Tag: bjp

bjp

  • Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনের (Dakshin Dinajpur) দুটি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে প্রায় ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। আবার বামফ্রন্ট থেকেও কিছু পরিবার বিজপিতে যোগদান করে বলে জানা গেছে। এর ফলে এলাকায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বলে দাবি করছে বিজেপি।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর ও গুড়াইল বুথে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান অনুষ্ঠানে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়নি বলেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা৷ গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের ছেলে রাজেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনে বিজেপিতে বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে।

    যোগদানকারীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে যোগাদানকারী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকায় (Dakshin Dinajpur) কোনও সুযোগসুবিধা ও কোনও উন্নয়ন পাইনি। তাই আমরা আজ সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তপনের গুরাইল ও শ্যামপুর গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল ছেড়ে অনেক পরিবার বিজেপিতে যোগাদান করেছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারও রয়েছে। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে এসেছিল। কিন্তু শাসক দলের দুর্নীতির কারণে সবাই তৃণমূল ছেড়েছে। তিনি আরও বলেন, এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আরও ভালো হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যোগদানের বিষয়ে জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, কয়েকশো লোক নয়, মাত্র গুটিকয়েক লোক হয়তো বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের নয়, বামফ্রন্টের হতে পারে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিজেপি (BJP) প্রার্থী। এটাই তাঁর অপরাধ। আর এই অপরাধে তাঁর বাড়িতে জল বন্ধ করল তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগরা গ্রামে। জল বন্ধের অভিযোগ পেয়ে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে যান দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে ফোন করে নালিশ জানান তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর বুথের আগড়া গ্রামের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন ভারতী দিগার। তাঁর বাবা স্বপন দিগার বলেন, মেয়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছে বলে পানীয় জল বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল আনতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করছে। আর রাতে তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে এসে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে আমি অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু, চারদিন হয়ে গেল আমরা পানীয় জল সংযোগ পাইনি।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিষয়টি জানার পর বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে আসে। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে বিজেপির জেলা সভাপতি ফোন করেন অভিযোগ জানান। পরে তন্ময়বাবু বলেন, এই গরমে পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। তৃণমূল যদি সন্ত্রাস করার চেষ্টা করে, তাহলে পাল্টা প্রতিরোধ হবে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। দলের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা গ্রামবাসীদের জোটবদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামের দুটি আসনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দয়াল কোনাই এবং সুনিতা লেট। হুমকির আশঙ্কা ছিলই। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁরা গ্রামের বাইরে ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দয়াল কোনাইয়ের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। দয়ালবাবু বলেন, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় মনোনয়ন তুলে না নিলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হবে। লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁচতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আকবার আলির (অঞ্চল সভাপতি) সঙ্গে দেখা করে আসতে বলবে”।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের আত্মীয়রা কী বললেন?

     বিজেপি (BJP) প্রার্থী দয়াল কোনাইয়ের দিদি ঠান্ডু কোনাই বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওরা প্রথমেই ভাইয়ের খোঁজ করছিল। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় মনোনয়ন তুলে না নিলে খুন করে দেওয়া হবে। সকালে যেন আকবরের সঙ্গে দেখা করে আসে।” আর এক বিজেপি প্রার্থী সুনিতা লেটের শ্বশুর সনত লেটে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে পিস্তল ছিল। বার বার তারা আকবরের নাম করছিল। বলে যায় সকাল ১০ টার মধ্যে আকবরের সঙ্গে দেখা করতে হবে। ভয়ে বউমা এখন গ্রামের বাইরে রয়েছে।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুমকির খবর পেয়ে বেলেবাড়ি গ্রামে যান বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রশ্মি দে, জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শ্রাবস্তি মুখোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল। শান্তনু মণ্ডল বলেন, “আমরা তৃণমূলের হুমকির নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন রেখেছি ভোট পর্যন্ত বহিরাগত কেউ রাতে গ্রামে ঢুকলে তাদের বেঁধে রাখুন। গ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। তবে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “দলের নির্দেশ কাউকে কোনওরকম হুমকি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি, দোকান লুটপাট, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি, দোকান লুটপাট, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি। প্রার্থীর স্বামীর দোকানে লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠলো শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে  জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি ১৮/১৮৪ নম্বর বুথের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এদিন দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি প্রার্থী মিনতি সন্ন্যাসীর স্বামী বিপ্লব সন্ন্যাসী। কোতোয়ালি থানার আইসি জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থীর স্বামী?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্বের পর এবার প্রত্যাহারের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হয়ে উঠছে গ্রাম বাংলা। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানোর জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। শনিবার রাত থেকে পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি ১৮/১৮৪ নম্বর বুথের বিজেপির মহিলা প্রার্থী মিনতি সন্ন্যাসী ও তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি এলাকা থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিনতিদেবী। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই আসন থেকে মনোনয়ন পত্র তুলে ছিলেন তাঁর স্বামী বিপ্লববাবু। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমাকে মারধর করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। এবার বিজেপি নেতৃত্ব পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে স্ত্রীকে প্রার্থী করেছিলাম। শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে অত্যাচার। বাড়ি বয়ে এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন স্ত্রী। রঙধামালি বাজারের উপর আমার খাতা-পেনের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের তালা ভেঙে লুটপাট করা হয়।  এদিন দুপুরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কোতোয়ালি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানোর জন্য জলপাইগুড়ি পলাতকা, বারোপেটিয়া, পাহাড়পুর সহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে শাসক দল। প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। 

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হেমব্রম। তিনি বলেন,পুরোটাই সাজানো নাটক। একটা পারিবারিক সমস্যাকে রাজনৈতিক রঙ দিচ্ছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: নিউ বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: নিউ বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে হুমকি দেওয়া চলছিল। কিন্তু, হুমকির পরও মনোনয়ন না তোলায় বারাকপুর ২ ব্লকের বিলকান্দা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুধু বাড়ি ভাঙচুর করা নয়, যদি মনোনয়নপত্র তুলে না নেওয়া হয়, তাহলে আবারও হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রবিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে বিজেপি নেতৃত্ব নিউ বারাকপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে বিলকান্দা ১ পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই রবিবার দুপুরে নিউ বারাকপুর থানাতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান দিতে দিতে রবিবার দুপুরে নিউ বারাকপুর থানার মধ্যে ঢুকে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলা সভাপতি আইনজীবী অরিজিৎ বক্সি বলেন, প্রার্থীদের বাড়়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসনকে প্রত্যেক বিজেপি প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এলাকায় পুলিশি টহলদারি বাড়াতে হবে। পুলিশ প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তৃণমূলের এই কার্যকলাপ চলবে। নিউ বারাকপুর থানা এলাকায় যে সিসিটিভি আছে, তা চেক করে দেখতে বলা হয়েছে। নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে বলে জানানো হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ। আসলে বিজেপির (BJP) কোনও সংগঠন নেই। তাই এসব নাটক করছে। এমনিতেই এই ব্লকের অর্ধেক আসনেই আমরা জয়ী হয়েছি। বাকি আসনগুলিতে লড়াই করে আমরা জয়লাভ করব। আসলে বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়ে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ

    Panchayat Election: বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁদের অবিলম্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুর থানার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুতলা এলাকায়। হামলার প্রতিবাদে রবিবার টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর স্ক্রুটিনি পর্ব। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লিচুতলা এলাকায় বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সান্ত্বনা রায় এবং কৃষ্ণা সরকার। অভিযোগ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য কয়েকদিন ধরে হুমকি দিতে থাকেন দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুবীর ধর এবং তাঁর অনুগামীরা। দুই বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় শনিবার রাতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দুই প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিরার দুপুরে বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা নদিয়া দক্ষিণ বিজেপির জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, শনিবার রাতে দলীয় প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে শনিবার রাতেই চাকদহ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। তিনি ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও দুষ্কৃতী ধরা পড়েনি। সেই কারণেই আমাদের এই পথ অবরোধ। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুধুমাত্র এখানেই থেমে থাকবে না। রানাঘাট দক্ষিণের যে কটি থানা রয়েছে, আমরা প্রতিটি থানা স্তব্ধ করে দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এ বিষয়ে বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেবগ্রাম তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা বিদায় উপপ্রধান সুবীর ধর। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন বাড়িতেই বসে রয়েছি, প্রশাসন সেটা জানে। বিজেপি যে অভিযোগ তুলেছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) সুস্থ ভাবেই বিজেপি এবং সিপিএম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছে। বিগত ৩৪ বছরে সিপিএমের যে সমস্ত হার্মাদ বাহিনী এলাকায় খুন-সন্ত্রাস করত, তারাই আজ ভোটে দাঁড়াচ্ছে এবং আবারও উত্তপ্ত করে তোলার চেষ্টা করছে গোটা এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি! বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে তাণ্ডব, মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি! বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে তাণ্ডব, মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকা। এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার-১ নম্বর ব্লকের কানপুর ধানবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার ধানবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথের বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, গৌরীপুরের হাসডোগরা বুথের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ মণ্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তাঁকে মারধর করা হয়। সব ক্ষেত্রেই বিজেপি প্রার্থীদের অবিলম্বে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থীরা?

    ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের ধনবেরিয়া কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মঙ্গল দাস ও জয়দেব দাসের বাড়ি শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাঁদের বক্তব্য, শনিবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাড়িতে এসে হামলা চালায়। পরে, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাড়ির লোকজনদের নানাভাবে হুমকি দেয় তারা। অপরদিকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের গৌরীপুরের হাসডোগরা বুথের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ মণ্ডল বলেন, বাইক করে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়়িতে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি আমাকে মারধর করে। যদি প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে, তাহলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের থেকেও ভালো ফল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি নেতা দীপক হালদার বলেন, রাজ্যের শাসক দল ভয় পেয়েছে, সেই জন্যই দুষ্কৃতীদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের প্রার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাব। এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। তিনি বলেন, শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করবে তৃণমূল। মানুষ তৃণমূলের উন্নয়নের পাশে আছে। বিজেপির (BJP) পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই উল্টোপাল্টা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ভুলের কারণে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী। অপর দিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও দুই বুথে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। শনিবার মিষ্টি মুখ করে বিজয়োল্লাসে মাতলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।

    কোন আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি?

    মনোনয়ন পত্রের পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকোইর বুথে বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে উচ্ছ্বসিত পদ্ম শিবির। এই পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের দুটি ভাগ রয়েছে। ৮ নং ও ৯ নং বুথে তৃণমূল প্রার্থীরা দুটি ক্ষেত্রেই ৯ নং বুথের উল্লেখ করেছে। যার ফলে এক জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আর যার ফলস্বরূপ ৮ নম্বর বুথে শুধুমাত্র বিজেপি প্রার্থীরই মনোনয়ন গ্রাহ্য হয়েছে।

    কোন আসনে জয়ী তৃণমূল?

    অন্যদিকে গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের জাহাঙ্গিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৪ নম্বর বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর বুথেও তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, দলের কর্মীদের ভুলের কারণেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে পেরেছে৷ ফর্ম ফিলাপের সময় দুজন প্রার্থী একই বুথ নম্বর দেওয়ায় একজনের নমিনেশন বাতিল হয়ে গিয়েছে। আবার জেলার সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির বলেন, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে আরও অনেক নাম প্রত্যাহার হবে। অনেক সিটেই তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “শাসকদল তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে এই এলাকায়৷ আজ স্ক্রুটনি শেষে দেখা যায় গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথ বিজেপি বাদে কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়নি। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন।” নির্বাচন নিয়ে জেলায় আমরা আশাবাদী বলে জানান বিজেপির এই নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    TMC: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ঘরবাড়ি জ্বালানোর হুমকি, গ্রাম জুড়ে পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়েই শাসক দলের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। শনিবার রাতে বহরমপুরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রাম জুড়ে একটি পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    রঘুনাথগঞ্জ থানার রানীনগর অঞ্চলের ভদ্রাপাড়া গ্রামে তৃণমূলের নামে দেওয়া পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে বাড়ির দেওয়ালে পোস্টার দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে যদি কেউ ভোট করার চেষ্টা করিস, তাহলে তোদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব। মা-বোনেদের তুলে নিয়ে যাব। আর তোদের গ্রামছাড়া করব। কোনও পুলিশ তোদের বাঁচাতে পারবে না।’ অন্য একটি পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘টিএমসির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিস, সাদা কাপড় পাঠালাম, মা বোনেদের পরিয়ে দিস।’ এরকম একাধিক  বাড়িতে পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের এলাকায় কোনও গণ্ডগোল হয় না। কিন্তু, এই ধরনের হুমকি পোস্টার দেখে আতঙ্ক লাগছে। ভোটে ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই, এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, এই ধরনের হুমকি পোস্টার তৃণমূলই (TMC) দিতে পারে। কারণ, তারা বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে। আমরা এই ধরনের পোস্টারের তীব্র বিরোধিতা করছি। যে বা যারা এই ধরনের হুমকি পোস্টার ওই গ্রামে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট হওয়া সম্ভব নয়। এই ধরনের হুমকি পোস্টারে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের প্রার্থী দিবাকর দাস বলেন, আমি এদিন সকালে এই পোস্টার দেখতে পাই। আমি নিজে অবাক হয়ে যাই। এই ধরনের কাজ তৃণমূল করেনি। আসলে দলের মধ্যে প্রার্থী হতে না পেরে আমারই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন এই কাজ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    Peace Room: রাজভবনে চালু হল ‘শান্তিকক্ষ’! জানানো যাবে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যবাসী সাক্ষী থেকেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজভবনও। মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক অশান্তির সাক্ষী ভাঙড় আর ক্যানিংয়ের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করে এসেছেন তিনি। এবার হিংসা ঠেকাতে রাজভবনে চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)।

    শান্তিকক্ষের (Peace Room) হেল্পলাইন…

    রাজ্যে কোথাও অশান্তির ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো যাবে শান্তিকক্ষতে। সেই মতো রাজভবন যোগাযোগ করবে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। ফোন করে বা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। ‘পিস রুম’-এর ফোন নম্বর হল, 03322001641। আর ই-মেইল আইডি হল OSD2w.b.governor@gmail.com। শনিবার রাতে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে রাজভনের তরফে।

    ভাঙড় ও ক্যানিং সফর রাজ্যপালের

    বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ বেলায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়-২ ব্লক। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছিল, চলেছিল গুলিও। প্রাণ গিয়েছিল তিন জনের। গত সপ্তাহের শুক্রবার সেই এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। পরে সেখানে বলেছিলেন, ‘‘আমি বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করছি, এই ভোটে হিংসাই বলি হবে। হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। যারা হিংসা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান এবং আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শনিবার ক্যানিংয়ে যান রাজ্যপাল। বুধবারই, মনোনয়নের চতুর্থ দিনে ক্যানিংয়ে শাসক তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ক্যানিংয়ের সেই হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পর তাঁর মন্তব্য, “গণতন্ত্রে ভয়ের কোনও জায়গা নেই।”

    শনিবারই তলব করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে

    শনিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্ত রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতেই রাজভবনে তলব করা হয় রাজীবকে। ভাঙড়ের সংঘর্ষের পর বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এহেন আবহে হওয়ার কথা ছিল রাজীব-রাজ্যপাল বৈঠক। যদিও এদিন বেলার দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্ক্রুটিনিতে ব্যস্ত থাকায় শনিবার তিনি দেখা করতে যেতে পারছেন না রাজ্যপালের সঙ্গে। তবে অন্য কোনও দিন ডেকে পাঠানো হলে, তিনি যেতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share