Tag: bjp

bjp

  • Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অসমের শিলচরে সাংবাদিক (West Bengal) বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। সেই প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করেন মিঠুন।

    ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা? (Mithun Chakraborty)

    বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, “খুবই দুঃখের ব্যাপার। এখনও বুঝতে পারছি না, কেন বাঙালি পরিবারগুলির ওপর অত্যাচার করা হল। ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা?” মিঠুন বলেন, “তাঁরা (হামলার শিকার যাঁরা) এখন রাস্তায়। ত্রাণশিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখের। ওঁদের বাড়িঘর হয়তো ছোট কুঠি, কিন্তু সেটাই ওঁদের কাছে মহল। এখন সেখান থেকে তাঁরা ত্রাণশিবিরে গিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছেন। খুব খারাপ অবস্থা। এরকমটাই যদি চলতে থাকে, তাহলে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন জানাব।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “আর এটা যদি নাও হয়, তাহলে অন্তত নির্বাচনটা যেন সেনার নিরাপত্তায় হয়। তাহলে অন্তত সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। আমরা মারামারি চাই না। আমাদের ভোট করতেই দেওয়া হয়নি।”

    আপনার পুলিশ কী করছিল?

    মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, “আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিএসএফকে দোষ দিচ্ছেন। মেনে নিলাম যে বিএসএফ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারপর যে জমিটা রয়েছে, সেখানে তো পুলিশ রয়েছে। তাহলে আপনার পুলিশ কী করছিল? পুলিশ তো দেখেছে, তাহলে তখন তারা কী করেছে?”

    তৃণমূলে যোগ দেওয়া যে ভুল হয়েছিল, এদিন তাও স্বীকার করেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। বলেন, “ওটা আমার ভুল হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস অন্যরকম দল ছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তিনি একজন ফাইটার ছিলেন। মানুষের ভালো করার ইচ্ছা ছিল তাঁর মধ্যে। গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা (West Bengal) ছিল। আর আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুই ক্ষমতালোভী। যে কোনওভাবে ক্ষমতা চাই তাঁর (Mithun Chakraborty)।”

  • Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) যে হিংসা ও অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে, তার কোনওটাই স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের কারণে নয়। বরং সেখানকার সূতি, ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন অংশকে উপদ্রুত বানানোর ব্লু-প্রিন্ট তিন মাস আগেই তৈরি হয়েছিল। তদন্ত করে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তারা কেবল একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওয়াকফ আইন পাশ হয়ে যেতেই তাকেই ইস্যু করা হয়। তাই যদি হয়, তাহলে সব জানার পরেও কেন আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করলেন না পুলিশমন্ত্রীর গোয়েন্দারা? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ (Sukanta Majumder)

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেন সুকান্ত। তার পরেই মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দাবিভাগ বলে তো একটা বিভাগ ছিল। তারা কী করছিল? সবাই তো শুনলাম ওরা জানত, বলছে তিন মাস ধরে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ছক কষা হয়েছে। তুরস্ক থেকে নাকি টাকা এসেছে। তা যদি এতদিন ধরে ছক কষা হয়েই থাকে, তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকা গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? নাকি বসে বসে ফ্যাক্ট চেক করছিল? ওদের তো এখন কাজই হল ফ্যাক্ট চেক করা।” ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে করিয়ে দেন, “এঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু তারপর কী হল? পুলিশের সামনেই ঘর লুট হল, নির্যাতনের শিকার হলেন। এর দায় কার (Murshidabad Incident)?”

    গোয়েন্দাদের হাতে বিস্ফোরক তথ্য

    দু’দিন আগেই জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের ওই তিন অংশে যে কায়দায় হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলার ছাপ স্পষ্ট। শুক্রবার অশান্তি শুরুর দিনও সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিপুর মহকুমায় ফোন এসেছিল ৩০টিরও বেশি। গোয়েন্দাদের দাবি, আন্দোলনকে ঢাল করে কীভাবে হিংসাশ্রয়ী হতে হবে, তার নির্দেশ দেওয়া আরও ৭০টি ঘরোয়া মোবাইল কলকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এমন ৫০ জনের হদিশ পেয়েছেন (Sukanta Majumder), যাঁরা এই হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, রেললাইনের পাথর মজুত করা, দোকানপাট লুট, বাছাই করে কিছু বাড়িতে হামলা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ থমকে দেওয়া – সবই পূর্ব পরিকল্পিত।

    মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল

    এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়ে দেন, আজ, বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের পথে রওনা দিচ্ছেন তিনি। এদিন রাজভবনে ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের যেসব জায়গায় অশান্তি হয়েছে, শুক্রবার সেই সব জায়গা ঘুরে দেখবেন তিনি। তিনি বলেন, “সত্যিই যদি শান্তি ফেরে তার চেয়ে ভালো খবর আর কিছুই হতে পারে না।” তবে কী পরিস্থিতি সেখানকার, গ্রাউন্ড জিরো ঘুরে চাক্ষুষ করতে চান তিনি। সেই মতো রিপোর্টও তৈরি করবেন বলে জানান রাজ্যপাল।

    মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ

    প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন এখনই সেখানে না যান। মমতা বলেন, “আমি আবেদন করব কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মহিলা কমিশনও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেছি।” তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কেউ কেউ এসে অত্যাচারটা করেছে। তারা ভয় দেখাচ্ছে। হোম মিনিস্টারকে ত্রিপুরায়, মণিপুরে যেতে বলুন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এলাকায় যে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে, প্রশাসন যে কনফিডেন্সটা বিল্ড আপ করেছে, আমরা কেউ যেন গিয়ে সেটা নষ্ট না করি (Sukanta Majumder)।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    মমতার এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনি যাচ্ছেন না কেন, উনি তো ইমামদের নিয়ে মিটিং করছেন। আর ওখানে গেলেই অসুবিধা হবে রাজ্যপালকে কেন বারণ করছেন? তিনি কী লুকোতে চাইছেন? পুরো সত্যটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেহেতু যেতে পারেননি, তাই তিনি সেখানে যেতে বারণ করছেন। এদের সবার বাড়িঘর, দোকান, মন্দির তৈরি করে দিতে হবে, চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, সব থেকে বড় কথা বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে (Murshidabad Incident)।”

    সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যেবাদী। আপনি যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। পুলিশকে বলছে হাতে চুড়ি পরে থাকুন। আর বিএসএফকে বলছে ভগবান। ওখানকার মানুষই এসব কথা বলছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন (Sukanta Majumder)।”

  • Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শৈষ চৈত্রতেই শুরু হয় তাণ্ডব। নববর্ষের মাত্র ৪ দিন আগেই। লুট, হত্যা, ভাঙচুর চলতে থাকে। তছনছ হয়ে যায় বাড়ি-দোকান। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ওয়াকফ ইস্যুতে প্রতিবাদের নামে গুণ্ডামি, তাণ্ডব, হিংসা দেখল গোটা দেশ। এমন নৈরাজ্য অনেক প্রশ্নই তুলল। নববর্ষেও থমথমে মুর্শিদাবাদ। খুশি নেই ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের মনে। নতুন বছরেও তাঁদের মনে ঘিরে ধরেছে একরাশ ভয় ও হতাশা। ওয়াকফ বিক্ষোভের মাঝেই গত ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে খুন হন বাবা-ছেলে। হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুন করে মৌলবাদীরা। পরিবার তো বটেই, এমন বিভীষিকা কোনওভাবেই ভুলতে পারছেন না স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। ঘরে ঢুকে আচমকাই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বাবা-ছেলেকে। হরগোবিন্দর বয়স ছিল ৭০ বছর, চন্দনের বয়স ছিল ৪০। ভয়ের পরিবেশে পিতা-পুত্রের শ্রাদ্ধের দিনেও জুটল না কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির ভরসা সেই বিএসএফ। বিএসএফের বিরুদ্ধে মমতা যতই অভিযোগ, যাই দাবি করুক না কেন, মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়া হিন্দুরা কিন্তু বিএসএফকেই ত্রাতার চোখে দেখছেন। তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, বিএসএফ আছে বলেই তাঁরা প্রাণে বেঁচে রয়েছেন। তাই, বিএসএফ চলে গেলে, তাঁদের ওপর কী ত্রাস নেমে আসবে, তা ভেবেই আতঙ্কিত সকলে।

    তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন, আসতে চাননি কেউই

    প্রসঙ্গত, বুধবারই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে নিহত বাবা এবং ছেলের আদ্যশ্রাদ্ধ ছিল। অভিযোগ, পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণকে পায়নি তাঁদের পরিবার। এরফলে নিজেদের মতো করেই কোনও রকমে কাজ সেরেছে নিহতের পরিবার। নিহতের পরিবারের দাবি, ভয়ে তাঁদের বাড়িতে কেউ আসতে চাইছেন না। তবে এগিয়ে আসেন কীর্তনের দলের সদস্যরা। কীর্তনের মধ্যে দিয়েই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করেন পরিবারের সদস্যরা। তাই কেউ এগিয়ে আসেনি। নিহতদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের এলাকায় তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন। শ্রাদ্ধের কাজের জন্য তাঁদের কাছেও গিয়েছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতেই। ক্ষৌরকারদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংক্রান্ত কাজের জন্য যে জিনিসপত্র লাগে, তা তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। তাই পারলৌকিক কাজ করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে, দুই ব্রাহ্মণই জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে এবং বর্তমানে মামলা চলছে। তাই তাঁরা এই সংক্রান্ত কাজ করতে পারবেন না।

    ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে

    জেলার হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে পুড়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি। হিংসার আগুন শেষ করে দিয়েছে রুজিরুটিও। দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন হিন্দুরা (Murshidabad)। ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে ভয়ে কেউ গিয়েছেন ঝাড়খণ্ড, কেউ আবার বীরভূমে। বেশিরভাগ জন প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে মালদায়। তবে এখানেই শেষ নয়, উদ্বাস্তু হওয়া হিন্দু পরিবারগুলি বলছে, প্রাণভয়ে পালানোর সময়ও উগ্রপন্থীরা ট্রাকের পিছনে ধাওয়া করেছে। আতঙ্কে আবার অনেকেই মুখ খুলতেই চাইছেন না। প্রসঙ্গত, অশান্তি শুরু হয় গত শুক্রবার ১১ এপ্রিল। জুম্মা নমাজের দিনই অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। নমাজ শেষেই বেরিয়েছিল বিরাট মিছিল।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি দিচ্ছে মৌলবাদীরা

    কিন্তু পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে কীসের ভয়? মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশে তাঁদের আস্থা আগেই চলে গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা আছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আরও বড় হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের দাবি। বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি মৌলবাদীরা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করছেন। একজোট হয়ে বসে তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন, গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই। নাহলে অবস্থা আরও খারাপ হবে হিন্দুদের। যদিও, এলাকার বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কিত নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁদের দাবি, প্রশাসন খাবার দিচ্ছে, ত্রিপল দিচ্ছে। নিরাপত্তার করতে হবে। এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আবার আমরা গ্রাম ছাড়া হব। রাতে আমাদের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার (Murshidabad) ব্যবস্থা করতে হবে। এই ঘটনা বারবার করে ঘটতে থাকবে। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে, আমরা বাঁচবো কিভাবে?’’

    নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা? ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ সামনে এসেছে। কোথাও নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা হয়েছে, কোথাও আবার প্রকাশ্যেই দেওয়া হচ্ছে ধর্ষণ-খুনের হুমকি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, সারি সারি দোকানের রয়েছে তবে তারই মাঝে বেছে বেছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দু মালিকদের দোকান। ঘরের মজুত চাল থেকে শুরু করে নগদ টাকা, গয়না এ সব কিছুই লুটে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদের অছিলায় হামলার সেই বিভীষিকার দৃশ্য কিছুতেই কোনওভাবই ভুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। যারা পালিয়ে বেঁচেছেন, তাঁরা কবে ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তরও নেই কারও কাছে।

    ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান, বাবা-ভাইকে ফিরিয়ে দেবে মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন নিহতেদর দিদির

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। তবে নিহত হরগোবিন্দ এবং চন্দনের পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ নিতে চান না কোনওভাবেই। দোষীদের কঠোর শাস্তি চান তাঁরা। নিহত চন্দন দাসের দিদি বলেন, ‘‘আমার ভাই, আমার বাবাকে কেটে খুন করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফিরিয়ে দেবে?’’ নিহত চন্দন দাসের স্ত্রীও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সাহায্য নেব না। যে মেরেছে তার শাস্তি চাই।’’

    সময়মতো পুলিশ এলে বাঁচানো যেত বাবা-ভাইকে, আক্ষেপ নিহতের দিদির

    এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রসঙ্গে হরগোবিন্দ দাসের মেয়ে বলেন, ‘‘আমরা ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ (Murshidabad Violence) চাই না। যে চলে গিয়েছে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না এই সরকার।’’ এর পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়ির লোক। পুলিশ সেদিন সময়মতো এলে বাবা ও ভাইকে হারাতে হত না বলে দাবি হরগোবিন্দর মেয়ের। গ্রামের একাধিক বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হত না বলেও জানিয়েছেন চন্দনের দিদি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফোন করেছি। পুলিশ এগিয়ে আসেনি। পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চোখের সামনে আমাদের পরিবারের দুজনকে চলে যেতে হল। বাবাকে ও ভাইকে হারিয়েছি। গ্রামে একাধিক বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভাঙচুর করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ আসেনি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী নিয়ে পুলিশ যখন আসে ততক্ষণে সব শেষ। আর আজকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা এই ক্ষতিপূরণ চাই না।’’

  • Sukanta Majumdar: ‘‘দম থাকলে প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে’’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘দম থাকলে প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে’’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বুধবার বিকালে মুর্শিদাবাদ হিংসার ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ভবানী ভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দেখা করেন রাজ্যে পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে। সুকান্তর সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায় ও অর্জুন সিং। প্রথমে ভবানী ভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরে তাঁদের দেখা করা অনুমতি দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু পেলাম না। আমরা একাধিক দিক তুলে ধরেছি। পুলিশ দুস্থদের খাওয়াতে পারছে না, এদিকে আমরা যখন ত্রাণ দিতে যাচ্ছি আমাদের আটকে দিচ্ছে।’’ একইসঙ্গে মমতাতে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সুকান্ত জানান, দম থাকলে উনি প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে।

    ভবানী ভবনের সামনে থেকে তোপ মমতাকে

    ভবানী ভবনের সামনে থেকেই এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি করেছে বলছেন উনি। আমার ফোন, আমাদের বিজেপি নেতাদের ফোন দিয়ে দিচ্ছি আমরা। দেখাক প্রমাণ করে যে আমরা করেছি। চ্যালেঞ্জ করছি আমরা, চ্যালেঞ্জ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি দম থাকে, প্রমাণ করে দেখাক যে সুকান্ত মজুমদার বা বিজেপির অন্য কোনও নেতা এই অশান্তি করিয়েছে। প্রমাণ করে দেখাক।’’

    ব্যর্থতার দায় কে নেবে প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘আমাদের তোলা সমস্ত অভিযোগগুলিই উনি শুনেছেন ও নোট করেছেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশের প্রধান হয়েও উনি এই ঘরছাড়াদের এমন কিছু বললেন না যাতে এনারা আশ্বস্ত হয়। ডিজি শুধু বললেন, আমরা আইন মেনে কাজ করব।’’ পুলিশের ভূমিকা টেনে সুকান্ত মজুমদার (Murshidabad Violence) বলেন, ‘‘আমরা যে যে প্রশ্ন করেছি, তার উত্তর পাইনি। বিএসএফ পুলিশ পাশাপাশি রাখলে, পুলিশ সব থেকে বেশি দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম, ওরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এদিকে আক্রান্তরা বলছে, বিএসএফ বেশি ভালো কাজ করেছে। এদিকে ডিজি আমাদের জানিয়েছেন, পুলিশ নাকি পর্যাপ্ত ছিল না। অর্থাৎ গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আগাম কোনও খবরই দেননি। এটার মানে একটাই, তারা ব্যর্থ। কিন্তু এই ব্যর্থতার দায়টা নেবে কে?’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘চোখের জলে শপথ নিন হিন্দু বিরোধী সরকারকে ফেলবেন’’, শহিদ দিবসে বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘চোখের জলে শপথ নিন হিন্দু বিরোধী সরকারকে ফেলবেন’’, শহিদ দিবসে বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদ জেলায় তাণ্ডব। ব্যাপক হিংসার ঘটনায় মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সরব হয়েছে দেশের একাধিক মহল। জেলার হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তাঁদেরই শ্রদ্ধা জানাতে পূর্ব ঘোষণা মতো আজ বুধবার বিজেপির তরফে পালন করা হল হিন্দু শহিদ দিবস (Hindu Martyrs Day)। দলীয়ভাবে রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে এই কর্মসূচি। একইভাবে বিধানসভার বাইরেও এই কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেল বিজেপি বিধায়কদলকে। উপস্থিত ছিলেন শঙ্কর ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ অন্যান্য বিজেপির বিধায়করা। এরপরই বিরোধী দলনেতা রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন, ‘‘চোখের জল ফেলুন। চোখের জলে শপথ নিন হিন্দু বিরোধী সরকারকে ফেলবেন, খুনীদের জেলে পুড়বেন। রাজ্যজুড়ে হিন্দুরা বাঁচার লড়াই করছে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। মমতা খুনী।’’

    হাতে কালো পতাকা নিয়ে বিজেপি বিধায়করা সামিল হন বিক্ষোভে

    এদিন হাতে কালো পতাকা নিয়ে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানান বিজেপির বিধায়করা। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে এদিন সুর চড়ান গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। ওঠে ‘হায় হায়’ স্লোগান। একইসঙ্গে, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় নিহত পিতা-পুত্র হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের মৃত্যুতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, ওয়াকফের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। এরপরেই সামনে আসে সামশেরগঞ্জে পিতা-পুত্রকে খুন করার ঘটনা। এই আবহে বিজেপি জানিয়ে দেয়, ১৬ এপ্রিল রাজ্যজুড়ে পালিত হবে শহিদ দিবস।

    বিজেপি বিধায়করা স্লোগান তোলেন খুনীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা হায় হায়

    এদিন বুধবার বিধানসভার বাইরে প্রথমে একটি কৃত্রিম বেদী বানানো হয়। সেখানেই হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিরোধী দলনেতা। তারপরই নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মিথ্যাবাদী মমতা। আপনার ফরাক্কার এমএলের দাদা, কিষানগঞ্জের এমএলএ, আপনার ধুলিয়ানের চেয়ারম্যান, এরাই খুনের নায়ক।’’ গোটা বিধানসভা চত্বর এদিন সরগরম হয়ে ওঠে বিজেপির শহিদ দিবসকে (Hindu Martyrs Day) ঘিরে। বিজেপি বিধায়করা ঘন ঘন স্লোগান তুলতে থাকেন, ‘‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও, বাংলার হিন্দু এক হও, চোর মমতা হায় হায়, খুনীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা হায় হায়, খুনী মমতা বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসাথে, পুলিশ মন্ত্রী হায় হায়।’’

    ২০২১ সালের পরে যেখানেই হিন্দু আক্রান্ত, সেখানেই পৌঁছেছেন তাঁরা, দাবি শুভেন্দুর

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাংবাদিকদের সামনে হিন্দু নিরাপত্তা ও হিন্দুদের হিন্দুদের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশে বার্তা দেন।তিনি জানান, ২০২১ থেকে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে হিন্দুরা আক্রান্ত হলে তাঁরা যাননি। এরপরেই তিনি ঘোষণা করেন মুর্শিদাবাদেও যাবেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি, জেলা পুলিশকে তিনবার মেইল করেছেন তিনি, কিন্তু কোনও উত্তর পাননি তাই কোর্টে যেতে হয়েছে তাঁকে। যেদিন অনুমতি পাবেন সেদিন তিনি মুর্শিদাবাদ যাবেন বলে জানান তিনি। বিধানসভার বাইরে এদিন ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ স্লোগানও শোনা যায়। মুর্শিদাবাদ হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসের ছবি দেওয়া পোস্টার হাতেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। হিন্দু শহিদ দিবস লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে মুর্শিদাবাদ হিংসার জন্য মমতা সরকারকেই দায়ী করেন বিরোধী দলনেতা।

    টাকা দিয়ে ইট ছুড়িয়েছে বিএসএফ, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাল্টা শুভেন্দু

    অন্যদিকে, এদিনই আবার বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভের সময় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমামদের নিয়ে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে মৌলবাদীরা তাণ্ডব চালালেও ওয়াকফ অশান্তির জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি মুর্শিদাবাদে শান্তি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে, এদিন তাদেরও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে বিএসএফ। মমতার এমন মন্তব্যে ছড়িয়েছে বিতর্ক। মমতার এমন মন্তব্যে পাল্টা এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সাফ কথা, এনআইএ তদন্ত হলেই আসল রহস্য সামনে চলে আসবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই জন্যই তো এনআইএ চাই। প্রমাণ হয়ে যাবে কে করেছে। ধুলিয়ানের চেয়ারম্যান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক, ফারাক্কার বিধায়কের দাদা, এরা কী করেছে আমরা ভিডিও দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছি।’’

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদীদের তাণ্ডবের চেয়ে এদিন বিএসএফ-কেই বেশি আক্রমণ করেন মমতা। বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে তদন্ত হবে বলেও জানান তিনি। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বিএসএফ দেশের গর্ব। তারা সীমান্তে প্রাণ বাজি রেখে কাজ করে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী বারবার বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এটা শুধু অপমান নয়, দেশের নিরাপত্তাকে দুর্বল করার চক্রান্ত। রাজ্য পুলিশ যেখানে ব্যর্থ, সেখানে বিএসএফ সামনে থেকে মানুষকে নিরাপত্তা দিয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লাগাতার আক্রমণ করছেন। ১১ এপ্রিল শমসেরগঞ্জ ও ফারাক্কার হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে যখন রাজ্য পুলিশ কার্যত ব্যর্থ, তখন বিএসএফই সাধারণ মানুষকে রক্ষা করেছে।’’

  • BJP: ‘‘বদলে যাচ্ছে সীমান্তের জেলাগুলির জনবিন্যাস, ছেচল্লিশের দিন ফিরিয়ে আনছেন মমতা’’, তোপ শমীকের

    BJP: ‘‘বদলে যাচ্ছে সীমান্তের জেলাগুলির জনবিন্যাস, ছেচল্লিশের দিন ফিরিয়ে আনছেন মমতা’’, তোপ শমীকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। এনিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বিজেপি (BJP) নেতার মতে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জনবিন্যাসই বদলে যাচ্ছে। এক সময় যারা ভারত ‘নাপাক’ বলে থাকতে চায়নি এদেশে, তাদেরকেই ফের টেনে আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এভাবেই অভ্যর্থনা জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এভাবেই তাদের রাজ্যে টেনে আনছে শাসক দল।’’

    ১৯৪৬ সালের দিন ফিরিয়ে আনছে মমতা সরকার, তোপ শমীকের

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের (BJP) মত, সীমান্তের জেলাগুলিতে যে ধরনে অশান্তি হচ্ছে, তাতে ১৯৪৬ সালে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর প্রতিফলন ধরা পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সেই সময়ে (১৯৪৬) রাজ্যকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য (BJP) বলেন, ‘‘সীমান্ত অঞ্চলের জনবিন্যাস সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা বর্তমানে কোথায় বাস করছি? এই জায়গা এক সময় রক্তাক্ত হয়েছিল গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সেই অবস্থাকে ফের ফিরিয়ে আনছে।’’

    মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের ভিটেমাটি ছাড়ার ছবি সামনে এসেছে

    প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের হিংসা ব্যাপক আকার ধারণ করে। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে নামে তাণ্ডব দেখা যায় জেলাজুড়ে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন (Samik Bhattacharya)। সেখানকার স্থানীয় হিন্দুদেরকে নিজেদের ভিটেমাটিও ছাড়তে হয়েছে। তা ধরা পড়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সৌজন্যে। শুধু তাই নয়, বাড়ির ট্যাঙ্কের জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি) এমনই কথা বলতে শোনা যাচ্ছে এক মধ্যবয়সি হিন্দু মহিলাকে। তিনি বলছেন, ‘‘মৌলবাদীরা জলের ট্যাঙ্কগুলিতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। আমরা সেই জল খেতে পারিনি। কারণ তা বিষ মিশ্রিত ছিল।’’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে যে ভিডিওগুলি দেখানো হচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহিলারা মুর্শিদাবাদ থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে আসছেন। এমনকি মাত্র ছয় দিনের বাচ্চাকে নিয়েও পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন হিন্দুরা। এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই কারণ তারা ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছে।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে শিবভক্তদের মারধর ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র শহর

    Siliguri: শিলিগুড়িতে শিবভক্তদের মারধর ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইন বিরোধী প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব বর্তমানে খবরের শিরোনামে। এই আবহে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়াল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চড়ক পুজো করার সময়ই শিব ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। বর্তমানে তাঁরা শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শিবভক্তদের একজনের নাম মানিক সরকার। মানিক সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা নদীর ধারে বসে যখন পুজো করছিলেন, তখনই মৌলবাদীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়।

    শিলিগুড়িতে চলে ইটবৃষ্টি, বেপরোয়া ভাঙচুর, লুঠপাট

    এরপর রবিবার এনিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। এতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। চলে ইটবৃষ্টি, বেপরোয়া ভাঙচুর, লুঠপাট। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পুলিশকর্মীও। ঘটনার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়। আপাতত গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল বাহিনী। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাতে আর কোনও উত্তেজনা না ছড়ায়, সেই বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। তবে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কয়েকশো মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে (Siliguri)

    জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েকদিনেই পৃথক পৃথক ঘটনায় দুই চড়ক পুণ্যার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কয়েকশো মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ব্যাপক হাতাহাতি, একে অপরের দিকে ছোড়া হতে থাকে ইট-পাথর। এর মাঝেই একাধিক দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চালানো হয় বেপরোয়া ভাঙচুর। বেশ কিছু জায়গায় লুঠপাটের অভিযোগও উঠেছে।

    থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি (BJP)

    এই আবহে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দোষীদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। গতকাল অর্থাৎ সোমবার দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শিলিগুড়ি থানার সামনে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায় পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। এমনকী অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি বিধায়ক।

  • BJP: চাকরি দুর্নীতি ও মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বিজেপির মিছিলে জনজোয়ার, উঠল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    BJP: চাকরি দুর্নীতি ও মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বিজেপির মিছিলে জনজোয়ার, উঠল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম রায়ে রাজ্যে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষিক-শিক্ষিকার। অন্যদিকে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় ছড়িয়েছে অশান্তির আঁচ। এই আবহে রবিবারই রাজ্য বিজেপির (BJP) ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে মহামিছিল করা হয় (BJP Protest Rally)। পথে নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা গেল একসঙ্গে শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্তকে।

    বিজেপির (BJP) মিছিলে জনজোয়ার

    চাকরি বাতিল ও মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এই মিছিলে এদিন জনজোয়ার লক্ষ্য করা যায়। এদিনে মিছিলে হাজির ছিলেন এই মিছিলে একই সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব (BJP Protest Rally)। এদিনের মিছিল থেকে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে জোরালো সওয়াল।

    কী বললেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ?

    প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়ে শিক্ষকদের পথে বসিয়েছে। বাংলায় একদিকে চাকরি হারাদের হাহাকার অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে গৃহহারাদের আর্তনাদ। কঠিন এক দুঃসময়ে আজ আমরা পথে নেমেছি। যোগ্যরা যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তার জন্য যাঁরা দায়ি তাঁদেরকে আমরা ছাড়ব না।’’ হুঙ্কারের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। আমরা এই সরকারের পতন চাই।’’

    রাজ্য সরকারকে তুলোধনা শুভেন্দু অধিকারীর

    মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মিছিল শেষে নিজের ভাষণে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রেখে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। এই সরকারের আর একদিনও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’’ রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদে অশান্তি ও চাকরিহারা ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা করা দরকার, গতকাল শনিবার শুভেন্দুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

  • BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    BJP: মমতার তোষণের রাজনীতি বাংলাকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে, তোপ বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার তোষণের রাজনীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh) পরিণত হয়েছে। রবিবার এভাবেই তোপ দাগলেন বিজেপি (BJP) নেতা কেশবন। এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেশবন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করেছে। মুর্শিদাবাদে যখন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। তখন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান চা পান করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। এটি তৃণমূলের অসহিষ্ণু মানসিকতার প্রতিফলন।’’

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বিজেপি (BJP) নেতা আরও বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিত্তিহীন বিরোধিতা করছেন। ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের নীতির পরিপন্থী (Jallianwala Bagh)। আমরা দেখতে পাচ্ছি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব দর্শক হিসেবে রয়ে গেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে এবং শান্তির জন্য সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। এটি আমাদের আরজি কর কাণ্ডের কথাও মনে (BJP) করিয়ে দিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপশাসনের শাস্তি পেতেই হবে।’’

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের। বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

  • Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Act Violence) আন্দোলনের জেরে মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলায় মোতায়েন করা (BJP) হয়েছে প্রায় ৮ কোম্পানি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে ডিজি স্তর থেকে অতিরিক্ত এসপি পর্যন্ত পদস্থ কর্তাদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তবে শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

    হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ (Anti Waqf Act Violence)

    কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দেরিতে সাড়া দেওয়ার সমালোচনা করে হাইকোর্ট বর্তমান পরিস্থিতিকে “গুরুতর ও অস্থিতিশীল” বলে অভিহিত করেছে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের।

    বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদারেরও দাবি, হিংসার মধ্যেই ধুলিয়ানের একাধিক পরিবারকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে একাধিক পরিবারকে চরমপন্থী মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের হয়রানির কারণে মালদার পার্লালপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। হিন্দুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এই সময়েও স্থানীয় তৃণমূল প্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকা ছেড়ে যেতে হুমকি দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে (BJP)। স্বাধীন ভারতের মাটিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বিভীষিকাময় দেশভাগের ইতিহাসের সাক্ষী বানাচ্ছেন (Anti Waqf Act Violence)।”

LinkedIn
Share