Tag: bjp

bjp

  • BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: তুফানগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী সহ একাধিক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। এবার কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের রামপুর এলাকা উত্তপ্ত হল। বিজেপির পঞ্চায়েত প্রার্থী সহ মোট চারজন বিজেপি কর্মীর (BJP) বাড়ি ও একটি দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বক্সিরহাট থানার জোরাই ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের, রামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়ভাঙা ও ঢোঢারকুঠি  এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে বাইক বাহিনী টহল দেয় গোটা রামপুর এলাকায়। সেই সময় প্রথমে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোঢারকুঠি ৯/৫৫ নম্বর বুথে সুব্রতলাল সরকারের ধান ঝারাই করার দোকানে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙে ফেলা হয়। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক ভাঙচুর চালিয়ে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঠিক তার পরেই ৯/৫০ নম্বর বুথের গড়ভাঙ্গা বাতানবাড়ি এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত প্রার্থী দুলালী সাহা, বিজেপি কর্মী অখিল সাহা, গোপাল সাহা, নিখিল বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভাঙচুর চালানো হয় ওই বিজেপি কর্মীদের ঘরে থাকা আলমারি, টিভি, ঘরের টিনের বেড়া সহ সমস্ত আসবাবপত্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এলাকার লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী?

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুব্রতলাল সরকার বলেন, বিজেপি (BJP)  করা আমার অপরাধ। সেই কারণে আমার দোকানে হামলা চালায় তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকার ও তার দলবল। হামলা চালানোর পাশাপাশি আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি নিরঞ্জন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। বিজেপি (BJP) আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান বহু পরিবারের

    BJP: পঞ্চায়েত ভোটের আগে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলে ফের ভাঙন, বিজেপিতে যোগদান বহু পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে একদমই পছন্দ নয়। সেই কারণে জলপাইগুড়ির বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন। বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাটাপাড়া এলাকায় এই যোগদান পর্ব হয়। অন্যদিকে, বুধবার ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ বহু দলীয় কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটের আগে তৃণমূলের এই ভাঙনে শাসক দলের নিচুতলায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) কারা যোগদান করলেন?

    বৃহস্পতিবার বারোপাটিয়া অঞ্চলের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীরা বোদাগঞ্জের মা ভ্রামরী দেবী মন্দিরে পুজো দেন। সেখানেই এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর মন্দিরের মুখ্য পূজারি লালবাবার আশীর্বাদ গ্রহণ করেন তাঁরা। এরপর ফাটাপাড়া ১৮/১৭০ নম্বর বুথে বিজেপির যোগদান সভা হয়। সেখানেই স্থানীয় কুড়িটি পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। অন্যদিকে, একই ইস্যুতে বুধবার ময়নাগুড়ি ব্লকেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয় বেশ কিছু পরিবার। ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬/৬০ নং বুথে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ওই অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চলের ছাত্র কমিটির সভাপতি ছিলেন শ্রীবাস চন্দ। কিন্তু তাঁদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্ষুব্ধ তৃণমূল যুবনেতারা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন। এদিন প্রায় ২৩ টি পরিবারের সঙ্গে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানের পর শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাঁরা। যোগদানকারীদের একজন গৌতম রায় বলেন, গত পাঁচ বছরে তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে সেই দুর্নীতি আমরা কোনও ভাবেই মানতে পারছি না। তাই দুর্নীতিমুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, যারা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন, তাঁরা কেন করেছেন সেটা আমার জানা নেই। এতে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, তৃণমূল এলাকায় যা উন্নয়ন করেছে, সেই নিরিখে মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই ভোট দেবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিষয়টি নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজগঞ্জ ব্লকের ১১ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী পরিবহণ মণ্ডল বলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি, অত্যাচারের বিরুদ্ধে যোগদানকারীরা প্রতিবাদ জানালেন। দলে তাঁদের স্বাগত জানাই। তৃণমূল রাজ খতম করতে রাজ্যের সব জায়গাতেই এই ভাবে মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: দিনহাটায় গুলিতে মৃত তৃণমূল কর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধী, দাবি নিশীথ প্রামাণিকের

    Nisith Pramanik: দিনহাটায় গুলিতে মৃত তৃণমূল কর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধী, দাবি নিশীথ প্রামাণিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র উত্তাল। জেলায় জেলায় বোমাবাজি, হুমকি, হানাহানি এবং গুলি চলছে। শাসক দলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সরব হয়েছেন সর্বত্র। এরই মধ্যে দিনহাটায় ফের চলেছে গুলি। মারা গেছেন এক তৃণমূল কর্মী। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) জানিয়ে দিলেন, ‘মৃত কর্মী একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী।’  

    কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক?

    দিনহাটার গিতলদহের জারিধরলা গ্রামে গত মঙ্গলবার তৃণমূলের আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ারেই ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) সাংবাদিকদের সামনে এদিন মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, মৃত ব্যক্তি একজন আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতী। তার নামে অনেক মামলা ইতিমধ্যেই চলছে বলে জানা গেছে। মৃত তৃণমূল কর্মী বাংলাদেশের নাগরিক ছিল। বাংলাদেশের পরিচয়পত্র অনুযায়ী নাম মহঃ আব্দুর রহমান। বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশে থাকে। মন্ত্রী আরও বলেন, মৃত তৃণমূল কর্মীর ভারতীয় আধার কার্ড অনুযায়ী নাম বাবু রহমান। সে একাধিকবার ভারতে এবং বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। মূলত সীমান্তে চোরা কারবারে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিত এই তৃণমূল কর্মী। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং ভাগের মাল বণ্টন নিয়ে প্রথমে বিবাদ হয় এবং এরপর নিজদের সঙ্গে লড়াইতে মৃত্যু হয় তার। এর উত্তরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন ঘোষ নিশীথ প্রামাণিকের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, বি এস এফ তো কেন্দ্রের অধীনে। তারা থাকা সত্ত্বেও অপরাধীরা এদেশে এসে থেকে গেল কীভাবে?  

    সকালেও গুলি চলেছিল এই দিনহাটাতেই

    অন্যদিকে, বুধবার সকালেও ফের রাজনৈতিক হিংসা ছড়ায় দিনহাটায়। এবারও সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল প্রার্থীর ভাই শাহিনুর হক। জানা গিয়েছে, দিনহাটা গিতলদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোড়াম এলাকায় গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মী। তিনি শাসকদলের গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) পদপ্রার্থী বিজলী খাতুনের ভাই। জানা গিয়েছে, রাত এগারোটা নাগাদ প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন শাহিনুর। সেই সময় আচমকা তাঁর উপর অতর্কিতে আক্রমণ হয়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গীতলদহ। সকালেই এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি করার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবু হক নামে একজন নিহত হন এই ঘটনায়। জখম হন পাঁচ জন। তাঁদেরকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের হিংসা ছড়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Paschim Medinipur: “বিধায়ক উপেক্ষা করেন!” পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙন তৃণমূলে। এবার নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur)। নির্বাচনী প্রচার সভায় দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিলেন। এলাকায় দল আরও শক্তিশালী বলে দাবি বিজেপির। অপর দিকে রাজ্যপালকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভকে অনৈতিক বললেন দিলীপ।

    যোগদান বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য

    যোগদান সভায় (Paschim Medinipur) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল থেকে প্রায় ৫০০ জন কর্মী দিলীপ ঘোষের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদান প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ে বিজেপির উত্তর মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ দে বলেন, চার নম্বর কুণালপুর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি পূর্ণচন্দ্র দে সহ ২৭ জন অঞ্চল নেতৃত্ব সভায় এসে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুমাস ধরে বিজেপিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। আর এদিন দিলীপ ঘোষের হাত ধরে যোগদান করানো হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দল অনেকটাই শক্তিশালী বলে দাবি করলেন বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন দাস বলেন, বর্তমান শাসকদল দুর্নীতিগ্রস্থ। আমাদের কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দেয়নি শাসক দল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই আমাদের দলের মধ্যে অচ্ছুৎ করে রাখা হয়। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আমাদের উপেক্ষা করেন। তাই আমরা আজ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ের শিয়ারা গ্রামে বিজেপির নির্বাচনী গ্রামসভা আয়োজিত হয়েছিল। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্যপালকে ঘিরে যেভাবে শাসক দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা অনভিপ্রেত। বিক্ষোভ দেখিয়ে কী হবে! রাজ্যপাল ভোট দেবেন না যেমন, ঠিক তেমনি তিনি ভোট নেবেনও না। এমনকী ভোট পরিচালনাও করবেন না তিনি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, অত্যাচার হয়েছে এমন সাধারণ মানুষের পাশে উনি দাঁড়াচ্ছেন। আর তাই রাজ্যপালকে তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মেয়াদ ৩ মাস বেঁধে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলেও দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বুধবার পটাশপুরের জনসভা থেকে তাঁর আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার জনসমর্থন হারিয়েছে। এরই সঙ্গে শুভেন্দু বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ বিজেপি নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সবরকম চেষ্টা করবে। এদিন পটাশপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সারেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সভায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত। বামফ্রন্ট জমানাতেও ২০০৮ সালে জেলা পরিষদ দখল করতে সমর্থ হন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যাপক সাফল্যের ব্যাপারে তাই আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন পটাশপুরের নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ ১০০ দিনের কাজের নামে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছে তৃণমূলের নেতারা। ১ কোটি ভুয়ো জব কার্ডের হদিশ মিলেছে। বিজেপি ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করেনি, চুরি বন্ধ করেছে।’’ শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের কোনও কোনও গোষ্ঠী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং তারাও বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে বিজেপিই জিতবে। বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়াই হল বিজেপির লক্ষ্য।’’ 

    বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, বিজেপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন বলেন, ‘‘জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমার বিধানসভা এলাকার ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ২৮ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে থানায় দেখা করার কথা বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের জেলবন্দি করার ষড়যন্ত্র চলছে। আগাম বুঝতে পেরে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রক্ষাকবচ নিয়েছি। তাই বিরোধীদেরও বলব, যাঁরা বুঝতে পারছেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারে তাঁরা যেন আগাম আদালতের রক্ষা কবচ নিয়ে রাখেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

     

  • BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া। কয়লা, বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। তাই ও চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।” গতকাল প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

    কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে নেমেছে। তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে বলেন, চার বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এই চার বছরে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি। রানাঘাটবাসীর জন্য কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন, এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখবো না।

    বিজেপি (BJP)  সাংসদের বক্তব্য

    গতকাল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রানাঘাটে সভার পর বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিষেকের মতো বড় বড় বাতেলা মারি না। কয়লা চুরি থেকে শুরু করে বালি চুরির বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে যেতে যেতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে অভিষেকের। সেই কারণে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। রানাঘাটবাসীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, অভিষেকের জানা উচিত ভারতবর্ষের কোনও কৃষক রেল তার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আনা যায় না।। আমি রানাঘাটে কৃষক রেল চালু করেছি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০০০ লাইটের ব্যবস্থা করেছি রানাঘাট কেন্দ্রে। তার মূল্য কি কোনওদিন তৃণমূল হিসাব করে দেখেছে? অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছি, তা তৃণমূলের কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলে ফুলিয়ায় ৬০ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তৃণমূলের কোনও সাংসদ এমন কাজ করতে পেরেছেন! পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: পঞ্চায়েতের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার নির্বাচনের! ভোট কবে?

    Rajya Sabha Election: পঞ্চায়েতের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার নির্বাচনের! ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার ভোটের (Rajya Sabha Election)। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাতটি রাজ্যসভা আসনে ভোট হবে আগামী ২৪ জুলাই। ভোটগণনা হবে ওই দিন সন্ধেতেই। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, ছ’জন রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এই নির্বাচন হচ্ছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। মেয়াদ শেষের আগেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইস্তফা দেন তিনি। ২০২১ সালের তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষের মেয়াদ শেষ হলে সেই কোটায় পাঠানো হয় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই ওই সপ্তম আসনটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    ২০১৭ সালে এই আসনগুলিতে নির্বাচন হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) সাংসদদের মেয়াদ থাকে ৬ বছরের জন্য। ২০১৭ সালের নির্বাচনে ছ’টি আসনে নির্বাচন হয়। যার মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছিল তৃণমূল। ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তা ছেত্রী এবং মানস ভুঁইয়া। পরে মানস ইস্তফা দেন। সেই আসনে জেতেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব। ২০২৩ সালে তাঁদের সকলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অন্য দিকে, ২০১৭ সালে জয়ী কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যেরও মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই দফায়। প্রসঙ্গত, বাম কংগ্রেসের একজনও বিধায়ক নেই এরাজ্যে। তাই রাজ্যসভার নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

    একটি আসনে জয়ের জন্য ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার

    প্রসঙ্গত, একটি আসনে জয়ের জন্য সরাসরি ৪২ জন বিধায়কের সমর্থনের প্রয়োজন। ফলে বিধানসভার সংখ্যার ভিত্তিতে তৃণমূল পাঁচটি এবং বিজেপি একটিতে জিততে পারে।  বাংলার পাশাপাশি ২৪ জুলাই গুজরাতের তিন এবং গোয়ার একটি রাজ্যসভা আসনেও ভোটগ্রহণ এবং গণনা হবে বলে এদিন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা, রাজনৈতিক আক্রোশই কি কারণ?

    Malda: মালদায় বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা, রাজনৈতিক আক্রোশই কি কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত থেকেই নিখোঁজ। তার পর আজ বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে এক বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল। ওই বিজেপি কর্মীকে ছুরি মেরে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মী মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Malda)?

    ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বৈষ্ণবনগর (Malda) থানার সব্দলপুর এলাকায়। জানা গেছে, ওই বিজেপি কর্মীর নাম অজিত মণ্ডল। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর কাকা অনিল মণ্ডল, বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী। রাজনৈতিক আক্রোশের কারণেই এই ঘটনা হতে পারে, অনুমান পরিবারের। তবে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পরিবারের সদস্যদের কাছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি অজিত মণ্ডল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে দূরে শ্মশান কালী মন্দিরের পাশের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় বৈষ্ণবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।‌

    পরিবারের বক্তব্য

    আক্রান্ত বিজেপি (Malda) কর্মী অজিত মণ্ডলের মেয়ে সীমা মণ্ডল বলেন, বাবা বিজেপি করতেন। সকাল বেলা আমার ঠাকুমা মাঠে গেলে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা পড়ে রয়েছে। গতকাল রাতে ভোটের কাজে বেরিয়েছিলেন, তারপর বাবা বাড়িতে আর আসেননি। এরপর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিছুই জানতে পারিনি। বাবাকে দুষ্কৃতীরা পেটের মধ্যে চাকু দিয়ে আঘত করেছে এবং অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সীমা। বাবা নিজে নির্বাচনের প্রার্থী না হলেও ভোটের প্রচারের কাজে যেতেন। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। অজিত মণ্ডলের স্ত্রী বলেন, উনার শরীরের অবস্থা ভালো নয়। আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে শালাবাবুর ছেলের লড়াই জমে উঠেছে

    Panchayat Election: পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে শালাবাবুর ছেলের লড়াই জমে উঠেছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন প্রবীণের সঙ্গে নবীনের লড়াই। পিসেমশাইয়ের সঙ্গে লড়ছেন শালাবাবুর ছেলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) এমনই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের মুন্ডাপাড়ার ১৯৪ নম্বর বুথে। এই বুথে এবার পিসেমশাই ও ভাইপোর লড়াই জমে উঠেছে। আর এ লড়াই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। গোটা এলাকা জুড়ে এই বুথ নিয়েই শুধু চর্চা হচ্ছে।

    কে কোন দলে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন?

    গত পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) এই বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন বর্তমানে বিজেপির প্রার্থী সুরজিৎ দাসের পিসিমা মঙ্গলা সাউ। এবছর ওই বুথে তাঁর স্বামী সজল সাউ দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে। গত পাঁচ বছর এই বুথে শাসকদলের লাগামছাড়া দুর্নীতি নিজে চোখে দেখেছেন বর্তমান বিজেপির প্রার্থী সুরজিৎ দাস। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের পিসেমশাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তিনি। ভোটে দাঁড়িয়ে পিসেমশাইয়ের পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন তিনি।

    কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    বিজেপির প্রার্থী তৃণমূলের দিকে দুর্নীতির আঙুল তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সজল সাউ বলেন, আমাদের দলের কিছু মানুষ অসৎ, তাই তাঁরা শাস্তি পাচ্ছেন। সব মানুষ খারাপ নয়। দিদির যে উন্নয়ন এলাকার মানুষ চোখে দেখেছেন, তাই এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) তারা বিজেপিকে হারাবেন। আর দুজনের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই হলেও তাতে সম্পর্কের কোনও অবনতি হবে না।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    পিসেমশাইয়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে বিজেপি প্রার্থী সুরজিৎ দাস বলেন, পিসেমশাইয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হবে না। তবে রাজনীতির ময়দানে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নই। মানুষ দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত (Panchayat Election) গড়তে বিজেপিকে ভোট দেবেন।

    কী বললেন সিপিএম প্রার্থী?

    পিসেমশাই এবং শালাবাবুর ছেলের এই লড়াইয়ের মাঝে ঘোলা জলে মাছ ধরতে মাঠে নেমে পড়েছেন সিপিএম প্রার্থী  জিয়াউল কাজি। তিনি বলেন, রাজ্যের পিসি-ভাইপোকে যেমন দেখছি এখানেও পিসেমশাই-শালাবাবুর লড়াই জোট বেঁধেছে। গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি প্রার্থীর পিসি খেয়েছে. আর এবার পাঁচ বছর পিসির ভাইপোকে খাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। কিন্তু, সেটা হবে না। মানুষ পঞ্চায়েত  ভোটে (Panchayat Election) সিপিআইএমকে ভোট দেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শাসক দল যখন প্রার্থী নিয়ে কোন্দল সামাল দিতে বেসামাল অবস্থায়, তখন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকছেন। বড় বড় জনসভার উপর নজর না দিয়ে ছোট ছোট কর্মী-বৈঠক ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীদের হয়ে প্রচারেই জোর দিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। জেলায় বিজেপি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী বলে জানা গেছে।

    কেমন চলছে ভোটের প্রচার (Alipurduar)?

    নিজেদের খাস তালুকে (Alipurduar) ভোট প্রচারে বেশি হইচই না করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েই বাজিমাত করার ছক করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, আগামী ৫ই জুলাই জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নির্বাচনী জনসভা করা হবে। সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা কারা সেই সভায় আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রার্থী ও কার্যকর্তারা জনসংযোগের উপরেই বেশি জোর দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তাঁরা ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

    তৃণমূলের দলীয় কোন্দল

    বিজেপি কয়েক মাস আগেই দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে রেখেছিল। সেই মতো ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মনোনয়ন জমা করতে থাকেন বিজেপির প্রার্থীরা। অপর দিকে শাসক-শিবিরে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)  প্রার্থী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল বলে জানা গেছে। ঘোষিত প্রার্থীদের বদলও করতে বাধ্য হয়েছে শাসক দল। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি বিক্ষোভ তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অনেক নেতাকর্মী শেষ পর্যন্ত টিকিট না পাওয়ায় নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।

    বিজেপি ঘর গুছিয়ে নিয়েছে

    শাসকদলের প্রার্থীদের নিয়ে চাপা বিক্ষোভ থাকলেও গেরুয়া শিবিরের ছবিটা উল্টো বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। প্রার্থী নিয়ে তেমন দ্বন্দ্বের কথা নজরে আসেনি। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মানুষ একচেটিয়া ভাবে বিজেপির প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন। শাসক দল ধরাশায়ী হলেও পঞ্চায়েত ভোটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। যদিও গেরুয়া শিবির নিজেদের শক্ত ঘাঁটিকে আরও মজবুত করতে প্রার্থীদের নিয়ে সরাসরি জনসংযোগে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোট যদি নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাহলে বিজেপির প্রার্থীরা এবারেও ভালো ফল করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share