Tag: bjp

bjp

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের জামাই এবং বিজেপির শ্বশুর প্রার্থী! তীব্র লড়াইয়ে কে জিতবেন?

    South 24 Parganas: তৃণমূলের জামাই এবং বিজেপির শ্বশুর প্রার্থী! তীব্র লড়াইয়ে কে জিতবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট যুদ্ধে জোর লড়াই শ্বশুর ও জামাইয়ের। শেষ হাসি কে হাসবে, শশুর নাকি জামাই, তা সময়ই বলবে। মথুরাপুর (South 24 Parganas) ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৩ নম্বর বুথে শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াইয়ে মজেছেন এলাকার মানুষজন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে উভয় প্রার্থীর মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও নেই পারিবারিক বিরোধ। দুই প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াই নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কেমন নির্বাচনী লড়াই

    বর্তমানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জামাই সুষেন জিৎ মণ্ডল, অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী শ্বশুর পালান পাইক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারপুরের (South 24 Parganas)  এই বুথের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মূলত বাম ঘেঁষা। আজ পর্যন্ত সিপিএমের হাতছাড়া হয়নি বলে জানা গেছে। সিপিএমের বিগত দুবারের প্রাক্তন প্রধান পালান পাইক, বর্তমানে দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নিজের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। একই বুথে তাই সকাল থেকে জামাই-শশুরের প্রচার চলছে জোর কদমে।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী পালান পাইক (South 24 Parganas) বলেন, বর্তমানে শাসক দল যেভাবে দুর্নীতি করেছে, তাতে সাধারণ মানুষ পাশে নেই। সেই কারণে দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে এলাকার মানুষ তাঁর সাথে আছেন। তিনিই জিতবেন বলে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। তবে রাজনীতির বাইরে গিয়ে শশুর-জামাই-মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। এক্ষেত্রে সম্পর্কের কোনও ঘাটতি হবে না, জানিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী (South 24 Parganas) জামাই সুষেন জিৎ মণ্ডলের দাবি, বর্তমানে দিদির যে উন্নয়ন, সেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই তিনি জিতবেন। এলাকার মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন বলে ব্যাপক আশাবাদী তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শশুরের সঙ্গেও সম্পর্ক ঠিকই থাকবে। তবে বিজেপির প্রার্থী পালনবাবুর মেয়ে তথা তৃণমূলের প্রার্থীর স্ত্রী, আপাতত স্বামীর পাশেই আছেন বলে জানিয়েছেন। ৮ই জুলাই নির্বাচনের পর গণনা হলে শেষ হাসি এখন কে হাসেন, সেটা ভবিষ্যতই বলবে। নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে উভয় পক্ষ প্রচার অভিযানে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: অভিষেকের নির্দেশে জেলে উপ প্রধান, পঞ্চায়েত ভোটে নেই তৃণমূল প্রার্থী

    Panchayat Election: অভিষেকের নির্দেশে জেলে উপ প্রধান, পঞ্চায়েত ভোটে নেই তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) লড়াই হবে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ব্লকের পদুমপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিরিকপুর ১৫ নম্বর বুথে। মিরিকপুর আসনের বিদায়ী তৃণমূল সদস্য তথা গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান সুকুমার নায়ক বর্তমানে জেলবন্দি। তাঁর পরিবর্তে সেখানে তৃণমূলের হয়ে কেউই মনোনয়ন জমা করেননি। তাই, এই আসনে এবার তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই লড়াই হতে চলেছে।

    কেন তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি?

    সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়কের নামে নানা অনিয়ম-বেনিয়মের অভিযোগ শুনেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ অভিষেকের নির্দেশে তমলুক থানায় অভিযোগ জমা হয়। গ্রেফতার হন সুকুমার। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। তাই মনোনয়ন জমা করা হয়নি তৃণমূলের তরফে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই লড়াই হতে চলেছে তমলুকের পদুমপুরের মিরিকপুর ১৫ নম্বর বুথে। লড়াইয়ে আছেন বিজেপির লক্ষ্মণ গুড়িয়া, সিপিএমের শ্রীকান্ত পাল, আম প্রতীকের নির্মল কুইল্যা এবং বটগাছ চিহ্নে পূর্ণচন্দ্র তুঙ্গ। প্রসঙ্গত, এই বুথের ২০০৩ সাল থেকে টানা চারবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকেই প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩-এ এসে তার ছেদ পড়ল। এ বিষয়ে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসনে তৃণমূলের হয়ে কেউ মনোনয়ন না জমা করলেও, দলের দুই কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তাঁদের একজনকে ঘাসফুলের প্রতীকও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল মাজি নামের ওই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে, তৃণমূলের কেউ সেখানে প্রার্থী হতে পারেননি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পদুমপুর- ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীপনারায়ণ সাহু বলেন, ‘ সুকুমার নায়েক গ্রেফতার হয়েছেন। যা সাধারণ তৃণমূলকর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। নেতা জেলবন্দি থাকায় অন্য কেউও প্রার্থী হতে চাননি। নির্দল প্রার্থী নির্মল কুইলা আমাদের দলেরই সদস্য। ফলে, ভোটে কোন অসুবিধা হবে না। গ্রাম-পঞ্চায়েত আমাদের দখলেই থাকবে।’ তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি এটা ঠিক নয়। আসলে দলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) একজন প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু, কোনও কারণে সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমাদের নির্দল প্রার্থী রয়েছে। দল তাকে সমর্থন করবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। প্রকৃত ভোট (Panchayat Election) হলে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

    Dakshin Dinajpur: বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাতের অন্ধকারে বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুর এলাকার। নির্বাচনের প্রচার কাজের জন্য তৈরি হয়েছিল এই অস্থায়ী কার্যালয়। নির্বাচনের প্রচার কার্য থেকে বিজেপিকে আটকাতে এমন কাজ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি জেলার নেতৃত্ব।

    কী সমস্যা হয়েছে (Dakshin Dinajpur)?

    দলীয় অস্থায়ী পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ শাসকদলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই তুলেছে বিজেপি। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। এদিকে পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এইদিন বিষয়টি নজরে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গঙ্গারামপুরে (Dakshin Dinajpur)।

    আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন সারা রাজ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে অস্থায়ী কার্যালয় করা হচ্ছে। নির্বাচনে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে প্রচার কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সেই বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, পঞ্চায়েতে জিততে পারবে না তৃণমূল। তাই ভয় পেয়ে এই ধরনের কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ভাবে গণতন্ত্রের পরিস্থিতি এই রাজ্যে নেই। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে নির্বাচনের প্রার্থী এবং দলীয় কার্যালয় কোনওটাই বর্তমানে সুরক্ষিত নয়। আমরা এই বিষয় নিয়ে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব, জানিয়েছেন জেলার বিজেপি সভাপতি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, তৃণমূল এধরনের কাজ করে না। বিজেপির জনসমর্থন নেই। তাই এই ধরনের অভিযোগ করছে। নির্বাচনে লড়াই করার ক্ষমতা নেই বিজেপির, তাই এমন অপপ্রচার করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে শূন্য করার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার নদিয়ার কল্যাণী বিধানসভার ঘোড়াগাছা স্কুল মাঠে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির জনসভায় যোগ দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নের জন্য প্রচুর টাকা দেয়। কিন্তু, তৃণমূল পঞ্চায়েতে সেই উন্নয়ন থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তাই, এবার প়ঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে হবে।

    তৃণমূলের বহিষ্কার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল থেকে নির্দলে দাঁড়ানো প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করলে তিনি খোঁচা দিয়ে বলেন, তৃণমূলের আবার বহিষ্কার! স্যান্ডো গেঞ্জির আবার পকেট, যেদিন গরুর গাড়িতে হেডলাইট ব্যবহার হবে আর স্যান্ডো গেঞ্জিতে পকেট ব্যবহার হবে সেদিনই দলটার অস্তিত্ব থাকবে। যে দলটা দুর্নীতিতে রেকর্ড গড়েছে, গরু চোর, কয়লা চোর, চাকরি চোর সেই দলটার অস্তিত্ব আছে কি না সেটাই প্রশ্ন। এই পশ্চিমবাংলায় এই সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ করবে সে নওশাদ সিদ্দিকি হোক বা অম্বিকা রায় হোক তাঁর জীবনে সংশয় তৈরি হবে। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় সহ জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদেরকেও নিশানা করেন শুভেন্দু।

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক সংখ্যালঘু পরিবারের যুবকের। এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবেন, সংখ্যালঘু ভাইদের এইভাবে প্রাণ দিতে হবে। তবে, সংখ্যালঘুরা আসতে আসতে সেটা বুঝতে পারছেন। কারণ, তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর সেটা বুঝতে পেরেই তারা তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: উলট পুরাণ, বিজেপিকে হটাতে পঞ্চায়েতে প্রার্থীই দিল না তৃণমূল!

    BJP: উলট পুরাণ, বিজেপিকে হটাতে পঞ্চায়েতে প্রার্থীই দিল না তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলট পুরাণ! এ যেন নিজের নাক কেটে পরের (BJP) যাত্রাভঙ্গ। পঞ্চায়েত ভোটে এমন নজির সহজে মিলবে না শুধু এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নয়, হয়তো গোটা রাজ্যেও। কারণ এখানে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য, নিজের আসন নয়, বরং গ্রাম থেকে বিজেপিকে হটাতে হবে। তাই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীই দিল না শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল। এমনই নজির বিহীন ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কোলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরডাঙ্গী গ্রামে।

    গ্রামে দেখা মিলবে বিরল ছবির

    পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রার্থী থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান লড়াই বোরডাঙ্গী গ্রামের ৯৬ নম্বর বুথে বিজেপি (BJP) বনাম বাম- তৃণমূল মহাজোটের নির্দল প্রার্থীর মধ্যে। বোরডাঙ্গী গ্রামের ওই বুথে গেলে একদিকে সারি সারি বিজেপির দলীয় পতাকা, আবার দেখা মিলবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থীর প্রচারের ফ্লেক্সের ওপর তৃণমূল ও সিপিএমের দলীয় পতাকা। এমন বিরল ছবি অন্য কোথাও সহজে দেখা মিলবে কিনা সন্দেহ। বোরডাঙ্গী গ্রামের ওই ৯৬ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মিতা পাল এবং আম চিহ্নের প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বাম-তৃণমূলের মহাজোটের প্রার্থী অনিন্দিতা পাল। 

    প্রচার(BJP)-পাল্টা প্রচারে সরগরম এলাকা

    গত নির্বাচনে কোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে থাকলেও বোরডাঙ্গীর এই বুথটিতে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। বিজেপির (BJP) দাবি, তারা উন্নয়ন করেছে বিগত পাঁচ বছরে। তাই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে এই নির্বাচনেও ভোট আদায়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী মিতা পাল। পাশাপাশি এলাকায় অনুন্নয়নের দাবি তুলে পাল্টা ভোট প্রচার শুরু করেছেন বাম- তৃণমূল জোটপ্রার্থী অনিন্দিতা পাল। তবে কে শেষ হাসি হাসবে এই পঞ্চায়েত ভোটে, তা সময় বলবে।তবে তৃণমূল ও সিপিএমের এই মহাজোট জেলায় একেবারে নজিরবিহীন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আর্জি, দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক

    TMC: লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আর্জি, দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক অজ্ঞতা নাকি সোজাসুজি টাকার টোপ? পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থীর দেওয়াল লিখন ঘিরে চাঞ্চল্য। সোজাসুজি একেবারে পাঁচশো বা হাজার টাকার টোপ। টোপ দিয়ে ভোট টানার চেষ্টা। দেওয়াল লিখন ঘিরে বিতর্ক ভাতারে। এই নিয়ে সরব বিরোধী পক্ষ থেকে গ্রামের সচেতন মানুষ। 

    দেওয়াল লিখনে কী লেখা রয়েছে?

    পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের আমারুন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর আসনে ৭ নম্বর সংসদে তৃণমূল প্রার্থী পলসোনা গ্রামের বাসিন্দা নাফিজা বেগম। ইতিমধ্যেই দেওয়াল লিখন ও প্রচার অভিযানে ঝাঁপিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। গোটা গ্রামে ভরে উঠেছে এমন দেওয়াল লিখনে। ভাতারের পলশোনা গ্রামে একাধিক দেওয়ালে লেখা আছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেতে হলে নাফিজা বেগমকে জয়ী করুন। লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা পেতে চান? নাফিজা বেগমকে জয়ী করুন। তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর দেওয়াল লিখন ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নাফিজা বেগম যদি ভোটে না জয়ী হন তা হলে কি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়া যাবে না? গ্রামে এই নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে টোপ দিয়ে কি ভোট প্রচার করতে পারেন একজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী? উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী?

    এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, কর্মীরা দেওয়াল লিখছে। তবে এই  বিষয়টি আমার জানা নেই। ভুল থাকলে  সংশোধন করে নেওয়া হবে।

    গ্রামবাসীদের কী বক্তব্য?

    গ্রামবাসী শেখ ইব্রাহিম বলে, এই ধরনের দেওয়াল লেখা অন্যায়। একে কেউ সমর্থন করছে না। শেখ লালন নামে এক বাসিন্দা বলেন, এটা লেখা ঠিক হয়নি। আর এক গ্রামবাসী শেখ আব্দুল হালিম বলেন, এই নিয়ে আলোড়ন পড়েছে গ্রামে। টাকাটা কি রাজ্য সরকার দেবে, না প্রার্থী দেবেন?

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা সুধীরঞ্জন সাউ বলেন, এই ট্রেন্ড মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন। তাই এখন প্রার্থী দেওয়াল লিখে ভোটারদের টোপ দিচ্ছেন। এই নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দরকারে আদালতে যাব।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা দেবু টুডু বলেন, হয়তো একটু বাক্যগঠনে ভুল হয়েছে। কিন্তু সবাই জানেন , প্রার্থীর জেতা বা হারার সঙ্গে সরকারি প্রকল্পের কোনও যোগ নেই। জিতলেও পাবেন। হারলেও লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে অনুব্রতর গড়ে জোর কদমে প্রচারে নামল বিজেপি

    BJP: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে অনুব্রতর গড়ে জোর কদমে প্রচারে নামল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ভোট প্রচার শুরু হল বীরভূমে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই ৮ জুলাই রাজ্য জুড়ে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বীরভূম জেলা পরিষদের ২৭ নম্বর জেডপি আসনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত সাহাকে নিয়ে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব (BJP)। বীরভূমের মোহাম্মদ বাজার ১৮ এবং ১৯ নম্বর বুথে এদিন জোর কদমে প্রচার চালায় গেরুয়া শিবির। এই দুটি বুথ আদিবাসী অধ্যুষিত। এদিন প্রত্যেকটি পাড়ায় মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে জনসংযোগ করেন বিজেপি নেতারা। 

    কীভাবে ক্ষোভের কথা জানাল মানুষ?

    জব কার্ড সহ ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাস যোজনা, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সহ নানা প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে মানুষের মনে। বিজেপিকে (BJP) সমর্থন করার কারণে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্কুলগুলিতে নাকি ভালো পড়াশোনা হয় না। ভাতা নয়, বরং ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে যাতে শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত করা হয়, তারই দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে গিয়ে পরিষেবা না পাওয়া নিয়েও অভিযোগ উঠে আসে।

    কী আবেদন জানাল গেরুয়া শিবির?

    বীরভূম জেলা পরিষদের ২৭ নম্বরের তিনটি পঞ্চায়েতের মানুষের কাছে তাই গেরুয়া শিবিরের আবেদন, পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে মানুষ যেন মোদিজির আত্মনির্ভর ভারত এবং চোর মুক্ত বীরভূম জেলা গড়তে সহায়তা করেন। এমনটাই জানান বীরভূম জেলা পরিষদের২৭ নম্বর জেডপি আসনে বিজেপি (BJP) মনোনীত প্রার্থী কৃষ্ণকান্ত সাহা। ক্ষমতায় এলে আগামী দিনে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুটি ব্যবস্থাকে সাজিয়ে তোলার আশ্বাস দিলেন তিনি।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ বোলপুর এলাকায়

    অন্যদিকে, আগামী ৮ ই জুলাই রাজ্যে এক দফায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছে আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (BJP) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলছিলেন। আদালতও সেই দাবিতেই সিলমোহর দেয়। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার চিঠি লেখেন। রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে করতে শুরু হল তৎপরতা। শনিবার বোলপুরের এসডিপিও নিখিল আগরওয়াল ও বোলপুর থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বোলপুরের রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দাঁতনে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ও তাঁর ছেলেকে বাঁশ-পেটা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: দাঁতনে বিজেপির মহিলা প্রার্থী ও তাঁর ছেলেকে বাঁশ-পেটা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রক্তাক্ত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন। বিজেপির (BJP) মহিলা প্রার্থী কাকলি পাত্র ও তাঁর ছেলেকে বাঁশপেটা করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দাঁতন থানার কেশরম্ভা এলাকায়। ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, দাঁতনের কেশরম্ভা ৪ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হন কাকলি পাত্র। এদিন দুপুরে বাঁশ নিয়ে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর স্বামীকে হুমকি দেন। মূলত প্রার্থী পদ প্রত্যাহার না করার জন্যই তাঁরা হুমকি দেন। প্রার্থীর ছেলে প্রতিবাদ করলে দুপক্ষই বচসায় জড়িয়ে পড়ে। আচমকাই বাঁশ দিয়ে বিজেপি প্রার্থী কাকলি পাত্র ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ দিয়ে পেটানোর ছবি রীতিমতো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই বিজেপি কর্মী ও তাঁর মাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর ছেলে বলেন, মা বিজেপির প্রার্থী হয়েছে, এটাই অপরাধ। আর সেই কারণে বাঁশ নিয়ে কয়েক তৃণমূল কর্মী এসে মা আর বাবাকে হুমকি দিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে ওরা আমাদের উপর চড়াও হয়। রাস্তায় ফেলে আমাদের পেটায়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন, তৃণমূল সন্ত্রাস করে বহু আসনে আমাদের মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি। এখন যারা প্রার্থী হয়েছে, তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে বাঁশ দিয়ে লাঠি পেটা করছে। মানুষ এসব মেনে নেবে না। এবার ভোটে তৃণমূলকে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, পাড়াগত বিবাদ। সেটাকে বিজেপি (BJP) রাজনীতির রং লাগাচ্ছে। আসলে পুরানো গণ্ডগোল নিয়ে বাজারে একটি ঝামেলা হয়েছিল। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা এখন সব কিছুতেই তৃণমূলকে জড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Vote: লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ! মালদায় ৪৪ শতাংশ আসনে নেই বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়েছে। ঝরেছে বেশ কয়েকটি তরতাজা প্রাণ। প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল। শুক্রবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ক্যানিং-১ ব্লকে কেন একজনও বিরোধী প্রার্থী পাওয়া গেল না? এনিয়ে হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই চিত্র মালদা জেলাতে দেখা যাচ্ছে। সেখানকার জেলা পরিষদের ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৪৪ শতাংশ এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। এর জন্য অবশ্য শাসক দলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।

    কী বলছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ?

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের কারণেই ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই আবেদন করেছিলেন আমাদের কাছে। তরুণ প্রজন্ম সব থেকে বেশি উৎসাহী ছিল। ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মহিলাদেরও।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাস চালিয়ে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তাই মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) এবং পঞ্চায়েত সমিতির বহু জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিশনকে জানাতে হবে কেন ২০ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হল? মঙ্গলবার ২৭ জুন হাইকোর্টে এবিষয়ে  হলফনামাও জমা দিতে হবে কমিশনকে। বিরোধীদের তোলা অভিযোগে এভাবেই সিলমোহর দিতে দেখা গেল মহামান্য হাইকোর্টকে।

    মালদার চিত্র

    মালদা জেলা পরিষদের ৪৩ আসনের ৬ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী সহ সব আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,২১৬ আসনের মধ্যে ১,৮১০ আসনে প্রার্থী দিলেও ১,৪০৬ আসন অর্থাৎ প্রায় ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৯ আসনের মধ্যে ৩১৭ আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও ১২২ টি আসন অর্থাৎ প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন! ধাপে ধাপে আসবে আরও

    Calcutta High Court: রাজ্যে ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন! ধাপে ধাপে আসবে আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে প্রথমে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের কোন কোন জেলায় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তার তালিকা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশ এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)। জানা গিয়েছে, ২২টি জেলায় ২২ কোম্পানি বাহিনী প্রথমে মোতায়েন করা হবে। পরে ধাপে ধাপে আসবে আরও বাহিনী। ইতিমধ্যেই মোট ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কমিশন সূত্রে খবর, বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এদিন আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    প্রথম ধাপে কোন কোন জেলায় যাচ্ছে বাহিনী?

    প্রথম ধাপে ২২ কোম্পানি বাহিনী যে সব জেলায় আসছে, সেগুলি হল— আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর।

    বেশি দফায় ভোট করানোর আর্জি শুভেন্দুর আইনজীবীর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে বলেন, ‘‘৩৩৭ কোম্পানির চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী এখন পাওয়া না গেলে পঞ্চায়েত ভোট কয়েক দফায় ভেঙে দেওয়া হোক। ২০১৩ সালে এভাবেই পাঁচ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল।’’

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    এ কথা শুনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘কেন্দ্র বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে পাঠাবে তা ২৮ জুন আদালতকে জানাতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ যথাযথ ভাবে মেনে চলছে কিনা তাও হলফনামা আকারে জানাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share