Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে। এসব মানুষ যদি সাধারণ মানুষের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে তাহলে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। দক্ষিণ দিনাজপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। আদতে কোনও বদল হয়নি, পরিবর্তন হয়নি। বোমা, গুলির ভোট এখনও রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে আরও কত মানুষের প্রাণ যাবে সেটাই আমাদের চিন্তা।  

    দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে শেষ প্রচারে ঝ়ড় তুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত ভোট হাতে গোনা আর ৪৮ ঘন্টা বাকী। আর তার আগেই তপনের বাদ সনকৈর এলাকায়  বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের বাদ সনকৈর এলাকার স্থানীয় বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পথসভার শেষে সুকান্ত মজুমদার প্রার্থীদেরকে নিয়ে একটি মিছিল করেন। এদিন সভায় সুকান্ত মজুমদার ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা। পাশাপাশি এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ঠেঙ্গাপাড়া এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে একটি র‍্যালি করেন।

    দণ্ডিকাণ্ড নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    প্রচারের শেষ দিনে তপনের বাদ সনকৈর  গ্রামে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দণ্ডি কাণ্ডের নির্যাতিতাদের টাকা ও ভোটে প্রার্থী করার লোভ দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ওদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। অপমানিত হয়েও ওরা কোর্টের সামনে চুপ করে থাকল, বিচার চাইল না। যদি বিচার চাইতো বিজেপি দাঁড়িয়ে থেকে মূল অভিযুক্ত সাজার ব্যবস্থা করত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বাঁচাতে পারতো না। কিন্তু, যে অত্যাচারিত হয়েছে তিনি  অভিযোগ দিলেন না কেন, তাঁকে টাকার লোভ দেখানো হল, তাঁকে পঞ্চায়েতের আসনের লোভ দেখানো হলো। আসনের লোভে তিনি বিক্রি হয়ে গেলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bjp: গোপন করেছেন খুনের মামলা? তৃণমূল নেতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি

    Bjp: গোপন করেছেন খুনের মামলা? তৃণমূল নেতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে রাজ্যপাল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠাল বিজেপি (Bjp)। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ৪ (চার) নং জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ সরকার। মৃণাল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করেননি তিনি। এই অভিযোগ তুলেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। যদিও ভোটের মাত্র দুদিন আগে এই অভিযোগের পরিণতি কী হবে, সে ব্যাপারে বিজেপি সন্দিহান। 

    বিজেপির (Bjp) অভিযোগ ঠিক কী?

    প্রদীপ সরকারের অভিযোগ, সাতটি ক্রিমিন্যাল কেসের আসামি মৃণাল সরকার কী করে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের নামে মনোনয়ন জমা করতে পারেন। ক্রিমিন্যাল কোনও কেসের আসামি হলে নির্বাচন কমিশনের  নিয়ম অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। বিজেপির (Bjp) অভিযোগ, মৃণাল সরকার তথ্য গোপন করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। ভোটের ঠিক দুই দিন আগে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে গঙ্গারামপুরে।

    কী জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেডপি ৪ নম্বর আসনের প্রার্থী মৃণাল সরকারের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিজেপি (Bjp) আনছে, তা মিথ্যা। যে মামলা তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে, সে সবই তিনি উল্লেখ করেছেন। এগুলো সবই মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। অনেকগুলিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। যে অভিযোগ বিজেপি করছে তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। কারণ রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার ক্ষমতা বিজেপির নেই। সেই কারণেই পুরনো বিভিন্ন কেসকে হাতিয়ার করে তারা তাঁর বদনাম করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রচারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, আক্রান্ত দলীয় প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপির প্রচারে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, আক্রান্ত দলীয় প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন বিজেপি (BJP) প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকদের উপর আচমকা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর বিনপাড়ার ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কীভাবে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থী জ্যোতি বিন পাসি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় প্রচার করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা দল বেঁধে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে বিজেপি প্রার্থী সহ কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থী জ্যোতি বিন পাসি বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। আমাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভানেত্রী পূর্ণিমা দত্ত বলেন, ঘটনার পরে পুলিশ প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। উপরন্ত দলীয় প্রার্থী, কর্মী সমর্থকদের হয়রানি করা হয়। গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল করছে। আসলে ওরা বিজেপিকে ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই, ভোটের আগে ওরা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন বিন বলেন, নির্দল ও বিজেপি (BJP) একত্রিত হয়ে তৃণমূলের নাম কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। বিজেপির কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিই ছিল না, তাহলে তৃণমূল কী করে তাদের উপর হামলা করবে। সম্পূর্ণই দোষ চাপানো হচ্ছে তৃণমূলের উপর। আসলে তৃণমূল সব সময় মানুষের পাশে থাকে। সেটা বিজেপির কাছে আতঙ্কের। আর সেই জন্যই আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: মহম্মদবাজারে বিজেপি কর্মী খুন, উদ্ধার গুলির খোল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: মহম্মদবাজারে বিজেপি কর্মী খুন, উদ্ধার গুলির খোল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাকি আর মাত্র দু’দিন। তবু অশান্তি থামার লক্ষ্মণ নেই। বৃহস্পতিবার সকালেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এবার অনুব্রতহীন বীরভূমে  প্রাণ গেল এক বিজেপি (BJP) কর্মীর। গলা টিপে খুন করে তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে বিজেপি জেলা সভাপতির গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগেও উত্তপ্ত রাজ্যের একাধিক জেলা। এনিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে, খুন হওয়া বিজেপি কর্মীর নাম দিলীপ মাহারা (৪৮)। তিনি মহম্মদবাজারের বি মণ্ডলের হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির (BJP) বুথ সহ-সভাপতি। যদিও এবার তাঁর স্ত্রী ছবি মাহারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপির ওই কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মহম্মদবাজারের সারেন্ডা গ্রামে রাস্তার উপর তাঁর দেহ ফেলে রাখা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবারের লোকজন?

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাত থেকে দিলীপের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন সকালে গ্রামে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায়ও দাগ রয়েছে। এছাড়া মৃতদেহের কিছু দূরে একটি গুলির খোলও পাওয়া গিয়েছে। দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি পিনাকি মণ্ডল বলেন, দিলীপবাবু আমাদের দলের স্থানীয় স্তরের নেতা। তিনি ভাল সংগঠক ছিলেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। আমরা এই খুনের ঘটনার কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত দাবি করছি। একইসঙ্গে যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা কোনও খুন নয়। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এটা নিয়ে বিজেপি (BJP) নোংরা রাজনীতি করছে। পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্তে করে দেখুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shyama Prasad Mukherjee: ন্যাশনাল লাইব্রেরির ‘ভাষা ভবন’-এর নামকরণ হল শ্যামাপ্রসাদের নামে

    Shyama Prasad Mukherjee: ন্যাশনাল লাইব্রেরির ‘ভাষা ভবন’-এর নামকরণ হল শ্যামাপ্রসাদের নামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরির ‘ভাষা ভবন’-এর নামকরণ এবার করা হল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyama Prasad Mukherjee) নামে। ৬ জুলাই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস, ঠিক তার আগের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের বড় অংশ। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক, ন্যাশনাল লাইব্রেরির ডিরেক্টরকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে এই মর্মে, সেখানে জানানো হয়েছে ভাষা ভবনের নাম এবার থেকে ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভাষা ভবন করা হল। উল্লেখ্য, দেশভাগের সময় ওপার বাঙলা থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীদের আশ্রয়দানে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিজেপির একাংশের দাবি, রাজনৈতিক চক্রান্তেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে বাংলার মানুষের কাছে দীর্ঘদিন ধরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল, জানতে দেওয়া হয়নি তাঁর সুমহান অবদান।

    জাতীয় গ্রন্থাগারের পথচলা

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, মীর জাফরের আমলে তৈরি হয়েছিল বেলভিডিয়ার গার্ডেন। বিশাল প্রাসাদোপম এই বিল্ডিং-এ এককালে থাকতেন বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস সাহেব। ইতিহাসের বহু ঘটনার সাক্ষী রয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার। জানা যায়, বেলভিডিয়ার গার্ডেন ১৮৯১ সালে হয়ে ওঠে ইমপিরিয়াল লাইব্রেরি। ১৯১০ সালে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের এর সভাপতি নিযুক্ত হন। জানা যায়, পরবর্তীকালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁর পিতা আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সংগ্রহে থাকা ৮০,০০০ দুর্মূল্য বই গ্রন্থাগারে দান করেন। ১৯৫৩ সালে এই ইমপিরিয়াল লাইব্রেরি হয়ে ওঠে জাতীয় গ্রন্থাগার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশাল আকার এই প্রাসাদে জাতীয় গ্রন্থাগারের বিভিন্ন বিভাগ ছড়িয়ে রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল ভাষা ভবন। এবার থেকে সেই ভাষা ভবনের নতুন নামকরণ হল ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি (Shyama Prasad Mukherjee) ভাষা ভবন।

    ২০২০ সালে কলকাতা পোর্টের নামও হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে

    প্রসঙ্গত, কলকাতা পোর্টের নামও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে ২০২০ সালেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কলকাতা পোর্টের নতুন নাম করা হয়েছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর। 

    সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট সুকান্তর

    কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজের’ রোড শো-এর ঠেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাণ্ডুয়ায়

    Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজের’ রোড শো-এর ঠেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাণ্ডুয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে পাণ্ডুয়াতে আসার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। কিন্তু তখন তা বাতিল হয়। এনিয়ে ক্ষোভ ছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এদিন তাই রোডশো করতে আসেন পাণ্ডুয়াতে। তবে তাঁর এই এক ঘন্টার রোড শো’র জেরে প্রায় ৫ ঘণ্টা জনজীবন বিপর্যস্ত হল পাণ্ডুয়াবাসীর। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় চপারে কালনা থেকে পাণ্ডুয়া ধানকল মাঠে আসেন তিনি। এরপর বিকেলে এই মেগা রোড শো শুরু হয় পাণ্ডুয়া কল বাজার থেকে কাকলি সিনেমা তলা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার। জিটি রোডের ওপর এই রোড শো’র জন্য কয়েক হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মী দুপুর ১২ টা থেকেই ডিউটি ধরেন বিভিন্ন পজিশনে। এই কয়েক ঘণ্টায় পাণ্ডুয়ার বিভিন্ন এলাকাতে বিক্ষিপ্তভাবে লোডশেডিং হয়। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিকের কথা অনুযায়ী লাইনে কাজ হওয়ার দরুন বিদ্যুৎ পরিষেবা মাঝে মধ্যে বিঘ্নিত হয়। 

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘অতীতে অনেক মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন পাণ্ডুয়াতে কিন্তু এরকম অবস্থা দেখেনি পাণ্ডুয়ার মানুষ। একজন সামান্য সাংসদের জন্য পুলিশ যা করেছে রাস্তা আটকে, দোকান বন্ধ করে এর জবাব ভোটবাক্সে পড়বে।’’ প্রসঙ্গত, নবজোয়ার কর্মসূচির সময়ও যে এলাকার ওপর দিয়ে তৃণমূল সাংসদের কনভয় গিয়েছে, সেখানেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। একজন সাংসদের নিরাপত্তায় প্রশাসন যেন অতি সক্রিয়, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এদিন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শো’তে আশানুরূপ লোকও হয়নি। পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সাফাই দেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য লোক কম হয়েছে, তবুও যা হয়েছে তাকে জনজোয়ার আখ্যা দেওয়া যেতেই পারে।’’ এদিন এই রোড শো তে অভিষেকের গাড়িতে স্থানীয় বিধায়ক রত্না দে নাগ, সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, ধনেখালি ও চাপদানির বিধায়ক অসীমা পাত্র এবং অরিন্দম গুঁই এবং জেলার মন্ত্রী  স্নেহাশিস চক্রবর্তী হাজির  ছিলেন। যদিও কোনও স্থানীয় নেতা ওই গাড়িটিতে জায়গা পাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের দেওয়া উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের অফারও ছুড়ে ফেলেছি’’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের দেওয়া উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের অফারও ছুড়ে ফেলেছি’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর উপ মুখ্যমন্ত্রী পদেরও অফার দিয়েছিল তৃণমূল। সেটাও ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি।” বক্তা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এগরার সভা থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায়, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কাছে পরাস্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    আরও কী বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী?

    বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-১ ব্লকের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা ছিল বিজেপির। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে একাধিক দুর্নীতির ইস্যুতে তুলোধোনা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি বলেন, “পাঁচটা দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। শেষ পয়লা ডিসেম্বর ২০২০ সালে উপ মুখ্যমন্ত্রীর অফার দিয়েছিল। সেটাও ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। কারণ পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। রাষ্ট্রবাদকে বাঁচাতে হবে।”

    কর্মসংস্থানের প্রশ্নেও তৃণমূলকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের কর্মসংস্থানের করুণ চিত্রও এদিন তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে একটাও শিল্প নেই।’’ সিঙ্গুরের টাটা ন্যানো কারখানা গুজরাটে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গও এদিন টেনে আনেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কটাক্ষ, “এরাজ্যের নেত্রী বটে উনি, শিল্প বানান গুজরাটে।” 

    ভিন রাজ্যের পুলিশদের দেখে করজোড় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নামালডিয়ায়তেও সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সেই সভা শেষে গাড়ির ওঠার সময় কয়েকজন ভিন রাজ্যের পুলিশকে দেখতে পান শুভেন্দু। আর সঙ্গে সঙ্গে হাত জোড় করে তাঁদের কাছে অনুরোধ করলেন। শুভেন্দু বললেন, ‘‘নিরপেক্ষভাবে ডিউটি করবেন।’’ শুভেন্দুর বক্তব্যের পর সেখানে ভিড়ের মধ্যে থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও শোনা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘একশো দিনের কাজে চুরি আটকানো হয়েছে, টাকা নয়’’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘একশো দিনের কাজে চুরি আটকানো হয়েছে, টাকা নয়’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজের টাকা নয়, চুরি আটকানো হয়েছে। ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের অভিযোগ, একশো দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আসলে ১ কোটির ওপর ভুয়ো জব কার্ডের হদিশ মিলেছে রাজ্যে। এই বিপুল দুর্নীতি রোধ করতেই আপাতত বন্ধ একশো দিনের কাজ। নন্দীগ্রামের সভা থেকে এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এদিন নন্দীগ্রামে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। রাজ্য সরকারের একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে সরব হন স্থানীয় বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, “১০০ দিনের কাজের টাকার চুরি আটকেছি। টাকা কিন্তু আটকাইনি।” শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, লোক না দিয়ে জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে মাস্টার রোল করেছে তৃণমূল সরকার। তাঁর অভিযোগ, এই অঞ্চলে ২,০০০ মানুষের টাকা নিয়েও তা দেয়নি রাজ্য সরকার। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা নিয়েও তৃণমূল দুর্নীতি করেছে বলে সরব হন শুভেন্দু। শুভেন্দু জানান, কেন্দ্র মাতৃ বন্দনা স্কিমে ৫০০০ টাকা করে দিয়েছে। রাজ্যে কেউ এই টাকা পাচ্ছেন না। নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, “বিজেপি আসছেই, তার পর ২০০০ টাকা দেবে।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় এবারও জিতবে বিজেপি, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে চান সিংহভাগ ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    ভিন রাজ্যের পুলিশদের দেখে করজোড় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ভোট পরিচালনার কাজে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় ভিন রাজ্যের পুলিশও মোতায়েনও হয়ে গিয়েছে। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নামালডিয়ায় সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সেই সভা শেষে গাড়ির ওঠার সময় কয়েকজন ভিন রাজ্যের পুলিশকে দেখতে পান শুভেন্দু। আর সঙ্গে সঙ্গে হাত জোড় করে তাঁদের কাছে অনুরোধ করলেন। শুভেন্দু বললেন, ‘‘নিরপেক্ষভাবে ডিউটি করবেন।’’ শুভেন্দুর বক্তব্যের পর সেখানে ভিড়ের মধ্যে থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও শোনা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বিজেপি করাটাই অপরাধ! স্ট্যান্ডে ট্রেকার ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা

    North 24 Parganas: বিজেপি করাটাই অপরাধ! স্ট্যান্ডে ট্রেকার ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রীতিমতো ফতোয়া দিয়ে দুই বিজেপি কর্মীর ‘ট্রেকার’ অনির্দিষ্ট কাল স্ট‍্যান্ডে ঢোকা নিষিদ্ধ করলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনায় আবার নাম জড়িয়েছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বারাসত জেলার (North 24 Parganas) সভাপতি তথা স্থানীয় পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান তাপস দাশগুপ্তের। তিনি দুই বিজেপি কর্মীকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে সকলের সামনে হুমকি দিয়ে বলেন, “ট্রেকার স্ট্যান্ডে নিষিদ্ধ থাকবে অনির্দিষ্টকালের জন্য!”। এমনটাই অভিযোগ। আর তাকে ঘিরেই ভোটের মুখে কার্যত সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা অঞ্চল।

    কী ঘটেছে ঘটনা (North 24 Parganas)?

    সূত্রের খবর, বারাসতের (North 24 Parganas) দুই চালকের মধ্যে কুমারেশ সাধু খাঁ এবারের ভোটে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রাম সংসদের আসন থেকে। অন‍্যজন অবশ্য নিজে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও তাঁর স্ত্রী বিজেপির হয়ে লড়ছেন অন্য একটি গ্রাম সংসদের আসন থেকে। এটাই ছিল ওই দুই বিজেপি কর্মীর অপরাধ! যার জেরেই ‘নিষিদ্ধ’ করে দেওয়া হয়েছে দুই বিজেপি কর্মীর ট্রেকার। এদিকে, শাসকের এই তুঘলকি ‘শাসন’-এর জেরে অসহায় অবস্থা ভুক্তভোগী দুই বিজেপি কর্মীর। পেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত এখন পরিবার নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা দু’জনে। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। তাই, সুবিচার পেতে দলের জেলা নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজ‍্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন ভুক্তভোগী দুই বিজেপি কর্মী। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে পাল্টা গেরুয়া শিবিরকেই নিশানা করেছে শাসক শিবির।

    কোন জায়গা থেকে ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন?

    জানা গিয়েছে, বেড়াচাঁপা-বারাসত (North 24 Parganas) রুটে ট্রেকার চালিয়ে সংসার নির্বাহ করেন দুই বিজেপি কর্মী কুমারেশ সাধু খাঁ এবং হারান ঘোষ। কুমারেশের বাড়ি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সাধু খাঁ পাড়ায়। অন্যদিকে, হারানের বাড়ি দেগঙ্গার নূরনগর পঞ্চায়েতের ফাজিলপুর ঘোষপাড়ায়। দু’জনেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা। সেই সুবাদে কুমারেশকে টিকিটও দিয়েছে বিজেপি। তিনি দেগঙ্গার ১৫৫ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত আসনে লড়াই করছেন বিজেপির প্রতীকে। তবে, হারান ভোটে প্রার্থী না হলেও তাঁর স্ত্রী সুজাতা ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গ্রাম সংসদের ৯৩ নম্বর আসন থেকে ।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী ছিল?

    অভিযোগ, প্রথম থেকেই এলাকায় (North 24 Parganas) এই দুই বিজেপি কর্মীর ওপর চাপ তৈরি করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। কিন্তু, চাপের কাছে নতিস্বীকার করেননি তাঁরা। এর পরেই জব্দ করতে শাসকদল এই পন্থা বেছে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন দুই বিজেপি কর্মী। এই বিজেপি কর্মীর জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বনই হল এই ট্রেকার। দীর্ঘদিনের সেই পেশা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন টান পড়েছে রুটি-রুজিতে। কীভাবে সংসার চলবে? আর কীভাবেই বা এর থেকে সুরাহা মিলবে? তা ভেবেই অস্থির দুই বিজেপি কর্মী।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বারাসত জেলে সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত বলেন, এমন কোনও বিষয় নেই! আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অত্যন্ত মিথ্যা। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন এমন কাউকে আমি চিনিনা। ট্রেকার কোনও ব্যাক্তির বন্ধ হয় নি। তবে সিপিএমের কেউ কেউ এসেছেন আমার কাছে। তিনি হুমকির স্বরে আরও বলেন, বন্ধ না করেও যদি বন্ধের অভিযোগ করে থাকে কেউ! তাহলে এবার বন্ধ করে দেবো।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: লক্ষ্য একই, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত! ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দুই ভাই

    Hooghly: লক্ষ্য একই, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত! ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দুই ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাণ্ডুয়ার ক্ষীরকুন্ডি ২৫০ নম্বর গ্রামসভায় এবার দুই ভাইয়ের লড়াই দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে। ক্ষীরকুন্ডি নিয়ালা নামাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিজয়ানন্দ হাজরা এবং আনন্দ হাজরা এবার ২৫০ নম্বর বুথের তৃণমূলের বিরুদ্ধে যথাক্রমে সিপিএম এবং বিজেপির প্রার্থী। উভয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। এলাকায় বেশ উত্তেজনা ভোটের প্রচারে।

    কেমন হবে নির্বাচনী লড়াই?

    ভোটের ময়দানে ক্ষীরকুন্ডি গ্রামের এই একই পরিবারের দুই ভাই কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। ভোট আসতে আর বেশি দেরি নেই। তাই দুই ভাই জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছেন ভোট প্রচার। দুজনের মনেই জয়ের আশা তীব্র। দলীয় লড়াই আলাদা আলাদা ভাবে হলেও উদ্দেশ্য একই, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়া।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে ছোট ভাই বিজেপি প্রার্থী আনন্দ হাজরা বলেন, বামপন্থী পরিবারে বড় হলেও মোদিজির আদর্শ দেখে বিজেপিতে আসা। বাবা প্রথমে একটু অসন্তুষ্ট হলেও ম্যানেজ করে নিতে হয়েছিল। দুই ভাইয়ের পারিবারিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, আর বাড়ি বাড়ির জায়গায়। কোনও পারিবারিক দ্বন্দ্ব নেই।

    সিপিএম প্রার্থীর বক্তব্য

    বড় ভাই সিপিএম প্রার্থী বিজয়ানন্দ হাজরা বলেন, ছোট থেকে বাবাকে দেখে বড় হয়েছি। বাবা বামপন্থী মতে বিশ্বাসী ছিলেন। বামফ্রন্টের সময়ে দীর্ঘদিন পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও ছিলেন বাবা। তাই বাবার আদর্শে আমিও বামপন্থী মতে বিশ্বাসী। ভাই আলাদা রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। কিন্তু ভাই ভাইই থাকবে। তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ভাই আর ভাইয়ের বউয়ের কাছে যাব, আমার পার্টিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলবো।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নির্বাচনে ক্ষীরকুন্ডিতে কী বলছে তৃণমূল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের পাণ্ডুয়া  ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, রাম বাম একই। এতো পুরো জগাই আর মাধাই। যদিও এবার পাণ্ডুয়াতে এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল মোটেই সুবিধার জায়গায় নেই। অনেক পুরনো কর্মী এবার প্রার্থী হতে না পেরে, একপ্রকার বসেই গেছেন। পাণ্ডুয়ার একাধিক শাসক দলের কার্যালয় টিমটিম করছে। সন্ধ্যার পর অনেকেই ঝাঁপ বন্ধ করে দিচ্ছেন। কর্মীদেরও সেভাবে মাঠে-ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে না। এমত অবস্থায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বুধবার সময় দিয়েছেন পাণ্ডুয়ায় জনসভা করার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share