Tag: bjp

bjp

  • Howrah: ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ!’ পোস্টারে শোরগোল হাওড়ায়

    Howrah: ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ!’ পোস্টারে শোরগোল হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিতে না পারায় কোথাও নিরবে, কোথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কোথাও রাতের অন্ধকারে পোস্টার মেরে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড় এবং জগৎবল্লভপুর এলাকায় এমনই প্রতিবাদের চিত্র ধরা পড়ল। এলাকায় কোথাও দেওয়ালে আবার কোথাও ইলেকট্রিক পোস্টে মারা হয়েছে পোস্টার। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের ভোটটাও দিতে দিলেন না? ছিঃ’ যদিও এই পোস্টার বা কারা লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

    কেন পোস্টার দেওয়া হয়েছে (Howrah)?

    রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার মারা হয়েছে। পোস্টারের নিচে লেখা জগদীশপুর অঞ্চল গ্রামবাসীবৃন্দ। রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের নামে প্রহসন কেমন ছিল সাধারণ তা মানুষ দেখেছেন। বহু বুথেই মানুষ ভোট দিতে গেলেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আবার কোথাও মানুষ ভোট দিলেও ব্যালট ছিনতাই সহ নানা কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় রীতিমতো শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করলে ঘটতে পারে আরও বড় বিপদ। তাই মানুষের ভুরি ভুরি অভিযোগ ও ক্ষোভ থাকলেও অনেকেই প্রকাশ্যে সেই ক্ষোভ উগরে দিতে ভয় পাচ্ছেন। তাই হাওড়ায় (Howrah) পোস্টার দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন সাধারণ মানুষ।

    হাওড়ার কোথায় পোস্টার দেওয়া হল

    জগদীশপুর (Howrah) পঞ্চায়েতের একটি অংশ চামরাইল লাগোয়া রামকৃষ্ণপাড়া, মাঝেরহাটে প্রচুর পোস্টার দেওয়া হয়েছে। ভোটের ক’দিন কাটতে না কাটতেই সেই এলাকার একাধিক বাড়ির দেওয়াল, লাইটপোস্ট, দোকানের শাটারে লাগানো হয়েছে সাদা কাগজে ছাপা সেই পোস্টারগুলি। গ্রামবাসীবৃন্দের নামে সেই পোস্টারগুলি রাতের বেলা লাগানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

    বিজেপির বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) সদর বিজেপির সহ-সভাপতি গোবিন্দ হাজরা বলেন, গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন পোস্টারের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন যেভাবে শাসকদলের দুর্বৃত্তরা গ্রামবাসীদের মারধর করে সন্ত্রাস চালিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ভোট না দিতে দিয়ে ভোট লুঠ করেছে, সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ এই পোস্টারের মাধ্যমে হয়েছে। ভোটে কী হয়েছে মানুষ সবই দেখেছেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে, ডোমজুড় (Howrah) অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, এই অঞ্চলে ভোট নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। স্থানীয় কোনও মাদকাসক্ত যুবকরা নেশা করে টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে এই কাজ করেছে। বিভ্র্রান্তি তৈরি করতে পোস্টারে গ্রামবাসীদের নাম দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • North 24 Parganas: “এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা”! দেগঙ্গা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    North 24 Parganas: “এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা”! দেগঙ্গা ঘুরে মন্তব্য বিজেপির মহিলা সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পর দিনই দিল্লি যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। ভোট গণনার দিন সকালেই রাজ্যে ফিরে আসেন রাজ্যপাল। ভোট-হিংসার বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনার পর এবার রাজ্যে এল বিজেপির ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ বা তথ্য অনুসন্ধানকারী দলের ৫ মহিলা সাংসদ। মঙ্গলবার আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা পরিদর্শন করলেন টিমের সদস্যরা।

    ৫ মহিলা সাংসদের টিম

    ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস দেখতে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন বিজেপির ৫ মহিলা সাংসদ। বিজেপির মহিলা কর্মীদের উপর অত্যাচারের ‘তদন্তে’ এবার তাঁরা। বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ৫ মহিলা সাংসদ রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাকে। ভোটে বিজেপি কর্মীদের উপরে অত্যাচারের চিত্র আজ দেগঙ্গায় (North 24 Parganas) খতিয়ে দেখল এই মহিলা টিম।

    তথ্য অনুসন্ধানকারী মহিলা টিমের বক্তব্য

    ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম দেগঙ্গার (North 24 Parganas) গিলাবাড়ি, দাসপাড়া, হাদিপুর কলোনি এবং কালীতলা অঞ্চলের আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রাম পরিদর্শন করেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন আক্রান্তদের সঙ্গে। এই পাঁচ সদস্যের টিমকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিজেপির আক্রান্ত পরিবারের লোকজন। দীর্ঘক্ষণ পরিবারের সাথে কথা বলার পর টিমের সদস্যরা বলেন, বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এই রাজ্যের মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, পঞ্চায়েতে মানুষের ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় আসেনি, ভয় দেখিয়ে ভোট লুট করে ক্ষমতায় এসেছে। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি আমরা। এই বিষয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে রিপোর্ট পেশ করব। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখালে পার্টি বরদাস্ত করবে না। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে টিম জানায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে কাজের কোনও মিল নেই। পশ্চিমবঙ্গের এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি রয়েছে তা গোটা দেশে নেই। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে সন্ত্রাস চালানো হয়েছে। বাদ যায়নি বাড়ির মহিলারা পর্যন্ত। এই হিংসা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভোটার ৭৪০, ভোট পড়েছে ৬০৬, তৃণমূল প্রার্থী জিতলেন ১০৮৬ ভোট পেয়ে!

    Panchayat Election 2023: ভোটার ৭৪০, ভোট পড়েছে ৬০৬, তৃণমূল প্রার্থী জিতলেন ১০৮৬ ভোট পেয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারের পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election 2023) নানা মজার ঘটনার সাক্ষী। ভোট লুট করার জন্য যে কত অভিনব পন্থা অবলম্বন করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সিপিএমের সায়েন্টিফিক রিগিংকে তৃণমূল নিয়ে গিয়েছে উন্নততর রিগিংয়ে। তাই তো ভোটের পরও বিভিন্ন জায়গায় মিলছে গোছা গোছা ব্যালট। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, মঙ্গলবার সিল করা ব্যালট বাক্সও পাওয়া গেছে, যেখানে তৃণমূল প্রার্থীকে ইতিমধ্যেই জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভোট গণনাই যেখানে হয়নি, সেখানে একজন প্রার্থী জয়ী হলেন কী করে? এসব নিয়ে একাধিক মামলাও হচ্ছে হাইকোর্টে। এবার এমন ঘটনা সামনে এল, যা রীতিমতো অবাক করার মতো। সোনারপুরে একটি বুথে মোট ভোটারের থেকে প্রায় দেড়গুণ ভোট পেয়ে জিতে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী। এ নিয়ে ফের হাইকোর্টে মামলা করতে চলেছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী ঘটেছে (Panchayet Election 2023)?

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুর ব্লকের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একের পর এক বুথের ব্যালট বক্সের ব্যালট পেপারের (Panchayet Election 2023) হিসাব মিলছে না বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। তার মধ্যে ২০১ এ ২০১ বি- এই দুটি বুথের দুজন বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, বুথের যা মোট ভোটার, তার চেয়ে প্রায় দেড়গুণের মতো ভোট কীভাবে পেয়ে জিতে গেল শাসকদলের প্রার্থী? তাই ওই বুথে পুনরায় ভোটের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করতে চলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা প্রথম জিতে গিয়েছিলেন। পরে তাঁদের মেরেধরে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ঘোষণা করা হল, ওই দুটি বুথে তৃণমূল প্রার্থী বিজয়ী।

    কী অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীদের (Panchayet Election 2023)?

    ২০১ এ-র বিজেপি প্রার্থী আলোমতি হালদার (সরদার) জানান, তাঁর বুথের (Panchayet Election 2023) ভোটার সংখ্যা হল ৭৪০, ভোট পড়েছে ৬০৬, সেখানে ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী ১০৮৬ ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন। অন্যদিকে ২০১ বি বুথের বিজেপির প্রার্থী অষ্টম কুমার নস্কর জানান, তাঁর বুথের ভোটার ৭২০, ভোট পড়েছে ৬১৪ সেখানে তৃণমূল প্রার্থী ১০৮৪ ভোট পেয়ে জিতে গেছেন। এই দুই প্রার্থীর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরে থেকে ব্যালট পেপারে ছাপ মেরে ব্যালট বক্সে দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হবেন নতুন করে ভোটের দাবি নিয়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারাতে পারলে আপনারাও পারবেন, বললেন শুভেন্দু

    South 24 Parganas: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারাতে পারলে আপনারাও পারবেন, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মগরাহাট (South 24 Parganas) উড়াল চাঁদপুর এলাকায় দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মগরাহাটের একাধিক জায়গায় বিজেপির দলীয় কর্মীদেরকে মারধর করা হয়েছে, বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকায় আক্রান্ত সমস্ত দলীয় কর্মীদের সাথেই আজ দেখা করার পাশাপাশি তাঁদের আশ্বস্ত করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    মগরাহাটে কী বললেন শুভেন্দু (South 24 Parganas)?

    রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট যেমন লুট করেছে, তেমনি লুটের পর গণনায় চুরি করে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে সমগ্র রাজ্যে। বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের বাড়িতে রাজনৈতিক হিংসাত্মক আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী আজ সকালে মগরাহাটে (South 24 Parganas) গিয়ে, এই এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেলিম লস্কর, মগরাহাট থানার ওসি আব্দুল সামাদ আনসারী এবং বিডিও শেখ আব্দুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি আরও বলেন, গোটা মগরাহাট জুড়ে ভোটের সন্ত্রাস চলেছে, ভোট লুট করা হয়েছে। এই লুণ্ঠনে সরকারি আমলারা তৃণমূলের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন।

    শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি যখন হারাতে পেরেছি আপনারাও পারবেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে লড়াই করতে হবে। অত্যাচারীদের ভয় সারা জীবন থাকবে না! এই হিংস্র সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ওরা বাইক বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করবে, মাথায় বন্দুক, পিস্তল ঠেকাবে। কিন্তু আমাদের সাহস রাখতে হবে। সাহস আর বিশ্বাস রাখুন, বিজেপি আপনাদের পাশে আছে। কেন্দ্র কোনও টাকা আটকায়নি, কেন্দ্র তৃণমূলের চুরি আটকেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সিপিএম এখানে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, আর অপর দিকে এই সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতৃত্ব সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিটিং করছেন। সিপিএম এবং তৃণমূল পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ। আর তাই রাজ্যে এই সন্ত্রাসকে মুক্ত করতে গেলে একমাত্র দল বিজেপিকেই ক্ষমতায় আসতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কমিশনের ওয়েবসাইটে জয়ী দেখালেও সার্টিফিকেট পাননি বিজেপি প্রার্থী, তীব্র চাঞ্চল্য

    Murshidabad: কমিশনের ওয়েবসাইটে জয়ী দেখালেও সার্টিফিকেট পাননি বিজেপি প্রার্থী, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৬ ভোটে জিতলেও এখনও দেওয়া হয়নি সার্টিফিকেট! ঠিক এমনই অভিযোগ করলেন ফরাক্কা ব্লকের নয়নসুখ পঞ্চায়েতের ১২২ নং বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী মাধবী মণ্ডল। নির্বাচন মিটে গিয়ে ফলাফল ঘোষণার পরেও কেন জয়ী প্রার্থীরা সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না এখনও? এই অভিযোগে শোরগোল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায়।

    কী অভিযোগ (Murshidabad)?

    ভোটের গণনার পর বুথের (Murshidabad) বিজেপি প্রার্থী মাধবী মণ্ডলের স্বামী অভিযোগ করে বলেন, গণনার দিন বিজেপি প্রার্থী ৯৬ ভোটে জিতেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও বিজয়ী হিসাবে মাধবী মণ্ডলের নাম রয়েছে। কিন্তু সার্টিফিকেট চাইতে গেলে জানতে পারেন, তৃণমূল প্রার্থী শিলা মণ্ডল জয়ী হয়েছেন। এরপর আর সার্টিফিকেট পাননি। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়। অবশেষে ফরাক্কার বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানান এই বিজেপি প্রার্থী।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী মাধবী মণ্ডল বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জানতে পারি আমি জয়ী হয়েছি। সার্টিফিকেট চাইতে গেলে বিডিও বলেন, এক ঘণ্টা পর নিয়ে যেতে। এরপর আবার সার্টিফিকেট নিতে গেলে বিডিও (Murshidabad) বলেন, আমি ২ ভোটে পরাজিত হয়েছি! অথচ ওয়েবসাইটে জয়ী প্রার্থী হিসাবে আমার নাম রয়েছে। তাই আমি বিডিওর কাছে সার্টিফিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করলাম। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল প্রার্থী চক্রান্ত করে ভোটের ফলাফলকে বদলে দিয়েছে।  

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের এক স্থানীয় (Murshidabad) নেতা বলেন, ভোট গণনা হয়েছে ১১ তারিখ। কিন্তু অভিযোগ করছেন সাতদিন পরে আজ! এত দিন কী করছিলেন? যদি তাঁর গণনা নিয়ে সমস্যা থাকে তাহলে গণনার পর সঙ্গে সঙ্গেই কেন বলেননি। ফলাফল ঘোষণার পর ভুল করে বিজেপি প্রার্থীর নাম দেওয়া হয়েছে। আসলে তৃণমূলের ভোট বিজেপির বলে ঘোষণা হয়েছিল। সব ব্যালট রাখা আছে, মনে হলে আরেকবার গুণে নিতে পারেন। আসলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ভুল করে নাম উঠে গিয়েছিল এই বিজেপি প্রার্থীর। মূলত এটা সাইটের গোলমাল হয়েছিল। এখন হেরে যাওয়ায় বিজেপি নাটক করছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: ভাগাড়ের নোংরা-আবর্জনায় ভরে উঠছে আত্রেয়ীর খাঁড়ি, প্রতিবাদে সরব বিজেপি

    Balurghat: ভাগাড়ের নোংরা-আবর্জনায় ভরে উঠছে আত্রেয়ীর খাঁড়ি, প্রতিবাদে সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট পুরসভার তরফে শহরের আন্দোলন সেতুর পাশে ভাগাড়ের নোংরা-আবর্জনা ফেলে আত্রেয়ীর খাঁড়ি ভরাট করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলল বিজেপির বালুরঘাট টাউন মণ্ডল। এর ফলে একদিকে যেমন নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়ছে, তেমনই ওই এলাকায় দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষ টিকতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে বালুরঘাটে সদর মহকুমা শাসককে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বালুরঘাট (Balurghat) টাউন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিনের অভিযোগ জানানোর কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট টাউন বিজেপি সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত, বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক।

    কী সমস্যায় বাসিন্দারা?

    বালুরঘাট (Balurghat) শহরে এতদিন পর্যন্ত কোনও পার্কিং জোন ছিল না। ফলে শহরের ব্যস্ততম রাস্তার মধ্যেই গাড়ি, মোটরবাইক সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার্কিং করেন মানুষজন। তাই বালুরঘাট পুরসভা দুটি পার্কিং জোন তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। যার একটি আন্দোলন সেতু সংলগ্ন খাঁড়ির পাড়ে, দ্বিতীয়টি বালুরঘাট ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। দুটি পার্কিংয়ের কাজ প্রায় শেষ। আন্দোলন সেতু সংলগ্ন পার্কিংয়ের পাশে এখন ভাগাড়ের মাটি ফেলা হচ্ছে। এই মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করেই সরব হয়েছে বিজেপি। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাকে আন্দোলন সেতুর উপর দিয়ে রোজ যাতায়াত করতে হয়। কয়েকদিন ধরে দেখছি, সেতুর পাশে কিছু একটা ভরাট করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করা মুশকিল হচ্ছে। রাস্তায় কাদা জমে যাচ্ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুরসভা বিষয়টি দেখলে ভালো হয়।

    কী অভিযোগ বিজেপির শহর (Balurghat) সভাপতির?

    এই বিষয়ে বিজেপির শহর সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্তের অভিযোগ, ‘ভাগাড়ের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে আত্রেয়ীর খাঁড়িতে। খাঁড়ি বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। দুর্গন্ধে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া এতে শহরের (Balurghat) নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়তে পারে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মহকুমা শাসককে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।’

    কী বললেন পুরপ্রধান এবং মহকুমা শাসক (Balurghat) ?

    বালুরঘাটের পুরপ্রধান (Balurghat) অশোককুমার মিত্র বলেন, ‘বিজেপির কাজই শুধু অভিযোগ করা। তাদের কাজ করার কোনও সদিচ্ছা নেই। বিজেপি নোংরা মাটি ফেলার যে অভিযোগ করছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শুধু মাটিই ফেলা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক ভাবেই সব করা হচ্ছে। ফলে নিকাশি সমস্যা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।’ সদর মহকুমা শাসক সুমন দাশগুপ্ত জানান, এনিয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য চোরদের বাঁচানো, তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ

    Paschim Medinipur: বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য চোরদের বাঁচানো, তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) সদর ব্লকের মালিদা গ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের শাসক শিবিরকে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও খড়্গপুরে চায়ে পে চর্চায় যোগদান করে বিভিন্ন বিষয়ে বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

    কৌস্তুভ রায়ের গ্রেফতার সম্পর্কে কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ মালিদা গ্রামে (Paschim Medinipur) তৃণমূলের সন্ত্রাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হিংসার কথা সবিস্তারে শোনেন। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সবরকম সাহয্যের আশ্বাস দেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৌস্তুভ রায়ের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে বলে শুনেছি। পিনকন চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়ায় এই তৃণমূল নেতার। তার মোবাইল থেকে একাধিক প্রভাবশালীর নাম মিলেছে। এই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকবার বিদেশে যাত্রা করছে। এমনকি বিদেশে যাতায়াত করার সময় কয়েকবার আর্থিক লেনদেনে ধরাও পড়েছে। তৃণমূলের অন্যতম রাখব বোয়াল এই ব্যক্তি। অনেক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সে। ধরা যখন পড়েছে আরও অনেক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসবে।

    চায়ে পে চর্চাতে কী বললেন?  

    মঙ্গলবার সকালে খড়্গপুরে (Paschim Medinipur) দিলীপ ঘোষ চায়ে পে চর্চার মধ্যে সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ, ছাপ্পা ভোট, গণনার দিন ব্যালট ছিনতাই সব রকম অপকর্ম রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল করছে। শুধু এই করেই ক্ষান্ত হয়নি। গণনার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করছে তৃণমূল। এমনকি বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাও ঘরছাড়া হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে সবদিক থেকে হরণ করছে তৃণমূল।

    বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, গত ১৯ এর লোকসভার আগেও বিরোধীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছেন, মাছ ভাত খাইয়েছেন, কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি বরং একডজন সিট কমে গেছে। মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সিপিএম আজ অপ্রাসঙ্গিক। সবটাই অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছেন। কে কার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কেউ কিছুই জানেন না। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এতো তৃণমূল বিরোধী মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুন হলেন। কিন্তু কোনও জাতীয় দলের নেতারা কিছু বলছেন না এই বৈঠকে! নিজের দলের মানুষরাই মারা যাচ্ছেন। অথচ দলের নেতারা নির্বাক! অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা। এই বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হল চোরদের বাঁচানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাইপোকে বাঁচাতে বৈঠক করছেন আর বাকিরা নিজেদের পরিবারকে বাঁচাতে বৈঠক করছেন মোদির বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, বিচারপতিদের নামে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখছেন, তাতে সাধারণ মানুষের মনে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সন্দেহ তৈরি করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শান্তিপুরের বুথে গণনায় বৈধ ভোট মাত্র ১! তাতেই বাজিমাত বিজেপির

    Panchayat Election 2023: শান্তিপুরের বুথে গণনায় বৈধ ভোট মাত্র ১! তাতেই বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজব কাণ্ড! গোটা বুথে মোট ভোট পড়ল মাত্র একটি। আর সেই একটি ভোট গণনাতেই (Panchayat Election 2023) জয়লাভ করল বিজেপি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে গোটা বুথে ভোটের সংখ্যা এক হতে পারে। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগাচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। উল্লেখ্য, গত ৮ তারিখে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলেছিল সুস্থভাবে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যালট বাক্স সিল করে পাঠানো হয়েছিল স্টোররুমে। ১১ তারিখ ভোট গণনা শুরু হতেই ঘটল বিরল ঘটনা। ব্যালট বক্সে ভোট জমা পড়লেও ছিল না প্রিসাইডিং অফিসারের সই। সেই কারণে ভোটগুলি বাতিল করে দিতে বাধ্য হন বিডিও। যদিও একটি মাত্র বৈধ পোস্টাল ভোট পড়ায় এক ভোটে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী।

    বিশদে ঘটনা (Panchayat Election 2023)

    শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুবপুর ৩০ নম্বর বুথ। জানা যায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী প্রতিকা বর্মন তাঁর জা তৃণমূল প্রার্থী রত্না বর্মনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে (Panchayat Election 2023) কেউ কাউকে এক ফোঁটাও জায়গা ছাড়েননি। এর পরে গত ৮ই জুলাই ওই ৩০ নম্বর বুথে সকাল থেকেই সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রক্রিয়া চলছিল। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের ব্যালট পেপারে প্রিসাইসাইডিং অফিসারের সই থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যালট পেপারে কোনও সই ছিল না। ভোট গণনা শুরু হতেই তা নজরে পড়ে ভোট কর্মীদের। খবর পৌঁছায় বিডিওর কাছে। আইন মোতাবেক প্রশাসন বাধ্য হয়ে ওই ভোটগুলি বাতিল বলে ঘোষণা করে। ওই এলাকায় একটিমাত্র পোস্টাল ব্যালট ভোট পড়েছিল এবং সেটা ছিল বৈধ ভোট। বিডিও, জয়েন্ট বিডিও এরপর ওই বৈধ পোস্টাল ভোটকে প্রাধান্য দিয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রতিকা বর্মনকে জয়ী ঘোষণা করেন। বিজেপির এই জয়ের খবর শুনতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জা তৃণমূল প্রার্থী রত্না বর্মন। সঙ্গে সঙ্গে বিডিওর কাছে একটি অভিযোগ জমা দেন।

    কী বলছেন তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থী (Panchayat Election 2023)?

    তৃণমূল প্রার্থী রত্না বর্মনের অভিযোগ, চক্রান্ত করে প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের কাগজে সই করেনি। যেখানে ৭৯০ টি ভোট জমা পড়ল। অথচ সই না থাকার কারণে সব ভোট বাতিল করা হলেও একটি মাত্র পোস্টাল ভোটে বিজেপিকে জয়লাভ করানো হল। আমরা পুনঃনির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দাবি করছি। আর এই ঘটনার পিছনে সম্পূর্ণ দায়ী প্রিসাইডিং অফিসার। কারণ সঠিকভাবে ভোট গণনা যদি হত, তৃণমূল এখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করত। অন্যদিকে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি প্রার্থীর স্বামী বিশ্বজিৎ বর্মনের দাবি, সঠিকভাবে ভোট গণনা হলে এখানে বিজেপিই বিপুল ভোটে জয়লাভ করত। কারণ এই ৩০ নম্বর বুথে বিজেপির প্রভাব যথেষ্ট বেশি। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ধরনের বিরল ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: নদিয়ায় ফের বিজেপি ও সিপিএমে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    Panchayat Election 2023: নদিয়ায় ফের বিজেপি ও সিপিএমে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে সাতদিন হয়ে গেল। কিন্তু ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা থেমে নেই। একের পর এক জায়গায় উদ্ধার হচ্ছে বৈধ ব্যালট। আর অধিকাংশতে ছাপ মারা বিজেপিতে! এবার ফের নদিয়া। নদীর ধার থেকে বিজেপি এবং সিপিএমে ছাপ দেওয়া বৈধ ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাথাভাঙ্গা নদী এলাকার ঘটনা। গোটা রাজ্য জুড়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। একদিন আগেই নদিয়ার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক এলাকার বিজেপির সিলমোহর লাগানো ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছিল। এবার রাত কাটতেই আবারও বিজেপি এবং সিপিএমের ব্যালট পেপার উদ্ধার হাওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল ছড়ায়।

    কীভাবে উদ্ধার হল ব্যালট (Panchayat Election 2023)?

    জানা যায়, প্রথমে ওই এলাকার এক বাসিন্দা ব্যালট পেপারগুলি দেখতে পান। খবর জানাজানি হতেই এলাকার লোকজন সেখানে ভিড় জমান। ওই ব্যালটগুলিতে দেখা যায় অধিকাংশ বিজেপির পক্ষে ছাপ দেওয়া রয়েছে। পাশাপাশি কিছু ব্যালট পেপারে সিপিএমের ছাপ রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসে বিজেপি নেতৃত্ব। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে ব্যালট পেপারগুলি (Panchayat Election 2023) উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী অভিযোগ বিজেপির (Panchayat Election 2023)?

    এ বিষয়ে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক বিজেপি কনভেনার পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের যে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, সেই সাতটিতেই বিজেপির জয়লাভ (Panchayat Election 2023) করার কথা ছিল। পাশাপাশি এবারে মানুষের যা সমর্থন ছিল তাতে পঞ্চায়েত সমিতিও আমাদের দখলে থাকার কথা ছিল। কিন্তু এই বৈধ ব্যালট নদীর ধার থেকে উদ্ধারের ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে এসেছে, বিডিও সামনে থেকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। আমরা চাই অবিলম্বে পুনরায় নির্বাচন হোক। অন্যদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপির সদ্য নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী লক্ষ্মী হালদার বলেন, অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে ইলেকশন কমিশনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: মালদায় সিল করা ব্যালট বাক্স উদ্ধার! গণনা ছাড়া কীভাবে জয়ী তৃণমূল? প্রশ্ন বিজেপির

    Panchayat Vote: মালদায় সিল করা ব্যালট বাক্স উদ্ধার! গণনা ছাড়া কীভাবে জয়ী তৃণমূল? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) গণনা হয়েছে ১১ জুলাই। অথচ তার এক সপ্তাহ বাদে উদ্ধার হল সিল করা ব্যালট বাক্স। ভোটের পরে বাক্সগুলি খোলাই হয়নি। অথচ দেখা যাচ্ছে সেখানে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার গাজোলে। দুদিন আগেই মালদায় ৩ হাজার ব্যালট রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপরে মঙ্গলবার সামনে এল এমন ঘটনা।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, গাজোল ব্লকের স্ট্রং রুম ও গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল স্থানীয় এইচ এন এম হাইস্কুলে। এতদিন বন্ধ থাকার পর এদিন স্কুল খুলতে গেলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। স্কুলের কর্মচারীরা দেখতে পান, একটি বন্ধ ঘরে প্লাস্টিক মোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে তিনটি সিল করা ব্যালট বাক্স। ওই ব্যালট বাক্সগুলি গাজলের ২০৭ নম্বর বুথের বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনা সামনে আসার পরই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে উদ্ধার করে ব্যালট বাক্সগুলি (Panchayat Vote)।

    বিক্ষোভে বিজেপি

    এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গাজোলের বিজেপি বিধায়ক সহ কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। গোটা ঘটনায় (Panchayat Vote) শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে গাজোলের বিডিও ও পুলিশের প্রত্যক্ষ আঁতাতের অভিযোগ তোলেন তিনি। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে গাজোলের পথে নামেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সরাসরি এই ঘটনায় বিডিও ও প্রশাসনকে দায়ী করে এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘এই ঘটনায় প্রমাণ হল বিডিও ও প্রশাসনের কতটা গাফিলতি রয়েছে। সব জেনে শুনেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এই ঘটনায় হাইকোর্টে যাব।’’

    কী বলছে শাসক দল?

    বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গাজলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা বিজয়ী জেলা পরিষদ সদস্য (Panchayat Vote) দীনেশ টুডু জানান, পায়ের তলায় জমি না থাকাতেই তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share