Tag: bjp

bjp

  • Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানাতে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিভীষণ হাঁসদা। গতকাল বুধবার রাতে ট্রেনে করেই দিল্লিতে যাত্রা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন মেয়ে এবং স্ত্রী। পালটা তৃণমূলের বক্তব্য, লোকসভার আগে প্রচার পেতে চাইছে বিজেপি।

    প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Bankura)

    চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বাঁকুড়া (Bankura) সফর করার সময় চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলেন অমিত শাহ। সেই সময় নিজের বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজনের সময় বিভীষণ তাঁর মেয়ের অসুস্থার কথা জানিয়ে ছিলেন বিভীষণ হাঁসদা। আর তা শুনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই মতো ওষুধপত্র পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তাঁকেই কৃতজ্ঞতা জানাতে দিল্লি রওনা দিয়েছেন এই আদিবাসী পরিবার। গতকাল রাত আটটার ট্রেনে চেপে দিল্লির জন্য যাত্রা শুরু করেছেন তাঁরা।

    কী বলল বিভীষণের মেয়ে?

    দিল্লির জন্য ট্রেনে উঠে বিভীষণের মেয়ে রচনা হাঁসদা বলেন, “ভীষণ ভাবে আমরা এক্সাইটেড। আমার সমস্ত চিকিৎসার খরচ তিনি চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে কৃজ্ঞতা জানাবো।” আবার বিজেপির বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র বলেন, “বিভীষণের পরিবারের সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।” এলাকাবাসীর বক্তব্য দীর্ঘদিনের রোগগ্রস্থ পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়কে সমালোচনা করে জেলার (Bankura) তৃণমূল নেতা মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “ঠিক সেই সময়কার সংবাদ শিরোনামে থাকা বিভীষণের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। এখন সামনে লোকসভার ভোট, তাই তাকে হাতিয়ার করে বিশেষ প্রচার করছে হাঁসদা পরিবারকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবটাই রাজনীতির অঙ্গ।”

    রাজনৈতিক টানাটানি করেছে তৃণমূল

    ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর অমিত শাহ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাঁকুড়ায়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের মেয়ের অসুস্থার কথা শুনে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর পালটা তৃণমূল থেকেও বারবার পরিবারের কাছে সাহায্যের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে এলাকাবাসীর (Bankura) দাবি, শাসক দল রাজনীতি করতে ব্যাপক ভাবে টানাটানি করেছে পরিবারকে নিয়ে। তৃণমূলের কাছ থেকে কিছু সাহায্যও পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত মূলত বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতাই বেশি ছিল শাসক দলের।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: এনডিএ-তে যোগ দিচ্ছে টিডিপি! বৈঠকে শাহ-নায়ডু, দক্ষিণে জমি শক্ত বিজেপির

    Lok Sabha Election 2024: এনডিএ-তে যোগ দিচ্ছে টিডিপি! বৈঠকে শাহ-নায়ডু, দক্ষিণে জমি শক্ত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে দক্ষিণে জমি শক্ত করল বিজেপি। বুধবার মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেরে পর তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়ে দেন এনডিএ-তে যোগ দিচ্ছে টিডিপি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টিডিপি এনডিএ-র সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করবে তা এক প্রকার নিশ্চিত। 

    টিডিপি-এনডিএ যোগ

    প্রায় ছ’বছর পরে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ফিরতে চলেছে। টিডিপি সূত্রে খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জোটের প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। সেখানে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারানোর উদ্দেশে বিজেপি, টিডিপি ছাড়াও তেলুগু অভিনেতা-রাজনীতিক পবন কল্যাণের দল জনসেনা পার্টি এনডিএ-তে শামিল হতে পারে বলে খবর। বিজেপি সূত্রে খবর, তারা প্রতিটি রাজ্যে দলের প্রসার করতে চায়। জোটের শর্ত সঠিক হলে এবং পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব পেলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছাড়ে টিডিপি। ফের ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে পুরনো জোটে ফিরল টিডিপি।  

    আরও পড়ুন: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    দক্ষিণে বিশেষ নজর

    লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) লক্ষ্য ‘মিশন ৪০০’। তাই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বিশেষ নজর দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহেরা। বুধবার দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজীব চন্দ্রশেখর এবং এল মুরুগানের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন এডিএমকে ১৫ জন প্রাক্তন বিধায়ক। সেই সঙ্গে প্রয়াত জয়ললিতার দলের এক প্রাক্তন সাংসদও পদ্ম-শিবিরে শামিল হয়েছেন। বিজেপিতে যোগদানকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, কে ভেদিভেল, এমভি রত্নম, আর চিন্নাস্বামী এবং পিএস কান্দস্বামীর মতো দ্রাবিড় রাজনীতির পরিচিত মুখেরা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন এবারের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ চারশোর বেশি আসন পাবে, তার মধ্যে বিজেপি পাবে ৩৭০-এর বেশি আসন। এই আসন সংখ্যায় পৌঁছতে গেলে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিজেপিকে বেশি আসন পেতেই হবে। যদিও আসন বেশি পাওয়া প্রসঙ্গে নিশ্চিত পদ্ম শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেট যদি জনমুখী না হয়, তাহলে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষেই প্রতিবাদ জানাবেন। রাজ্য বাজেট পেশের আগেই এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটেয় বিধানসভায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট (State Budget 2024) পেশ করতে চলেছেন। 

    ভাল বাজেটের প্রত্যাশা

    শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ভালো বাজেট (State Budget 2024) আশা করব। আশা করব যেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ঘোষণা করা হবে। আশা করব আশা কর্মী থেকে অস্থায়ী কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে ভিলেজ পুলিশ, সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মী-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের সম কাজে সম বেতনের মাধ্যমে সকলের জন্য আর্থিক সুরক্ষা ঘোষণা করা হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হবে।’’ রাজ্য বাজেটে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘আমরা আশা করব অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও রান্নার গ্যাস সাড়ে চারশো টাকায় পাব। পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের যে কর রাজ্য সরকার নিচ্ছে সেটা নেবে না। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই পেট্রোপণ্যের দাম কমে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী সমস্ত শূন্য পদ পূরণের ঘোষণা করবেন। আমরা এও আশা করব ওড়িশা, বিহারের মতো সমস্ত পার্ট টাইম শিক্ষক অধ্যাপক থেকে অন্যান্য শিক্ষা কর্মীদের স্থায়ীকরণের ঘোষণা করা হবে এই রাজ্য বাজেটে। উত্তর প্রদেশের মত যারা পেনশন পান তাদেরও স্পেশ্যাল ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হবে। জমিনীতি বদল করে শিল্প ও  বাণিজ্যমুখী বাজেট হবে। সিঙ্গুরের জমিতে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার রোড ম্যাপ চূড়ান্ত হবে।’’

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলে বিরোধিতা

    সাধারণত রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট (State Budget 2024) অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু, এবার রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়নি। এই বিষয়টিকে ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের জন্য যদি বাজেট পেশ না হয়, যদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টি, তাঁদের সম্পর্কে অসংসদীয় কথা, রাজনৈতিক আক্রমণ এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি। উচ্চ কণ্ঠে বিরোধিতা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uniform Civil Code: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    Uniform Civil Code: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে নয়া দিশা দেখাতে চলেছে দেবভূমি। বুধবার উত্তরাখণ্ডের বিধানসভায় (Uttarakhand) পাশ হয়ে গেল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)। উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় চার দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই অধিবেশন শুরু হয়েছিল। বুধবার ছিল তার শেষ দিন। এদিনই উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার এই বিল পাশ করে। এবার রাজ্যপালের কাছে বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাজ্যপাল এই বিলে সাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে এই বিল। 

    সমানাধিকারের আইন

    উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ হওয়ার পরই একাধিক রাজ্য, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে পারে রাজস্থান সরকারও। এই বিল পাশের পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, ‘‘এই আইন সমানাধিকারের কথা বলে। এটি কারও বিরুদ্ধে নয়। এই আইন মহিলাদের জন্য, যাঁরা সমাজে পদে পদে সমস্যার সম্মুখীন হন। এটি তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেন, “এই বিল কারোর বিরুদ্ধে নয়, বরং সকলের মঙ্গলের জন্যই আনা হয়েছে। বিশেষ করে মহিলারা এতে উপকৃত হবেন। বিবাহ, বিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকারের মতো বিষয়ে সকলকে সমান অধিকার দেওয়া হবে। বিশেষ করে মহিলারা যে বঞ্চনার শিকার হতেন, তা এই আইন কার্যকর হলে দূর হবে।”

    আরও পড়ুন: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    কী আছে এই আইনে

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে সব ধর্মের মানুষের জন্য বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত এক এবং অভিন্ন আইন প্রচলনের কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সুপারিশের খসড়ায় ধর্ম নির্বিশেষে পুরুষদের বহুবিবাহ বন্ধ এবং একত্রবাস নথিভুক্ত করার আইনের কথা বলা হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অনুযায়ী, যদি কোনও যুগল ‘একত্রবাস’ বা ‘লিভ-ইন’ করতে চান, তবে অবশ্যই পুলিশ বা জেলা আধিকারিকদের অনুমতি নিতে হবে। আর যদি তাঁদের বয়স ২১ বছরের নীচে হয়, তবে বাবা-মায়ের সম্মতির প্রয়োজন। ধর্ম নির্বিশেষে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘রেজিস্ট্রি বিবাহ’ বাধ্যতামূলকের কথা বলা হয়েছে এই বিধিতে। উত্তরাখণ্ডে যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনা হয়েছে, তাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহুবিবাহ। বহুগামিতাও নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। একই পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া সম্পত্তিতে পুত্র ও কন্যা সন্তানের সমান অধিকার, বৈধ ও অবৈধ সন্তানের সমান অধিকারের কথাও বলা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মঙ্গলের পর বুধেও উত্তাল বিধানসভা, “অধিবেশন কীসের জন্য?”, প্রশ্ন পদ্মের

    BJP: মঙ্গলের পর বুধেও উত্তাল বিধানসভা, “অধিবেশন কীসের জন্য?”, প্রশ্ন পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। মঙ্গলবার সিএজি রিপোর্ট নিয়ে বিজেপির দাবি না মানায় বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনা করতে চেয়ে অধিবেশন মুলতুবির প্রস্তাব আনে বিজেপি। এদিনও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পদ্ম-বিধায়করা।

    ধর্ষকদের শাস্তির দাবি

    কিছুদিন আগেই মালদা ও দিঘায় ঘটেছে ধর্ষণের ঘটনা। ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)। বুধবার এই নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চেয়ে অধিবেশন মুলতুবি প্রস্তাব আনেন ২ বিজেপি বিধায়িকা মালতি রাভা ও অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের এই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার সকলকে শান্ত থাকার আর্জি জানান। পরে বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া-বিধায়করা।

    নারী সুরক্ষা তলানিতে

    অগ্নিমিত্রা বলেন, “শুধু জল বা রাস্তা নিয়ে কথা বলতে আসিনি। নারী সুরক্ষা তলানিতে ঠেকেছে। ধর্ষণ করে খুন নিয়ে বিচার হবে না আলোচনা হবে না।” তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন হচ্ছে, শিশুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। বিধানসভায়ও আপনারা বলতে দেবেন না। তাহলে কীসের জন্য বিধানসভা রেখেছেন? সব বন্ধ করে দিন।” তাঁরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন বয়কট করবেন তাঁরা। নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিও দাবি করেছে বিজেপি। স্পিকারকে কালো পতাকাও দেখান বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং মহিলা ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে যে এদিন মুলতুবি প্রস্তাব জমা করা হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন মালতি রাভা, সুমিতা সিনহা, চন্দনা বাউরি, শিখা চট্টোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডল, অগ্নিমিত্রা পাল (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • RLD: ‘ইন্ডি’ জোট ছেড়ে এনডিএ শিবিরে ভিড়ছে জয়ন্ত চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় লোক দল!

    RLD: ‘ইন্ডি’ জোট ছেড়ে এনডিএ শিবিরে ভিড়ছে জয়ন্ত চৌধুরীর রাষ্ট্রীয় লোক দল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙনের মুখোমুখি হতে পারে ‘ইন্ডি’ জোট। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিতে পারেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের (RLD) নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। সূত্রের খবর, জয়ন্ত ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে ফেলেছেন। বিজেপির তরফে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে চারটি আসন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এই আসনগুলি হল কৈরানা, বাগপত, মথুরা এবং আমরোহা।

    উত্তরপ্রদেশেও ভাঙন ইন্ডি জোটে

    গেরুয়া হঠাতে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল চলে আসে এক ছাতার তলায়। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডি’। সেই জোটেই শোনা যাচ্ছে ভাঙনের ‘ঝপাং ঝপাং’ শব্দ। জয়ন্তর রাষ্ট্রীয় লোক দল যেমন বিজেপি-জোটে নাম লেখানোর তোড়জোড় শুরু করেছে, তেমনি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে না জানিয়েই একতরফাভাবে ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি। ইন্ডি জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মহাগটবন্ধন ছেড়ে ভিড়ে গিয়েছেন বিজেপি শিবিরে। জোটে থেকেও বেসুরো গাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।

    গেরুয়া শিবিরে নৌকা

    জয়ন্তর দল (RLD) যে গেরুয়া শিবিরে নৌকা ভেড়াতে চলেছে, তার প্রমাণও মিলেছে। ইতিমধ্যেই ‘ইন্ডি’ জোটের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন জয়ন্ত। পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশনেও অংশ নেননি তিনি। তাঁর দাদু চৌধুরী চরণ সিংহের একটি মূর্তির আবরণ উন্মোচন উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের ছাপ্রাউলিতে ‘ইন্ডি’ জোটের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়ে গেলেই মূর্তির আবরণ উন্মোচনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, ভোটের ঘোষণা কবে?

    কেন এনডিএ শিবিরে আসতে চাইছে আরএলডি?

    প্রশ্ন হল, কেন এনডিএ শিবিরে ভিড়তে চাইছে জয়ন্ত চৌধুরীর দল (RLD)? সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে থাকলে ‘জাত’ হবে উঁচু। জাঠ ভোটও তো আসবেই দলের ঝুলিতে, এমনকী জাঠ নন এমন মানুষের ভোটও পড়বে জয়ন্তর দলের প্রার্থীর পাশে। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থীদের জয় হবে নিছক ‘কেক-ওয়াক’। বর্তমানে, উত্তরপ্রদেশের জাঠ ভোট ভাগাভাগি হচ্ছে আরএলডি ও বিজেপির মধ্যে। রাষ্ট্রীয় লোক দল বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালে জাঠ ভোটের সিংহভাগই চলে আসবে এনডিএ-র পক্ষে। তাতে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি তো বটেই, পায়ের নীচের মাটি শক্ত হবে রাষ্ট্রীয় লোক দলেরও (RLD)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

       

     

  • Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” সোমবার এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা অধিবেশনে যোগ দিতে এদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বালুরঘাটের সাংসদ। তার আগে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “যে ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়েছে, এ ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরনো উচিত নয়, অন্তত পক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে তো নয়ই।” এর পরেই তিনি বলেন, “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” নাম না করে এদিন তৃণমূলের মুখপাত্রকেও আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত। তৃণমূলের এই মুখপাত্র বলেছিলেন, “ভোটে জেতার পর চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে।” সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “আগে যে বাঘ চড়াম চড়াম বলত, সে এখন ছাগ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিহাড় জেলে। এখন এই নতুন অনুব্রত, কলকাতার অনুব্রত কবে ছাগ হবে সেটাই দেখার।”

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বিজেপি সমর্থক এক পরিবারের সদস্যদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “সব জায়গায়ই এটা হচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা হচ্ছে সন্ত্রাসের এপিসেন্টার। এই লোকসভায়ই সব চেয়ে বেশি সন্ত্রাস হয়।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার কেন্দ্রকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “রোজ মোদিজি বলছে, পাকা বাড়ি করে দিচ্ছি। *** তুমি প্রাসাদ অট্টালিকায় থাকবে, আর এই গরিব লোকের মাথার ছাদটা কেড়ে নিয়েছো, তাঁকে দিচ্ছ না।”

    আরও পড়ুুন: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে রবিবার বর্ণ পরিচয় হাতে কলকাতায় মিছিল করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে দেওয়া হয় মধু। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, “মোদিজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের দেশের ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর উদ্দেশে যেভাবে কু-শব্দ প্রয়োগ করলেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে, বাংলাভাষী হিসেবে আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কাছে (Sukanta Majumdar) ক্ষমাপ্রার্থী।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনাদের শুধু অ্যাকশন আর রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে।” সোমবার দিল্লিতে শাহি বৈঠক সেরে বেরিয়ে একথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক ‘জায়ান্ট কিলার’ (বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোয় এই নামেই তাঁকে ডাকেন কর্মী-সমর্থকরা) শুভেন্দু অধিকারি। জরুরি ভিত্তিতে তলব পেয়ে রবিবার রাতেই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু।

    শাহি সাক্ষাতে শুভেন্দু

    সোমবার সকালে জানা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। এদিন সকালেই শুভেন্দু পৌঁছে যান সংসদে। সেখানে প্রথমে তিনি বৈঠক করেন অমিত শাহের সঙ্গে। শাহি বৈঠক শেষে তিনি সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে। সেখানে একপ্রস্ত বৈঠক হয় দুজনের। সোম-দুপুরের জোড়া বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। কেবল বলেন, “যে আলোচনা হয়েছে, তাতে যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলব না। শুধু আপনাদের অ্যাকশন আর রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে।” শাহের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা না গেলেও, অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দু-সীতারামন বৈঠক

    শুভেন্দু বলেন, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করে ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। ক্যাগ রিপোর্টে দু লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ রয়েছে। জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে রাজ্যে কোনও অডিট হয়নি। বিনোদন খাতে প্রচুর টাকা খরচ করছে সরকার।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। আর সেই টাকা দিয়ে ইলেকট্রিক বিল পে করা হচ্ছে। অর্থাৎ কেন্দ্রের টাকা নিচ্ছে রাজ্য।” তিনি বলেন, “যে অর্থ কমিশনের টাকা উন্নয়ন খাতে খরচ করার জন্য পাঠানো হয়, সেটা দিয়েই বিডিও অফিস থেকে নবান্ন, সব জায়গায় ইলেকট্রিক বিল দেওয়া হচ্ছে।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি ৩৭০ আসন পাবেই, এনডিএ পেরোবে ৪০০”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: লক্ষ্য ৩৫ আসন, চূড়ান্ত কমিটি গড়ল বঙ্গ বিজেপি

    Lok Sabha Election 2024: লক্ষ্য ৩৫ আসন, চূড়ান্ত কমিটি গড়ল বঙ্গ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টির লক্ষ্যে কোমর বাঁধছে বঙ্গ বিজেপি। এজন্য চূড়ান্ত কমিটি গড়ে ফেলল রাজ্য বিজেপি। এর আগে ১০১ জনের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। বিভাগ তৈরি করা হয়েছিল ৩৫টি। সেই কমিটিগুলির প্রধানদের নাম ঠিক করলেও, চেয়ারম্যান ঠিক হয়নি।

    নয়া কমিটির মাথায় সুকান্ত

    এই কমিটির ওপরে তৈরি করা হল আরও একটি কমিটি। মাথায় বসানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য কমিটির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। শনিবার দলের সল্টলেকের রাজ্য দফতরে একটি (Lok Sabha Election 2024) বৈঠক হয়। সেখানেই তৈরি হয় কমিটি। কমিটির মাথায় বসানো হয় সুকান্তকে। সুকান্তের পরেই বসানো হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকে। তার পরে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর ও জন বার্লার। জায়গা পেয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দল যে তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। কেবল দিলীপ নন, কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও।

    কারা রয়েছেন কমিটিতে?

    কমিটির সদস্য সংখ্যা ২০। কমিটিতে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মণ ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দও রয়েছেন। সাধারণ রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন শুভেন্দু, দিলীপ এবং রাহুল। পদাধিকার বলে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনি পাত্রেরও ঠাঁই হয়েছে কমিটিতে।

    আরও পড়ুুন: “দল না থাকলে রোজগার হবে না”, এ কী বললেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র?

    জানা গিয়েছে, সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে জগন্নাথ দায়িত্বে থাকবেন ভোট পরিচালনার। বড় ভূমিকা থাকবে অমিতাভ ও ধন্দের। কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, দুই সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ও আশা লাকড়া। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টির রাশ গিয়েছিল বিজেপির হাতে। এবার পদ্মশিবিরের লক্ষ্য ৩৫টি আসন। সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। চারশোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। এজন্য চাই নয়া মন্ত্র। ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মন্ত্রদীক্ষাই দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লিতে বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ও ন্যাশনাল কাউন্সিলে ভাষণ দেবেন তিনি। সেখানেই দলীয় কর্মীদের নির্বাচনে জয়ের মন্ত্র দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    কারা থাকবেন বৈঠকে

    বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ও ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক হবে ফেব্রুয়ারির ১৭ ও ১৮ তারিখে। এই বৈঠকে দেশের কয়েক হাজার নেতা উপস্থিত থাকবেন। ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দু’ দিনের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য ও লোকসভার সদস্য, বিধায়ক, লেজিসলেটিভ কাউন্সিল মেম্বার এবং পূর্বতন সাংসদদেরও। বৈঠকে যোগ দেবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের জাতীয় আধিকারিকরাও। রাজ্য বিজেপির আধিকারিক, কোর কমিটির সদস্য, শৃঙ্খলা কমিটি, ফিনান্স কমিটি এবং (PM Modi) ইলেকশন কমিটির সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই বৈঠকে।

    আরও পড়ুুন: ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা, তিন দিনের মধ্যেই শক্তি পরীক্ষা দেবে চম্পাই সরকার

    লোকসভা ক্লাস্টার ইন-চার্জ, লোকসভা কোঅর্ডিনেটর এবং লোকসভা আহ্বায়কদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জাতীয় মুখপাত্র, স্টেট চিফ স্পোকপার্সন, স্টেট মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর, সোশ্যাল মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর এবং আইটি কো-অর্ডিনেটরদেরও। দু’ দিনের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দফতরের আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর, জেলা সভাপতি, মেয়র, মিউনিসিপ্যাল চেয়ারপার্সন, মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল এবং মিউনিসিপ্যাল পঞ্চায়েতের সদস্যরাও।

    জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ১০ হাজার পদাধিকারী অংশ নেবেন দু’ দিনের এই বৈঠকে। এঁদের উপস্থিতিতেই সুর বেঁধে দেওয়া হবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের। রাম মন্দির নির্মাণ, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ, এসবই হবে বিজেপির তুরুপের তাস। তার পরেও কীভাবে প্রচার চালিয়ে চারশোর গণ্ডী পূর্ণ করা যাবে, সেই মন্ত্রও দেবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তবে মন্ত্রদীক্ষায় তিনি (PM Modi) ঠিক কী বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share