Tag: bjp

bjp

  • Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায়ও উত্তপ্ত হল বিধানসভা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মাসখানেক ধরে তিনি জেলে রইলেও, মন্ত্রিত্ব খোয়া যায়নি তাঁর। বৃহস্পতিবার এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক বিজেপির (Assembly Winter Session) শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “জেলে থাকা অবস্থায় কীভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক?” এনিয়ে শাসক-বিরোধী ব্যাপক হট্টগোল হয় সভায়। জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবি জানাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই দাবিতেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।

    ‘সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত’

    শঙ্কর বলেন, “একজন অভিযুক্ত মন্ত্রী কতখানি প্রভাবশালী যে জেলের ভেতরে থেকেও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। এ নিয়ে বিধানসভার অন্দরে প্রশ্ন করতে গেলে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এ থেকেই তো স্পষ্ট, এই সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত।” বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, জ্যোতিপ্রিয় জেলবন্দি। এর পরেও তাঁকে মন্ত্রী বলা হবে? তিনি কীভাবে বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন? এসব প্রশ্ন তুলে এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডার দাখিল করতে চান বিরোধীরা। এনিয়ে সভায় (Assembly Winter Session) শুরু হয় হট্টগোল। সেই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পয়েন্ট অফ অর্ডার আনতে হলে, তা আনতে হবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে। এর পরেই স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করেন পদ্ম-বিধায়করা।

    জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

    বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অন্দরে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। শঙ্কর বলেন, “যদি এমনটাই ধরে নেওয়া যায় যে তিনি এখনও পর্যন্ত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হননি, কেবল অভিযুক্ত রয়েছেন, তাহলেও স্পিকার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ না করে বলতেই পারতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তাই তাঁকে এখনই রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না। তা না করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন।” প্রসঙ্গত, এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডারে জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন শঙ্করই।

    আরও পড়ুুন: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    প্রসঙ্গত, বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির জনসভায় খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছিলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যদি দুর্নীতিমুক্ত হয়, তাহলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের সাসপেন্ড করে দেখাক।” তার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবিতে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা (Assembly Winter Session)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি।” বুধ-দুপুরে ‘শাহি’ মঞ্চে কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন সভা ছিল বিজেপির। সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত?

    শাহি-ভাষণের আগে বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “অমিত শাহের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। ভয় পাচ্ছেন। ভাবছেন, ধরে নিয়ে যাবে। পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিয়েছে। এদের চিনে রাখুন। ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের ৩৫ লক্ষ্যমাত্রা পার করব। এই বার, ৩৫ পার।” সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি জিতবে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের কেন্দ্রে সরকার গড়বে বিজেপি। ২০২৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    শাহি-বচন 

    বাংলায় বিজেপি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভোট-হিংসা সব চেয়ে বেশি হয় বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেননি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “এক সময় যে বাংলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে কেবলই শোনা যায় বোমার শব্দ। আমি গুজরাটে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি। যে বাংলা এক সময় গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত, সেই বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন দিদি।” তিনি বলেন, “মোদিজির পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছেন। ভোট দিয়ে বিজেপি কর্মীরা বদলা নেবেন এই প্রতিটি রাজনৈতিক হত্যার।” শাহ বলেন, “মোদিজিকে উন্নয়ন করতে (Sukanta Majumder) দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে যখন সরগরম বিজেপির ধর্মতলার সভামঞ্চ, ঠিক তখনই রাজ্যবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিধানসভা চত্বরে ধরনায় বসল তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ আবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই ‘নিস্তরঙ্গ’আন্দোলনে ‘সুনামি’আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্মতলার সভা শেষ করে তিনি সটান চলে যান বিধানসভা চত্বরে। সেখানে ঢুকেই ‘মমতা চোর’স্লোগান দিতে থাকেন।

    বিজেপির সভা

    বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোর পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করে বিজেপি। সভামঞ্চ আলোকিত করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপির একঝাঁক নেতার উপস্থিতিও জৌলুস বাড়িয়েছিল পদ্ম-সভার। বিজেপির এই সভার উদ্দেশ্য ছিল, কীভাবে তৃণমূল বিরোধী মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে। কীভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুটেপুটে খেয়েছেন তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী। সভা উপলক্ষে এদিন আক্ষরিক অর্থেই যখন অল রোডস লিড টু ধর্মতলা, ঠিক তখনই কালো পোশাক পরে শাসক দলের বিধায়করা বসেছিলেন বিধানসভা চত্বরের ধর্নায়। ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তাতে যে আদতে বিশেষ লাভ হয়েছে, তা মনে করছেন না রাজনীতির কারবারিরাও। তাঁদের মতে, এদিন তামাম রাজ্যের ফোকাসে ছিলেন অমিত শাহ। তিনিই কেড়ে নিয়েছিলেন প্রচারের (Suvendu Adhikari) সবটুকু আলো। তাই হালে পানি পাননি মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা।

    শুভেন্দুর আগমনে উঠল ঢেউ 

    এই ধর্নায়ই অবশ্য হাজার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্ব ঝলসে উঠল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আগমনের পর। সভা শেষের পর দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ‘জায়ান্ট কিলার’ (নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর রাজ্যবাসী তাঁকে চেনেন এই নামেই) চলে আসেন বিধানসভা চত্বরে। ‘চোর’, ‘চোর’স্লোগান দিতে দিতে তিনি চলে আসেন নাট্য-রঙ্গের মূল দৃশ্যে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘চোর’, ‘চোর’, ‘মমতা চোর’। ‘চাকরি চোর মমতা’, ‘ডিএ চোর মমতা’। তাঁর সতীর্থরা ধ্বনি দিতে থাকেন, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’। পরে বিধানসভার প্রধান প্রবেশদ্বারের মুখে বসে পড়েন গেরুয়া বিধায়করা। পদ্ম ও ঘাসফুল শিবিরের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে সরগরম বিধানসভা চত্বর। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সরকার চোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর। তিনিই সব দুর্নীতির মাথা। আমরা তাঁর শাস্তি চাই।”

    আরও পড়ুুন: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     
  • Amit Shah: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলার জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছেন মোদিজি। কিন্তু তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজের জন্য সেই টাকা পৌঁছচ্ছে না বাংলার গরিব মানুষের ঘরে।” বুধ-দুপুরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মোদি সরকার দেশকে কী কী দিয়েছে, এদিন তারও ফিরিস্তি দেন শাহ। বলেন, “গোটা দেশে মোদিজি কীভাবে বিকাশ করছেন! গরিবদের জীবনে কত পরিবর্তন এসেছে। ওঁদের ঘর দিয়েছেন, শৌচালয় দিয়েছেন, জল দিয়েছেন। শৌচালয়ের সঙ্গে ৫ লক্ষের স্বাস্থ্যবীমাও দিয়েছেন। করোনা অতিমারি রুখতে গোটা দেশে টিকাকরণও করেছেন মোদিজি। গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদও দমন করেছেন তিনি।”

    তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ!

    বাংলার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও, তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজের জন্য তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ শাহের। বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায গরু চুরি হোক বা কয়লা চুরি কিংবা নিয়োগ দুর্নীতি, বাংলার মানুষের টাকা এঁরা খেয়েছেন। মমতাজিকে বলছি, হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান।”

    ‘শাহি’ পরিসংখ্যান 

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছ তৃণমূল। এদিন ওয়াই চ্যানেলের সভায় তারই জবাব দেন শাহ (Amit Shah)। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি দেখিয়ে দেন, ১০ বছরের ইউপিএ জমানার চেয়ে ৯ বছরের বিজেপি আমলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ঢের বেশি টাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস জমানার সরকার দিয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। আর ন’ বছরে মোদি সরকার পাঠিয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।” তিনি বলেন, “আমরা মমতাদির কাছে অনেকবার হিসেব চেয়েছি। উনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, মোদিজি বাংলার জন্য কী করেছেন? আমি হিসেব নিয়ে এসেছি। কান খুলে শুনন। যে ইউপিএ সরকারে আপনি মন্ত্রী ছিলেন, সমর্থন করেছেন, তারা বাংলাকে মাত্র ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিল। আর মোদিজি দিয়েছেন ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুুন: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    শাহ বলেন, “এছাড়াও আমরা এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। ইউপিএ সরকার ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। মোদিজি দিয়েছেন ৫৪ হাজার কোটি টাকা। একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় সড়কের জন্য দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা। রেলে এবং বন্দরে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ১৬ হাজার ও এক হাজার কোটি টাকা। সেচ খাতে দেওয়া হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আপনার ২ লক্ষ কোটি টাকার জায়গায় ভারতীয় জনতা পার্টি (Amit Shah) দিয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

  • Amit Shah: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    Amit Shah: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ (CAA) আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।” বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ভরা সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “এত অনুপ্রবেশ কোনও রাজ্যে হলে সেখানে উন্নয়ন হতে পারে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন।” এর পরেই শাহ বলেন, “আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে। সিএএ লাগু হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না।”  

    সিএএ-র পথে অন্তরায় তৃণমূল!

    রাজ্যে সিএএ চালুর পথে যে তৃণমূল সরকারই অন্তরায়, এদিন তাও জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি জানান, ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রত্যাশিতভাবেই সেই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আগাগোড়া নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড দিচ্ছেন মমতা!

    তিনি বলেন, “দেশে সব চেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসা হয় বাংলায়। বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অনুপ্রবেশ রুখতে পারেনি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে (Amit Shah)।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় সিএএ। সিএএ-তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জেরে ভারতে চলে আসা সেইসব দেশের ছ’টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

    এদিনের সভায় শাহ বলেন, “অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেও বিজেপি এলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। বিজেপি সিএএ লাগু করবেই।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী রাজ্য (বাংলাদেশ) থেকে যে হিন্দু ভাইয়েরা এসেছেন, এদেশের ওপর আমাদের যতটা অধিকার রয়েছে, তাঁদেরও ততটাই অধিকার রয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “সিএএ একটি জটিল অবস্থায় রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আটকে রয়েছে। আদালত রায় না দিলে সরকার এটা কার্যকর করতে পারে (Amit Shah) না।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে’’, ধর্মতলায় অমিত শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’ বছর পর কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় যোগ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর আগে শাহ যখন এখানে সভা করেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। আর আজ, বুধবার যখন সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, তখন তাঁর পরিচয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দীর্ঘ এই ন’ বছরের ব্যবধানে গঙ্গা দিয়েছে গড়িয়েছে কিউসেক কিউসেক জল।

    শাহি-বার্তা

    তবে ন’ বছর আগের মতোই এবারও শাহের অস্ত্র হতে চলেছে তৃণমূলের দুর্নীতি। কলকাতার এই সভায় যোগ দিতে তিনি যে মুখিয়ে রয়েছেন, এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তা জানিয়েছেন শাহ স্বয়ং। তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি এখন বাংলার মানুষের প্রথম পছন্দের রাজনৈতিক দল। আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং মমতা দিদির তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। আজ কলকাতায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছি।”

    শাহের তুণীরে কোন শর? 

    জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ২টো নাগাদ ভাষণ দেবেন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর এই সফর নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে রাজ্য বিজেপিকে। ন’ বছর আগে যখন এই ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ হয়েছিল, তখন এ রাজ্যে বিজেপির পায়ের নীচের মাটি তেমন শক্ত ছিল না। আর আজ, ন’ বছর পরে এ রাজ্যে বিজেপির বুনিয়াদ যথেষ্ট মজবুত। কেলেঙ্কারির পঙ্কিল আবর্তে ঘুরছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই। এহেন আবহে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাই তাঁর তুণীরে কোন শর রাখা আছে, তা জানতে মুখিয়ে বঙ্গ বিজেপিও।

    এদিকে, বেলা ১২টা বাজতেই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা শুরু হয়েছে বিজেপির। ইতিমধ্যেই সভায় হাজির হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকেও সভাস্থলের দিকে আসছে ‘বঞ্চিত’ জনতার মিছিল। অন্যান্যবার বিজেপির সমাবেশে আসার পথে কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার এখনও তেমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জেলা থেকে ট্রেনে-বাসে করে কলকাতায় আসছেন আমাদের কর্মী-সমর্থকরা। বাধা দিলে পরিণাম ভাল হবে না। আজ তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে আমাদের কর্মীরাও উচিত শিক্ষা দেবে। আজ এই কলকাতা থেকে ট্রেলার শুরু। তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেবেন অমিত শাহ (Amit Shah)।”

    সবে ট্রেলর! পিকচার আভি ভি বাকি হ্যায়?

    আরও পড়ুুন: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • BJP Rally: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

    BJP Rally: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার গেরুয়া সুনামি দেখবে কলকাতা। মঙ্গলবার কথাগুলি বলেছিলেন বিজেপি নেতারা। বুধবার আক্ষরিক অর্থেই গেরুয়া সুনামি (BJP Rally) দেখতে চলেছেন রাজ্যবাসী। বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোর পরে আদালতের নির্দেশে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে হচ্ছে বিজেপির সভা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ‘ওয়ার্মআপ’ জনসভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ‘কলকাতা চলো’

    ইতিমধ্যেই সভাস্থলের দিকে আসতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। এদিন সকাল থেকেই শিয়ালদা স্টেশনে ঠায় বসে রয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। হাওড়া ও শিয়ালদা দুই এলাকাতেই সভায় আগত লোকজনের জন্য ব্যবস্থা হয়েছে খাওয়া-দাওয়ার। বিজেপি কর্মীদের দুপুরের মেনুতে থাকছে, ভাত , সবজি দিয়ে ডাল এবং চাটনি। খাওয়া-দাওয়া সেরেই কর্মী-সমর্থকরা রওনা দেবেন ধর্মতলার দিকে। যাঁরা ভায়া হাওড়া স্টেশন হয়ে সভাস্থলের দিকে আসবেন, তাঁরা খাওয়া-দাওয়া করবেন হাওড়া স্টেশন লাগোয়া রেল মিউজিয়াম সংলগ্ন মাঠে। সেখানেই পাতা হয়েছে চেয়ার-টেবিল। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে শিয়ালদা স্টেশনেও। অন্যদিকে, হাইকোর্ট থেকে সভাস্থলের দিকে রওনা দেবেন বিজেপি লিগ্যাল সেলের সদস্যরা।

    ধর্মতলামুখী ‘বঞ্চিত’ জনতা

    বিজেপি (BJP Rally) নেতাদের দাবি, যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে শাসক দলের, তাই সভাস্থলের দিকে আসা লোকজনকে বাধা দেবে না তৃণমূল। দলের বিধায়ক শঙ্কর বলেন, “আদালতে থাপ্পড় খেয়েছে সরকার। তাই বিজেপি কর্মীদের সভায় আসতে বাধা দিতে গেলে অন্তত দু’বার ভাববে তৃণমূল কংগ্রেস।” ধর্মতলার এই ‘শাহি’ সমাবেশে বঞ্চিতদের হাজির করতে চেষ্টার কসুর করেননি বিজেপি নেতারা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেমন সভা করেছেন দক্ষিণবঙ্গে, তেমনি কলকাতায় কর্মসূচি পালন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার ফলও মিলতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুুন: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    কোন পথে আসছে মিছিল?

    ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার রাতেই অনেকে চলে এসেছেন সভাস্থলে। বিজেপি সূত্রে খবর, যাঁরা ভায়া হাওড়া স্টেশন হয়ে যাবেন, তাঁরা হাওড়া ব্রিজ ধরে পোদ্দার কোর্টের পাশ দিয়ে টি বোর্ড, বেঙ্কিক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ দিয়ে পৌঁছবেন সভাস্থলে। আর যাঁরা শিয়ালদহ স্টেশনে নামবেন, তাঁরা মৌলালি, হিন্দ সিনেমার সামনে দিয়ে ধরবেন এসএন ব্যানার্জি রোড। সেখান থেকে পৌঁছবেন সভাস্থলে।

    শাহি-মঞ্চের পাশে রাখা ‘ড্রপবক্স’

    এদিকে, শাহি সমাবেশে অমিত শাহের মঞ্চের পাশে রাখা হয়েছে ‘ড্রপবক্স’। কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিতরা তাঁদের অভিযোগপত্র জমা দেবেন এই অভিযোগ বাক্সে। প্রসঙ্গত, সমাজের প্রায় সর্বস্তরের মানুষের জন্য নানাবিধ প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। অভিযোগ, সেই সব প্রকল্পের কণামাত্র সুবিধাও পাননি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরাও যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান, তাই বঞ্চিতদের নিয়ে সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। যে সভার মধ্যমণি খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (BJP Rally)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Suvendu Adhikari: মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ, বিধানসভায় হট্টগোল, ওয়াকআউট বিজেপির

    Suvendu Adhikari: মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ, বিধানসভায় হট্টগোল, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিবেশন চলছে। কেন অনুপস্থিত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্ন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমের আইসিইউতে। সোমবারই শুরু হয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। এদিন মন্ত্রী কেন গরহাজির, প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কেন জেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় তার জবাব দিতে হবে।”

    বিজেপির ওয়াকআউট

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন তাঁদের ছবি ও কাটআউট নিয়ে বিধানসভায় স্লোগান দিতে (Suvendu Adhikari) থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময়ই তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “কেন্দ্র টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। টাকা দিচ্ছে না।” এনিয়ে দুপক্ষে হট্টগোল বেঁধে যায়। হট্টগোল চলাকালীনই শুভেন্দুর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করে বিজেপি।

    সাবিত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য

    ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য তার আগেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপির পরিষদীয় দল। সেটি খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এই প্রস্তাব রাজ্যের বিষয় নয়। তাই এটি খারিজ করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপমান কীভাবে রাজ্যের বিষয় নয়? এসব নিয়েই প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে। পরে শুরু হয় হট্টগোল। শেষমেশ ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

    মালদার বিধায়ক সাবিত্রী অবশ্য বলেন, “ভারতের সংস্কৃতিকে মাথায় রেখেই যা বলার বলেছি। বিরোধী দলনেতা আমাকে ভুল উদ্ধৃত করে ট্যুইট করেছেন। আমি বলিনি, স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাটিদের ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ (Suvendu Adhikari) সম্পর্কে জানেন না।”

    আরও পড়ুুন: ‘কোড’ নামের আড়ালেই চলত পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নজরে ফের কোন মন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর তেজস চড়াকে কটাক্ষ! শান্তনু সেনের কথার তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর তেজস চড়াকে কটাক্ষ! শান্তনু সেনের কথার তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুদ্ধ বিমান সফর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রস সাংসদ শান্তনু সেন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা শান্তনুর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তেজস বিমানে চড়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কার্যত ‘অপয়া’ বলেছিলেন শান্তনু। 

    কী বলেছিলেন শান্তনু

    দেশে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তেজসের নয়া সংস্করণে শনিবার সওয়ার হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ওড়ালেন তেজস যুদ্ধবিমান। তারপরই শান্তনু একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “নরেন্দ্র মোদির সফরের পরই ইসরো ফেল করেছে। কঙ্গনা রানাউত মোদির সঙ্গে দেখা করার পরই তাঁর ছবি সুপার ফ্লপ হয়েছে। বিরাট কোহলি মোদির সঙ্গে হাত মেলানোর পর টানা তিন বছর কোনও সেঞ্চুরি করতে পারেননি। বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পরে মোদি স্টেডিয়ামে যাওয়াতেই ভারত ফাইনালে হেরে যায়। আর সেই কারণে মোদি তেজসে সওয়ার হওয়ার পরই যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হতে পারে।’

    আরও পড়ুন: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কালীঘাটের ‘কাকু’! এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    শান্তনুর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এদিন সমন্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। তৃণমূল মোদির ওপর ঘৃণা বর্ষণ করার জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু কামনা করছে। কারণ মোদি তেজস যুদ্ধ বিমানের জন্য এই বিমান ক্র্যাশ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। সেনা বাহিনীকেও ছেড়ে কথা বলে না তৃণমূল কংগ্রেস। পুলওয়ামা হামলা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে। পুলওয়ামাকে ফেক বলেও বর্ণনা করেছিল তৃণমূল। এই দলের সাংসদ এরকম মন্তব্য করতেই পারে। এর জবাব চায় বিজেপি।” তৃণমূল সূত্রে খবর,  শান্তনুর এই মন্তব্যকে অসংবেদনশীল বলা হয়েছে। দলের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে, তিনি যেন মিডিয়ায় আর কোনও মন্তব্য না করেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share