন্যদিকে শনিবার থেকেই মালদা জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। রবিবার সকালে বিক্ষোভস্থলে ত্রিপল লাগানোর ব্যবস্থা করে বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেসময় পুলিশ ব্যাপকভাবে লাঠিচার্জ করে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ সুপার যতক্ষণ না দফতরে আসছেন ততক্ষণ এই বিক্ষোভ চলবে। সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে চলছে ধর্না কর্মসূচি।

    কমিশনের ট্যুইট

    কমিশনের ট্য়ুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়েছে শনিবার। সেখানে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদায় (Malda Incident) আদিবাসী মহিলার উপর যে নির্মম অত্যাচার হয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। এনসিডব্লু দ্রুত ব্যবস্থা চায়। পুলিশকে আইপিসি মেনে দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য বলা হচ্ছে।’

    কী বললেন মহিলা কমিশনের প্রধান?

    এনসিডব্লু প্রধান রেখা শর্মা বলেন, “গত কয়েকদিনে এরকম একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এক মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করা হয়েছে। পুরুষ মহিলা সকলে ছিলেন সেখানে। আমি একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। ওরা বলছে ওই দুই মহিলার কোনও খবর নেই। ওনারা কোথায় আছেন জানা নেই। পুলিশ ওনাদের মেডিক্যাল করেনি। যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের কোনও উদ্যোগও নেই। পরিবার চিন্তিত। জাতীয় মহিলা কমিশন সুয়োমোটো নিচ্ছে। আমার টিম ওখানে যাবে। সমস্যা একটাই ওখানে পুলিশ কিছু করছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দলীয় নেতা খুনে রবিবার ইসলামপুরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি, কেমন প্রভাব পড়ল?

    BJP: দলীয় নেতা খুনে রবিবার ইসলামপুরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি, কেমন প্রভাব পড়ল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় শনিবার দুষ্কৃতীদের হামলায় খুন হন বিজেপি যুব মোর্চার নগর মণ্ডল কমিটির সম্পাদক অসীম সাহা। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ইসলামপুরে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, অসীম সাহাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতেই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার?

    ইসলামপুরে বিজেপির বনধ ডাকার পরই শনিবার রাতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দেয় ইসলামপুর জেলার পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে ইসলামপুর থানায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল থানার আইসি সন্দীপ চক্রবর্তীকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে টাকা-পয়সা লেনদেনের ঘটনা থেকেই তর্ক শুরু হয়, তারপরেই এই ঘটনা ঘটে। যদিও এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। ঘটনা ঘটার প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই অভিযুক্ত মহঃ সাহিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাকে ইসলামপুর আদালতে পেশ করা হবে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। অপরদিকে, বিজেপির আনা তোলাবাজি ও তৃণমূলের মদতের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। এই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোনও ব্যাপার নেই। টাকাপয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় থাকতে পারে। তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। পাশাপাশি, এদিন বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা ইসলামপুর বনধের বিষয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জোরপূর্বক বনধ কোথাও করতে দেওয়া হবে না।”

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    ইসলামপুর শহরের বীজহাট্টি এলাকায় রতন সাহা নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছে দীর্ঘদিন ধরে মহঃ তফিক নামে এক যুবক মিথ্যা গল্প সাজিয়ে বকেয়া টাকার নাম করে ওই ব্যবসায়ীকে চাপ দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই যুবক কিছুদিন আগে তার কিছু বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ওই বস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছে টাকা আদায়ের জন্য দোকানে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করে। ওই বস্ত্র  ব্যবসায়ীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। শনিবার  সকালে ওই বস্ত্র ব্যবসায়ীর দোকানে মহঃ সাহিল নামে অপর এক যুবক তোলা চাইতে আসে। তোলা নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি করে। তখন দোকান মালিকের ভাগ্নে তথা বিজেপি নেতা অসীম সাহা সেখানেই ছিলেন। তিনি তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁকে চাকু দিয়ে একাধিক জায়গায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গেলে এই ঘটনায় স্থানীয় অপর এক যুবক আহত হয়। এরপর ওই অভিযুক্ত ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত অসীমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় অসীম সাহার। শনিবার বিজেপির পক্ষ থেকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন জানিয়েছেন, যেভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে দলীয় নেতাকে খুন হতে হল তা অত্যন্ত দুঃখের। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেছিলাম বনধ সফল করার জন্য। মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। গভীর রাতে বনধের নোটিশ দেওয়ার কারণে অনেকেই হয়তো বনধের খবর জানে না। তাই তারা রাস্তায় নেমেছে। আমরা সাধারণ মানুষের দাবিতে ও তাদের সুরক্ষার দাবিতে শান্তিপূর্ণ বনধ ডেকেছি। আমরা রাস্তা অবরোধ করে পিকেটিং করে বনধ আরও জোরালো করতে পারতাম। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা তা করছি না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি! মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি! মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর নিদান দিয়েছিলেন মমতা-অভিষেক। এবার এই ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় শনিবার এফআইআর করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযোগপত্রে বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে বিজেপি নেতাদের প্রাণহানি হতে পারে। এমনকি, তাঁরও। অভিযোগপত্রে তিনি মমতা এবং অভিষেকের বক্তৃতার অংশও তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের বক্তব্য ‘ঘৃণাভাষণ’।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে আসায় তাতে অনুদান বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লি অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। পাশাপাশি তিনি, আগামী ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর কথাও বলেন। তিনি বলেন, ‘‘সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখবেন! একদম গণঘেরাও! বাড়ির কেউ বয়স্ক থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। আর কাউকে ঢুকতেও দেবেন না, বেরোতেও দেবেন না।’’ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওই কর্মসূচিতে সামান্য বদল করেন। তিনি বলেন, বুথে নয়, প্রতি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও হবে। তৃণমূলের এহেন কর্মসূচিকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলও বলছে, এতে নিশ্চিতভাবে হিংসা ছড়াবে। তৈরি হবে অশান্তির বাতাবরণ।

    রবীন্দ্র সরোবর থানাতেও অভিযোগ দায়ের অভিষেকের বিরুদ্ধে

    এই ইস্য়ুতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ীও। রাজর্ষির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৫ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাংলার বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা বলেন। এই বক্তব্য শুধুমাত্র গণতন্ত্র বিরোধী নয়, আইনেরও লঙ্ঘন। ভারতের পবিত্র সংবিধানে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনভাবে চলাফেরার করার মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত।’’ ঘটনাক্রমে অভিষেকের ঘোষণার পরেই রাজু হালদার নামে যুবমোর্চার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজর্ষি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নারী নির্যাতনে (Violence Against Women) পশ্চিমবঙ্গ দেশের প্রথম সারিতে রয়েছে, বিরোধীদের এই দাবিকে ইতিমধ্যে সিলমোহর দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অন্যদিকে নারীদের ওপর ঘটে চলা অত্যাচারও বলছে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে ভাল নেই বাংলার মেয়েরা। মণিপুরের জন্য কেঁদে ভাসাচ্ছেন যে তৃণমূল নেত্রী, তাঁর শাসনে কেমন রয়েছেন বাংলার নারীরা? রাজনৈতিক অরাজনৈতিক মিলিয়ে মহিলা নির্যাতন যেন রুটিন কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম উঠে আসছে শাসকদলের মদতপুষ্ট সমাজ বিরোধীদের। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নারী নির্যাতনের গুরুতর অপরাধগুলিকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ট্য়ুইট সামনে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কন্যাশ্রী ও রূপশ্রীর মুখোশের আড়ালে এ কোন বাংলা? যা নারীদের বধ্যভূমি হয়ে গিয়েছে।

    বিগত ৭ বছরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ

    ২১ জুলাই ২০২৩, মালদা

    মালদার মানিকচকে প্রকাশ্যে নগ্ন (Violence Against Women) করে দুই মহিলাকে মারধরের মধ্যযুগীয় বর্বরতা সামনে আসে। সব থেকে আর্শ্চয্যজনক তথ্য হল, মমতার পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

    ৮ জুলাই ২০২৩, হাওড়া

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে নগ্ন করে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ২৬ অক্টোবর ২০২২, মুর্শিদাবাদ

    মধ্যযুগীয় বর্বরতার আরও চিত্র দেখা যায় মুর্শিদাবাদে। দুইজন সমকামী মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে।

    ২৪ জুলাই ২০২২, দক্ষিণ দিনাজপুর

    একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভিড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি স্কুলে চড়াও হয় এবং মহিলা শিক্ষিকাকে প্রায় নগ্ন করে। ওই শিক্ষিকার অপরাধ, তিনি শৃঙ্খলা শিখিয়েছিলেন ছাত্রীদের।

    ১৫ মে ২০২২, মালদা

    বাড়িতে একা পেয়ে তিন যুবক এক মহিলাকে ধর্ষণের (Violence Against Women) চেষ্টা করে। ওই মহিলা বাধা দিলে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয় এবং নানা ভাবে মানসিক নির্যাতনও চলে সঙ্গে। এই ঘটনার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীরব থাকেন।

    ১৫ জুন ২০২১, আলিপুরদুয়ার

    ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে নগ্ন করে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন এই ঘটনার পরেও।

    ১৯ অক্টোবর ২০১৯, বীরভূম

    বীরভূমে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। যারা ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে যায়, তাদের ওপরেও চড়াও হয় সমাজবিরোধীরা। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে নারীর সম্মান।

    ১৭ মে ২০১৮, কলকাতা

    কলকাতার সেন্ট পল ক্য়াথিড্রাল কলেজে এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক বিবস্ত্র করানো হয়। এবং পুরো ঘটনা ক্য়ামেরাবন্দী করে সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করা হয়।

    ১৮ মার্চ ২০১৭, কলকাতা

    কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং বিবস্ত্রের অভিযোগ ওঠে। এক রাজনৈতিক কর্মীকে চেক করার নামে এই কাজ করে পুলিশ। যদিও কোনও বিবৃতি শোনা যায়নি পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফ থেকে।

    ২৫ জুলাই ২০১৬, মালদা
     
    মালদায় এক বয়স্কা মহিলাকে বিবস্ত্র করে বাঁ হাতের দুটো আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়লেও চুপ ছিলেন রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় ইসলামপুরে বিজেপি নেতাকে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় ইসলামপুরে বিজেপি নেতাকে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজদপুরের ইসলামপুর এলাকায়।  পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অসীম সাহা। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার নগর কমিটির সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ইসলামপুরে বস্ত্র ব্যবসায়ী রতন সাহার ভাগ্নে। বিজেপি নেতা খুন হওয়ার প্রতিবাদে দলীয় নেতা কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।  পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার দাবি তুলে ইসলামপুরের শিবডাঙ্গী এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভের পর অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

     ইসলামপুর শহরের বীজহাট্টি এলাকায় রতন সাহা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর কাছে দীর্ঘদিন ধরে মহঃ তফিক নামে এক যুবক মিথ্যা গল্প সাজিয়ে বকেয়া টাকার নাম করে জোর করে টাকার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে চাপ দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই যুবক কিছুদিন আগে তার কিছু বন্ধু বান্ধবকে নিয়ে ওই কাপড় ব্যবসায়ীর কাছে টাকা আদায়ের জন্য দোকানে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করে। ওই কাপড় ব্যবসায়ীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। শনিবার  সকালে ওই কাপড় ব্যবসায়ীর দোকানে মহঃ সাহিল নামে অপর এক যুবক আবার টাকা আদায়ের জন্য ঝামেলা সৃষ্টি করে। তখন দোকানেই ছিলেন রতনবাবুর ভাগ্নে তথা বিজেপি (BJP) নেতা অসীম সাহা। তিনি তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁকে চাকু দিয়ে একাধিক জায়গায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। তাকে বাঁচাতে গেলে এই ঘটনায় স্থানীয় অপর এক যুবক জখম হন। এরপর অভিযুক্ত ওই যুবক দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জখম বিজেপি নেতা অসীমবাবুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় অসীম সাহার। ইসলামপুর থানার পুলিশ তদন্ত নেমে অভিযুক্ত মহঃ সাহিলকে  গ্রেফতার করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকা জুড়ে। এ ঘটনায় প্রতিবাদে এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখা হয় ইসলামপুর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে। অপরদিকে স্থানীয় বিজেপির যুব নেতা রথীন দাস বলেন, নিহত অসীম সাহা বিজেপির যুব নগর কমিটির সম্পাদক পদে ছিলেন। তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share