Tag: bjp

bjp

  • BJP: সামনেই চার রাজ্যে, তারপর লোকসভা ভোট! হায়দরাবাদে বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

    BJP: সামনেই চার রাজ্যে, তারপর লোকসভা ভোট! হায়দরাবাদে বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক চলছে হায়দরাবাদে। এদিন সকালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভবনে দলের সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার পৌরোহিত্যে শুরু হয় এই বৈঠক। চলতি বছরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। আবার বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এই আবহে শীর্ষ নেতৃত্বের এমন বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি সূত্রে খবর, এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন ১১টি রাজ্যের দলীয় সভাপতিরা ছাড়াও বিজেপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।

    তিনটি পৃথক অঞ্চলে ভাগ

    ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে যথেষ্ট ব্যাকফুটে রয়েছে বিরোধীরা। তাদের নেই কোনও নির্দিষ্ট প্রধানমন্ত্রী পদের মুখ। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ফের একবার মোদি সরকার গঠনের। এমন অবস্থায় পুরো দেশকে কয়েকটি সাংগঠনিক জোনে ভাগ করেছে বিজেপি। উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের মধ্যে রাখা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। সূত্রের খবর, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দুটি বৈঠক গত সপ্তাহে হয়ে গিয়েছে। রবিবার চলছে দক্ষিণের বৈঠক।

    কোন কোন জোনে কী কী রাজ্য?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, গুজরাত, দমন দিউ-দাদরা এবং নগর হাভেলি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং হরিয়ানাকে উত্তরাঞ্চল জোনে রাখা হয়েছে। ৫৪৩ সদস্য বিশিষ্ট লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে পূর্বাঞ্চলে রাখা হয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরাকে। অন্যদিকে, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মুম্বই, গোয়া, আন্দামান-নিকোবর এবং লাক্ষাদ্বীপকে দক্ষিণাঞ্চলে রাখা হয়েছে।

    সব বৈঠকেই হাজির ছিলেন নাড্ডা

    এই সব জোনের বৈঠকেই হাজির ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, জোনের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মন্ত্রীরা। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, রাজ্য সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরাও ছিলেন। এই বৈঠকগুলিতে একেবারে মাটির তলায় কীভাবে বিজেপির প্রচার করা যায়, সে নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। আগামীদিনের কর্মসূচিগুলির রূপরেখাও তৈরি হচ্ছে এই জোন বৈঠকগুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কর্মীদের ওপরে আক্রমণ হুমকি এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই অভিযোগ নিয়েই রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)  ভোটের দিন বিভিন্ন এলাকায় বুথে বুথে যান। ভোট মিটে যাওয়ার পরদিনও একই ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়। রবিবার সকালে তপন ব্লকের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচ কাদমা গ্রামে যান সুকান্ত বাবু। সেখানে বিজেপি কর্মীরা তাঁকে অভিযোগ জানান, রাতে বিভিন্ন জায়গায় হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের আটকে রেখে এলাকায় ভোট করা হয়েছে। সকালে গুলির খোল উদ্ধার করে গ্রামবাসী। সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে কথা বলতে গেলে সুকান্তর সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য তা মিটে যায়। এই নিচা কাদমা এলাকায় শনিবার তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করে বলে অভিযোগ। এমনকী রাতভর সন্ত্রাস চালানো হয় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এদিন সকাল হতেই বিজেপি কর্মীরা একযোগে এর প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    অন্য একটি ঘটনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের বোয়ালদা গ্রামে শনিবার রাতে বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান। সুকান্তবাবু বলেন, গণনার দিন পর্যন্ত তিনি জেলাতেই থাকবেন। যেখানে যেখানে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা হবে, সেখানেই তিনি যাবেন এবং তার বিহিত করার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে, ভোটের পরবর্তী সময় থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর থেকে শুরু করে হুমকি বিভিন্ন ঘটনা ঘটেই চলেছে এর জন্য দায়ী জেলা পুলিশ প্রশাসন। কারণ তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করছে না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের সিংহফরকায় ৩৭/১৬২ নম্বর বুথে শনিবার দেদারে চলে ছাপ্পা ভোট। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। প্রতিবাদে ব্যালট বক্সে জল ঢেলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। তৃণমূলের অভিযোগ জল ঢালেন স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি অন্তু রায়। এরপরই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মারধর করে বিজেপির বুথ সভাপতিকে। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ছুটে আসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ স্থানীয় জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রদীপ সরকার। বুথ সভাপতির সঙ্গে দেখার পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

    পুলিশ ক্যাম্পের কেন দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,তপনের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচ কাদমা গ্রামে শনিবার ভোট হয়নি। বুথের দরজা বন্ধ করেছে ছাপ্পা করেছে। কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। এখানাকার যে প্রধান সে মানুষকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। শুধু তাই নয় আজকে সকালে এসে বোমা মেরেছে, গুলি চালিয়েছে। গুলির খোল গ্রামবাসীরা পেয়েছেন। আমরা পুলিশকে বলেছি দ্রুত এই গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর জন্য।এই গ্রামে এসটি, এসসিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এসসি কমিশনের কাছে আবেদন জানাবেন যাতে ওই এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: রানাঘাটে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, জখম তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: রানাঘাটে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, জখম তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করায় রাতের অন্ধকারে তাণ্ডব চালাল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হল এক বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়ি। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনজন। অভিযোগ রাতে পুলিশের মদতেই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার আনুলিয়া এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যের পাশাপাশি নদিয়া জেলার একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস ভোট লুটের অভিযোগ ওঠে। আর প্রতিটি অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। আনুলিয়া এলাকায় বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর তার প্রতিবাদ করেছিল ওই এলাকারই কয়েকজন বিজেপি কর্মী। এরপরই শনিবার গভীর রাতে বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। কার্যত বাড়ির ভিতর ঢুকে ভাঙচুর করা হয় বাড়ির সব আসবাবপত্র। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীর বাড়ির সদস্যদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তাদের সামনেই তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। এমনকী বিজেপি কর্মীর পরিবারকে উল্টে শাঁসানি দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, কোনওরকমে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। এরপরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধায়ক তথা বিজেপি জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।

    কী বললেন আক্রান্ত পরিবারের সদস্য?

    আক্রান্ত হওয়া এক পরিবারের সদস্য বলেন, রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ১০ -১৫ জন দুষ্কৃতী বাড়়িতে চড়াও হয়। এরপরই দেখি আমার ভাসুরকে ধরে মারছে তারা। কোনওরকমে ভাসুরকে বাঁচিয়ে ঘরে নিয়ে আসি। হামলাকারীরা ঘরের মধ্যে ঢুকে সবকিছু ভাঙচুর করে এবং আমাদের পরিবারের একাধিক সদস্যকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপি (BJP) জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই তাণ্ডব চালিয়েছে। আর পুলিশ পুরোপুরি এদের মদত দিয়েছে। যদি পুলিশ চিহ্নিত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে, তাহলে থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করব আমরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী সৌভিক ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। বিজেপির (BJP) কিছু মানুষ অশান্তি করার চেষ্টা করছিল গ্রামের মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda:  ব্যালট বাক্সই নিখোঁজ! গাজলের স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থানে বিজেপি সাংসদ

    Malda: ব্যালট বাক্সই নিখোঁজ! গাজলের স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থানে বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে হিংসার বাতাবরণ বর্তমান ছিল। এবার ভোট প্রদানের দিন লাগাম ছাড়া হিংসা, ভোট লুট, বোমাবাজি, হত্যালীলায় রাজ্য কমিশনের কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ ছিল না বলে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে গণনার আগেও উত্তপ্ত মালদার (Malda) গাজল। শাসক দল স্ট্রং রুমে ব্যালটে কারচুপি করেছে, এই অভিযোগ তুলে অবস্থাে-বিক্ষোভ করল বিজেপি। বিজেপির আশঙ্কা, ভোট লুট, ছাপ্পা এবং মানুষ হত্যার পর এবার হবে গণনায় চুরি। আর তাই স্ট্রং রুমের সামনে অবস্থান করলেন বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Malda)?

    গাজোলে স্ট্রং রুমের সামনে ধরনায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও গাজলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন। স্ট্রংরুমের মধ্যেই শাসক দলের মদতে কারচুপির করা হচ্ছে। তাই ভোট চুরি আটকাতে অভিযোগ তুলেই ধর্নায় বসেছেন সাংসদ ও বিধায়ক।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Malda) বলেন, গতকাল ভোটের দিন শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে মানুষের ভোট লুট করেছে, সাধারণ মানুষকে ভোট না দিতে দিয়ে ছাপ্পা মেরেছে তৃণমূল এবং সর্বোপরি মানুষের গণতন্ত্রের অধিকারকে কেড়ে নিয়ে মৃত্যুর হোলি খেলা হল! তার বিরুদ্ধে আমরা আজ গাজলের নাকু মহম্মদ হাই স্কুলে যে স্ট্রং রুম ঠিক করা হয়েছে, সেখানে এসে প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থানে বসেছি। ৮৩ নম্বর বুথের ব্যালট বাক্স খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিচে পোলিং অফিসাররা রিসিভ করেছেন। কিন্তু তারপর থেকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। বিডিও, জয়েন্ট বিডিও সাহেবকে এই ব্যালট বাক্সের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা নিরুত্তর থাকেন। বিজেপির এই সাংসদ আরও বলেন, আমরা গত কাল রাত ১১ টা থেকে আজ পর্যন্ত বসে আছি। কিন্তু ব্যালট বাক্সের কোনও হদিশ নেই। ২১৭ নম্বর বুথের জেলা পরিষদের ব্যালট বাক্স ফাঁকা করে রাখা হয়েছিল। প্রিসাইডিং অফিসার নিজে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা মারছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। যে ভাবেই হোক না কেন, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে দখল করতে চাইছে শাসক দল! এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দেশে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা এমন যে তার মধ্যে দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের টাকাগুলিকে বাস্তবায়ন করা হয়। কেন্দ্র সরকারের টাকা চুরি করার সহজ রাস্তা হল পঞ্চায়েত দখল করা। আর তাই তৃণমূলের সকল চোরেদের কাছে বিষয়টা এমন যে পঞ্চায়েত হাতে এলেই চুরি করতে সুবিধা হবে! আর এই জন্যই তৃণমূল চাইছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু তৃণমূলই থাকবে। রাজ্যে একতরফা ভোট চুরি করেছে শাসক তৃণমূল। সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, গাজলের ২৫৩ টি বুথেই পুনরায় নির্বাচন হোক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: গঙ্গারামপুরে বুথের সামনেই চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    Panchayat Poll: গঙ্গারামপুরে বুথের সামনেই চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) শেষ লগ্নে চললো গুলি। বুথের কাছেই গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূলের প্রার্থী। আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থীর নাম নূর আমিন মিঁয়া। ঘটনাটি ঘটেছে উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৯ নম্বর বুথের সামনে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। নূর আমিন গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ নম্বর আসনে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় গুলি চলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা, শনিবার সকাল থেকে ৪৯ নম্বর বুথে শান্তিপূর্ণ ভোট (Panchayat Poll) হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর ৪৯ নম্বর বুথের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। সেই সময় বিরোধীরা মূলত বিজেপি এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা তাতে বাধা দেয়। আর সেই সময়েই বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের গণ্ডগোল ক্রমেই বাড়তে থাকে এবং গুলিও চলে। সেই গুলি গিয়ে লাগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থীর গায়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সংঘর্ষে বিরোধী পক্ষেরও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে খবর। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বোমাবাজির সময়ে বিজেপির তিন জন সমর্থকও জখম হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

    স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের কী বক্তব্য?

    এক তৃণমূল কর্মী বলেন, সকাল থেকে বুথে কোনও অশান্তি হয়নি।  বিজেপি ভোট (Panchayat Poll) লুট করতে আসে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে গুলি করে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির নেতা মানস সরকার বলেন, ৪৯ পঞ্চগ্রাম বুথে সকাল থেকে বুথ দখলের একটা চেষ্টা চলে। তৃণমূলের মধ্যে চরম গোষ্ঠী কোন্দল  শুরু হয়। সেই গোষ্ঠীকোন্দলে এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে গুলি চালায়। বোমাবাজি শুরু হয়। বোমার আঘাতে আমাদের বিজেপির কয়েকজন কর্মী আহত হন। গুলিকাণ্ডে বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দুর্গাপুরে ভোট লুট করতে এসে তাড়া খেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, ভাঙচুর, আগুন

    Panchayat Election 2023: দুর্গাপুরে ভোট লুট করতে এসে তাড়া খেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুট করতে এসে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে বহিরাগতরা। উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল দুটি বাইকে। বাইক দুটি জনতার তাড়া খেয়ে ফেলে পালিয়ে যায় বহিরগতরা। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার অন্তর্গত আমলাজোড়া অঞ্চলের বাবনাবেড়া অঞ্চলের ৪৭১ নম্বর বুথের কাছে। উত্তেজিত জনতাকে সমর্থন দেন স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব। অভিযোগ, ভোট লুট করতে এলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রানিগঞ্জ জেমারী পঞ্চায়েতের চলবলপুর ৩২ এবং ৩৩ নম্বর বুথে বুথ লুট করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরূদ্ধে। ভোট (Panchayat Election 2023) লুট রুখতে আসে সিপিএম। লাঠিসোঠা নিয়ে তাড়া করে উত্তেজিত জনতা। পরে পুনরায় আবার ভোট লুট করতে আসে শাসক দলের লোক। ভোট লুট রুখতে গেলে হামলা চালায় শাসক দল। দু’জন সিপিএম কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ (Panchayat Election 2023)

    রানিগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত আসানসোল দক্ষিণের তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হারাভাঙ্গা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ১৪০, ১৪১ এবং ১৪২ নম্বর বুথে সিপিআইএম ও বিজেপি প্রার্থীদের স্বামীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহিলা প্রার্থীদের ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে হানা দেয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে গেলে বিজেপি ও সিপিআইএম কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। সিপিআইএমের নির্বাচনী এজেন্ট তথা প্রার্থী ময়না কর্মকারের স্বামী কল্লোল কর্মকার জানান, শাসক দলের কিছু দুষ্কৃতী এসে পরিবেশ উত্তপ্ত করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। বাম পোলিং এজেন্টের কলার ধরে, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সীমানার বাইরে বের করে দেওয়া হয়। বিজেপি প্রার্থী ছন্দা গোপের স্বামী নির্মল গোপ দাবি করেন, অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছে। কল্লোলবাবুর অভিযোগ, প্রার্থীদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করারও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি এজেন্ট নির্মল কর্মকারের দাবি, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে ফোন করে জানানো হলে পুলিশ পাঠিয়েছেন ও পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও আবারও অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    BJP: কোচবিহারে বুথে বোমাবাজি, বিজেপির পোলিং এজেন্ট খুন, মালদায় খুন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল কোচবিহার। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হল বিজেপির (BJP) এক পোলিং এজেন্টের। শনিবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ফলিমারি ৪/৩৮ নম্বর বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মাধব বিশ্বাস। তৃণমূলের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার জখম হন।  বুথে থাকা এক পুলিশ কর্মীও গুরুতর জখম হন। সকাল থেকে গণ্ডগোলের জেরে এই বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে, ভোট শুরু হওয়ার আগেই এদিন সকালে মালদার মানিকচকে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। জখম হন আরও একজন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মালেক (৪০)। তিনি ওই এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই কোচবিহারের ফলিমারি বুথে বিজেপির (BJP) পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাস যান। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। আচমকাই তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীরা বুথে হামলা চালায়। বুথের মধ্যেই চলে বোমাবাজি। বিজেপির পোলিং এজেন্ট বাধা দিতে গেলে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তৃণমূলের হামলায় প্রিসাইডিং অফিসার সুমন রায় জখম হন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিজেপি কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট হচ্ছে। তৃণমূলের হামলায় আমাদের কর্মীর প্রাণ গেল। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। অন্যদিকে, এদিন সকালে মালদার মানিকচকে ভোট শুরুর আগেই ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। অভিযোগ কংগ্রেসের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী শেখ মালেকের। ঘটনার পর পই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: নদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপরহরণ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: নদিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে অপরহরণ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ। আর অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার পন্ডিতপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ধুবুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পন্ডিতপুর এলাকার বিজেপি (BJP) প্রার্থীর নাম সঙ্গীতা মণ্ডল। তাঁর দেওর অষ্টম মণ্ডল এলাকার দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এবছর তাঁর বউদি বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েতে লড়াই করছেন। এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূল অপহরণ করেছে। জানা গিয়েছে, গত পাঁচ জুলাই রেশন তুলে অষ্টমবাবু সন্ধ্যা নাগাদ দলীয় প্রচারে বের হয়েছিলেন। তারপরে আর তিনি বাড়ি ফেরেনি। এরপরে ই পরিবারের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই বিজেপি কর্মীর। তাই চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    কী বললেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মীরা?

    এই বিষয়ে এলাকারই এক বিজেপি (BJP) কর্মী পরিমল মণ্ডল বলেন, ৫ জুলাই সন্ধ্যায় ঘোষপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। প্রচার শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। আমাদের ধারণা, এই এলাকায় বিজেপি শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। তাই, দলীয় প্রার্থীর দেওরকে অপহরণ করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।  

    কী বললেন নিখোঁজ বিজেপি (BJP) কর্মীর মা?

     নিখোঁজ বিজেপি (BJP) কর্মী অষ্টম মন্ডলের মা উরফি মণ্ডল বলেন, আমার ছেলে বিজেপি করে, সেই কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। প্রশাসনকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। আমাদের দাবি, আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় প্রশাসন বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসুক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়। ওই এলাকায় বিজেপির কোন অস্তিত্ব নেই। সেটা বুঝতে পেরেই নির্বাচনের আগের দিন নাটক করছে বিজেপি। পুলিশ তদন্ত করে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসলেই বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Panchayat Vote) প্রচারে গিয়ে আবারও বিতর্কে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা উত্তরদিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। ‘‘আমার প্রার্থী না জিতলে আগামী পাঁচ বছর এই এলাকায় না হবে রাস্তা, না হবে লাইট, না হবে জলের ব্যবস্থা।’’ এমনই হুঁশিয়ারী দিতে শোনা গেল সত্যজিৎ বর্মনকে। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

    হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর… 

    নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে। ততই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। নিয়ম মতো বৃহস্পতিবারই ভোট প্রচারের শেষ দিন। আর এদিনই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের প্রচারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে স্যোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটিতে রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট না দিলে তিনি এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ আটকে দেবেন। এলাকার রাস্তা, জল, আলো সব বন্ধ করে দেবেন।

    স্ত্রীর হারের আশঙ্কায় কী এমন হুঁশিয়ারি? প্রশ্ন বিরোধীদের

    উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী এবারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৬ নম্বর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। নিজের স্ত্রীকে জেতাতে কার্যত এলাকায় এলাকায় হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। দিন কয়েক আগেও সরকারি পাইলট ও লালবাতির গাড়ি  ব্যবহার করে এলাকায় এলাকায় প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সত্যজিৎ বর্মনের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ জানাতে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ সেদিন দিয়েছিলেন সত্যজিৎ বর্মন। 

    কী বলছে বিজেপি?

    ভোটারদের (Panchayat Vote) হুমকি এবং প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ জমা করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, ‘‘হেমতাবাদের এমএলএ বিদ্যুৎ চোর। এখনও মামলা চলছে তাঁর নামে। পুরো খানদানি চোরকে তৃণমূল শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বানিয়েছে।’’

    কী বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    বিরোধীদের তোলা অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর প্রচারে হুমকি দেওয়া বক্তব্য ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সত্যজিৎ বাবুর দুটি সত্ত্বা রয়েছে। প্রশাসনিক সত্ত্বা নয় তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সেটি তার রাজনৈতিক সত্ত্বা। আর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন কথা বহু রাজনৈতিক নেতানেত্রী বলে থাকেন। বিরোধীরা গোটা বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষ হতে না হতেই দলত্যাগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ দল ছাড়ার হিড়িক দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেই তালিকায় নব সংযোজন অতনু।

    আরও পড়ুন: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা ব্যানার্জি”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    কী বললেন অতনু?

    অতনু জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন ততদিন পর্যন্ত দলে সম্মান ছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু জেলে রয়েছেন তার পর থেকে দলের বাকি সদস্যদের আর সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনকি সম্মানও দেওয়া হয় না। তাছাড়া দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অতনু চট্টোপাধ্যায়। অতনুর আরও দাবি, তৃণমূলে যোগদান করার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে দলে থেকে তিনি কাজ করতে চান। অথচ দলের উচ্চ নেতৃত্ব আশ্বাস দিলেও সেই সুযোগ তিনি পাননি বলে বুধবার অভিযোগ করেন। রাজনৈতিক জীবন থেকে সরে আসার কোন ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু নেহাত বাধ্য হয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে বলে জানান অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়া কথা ঘোষণা করলেও গত ২৫ মে ২০২৩ তারিখে দল ছাড়ার কথা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলীয় কর্মসূচিগুলোতে গরহাজির থাকছিলেন অতনু।

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা?

    এবিষয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল (TMC) দল এবার আসতে আসতে সবাই ত্যাগ করবে। যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু চুরিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক নেতার তাতে দলে আর কেউ থাকতে চাইছেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share