Tag: bjp

bjp

  • Malda: ফুলাহার নদীর মাটি পাচারে আটক ৭ টি ট্র্যাক্টর  এবং ২ ব্যাক্তি

    Malda: ফুলাহার নদীর মাটি পাচারে আটক ৭ টি ট্র্যাক্টর এবং ২ ব্যাক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে ফুলাহার নদীর মাটি কেটে পাচার করছে মাটি মাফিয়ারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মহকুমা শাসকের নির্দেশে, শনিবার দিন হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) দু নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামায়ণপুর এলাকার ফুলাহার নদীতে অবৈধ মাটি কাটায়, ৭ টি ট্র্যাক্টর ও দুই জনকে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

    মালদার (Malda) ফুলাহার নদীতে কীভাবে চলছে মাটি পাচার?

    নদী ভাঙ্গন মালদায় (Malda) প্রতি বছরের সমস্যা। বর্ষাকালে ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ায় নদীগর্ভে তলিয়ে যায় বিঘার পর বিঘা জমি, বাড়ি, ফলের বাগান সর্বস্ব। জেলার প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে গঙ্গা এবং ফুলাহার এই দুটি নদীর ভাঙন প্রতি বছর সর্বস্বান্ত করে বহু মানুষকে। আর সেই ফুলহার নদী থেকে বেআইনিভাবে মাটি কেটে পাচারের অভিযোগ উঠেছে, মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এলাকার স্থানীয়দের আশঙ্কা, এইভাবে মাটি কাটা হলে বর্ষাকালে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দেবে ফুলাহার নদীতে।   

    কারা মাটি মাফিয়া?

    শাসকের মদতেই চলছে মাটি পাচারের কাজ, অভিযোগ বিজেপির। বেআইনি কাজ হলে প্রশাসন (Malda) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। আর প্রকাশ্য দিবালোকে এইভাবে মাটিকাটা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। বিজেপির উত্তর মালদার (Malda) সাংগঠনিক কমিটির সদস্য কৃষ্ণ কেডিয়া বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ মদতে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরনের কাজ চলছে। অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য সামনে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোটের মাধ্যমে যোগ্য জবাব দেবেন বলে তিনি দাবি করেন।

    প্রশাসন এবং তৃণমূলের বক্তব্য

    অবৈধ ভাবে নদীর মাটি কাটার অভিযোগে চাঁচল (Malda) মহকুমার মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন, বিডিও এবং বিএলআরও-কে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর দু নম্বর ব্লকের সভাপতি তবারক হোসেন বলেন, অবৈধ মাটি কাটাকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্রয় দেয় না। আইন আইনের পথে চলবে, আইন অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। সামনেই রাজ্যে বর্ষা আসছে, ফুলাহার নদী থেকে মাটি কাটার ফলে এলাকায় ভাঙনরোধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: বিজেপি শাসিত ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: বিজেপি শাসিত ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৈঠকে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে মোট ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ২ রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে কারা ছিলেন?

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, গুজরাটের ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা, হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর, উত্তরাখণ্ডের পুষ্কর সিং ধামি, গোয়ার প্রমোদ সাওয়ান্ত, মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান, ত্রিপুরার মানিক সাহাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদি। ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, নাগাল্যান্ডের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ইয়াংথুঙ্গো প্যাটোনও। বৈঠক শেষে মোদি ট্যুইট করে জানালেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেশের মানুষের উন্নয়নের কাজ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠকের বিষয়

    রবিবার, নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের পরই এই বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এই বৈঠক আয়োজিত হয়। মূলত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পরিস্থিতি ও উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দলের শক্তি বৃদ্ধি করতে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    রাজনৈতিক সূত্রের খবর, প্রধানত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদি। মুখ্যমন্ত্রীরা নিজের রাজ্যের বিগত তিন মাসের রিপোর্ট কার্ডও পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi)। পাশাপাশি রাজ্যগুলিতে জনসংযোগ আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় হামলায় কুড়মি সমাজের প্রধান সহ গ্রেফতার ৮, প্রতিবাদ মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজেশ মাহাত সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজেশ পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি। তিনি খড়্গপুরের একটি হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁকে শুধু গ্রেফতার নয়, খড়্গপুরের স্কুল থেকে কোচবিহারের সিতাইয়ে বদলি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার শালবনির শালডহরা এলাকায় কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

    দলীয় নেতা গ্রেফতারি নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমন মাহাত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন একজন রাজেশকে গ্রেফতার করে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙে দেবেন, তাহলে তিনি ভুল ভাবছেন। আমাদের আন্দোলন থামবে না। বরং, এই ঘটনার পর আমাদের এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    শালবনির সভা থেকে কুড়মিদের নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মণিপুরে জাতি দাঙ্গার মতো এখানে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাহাড় আলাদা করে দাও। এই জাতি দাঙ্গা করেছিল বিজেপি। আমি কোনওরকমে সামলেছি।  রাজবংশী আর কামতাপুরীদের আলাদা করে দাও। আমি সামলেছি।   এখন আদিবাসী আর কুড়মিদের লরিয়ে দিচ্ছে। টাকা দিচ্ছে বিজেপি। জাতি দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। বিজেপিকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর। এরপরই কুড়মিদের হুঁশিয়ারি, আমাকে চমকানোর চেষ্টা করবেন না। হিংসা করলে আমাকে পাশে পাবেন না। আমরা চারবার কেন্দ্রের কাছে কুড়মিদের জন্য চিঠি দিয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ কুড়মি নেতারা, কেন?

    শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তাঁদের থানায় দিনভর আটকে রাখা হলেও  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুমনবাবু বলেন, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় হামলার সঙ্গে কুড়মিরা কেউ জড়িত নই। আর কারা এই কাজ করেছে তা মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ প্রশাসন রয়েছে, তারা চিহ্নিত করুক। আর সাত দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু, থানায় আমাদের আটকে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আর কুড়মিদের নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলছেন তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একজন দাঙ্গাবাজ নেত্রী। তাই, সবকিছুতেই তিনি দাঙ্গাকে দেখতে পান। মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জন্যই জঙ্গলমহলে কুড়মিরা আন্দোলন করছে। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে তৃণমূল শুধু ভোট নিয়ে গিয়েছে, তাদের উন্নয়নে কিছু করেনি। তাই, কুড়মিরা এভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    TMC: বিলে বাঁধ দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র এলাকা, মাটি কাটার মেশিনে আগুন, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের করণ বিলে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মাটি কাটার মেশিন। বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। জখমদের কালদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার গ্রামে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিক দ্বীপাঞ্জন ভট্টাচার্য  ও বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    করণ বিলে বংশীহারী এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের জল বর্ষাকালে জমা হয়। এই বিল থেকেই টাঙ্গন নদী হয়ে জল বেরিয়ে যায়। যেভাবে ১৫ ফুট উঁচু বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, সমগ্র বিলকে ঘিরে তাতে আগামী বর্ষায় আর জল বের হবে না। নষ্ট হবে ফসলের জমি। এই বাঁধ তৈরির বিরোধিতা করে গত ১৫ই মে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। তারপর বিডিও বিএলআরও, আইসি গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিটিং এ বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা হায়দার আলি, রমজান আলি, জাফর আলি, আফসার আলি দিনেরাতে মাটি কাটার মেশিন লাগিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছিলেন। সরকারি কোনও নির্দেশ নামা তাদের কাছে নেই। শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে সরকারি বিলকে অধিকার করার অভিযোগ তৃণমূলের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ২৬ মে রাতে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই যথেচ্ছ বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভাঙতেই এই চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, যে অবস্থায় বিল ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারি ও রায়তি অধিকারী থাকা করণ বিল কার তা নিয়ে বিতর্ক  দীর্ঘদিনের। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এই বিলে মাছ চাষ করেন এবং তাদের জীবিকা অর্জনের অন্যতম পথ এই বিল। তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা এই বিলের উপর বাঁধ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এতে তাদের রুটি রুজিতে টান পড়বে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে কোর্টে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়। ১৪৪ ধারা এবং স্টে অর্ডার জারি হওয়ার পরেও কী করে রাতে এবং দিনে কাজ চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই বিষয়ে রায়তি মালিক পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুকুরের রায়তি অংশটুকু মাটি দিয়ে বাঁধানো হচ্ছিলো।  এই বিষয়ে মামলা হওয়ায় আপাতত  পুকুরের পার বাঁধানোর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল রাতে সমাজবিরোধীরা এসে মাটি কাটার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বোমাবাজি করে।

    কী বললেন পুলিশ আধিকারিক?

    গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  এলাকার একটি পুকুর কাটাকে নিয়ে গোলমালের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, সেখানে বোমাবাজির কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন, ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুকুর মালিকদের গোলমাল বাধে। এই ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। গ্রামের ব্যাক্তিগত গোলমাল থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, বিলের পার বাঁধালে ওই এলাকার মানুষদের চাষের জমি বা জল নেওয়ার যে সমস্যা হবে এই নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূল (TMC) নেতারা সেখানে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে গ্রামের মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। আর এই পুরো ঘটনাটা ঘটানোর জন্য তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    BJP: “হাসপাতালের অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ দিয়ে জল পড়বে”, কেন বললেন রাজু বিস্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের বেহাল অবস্থা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চোখ দিয়ে জল পড়বে।  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে একথা বললেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি (BJP) সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অন্তত এক ঘণ্টার জন্য এই হাসপাতাল পরিদর্শনে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত এখানকার করুণ পরিস্থিতি দেখার পর তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়বে। জল না বেরলে  আমি আমার নাম বদলে দেব। এখানে কর্মীর অভাব রয়েছে। পরিকাঠামোর অনেক খামতি রয়েছে।  চারদিক নোংরা আবর্জনায় ভরে রয়েছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছেন এখানকার রোগীরা। প্রসঙ্গত, খুশি বর্মন নামে নকশালবাড়ির এক শিশুকে দেখতে সাংসদ রাজু বিস্তা ও নকশালবাড়ি – মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন। খুশি বর্মনের দু’টি কিডনি খারাপ। হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  রাজু বিস্তা বলেন, তার কিডনি প্রতিস্থাপন বা উন্নত কোনও চিকিৎসার  প্রয়োজন হলে আমি তার দায়িত্ব নিচ্ছি”।

    উত্তরবঙ্গবাসীর উন্নত চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল, তোপ সাংসদের

    বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছ থেকে বিনামূল্যে উন্নত অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল সরকার। উত্তরবঙ্গের জন্য এইমস অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে সেই এইমস সরিয়ে কল্যাণীতে নিয়ে গিয়েছেন। এখানে এইমস হাসপাতাল হলে আজ উত্তরবঙ্গের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতটা নাজেহাল হতে হত না,  কাউকে বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হত না। রাজ্য সরকার যদি আমাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেয় তাহলে এই হাসপাতালের ভোল বদলে দেব”।

     কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন,  “রাজু বিস্তার মুখে এধরনের শিশুসুলভ কথা মানায় না। বিজেপি (BJP) সাংসদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলার  কোনও অধিকার নেই। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তিনি না জেনে এসব বলছেন। এসব ভাবনা ছেড়ে আমি বলব, সুপার স্পেশালিটি ব্লক দ্রুত চালু করার জন্য তিনি বরং দিল্লিতে দরবার করুন”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তারাপীঠে শুরু হল রাজ্য বিজেপির বিস্তারক প্রশিক্ষণ শিবির! চলবে রবিবার পর্যন্ত 

    BJP: তারাপীঠে শুরু হল রাজ্য বিজেপির বিস্তারক প্রশিক্ষণ শিবির! চলবে রবিবার পর্যন্ত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদ দখলের লড়াইয়ে বিরোধীদেরকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সারাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও আগেভাগে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে দিয়েছে তারা। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় হোলটাইমার নিয়োগ করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। যাদের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে বিস্তারক। শনিবার এই নতুন বিস্তারকদের প্রশিক্ষণ পর্ব সারল গেরুয়া শিবির। তারাপীঠের এক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রশিক্ষণ পর্ব। নব নিযুক্ত বিস্তারকদের কাজ কী হবে? উত্তর পাওয়া গেল বিজেপির (BJP) বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার কাছে। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘‘গত ৯ বছর ধরে মোদিজীর নেতৃত্বে নতুন ভারত তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দরবারে কদর বেড়েছে দেশের। একাধিক জনমুখী কর্মসূচির বাস্তবায়িত হয়েছে, যার সুবিধা পাচ্ছেন দেশের সমস্ত ধরনের মানুষ। নতুন বিস্তারকরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য তুলে ধরবে মানুষের কাছে। এছাড়াও সাংগঠনিক ভাবে তাঁরা বুথ স্তরের কাজও দেখাশোনা করবেন। ’’

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমানু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    কারা হাজির ছিলেন প্রশিক্ষণ পর্বে 

    প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে গতকালই রাজ্যে পা রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। তাঁর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি বিজেপির ধ্রুব সাহা সমেত অন্যান্যরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের সামনে আগামীদিনের কর্মসূচি তুলে ধরেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    প্রশিক্ষণ শিবিরের খুঁটিনাটি

    এদিন সকাল ন’টায় দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের শুরু হয়। তার আগে অবশ্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে নিয়ে তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দিতে যান বিজেপির রাজ্য নেতারা। রবিবার দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন পর্যন্ত বিধানসভার বিস্তারকদের এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে। আজ সন্ধ্যায় দিল্লি রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বিএল সন্তোষের। অন্যদিকে রবিবার তারাপীঠে পা রাখবেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে, তাঁরা দুজনেই রাজ্য বিজেপির (BJP) দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। বিজেপি সূত্রে খবর, বুথ স্তরের সংগঠনের কাজে সুনীল বনসলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় দল, দীর্ঘদিন তিনি উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) দায়িত্বে থেকেছেন। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বীরভূমের সিউড়িতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। এবার সেই লক্ষ্যেই এগোতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমাণু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমাণু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় বোমা পাওয়া যাচ্ছে। শনিবারও লাভপুরে বোমা পাওয়া গিয়েছে। বগটুইয়ে বোমা উদ্ধার হয়েছে। সদাইপুরে কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বার বার বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বোমার কেন্দ্র ভূমি এটা। এখানে বড়  বড় বিজ্ঞানী ছিলেন। এখন তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। তাঁর নাম অনুব্রত মণ্ডল। তিনি পরমাণু বিজ্ঞানী। তাঁর জায়গায় বোমা পাওয়া যাবে না কি ফুল পাওয়া যাবে? প্রশাসন একেবারে ভেঙে পড়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে কোর্ট, বললেন  সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যটা কোর্ট চালাচ্ছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে কি থাকবে না এটা কোর্টই ঠিক করবে বলে আমার মনে হয়”। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে দলের একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে তারাপীঠে। সেই শিবিরে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বর থানার কল্লেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি। শনিবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

    অভিষেকের কনভয় হানা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরা কোনও রকম হিংসাকে সমর্থন করি না। সেটা যার উপরে হোক না কেন। এর একটা সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত সহৃদয় হয়ে কুড়মিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। আর পিসি ভাইপো এখন ভয় পেলেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। ওদের এখন বিজেপি ফোবিয়া হয়ে গিয়েছে। আর হামলাটা কে করেছে সেটা দেখা দরকার।” অভিষেকের কনভয়ের আক্রমণ বিজেপির কাজ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “ওকে বিজেপি মারতে যাবে কেন? ও তো মরাই। আজ নয় কাল সিবিআই টেনে নিয়ে যাবে”।

    বেসুরো অর্জুন সিংকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বারাকপুরে শ্যুট আউট কাণ্ডে সাংসদ অর্জুন সিংহের বেসুরো মন্তব্য নিয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, “সময় আছে। অপেক্ষা করুন। আরও সুর বেসুরো হয়ে যাবে। যারা এখন সুরে গাইছেন, যত দিন যাবে বেসুরো হবে। কারণ পুরো জিনিসটাই তো ডামাডোল চলছে এখন। শেষ মুহূর্তে তৃণমূল মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেসুরো হচ্ছে। এরপর মুষল দিয়ে হবে। যে দলের সাংসদরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সেটা সরকারের ব্যর্থতা”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলকে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে হবে না। ওরা আগে মদন, অর্জুন, ফিরহাদদের সঙ্গে লড়াই করুক। তারপর বিজেপির সঙ্গে করবে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী সংশয় প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিস্ফোরণের উপর বসে আছে রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়বে। বহু মানুষের মৃত্যু হবে। আর এই পুলিশ দিয়ে কোনওভাবেই শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে না। কারণ পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে এই সরকার। শাসক দলের ছোট বড় মাঝারি সব নেতা পুলিশকে বাড়ির চাকরবাকর মনে করেন। ফলে এই পুলিশ দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘দোষী যখন নন, কুন্তলের মুখোমুখি বসতে ভয় কীসের?’’ অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘দোষী যখন নন, কুন্তলের মুখোমুখি বসতে ভয় কীসের?’’ অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দোষী নন, তখন কুন্তল ঘোষের সামনাসামনি বসে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর ভয় কীসের?’’ শুক্রবার বর্ধমানের দলীয় কার্যালয়ে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে, সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার এই ঘটনাকে টেনে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলছেন দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিতে! আবার সেই তিনিই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন বলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এত ভয় কীসের জন্য পাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মূল অভিযুক্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন। হাইকোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র তাঁকে কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করানোর কথা বলেছে হাইকোর্ট। এতে অভিষেকের আপত্তি কিসের?’’

    আরও পড়ুন: নবজোয়ায়ের আগে তৃণমূলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব

    অর্জুন সিং ইস্যুতে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বারাকপুর কাণ্ডে দলের বিরুদ্ধে তোপ দেখেছেন অর্জুন সিং। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে টিটাগড় থানাকে কাঠগড়ায় করায় তুলেছেন তিনি। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। কারণ রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এমত অবস্থায় অর্জুন সিং-এর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘অর্জুন সিং আগে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। পরে আবার তিনি ফিরে গেছেন তৃণমূলে। ওখানে পাঁচ ছ’টা লবি কাজ করছে। বিধায়কদের লবি, চেয়ারম্যানের লবি। এতেই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন অর্জুন।’’ আগামী দিনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বারাকপুর সমেত সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ধুলিসাত হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভোট যখনই হোক, আমরা প্রস্তুত আছি। তৃণমূল সন্ত্রাস করলে তার মোকাবিলা করবে বিজেপি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naxalbari: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে প্রথম দূরপাল্লার ট্রেন পাচ্ছে নকশালবাড়ি, কোন ট্রেন জানেন?

    Naxalbari: বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে প্রথম দূরপাল্লার ট্রেন পাচ্ছে নকশালবাড়ি, কোন ট্রেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বহুদিন আগেই যুক্ত হয়েছিল নকশালবাড়ি (Naxalbari) স্টেশন। কিন্তু, দূরপাল্লার ট্রেন সেখানে দাঁড়ায় না। নকশালবাড়ির মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গাড়ি ভাড়া করে এনজেপি গিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে হয়। এবার সেই দুর্ভোগ মিটতে চলেছে। ২৬ মে, শুক্রবার থেকে শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নকশালবাড়ি স্টেশনে দাঁড়াবে। পরীক্ষামূলকভাবে এই স্টপেজের উদ্বোধন করবেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। এটিই হবে নকশালবাড়িতে (Naxalbari) প্রথম দূরপাল্লার কোনও মেল ট্রেনের স্টপেজ।

    ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়ে অবহেলায় নকশালবাড়ি

    কৃষকের অধিকার রক্ষায় ঐতিহাসিক নকশালবাড়ি (Naxalbari) আন্দোলনের এই পীঠস্থান উন্নয়ন ও প্রসারে সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। নকশালবাড়ি আন্দোলনের ইতিহাস বহনকারী এই জায়গার জনসংখ্যা বেড়েছে। অবস্থানের দিক থেকেও এই অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ। রয়েছে ভারত-নেপাল সীমান্ত। কিন্তু সেভাবে বাণিজ্যিক প্রসার ও কর্মসংস্থান হয়নি। নকশালবাড়ি আন্দোলনের অন্যতম নেতা কানু সান্যালের কমিউন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। ঐতিহাসিক গুরুত্ব হারিয়ে নকশালবাড়ি (Naxalbari) এখন চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই নকশালবাড়ি নিয়ে মোদির ভাবনা

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই নকশালবাড়িকে (Naxalbari) তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুযায়ী গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপির। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শিলিগুড়ির কাছে মাটিগাড়ায় একটি জনসভা করেছিলেন। সেখানে নকশালবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে এই অঞ্চলের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। দার্জিলিংয়ের সাংসদ হওয়ার পর বিজেপির সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া নকশালবাড়ির হাতিঘিসাতে একটি গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পানীয় জল, রাস্তাসহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়। তারপর দার্জিলিংয়ের সাংসদ হন বিজেপির রাজু বিস্তা। উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি নকশালবাড়িতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। সেইমতো এবার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নকশালবাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে স্টপেজ দেবে, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

    খুশির হাওয়া নকশালবাড়িতে (Naxalbari)

    খুশির হাওয়া নকশালবাড়ির (Naxalbari) সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী মহলে। নকশালবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিখিল ঘোষ বলেন, “কলকাতার ট্রেন নকশালবাড়িতে দাঁড়ালে এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। ব্যবসায়ীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে। এখানকার ছোট ব্যবসায়ীদের কলকাতা থেকে জিনিস আনতে হয়। এনজেপিতে নেমে তারপরে গাড়ি করে আসতে হয়। কাঞ্চনকন্যা এখানে দাঁড়ালে আমরা সরাসরি নকশালবাড়িতে জিনিস নিয়ে নামতে পারব”।

    কী বলছেন  বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপির নকশালবাড়ি (Naxalbari)-মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছি। রাজ্যের তৃণমূল সরকার এখানকার কোনও উন্নয়ন করেনি। আমাদের উদ্যোগে নকশালবাড়িতে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের স্টপেজ পরীক্ষামূলকভাবেই শুরু হচ্ছে। আশা করি এটা স্থায়ী স্টপেজ হবে। এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ, যাঁরা চিকিৎসা ও অন্যান্য কাজে কলকাতায় যান, তাঁদের আর শিলিগুড়িতে গাড়ি ভাড়া করে গিয়ে ট্রেন ধরতে হবে না। এই অঞ্চলের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি। নানা ধরনের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠবে। সবদিক দিয়েই নকশালবাড়ি (Naxalbari) আরও সমৃদ্ধ হবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। এটাই ছিল অপরাধ। তার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানার মল্লিকপুর এলাকায়। জখম বিজেপি কর্মীর নাম রাজু মিস্ত্রি। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সম্প্রতি বুড়ুলে বিজেপির (BJP) জনসভা হয়। সেই জনসভায় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তোলার পর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি কর্মী রাজু মিস্ত্রি। তিনি পেশায় ফ্রিজ মেরামতির কাজ করেন। অভিযোগ, এরপরেই বুধবার রাতে ফ্রিজ সারানোর নাম করে ওই বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেছেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই কর্মী। ফলতার তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খানের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পদক্ষেপ না নিলে এসপি অফিস ঘেরাও করব”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাস বলেন, “দলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে”। তবে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এইভাবে বিজেপি (BJP) কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়া নিয়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share